নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে একটি খেলনা নির্বাচন হয়েছে , আর এ নির্বাচন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে , তার মধ্য থেকে ২ - ১ টি বলার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ ।
★পরকালীন শিক্ষা ঃ-
------------------------------
ধরুন , মহান আল্লাহ যদি বিএনপির লোকদেরকে ভোটের দিন বিকেলে জিজ্ঞেস করত, আচ্ছা বলতো প্রশাসন, পুলিশ, রেব, বিজিবি , আর্মি এবং আওয়ামীলীগকে কেমন জাহান্নাম দিব ? তখন বিএনপির উওর কত ভয়ংকর হতে পারত, তা অনুমান করাও দুষ্কর। তবে উওরটা কমপক্ষে এমন হত যে, হে আল্লাহ তোমার নিকট সর্ব্বোচ্চ থেকে সর্ব্বোচ্চতর যে শাস্তি আছে তা তুমি এদেরকে দাও এবং অবশ্যই তুমি অন্ততকাল ধরে এদেরকে ভয়ংকর শাস্তি দাও। অতঃপর যখন আওয়ামীলীগ , প্রশাসন , পুলিশ , রেব , বিজিবি এবং আর্মিরা প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতি , নির্লজ্জের মতো অস্বীকার করলো তখন যদি মহান আল্লাহ উক্তরুপ প্রশ্ন করতো, তাহলে বিএনপির লোকগন গগন বিদারী চিৎকার করে বলতো যে, হে আল্লাহ এদের এমন ভয়ংকর শাস্তি দাও যার কথা মানুষ ভাবলেও , ভয়ে চিৎকার করে মৃত্যুবরন করবে ।
প্রিয় ভাইয়েরা তাহলে বুঝে দেখ তোমার উপর জুলুম করলে তুমি মানুষের জন্য চিরজাহান্নাম চাচ্ছ , অন্যদিকে মহান আল্লাহ তোমাকে সৃষ্টিই করেছেন শুধুমাত্র ইবাদত করার জন্য , তাহলে ইবাদত না করলে মহান আল্লাহ তোমার উপর কতটুকু ক্রোধান্বিত হবেন এবং কত বড় জাহান্নাম দিবেন। এরপরও তোমারা শিরক করছ এবং কুফরি করছ , তুমি অনুমানও করতে পারছ না, মহান আল্লাহ তোমার উপর কতটুকু ক্রোধান্বিত।
তাছাড়া বিএনপিরাও তো ২০১৫ সালে পেট্রোল বোমা মেরে অনেক মানুষ হত্যা করেছে, তারাও তো গগন বিদারী চিৎকার করে তোমাদের চিরজাহান্নাম চেয়েছে।
অতএব, এখন বিএনপির করনীয় হচ্ছে - ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ নিজ দলের মাঝে চর্চা করা, এর বেশীও না এবং কমও না। তাছাড়া কখনোই রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েম করা যাবে না, শুধু দলে কায়েম করতে হবে। কেননা দলে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ কায়েম না করলে , মানুষ আন্দোলনে আসবে না এবং আহত বা নিহত হওয়ার কোন স্থায়ী উদ্দেশ্য খুঁজে পাবে না । অতঃপর বিএনপির ২য় করনীয় হচ্ছে - পরিপূর্ণ ন্যায় নীতি এবং আদর্শের চর্চা করা এবং কোনরূপ দূর্নীতির চর্চা করা যাবে না ।
★ ইহকালীন শিক্ষা ঃ-
------------------------------
পৃথিবীর বড় বড় পরাশক্তিরাই আওয়ামীলীগকে মেনে নিয়েছে । কারন পৃথিবীর কোন পরাশক্তিই চায় না, বাংলাদেশ একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হউক । আর এই যুগে এটা কায়েম করাও সম্ভব না এবং মহান আল্লাহ হতেও দিবেন না। তার প্রমাণ এখন সারা বিশ্বেই দেখা যায় , জঙ্গিরা হাজার চেষ্টা করেও একটি রাষ্ট্রকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে পারেনি ।
জামাত শিবির একটি উগ্রপন্থী সংগঠন , যারা রাষ্ট্রে এবং সারা বিশ্বে উগ্রবাদ কায়েমের স্বপ্ন দেখে, যা কোনদিনও সম্ভব না। ৯৯ ভাগ মানুষই বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ কল্যাণ রাষ্ট্র বানাতে চায়। যেখানে যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে সবাই পালন করবে । এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর স্বপ্নও এক, এরাও বাংলাদেশকে একটি উগ্র রাষ্ট্র বানাতে চায় এবং বিশ্বকেও । তারা সবার উপর জোরপূর্বক উগ্রবাদ চাপিয়ে দিতে চায়, যা কখনই সম্ভব না এবং এটা মহান আল্লাহ হতেও দিবেন না। তাছাড়া বর্তমানে সারা বিশ্বেই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি করা সকল নাগরিকের একটি প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত ।
উগ্রবাদের জন্যই আজকে মুসলমানেরা চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে , চীন , ভারত , মিয়ানমারসহ সারা বিশ্বেই মুসলমানরা আজ ভয়ংকর নির্যাতনের শিকার । চীনের মুসলমানরা নামাজ রোজা করতে পারছে না , ভারতের মুসলমানরা গরু জবাই করতে পারছে না , আর মিয়ানমারের মুসলমানরদের কথা না হয় , নাই বললাম ।
অতএব, বিএনপিকে জামাত শিবির ছাড়তে হবে, এক ঘন্টাও যদি বিএনপি জামাত শিবিরকে সাথে রাখে, তবে এক ঘন্টায় তাদের এক বছরের ক্ষতি হয়ে যাবে। তাছাড়া জামাত শিবির বেশি ভয়ংকর হওয়ার প্রধান কারন হলো - তাদের শক্তিশালী অর্থনীতি আছে , যা দ্বারা সহজেই মানুষকে ফাঁদে ফেলা যায় এবং ফেলছেও । কখনও কখনও গোপনে ফেলছে এবং ছোট ছোট বাচ্চাদেরকেও ফেলছে , আর এইসব কোমলমতি বাচ্চাদের এরকম অবস্থা দেখে যেকোন বিবেকবান মানুষ না কেঁদে পারবেন না । অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রায় সব ইসলামী দলের মতে জামাত শিবির একটি অনৈসলামিক দল ।
বর্তমানে ধর্মকে মানুষের মাঝে ঢুকাতে হলে বুঝিয়ে ঢুকাতে হবে , টাকার লোভ দেখিয়ে যারা মানুষকে ধর্মে ঢুকায় , তারা পূর্ণ কাফির , আর কাফিররা চিরজাহান্নামী । জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হলে, আল্লাহর অলীদের সোহবতে থেকে ধ্যানের মাধ্যমে মহান আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করতে হবে এবং কোরানকে বুঝতে হবে , অতঃপর কোরান হাদিস অনুযায়ী চলতে হবে ।
মানুষের দূর্বল অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ধর্মীয় দলগুলো তাদের দল ভারী করছে । মানুষের মনে ১ ছটাক শক্তি নেই, অথচ ২০ - ৫০ মণ বোঝার ধর্ম চাপিয়ে দিচ্ছে ধর্মের নাম করে । স্পর্শকাতর বিষয় বলে কেউ মুখ খুলছে না , বরং সম্পূর্ণ লোকদেখানো বা দুনিয়া ও পরকাল উভয়ের মিশ্রিত উদ্দেশ্যে ইবাদত করে যাচ্ছে । যে ইবাদত মহান আল্লাহ কখনোই কবুল করবেন না এবং মুনাফিক সাব্যস্ত হয়ে সে চিরজাহান্নামী হবে ।
ইখলাসপূর্ণ ইবাদত শিখতে হবে , আর এজন্য প্রথম জীবনে শুধুমাত্র ফরজ ও ওয়াজিব ইবাদতগুলো করতে হবে এবং সুন্নাত ও মুস্তাহাবকে দেরিতে পালন করতে হবে । প্রথম জীবনে সুন্নাত ও মুস্তাহাব আমল করতে গেলে মানুষ হয় পাগল হবে নতুবা সম্পূর্ণ লোকদেখানো ইবাদতকারী হিসেবে বিবেচিত হবে । কারন মানুষ এখন খুবই দূর্বল ।
বর্তমানে প্রায় সব ইসলাম প্রচারকারীরাই ভিক্ষা বৃত্তি করে ইসলাম প্রচার করছে , যা সম্পূর্ণ হারাম । আর হারাম দিয়ে কখনোই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যাবে না , বরং ভয়ংকর ফিতনা সৃষ্টি হবে । ইসলামী রাজনীতি এখন ভিক্ষা বৃত্তির রাজনীতিতে রুপান্তরিত হয়েছে । এই রাজনীতি ফিতনা ব্যাতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করে না । মাদ্রাসার কমিটি , শিক্ষক শিক্ষকা , ছাত্র ছাত্রী , তাবলীগ , পীরসাহেব , বক্তাবৃন্দ সবাই ঘরে ঘরে গিয়ে ভিক্ষা করছে । কেউ কেউ ভিক্ষা বৃত্তি করে গাড়ি বাড়ি , ব্যাংক ব্যালেন্স করছে । আসলে এই জাহান্নামীদের কথা শোনা হারাম এবং এদের নিকট ফতোয়া জানাও হারাম । কারন ভিক্ষা বৃত্তি করে সঠিক জ্ঞান জানা সম্ভব না ।
★উপসংহার ঃ-
------------------------
আওয়ামীলীগ চরম অন্যায়ের ( ভোট ডাকাতির ) মাধ্যমে অন্যায়কে দূরীভূত করেছে , যা কোন মুসলমানের কাজ না । মুসলমানের কাজ হলো - ন্যায় দ্বারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করা । বর্তমান বাংলাদেশে কোন দলই ন্যায়ের রাজনীতি করে না , তবে বিএনপির জন্য সুযোগে আছে ন্যায়ের রাজনীতি করার । আর সেটা করতে হলে উপরোক্ত নিয়মেই করতে হবে । কিন্তু সমস্যা হলো খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া ঘাড় ত্যাড়া লোক , এরা সম্পূর্ণ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হবে না । ভাবতেই অবাক লাগে এরা জিয়াউর রহমানের মত প্রচন্ড ভাল লোকের স্ত্রী সন্তান ।
তাছাড়া বিএনপি মনে করতে পারে , আমরা যদি জামাতকে ছেড়ে দিই , তাহলে আওয়ামীলীগ জামাতকে দলে ভিড়াবে । কিন্তু বিএনপি কি ভেবে দেখেছে , জামাত ছাড়াই আওয়ামীলীগ ভয়ংকর ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে । আসলে বিএনপি জামাতের উগ্রতাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ভূলে গিয়েছিল যে, ভরসা করতে হয় একমাত্র আল্লাহর উপর, কোন মানুষের উপর নয়, আর এই শিরক করার জন্য খালেদা, তারেকের বিএনপি ধ্বংস হচ্ছে ।
যাই হউক উপরোল্লিখিত নিয়মে আরো অনেক রাজনৈতিক দল তৈরি করা উচিত , যারা ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্ব গড়ার জন্য আজীবন পূর্ণ গনতান্ত্রিক রাজনীতি করবে এবং পরকাল ভিত্তিক মধ্যপন্থী রাজনীতি করবে । ইনশাআল্লাহ এই বছরই আমি বর্ণিত নিয়মে রাজনীতি শুরু করব , আর এজন্য আমি সবার নিকট দোয়াপ্রার্থী ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪০
ঢাকার লোক বলেছেন: ভালো, অনেক কিছু শিখেছেন !
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪০
রাফা বলেছেন: যুক্তি দিয়ে ভালোই লিখেছিলেন কিন্তু জিয়াউর রহমানের কথা বলতে গিয়ে সব কিছু ভেস্তে চলে গেলো।জিয়ার সুকর্মের চাইতে অপকর্ম এত বেশি যে তা লিখতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে।যে নাকি বিসমিল্লায় ভুল পথে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় সে কি করে কোন যুক্তিতে ভালো মানুষ?
ধন্যবাদ, ডঃ আকন্দ।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
লিলিপুটিয়ানরাও আজকাল বড় বুদ্ধিদীপ্ত পোষ্ট লিখছেন
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১০
রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচন থেকে আ শিখেছি তা বলা যাবে না।
বললে চাকরি থাকবে না।
৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫১
পলাশবাবা বলেছেন: ডাক্তার সাহেব, চাটলে পুরাপুরি চাটেন। কারন আপনি হাল্কা চাটলেও আপনি চাটা নামে পরিচিত হবেন। আর পুরাপুরি চাটলেও আপনি চাটা নামে পরিচিত হবেন।পুরাপুরি চাটলে সুবিধা হল, পুরুষ্কৃত হতে পারেন।
জিয়া সম্পর্কে ওনারা কি লেখা দেখতে চায় তা এখনো আপনি বুঝে উঠতে পারেননি। রাফা র কাছ থেকে কিছু নির্দেশনা নেন ।
৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এখানেও দেখি ব্লগ মুফতি হাজির! আপনাদের মতো লোকেরাই দুনিয়তে ফেতনা সৃষ্টি করছে। যত্তসব ফাউল লোক।
৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৮
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো ।শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ইনশাআল্লাহ এই বছরই আমি বর্ণিত নিয়মে রাজনীতি শুরু করব ,
আর এজন্য আমি সবার নিকট দোয়াপ্রার্থী ।
........................................................................................
রাজনীতির নোংরা খেলা শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয়, আরও
অনেক মেশে আছে, জেনে শুনে আপনি এই রাজনীতি শুরু করবেন ?