নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুসরণীয় সন্তান এবং মাতাপিতার যত্ন

২৩ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০০

সুরা মরিয়মের ৪৩ নম্বর আয়াতে হযরত ইব্রাহিম আঃ এর কথা তুলে ধরে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন - "হে আমার পিতা ! আমার নিকট তো আসিয়াছে জ্ঞান যাহা তোমার নিকট আসে নাই । সুতরাং আমার অনুসরণ কর , আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখাইব" ।



উক্ত সুরার ৪৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন , "হে আমার পিতা ! আমি তো আশংকা করি যে , তোমাকে দয়াময়ের শাস্তি স্পর্শ করিবে , তখন তুমি হইয়া পড়িবে শয়তানের বন্ধু" ।



প্রিয় মুসলিম , আমরা সবাই জানি - মাতাপিতার কথানুযায়ী সন্তানদের সর্বদা চলতে হয় । কিন্তু উপরোক্ত আয়াতদ্বয় দ্বারা বুঝা যায় , কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাতাপিতাকেও সন্তানের কথানুযায়ী চলতে হয় । যা ইব্রাহিম আঃ এর উপমা দিয়ে মহান আল্লাহ বুঝিয়েছেন ।



বর্তমান পৃথিবীতেও যারা শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হবেন অথবা আল্লাহর মনোনীত উচ্চপদস্থ অলী হবেন , তাদেরকেও অনুসরণ করা ফরজ হবে , তাদের মাতাপিতার জন্য । অতঃপর যদি , মাতাপিতাগন তাদের অনুসরণ না করেন , তবে মাতাপিতাগনও শাস্তির সম্মুখীন হবেন উপরোক্ত আয়াত অনুসারে ।



আমার মা প্রচুর কোরান হাদিস এবং ইসলামিক বই পড়েন , অতঃপর আমি আমার মাকে বললাম - আল কোরানের ১৯ নম্বর সুরা , সুরা মরিয়মের ৪১ থেকে ৫০ আয়াত পর্যন্ত পড়ো , বিশেষ করে ৪৩ আয়াত পড়ো । যার দ্বারা বুঝা যাবে যে - আমি যদি বিশেষ কোনো আধ্যাত্মিক অবস্থা অর্জন করতে পারি এবং কোরান হাদিস জানি , তবে আমার অনুসরণ করা তোমাদের জন্য ওয়াজিব হবে । এটা আপনারা সুরা মরিয়মের ৪১ থেকে ৫০ আয়াত পর্যন্ত পড়লে বুঝতে পারবেন ।



আজকের পৃথিবীতে জেনারেশন গ্যাপ অনেক বেশি । পিতা যৌবনে যে প্রযুক্তি বা ছবি নাটক দেখেছেন , সন্তান তার যৌবনে লক্ষগুণ বেশি প্রযুক্তি বা অত্যাধুনিক ছবি নাটক দেখবেন । এটাই স্বাভাবিক । তাই বর্তমানে সন্তান ও পিতামাতার অমিল থাকবেই । অতঃপর এই অমিলটা যদি উভয়পক্ষ স্বাভাবিক মনে করেন তো ঠিক আছে , কিন্তু যদি অমিলটা উভয়পক্ষ মেনে নিতে না পারেন , সেক্ষেত্রে উভয়পক্ষকে আলাদা থাকতে হবে এবং এই আলাদা থাকার কারনে তাদের উভয়পক্ষের মাঝে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় থাকবে । অন্যদিকে তারা যদি জোর জবরদস্তি করে একসাথে থাকেন , তাহলে ঝগড়া বিবাদ হবে নিত্য বিষয় ।



যেসব ক্ষেত্রে সন্তান ও পিতামাতার মধ্যে নিত্য ঝগড়া দেখেছি , সেখানে আমার সাজেশন ছিলো , আপনারা দূরে থাকুন , তাহলে সম্পর্ক গভীর ও সুন্দর হবে । আর কাছে থাকলে ঝগড়া হবেই । তাই কেউ কেউ আমার কথা শুনে অত্যন্ত ভালো ফলাফল পেয়েছেন ।



এখন কথা হলো - মাতাপিতা বৃদ্ধ হয়ে গেলে বর্তমান যুগে কি করণীয় , এর উত্তর হলো - মাতাপিতা যদি সংসারে মতামত ফলাতে চান বা বাধ্য করার চেষ্টা করেন , তবে নিজে দূরে থেকে তাদের জন্য কাজের লোক রেখে সেবাযত্ন করতে হবে । আর যদি মাতাপিতা সংসারে পরামর্শ দেয় এবং মতামত মানতে বাধ্য না করেন , তাহলে তাদেরকে সাথে রেখে সেবাযত্ন করতে হবে অথবা সন্তান দূরে থেকে অন্য লোকের মাধ্যমে মাতাপিতার প্রচন্ড , প্রচন্ড এবং প্রচন্ড সেবাযত্ন নিশ্চিত করবে । এটা শুধু বৃদ্ধাবস্থার জন্য । বৃদ্ধাবস্থা হলো - যখন মাতাপিতা নিজেদের রান্নাবান্না , কাপড়চোপড় , ঘরবাড়ি নিজেরাই পরিষ্কার করতে না পারবেন । আর যদি তারা রান্নাবান্না , কাপড়চোপড় , ঘরবাড়ি নিজেরাই পরিষ্কার করতে পারেন , তবে তারা বৃদ্ধ নন এবং এক্ষেত্রে সন্তানের দায়িত্ব হলো - দূরে থেকে বা কাছে থেকে প্রতিনয়ত খোঁজখবর রাখা এবং খাবার চিকিৎসাসহ সকল মৌলিক অধিকার সমূহ নিশ্চিত করা ।



উপরোক্ত ফতোয়া বর্তমান যুগের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং এই ফতোয়া মহান আল্লাহর তাআলার পক্ষ থেকে এসেছে । আর এটা এসেছে আমার ইজতেহাদের মাধ্যমে । তাছাড়াও উক্ত ফতোয়া বর্তমান যুগের মুজাদ্দিদ ও বর্তমান যুগের উচ্চ অলীর জন্যও প্রযোজ্য হবে ইনশাআল্লাহ । অতঃপর মহান আল্লাহ সবাইকে এইসব ফতোয়া মেনে চলার তৌফিক দান করুন । আমীন ।



( ডাঃ আকন্দ ) ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: বেকার ছেলে বাপ মায়ের দায়িত্ব পালন করতে পারে না- ইচ্ছা থাকলেও।

২| ২৩ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছেলেরা বাপ মার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে ওড় হোম হতো না। সম্পত্তির ইসলাম মানে

৩| ২৩ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: জেনারেশন গ্যাপে মতের অমিল ওল্ড হোমে রেখে আসতে সাহায্য করে অনেক। তবে ছোটকাল থেকে নিরীহ সন্তানের মত বেড়ে উঠলে, বড় হয়েও সেই সন্তান চোখ বন্ধ করে দায়িত্ব নেয়

৪| ২৩ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: জেনারেশন গ্যাপে মতের অমিল ওল্ড হোমে রেখে আসতে সাহায্য করে অনেক। তবে ছোটকাল থেকে নিরীহ সন্তানের মত বেড়ে উঠলে, বড় হয়েও সেই সন্তান চোখ বন্ধ করে দায়িত্ব নেয়

৫| ২৩ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

আল-ইকরাম বলেছেন: মোবারকবাদ ভাই আকন্দ। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। পড়ে ভাল লাগলো। আসলে পিতা-মাতা গুরুজন, শুধু গুরুজনই নন মহান আল্লাহ্ পাক এঁর পরে তাঁদের মতো দরদী, আপন কেউ নেই এ জগতে। এ কথা সত্য যে, পিতা মাতা তাঁদের কিছু ভুল আচরণ, পক্ষপাতিত্ব, ও ব্যক্তিগত নানা অসঙ্গতির কারণে সন্তানদের কাছ থেকে উপযুক্ত ব্যবহার, সেবা যত্ন থেকে বঞ্চিত। এঁর অনেক গুলো কারণ আছে। এর মধ্যে একটি কারণ হলো, যে সব পিতা মাতা তাঁদের সন্তানকে অতি আদরে, অতি আহ্লাদে মানুষ করেন, বাস্তবতা বুঝতে দেন না, সন্তানের কোনো অপরাধই তাদের কাছে মারাত্নক বলে বিবেচিত হয় না; তারাই শেষ জীবনে তাদের সন্তানের কাছ থেকে নানা রকম যন্ত্রণা ভোগ করেন। আর একটি কথা বলা জরুরী। পিতা-মাতা কিংবা সন্তান এদের কেউই স্রষ্টা নন। কাজেই যিনিই ভুল করুন না কেন শাস্তি তাঁর প্রাপ্য। এটাই স্রষ্টার বিধান। তারপরও পিতা-মাতা’র কোনো বিকল্প নেই। তাঁরা যখন দুনিয়াতে না থাকেন তখন বুঝা যায় তাঁরা আমাদের জন্য কী ছিলেন। আল্লাহ্ আপনার সহায় হোন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.