নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুরা তওবার ৪৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ পাক বলেন - "তোমার নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে শুধু তাহারাই , যাহারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান আনয়ন করে না এবং যাহাদের হৃদয় সংশয়যুক্ত , আর উহারা তো আপন সংশয়ে দ্বিধাগ্রস্ত" ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , তোমরা যাহাদেরকে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ পীর বা আলেম মানছো , প্রকৃতপক্ষে তাহাদের কোনো ঈমানই নাই । কারণ তাহাদের হৃদয় তীব্র সংশয়যুক্ত এবং তীব্র সংশয়ে দ্বিধাগ্রস্ত । আহমদ শফী , মামনুল হক , চরমোনাই , যাদেরকেই দেখো , আসলে তাদের হৃদয় তীব্র সংশয়ে দ্বিধাগ্রস্ত । কারণ মৌখিক ঈমান দ্বারা হত্যা থেকে বাঁচা যায় , কিন্তু পীর , আলেম বা নেতা হওয়া যায় না । কিভাবে তারা পীর , আলেম বা নেতা হবে , যদিও তারা ভূল ইসলামকে সর্বোচ্চ কঠোরভাবে নিজের এবং সবার উপর চাপিয়ে দেয় । আর তারা একনিষ্ঠ ইবাদতের আদিষ্ট হয়েছিল ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , এভাবে চরম পথভ্রষ্ট হলো - জামাত শিবির , আহলে হাদিস , এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীসহ সকলেই । কারণ তারা ধমকের সাথে সংশয়কে দূর করতে চায় , আসলে তারা তীব্র সংশয়ে দ্বিধাগ্রস্ত । এক কথায় বলতে গেলে তারা সকলে শিরক করছে । কারণ তারা হৃদয় থেকে সামান্য ইবাদতও করে না এবং তারা ধর্মকে মানুষের উপর চাপিয়ে দেয় । আল্লাহ এবং সকল সৃষ্টির লানত তাহাদের উপর ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , এভাবে ঈমান ছাড়া হলো সমস্ত জঙ্গি সংগঠন এবং শয়তানের দোসর তালেবান । মুসলিম ব্রাদারহুডসহ সমগ্র উগ্রবাদী দল । অবশ্যই এদের হৃদয় তীব্র সংশয়ে দ্বিধাগ্রস্ত এবং তারা পরিপূর্ণ শিরকে লিপ্ত ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , রাসুলে পাক সাঃ বলেছেন - "এমন এক সময় আসবে , যখন ইসলামের এক-দশমাংশ আমল করলেই পরকাল মুক্তি" । [ মেশকাত , তিরমিজি ] । বহু পূর্বেই এই সময় এসে গেছে । অতএব ২৪ ঘন্টাকে ১০০ ঘন্টা তৈরি করে সবসময় ইসলাম ইসলাম করা যাবে না । শুইতে বসতে দাঁড়াইতে ইসলাম ইসলাম করা যাবে না । বরং তীব্রভাবে ইসলাম বিরোধী নয় , এমন কাজসমূহ করার সময় ইসলামকে স্মরণ করা যাবে না । কারণ হাদিসে আছে , রাসুলে পাক সাঃ বলেছেন - "দুনিয়ার কাজ করার সময় পরকালকে স্মরণ করবে না এবং পরকালের কাজ করার সময় দুনিয়াকে স্মরণ করবে না । [ ইমাম গাজ্জালী ]
প্রিয় বিশ্ববাসী , আল্লাহর কসম করে বলছি , খিযির আঃ আমাকে গান দেখার অনুমতি দিয়েছেন এবং সূক্ষ্ম চিন্তার উৎসাহ দিয়েছেন । তবে তোমরা খেয়াল করবে , গান দেখার সময় পরিবেশ যেনো অশ্লীল না হয় এবং খারাপ সংঘটিত না হয় । অবশ্যই খিযির আঃ আমাকে লিখতে আদেশ করেছেন , আর এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , মহান ইকবাল বলেছেন যে, যে নামাজ তোমাকে পথ দেখায় না , সে নামাজ কোনো নামাজই নয় । হে নামধারী মুসলিম তোমার পীর , তোমার দলের প্রধান , তোমার প্রিয় আলেমসহ কেউই সামান্যতম নামাজ শিখতে পারে নাই । কারণ নামাজ শিখলে পৃথিবীতে কোনো অশান্তি থাকতো না । যদি পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম নামাজ শিখতে পারে , তবেই পৃথিবীতে শান্তি ।
প্রিয় মুসলিম , নামাজ শিখতে চাও , তাহলে যাহারা আল্লাহর অলী হয়ে গেছেন , তাহাদেরকে হৃদয়ে ধারণ করে নামাজ পড়ো , কারণ আল্লাহর অলীগন আল্লাহর নূর , তাই তাদেরকে হৃদয়ে ধারণ করাতে কোনো পাপ নেই । খুব শীঘ্রই যখন নামাজ শিখে যাবে , তখন তোমরা সব বুঝতে পারবে ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , আমার হৃদয়ে মহান আল্লাহ ওয়ায়েস আল কারনীকে দান করেছেন । কারণ অসীলা ছাড়া আল্লাহকে পাওয়া যায় না । আল্লাহর কসম করে বলছি , আমি অবশ্যই জানি ওয়ায়েস কারনীর চেহারা কেমন , দাড়ি কেমন এবং লম্বা কেমন । যদি তোমাদের চক্ষু থাকতো , তবে তোমরা আমার হৃদয়ে এবং দেহভ্যন্তরের সকল জায়গায় ওয়ায়েস কারনীকে দেখতে পাইতে ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , হিন্দুস্থানের বেলায়েতের অধিকারী খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রঃ , তাকেও ভালবাসতে হবে , কারণ তিনিও আমাকে ঘিরে আছেন ।
প্রিয় মুসলিম , যদি নামাজ শিখতে চাও , তবে হৃদয় মাঝে আমাকে ধারণ করো । অতঃপর যখন নামাজ শিখে যাবে , তখন সবকিছু দেখতে ও জানতে পারবে এবং আল্লাহকে হৃদয় মাঝে দেখতে পারবে ও তাঁর থেকে সব আদেশ নিষেধ শুনতে পারবে । নামাজ শিক্ষা হয়ে গেলে , নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তোমাকে আমার নিকট পাঠাবেন , যেনো তুমি আমার নিকট এসে তোমার জান এবং মাল আমার পায়ের নিকট নিক্ষেপ করতে পারো । অতঃপর আমি তোমাকে ইসলাম বলে দেই এবং কোরান হাদিসের অর্থ বলে দেই । আল্লাহর কসম করে বলছি , নামাজ শিখলে এটা ঘটবেই এবং আমার নিকট না আসা পর্যন্ত তোমার নিস্তার নেই ।
প্রিয় মুসলিম , মহান ইকবাল বলেছেন , বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি রুহুই যথেষ্ট । আল্লাহর কসম করে বলছি , মহান আল্লাহ অবশ্যই আমাকে এমন এক ক্ষমতাধর জ্বলন্ত অঙ্গার দান করেছেন , যার দ্বারা সমস্ত অপবিত্রতা পুড়ে ছাই হবেই ইনশাআল্লাহ । এটা এমন অঙ্গার , যা মুসা আঃ যাত্রাপথে দেখেছিলেন । প্রিয় বিশ্ববাসী , আমার হৃদয়ের নিকটবর্তী হও এবং তোমার অপবিত্রতাকে পুড়ে ছাই করো । তবেই মুক্তি । অতঃপর তুমি পৃথিবীর যতবড় পীরই হও না কেনো , আমার নিকটবর্তী হতেই হবে । ইনশাআল্লাহ পৃথিবীতে শান্তি আসন্ন ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , বড়পীর হযরত আঃ কাদের জিলানী রঃ ইসলামকে জীর্ণ বার্ধক্যে উপনীত পেয়েছিলেন , অতঃপর তিনি ইসলামকে যৌবনে রেখে গিয়েছেন । আল্লাহর কসম করে বলছি , আমি ইসলামকে উন্মাদ পেয়েছি । আর ইসলাম উন্মাদ হওয়ার কারণ , লোক দেখানো কঠোর ইবাদত এবং তীব্র সংশয়যুক্ত ঈমান । এখন সকল মানুষই লোক দেখানো আমল করছে , যা আল্লাহর নিকট সামান্যতমভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না ।
প্রিয় মুসলিম , তুমি ৭ দরজার ভিতরে থেকেও লোকদেখানো ইবাদত করো , আর এজন্যই তুমি হেদায়েত থেকে বঞ্চিত এবং চিরজাহান্নামী । অনেক বড়ো বড়ো পীরসাহেব এবং আলেমরাও এরকম ইবাদত করে থাকে ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , হযরত আলী রাঃ রাসুল সাঃ এর পেছনে নামাজ পড়ে এমন নামাজ শিখেছিলেন যে , নামাজের ভিতর পায়ের তীর খোলার সময়ও সে সামন্যটুকু টের পায়নি , অপরদিকে মুনাফিকরা রাসুল সাঃ এর পেছনে নামাজ পড়ে সামান্যতম ঈমানও অর্জন করতে পারেনি এবং এই মুনাফিকরা সবচাইতে নিকৃষ্টতর জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে । এমনিভাবে আমাকেও সবাই চিনবে না , যার ভাগ্য ভালো শুধু সেই চিনবে ।
পরিশেষে সুরা তওবার আরেকটি আয়াত বর্ণনা করে লেখা শেষ করছি , আয়াতটি হলো - "তাহারা তাহাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর জ্যোতি নির্বাপিত করিতে চাহে । কাফিরগন অপ্রীতিকর মনে করিলেও আল্লাহ তাঁহার জ্যোতির পূর্ণ উদ্ভাসন ব্যাতীত অন্য কিছু চাহেন না" । [ সুরা তওবা , আয়াত - ৩২ ]
( ডাঃ আকন্দ ) ।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: একমাত্র উপায় শুধু নামাজ পরে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেনঃ
প্রিয় মুসলিম , নামাজ শিখতে চাও , তাহলে যাহারা আল্লাহর অলী হয়ে গেছেন , তাহাদেরকে হৃদয়ে ধারণ করে নামাজ পড়ো। কারণ আল্লাহর অলীগন আল্লাহর নূর , তাই তাদেরকে হৃদয়ে ধারণ করাতে কোনো পাপ নেই । খুব শীঘ্রই যখন নামাজ শিখে যাবে , তখন তোমরা সব বুঝতে পারবে ।
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। বাংলা অর্থ : আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই। তার কোন শরিক নাই। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।
এই বিশ্বাস নিয়ে নামাজ পড়ি হৃদয়ে একমাত্র আল্লাহকে ধারণ করে। সেখানে অন্য কাউকে হৃদয়ে ধারণ করার কোন সুযোগ আছে কি? খাটি গরুর দুধের মধ্যে খাটি জমজমের পানি যদি মেশাই!! কেমন হয়?? দুধ কি আর খাটি থাকবে?? আমলের ক্ষেত্রেও আমরা যদি চিন্তা করে দেখতাম যে আমল দেখতে যতোই সুন্দর এবং ভালো হোক না কেন, রাসুল সাঃ এর অনুমোদন না থাকলে সেটা ভেজাল মুক্ত নয়, ভেজাল যুক্ত। আর ভেজাল কোন কিছুই ভালো নয়। আসুন বিশুদ্ধ ঈমান এবং আমলের প্রতি যত্নবান হই। আল্লাহ তওফিক দান করুন।
আমিন।