মাযহাব ও তরিকা দুর্বল হওয়ার কারণ

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৪৫

মাযহাব ও তরিকত পন্থীরা গত ১২ - ১৩শ বছর যাবৎ এতোটা সমস্যায় পড়েনি , যতোটা পড়েছে এখন । লা-মাযহাবীরা আজ সহিহ হাদিসের সুর তুলে মাযহাব ও তরিকাপন্থীদের তুলোধোনা করে ছাড়ছে । অথচ পূর্বকালে মাযহাব ও তরিকাপন্থীগন কোন কথা বললে , তাদের দলিল দেখানোর প্রয়োজন পড়তো না । কারণ তাদের রেফারেন্সকে মানুষ সরাসরি কোরান হাদিস বলে বিশ্বাস করতো , অথবা কোরান হাদিসের ইজতেহাদ মনে করতো । আর এটা মনে করারও কারণ ছিলো যে - তাদের কথায় অত্যন্ত ভারী নূর ছিলো । কিন্তু এখন আর ভারী নূর ওয়ালা লোক নেই।



আলহামদুলিল্লাহ এখন ফাঁকা মাঠে আর গোল দিতে পারবে না । এমন একজন মুজাদ্দিদ প্রকাশিত হচ্ছেন , যার কথা থেকে ভারী নূর বিচ্ছুরিত হবে এবং লা-মাযহাবী , জঙ্গি ও মৌলবাদীরা চুপসে যাবে । কারণ তার সান্নিধ্যে থাকলে , তার সাথে নামাজ পড়লে মানুষ চাক্ষুষভাবে আল্লাহকে উপলব্ধি করবে । যেটা লা-মাযহাবী , জঙ্গি ও মৌলবাদীরা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর বাঁচলেও পারবে না ।



আবারও আলহামদুলিল্লাহ বলছি যে - বর্তমানেও মানুষ যদি আমার উপস্থিতিতে একটু খেয়াল করে জামাতে নামাজ পড়ে , তখনও শত শত মানুষ মহান আল্লাহকে বাস্তবিকই উপলব্ধি করতে পারে , এতে আমার বিন্দুমাত্র গর্ব অহংকার নেই এবং অবশ্যই নেই । আমি যখন ঈমান আমল ইখলাসপূর্ণ করার জন্য ট্রেনিং হিসেবে দরবার খুলবো অথবা এখনও পরীক্ষামূলক লা-মাযহাবী , জঙ্গি ও মৌলবাদীরা আমার নিকটবর্তী হয়ে আমার পূর্ণ আনুগত্য করে তবে কয়েক মাস পর তারা আর কোনোদিনই মাযহাব ও তরিকাকে অস্বীকার করবে না ইনশাআল্লাহ , যদিও তাদের হত্যা করা হয় । তবে শর্ত হলো যে, যদি তাদের ভাগ্যে চিরজাহান্নাম লেখা থাকে , তবে তারা আমার শিখানো জ্ঞান অস্বীকার করবে ।



চার মাযহাবের ইমাম , ওয়ায়েস কারনী, হাসান বসরী, রাবেয়া বসরী, ইমাম গাজ্জালী, আঃ কাদের জিলানী, মাওলানা রুমি, নিজামুদ্দিন , খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি , মুজাদ্দিদে আলফে সানি , আল্লামা ইকবাল সহ সকল সুফি স্কলারগন কোরান হাদিসে বর্ণিত উলিল আমর ছিলেন , সাদেকীন ছিলেন , আল্লাহর নৈকট্যের অছিলা ছিলেন , অনেকেই শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ছিলেন , নবীদের ওয়ারিশ ছিলেন , প্রকৃত অলী ছিলেন , মুহসিনিন ছিলেন , স্রষ্টার প্রকৃত বান্দা ছিলেন এবং আরও অনেক কিছু ছিলেন । উপরে বর্ণিত মহান ব্যাক্তিগন যাদেরকে সমর্থন করেছেন একমাত্র তারাই সত্য , আর বাকি সব মিথ্যা মিথ্যা এবং মিথ্যা , এটা আমি আমার সারাজীবন দ্বারা প্রমাণ করে দিবো ইনশাআল্লাহ এবং আমার নৈকট্যে থাকলে সে উপরের বিষয়গুলি পূর্ণ সত্য হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হবে । কেউ যদি পরীক্ষামূলকও আসে , ইনশাআল্লাহ তার নিকটও প্রমাণ করা হবে , যদি সে পূর্ণ দুর্ভাগা না হয় ।



সারা পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মের মানুষ মাযহাব ও তরিকাকে সম্মান করে , অথচ তোমরা হাসছো । হেসে নাও , খুব দ্রুত তোমাদের কথা পৃথিবীতে গুরুত্বহীন প্রমাণিত হবে ইনশাআল্লাহ , আর মাযহাব ও তরিকা পৃথিবীতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে, কোরান ও সহিহ হাদিসের দলিল দ্বারাই ইনশাআল্লাহ। সমস্যা হলো মামুনুল হক ও পীর ব্যবসায়ী মৌলবাদী লোকেরা এক্ষেত্রে প্রধান বাধা । ইনশাআল্লাহ এগুলোও দূরীভূত হবে । কারণ এদের আলেমরা সাধারণ মানুষকে ভয় করে এবং লজ্জায় পড়ে আমল করে , আর অনুসারীরাও আলেম ও পীরের ভয়ে এবং লজ্জায় পড়ে ইবাদত করে । ফলে উভয়েই প্রকাশ্য শিরক করে , আর মুশরিকরা চিরজাহান্নামী । তাছাড়া এখন দ্বীনের ব্যপক সংস্কার প্রয়োজন , ইনশাআল্লাহ এটা মহান আল্লাহ তাঁর মুজাদ্দিদ দ্বারা সম্পন্ন করবেন ।



( ডাঃ আকন্দ ) ।

০ টি +০/-০