নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ধর্ম নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ সভায় ৪ জন শাহাদাত বরণের পর , দেশের রাজনীতিতে একটা হাওয়া প্রবল বেগে বইতে শুরু করেছে , আর হাওয়াটা হলো - সমস্ত বিরোধী দলের সরকারের বিরুদ্ধে একত্র হওয়া । তাছাড়া বোরহানউদ্দিনের প্রতিবাদ সভায় সকল বাংলাদেশী মুসলমানের অংশগ্রহণ বা সমর্থন জানানো ফরজ ছিলো ।
এটা ঠিক যে , অনেকেই এই সভা হতে দিতে চায় নাই বা অনেকে প্রয়োজনীয় মনে করে নাই । আসলে বর্তমান সময়ে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক , কারণ এখনো সারা বিশ্বের প্রায় সব দেশের মুসলমানরাই স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করছে , আর এজন্যই এখনো প্রতিবাদ করা ফরজে কেফায়া বহাল আছে । যদিও বা ২ - ১ টি দেশে মুসলমানরা ধর্ম পালন করতে পারছে না , তার জন্য দায়ী মুসলমানরাই ( জঙ্গিবাদী মুসলমানরা ) ।
যাই হউক , এখন আমরা বিএনপির দায়িত্ব নিয়ে কথা বলবো -
ভোলার ঘটনার পর ইসলামি দলগুলো ঐক্যের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে । যদিও বা কিছুদিন পূর্বেও ঐক্যের প্রয়োজনীতা অনুভব করেনি , ইসলামি দলগুলো । তাছাড়া সরকার অনেকদিন যাবৎ বিরোধী মত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না , আর এ সুযোগে ইসলামি দল ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সরকার বিরোধী ঐক্যের ব্যাপারে মনযোগী হয়েছে ।
এটা নিশ্চিত করে বলা যায় , সরকারের বাইরে সকল রাজনৈতিক দলগুলো একত্রে আন্দোলন করলে , সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে এবং বিরোধী পক্ষ ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি । যদি বিরোধী পক্ষ ক্ষমতায় আসে , তাহলে বিএনপিকে অনেকগুলো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশ ও জাতির স্বার্থে ।
বিএনপির প্রধান দায়িত্ব হবে ইসলামি দলগুলোর কঠিন শর্তগুলি এভয়েড করা । আর এটা এখনই আলোচনা করে ঠিক করা উচিত । কোনোভাবেই বাংলাদেশে ইসলামি আইন চালু করা যাবে না । কারণ মানুষ এখন খুবই দুর্বল ।
বিএনপির দ্বিতীয় দায়িত্ব হবে , বাম ঘরনার দলগুলোর বেশি চাহিদাও এভয়েড করা । কারণ বাংলাদেশ নাস্তিকতার দেশ না । এটা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দেশ , এই আলোচনাও এখন করে রাখা উচিত ।
তৃতীয় দায়িত্ব হচ্ছে - জামাত ইসলামিকে কোনো ধরনের মন্ত্রীত্ব বা বড় দায়িত্ব না দেওয়া এবং যারাই রাষ্ট্রে ধর্ম প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করবে , তাদেরকে কঠোর হস্তে ধমন করা ।
চতুর্থ দায়িত্ব হচ্ছে - জোট নেতাদের মূল্যায়ন করা , বিশেষ করে ঐক্যফ্রন্টকে মূল্যায়ন করা এবং এদের কিছু দাবি দাওয়া বিশেষভাবে বিবেচনা করা ।
পঞ্চম ও শেষ দায়িত্ব হচ্ছে - গণহারে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা বন্ধ করা । কারণ এইসব মাদ্রাসা ব্যাবসার জন প্রতিষ্ঠা হয় এবং শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রতিষ্ঠা হয় না । তাছাড়া এইসব মাদ্রাসা থেকে অসংখ্য বেকার বের হয়ে সারা দেশকে বেকার কারখানা তৈরি করছে , এবং ভবিষ্যতে গৃহযুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি করছে । মাদ্রাসাগুলি সহজ সরল মানুষদেরকে ভুলিয়ে বালিয়ে ব্যাবসা কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং বক্তারা বক্তৃতা ব্যাবসা চালাচ্ছে , কেউ কিছু বলতে গেলে কুকুরের মতো ঘেউঘেউ করছে অথবা গাধার মতো চেঁচামেচি করছে । প্রকৃতপক্ষে এরা মুনাফিক , কারণ এরা উপরে উপরে ধার্মিক , কিন্তু ভিতরে ভিতরে ধর্মব্যাবসায়ী । এরা ভয় দেখিয়ে মানুষকে ধার্মিক বানায় , সুন্নত মুস্তাহাবকে ফরজের সমান গুরুত্ব দিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামকে জুলুমের ধর্ম প্রমাণ করে । আসলে এরা পূর্ণ মুনাফিক এবং চিরজাহান্নামী ।
অতএব , বিএনপিকে সর্বশেষ দায়িত্বটি নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং এব্যাপারে এখন থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে হবে , তা না হলে এদেশেও আফগানিস্তান , ইরাক, সিরিয়ার মতো গৃহযুদ্ধ হবে । একটি থানায় ৫ - ৭ টি কওমী মাদ্রাসা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিতে হবে । অন্যদিকে আলিয়া মাদ্রাসাগুলি তেমন ক্ষতিকর না । এজন্য ৫ - ৭ টি কওমী মাদ্রাসাই একটি থানার জন্য যথেষ্ট । আলেম হওয়া ফরজে কেফায়া , অতএব গণহারে আলেম হয়ে একটা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার অধিকার মোল্লাদের নেই , তাই ধর্মব্যাবসায়ী মোল্লাতন্ত্রকে এখনই আটকাতে হবে এবং হবেই হবে ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫০
মা.হাসান বলেছেন: পোস্টে প্লাস।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৫
মুফীদ হাসান বলেছেন: ডাক্তার নিজেই যখন রুগী, তখন তার পোস্ট তো এমনই হওয়ার কথা।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: কঠিন এই শহরের আস্তরণ, মানুষের মনে এবং ঘটনাবলী- এর কোথাও আঁচড় কামড়ের দাগ বসে না । পৃথিবীর যাবতীয় অপমান- বাস্তবিক আমি ভুলতে চাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫০
মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন জ্ঞান গর্ভ আলোচনা। তৌহিদি মডারেটর সার কে অনুরোধ করিবো পোস্ট টি স্টিকি করিয়া ঈমানি দায়িত্ব পুরা করার।
পোস্ট দাতাকে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।