| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অস্ত্রের দিক দিয়ে রাশিয়া একটি বিশাল শক্তিশালী রাষ্ট্র । এক রাশিয়ার সাথে যদি পুরো ইউরোপ যুদ্ধ করে , তাহলে পুরো ইউরোপের জন্য তা হবে আত্মহত্যার শামিল । আত্মহত্যা সাধারণত , যাদের বুদ্ধি শয়তান দ্বারা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় , তারা করে । শুধু যে এমন মানুষ হয় , তা না , এমন রাষ্ট্রও হয় । এমন একটি রাষ্ট্রের নাম উত্তর কোরিয়া । উত্তর কোরিয়া জানে যুদ্ধ হলে তার সকল শত্রুদের সামান্য অংশ ধ্বংস হবে । কিন্তু তবুও সর্বদা যুদ্ধের জন্য উদগ্রীব । উত্তর কোরিয়া জানে যুদ্ধ হলে পুরো উত্তর কোরিয়া ধ্বংস হবে , কিন্তু তাদের দর্শন হলো , আমার শত্রুদের সামান্য অংশ ধ্বংস করে তারপর আমরা সবাই মরবো। এটা একটা মানসিক রোগ এবং আত্মহত্যা । স্বৈরশাসকরা সাধারণত সুস্থ মনের অধিকারী হয় না ।
ইউরোপ দিন দিন শিশু হচ্ছে । তারা যৌনতার স্বাধীনতা দিচ্ছে , অথচ চোর ডাকাত হত্যাকারীদের শাস্তি দিচ্ছে । আরে ভাই চোর ডাকাত হত্যাকারীও তো মনের স্বাধীনতা প্রকাশ করছে । তাহলে সেখানে দ্বিচারিতা কেনো । আসলে তোমাদের মনের স্বাস্থ্য ঠিক নেই । চরম সত্য হলো যৌনতার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়া হত্যার চেয়েও বড়ো অপরাধ। ইউরোপের দ্বিতীয় মানসিক রোগ হলো , ফিলিস্তিনের ব্যাপারে দ্বিচারিতা । কিছু দেশ অনেক ভালো , কিন্তু অধিকাংশ দেশ শয়তান ইসরায়েলকে জান প্রাণ দিয়ে ভালবাসে এবং সর্বোচ্চ অপরাধ , জাতিগত নিধনে ইসরায়েলকে সবদিক দিয়ে সাহায্য করে । ইউরোপের শিশু রাজনীতির আরেকটি উদাহরণ হলো মৃত্যুদন্ড না দেওয়া । তাহলে যুদ্ধ করতে চাও কেনো ? যুদ্ধ মানেই তো মৃত্যু । তোমাদের দর্শন অনুযায়ী যুদ্ধে মানুষ না মেরে যুদ্ধ করা । প্রিয় ইউরোপ এমন দর্শন দিয়ে যুদ্ধ মানে মানসিক বৈকল্য । অর্থাৎ অপরাধ অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড না দেওয়া চরম মূর্খতা এবং অনেক বড়ো অন্যায় । হত্যাকারীকে হত্যা না করা রাষ্ট্রের জন্য সবচাইতে অপরাধ ।
প্রিয় ইউরোপ , কথাগুলি একজন মহাজ্ঞানীর গভীর ক্ষতের বহিঃপ্রকাশ । সেই মহাজ্ঞানী তোমাদের দেশে এসে মানুষকে জ্ঞান শিক্ষা দিতে চায় । অথচ তোমরা তাকে আসতে চতুর্দিক দিয়ে নিরুৎসাহিত করছো । তিনি আসলে যদি , ইউরোপের প্রায় সবাই মুসলমান হয়ে যায় , তাহলে ক্ষতি তো হবেই না , বরং প্রায় সবাই অনন্তকাল স্বর্গে বাস করবে ইনশাআল্লাহ । এর চাইতে ভালো কিছু হতেই পারে না । তোমরা ইবলিশ এবং তাগুতকে দেখো না । যদি দেখতে , তাহলে সেই মহাজ্ঞানীকে হাতে পায়ে ধরে তোমাদের দেশে জায়গা দিতে । আর তিনি তোমাদের সবাইকে শয়তান ও তাগুতকে চিনাতেন ।
প্রিয় ইউরোপ , রাশিয়া একটি গনতন্ত্রহীন রাষ্ট্র । যদিও নামে গনতন্ত্র । অতএব গনতন্ত্রহীন রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ করা চরম মূর্খতা এবং শিশুদের মতো জ্ঞানীর পরিচয় দেওয়া । এজন্য ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা জ্ঞানীর কাজ, আশা করি ইউরোপ সেটি করবে । যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আলোচনা করে রাশিয়াকে ছাড় দিয়ে দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করুন । ক্ষমতাধর এবং গনতন্ত্রহীন রাষ্ট্রের ১০০ বিলিয়ন ডলার অন্যকে দিয়ে দিবেন , এটা আত্মহত্যার শামিল। রাশিয়া শক্তিশালী রাষ্ট্র , তাই তাকে ছাড় দিতেই হবে । তবে আপনারা ভবিষ্যৎ ইউক্রেনকে নিরাপদ করার জন্য সর্বোচ্চ উপায় বের করতে পারেন ।
ইউরোপকে শিশু রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে । যৌনতার স্বাধীনতা বন্ধ করতে হবে । মৃত্যুদন্ড দিতে হবে । যেখানে শক্তিতে কুলাবে , সেখানে মানবাধিকারের প্রশ্নে যুদ্ধ করতে হবে । তবেই ইউরোপ অনন্য শক্তিশালী সংগঠন হবে ইনশাআল্লাহ। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ তোমাদেরকে ভালবাসবে এবং তোমাদের আনুগত্য করবে ইনশাআল্লাহ । বিশ্বশান্তিতে তোমাদের অবদান হবে সর্বোচ্চ ইনশাআল্লাহ । আর উপরোক্ত আলোচনার প্রধান কারণ হলো - এখনো অধিকাংশ ইউরোপীয় মানুষের হৃদয় অনেকটা সাদা । যা পৃথিবীর অন্য অংশের মানুষের নেই , বিশেষ করে মুসলমানদের তো মোটেই নেই । বর্তমানে এশিয়া আফ্রিকার মুসলমানদের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে , এদের মন অন্য সবার চাইতে বেশি কালো ।
প্রিয় ইউরোপ , তুমি যখন ভালো কাজের নিয়ত করবে , তখন তাগুত তা জেনে যায় এবং তাতে তাগুত হাজারো বাধা দেয় । এই বাধাকে তুমি আল্লাহর কাজ মনে করো না । তাগুতকে এই শক্তি দেওয়ার কারণ অনেক এবং এটা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অংশ । আধ্যাত্মিক জ্ঞান চাইলে , সেই মহাজ্ঞানীকে ডাকতে হবে এবং তার সাহচর্য গ্রহণ করতে হবে । তবেই তো পৃথিবীতে শান্তি আসবে ইনশাআল্লাহ । মহান আল্লাহ সবাইকে সঠিক জ্ঞান দান করুন । আমীন ।
( মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ইউরোপ দিন দিন শিশু হচ্ছে । তারা দিচ্ছে ,
............................................................................................
আমাদের মতো মুনাফেকি করে না ,
পড়শীর সম্পদ নিয়ে যায় না
মবতন্ত্র চালায় না ।
গোপন পতিতা বৃত্তির চেয়ে যৌনতার স্বাধীনতা
তুলনামূলক ভালো ।