নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকাশ্য শিরক

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৯

বলতে গেলে সমস্ত আলেমরাই এখন শিরক শেখাচ্ছে । কারণ ১৪০০ বছরে মানুষ দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে , কিন্তু ধর্ম এখন আগের চাইতে বেশি কঠোর হয়েছে । তাছাড়া মানুষ এখন আল্লাহর ভয়ে ইবাদত করে না । বরং ভয় করে পীর সাহেবকে , ভয় করে বক্তাকে এবং ভয় করে সাধারণ লোককে । অর্থাৎ নামাজ রোজা , দাড়ি টুপি রাখা , টাখনুর উপর কাপড় পড়া ইত্যাদি আমলগুলো লোকের ভয়ে বা বক্তার ভয়ে বা পীরের ভয়ে করছে । অন্যদিকে টিভি দেখা , চুরি করা , নারীর দিকে তাকানো ইত্যাদি কাজ থেকে বিরতও থাকছে পীরের ভয়ে বা আলেমের ভয়ে বা সাধারণ লোকের ভয়ে । অথচ আল্লাহর ইবাদতে কোন অংশী নেই ।



মানুষ এখন এর থেকে মুক্তি চায় , আল্লাহর ভয়ে বা আল্লাহকে ভালবেসে ইবাদত করতে চায় , আর এজন্য দ্বীনকে সহজভাবে পেতে চায় । অতঃপর ইনশাআল্লাহ , দ্বীনকে সহজভাবে উপস্থাপন করবেন মহান আল্লাহর সংস্কারক ।



প্রিয় বিশ্বাসীগন ইবাদত করতে হবে আল্লাহর ভয়ে এবং আল্লাহকে ভালবেসে । গোলাম মালিককে ভালবেসে গোলামী করবে , এটাই তো স্বাভাবিক এবং এটাই সর্বোচ্চ ঈমান । তাছাড়া আল্লাহর ইবাদতে কোন অংশী থাকতে পারে না । যদিও প্রথমদিকে কিছুদিন লোকের ভয়ে ইবাদত করা জায়েজ । আর এটা শিখার জন্য । কিন্তু মুসলমানগন এখন সারা জীবন লোকের ভয়ে , আলেমের ভয়ে এবং পীরের ভয়ে ইবাদত করছে , যা প্রকাশ্য শিরক এবং এ শিরক আমলকারীও করছে এবং বক্তা , আলেম বা পীর সাহেবও করছেন ।



প্রিয় বন্ধুগন মানুষকে ইবাদতে উৎসাহ দিতে হবে এবং ইবাদতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে , তবেই ইবাদতে মজা পেয়ে মানুষ সর্বদা ইবাদতে লিপ্ত থাকবে । আর এজন্য সুন্নত মুস্তাহাব দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না । কুয়াকাটা , আব্বাসী , চরমোনাই কথায় কথায় সুন্নত মুস্তাহাব নিয়ে ভয় দেখায় এবং সগীরা গুনাহ নিয়ে চরম ভয় দেখায় , যা বর্তমানে প্রকাশ্য শিরক ।



বর্তমানে প্রায় সব আলেমরাই এখন ইউটিউব এবং ফেসবুকে তাদের বক্তৃতা শেয়ার করছেন এবং নিজেরাও দেখছেন । আর ইউটিউবে ভালো কিছু দেখতে গেলে কিছু গান টানও দেখে সবাই । আর এটাই স্বাভাবিক । অতএব বক্তারাও কিছু দেখেন , তবে কেনো তারা এতো ভয় দেখান । তাছাড়া দিন যত যাবে প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য হবে । আর এজন্যই ফতোয়া দিতে হবে সময়জ্ঞান দিয়ে । কেননা ফতোয়া দেওয়ার জন্য সময়জ্ঞান থাকা ওয়াজিব । কিন্তু বলতে গেলে এখন সমস্ত মুফতিই সময়জ্ঞানহীন ।



আর এজন্যই এখন প্রায় সব মুফতিকেই এড়িয়ে চলতে হবে , কারণ এড়িয়ে না চললে মানুষ প্রকাশ্য শিরকে লিপ্ত হবে এবং চিরজাহান্নামী হবে ।



( ডাঃ আকন্দ ) ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২১

পদ্মপুকুর বলেছেন: চতুর্থ প্যারাতে আপনি নিজেই ফতোয়া দিয়ে ফেললেন বলে মনে হচ্ছে!!! ধর্মীয় বিষয়ে পর্যাপ্ত এবং স্পেসিফিক জ্ঞান না থাকলে কথা না বলাই উত্তম।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আমাদের শিরক করা থেকে বিরত রাখুক।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

কাবিল বলেছেন: কিছু মানুষ আল্লাহর চাইতে সি সি ক্যামেরাকে বেশি ভয় পায়।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক কী বলতে চাইছেন বুঝলাম না। ইসলামে নিজে জানলে আরেকজন'কে শিক্ষা দানের ব্যাপারে বলা হয়েছে।
মুফতিদের এড়িয়ে যেতে চাইছেন কেন?
এদের মধ্যে কয়েকজন হয়ত নফসের ধোকায় পরে ভুল কিছু বলেছেন তাই বলে আপনি গন হারে সব মুফতিদের কে এড়িয়ে যেতে বলছেন?
এত বড় ফতোয়া দেয়ার মতো জ্ঞান কী আপনার আছে?

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২০

নীল আকাশ বলেছেন: বর্তমানে প্রায় সব আলেমরাই এখন ইউটিউব এবং ফেসবুকে তাদের বক্তৃতা শেয়ার করছেন এবং নিজেরাও দেখছেন । আর ইউটিউবে ভালো কিছু দেখতে গেলে কিছু গান টানও দেখে সবাই । আর এটাই স্বাভাবিক । অতএব বক্তারাও কিছু দেখেন , তবে কেনো তারা এতো ভয় দেখান । তাছাড়া দিন যত যাবে প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য হবে । আর এজন্যই ফতোয়া দিতে হবে সময়জ্ঞান দিয়ে । কেননা ফতোয়া দেওয়ার জন্য সময়জ্ঞান থাকা ওয়াজিব । কিন্তু বলতে গেলে এখন সমস্ত মুফতিই সময়জ্ঞানহীন ।
আর এজন্যই এখন প্রায় সব মুফতিকেই এড়িয়ে চলতে হবে , কারণ এড়িয়ে না চললে মানুষ প্রকাশ্য শিরকে লিপ্ত হবে এবং চিরজাহান্নামী হবে ।

এই ফতোয়া গুলির সহী সনদ কিংবা সূত্র উল্লেখ করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.