নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গনতান্ত্রিক সংঘ

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৪৯

বর্তমান পৃথিবীতে যতটুকু শান্তি বিদ্যমান , তার প্রায় পুরোটাই গনতান্ত্রিক চর্চার জন্য ( ইনশাআল্লাহ ) ।
গনতন্ত্র একটি পবিত্র জিনিস । ইউরোপ আমেরিকার অধিকাংশ গনতন্ত্রই পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় রাখছে। আর অন্যান্য যেসব দেশে নামে গনতন্ত্র আছে , কিন্তু কাজে স্বৈরাচার , সেসব দেশে যদি ইউরোপ আমেরিকার মানের গনতন্ত্র চর্চা হয় , তবে পৃথিবী সত্যিই অনেকটা শান্তির গ্রহে রুপান্তরিত হবে ইনশাআল্লাহ । পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গনতন্ত্রের দেশ ভারত । তারপরও ভারত বর্তমানে অনেকটা স্বৈরাচার, কারণ হিসেবে একটা উদাহরণই যথেষ্ট হবে যে , আর তা হলো কৃষক আন্দোলন । বর্তমান সরকার এই কৃষক আন্দোলনকে যেভাবে দমিয়ে দিলো তা অবশ্যই স্বৈরাচার সরকারের কাজ ।



আমার নিজ দেশ বাংলাদেশেও সামান্যতম গনতন্ত্র নেই , যা একটু দেখা যায় , তা বিদেশীদের সাহায্য সহযোগিতা পাবার জন্য । বর্তমানে বিএনপি গনতন্ত্র আদায়ের জন্য আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে । কিন্তু বিএনপির শক্তিশালী রাজনৈতিক ফিলোসোফি না থাকার কারণে , আমি মনে করি বিএনপি তেমন কোনো সফলতা অর্জন করতে পারবে না । ইসলামি দলগুলো ছাড়া অন্যান্য ডান বাম দলেরও তেমন কোনো শক্তিশালী ফিলোসোফি নেই , তাই তারাও ভালো করতে পারবে না । আর ইসলামি দলগুলো কর্মী সমর্থকদের জোর করে এনে আন্দোলন করবে , কারণ তাদেরও শক্তিশালী কোনো ফিলোসোফি নেই । বর্তমান সরকার যদি প্রশাসনকে শক্ত হাতে কন্ট্রোল করতে পারে , তাহলে বিএনপির এ আন্দোলন বিএনপির জন্য আত্মহত্যার সামিল হবে । অন্যদিকে ভারত সরকার এবং ভারতীয় বুদ্ধিজীবিরা আওয়ামিলীগকে নিরলস এবং অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাবে এবং বিভিন্নভাবে সাহায্য করে যাবে ।



তবে চীন এবং আমেরিকার কথামতো ভারত যদি বাংলাদেশে সঠিক নির্বাচনে চাপ প্রয়োগ করে , তাহলে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি বিএনপির অনুকূলে চলে আসবে , তখন বিএনপির আন্দোলন সফলতার মুখ দেখবে ইনশাআল্লাহ ।



কয়দিন পূর্বে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে বলেছে যে , যদি বাংলাদেশ চায় তাহলে জাতিসংঘ বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত । আমার ক্ষোভটা এখানেই । আমার মতে বিশ্বের যেখানেই গনতন্ত্র দুর্বল , সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীর মাধ্যমে প্রত্যেক জাতীয় নির্বাচন নিজ উদ্যোগে করে দেওয়া জাতিসংঘের অবশ্য কর্তব্য কাজ । বর্তমান বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ সেনা পুলিশের সমাবেশ ঘটিয়ে জাতিসংঘের নির্বাচন করে দেওয়া কর্তব্য । তবে চীন ও রাশিয়া একাজে জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত হতে নিরুৎসাহিত করবে । তাই আমি মনে করি রাশিয়া বাদে সকল গনতান্ত্রিক দেশ মিলে একটি "গনতান্ত্রিক সংঘ" তৈরি করুক । তাদের প্রধান কাজ হবে সকল দেশের নির্বাচন সুন্দরভাবে এবং অংশগ্রহণমূলকভাবে করে দেওয়া , আর একাজে বিদেশি সেনা পুলিশের বৃহৎভাবে কাজে লাগানো অবশ্য কর্তব্য । যেমন - ভারতের জাতীয় নির্বাচনে দশ - বিশ লাখ বিদেশি সেনা পুলিশের সমাবেশ ঘটিয়ে নির্বাচন করে দিতে হবে । তাছাড়া যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হয় , তাহলে সেখানেও গনতান্ত্রিক সংঘ সমানভাবে কাজ করে যাবে । তাই আমি গনতান্ত্রিক দেশসমূহকে আমন্ত্রণ জানাবো - আপনারা গনতান্ত্রিক সংঘ তৈরি করুন এবং বিশ্বকে অধিক নিরাপদ করুন ।



যদি গনতান্ত্রিক সংঘ তৈরি হয় , তাহলে গনতান্ত্রিক দেশে স্বৈরাচার শব্দটি যাদুঘরে স্থান নিবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় - বর্তমান আওয়ামিলীগ সরকার ভয় পায় যে , তারা যদি ক্ষমতায় আসতে না পারে , তাহলে রাস্তা ঘাটে বিএনপি জামাতের হাতে তাদের মরতে হবে অথবা জেলে গিয়ে পঁচে মরতে হবে । কিন্তু যদি শতভাগ বিশুদ্ধ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয় , তাহলে বিএনপি জামাত কখনোই এমন ভুল কাজ করবে না। কারণ মানুষ শান্তি চায় এবং শান্তিপূর্ণ ভোট দেখতে চায় । অপরদিকে বিএনপিও আন্দোলনের সহযোগী হিসেবে মৌলবাদী উগ্রবাদী এবং জঙ্গিবাদীদের সাথে সম্পর্ক গড়বে না ।



অতএব , জাতিসংঘই করুক আর গনতান্ত্রিক সংঘই করুক , বিশ্বে শান্তি চাইলে গনতন্ত্রের প্রসার লাভ আবশ্যক । তাছাড়া গনতন্ত্রের একটিমাত্র মৌলিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে , আর সেটি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা । রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতকেও যেমন ধর্মনিরপেক্ষ হতে হবে, তেমনি বাংলাদেশকেও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে । তবে দলীয়ভাবে নিজ ধর্মচর্চার অধিকার দিতে হবে , কারণ এটা না থাকলে পৃথিবী চরমভাবে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়বে ।



( ডাঃ আকন্দ ) ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জাতি সংঘ আপনার কথা শুনলে ভাল হয়।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

শুভ্র বিকেল বলেছেন: গণতন্ত্র হলো, শাসনব্যাবস্থার সবচে, নিকৃষ্ট ব্যাবস্থা। প্রতি নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়, রক্ত ঝরে বিনিময়ে যে সরকার পায় তা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৈরাশাসক। গণতন্ত্র কোথাও সুফল বয়ে এনেছে, এমন রেকর্ড নেই বরং পশ্চাদধাবনে তারা অগ্রগামী। যেমন ধরুন, আপনি উড়ন্ত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন, গণতন্ত্র আপনার পিছন ধরে স্বজরে পিছনে টানতে থাকবে, অনেক বানরের পিচ্ছিল বাঁশের মাথায় উঠার মত। গণতন্ত্র দু প্রকার, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ গণতন্ত্র। বিশ্বের কোথাও প্রত্যেক্ষ গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রকে অশিক্ষিতের শাসন বলা হয়। একজন অশিক্ষিত মানুষ আরেকজন অশিক্ষিত মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার নামই গণতন্ত্র। আপনি যে কাল্পনিক চিন্তা করেছেন যে জাতি সংঘ এসে নির্বাচন করে দিবে। একটা দেশ তার স্বায়াত্বশাসন কেন জাতিসংঘের হাতে তুলে দেবে? লক্ষ লক্ষ বিদেশী সৈন্য কেন মেনে নেবে? যদি সেই সৈন্য গিয়ে দেশ দখল করে? দেশ আমার, জনগণ আমার, নির্বাচন করবে কি না জাতিসংঘ? কোন দেশ তার সার্বভৌমত্বের উপর হুমকি আসুক তা মেনে নিবে না, আমরাও নিব না।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:০৪

ডাঃ আকন্দ বলেছেন: এটা শুধু সেই দেশের জন্য , যেখানে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ । আর যেখানে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই , সেখানে সৈন্য পাঠানোর প্রয়োজন নেই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.