নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে সর্বোচ্চ তাজিম করা তোমার গন্তব্য হতে পারে না । যদি আমাকে তাজিম করা তোমার শেষ গন্তব্য হয় , তবে তুমি মুশরিক । আমাকে তাজিম করলে আল্লাহ তাআলা খুশি হবেন , এই ধারণা রাখা তোমার জন্য ফরজ । এভাবে রাসুল সাঃ কে মহাবিশ্বের সবচাইতে বেশি তাজিম করার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা ।
আমি বা নবী কোনো গন্তব্য নয় , গন্তব্য হলেন মহান আল্লাহ । আমাকে বা নবীকে সম্মান করবে , স্মরণ করবে , যার প্রধান উদ্দেশ্য থাকবে মহান আল্লাহকে পাওয়া । আমি এবং নবী আল্লাহকে পাওয়ার অছিলা মাত্র । যারা শতভাগ ঈমান অর্জনকারী হয়েছে , তাদের অন্তরে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুরই স্থান নাই । তবে আল্লাহকে পেতে হলে প্রথমে পীর ও নবীকে হৃদয়ে স্থান দিতে হয় এবং প্রথমে এস্থান দেওয়া ফরজ ।
পীর যদি সত্যিকারভাবে কামেল হয় , তবে সে মা বাবার চাইতে বড়ো । দলিল হলো - নবীর যুগে নবী যেমন মা বাবার চাইতে বড়ো , তেমনি নবীর প্রকৃত ওয়ারিশের যুগে , কামেল পীর মা বাবার চাইতে বড়ো । তবে শর্ত হলো - নবীগন যেমন সকল বিষয়ে জ্ঞানী , তেমনি প্রকৃত নবীর ওয়ারিশকেও সকল বিষয়ে জ্ঞানী হতে হবে , বিশেষ করে আধ্যাত্মিক জ্ঞানে প্রভূত জ্ঞানী হতে হবে । কিন্তু এমন কামেল পীর বর্তমানে নেই । তবে আল্লাহর ইচ্ছায় আমাকে অনেকটুকু কামালত দান করা হয়েছে । স্পষ্ট সত্য হলো - মা বাবা বুঝতে পারে না , সন্তানকে কতটুকু ধর্মীয় চাপ দেওয়া যাবে , যেটা কামেল পীর সুন্দরভাবে বুঝতে পারেন । তোমার কখন ঠান্ডা পানির পিপাসা লাগবে , কিংবা তোমার কখন বেশি গরম লাগবে , তা মা বাবার আগে কামেল পীর সুন্দরভাবে বুঝতে পারেন । তোমার কষ্টের তীব্রতাও মা বাবার আগে কামেল পীর বুঝতে পারেন এবং তার প্রএতিকার ও চিকিৎসা জেনে থাকেন ।
তবে বর্তমানে পীরের চাইতে মা বাবাকে বেশি প্রাধান্য দাও , কারণ এখন কামেল পীর নাই । বরং বর্তমান পীরেরা দ্বীনের বিষয়ে ব্যাপক কঠোরতা চাপিয়ে দিয়ে নিজেরা খোদা সেজে মানুষকে মুশরিক বানাচ্ছে । কিন্তু আমার ব্যাপারটা সম্পূর্ণরুপে ভিন্ন এবং আমাকে প্রচুর কামালত প্রদান করা হয়েছে ইনশাআল্লাহ ।
প্রিয় বিশ্বাসী , আমাকে খোদা পাওয়ার অছিলা বানাও , কিন্তু আমাকে খোদা মনে করো না । এভাবে নবীকে খোদা পাওয়ার অছিলা বানাও , কিন্তু নবীকে খোদা মনে করো না ।
মনে রেখো আমাকে তাজিম করলে রাসুলকে পাওয়া সহজ হবে এবং রাসুল সাঃ কে তাজিম করলে খোদাকে পাওয়া সহজ হবে । যখন আমাকে সর্বোচ্চ তাজিম করবে , তখন মনে মনে এ বিশ্বাস রাখবে যে , এ তাজিম করলে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল খুশি হবেন এবং কলব আল্লাহর নূর দ্বারা পরিপূর্ণ হবে । এভাবে একসময় নবীকে পীরের চাইতে বেশি ভালবাসতে হবে , তখনো মনে মনে এ ধারণা রাখতে হবে যে , আল্লাহ আমার উপর খুশি হবেন এবং আল্লাহর নূর দ্বারা আমার কলব পরিপূর্ণ হবে ।
প্রিয় মুসলিম , তোমার কামালত তখনই অর্জন হবে , যখন তোমার কলবে ২৪ ঘন্টাই আল্লাহর জিকির জারি থাকবে । তখন তুমি অদৃশ্যের অনেক জ্ঞান জানতে থাকবে এবং তোমার ঈমানের উজ্জ্বলতা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে ।
পীরকে মাথার তাজ বানাও , যেভাবে আবুবকর উমর রাসুল সাঃ কে মাথার তাজ বানিয়েছিলো । তাদের প্রধান উদ্দেশ্য এবং গন্তব্য ছিলো আল্লাহকে পাওয়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা । সাহাবীগণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুমিন ছিলেন , কারণ ছিলো একটাই , আর তা হলো - সাহাবীগণ রাসুল সাঃ কে আমাদের চাইতে লক্ষ কোটি গুণ বেশি ভালবাসতেন । অনেক বুজুর্গ সাহাবিদের চাইতে অনেক বেশি আমল করেছেন , কিন্তু রাসুল সাঃ কে ভালবাসার ক্ষেত্রে সাহাবিদের ধারে কাছেও ছিলেন না । আর মহান আল্লাহ এই অকৃত্রিম ভালবাসার জন্যই সাহাবিদেরকে শ্রেষ্ঠ মুমিন হিসেবে কবুল করেছেন । তবে সাহাবিদের প্রধান গন্তব্য কিন্তু রাসুল ছিলেন না , বরং তাদের প্রধান গন্তব্য ছিলো মহান আল্লাহ । রাসুল সাঃ ছিলেন সাহাবিদের নিকট আল্লাহকে পাবার অছিলা । যদি রাসুল সাঃ কে ছাড়া আল্লাহকে পাওয়া যেতো , তাহলে সাহাবীগণ রাসুল সাঃ কে এতো ভালবাসতেন না ।
এভাবে আমি নবীর ওয়ারিশ , তাই আমাকে যত বেশি ভালবাসবে এবং তাজিম করবে , ততো বেশি রাসুল সাঃ এর নৈকট্য হাসিল করতে পারবে । পরিশেষে ততো বেশি মহান আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে পারবে । তাই আমি হলাম আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অছিলা বা মাধ্যম । আমাকে এবং নবীকে মাধ্যম মনে করো এবং আল্লাহকে গন্তব্য মনে করো ।
প্রিয় মুসলিম , প্রথম প্রথম হৃদয়ের এক কোণে মহান আল্লাহকে স্থান দাও এবং আল্লাহকে পাবার অছিলা হিসেবে হৃদয়ের আরেক কোণায় আমাকে স্থান দাও । কিছুকাল পর আল্লাহকে পাওয়ার অছিলা হিসেবে নবীকে হৃদয়ে স্থান দাও , সর্বশেষ আল্লাহ ছাড়া সবকিছু ভুলে যাও, আর এটাই তোমার কামালত । পুনরায় যদি আল্লাহকে ভুলে যাও , তবে পুনরায় আমাকে স্মরণ করো , পরবর্তীতে নবীকে মনে করো এবং শেষে আল্লাহ ছাড়া বাকিসব ভুলে যাও । এভাবে আমৃত্যু চলতে থাকো , আশা করা যায় ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে এবং পরকাল মুক্তি নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ । এপথ ছাড়া পরকাল পাবার আর কোনো পথ নেই এবং এটাই সিরাতাল মুস্তাকিম ।
এবার আমার নিকট হতে ফরজ ওয়াজিব ও হালাল হারাম জানিয়া লও এবং এগুলো কিভাবে আমল করিবে তার পদ্ধতি জানিয়া লও । সত্যিকারের আলেম বা পীরের কাজই হলো এগুলো শিখাইয়া দেওয়া , বিশেষ করে নামাজের শরিয়ত ও মারেফাত শিখাইয়া দেওয়া । ইনশাআল্লাহ আমি প্রথমে নামাজ শিখাইবো , কারণ নামাজ ঠিক তো সব ঠিক । পৃথিবীতে নামাজ শিখানোর আর কাউকে তো দেখতেছি না । মহান আল্লাহ আমার পীর ওয়ায়েস কারনীর অছিলায় আমাকে নামাজ শিখাইয়াছেন , নামাজের মাধ্যমে আমি আল্লাহকে দেখতে পাই এবং আল্লাহর সাথে কথা বলে থাকি । তোমরা চাইলে আমি আল্লাহর ইচ্ছায় শিখাতে পারি ।
এখন তো পীরেরা গরু ছাগলের ব্যবসা করে , এরা নামাজের কিছুই জানে না । আহলে হাদিসরা তো নামাজে চরম অস্থির থাকে এবং নামাজের কিছুই জানে না । তাছাড়া পৃথিবীর কোনো আলেমই বা কোনো মানুষই নামাজ কি জানে না । নামাজ শিখতে চাইলে আমার সাথে নামাজ পড়ো এবং নামাজের ভিতরেও আমাকে তাজিম করো , কারণ সাহবীগণ তাদের নামাজে রাসুল সাঃ কে সর্বোচ্চ তাজিম করতেন । আর গরু ছাগলের ব্যবসা দ্বারা পরকাল মুক্তি হবে না , বরং মুরিদসহ পীর জাহান্নামে যাবে । আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন । আমীন ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৪
মোস্তাফিজুর রহমান জাকির বলেছেন: আল্লাহ কে পাইতে কোন পীর টির লাগে না । বিদায় হজের ভাষণে মোহাম্মদ সঃ বলে গেছেন দুটো জিনিস রেখে গেলাম কোরআন এবং হাদিস , এ দুটোকে তোমরা আক্রে ধর । আল্লাহ কে পাইতে কোন মাধ্যম লাগে না । বান্দাহ এবং আল্লাহর মাঝে কোন গ্যাপ নাই । মুত্তাকি দের জন্য আল্লাহ ই যথেষ্ট । তাছাড়া এই দেশে তো এখন কামেল পীর দুর্লভ যারা আছে তারা ব্যাবসায়ি । এই সব ব্যাবসায়ি ধান্দাবাজ পীর দের জন্য আল্লাহ বাম্বু নিয়া বসে আছেন ।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫১
নতুন বলেছেন: রাসুল সা: কখনো এমন গুপ্ত জ্ঞানের কথা বলেছেন?
এই মারেফত, হকিকত, তরিকত এসেছে রাসুল সা: এর মৃত্যুর অনেক পরে।
সৃস্টিকর্তা তার নিজের রুপে মানুষ সৃস্টিকরেছেন। তিনি মানুষের কলবে থাকেন। কলব জাগ্রত করলে সৃস্টিকতার সাথে যোগাযোগ করা যায়?
পীর কিছু জিকির সেখাবে, ধ্যান করে মনে হবে আপনি কিছু গায়েবী আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন?
এই গুলি অনেক সময়েই মানুষিক রোগের কারনে হয়ে থাকে।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
নতুন বলেছেন: আপনি আমার বক্তব্যে রেগে যাবেন অনেকেই বলবে আমি কিছুই জানিনা।
কিন্তু এমন গায়েবী আওয়াজ, সৃস্টিকতার সাথে যোগাযোগ, হাইয়ার পাওয়ারের সাথে অনেক ধমের অনুসারীর সাথেই হয়।
যদি সংস্কৃিতি মন্ত্র, বাইবেল, ত্রিপিটকের স্লোকে যদি একই ইফেক্ট মানুষ পায় তবে গায়বী আওয়াজ তো সব মন্ত্রেই সম্ভব।
একটু গবেষনা করুন বুজতে পারবেন সকল ধর্ম এবং সমাজেই এমন সৃস্টিকতার সান্ন্যিধ্যে আসার কাহিনি আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৩২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এভাবে আমি নবীর ওয়ারিশ , তাই আমাকে যত বেশি ভালবাসবে এবং তাজিম করবে , ততো বেশি রাসুল সাঃ এর নৈকট্য হাসিল করতে পারবে । পরিশেষে ততো বেশি মহান আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে পারবে । তাই আমি হলাম আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অছিলা বা মাধ্যম । আমাকে এবং নবীকে মাধ্যম মনে করো এবং আল্লাহকে গন্তব্য মনে করো ।
- আপনি নবীর ওয়ারিশ ! আপনি শিওর! নবীর ওয়ারিশ হিসেবে ওয়ারিশান কোনো সম্পত্তি আছে আপনার কাছে? আমার একটি ছোট্ট প্রশ্ন আছে - পীর হয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন কাজটি কতোটুকু হালাল?
থাকুন আপনিও ব্লগে থাকুন। ব্লগে এতোকিছুর মাঝে আপনার জায়গা হবে না তা অবিশ্বাস্য!