নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
একজন মানুষ খুব বিজ্ঞের মত কথা বলছে; এটা শুনেই লোকটাকে বিজ্ঞ মনে করবেন না।
অনেক মানুষ আছেন, যারা জনসম্মুখে বা লেখালেখির মাধ্যমে অনেক ভালো ভালো কথা বলেন।
কিন্তু ব্যক্তিজীবনে সেই মানুষটির অন্তর ঘৃণায় পূর্ণ।
সে সবসময়ই ঝগড়া ফেসাদে লিপ্ত।
অথবা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়।
এই ধরণের মানুষ যতই বিজ্ঞের মত কথা বলুক; তাকে বিজ্ঞ মনে করবেন না।
যদি দেখেন একজন মানুষ খুব শান্তিপ্রিয়,
তার হৃদয় মানুষ এবং প্রকৃতির জন্য ভালোবাসায় পূর্ণ এবং
সে ভাল কাজের জন্য নির্ভীক,
তখনই তাকে বিজ্ঞ মনে করবেন।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
একজন বিজ্ঞ মানুষের তিনটা গুণ থাকতে হবে --
১. শান্তিপ্রিয়;
২. মানুষ এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা; এবং
৩. ভালো কাজ করার সাহস।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬
অদ্বিত বলেছেন: শান্তিপ্রিয় মানুষরাই তো সবচেয়ে বেশী অশান্তিতে জড়িয়ে থাকে। শান্তিপ্রিয় মানুষ কি গালে চড় খেয়েও চুপ করে শান্তি বজায় রাখবে ? মানহানির মামলা করে অশান্তি সৃষ্টি করবে না ?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আসলে সব "শান্তিপ্রিয়" মানুষেই শান্তিপ্রিয় না। অনেকেই অন্যকে খুঁচা মেরে "শান্তিপ্রিয়তার" আড়ালে লুকিয়ে পরে।
এটা একধরণের আত্মরক্ষার কৌশল। মানুষের সহানুভূতি নিজের পক্ষে নেয়ার জন্য শান্তিপ্রিয়তার অভিনয় করে।
কোন ব্যতিক্রম ছাড়া, সাধারণত কোন শান্তিপ্রিয় মানুষের গালে কেউ চড় মারতে আসবে না।
যদি ব্যতিক্ৰম হিসাবে চড় মেরেই বসে, সেই ক্ষেত্রে কিছু প্রোএক্টিভ কাজ করতে হবে।
চড়ে বদলে চড় মারলে অথবা কোন অ্যাকশন নিলে, সেটা হবে রিএক্টিভ। শান্তিপ্রিয় মানুষের শান্তি চলে যাবে।
এই ক্ষেত্রে প্রকৃত শান্তিপ্রিয় জ্ঞানী লোকেরা অবস্থা বুঝে কিছু প্রোএক্টিভ কাজ করে। যার ফলে চড় মারা ব্যক্তি একসময় তার ভুল বুঝতে পারে, ক্ষমা চায়, অনুতপ্ত হয়। এমন অনেক ঘটনা আছে।
এটা বিশ্বাস করতে হবে, এবং প্র্যাকটিস করতে হবে।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭
অদ্বিত বলেছেন: চড় খেয়ে চুপ করে থাকলে একদিন চড় মারা ব্যক্তি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইবে ! হেঃ হেঃ ...... । কোন দুনিয়ায় থাকেন আপনি ? এরকম কখনোই ঘটে না। ঘটবেও না। নিজের ভুল বুঝলেও কেউ ক্ষমা চায় না। আর শান্তিপ্রিয় মানুষের সাথেই সবাই অশান্তি করে মজা পায়। নিরীহকে চড় থাপ্পড় মেরেই সবাই পৌরষত্ব দেখায়। আপনি দেখি দুনিয়া চেনেনই না।
১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
১। আপনার শেষ বাক্য দিয়েই শুরু করি। আপনি লিখেছেন, "আপনি দেখি দুনিয়া চেনেনই না"
আপনি যথার্থই বলেছেন। সত্যিকার অর্থেই, আপনি যে দুনিয়া চিনেন, আমি সেই দুনিয়া চিনি না।
২। আপনি লিখেছেন, "চড় খেয়ে চুপ করে থাকলে একদিন চড় মারা ব্যক্তি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইবে !"
আমি কিন্তু চড় খেয়ে চুপ করে থাকার কথা বলি নাই।
আমি প্রথমে বলেছি, "যদি ব্যতিক্ৰম হিসাবে চড় মেরেই বসে, সেই ক্ষেত্রে কিছু প্রোএক্টিভ কাজ করতে হবে।"
আবার বলেছি, "এই ক্ষেত্রে প্রকৃত শান্তিপ্রিয় জ্ঞানী লোকেরা অবস্থা বুঝে কিছু প্রোএক্টিভ কাজ করে।"
লক্ষ্য করেন কতগুলি শব্দের দিকে--
(ক) "অবস্থা বুঝে"
(খ) "কিছু"
(গ) "প্রোএক্টিভ"
(ঘ) "কাজ করে"
অবস্থা বুঝে কিছু প্রোএক্টিভ কাজ করার অর্থ নিশ্চয় চুপ করে থাকা বুঝায় না।
৩। আপনি প্রশ্ন করেছেন, "কোন দুনিয়ায় থাকেন আপনি ?"
উত্তরে আমি নিশ্চিত করে আপনাকে বলতে পারি, আমি আপনার দুনিয়ায় থাকি না। আমি আমার দুনিয়ায় থাকি।
৪। আপনি বলেছেন, "এরকম কখনোই ঘটে না। ঘটবেও না।"
আপনাকে বিনয়ের সাথে নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে চাই, আমার দুনিয়াতে এরকম ঘটনা হরহামেশাই ঘটে।
৫। আপনি লিখেছেন, "নিজের ভুল বুঝলেও কেউ ক্ষমা চায় না।"
ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। "আমি ক্ষমা চাই" ঠিক এই ভাষায় হয়তো সবাই সবসময় বলে না। কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে বা আচরণের দ্বারা এই ক্ষমা চাওয়াটা প্রকাশ করে। এটা বিবেকবান মানুষ বুঝতে পারে।
৬। আপনি লিখেছেন, "আর শান্তিপ্রিয় মানুষের সাথেই সবাই অশান্তি করে মজা পায়।"
আমি প্রথম প্যারাতেই লিখেছি, "আসলে সব 'শান্তিপ্রিয়' মানুষেই শান্তিপ্রিয় না। অনেকেই অন্যকে খুঁচা মেরে 'শান্তিপ্রিয়তার' আড়ালে লুকিয়ে পরে। এটা একধরণের আত্মরক্ষার কৌশল। মানুষের সহানুভূতি নিজের পক্ষে নেয়ার জন্য শান্তিপ্রিয়তার অভিনয় করে।"
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
অদ্বিত বলেছেন: ''কোন মানুষের অন্তর ঘৃণায় পূর্ণ হলেই অথবা ঝগড়া ফ্যাসাদে লিপ্ত থাকলেই যে সেই মানুষ বিজ্ঞ হবে না, ভাল মানুষ হবে না'' - এমন কোন কথা নাই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালবাসার চেয়ে ঘৃণা বড়। সেই ভালবাসার কোন মূল্য নাই যে ভালবাসা আপনজনের অপরাধ দেখতে দেয় না, সেই ঘৃণার মূল্য আছে যেই ঘৃণা অপরাধীর শাস্তি বিধান করে। আর বিজ্ঞানী নিউটন জীবনের অর্ধেক সময় গবেষণা আর বাকি অর্ধেক সময় ঝগড়া বিবাদ করেই কাটিয়েছিলেন। তিনি কি বিজ্ঞ নন ?