নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার কেজুউরা গ্রামে শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় । আর এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় পাষণ্ড বাবা এবং চাচারা ।
ঠান্ডা মাথায় এমন পরিকল্পনা করে হত্যা , জাহেলিয়াতকেও হার মানায় । প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ সন্তানকে হত্যা করতে হবে , এমন নারকীয় ঘটনা শোনাও অন্যায় । কারণ কোন জাতির ক্রান্তিলগ্ন বা ধ্বংসের পূর্বলক্ষ্মণ এটি , অর্থাৎ কোন জাতিতে এমন ঘটনা তখনই ঘটে , যখন সে জাতির ধ্বংসের সময় আসে অথবা সে জাতির বিচারব্যবস্থা একেবারেই ভেঙ্গে পড়ে ।
অনেকদিন যাবতই বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে । প্রত্যেক সরকারের আমলেই , সরকার যেভাবে বিচার চেয়েছে , আদালত সেভাবেই বিচার করেছে । সাধারণ মানুষ বিচার চাইতে গিয়ে ২০ - ৩০ বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরেছে , তবুও অলস বিচারব্যবস্থা মানুষকে এভাবে ঘোরাচ্ছে । কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো শোনা যায় বিচারব্যবস্থায় ঘুষ লেনদেন হয় , আর এটা হলে বিচারব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য এবং এটা ঘটছে বিচারকদের অলসতার কারণে । অতঃপর এমন বিচারব্যবস্থা একটা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে হাজির করেছে । তাছাড়া বিচারব্যবস্থা নিয়ে আরো অধিক সত্য কথা বলতে গেলে , আদালত অবমাননার মামলা খেতে হবে।
সরকারও বিচার বিভাগকে স্বাধীন এবং কার্যকর করছে না । কারন তা করলে সরকারকেও দুর্নীতি ছাড়তে হবে এবং সবক্ষেত্রে আইন মানতে হবে । আর এটা কোনো সরকারই চায় না , বরং সবাই চায় চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে এবং এটা সম্ভব হয় বিচার বিভাগকে ফাঁকি দেওয়ার মাধ্যমে । সরকারের এমন ক্ষমতার লোভই বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে । যার কারণে এরকম তুহিন হত্যাকান্ড ঘটছে ।
বাংলাদেশে মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা একেবারেই কম , তবুও সরকার এটা দেখেও না দেখার ভান করছে । কারণ সরকার যদি মানুষকে আইনের শাসন নিশ্চিত করে , তবে সে চিরদিন দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না । কেননা বিচার বিভাগ তাকেও থাকতে দিবে না । যেমন থাকতে দেয়নি পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফকে । পাকিস্তানের বিচার বিভাগ মোটামুটি যথেষ্ট শক্তিশালী । যার কারনে একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকেও সরে যেতে হয়েছে এবং চিরদিনের জন্য রাজনীতি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন , আর এখন জেলের ঘানি টানছেন । যদিও এতটা করা ইমরান খানের উচিত হয়নি ।
বাংলাদেশে , শুধুমাত্র ভূমি ব্যাবস্থাপনা ডিজিট্যালাইজ করতে পারলেই প্রায় ৮০ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব । এজন্য সরকারকে অবশ্যই ভূমি ব্যাবস্থাপনায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে । কারণ প্রায় ৮০ শতাংশ মামলাই ভূমিসংক্রান্ত অথবা ভূমির জন্য সৃষ্ট ফৌজদারি মামলা । তুহিন হত্যার অন্যতম কারণও জমিসংক্রান্ত ।
বাংলাদেশের প্রায় সব মামলাই ভূমিকে ঘিরে । অতএব বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন চাইলে , অবশ্যই সবার আগে ভূমি ব্যাবস্থাপনা সর্বাধুনিক করতে হবে এবং ভূমি ব্যাবস্থাপনা থেকে সকল দুর্নীতি সরাতে হবে । তা না হলে এমন তুহিন হত্যাকান্ড নিয়মিত ঘটতে থাকবে ।
দেশের বাকি শান্তি এবং উন্নত বিচারব্যবস্থা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার উপর , রাজনৈতিক দলগুলো দুর্নীতির মাধ্যমে চিরদিন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন বাদ দিলে , বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন হতে পারবে । তখন সরকার বড় কোনো দুর্নীতি করলে বা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসলেও , বিচার বিভাগ সে সরকারকে সরিয়ে দিতে পারবে । আর এভাবেই তুহিন হত্যাকান্ড বা আবরার হত্যাকান্ড ঠেকানো যাবে ইনশাআল্লাহ ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: মামলা ব্যাপারটাই আমি ঘৃণা করি।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আল্লাহ কি এই বাচ্চার মৃত্যু এভাবেই নির্ধারণ করেছিলেন?