নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়সমূহ - ১২

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

যুক্তরাষ্ট্র বনাম নিক্সন [৪১৮ ইউ এস ৬৮৩ (১৯৭৪)]
যুক্তরাষ্ট্র -- আবেদনকারী
রিচার্ড এম নিক্সন এবং অন্যান্য -- রেসপন্ডেন্ট
রায় ঘোষণার তারিখ: জুলাই ২৪, ১৯৭৪
প্রধান বিচারপতি ওয়ারেন ই বার্জার সর্বসম্মত রায় প্রদান করেন।


মামলার বিবরণ
ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মামলার উদ্ভব। ওয়াশিংটন ডি সি তে অবস্থিত ওয়াটারগেট বিল্ডিঙে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রধান কার্যালয় থেকে কিছু কাগজপত্র চুরি হয়। ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নিক্সন ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জর্জ ম্যাক গভার্নের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রধান কার্যালয় থেকে কাগজপত্র চুরির ঘটনাটা তদন্ত করছিলেন স্পেশাল প্রসিকিউটর লিওন জাউয়ারস্কি। তিনি তদন্তের স্বার্থে সমন পাঠালে, প্রেসিডেন্ট নিক্সন এই সমনগুলি বাতিল করার জন্য বলেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট নিক্সন আগের স্পেশাল প্রসিকিউটর আর্চিবল্ড কক্স এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এলিয়ট রিচার্ডসনকে বরখাস্ত করেন, যা স্যাটারডে নাইট ম্যাসাকার (Saturday Night Massacre) নাম কুখ্যাত।

যারা ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রধান কার্যালয় থেকে কাগজপত্র চুরি করেছিল, তাদের সাথে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কথাবার্তার টেপ এবং কাগজপত্র স্পেশাল প্রসিকিউটরের কাছে নিয়ে আসার জন্য এই সমনগুলি জারি করা হয়েছিল। এটা বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল, এই টেপ এবং কাগজপত্র স্পেশাল প্রসিকিউটরের কাছে হাজির করলে, তা প্রেসিডেন্ট নিক্সন এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিপক্ষে যাবে। প্রেসিডেন্ট নিক্সন আংশিক ভাবে সামনের আদেশ পালন করেন। তিনি কিছু কিছু টেপকে সম্পাদনা করে এবং কাটছাঁট করে খণ্ড অংশ স্পেশাল প্রসিকিউটরের কাছে হাজির করেন। তা ছাড়াও তিনি ফেডারেল কোর্টে আবেদন করেন, যেন এই সমনগুলি বাতিল করা হয়। কারণ সমনে যা উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে, তদন্তের জন্য তার কোন প্রয়োজন নাই এবং প্রেসিডেন্টের নির্বাহী বিশেষাধিকার (executive privilege) আছে এই সমন না মানার।

বিচার্য বিষয়
(১) নির্বাহী বিশেষাধিকার (executive privilege) প্রয়োগ করে, কোন তথ্যকে গোপন করার অধিকার কি প্রেসিডেন্টর আছে এবং তিনি কি বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনা থেকে সুরক্ষিত?


রায়
প্রধান বিচারপতি ওয়ারেন ই বার্জার সর্বসম্মত রায় প্রদান করেন।

বিচার্য বিষয়ের উত্তর--না। নির্বাহী বিশেষাধিকার (executive privilege) প্রয়োগ করে, কোন তথ্যকে গোপন করার অধিকার প্রেসিডেন্টর নাই এবং তিনি বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনা থেকে সুরক্ষিত নন।
ক্ষমতার বিভাজন নীতির (doctrine of separation of powers) আলোকে, অথবা গোপনীয়তার সাধারণ প্রয়োজন ছাড়া প্রেসিডেন্টের বিশেষাধিকার চূড়ান্ত বা শর্তহীন না। সামরিক এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্র ছাড়া প্রেসিডেন্টের বিশেষাধিকার সীমিত। তা ছাড়া ন্যায়বিচারের (fair administration of justice) জন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগের নীতি (due process of law) সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং প্রেসিডেন্ট অবশ্যই সমনের নির্দেশ পালন করে টেপ এবং দলিলপত্র স্পেশাল প্রসিকিউটরের কাছে হাজির করবেন। টেপ স্পেশাল প্রসিকিউটরের কাছে হাজির করার অল্পক্ষণ পরেই প্রেসিডেন্ট নিক্সন পদত্যাগ করেন।


বিশ্লেষণ
এই রায়ের মাধ্যমে --
১. প্রেসিডেন্টের নির্বাহী বিশেষাধিকার (executive privilege) প্রয়োগের ক্ষেত্রকে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.