নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহর কসম করে বলছি অহংকার এবং ঈমান একসাথে থাকতে পারে না । কারণ অহংকার শুধুমাত্র আল্লাহর জাতের সাথে মিলিত । আর যেটা শুধুমাত্র আল্লাহর জাতের সাথে মিলিত , তা কখনোই সৃষ্টির গুণ হতে পারে না ।
যে সামান্যতম অহংকার করলো , সে নিশ্চিতভাবে ঈমানহারা হলো । হউক সেটা কথাবার্তার মাধ্যমে , লেখনীর মাধ্যমে , শরীরের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে , মুখের ভঙ্গিমার মাধ্যমে , পোশাক আশাকের মাধ্যমে , আচার আচরণের মাধ্যমে , চুপ থাকার মাধ্যমে ( কারো অহংকারের সময় প্রতিবাদ না করে ) । অর্থাৎ বর্ণিত কাজগুলো করার সাথে সাথে একজন লোক ঈমানহারা হয়ে যাবে । অতঃপর দ্রুত তওবা করলে এবং সকল ধরনের অহংকার বাদ দিতে পারলেই কেবল পুনরায় ঈমানদার হওয়া যাবে । পুনরায় আল্লাহর কসম করে বলছি - অহংকারী লোক কস্মিনকালেও জান্নাতের গন্ধ পর্যন্ত পাবে না এবং নামে মুসলমান হলেও পাবে না । তাছাড়া সাথে নামাজ রোজা থাকলেও সে পূর্ণ মুনাফিক সাব্যস্ত হবে এবং চিরজাহান্নামী হবে ।
হে অহংকারী তোমার দশটা বাপ পীর হলেও , তুমি চিরজাহান্নামী হওয়ার সুসংবাদ গ্রহণ করো , সাথে সকল অহংকারীগনও চিরজাহান্নামী হওয়ার সুসংবাদ গ্রহণ করো । তাছাড়া বর্তমান জামানায় যতো পীর এবং আলেম দেখা যায় তাদের সবার মাঝেই অহংকার দেখা যায় এবং তাদের অনুসারীদের কথা নাই-বা বললাম । অর্থাৎ এদের কারো মাঝেই সামান্যতম ঈমান নাই , শুধুই অহংকার আর অহংকার ।
হে মানুষসকল ঈমানদার হতে হলে বিনয়ী হও এবং বিনয়ী হওয়াকে ফরজ মনে করো । যদিও ওজরের কারণে কোন কোন সময় কঠোর আচরণ করা জায়েজ আছে । তাছাড়া যে ব্যাক্তি যতো বেশি বিনয়ী সে ব্যাক্তি ততো বেশি মুমিন । অতঃপর হে বিশ্বাসীগন সমস্ত অহংকার ত্যাগ করো এবং পরিপূর্ণ বিনয়ী হও, আর হাসতে হাসতে জান্নাতে চলে যাও ইনশাআল্লাহ ।
যদি সমস্ত অহংকার ত্যাগ করে পরিপূর্ণ বিনয়ী হতে চাও , তবে বর্তমান থেকে ওয়ায়েসী তরিকা গ্রহণ করো এবং আমার আনুগত্য করো । আর আমি অধিকাংশ সময় নিজেকে সবচাইতে কম সম্মানী মনে করি এবং মহান আল্লাহর নিকট কাতর কণ্ঠে ক্ষমা প্রার্থনা করি । অতঃপর আমি সর্বোচ্চ আশা রাখি যে , মহান আল্লাহ আমায় ক্ষমা করবেন ( ইনশাআল্লাহ ) ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
©somewhere in net ltd.