নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তায়াম্মুম

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৩

প্রিয় বিশ্ববাসী , বর্তমানে প্রায় সকল লোকই লোক দেখানো বা লোকের ভয়ে ইবাদত করে । যা পূর্ণ শিরক । বর্তমান সময়ে পায়খানা থেকে বের হয়ে অযু করা একটি আধুনিক অভ্যাসে পরিনত হয়েছে , যা মানুষের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতার বাইরে , আর এজন্যই এটা পরিপূর্ণ শিরিকি আমল । তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত পায়খানা থেকে বের হয়ে তায়াম্মুম করা । এছাড়াও স্ত্রীসহবাসের পর ঘুমানোর ইচ্ছা করলে , তখন অযু না করে তায়াম্মুম করা কর্তব্য । কারণ অযু করলে তা লোকদেখানো হবে এবং শিরক হবে । আর এটা সারাজীবনই হবে ।    




                  তায়াম্মুম একটি বিস্তর আলোচনা , তাই এখানে সংক্ষিপ্ত করে বলা হলো । বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে ভোগে , সেক্ষেত্রে অযু করলে রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে । অথচ মানুষ লোকের ভয়ে বা লোক দেখানো অযু করে , যা পূর্ণ শিরক । তবে কেউ কেউ ওজরের কারণে এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও অযু করে , সেক্ষেত্রে তার শিরক হবে না । আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অর্থাৎ তায়াম্মুমকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সবাইকে কিছু কাজ করা উচিত । কমপক্ষে এই দোয়া করা উচিত যে , হে আল্লাহ এমন এক সংস্কারক পাঠাও , যিনি বর্তমান দুর্বল মানুষদের জন্য দ্বীন ইসলামকে সহজ করে দিবেন এবং  মানুষ ইসলামকে সহজভাবে পালন করতে পারবে ।     




                  প্রিয় বিশ্ববাসী , আমাকে সমস্ত শিরক ধ্বংস করার জন্য পাঠানো হয়েছে । কিন্তু কিছু ধর্ম থাকবে , যারা চরম উৎকণ্ঠা ও চরম অস্থিরতার সহিত এবং চরম সন্দেহ ও সংশয়ের সহিত শিরক করবে । কারণ আমি সত্যকে সবার হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করবই ইনশাআল্লাহ । কিন্তু তাদের নফস তাদের হৃদয়ের কথাকে প্রতিষ্ঠিত করতে দিবে না । অতঃপর আমি সমস্ত মৌলবাদ , সমস্ত জঙ্গিবাদ এবং লোকদেখানো ধর্ম ধ্বংস করবই ইনশাআল্লাহ , কমপক্ষে প্রত্যেকের বিবেকে । তাছাড়া আমি প্রচুর গান দেখি এবং এক্ষেত্রে আমি কাউকেই পরওয়া করি না । আর শিরককে ধ্বংস করাই আমার কাজ ।   




                  প্রিয় মুসলিম , যদি আপনারা ভালো ঔষধ পান এবং ঠান্ডা পানিতে রোগ বৃদ্ধি না ঘটে , তবে অযু করবেন । তাছাড়া যে ব্যাক্তির ঠান্ডা পানিতে রোগ বৃদ্ধি ঘটে , তার গরম পানিতেও কিছু রোগ বৃদ্ধি ঘটবে , তাই তার জন্য একমাত্র পদ্ধতি তায়াম্মুম । 




                  এখন অনেক ঔষধ আছে , যা খেলে ঠান্ডা নিয়ন্ত্রণে থাকে অথবা ভালো হয়ে যায় , আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণেও থাকে না এবং ভালোও হয় না , অতএব , যেখানে চিকিৎসায় ভালো কাজ হয় , সেখানে নামাজের জন্য অযু করতে হবে , আর যেখানে চিকিৎসায় ভালো কাজ না হয় , সেখানে তায়াম্মুম করতে হবে । এটাই এখন সব মাজহাবকে মানতে হবে । 




                  অযু করে নামাজ পড়লে অনেক মজা পাওয়া যায় , যেটা তায়াম্মুম করে পড়লে পাওয়া যায় না । কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে অযু করলে তা সম্পূর্ণ লোকদেখানো ইবাদত হয়ে যায় এবং তখন তায়াম্মুম করাই কর্তব্য । তাছাড়া তায়াম্মুম করলে যদি চরম অপমানের আশংকা থাকে , তবে তখন অযু করাই কর্তব্য । 




(  ডাঃ আকন্দ  )                   ।                                                                                                                       

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কারবালার প্রান্তরে যে পানি পানি করে ইমাম হোসেন শাহাদাৎ বরণ করলেন অযু করে সেই পানি আমি অপচয় করবো না। কিন্তু সহবাসের পর মাঝরাতে অযু করলে সেটা দেখতে আসে কে ব্যাপারটা ক্লিয়ার না।

সুন্দর পোস্টে উত্তম জাজা

২| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৯

নতুন বলেছেন: বর্তমান সময়ে পায়খানা থেকে বের হয়ে অযু করা একটি আধুনিক অভ্যাসে পরিনত হয়েছে , যা মানুষের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতার বাইরে , আর এজন্যই এটা পরিপূর্ণ শিরিকি আমল ।

বত`মানে বেশিরভাগ মানুষই নামাজের আগে অযু করে। গোসল ফরজ হলে গোসল করে। আর যেহেতু গরম তাই প্রতিদিন গোসল করে অনেকে ২ বার করে।

এই সব বিষয়ে চিন্তা করে সময় নস্ট করবেন না। যার যার বিষয়ে তাকে করতে দিন।

ভালো কোন বিষয় নিয়ে বই পড়ুন।

৩| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৪৩

সত্যপীরবাবা বলেছেন: প্রিয় বিশ্ববাসী , আমাকে সমস্ত শিরক ধ্বংস করার জন্য পাঠানো হয়েছে
এই মহিমান্বিত ভাষন এই মুহুর্তে সমস্ত ভাষায় অনুবাদ করা হউক, অন্যথায় বিশ্ববাসী বন্চিত হবে বাংলা পড়তে না পারার কারনে।

৪| ১৭ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:২৯

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনি বলেছেন: আমি সত্যকে সবার হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করবই ইনশাআল্লাহ
-
দয়াল বাবা কেবলা কাবা আয়নার কারিগর
দয়াল বাবা কেবলা কাবা আয়নার কারিগর
আয়না বসাইয়া দে মোর কলবের ভিতর বাবারে
আয়না বসাইয়া দে মোর কলবের ভিতর

আমার বাবা আল হাছানি
যার কাছে মারফতের খনি
আমার বাবা আল হাছানি
যার কাছে মারফতের খনি

কলব হইয়া যায় নুরানি চাইলে এক নজর
কলব হইয়া যায় নুরানি চাইলে এক নজর
আয়না বসাইয়া দে মোর কলবের ভিতর বাবারে
আয়না বসাইয়া দে মোর কলবের ভিতর.

এছাড়া আপনি বলছেন : তাছাড়া আমি প্রচুর গান দেখি এবং এক্ষেত্রে আমি কাউকেই পরওয়া করি না ।
- নিম্নে গানটি :

৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:৩৫

আশাবাদী অধম বলেছেন: আলোচিত হওয়ার ধান্দা।

তা নিজেকে কি দাবী করেন নবী না মুজাদ্দিদ?












৬| ১৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:২১

এম এ কাশেম বলেছেন: আপনি কিসের আলোকে কি বলতেছেন কিছুই বুঝলাম না।
এত বড় আলোচনায় কোরান হাদীচের কিছু রেফারন্স দিয়ে প্রমান করুন
অন্যতায় ফ্যাতনার সৃষ্টি করবেন না।

ভাল থাকুন।

৭| ১৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৩২

বিজন রয় বলেছেন: চিন্তায় পড়লাম।

৮| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি ইসলাম ধর্মের কিছুই জানেননা অথচ নিজেকে পন্ডিত ভেবে সমাজে ফেতনা সৃষ্টি করছেন। সমাজে ফেতনা সৃষ্টিকারীরা মানবতার ১ নম্বর শত্রু।

৯| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

আধাপাগল বলেছেন: লেখকের পুরাতন সব লেখা দেখে আসলাম। লেখাগুলো দেখে দেখা যাচ্ছে, লোকটা ইসলাম ধর্মে একজন পিএইচডি হোল্ডার নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত "আসফালা সাফেলিন"। ফি নারে জাহান্নামে যাওয়ার টিকেট নিজেই কিনতেছে নিজের পয়সা দিয়ে। আল্লাহ তুমি এই সমস্ত আসফালা সাফেলিনের হাত থেকে আমাদের হেফাজত কর। আর তাকে দুনিয়াতেই কঠিন শাস্তি প্রদান কর। কেয়ামতের শাস্তি তো জমা আছেই।

১০| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুন।

১১| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার এলাকায় করোনায় আছে কিনা। আপনি কি কারো উপকারে এসেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.