নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিরক থেকে বাঁচতে হবে

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৩

প্রিয় মুসলিম তুমি কি সদা সর্বদাই শিরক করে যাচ্ছ , যদিও তোমার অসচেতন মন মনে করছে যে , তুমি তোমার মহান প্রভুর ইবাদত করে যাচ্ছ । কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে তুমি সর্বদা শিরকে লিপ্ত রয়েছো । প্রিয় মুসলিম তোমার উচিত ছিলো - তুমি আল্লাহর ভয়ে বা আল্লাহকে ভালবেসে টিভি সিনেমা দেখা থেকে বিরত থাকবে । কিন্তু সহজলভ্য এই টিভি সিনেমার যুগে তুমি মানুষের ভয়ে , আলেমের ভয়ে , পীরের ভয়ে , দাড়ি টুপির ভয়ে সর্বদা এবং সারাজীবন টিভি সিনেমা দেখা থেকে বিরত থাকছো । যা প্রকাশ্য শিরক ।



পূর্বকালের বুজুর্গগন হঠাৎ হঠাৎ কোন আমল লোকের ভয়ে করাকে জায়েজ বলেছেন । কিন্তু সারাজীবন তুমি লোকের ভয়ে , সমালোচনার ভয়ে আমল করবে , তা কখনোই মহান আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না । আর এটা অবশ্যই প্রকাশ্য শিরক । প্রিয় মুসলিম , আপনারা সবাই ( সমস্ত আলেম , সমস্ত পীরসাহেব এবং প্রায় সমস্ত মুসলিম ) লোকের ভয়ে সারাজীবন ইবাদত করে যাচ্ছেন । এতে করে ঈমান আপনাদের হৃদয় অব্দি পৌঁছাতে পারছে না , বরং ঈমান আপনাদের চামড়ার উপরেই থেকে যাচ্ছে । আপনাদের ঈমান প্রাণহীন কাঠের মতো , যার কোন মূল্যই মহান আল্লাহর নিকট নেই ।



আপনাদের ঈমানকে জীবন্ত করতে চাইলে অবশ্যই শিরক থেকে বাঁচতে হবে । লোকের ভয়ে বা দাড়ি টুপির ভয়ে নয় , বরং আল্লাহর ভয়ে টিভি সিনেমা দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে । কিন্তু বর্তমান জগতে যা অসম্ভব । কারণ টিভি নেট এখন একেবারেই সহজলভ্য । এজন্যই কাহারো ঘরে টিভি থাকলে , কম্পিউটার থাকলে , তার সমালোচনা করা যাবে না । বরং এটা তাকে শিরক থেকে বাঁচাবে । প্রিয় মুসলিম তুমিই বলো হারাম বড়ো না শিরক বড়ো । টিভি দেখা একসময় পরিপূর্ণভাবে হারাম ছিলো । কিন্তু বর্তমানে ভালো কিছু দেখাকে সবাই জায়েজ করে নিয়েছে । অতঃপর আমি বলবো পর্নো ব্যাতীত , অতিরিক্ত ব্যাতীত , মধ্যম সময় , রিলাক্সের জন্য এবং সর্বোপরি শিরক থেকে বাঁচার জন্য টিভি নেটে - নাটক , সিনেমা , গান দেখা মুবাহ , তবে অতিরিক্ত সময় দেখা মাকরূহ । এটা আমার ইজতেহাদের মূলনীতি অনুসারে ( মূলনীতিটি অন্য স্ট্যাটাসে বর্ণিত আছে ) ফতোয়া । আর এটা সবাইকে শিরক থেকে বাঁচাবে এবং এটা এযুগের জন্য তাজদীদ বা সংস্কার । অতঃপর এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ দ্বারা সংস্কার হবে ইনশাআল্লাহ ।



প্রিয় মুসলিম তুমি হারাম থেকে বাঁচতে গিয়ে শিরক করে ফেলছো নাতো । যদি করে ফেলো , তাহলে এখনই তা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করো । তা না হলে চিরজাহান্নামী হয়ে যাবে । কিছু হারাম কাজ করলে কোনদিন না কোনদিন জান্নাতে যেতে পারবা , কিন্তু শিরক করলে চিরজাহান্নাম ।



অতএব লোকের ভয়ে আমল করা ছাড়ো , বরং ঘরে টিভি রাখো । কারণ টিভি দেখলে আফসোস থেকে বেঁচে থাকতে পারবা । দেখার চাইতে আফসোস করা বড়ো গুনাহ । তাছাড়া সর্বদা এবং সারাজীবন আফসোস করা প্রকাশ্য শিরক । এখনতো মানুষ পীরের ভয়ে আলেমের ভয়ে লোকের সমালোচনার ভয়ে দাড়ি টুপি রাখছে , টাখনুর উপর প্যান্ট পড়ছে , নারীর দিকে তাকাচ্ছে না । অথচ সব আমল করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য । তাই এসব আমল না করাই উত্তম ।



প্রিয় মুসলিম এখন তো বলতে গেলে প্রায় সমস্ত আলেমরা এবং পীর সাহেবরাই লোক দেখানো ইবাদত করে শিরক করে যাচ্ছেন । সকল মানুষই এখন অত্যন্ন্ত দুর্বল , তাই কঠোর ইসলামকে ছাড়তে হবে , সহজ দ্বীন পালন করতে হবে । যে সমস্ত পীর সাহেবরা এবং আলেমরা দ্বীনকে কঠিন করছে , তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা ওয়াজিব । কারণ এরা তোমাকে প্রাণহীন ঈমান শিখিয়ে চিরজাহান্নামী করবে ।



প্রিয় মুসলিম , আল্লাহর ভয়ে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ পালন করো । বেশি বেশি দান সদকা করো , বেশি বেশি নফল নামাজ এবং রোজা করো , যা তোমার নফ্সকে প্রশান্ত আত্মায় রুপান্তরিত করবে এবং তুমি দুনিয়াতেই বেহেশতের স্বাদ অনুভব করবে । অতঃপর বিনয়ী হও , কারণ বিনয় কিয়ামত পর্যন্ত ফরজ । আমি অনেক পীর সাহেবকে কুকুরের মতো আচরণ করতে দেখেছি এবং এদের মাঝে বিনয় বা কোমলতা দেখা যায়নি বললেই চলে । অতঃপর এরা হেদায়েত থেকে দূরে ছিলো ।



প্রিয় মুসলিম , টিভি নেট দেখা থেকে বিরত থেকে , দাড়ি টুপি রেখে এবং টাখনুর উপরে প্যান্ট পড়ে এবং নারীর দিকে না তাকিয়ে শিরক করার চাইতে বিপরীত করা তোমার জন্য সর্বোত্তম ।



( ডাঃ আকন্দ ) ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: প্রিয় মুসলিম , টিভি নেট দেখা থেকে বিরত থেকে , দাড়ি টুপি রেখে এবং
টাখনুর উপরে প্যান্ট পড়ে এবং নারীর দিকে না তাকিয়ে শিরক করার চাইতে
বিপরীত করা তোমার জন্য সর্বোত্তম ।

........................................................................................................
আপনি কি ধর্ম প্রচারক ? এরকম বক্তব্য দেবার জন্য কি অভিজ্ঞতা আছে ???

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখার পর, নিজের লেখাটা কয়েকবার পড়ে দেখবেন; দেখবেন, যা বলতে চেয়েছেন, উহা পরিস্কার হয়েছে কিনা!

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইদুর ধরার মন্ত্র নিয়ে সাপ ধরতে যাবেন না।
তাতে বেঘোরে প্রাণ যাবে। শিরক কাকে বলে
তাইতো আপনি জানেন না। যা হোক জানুন
শিরক কাকে বলে, এর্বং কত প্রকারঃ
রব ও ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সহিত আর কাউকে শরীক সাব্যস্ত করার নামই শিরক ৷
অধিকাংশ ক্ষেত্রে উলুহিয়াত তথা ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সাথে শরীক করা হয়৷
যেমন আল্লাহর সাথে অন্য কারো নিকট দোয়া করা কিংবা বিভিন্ন প্রকার ইবাদাত
যেমন যবেহ, মান্নাত, ভয়, আশা, মহব্বত ইত্যাদির কোন কিছু নিবেদন করা৷
এটা সবচেয়ে বড় গুনাহ।

শিরক দুই প্রকার যথাঃ
১. শিরকে আকবার (বড় শিরক) ও
২.শিরকে আসগার (ছোট শিরক)
শিরকে আকবরে লিপ্ত ব্যক্তি চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে৷
পক্ষান্তরে শিরকে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তি জাহান্নামে গেলে চিরকাল সেখানে অবস্থান করবেনা৷

আল্লাহর ব্যতীত অন্য কিছুর কসম ও শপথ করা৷ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
‘যে ব্যক্তি গায়রুল্লার কসম করল, সে কুফুরী কিংবা শিরক করল’ ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর
সাথে শরীক করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম৷
অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই৷’

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৬

এম ডি মুসা বলেছেন: শিরক এর পাপকে আল্লাহ্ ক্ষমা করেন না

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের মধ্যে মানবতাবোধ জাগ্রত থাকলে আর কোনো সমস্যা নাই।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২২

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি কি কোনো নির্দিষ্ট মতবাদে বিশ্বাস থেকে এ ধরনের লেখা দিচ্ছেন? কদিন আগেও শিরক নিয়ে ভাসা ভাসা একটা লেখা দিলেন। এখানেও রেফারেন্স ছাড়া এমন কিছু কথাবার্তা বলছেন যেগুলো খুব যৌক্তিক না।

আপনার আগের পোস্টে বলেছিলাম, ধর্মীয় বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে কথা না বলাই ভালো। এখানেও একই কথা বলছি। ভুল বলার চেয়ে চুপ থাকাই উত্তম।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি ব্লগার নামের কলংক। আন্দাজে একটা পর একটা পোস্ট প্রসব করে ব্লগ থেকে পালিয়ে যান।
বিশেষ করে মনগড়া, বানোয়াট আর আজগুবী সব থিওরী ইসলামের নামে দিয়ে।
আমি এর আগের পোস্টে আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম সেটা উত্তরও দেন নি।
১। টিভি দেখা একসময় পরিপূর্ণভাবে হারাম ছিলো। কিন্তু বর্তমানে ভালো কিছু দেখাকে সবাই জায়েজ করে নিয়েছে । অতঃপর আমি বলবো পর্নো ব্যাতীত , অতিরিক্ত ব্যাতীত , মধ্যম সময় , রিলাক্সের জন্য এবং সর্বোপরি শিরক থেকে বাঁচার জন্য টিভি নেটে - নাটক , সিনেমা , গান দেখা মুবাহ , তবে অতিরিক্ত সময় দেখা মাকরূহ ।
২। প্রিয় মুসলিম , টিভি নেট দেখা থেকে বিরত থেকে , দাড়ি টুপি রেখে এবং টাখনুর উপরে প্যান্ট পড়ে এবং নারীর দিকে না তাকিয়ে শিরক করার চাইতে বিপরীত করা তোমার জন্য সর্বোত্তম ।

আপনি এই ফতোয়াগুলি দেয়ার কে? আপনি কী মুফতি? আলেম? মওলানা? আরবী লাইনে পড়াশুনা করেছেন? এই লাইনগুলি কোন ইসলামিক সূত্র ধরে লিখেছে সেটা উল্লেখ করুন। হাদীস কিংবা কুরআনের সূত্র দিন।

আমি একদিন পরে এসে যদি কোন সহী সনদ না দেখি তো এই লেখা আমি মডারেটেরে কাছে রির্পোট করবো।
আপনার এসব কাজে ব্লগের অনকেই চরম বিরক্ত। সব কিছুর এক্যটা সীমা থাকা উচিৎ।
সম্মানিত মডারেটের যে এই বিষয়ে একটা পোস্ট দিয়েছেন সেটাও দেখেন নি আপনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.