নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান আল্লাহ তাআলা আল কোরানের সুরা নিসার ১৩৫ নাম্বার আয়াতে বলেন - "তোমরা সত্য সাক্ষ্যদানে অবিচল থাকো , যদিও তা নিজের বিরুদ্ধে হয় বা পিতামাতা ও আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে হয়" , অর্থাৎ সত্য সাক্ষ্য দিলে যদি নিজের বা পিতামাতা ও আত্মীয় স্বজনের অপমান হয় বা মৃত্যুদন্ড হয় , তবুও সত্য সাক্ষ্য দেওয়া ফরজ ।
প্রিয় দেশবাসী , মামুনুল হক তার ঘটনার শুরু থেকেই মিথ্যা বলে আসছেন । রিসোর্টে রুম বুকিংয়ের সময়েই তার সঙ্গীর নাম আমিনা তৈয়্যব বলেছেন এবং আওয়ামিলীগ নেতাদের সামনেও সে ২য় স্ত্রীর নাম আমিনা তৈয়্যব বলেছেন , যা সম্পূর্ণ মিথ্যা । আর খারাপ লোক প্রমাণ হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ।
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি , মামুনুল হকের ২য় স্ত্রীর বিষয়ে বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ সন্দেহ করছে । সর্বশেষ তার ২য় স্ত্রী ঝর্ণার ডায়েরি বের হওয়ার পর সন্দেহটা আরো বেশি তীব্র হয়েছে । তার ২য় স্ত্রী ঝর্ণা বাসা বাড়া নিয়েছে অবিবাহিত বলে , তাছাড়া ধরে নিলাম তাদের বিয়ের বয়স দুই বছর , কিন্তু বিয়ের পূর্বে এক বছর তাদের মাঝে কি সম্পর্ক ছিলো তা পরিষ্কারভাবে বুঝা দরকার ।
প্রিয় দেশবাসী , বাস্তবিক সত্য হচ্ছে - বর্তমানে মৌলবাদী এবং জঙ্গিবাদীরা , বিশেষ করে এদের নেতারা মিথ্যাবাদী , ভোগবাদী এবং সুবিধাবাদী । জঙ্গিদের নেতারা ৪টি বিয়ের পরও সাদা চামড়ার দাস দাসীর উপর যৌন নির্যাতন করে , কিন্তু সাধারণ জঙ্গিরা অল্প বয়সেই পেটে বোমা বেধে আত্মঘাতী হয় , যা সর্বোচ্চ পর্যায়ের অমানবিক এবং যুদ্ধাপরাধ ।
আরে মৌলবাদী এবং জঙ্গিবাদীরা তোমরা ফেইসবুকে এবং ইউটিউবে তোমাদের বক্তৃতা চালাচ্ছো এবং গোপনে গান নাটক সিনেমা , এমনকি পর্নো দেখছো , আবার প্রকাশ্যে এসে সাধারণ মানুষকে এগুলো না দেখার উপদেশ এবং ভয় দেখাচ্ছো , এজন্য আমি আবারো চ্যালেঞ্জ করে বলছি তোমাদের মতো মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের নিন্মস্তরে হাবিয়াতে হবে এবং অনন্তকালের জন্য হবে । এদিকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতারের সময় তার নিকট ৪টি মোবাইল পাওয়া গেছে , একজন আলেমের নিকট ৪টি মোবাইল থাকে কেনো , এটা তো খারাপ লোকদের নিকট থাকার কথা , তাছাড়া তার মোবাইলে নাকি পর্নো ভিডিও পাওয়া গেছে , অথচ মানুষকে না দেখার জন্য ভীষণভাবে ভয় দেখায় ।
প্রিয় দেশবাসী , বর্তমানে মানুষ খুব দুর্বল , এখন মানুষ ১৪০০ বছর পূর্বের পূর্ণ ইসলাম মানতে পারবে না , যার দলিল আমার টাইমলাইনে আমি বহুবার দিয়েছি । বর্তমানে আমরা যারা মধ্যপন্থী এবং সংস্কারপন্থী মুসলিম , তারা টিভি নেটে গান নাটক সিনেমা , এমনকি হঠাৎ হঠাৎ আরো কিছু দেখে থাকি এবং এটা আমরা স্বীকার করি , তাছাড়া এগুলোকে আমরা মুবাহ বা কোনোটি মাকরূহ বা কোনোটি হারাম মনে করে থাকি । যার ব্যাখ্যা পরবর্তীতে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ । কিন্তু আমরা মিথ্যা ধার্মিকদের মতো অস্বীকার করি না ।
প্রিয় দেশবাসী , এখন সময় এসেছে এসব মিথ্যা ধর্মিকদের তথা মৌলবাদীদের ও জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এবং বর্তমানে এই যুদ্ধটাই ফরজ , যা স্বয়ং রাষ্ট্র করবে । অপরদিকে আমরা সাধারণ নাগরিকরা , মৌলবাদীদের এবং জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করে আমাদের ফরজ দায়িত্ব পালন করবো ইনশাআল্লাহ , তবে এ প্রতিবাদ ফরজে কেফায়া । এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের কারো মৃত্যু হলে , আমরা তা হাসিমুখে মেনে নিবো ইনশাআল্লাহ ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দেশে সবচাইতে বেশি দায়িত্ব হলো বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির । প্রিয় বিএনপি , আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কোনো মৌলবাদী বা জঙ্গিবাদী আদর্শ লালন করতেন না । অতএব আপনারা কোনোভাবেই মৌলবাদীদের এবং জঙ্গিবাদীদের সাথে সামান্যতম সম্পর্ক রাখবেন না এবং ঐক্য রাখবেন না । যদি পূর্বে তা করে থাকেন , তাহলে এখনই তা পরিপূর্ণভাবে বাতিল করুন । এই আবেদন জাতীয় পার্টি এবং সকল মধ্যপন্থী ও সংস্কারপন্থী মুসলিমদের প্রতি ।
এখন বিএনপির উচিত হবে , আওয়ামিলীগের সাথে আলোচনা করে এবং মিলিত হয়ে এই মৌলবাদী এবং জঙ্গিবাদীদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া । যদি আওয়ামিলীগ না-ও মিলে , তবুও বিএনপির কর্তব্য হলো - মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা । এতে যদি মৃত্যুও হয় তবুও এখান হতে পলায়ন করা হারাম। তাছাড়া আওয়ামিলীগ ১০০০ বছর ক্ষমতায় থাকলে যে পরিমাণ ক্ষতি না হবে , মৌলবাদীরা ও জঙ্গিবাদীরা একদিন ক্ষমতায় থাকলে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ - আফগানিস্তান সিরিয়া ইরাক মিশর ।
প্রিয় দেশবাসী , মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদীরা সর্বদা ভীত সন্ত্রস্ত থাকে , কারণ তাদের হৃদয় অস্থির এবং তাদের বিশ্বাস অত্যন্ত দুর্বল । তাদের ঈমান ঠোঁটে বা চামড়ার উপরেই বিদ্যমান , কিন্তু ঈমান তাদের হৃদয় পর্যন্ত কোনোভাবেই পৌঁছে না । আধ্যাত্মিক নেতা আব্বাসী ও চরমোনাইদের ঈমানও তাদের হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছে নাই , যা তাদের প্রাণহীন বক্তৃতা শুনলেই বুঝা যায় । আর সালাফি এবং ওহাবিরা তো কোটি বছর জীবিত থেকে চেষ্টা করলেও সামান্যটুকু ঈমান তাদের হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছবে না । তাই এই মিথ্যা ধার্মিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা রাষ্ট্রের কর্তব্য এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা ফরজে কেফায়া ।
প্রিয় দেশবাসী , লোকদেখানো ধার্মিকদের এবং মিথ্যা ধার্মকদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করুন এবং এই মৌলবাদী এবং জঙ্গিবাদীদের ধ্বংসে , দেশকে তথা সরকারকে সমর্থন করুন , এটা আপনার ঈমানী দায়িত্ব । কিছু লোক প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করুন এবং বাকী লোক মনে মনে মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদীদের ঘৃণা করুন । তাতে করে মৃত্যুর পরে মহান আল্লাহর নিকট সামান্য জবাব দিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ।
প্রিয় দেশবাসী , যেটুকু ইসলাম পালন করবেন তা শুধু আল্লাহকে দেখানোর জন্য করুন এবং এতে যেনো সামান্যটুকু অন্য কোনো অংশী না থাকে । যেটা আল কোরানের ৩৯ নম্বর সুরা - যুমারের তাফসির পড়লে বুঝতে পারবেন । কিন্তু মৌলবাদীরা ও জঙ্গিবাদীরা কোনো আমলই শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করতে পারে না , কারণ তারা সাধ্যের বাইরে আমল করতে চেষ্টা করে , ফলে তা লোকদেখানো হয়ে যায় । তাই আমার এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জন্য যদি আমার মৃত্যু হয় , তবুও আমার পিছপা হওয়ার সুযোগ নাই । কারণ এই প্রতিবাদকে আমি আমার জন্য ফরজ মনে করি । আফসোস তাদের জন্য , যারা আমার সাথে প্রতিবাদ করবে না।
সরকারের কর্তব্য ও ঈমানী দায়িত্ব হলো মৌলবাদীদের ও জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া এবং এতে সামান্যটুকু দুর্বলতা দেখানোর সুযোগ নেই । মহান আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়ার এটাই উত্তম সময় । রাষ্ট্রকে বুঝতে হবে , মিথ্যা ধার্মিকদের ধ্বংসের এটাই উপযুক্ত সময় । মোটেও দেরী করবেন না। এতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করলে শহীদের মর্যাদা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ । তাছাড়া বিতর্কিত লোকেরা এতোকিছুর পরেও রাষ্ট্রকে ব্যার্থ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে , যা কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না ।
সরকার তথা রাষ্ট্রকে একটা জিনিস উপলব্ধি করতে হবে যে , যদি মৌলবাদীরা বা জঙ্গিবাদীরা একদিনের জন্যও ক্ষমতায় আসে , তবে দেশ ১০০০ বছর পিছিয়ে যাবে , যেমন পিছিয়েছে আফগানিস্তান সিরিয়া ইরাক মিশর , তাছাড়া চীন মিয়ানমার ও ভারতের মুসলিমরাও মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদীদের জন্য ১০০০ বছর পিছিয়ে গেছে ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:২৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সে যত গুলো মিথ্যা বলেছেন সব নবীর দেখানো পথে বলেছেন।এতো বড় আলেম সমাজ সবাই তার পক্ষে ছিল।তার বিরুদ্ধে যাওয়া
আমাদের ঈমানী দায়িত্ব না বলতে পারেন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।ঈমানী দায়িত্ব হলো তার পক্ষে থাকা।
এদের দমন করতে বিএনপি লাগবে না বরং বিএনপি নিজেকে রক্ষা করুক সেটাই তাদের প্রধান কাজ।
মামুনুলের যে ঘটনা প্রত্যেক মমিনের এমন একটি ঘটনা আছে কেউ জানে কেউ জানে না।তেতুল হুজুর যখন মারা গেল তার পরে হাজার হাজার লিফলেট বের হলো এই রকম ঘটনা নিয়ে।কোন হুজুরই বাদ নেই।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: মামুনুল ভন্ড। ১০০% ভন্ড। দেশের প্রচলিত আইনে তাঁর বিচার হবে।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৪
আমি নই বলেছেন: মামুনুল যেহেতু শরিআহ আইনের পক্ষের লোক তাই বিশেষ বিবেচনায়, প্রমান সাপেক্ষে তার শরিআহ আইনেই বিচার দাবী করি। অপরাধ প্রমানিত হলে জনসম্মুক্ষে না হলেও পর্দার আরালেই পাথর নিক্ষেপ করে শাস্তি কার্যকর করা হোক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪২
অনল চৌধুরী বলেছেন: একে তার চাওয়া বিধান অনুযায়ী পাথর মারা উচিত।
বাংলাদেশের লোকজন নিজেরা যেমন ভন্ড, তেমনই এইসব নিযামী-সাইদী-মামুনুলদের মতো ভন্ড-বক-ধার্মিকদের তারা নেতা হিসেবে পছন্দ করে।