নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে এখন ইসলামের গরম এবং নরম পদ্ধতি চলমান , কিন্তু মাঝখানের ইসলাম পূর্ণভাবে বিলুপ্ত , যদিও মাঝখানের ইসলামই একমাত্র ইসলাম । তাছাড়া মাঝখানের ইসলাম সংজ্ঞায়িত হবে বর্তমান অনুযায়ী এবং শতাব্দীর মুজাদ্দিদগনও ইসলামকে সংজ্ঞায়িত করবেন বর্তমান অনুযায়ী । মাঝখানের ইসলাম এবং শতাব্দীর মুজাদ্দিদগন কখনোই অতীত অনুযায়ী চলবেন না এবং ভবিষ্যৎ অনুযায়ীও চলবেন না , বরং সম্পূর্ণরুপে বর্তমান অনুযায়ীই চলবেন । আর এটাই চিরসত্য ।
বর্তমানের করোনা নামক মহাসংকট থেকে উত্তরণের পথ একটাই , আর তা হলো - বর্তমানের উপস্থিত মুজাদ্দিদের সংজ্ঞায়িত ইসলামের পূর্ণ আনুগত্য করা । আর বর্তমানের মুজাদ্দিদ যেমনিভাবে নামাজে নিজেকে ভুলে যান , আবার তেমনিভাবে গানও দেখেন , যাতে করে তিনি হৃদয়কে সংগীত দ্বারা চাপমুক্ত করেন এবং পুনরায় হৃদয়কে একনিষ্ঠ ইবাদতের জন্য প্রস্তুত করেন । অন্যদিকে যারা সংগীত দেখেন না ( এটা যেকোনো সংগীত ) , তারা বর্তমানে কোনোভাবেই একনিষ্ঠ ইবাদত করতে পারবেন না । আল্লাহর কসম করে বলছি পারবেন না । তারা মনকে চাপমুক্ত না করার কারণে কখনোই হৃদয়ের ভিতর থেকে ইবাদত করতে পারবেন না । আর এজন্যই খিযির আঃ আমাকে গান দেখার পূর্ণ অনুমতি দিয়েছেন এবং সুক্ষ্ম চিন্তার উৎসাহ দিয়েছেন ।
গরম ইসলামে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে জঙ্গিরা , অথচ এদের ভিতরে সামান্যতম ঈমান নেই , কারণ এরা হিংসুক এবং চরম জেদি । এদের যে সামান্য ঈমান রয়েছে তা মহাশূন্যে অবস্থান করে । আবার যারা উগ্রবাদী রাজনীতি করে তাদের ঈমানও মুখের তালুতে অবস্থান করে । মুসলিম ব্রাদারহুড , জামাত ইসলামের মতো দলগুলো হলো উগ্রবাদী দল । জঙ্গিবাদী এবং উগ্রবাদী , এদের কারো ঈমানই পরকাল পর্যন্ত পৌঁছবে না । এছাড়াও উগ্রবাদীদের তালিকায় আরো আছেন আহলে হাদিসগন ।
চরমোনাই এবং হেফাজত , এদের ইসলামও চামড়ার নিচে । চামড়ার অনেকগুলি স্তর আছে , সবার উপরে থাকে মৃত কোষের স্তর , চরমোনাই এবং হেফাজতদের ইসলাম সেই মৃত কোষের স্তরের নিচে অবস্থান করে । এরা যখন বক্তৃতা দেয় , তখন এদের ঈমান মুখের চামড়ার নিচে অবস্থান করে এবং রক্তের প্রচাপনে ঈমানটা জ্বলজ্বল করে , কিন্তু সকল মানুষের কর্তব্য হলো ঈমানকে হৃদয়ে ধারণ করা । আপনারা এদের বক্তৃতার সময় লক্ষ্য করলে দেখবেন এদের ঈমান মুখের চামড়ার উপরেই জ্বলজ্বল করতেছে , আর তারা যে কান্না করে , তার কারণ হলো অভিনয় । যাতে করে মুরিদরা তাদের বশে থাকে । প্রকৃতপক্ষে এদের ঈমানও পরকাল পর্যন্ত পৌঁছবে না ।
এভাবে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীসহ যারাই কঠোর ইবাদতের আদেশ দেয় , তাদের ইসলাম কন্ঠনালী পর্যস্ত পৌঁছে না বরং আলাজিহ্বা পর্যন্ত থাকে । এদের ঈমানও পরকাল পর্যন্ত পৌঁছবে না ।
নরম ইসলামের মধ্যে তাবলীগ জামাত জাকের পার্টি , ভন্ডপীরসহ সবারই ঈমান শরীরের বাইরে বাতাসে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে , এদের ঈমানও পরকাল পর্যন্ত পৌঁছবে না ।
এখন আমরা মাঝখানের ইসলাম নিয়ে দুই একটি কথা বলবো -
মাঝখানের ইসলাম বুঝার আগে আমাদের বর্তমান পৃথিবীর হালচাল পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে । বর্তমানে টিভি নেট এতটাই সহজলভ্য যে , এটাকে হারাম বললে সমস্ত লোক চরম মানসিক চাপে পড়বে এবং সবাই লোকদেখানো ইবাদত করতে বাধ্য হবে । উপরে বর্ণিত দলের সকল লোক এরকম লোকদেখানো এবং ভাসা ভাসা ইবাদত করে থাকে । তাছাড়া আমার টাইম লাইনে সমস্ত লেখাই মাঝখানের ইসলাম নিয়ে বা মাঝখানের ইসলামকে উদ্দেশ্য করে লেখা এবং আরো শিখতে চাইলে আমার লেখাসমূহ অনুসরণ করতে থাকুন ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , আমি টিভি নেট দেখাকে যেভাবে জায়েজ বলেছি , সেভাবে অবশ্যই জায়েজ , তাছাড়া , আমি অনেক সময় প্রচুর গান দেখি ( যেকোনো গান ) এবং এটাকে আমি মুবাহ মনে করি । যেহেতু খিযির আঃ আমাকে গান দেখার পূর্ণ অনুমতি দিয়েছেন এবং সুক্ষ্ম চিন্তার উৎসাহ দিয়েছেন । আর এটাই বর্তমানের ইসলাম । আমি গানও দেখি , আবার এমন নামাজে রত হই যে , যাতে নিজেকে ভুলে যাই , আর এটা অন্যকেউ পারবে না , কারণ তারা গান দেখে না ।
আমার পরিবার ব্যাতীত অন্যকেউ যদি আমার গান দেখার সমালোচনা বা হাসি ঠাট্টা করে , তা সে যত বড়ো বন্ধু বা আত্মীয় হউক না কেনো , তার উপর আল্লাহ এবং মানুষ ও জ্বীন ব্যাতীত সমস্ত সৃষ্টির লানত । সে ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরন করতে পারবে না । কারণ যে গান দেখার সমালোচনা করবে , আসলে সে গানকে প্রচন্ড ভালবাসে এবং গান না দেখলে একনিষ্ঠ ইবাদত করতে পারে না ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , মাঝখানের ইসলামে আমি একাই অবস্থান করিতেছি , আছে কি কোনো সাহসী যোদ্ধা , যে আমার মাঝখানের ইসলামে সাথী হবেন । এটা ঠিক যে , তাকে আমার পছন্দ হতে হবে , নতুবা দূরে থেকেই আমার পূর্ণ আনুগত্য করুন । যে ভাগ্যবান আমার নিকটবর্তী হবেন তিনি খুব দ্রুত আধ্যাত্মিকতার অসংখ্য স্তর অতিক্রম করবেন এবং অসংখ্য অলৌকিক চাক্ষুষভাবে দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০৬
সুপারডুপার বলেছেন:
আপনি বলেছেন: আর এজন্যই খিযির আঃ আমাকে গান দেখার পূর্ণ অনুমতি দিয়েছেন এবং সুক্ষ্ম চিন্তার উৎসাহ দিয়েছেন ।
- আপনার সাথে কি খিযির আঃ এর দেখা হয়েছে ?
আপনি বলেছেন: যে ভাগ্যবান আমার নিকটবর্তী হবেন তিনি খুব দ্রুত আধ্যাত্মিকতার অসংখ্য স্তর অতিক্রম করবেন এবং অসংখ্য অলৌকিক চাক্ষুষভাবে দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ ।
- আপনি আধ্যাত্মিকতার কত স্তর অতিক্রম করেছেন? কি কি অলৌকিক চাক্ষুষভাবে দেখতে পেয়েছেন?
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২১
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: আমি জানতাম গান শুনতে হয়। কি অদ্ভুত !
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার চিন্তা ভাবনার সাথে একমত না হলেও আমি আপনার চিন্তা ভাবনা কে সম্মান করি।
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:০৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যার অগ্র পশ্চাৎ ভাল না তার মধ্যখান ভাল হয় কেমন করে?
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪৯
রাফা বলেছেন: হোয়াট এ জোক !! মাঝখানের ইসলাম-নতুন টার্ম সংযোজিত করার বিকৃত প্রয়াস। কত কিছুই না দেখলাম। আধুনিক মুসলিম/মডারেট ইসলাম/কট্টরপন্থী ইসলাম/লিবারেল ইসলাম।এখন আবার মাঝখানের ইসলাম।
ইসলাম একটাই ।পৃথিবি সৃষ্টির পরে যখন পৃথিবিতে আদম আঃ পদার্পন করিয়াছেন।অথবা তাকে সৃষ্টিকর্তা এই মহাবিশ্বে প্রেরণ করিয়াছে তখন হইতে এখন পর্যন্ত একটাই ইসলাম ছিলো,আছে এবং থাকবে।এটাই চিরন্তন সত্য।মানুষ তার জ্ঞানের মাধ্যমে যতটুকু উন্মুক্ত করতে সমর্থ হবে ততটুকুই পালন করবে এটাই আমি বিশ্বাস করি।
ভন্ডামী করে মানুষ'কে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকুন।গান কোন দেখার বস্তু নয়।ইহা শ্রবন ও অনুভব করা যায় মাত্র।
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩২
আহা রুবন বলেছেন: মাঝখানে মানেতো চিপায় থাকা! চিপায় থাকলে সকলেই সিধা থাকে
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
সোনালি কাবিন বলেছেন: আজব!
৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুফিবাদ ইসলামে নেই।
১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০
নতুন বলেছেন: যেহেতু খিযির আঃ আমাকে গান দেখার পূর্ণ অনুমতি দিয়েছেন এবং সুক্ষ্ম চিন্তার উৎসাহ দিয়েছেন । আর এটাই বর্তমানের ইসলাম । আমি গানও দেখি , আবার এমন নামাজে রত হই যে , যাতে নিজেকে ভুলে যাই , আর এটা অন্যকেউ পারবে না , কারণ তারা গান দেখে না ।
খিযির আ: কে দেখা বা স্বপ্নে দেখা তো বিরাট ব্যাপার।
এই রকমের ভিসনের জন্য সাইক্রিয়েট্রিসের সাথে কথা বলুন প্লিজ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সুস্থ রাখো।