নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৪১

শুরুতেই আমি রাসুল সাঃ এর জন্মদিন উপলক্ষে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি এবং দোয়া করছি মহান আল্লাহ তাকে যেনো জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করেন । অতঃপর মহান আল্লাহ সৃষ্টিজগতে যতো কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন , তার মধ্যে মহান আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয় বস্তু হলো - মুহাম্মদ সাঃ । পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তেই , যেসমস্ত লোক রাসুল সাঃ এর জন্মদিন উপলক্ষে উৎসব পালন করেন , আমি তাদের সাধুবাদ জানাই এবং তাদের জন্য পূর্ণ হেদায়েত কামনা করি । মহান আল্লাহ তাদেরকে কবুল করুন , আমীন ।



অসাম্প্রদায়িক বলতে একেকজন একেকটা বুঝেন । এমন অনেক মুসলিম আছেন , যারা একেবারেই নামাজ রোজা করেন না , তাদের নিকট অসাম্প্রদায়িকতা হলো - অন্য ধর্মের সাথে মিশে তাদের ধর্ম পালন করা এবং তারা বিশ্বাস করে এটাতে কোনো পাপ নেই । বাংলাদেশের অনেক ব্যাক্তিই এমন কাজ করে থাকেন । এই কাজ ইসলাম কোনোভাবেই অনুমোদন দেয় না । তারা অন্য ধর্মের লোকের সাথে মিলে মিশে তাদের ইবাদত পর্যন্ত করছে । যদি এটা কেউ করে থাকেন , তাহলে সে এখন আর মুসলিম নন । এমন কাজ ভারতে অনেক নায়ক নায়িকারা করে থাকেন , ফলে তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছেন । কবি নজরুলও কিছুটা এমন ছিলেন , এজন্য আমি তাকে পরিপূর্ণ মুসলিম মানতে পারি না ।



আমি মনে করি ভারত যতদিন না পরিপূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ হয় , ততদিন মুসলমানরা কিছু কষ্ট করুক , কিন্তু হিন্দুদের সাথে গিয়ে মুসলমানরা পূজা অর্চনা করবে , যেটা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী কাজ এবং এটা ইসলাম কখনো অনুমোদন দেয় না । তবে পূজা দেখতে যাওয়া বড়ো অপরাধ না।



তাহলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বা অসাম্প্রদায়িকতা কি জিনিস , আমার নিকট অসাম্প্রদায়িকতা হলো যার যার ধর্ম সে পালন করবে এবং স্বাধীনভাবে পালন করবে , কোনোরকম বাধা বিপত্তি ছাড়াই । প্রয়োজনে একজন অন্যজনের নিকট যাবে এবং সে ব্যাক্তি কোনোরকম হয়রানি ছাড়াই প্রয়োজন মিটিয়ে দিবে , তবে অবশ্যই ধর্মকে মান্য করে । এছাড়া কেউ কারো সাথে অধিক সখ্যতা গড়ে তুলবে না । আর এতেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ ।



আজকে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক হানাহানি দেখা দিয়েছে , তা কিছুটা ভারতের সরকারি দলের মুসলিম বিদ্বেষী রাজনীতির জন্য । তারা যেভাবে মুসলিম বিদ্বেষী তথা বাংলাদেশ বিদ্বেষী রাজনীতি করে , বাংলাদেশের বর্তমান কর্মকান্ড , কিছুটা তার প্রতিফল ।



আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি , বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা যে শ্রদ্ধা সম্মান ও অধিকার পায় , তা পৃথিবীর কোনো দেশেই পায় না । আপনি বর্তমান সরকারের প্রশাসনের দিকে তাকালেই প্রমাণ পেয়ে যাবেন এবং অনেক ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুরাই বাংলাদেশে রুলিং করে , তাছাড়া তারা অনেক ক্ষেত্রেই বেশি অধিকার লাভ করে থাকে । যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হিন্দু অধ্যাপক অকপটে স্বীকার করেছেন ।



সে যাইহোক , সরকারের কর্তব্য হচ্ছে - সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা । কোনো দেশে যদি সংখ্যালঘুরা বেশি অধিকার লাভ করে , তাহলে সেদেশেও দাঙ্গা লাগার সম্ভাবনা দেখা দেয় । এজন্য সরকারকে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং ন্যায়ভাবে পদোন্নতি দিতে হবে এবং অন্যায়ভাবে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না । তাছাড়া সবার জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা কায়েম করুন । মৌলবাদী উগ্রবাদী এবং জঙ্গিবাদীদের সমূলে ধ্বংস করুন । গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন । গনতন্ত্র এবং মৌলবাদ উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ একসাথে থাকতে পারে না । যারা গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে চায় , তাদেরকে নিষিদ্ধ করুন । রাষ্ট্রে ধর্ম প্রতিষ্ঠা এবং গনতন্ত্র একসাথে থাকতে পারে না ।



রাষ্ট্রে সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করুন এবং নাস্তিকদের জন্যও সমান অধিকার নিশ্চিত করুন । তবে নাস্তিকরা যাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে না পারে , সেদিকে সর্বোচ্চ লক্ষ্য রাখুন । ধর্মীয় অনুভূতিতে সবচাইতে বেশি আঘাত করে আহলে হাদিসরা , এজন্য আমি সরকারের নিকট আবেদন জানাবো , এই আহলে হাদিসদের কথা বলা একেবারে নিষিদ্ধ করুন । আমি মনে করি আহলে হাদিসদের একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া উচিত , তবে কেউ আইন হাতে তুলে নিবেন না , এটা সরকারের দায়িত্ব । আহলে হাদিসরা এতটাই জঘন্য যে , তারা সারা দিনরাত্রি শুধু অপরের দোষ ত্রুটি খোঁজে বেড়ায় , যেটা সরাসরি অপরের অনুভূতিতে আঘাত হানে । পৃথিবীর সকলেই কখনও একমত হবে না এবং ভিন্নমত থাকবেই , তাই ভিন্নমতকে মানতে হবে এবং শ্রদ্ধা করতে হবে , তাহলেই পৃথিবীতে শান্তি আসবে । তাছাড়া সব ইসলামিক দলেরই কিছু না কিছু ভিত্তি আছে , তাই কারো বিরুদ্ধে কিছু বলার পূর্বে একশোবার ভাবতে হবে এবং সরকারকে এটাই নিশ্চিত করতে হবে ।



কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে , তা সম্ভবত উগ্রবাদী রাজনৈতিক কোনো প্রচেষ্টা এবং এটা কোনো বিপথগামী মুসলমানের কাজ হওয়ারই সম্ভাবনা । এই ঘটনার পর হিন্দুদের উপর আক্রমণ কিছুটা রাজনৈতিক । আমি সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি , উভয় ঘটনারই প্রকৃত তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করুন । হিন্দুদের উপর আক্রমণ যেমন ইসলাম সমর্থন করে না , তেমনি মুসলমানদেরকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যাও ইসলাম সমর্থন করে না । গুলিগুলো কোমরের নিচে করা যেতো । কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করলে , সে আর মুসলমান থাকে না । এজন্য আমি বলবো সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুন । কারো প্রতি বেশি ঝুঁকে যাবেন না , এটা ন্যায়ের বিপরীত ।



( ডাঃ আকন্দ ) ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: জাগতিক আর মনস্ত্বাতিক স্বাধীনতা এই দুইয়ের মাঝে পার্থক্য করতে পারি না বলেই, জাগতিক স্বাধীনতার আদলে মনস্ত্বাতিক দাসত্বকে আমরা নিজেদের অজান্তেই বয়ে বেড়াই।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বে হাজার দরকারী বিষয় আছে, সেসব বাদ দিয়ে এই অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে এত মাথা ব্যথা কেন?
ধর্মের কারণেই তো ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ায় কোটি কোটি মানুষকে মারছে।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৭

বিটপি বলেছেন: পূজা দেখতে যাওয়া যদি সরকারী দায়িত্বের মধ্যে না পড়ে, তাহলে অবশ্যই তা হারাম। যে স্থানে হারাম কাজ হয়, সেখানে যাওয়াও হারাম। আপনি কিসের ভিত্তিতে দাবি করেন যে পূজা দেখতে যাওয়া, বা সেখানে গিয়ে নাচানাচি করা কোন বড় অপরাধ নয়?

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দেন না কেন?

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:৫৭

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: ##রাজীব নুর

ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ায় ধর্মের জন্য নয় সাম্রাজ্যবাদের চিরাচরিত আধিপত্যের প্রতিষ্ঠা ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করার যুদ্ধ ও মানুষ হত্যা হয়েছে সেখানে।

***ইসরাইল রাষ্ট্রের ফিলিস্তিনিদের উপর করা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের জন্য সাদ্দাম ইসরাইল বিরোধী হয়ে ওঠে। এছাড়া আঞ্চলিক আধিপত্যের প্রশ্নে ইসরাইলের বাঁধা হয়ে উঠেছিল ইরাকের সাদ্দাম হোসেন। ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদের হুমকি হয়ে ওঠা সাদ্দামকে সরিয়ে ইসরাইলকে সমর্থন দেয়।

***সিরিয়ার বাশার আল আসাদ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্যের বিরোধী রাষ্ট্রনায়ক। ইসরাইল বিরোধী। কিন্তু যুদ্ধে তাকে পরাজিত করতে না পারার কারণ রাশিয়ান ফেডারেশনের মিত্র পক্ষরা তাকে সমর্থন করে। মার্কিন-ইসরাইলী সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আসাদকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এখনো যুদ্ধ চালাচ্ছে। যুদ্ধের ফলাফলে মানুষ মরছে।

***২০১৬ সালের হিলারি ক্লিনটনের ইমেল প্রকাশের (গোপন ইমেইল ফাঁস হয়ে যায়) জন্য ধন্যবাদ যে লিবিয়ায় ন্যাটোর (মার্কিন নেতৃত্বাধীন সসস্র জোট) প্রবেশের কারণ প্রকাশ করা হয়েছিল। এটি ছিল আফ্রিকায় একটি স্বাধীন হার্ড কারেন্সি তৈরি রোধ করা যা মহাদেশকে ডলার, IMF এবং ফ্রেঞ্চ আফ্রিকান ফ্রাঙ্কের অধীনে অর্থনৈতিক বন্ধন থেকে মুক্ত করবে। সেই হার্ড কারেন্সি আফ্রিকাকে ঔপনিবেশিক শোষণের শেষ ভারী শৃঙ্খলকে ঝেড়ে ফেলতে দেবে।

কিন্তু এটি মার্কিন-ন্যাটো বাহিনী সেচ ব্যবস্থায় বোমাবর্ষণের আগে এবং দেশটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। প্রেসিডেন্ট ওবামার মেয়াদকালে, লিবিয়ার মাটিতে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে তিনি তার উপদেষ্টাদেরকে লিবিয়ায় একটি নতুন সামরিক ফ্রন্ট সহ বিকল্পগুলি তৈরি করতে বলেছিলেন। প্রতিরক্ষা বিভাগ "প্রয়োজনীয় সামরিক অভিযানের সম্পূর্ণ বর্ণালী" নিয়ে প্রস্তুত ছিল বলে জানা গেছে।

২০১১ সালের অক্টোবরে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের লিবিয়ায় সংক্ষিপ্ত সফরকে মিডিয়া "বিজয়ের কোল" বলে উল্লেখ করেছে।

"আমরা এসেছি, আমরা দেখলাম, তিনি মারা গেছেন!" লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফিকে বন্দী ও নৃশংস হত্যার কথা শুনে তিনি একটি সিবিএস ভিডিও সাক্ষাত্কারে ভিড় করেছিলেন।

একটি 'উৎস মন্তব্যে', ​​মূল ডিক্লাসিফাইড ইমেল যোগ করা হয়েছে:

"জ্ঞাত ব্যক্তিদের মতে এই পরিমাণ স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য $7 বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। বর্তমান বিদ্রোহ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফরাসি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এই পরিকল্পনাটি আবিষ্কার করেছিলেন, এবং এটি এমন একটি কারণ যা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির ফ্রান্সকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছিল। প্রেসিডেন্ট লিবিয়া আক্রমণ করেন।

এবার বুঝা যাচ্ছে কেন ইরাকে, সিরিয়ায় ও লিবিয়ায় অগনিত মানুষ মরেছে ও মরছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.