নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
একটা সাধারণ মানের চাইনিজ স্মার্ট ফোনের চাইতে নিম্নমানের একটা মেশিনকে নারীর আকৃতির একটা কেসে ভরে সুফিয়া নাম দিয়ে প্রথমে নেয়া হল পৃথিবীর নিকৃষ্টতম স্বৈরশাসকের দেশ সৌদিতে। সুফিয়া নামের যন্ত্রটাকে এর নির্মাতা ডেভিড হ্যানসন সৌদিতে নিয়ে গেয়েছিল পয়সা কমানোর ধান্দায়। বিনিময়ে সৌদি স্বৈরশাসকদের ভাবমূর্তি কিছুটা উজ্জ্বল করতে। স্বৈরশাসক একটা মেশিনকে মানুষের মর্যাদা দিয়ে নাগরিকত্ব দিয়ে দিল। বিশেষ কোন কূটনৈতিক কারণ ছাড়া সাধারণ ভাবে সৌদিরা কোন মানুষকে নাগরিকত্ব দেয় না।
এরপর সুফিয়ার নির্মাতা চিন্তা করলেন কোথায় গেলে আরো কিছু কামান যাবে। তিনি সহজেই খুঁজে পেলেন আরেকটা নিকৃষ্ট স্বৈরশাসকের দেশ। যে দেশের মিডিয়া স্বাধীন স্বাধীন ভাব করে নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছে স্বৈরশাসকের কাছে । যেই মিডিয়া দিনের পর দিন লেখে, "সুফিয়া মা হতে চায়", "সুফিয়া সংসার চায়" । যে মিডিয়া বিতর্কে লিপ্ত হয়, "সুফিয়া ওড়না পরবে, না পরবে না?"; যে মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করে, "সুফিয়া এখন পাঁচ তারকা হোটেলে বিশ্রাম নিচ্ছে" .
সুফিয়া নামের যন্ত্রটাতে কয়েকটা সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে, যা এখন সাধারণ মানের স্মার্ট ফোনেও পাওয়া যায়।
১. চাটবোট (Chatbot, talkbot, chatterbot, Bot, IM bot, interactive agent, or Artificial Conversational Entity) নামের একটা প্রোগ্রাম। যা আপনি আপনার স্মার্ট ফোনেও পাবেন।
২. ফেসিয়াল রেকগনেশন সিস্টেম বা সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার আপনি স্যামসাং, আইফোন এবং অবশ্যই চাইনিজ ফোনে পাবেন।
৩. ভয়েজ রেকগনেশন সফটওয়্যার। এটাও সব স্মার্ট ফোনে পাবেন।
৪. ভিজুয়াল ডাটা প্রসেসর। যন্ত্রটা যে কোন প্রশ্নকে ভয়েজ রেকগনেশনে প্রসেস করে, এর সম্ভাব্য উত্তরের মধ্যে কোন ধরণের ইমোশনাল শব্দ আছে, সেই উপযোগী অভিব্যক্তি প্রকাশ করা।
এই চারটা জিনিসকে সমন্বয় করা এর নির্মাতার সাফল্য। সফটওয়্যার গুলি ভবিষ্যতে যত উন্নত হবে তো উন্নত যন্ত্রপাতি মানুষের কল্যাণে বানান হবে। এই সফটওয়্যারগুলি শুধুমাত্র স্মার্টফোনে না, এইগুলি জাতীয় নিরাপত্তা, সামরিক বাহিনী, শিল্পউৎপাদন ইত্যাদি নানা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে স্বৈরশাসকরা, তার ক্রীতদাস মিডিয়া এবং ধান্ধাবাজরা এইগুলি নিয়ে ধান্ধাবাজী করতেই থাকবে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
সফটওয়্যারগুলি নিয়ে যদি আলোচনা করেন, তা হলে আমার মত পাঠকদের উপকার হবে।
বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের জায়গায় রাখাই ভাল। কল্পবিজ্ঞান বানানো ঠিক না।
"একদিন রোবট মানুষকে মেরে ফেলবে"; "রোবটের দ্বারা মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে" এই জাতীয় কথা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
রোবট বা কোন যন্ত্র মানুষের চেয়ে বড় হতে পারবে না। এটা দৃঢ়ভাবে মানুষকে বিশ্বাস করতে হবে।
এই রোবট বা যন্ত্রকে চিরকালই মানুষ চালাবে।
মানুষ যে ভাবে এটাকে প্রোগ্রাম করবে, সে ভাবেই এটা চলবে।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আরো আছে। এক চামচা সাংঘাতিক নাইমুল ইসলাম খান বলেছেন, সোফিয়া রোবট নাকি শেখ হাসিনার মুখের আদলের মত...
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমি কারো নাম উল্লেখ করতে চাই না।
এরা মানুষিক ভাবেই পরাধীন।
মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য শারীরিক ভাবে অন্যের অধীনস্থ হয়।
কিন্তু এরা শারীরিক এবং মানুষিক উভয় ভাবে অন্যের অধীনে নিজেকে ন্যস্ত করেছে।
যখন মানুষ মানসিকভাবে অন্যের অধীনস্থ হয় তখন কি বলছে, কি করছে তা তারা বুঝতে পারে না।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অবশ্যই এর পিছনে ভিন্ন এক উদ্দেশ্য আছে।। না হলে হঠাৎ করে এতটাকা খরচ করে সোফিয়াকে দাওয়াত দেয়র কারন না থেকে পারেই না!!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
উদ্দেশ্য তো থাকতেই হবে।
প্রতিটা কাজের পিছনেই এক বা একাধিক উদ্দেশ্য থাকে।
প্রশ্ন হচ্ছে উদ্দেশ্যটা খারাপ না ভাল?
আপনার কি মনে হয়?
কি উদ্দেশ্য একটা যন্ত্র নিয়ে এত মাতামাতির?
এটা কি মূর্খ লোকের অজ্ঞতা, না ধুত লোকের চালাকি? কি মনে হয়?
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অজ্ঞতা নিয়ে কিন্তু এতটা বাড়াবাড়ি হয় না।।
সুতরাং বাকি থাকলো ধূর্ততা।। এটাই থাক আমার মনের কথা হয়ে
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৭
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে মেশিন বা যন্ত্র ভীতি কাজ করে।
দেখবেন একজন হয়তো অনেক দাম দিয়ে একটা মোবাইল কিনেছে; কিন্তু কি টিপতে কি টিপে ফেলবে এই ভয়ে দুইএকটা অপশন ছাড়া আর কিছু ব্যবহার করছে না।
এরমধ্য যদি মেশিন নিয়ে এই ধরণের বালখিল্যতা করে, তা হলে আমরা আরো পিছিয়ে যাই।
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০৬
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সোফিয়া হচ্ছে মানুষের রোবট সম্পর্কে কল্পনার এক্সপ্লয়টেশন করে খুব চতুরভাবে তৈরী একটি পাপেট বা পুতুল | সে তার বিশাল ডাটাবেস থেকে প্রগ্রাম্ড উত্তর দিয়ে থাকে, কখনই নিজে চিন্তা করে কোনো উত্তর দিতে পারে না | চিন্তা-চেতনার কোনো ক্ষমতাই তার নেই যা মানুষ বা এমনকি উন্নত প্রাণীরও আছে | সৌদি হিপোক্রেসি যেখানে সেদেশের সেবায় নিয়োজিত লক্ষ লক্ষ বিদেশী শ্রমিককে কখনোই সে দেশের নাগরিকত্ব দেয় না, সেখানে সোফিয়ার মতো একটি তোতাপাখিকে নাগরিকত্ব দেয়া সৌদি রাজতন্ত্রের ক্রমাগত নিম্নগামিতা এবং দেউলিয়াত্বই প্রমান করে |
রাজাবাদশা থাকলে যেমন তাদের চাটুকারদেরও অভাব হয় না, সৌদি স্বৈরশাসকদেরও তেমনি চাটুকার খুঁজতে আটলান্টিক পাড়ি দিতে হয় নি | তার নিজের মহাদেশেই পেয়ে গেছে খুব বিশ্বস্ত মোসাহেব বা পদলেহনকারীকে | তাদের স্বনামধন্য, স্বরণীয়-বরণীয় সোফিয়াকে তাই পাঠিয়ে দিয়েছে সে ধান্দাবাজ চক্রের সেবা করতে - বাংলাদেশে |
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। আমি এই কথাটাই বলতে চেয়েছি।
প্রথম কথা--মেশিনের কৃত্রিম ভাবে বা স্বাভাবিক ভাবে অর্থাৎ কোন ভাবেই চিন্তা করার কোন ক্ষমতা নেই এবং নিশ্চিত ভাবে ভবিষ্যতেও থাকবে না।
দ্বিতীয় কথা--রোবট বা মানুষের চেহারার আকৃতির যন্ত্রগুলি মানুষের তৈরি করা সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার দিয়ে চলে।
তৃতীয় কথা--এই সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার গুলি যত উন্নত হচ্ছে এই যন্ত্রগুলির কার্যকারিতা তত বাড়ছে। তাতে ঐ যন্ত্রটার নিজস্ব কোন কৃতিত্ব নেই। কৃতিত্ব হল তার, যে এই যন্ত্রটাকে নির্মাণ করেছে।
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: পেঁয়াজের কেজি ১৩০ টাকা সেদিকে কারো লক্ষ্য নেই !!!!
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
কি ভাবে লক্ষ্য থাকবে?
এত সমালোচনার পরও, গত পরশু বহুল প্রচারিত একটা দৈনিকে সুফিয়া নামক রোবটটির নির্মাতার এক সাক্ষাৎকার চাপা হয়েছে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এক ক্রীতদাস।
ক্রীতদাসের প্রশ্নের উত্তরে প্রতারক নির্মাতা বলেছে, সে ভবিষ্যতে এমন এক রোবট বানাতে যাচ্ছে, যার মধ্যে মানুষের মত হৃদপিণ্ড, ফুসফুস এবং কলিজা থাকবে। মানুষের মত তার রক্তও থাকবে, ইত্যাদি।
আর ১৩০ টাকা?
যেখানে ১২ কোটি টাকা খরচ করে পুতুলের মুখে প্রশংসা শুনতে হয়, সেখানে ১৩০ টাকা? কি?
৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বলেছেন! মন্তব্যে আরও চমৎকার মতামত উঠে এসেছে!
ষ্টান্টবাজির কোন সীমা থাকে না! যত অজ্ঞ, যত অন্ধ ষ্টান্টবাজি জমে ততবেশি!
অন্ধত্ব আর চামচামীর মহাসাগরে তাইতো ভিন্নমত গুম হয়ে যায়!
পোষ্টে +++++
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আমরা যতই লিখি আর আপনি যতই আমাদের লেখা ভাল বলেন। তাতে কিছু আসে যায় না। ক্রীতদাস মিডিয়া বেশ জমিয়ে তুলেছে। হাজার হাজার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সুফিয়াকে দেখতে যাচ্ছে। হাজার হাজার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার সামনে এক ক্রীতদাস সুফিয়াকে প্রস্তাব দিয়েছে সে সুফিয়াকে বিয়ে করতে চায়।
প্রথমত--লক্ষ্য করেন এই ক্রীতদাসদের রুচিবোধ।
দ্বিতীয়ত-- লক্ষ্য করেন, নারীদের সম্পর্কে এই ক্রীতদাসদের দৃষ্টিভঙ্গি। সুন্দরী নারী দেখলেই এই ক্রীতদাসদের বিয়ে করতে ইচ্ছা করে।
তৃতীয়ত--লক্ষ্য করেন, এদের লজ্জা শরমের কোন বালাই নাই।
এই তালিকা যত দীর্ঘ হবে, ততই দেখতে পাবেন এদের কুৎসিত চেহারা।
৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের প্রাইম মিনিষ্টার অনেক দুর্বল দিক প্রকাশ পেয়েছে সোফিয়ার সাথে কথা বলতে গিয়ে
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
যেমন?
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: আপনার সাথে সহমত এবং দুই ধান্দাবাজ, ধড়িবাজ স্বৈর-শাসকের প্রতি রইল তীব্র ঘৃণা।যদিও সফটওয়্যার নিয়ে কিছু দ্বিমত আছে।