নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের মন্ত্রীসভা ভাল করেই জানে কাদিয়ানীরা অমুসলিম , তারপরও সরকার তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করছে না কেন ? ইউরোপ আমেরিকার রাষ্ট্রনেতারাও জানে কাদিয়ানীরা অমুসলিম , এরপরও তারা কাদিয়ানীদের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে , কিন্তু কেন ?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে গভীর গবেষণার প্রয়োজন নেই , শুধুমাত্র মুসলমানদের নিজেদের চরিত্রের দিকে তাকালেই উত্তর পাওয়া যাবে । আর সেটা হলো - উগ্রবাদীদের চাপে রাখার জন্য সরকার এবং বিদেশীরা কাদিয়ানীদেের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও যাবে ।
মানুষ এখন খুবই দূর্বল । এক ছটাক ধর্মীয় চাপ নেওয়ার ক্ষমতা রাখে না , অথচ তাকে ৫০ মণ ধর্মীয় চাপ বা লক্ষ কোটি মণ চাপ দিয়ে ভিতরগতভাবে মুশরিক বানানো হচ্ছে , আর এজন্যই সমাজ থেকে সুদ ঘুষ , মাদক সন্ত্রাসের মত বিভিন্ন অন্যায় দূর হচ্ছে না ।
ভন্ডরা ছাড়াও অনেক পীরসাব , মোল্লাসাব এবং উগ্রবাদীরা বক্তৃতা করে বেড়াচ্ছে - দাড়ি টুপি না রাখলে , টিভি দেখলে নিশ্চিত জাহান্নাম , আরে মোল্লাসাহেবরা নামাজ রোজার খবর নেই অথবা নামাজ রোজা করলেও কোন ইখলাস নেই , সেখানে তোমরা সুন্নত মুস্তাহাব নিয়ে পড়ে আছ , ধিক তোমাদের এবং শত ধিক তোমাদের ।
মহান আল্লাহ বলেন “আল্লাহ কখনও কারও সহ্যের উপর দায়িত্ব অর্পন করেন না” ( ১ ) । হাদিসেও বর্তমানের কথা বলা হয়েছে , যার সারমর্ম হলো - কেউ যদি ইসলামের ৫ স্তম্ভের বাইরে কিছু আমল ছেড়ে দেয় , তবুও সে পরকাল মুক্তি পাবে ( ২ ) ।
প্রিয় মধ্যপন্থী মুসলিম ভাইয়েরা উপরোক্ত জালেম পীর , মোল্লা এবং উগ্রবাদীদের জন্যই আজও কাদিয়ানীরা বুক ফুলিয়ে মিথ্যা প্রচার করে বেড়াচ্ছে । সব দেশের সরকার দেখেও না দেখার ভান করছে । বস্তুতপক্ষে এর সম্পূর্ণ দায়ভার উগ্রবাদীদের এবং জালেম পীর ও মোল্লাদের , যারা মানুষের উপর ধর্মকে জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে , যদিও বর্তমানে মানুষের সহ্যশক্তি একেবারেই কম । তাছাড়া অনেকটা দায়ভার আমাদের মধ্যপন্থী মুসলিমদেরও , কারন আমরা ভন্ড এবং ধর্মীয় জালেমদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলিনি ।
ভারত , চীন , মিয়ানমার , ফিলিস্তিনসহ সব মুসলিমদের অত্যাচারিত হওয়ার কারন একই , মানে উগ্রবাদী এবং ধর্মীয় জালেমদের বিরুদ্ধে এখনই রুখে না দাড়ালে অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়তে থাকবে , যার প্রমাণ চীন এবং মিয়ানমার ।
অতএব আমার পূর্ণ আনুগত্য কর এবং প্রতিরোধ গড়ে তোল মিথ্যার বিরুদ্ধে । আমি চাই “আমরা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করব এবং সৎকাজের আদেশ দিব ও অসৎকাজের নিষেধ করব” ( ৩ ) । আর একমাত্র এই পথেই পৃথিবী শান্তিময় হবে ইনশাআল্লাহ ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
_______________________________
তথ্যসূত্র ঃ-
---------------
★ ( ১ ) - আল কুরআন , সুরা আল বাকারা , আয়াত ২৮৬ । ( ২ : ২৮৬ ) ।
★ ( ২ ) - মিশকাত , হাদিস নং - ১৬৯ ।
★ ( ৩ ) - আল কুরআন , সুরা আল ইমরান , আয়াত ১০৪ । ( ৩ : ১০৪ ) ।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪২
ইনাম আহমদ বলেছেন: আপনি কোন টাইপের ডাক্তার ভাইজান? মাদ্রাসাতে ডাক্তারীও পড়াচ্ছে আজকাল?
কাদিয়ানীরা এখন পর্যন্ত কারও ওপরে বোমা-হামলা করেছে বলে শোনা যায়নি। বরং আপনার মুসলিম উম্মাহ জান্নাতের হুরের কাছে বহুবার গেছে আত্মঘাতী বোমাহামলা করে। দা-চাপাতি আপনাদের ঈমানের অংশ, কিছু হলেই দলবদ্ধভাবে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা, আবার ইসলাম শান্তির ধর্ম। চাপার জোরে কতদিন ফসিলের মতো টিকে থাকবেন?
আমি শান্তিপূর্ণ যেকোনো সমাবেশ সমর্থন করি। আর আপনাদের মৌলবাদী হেফাজতি দাড়িওয়ালা ছাগলদের মারতে মারতে লুঙ্গি খুলে পাকিস্তানে পাঠানো হলে দেশটা বাঁচে।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কাদিয়ানীদের চেয়ে মৌদুদিবাদিরা বেশী বিপদজনক।
কাদিয়ানীরা নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিজেদের ভেতরই রাখে। অন্যকে করতে বলে না।
মৌদুদিবাদিরা বলপ্রয়োগ করে,বা লোভ দেখিয়ে বা খুনখারাপি করে নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস অন্যদের উপর চাপিয়ে দেয়।
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
বাংলার মেলা বলেছেন: অমুসলিম কোন ঘোষণা করার মত বিষয় নয় - ব্যক্তি বা চারিত্রিক আকিদাই বলে দেবে কে মুসলিম আর কে তা নয়। কাদিয়ানিরা খতমে নবুয়াত অস্বীকার করে বলে শোনা যায়, কই তারা নিজেরা তা বলেনা। তাদের ধারণা অনুযায়ী, রাসুল (স) শেষ নবী আর গোলাম আহমদ হল ইমাম মাহদী। তাদেরকে যদি অমুসলিম বলেই মনে হয়, তবে তাদের থেকে দূরে থাকলেই হল। তারা যাতে ফেতনা সৃষ্টির সুযোগ না পায়, সে ব্যবস্থা করলেই তো হয় - তাদের বাড়িঘর ভাঙ্গার কি দরকার?
৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭
গরল বলেছেন: নির্বাচিত পাতায় স্থান পাওয়ার মত একটি পোষ্ট
৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কাদিয়ানী সম্প্রদায় শরীয়তের শাখাগত বিষয়ে মতভেদকারী কোনো ‘দল’ নয়। এরা ইহুদি, খৃস্টান ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতোই ইসলাম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি ধর্মমতের অনুসারী। কাদিয়ানী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী (১৮৩৫-১৯০৮) ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাস পুরের কাদিয়ান নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি স্ববিরোধী কিছু দাবীর মাধ্যমে নিজেকে একটি মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসে তার মত আরো অনেকে এভাবে বহু মতবাদ এনেছেন। শিয়া, বাহাই, ইসমাইলীয়া সম্প্রদায় সহ বিশটির অধিক মতবাদ এখনও দুনিয়াতে বিদ্যমান রয়েছে। তবে তারা কেউ কাদিয়ানীদের মত এতটুকু সমস্যা নিয়ে হাজির হয়নি। যার কারণে প্রতিটি সচেতন মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে তারা গ্রহণযোগ্য হয়নি বরং তাদের অবস্থান মুসলিম সমাজে নিত্য নতুন সমস্যা তৈরি করে চলছে। তবে পার্থক্য এই যে, অন্য সব ধর্ম নিজস্ব নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে, কিন্তু কাদিয়ানী সম্প্রদায় ব্যবহার করে ইসলামের নাম ও পরিচয়। একারণে এই ধর্মমত একদিকে যেমন সম্পূর্ণ পরাশ্রয়ী অন্যদিকে তা সরলপ্রাণ মুসলমানদের জন্য চরম বিভ্রান্তিকর।
৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৭
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: ইদানিং ব্লগে প্রায়ই উস্কানিমূলক অার বিতর্কিত ধর্মীয় পোস্ট লক্ষ্য করছি। সেগুলো অাবার পাঠকপ্রিয়তাও পাচ্ছে অদ্ভূতভাবে! বুঝিনা ব্লগে দর্শনার্থী সংখ্যা বেড়ে গেল নাকি জ্বীন-পরীর সংখ্যা!!!!
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনি তো পবিত্র কুরআন শরীফ এঁর প্রমাণ তুলে ধরেছেনই, তবুও ইজতেমায় অংশ নেয়া মানুষ গুলো অমুসলিম আমি মানছি না! কারণ, যারা ইজতেমা'র ময়দানে হাজির হয়ে সকলের সঙ্গে নিজের পাপ মুছনের আবেদন করেন আল্লাহর দরবারে, তাদেরকে অমুসলিম আমি বলবো না কখনোই। কারণ, তাবলীগ জমায়েত ইজতেমা'র মানুষদের চালচলনই প্রকৃত মানুষের- প্রকৃত মুসলিমের পথ মনে করি। কারণ তারা কাউকে ধর্মের জন্য জোর প্রযোগ করেননা, অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতও করেন না কখনো। তারা ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন, নিজেদের চালচলনে প্রমাণ দিতে থাকেন ইসলাম কতো শান্তির ধর্ম। আমি কাদিয়ানী টাদিয়ানী বুঝি না।
তাহলে আমি তাদেরকে অমুসলিম বলবো কোন সাহসে!! (আমি ইজতেমা' শব্দের সাথে তাবলীগ জমায়েতের সম্পর্ক বিবেচনায় বলেছি)।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই লেখা ইউরোপিয়ানরা দেখলে, বুঝলে, আপনাকে জেলে দেবে; কিন্তু কোন কাদিয়ানীকে ওরা প্রশ্ন করবে না, ওর ধর্ম কি!