নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহর নামে

ডাঃ আকন্দ

একজন চিকিৎসক ।

ডাঃ আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বক্তৃতা দেওয়ার নিয়ম

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:১০

মহান আল্লাহ আল কোরানের ৩১ নম্বর সুরা , সুরা লোকমানের ১৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন - “আর তোমরা চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো , তোমার আওয়াজ নিচু করো ; নিশ্চয়ই সবচাইতে নিকৃষ্ট আওয়াজ হলো গাধার আওয়াজ” ।



প্রিয় বিশ্ববাসী, হাদিসে রয়েছে হজরত মুহাম্মদ সাঃ হলেন জীবন্ত কোরান । আর উপরের আয়াতে রয়েছে , মহান আল্লাহ লোকমান হাকিম এর উপদেশ নিজের করে বর্ণনা করেছেন যে , আওয়াজকে নিচু করো । কিন্তু রাসুল সাঃ অনেক সময় উঁচু স্বরে বক্তৃতা করেছেন । এর কারণ হলো ওজর , রাসুল সাঃ এর জামানায় মাইকের ব্যবস্থা ছিলো না , তাই বৃহৎ সমাবেশে রাসুল সাঃ উচ্চ স্বরে কথা বলেছেন । তাছাড়া কোনো কোনো সময় অন্যায়কে দমন করার জন্য উচ্চ স্বরে কথা বলেছেন। তবে বেশিরভাগ সময়েই রাসুল সাঃ নিচু আওয়াজে কথা বলেছেন । আর এটাই মহাসত্য ।



এখন কেউ একটি উঁচু স্বরের বক্তৃতার হাদিস বর্ণনা করে বলবে রাসুল সাঃ উঁচু স্বরে বলেছেন , আমরাও সর্বদা বলবো , তাহলে সে সুস্পষ্ট পাপকাজ করলো । এখনতো দেখা যায় - বক্তারা কথা বলার সময় জিদ হিংসা মিশ্রিত করে চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলে , আবার কেউ লাফিয়ে উঠে বা গলা ভেঙে ফেলে , বিশেষ করে আহলে হাদিসের কিছু বক্তা জিদ হিংসা মিশ্রিত করে সর্বদা বক্তৃতা করে । এটা সুস্পষ্ট হারাম, কারণ এতে মানুষের মন ভেঙে যায় এবং এটা সুন্নতের পরিপন্থী । আরে মূর্খের দল - আরবি শব্দের অর্থ জানলেই কোরান হাদিসের অর্থ বুঝা যায় না । এই মূর্খের দল বলে সবাই কোরান হাদিসের অর্থ পড়ে নিজে বুঝে আমল করবেন এবং অন্যদেরকে দলীল দেখাবেন । মূর্খের একটা সীমা থাকা দরকার ।



কোরান হাদিসের অর্থ বুঝতে চাও , প্রথমে ২০ বছর , সারা জমিন তন্ন তন্ন করে খুঁজে অস্থির হও এবং একজন হক সুফির খোঁজ করো, যদি পাও , তবে পরবর্তী ২০ বছর সেই সুফির পদতলে জীবন সঁপে দাও , তবেই তুমি কোরান হাদিসের অর্থ বুঝতে পারবে । এখনতো প্রকাশ্যে সারা পৃথিবীতে কোনো হক আলেম নেই । অথচ শব্দার্থ জানা আলেমের জন্য পৃথিবীতে পা ফেলানোর জায়গা নেই । কোটি কোটি শব্দার্থ জানা আলেম । মারেফাত জানা তো দূরে থাক , মূর্খরা বলে ইসলামে মারেফাত নাই । এটা সুস্পষ্ট কোরান হাদিস গোপন করা ।



অন্যদেরকে আর কি বলবো , অনেক আলেম নিজেদেরকে হক সুফিদের অনুসারী হিসেবে বলে , অথচ হাদিস শোনায় নির্জনবাসে যাওয়া জায়েজ নাই । হে আল্লাহ এদেরকে ধ্বংস করো , কারণ এরাও শব্দার্থ জানা মৌলভী । হে আল্লাহ তোমার সাথে তোমার প্রেমিকরা নির্জনে প্রচুর ইবাদত ও ধ্যান করে তোমার সাথে প্রেম করবে , এটা নাকি পাপ । আল্লাহ আমার অন্তর আত্মা ছিদ্র হয়ে গেছে । এরা কি ইমাম গাজ্জালী রঃ কে পড়ে নাই , তাহলে কিসের হক সুফির অনুসারী । এরা ধ্বংস প্রাপ্ত । ইমাম শাফেয়ী রঃ বলেছেন - কেউ যদি বিয়ে ছাড়া থাকতে পারে , তবে তার বিয়ে করা জায়েজ নাই । কারণ মানুষের প্রধান কাজ ইবাদত করা ।



যাইহোক বক্তৃতা করার সময় ৮০ ভাগ চেষ্টা করবে নিচু স্বরে কথা বলার এবং প্রয়োজনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলার সময় স্বর উঁচু করবে , তবে তা যেনো ২০ ভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে । এটাই সুন্নত । কিন্তু জ্ঞানীরা নিচু স্বরে বলাটাই উত্তম মনে করেন । তুমি ১০০ ভাগ উঁচু স্বরে বক্তৃতা করো , তাহলে তুমি নফ্সকে খোদা বানালে ( নাউজুবিল্লাহ ) ।



( মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।




মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.