![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে ধর্ম ধর্ম নয় , যাতে সাধারন সহানুভুতির শিক্ষা নেই এবং সে মানুষ মানুষ নয় যার মধ্যে সহানুভুতির গুন নেই । আমাদের খোদা কোন জাতির মধ্যে পার্থক্য করেন নি।
অতএব আমাদের প্রভু-প্রতিপালকের এ সকল রীতি এ শিক্ষাই দিচ্ছে আমরা ও যেন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের প্রতি সৌজন্য ও সৌহার্দ দেখাই। গত ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্সের দক্ষিণ দিকে নিস শহরে জাতিয় দিবস পালনের সময় ট্রাক হামলায় নিহত হয়েছে ৮৪ জন এবং আহত হয়েছে অনন্ত শতাধিক। বাস্তিল দিবস উদযাপন উপলক্ষে নিস শহরের বিখ্যাত প্রমেনেদ দে আঁগলাইসে জনতা যখন আন্নদ উৎযাপনে মও তখনি দ্রুতগতির ২৫ টনের একটি ট্রাক ইচ্ছে করেই উঠিয়ে দেন জনতার ওপর। এর ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে , এভাবে জনসমাবেসে ট্রাক তোলে দিয়ে মানুষ হত্যা করা বৈশ্বিক জংগিবাদেও নতুন মাএা। প্যারিসে আইএসজংগিদের হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার ঘটনার ৮ মাসের মধ্যে আর একটি ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটল।
ফ্রান্সের এই ঘটনার মাএ কয়েক দিন পূর্বে রাজধানীর কূটনীতিকপাড়া এক স্প্যানিস রেস্টুরেন্টে জংগিরা নৃশংসভাবে হত্যা করে ২০ জিম্মিকে। জংগিরা এক বাংলাদেশি ও ১৭ বিদেশি নাগরিকের প্রত্যেককে ধারালো ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে, গলা কেটে গুলি করে হত্যা করে। এ ছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভ’ত মার্কিন নাগরিক অবিন্তা কবীর ও একজাপানি নারীকে হত্যা করে। জিম্মিদের মধ্যে ভারতীয় তরুণী তারিশী জৈনের ৪০ টির মত আঘাত করা হয়।
গুলশানের ঘটনার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ঈদের দিন সকালে শোলাকিয়ায় মাঠের কাছে নিরাপওায় থাকা পুলিশ সদস্যদের উপর জংগিরা হামলা চালায় গুলি ও কুপিয়ে ৪ জন কে হত্যা করে। মানবতার শএু এই সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময়ে তাদের নাম পরির্বতন করেছে। কখনো তালেবান , কখনো আল-কায়দা , কখনো আইএস নামে পরিচিত হলেও বিশ্ব মানবতার প্রতি হুমকি হয়েছে এই গোষ্ঠীগুলো। আমাদের হৃদয় ফেটে যায়, চোখের জল আটকিয়ে রাখা যায় না যখন শুনি এই সব কর্মকান্ড পরিচালনা করছে ইসলামের নামে। আল্লাহ ও রসূলের নামে এই অন্যায় সংঘটিত হচ্ছে। ইসলাম হচ্ছে বিশ্বমানবতা , শান্তি ও মুক্তির ধর্ম। মানব জাতিকে ভাল মন্দ সত্য ন্যায়বোধ উপলদ্ধির মাধ্যমে মুক্তির যে বারতা তা ধর্ম আমাদের শেখায়। ধর্মীয় চেতনার মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে নিজেকে। সে শাশ্বত ধর্ম প্রেরণা মানুষের আতœা থেকে উৎসারিত হয়। তাই বলা হয় ধর্ম মানুষের আতœার খোরাক, মানুষের মনের গভীরে ধর্মের যে ভীত প্রোথিত তা কোন শক্তির পক্ষে বিনষ্ঠ করা সম্ভব নয়। তবে মাঝে মাঝে উগ্রবাদী জংগি গোষ্ঠী ধর্মের চেতনার উপর আঘাত হানে মানুষ হত্যা করে। এ গুলো ধর্মীয় মূল্যবোধ , ধর্মীয় চেতনা ধর্মের র্মমবাণী ও মূল স্রোতধারার পরিপন্থী। সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নি:সন্দেহে ইসলাম বিরোধী কাজ। ইসলাম এমন একটি ধর্ম যে ধর্ম সকলের শান্তি কামনা করে। কারো ওপর আঘাত করার শিক্ষা ইসলামে নেই। তাই ইসলাম শান্তি ও কল্যানের ধর্ম। সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলাম নামের ধর্মকে মহান আল্লাহতাআলা এ পৃথিবীতে বিশ্ব নবী , সর্ব জাতির নবী এবং সর্বশেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শান্তির অমিয় বাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন। প্রকৃত শান্তির ধারক ও বাহক ইসলাম ধর্মের নিষ্ঠাবান অনুসারী সমাজের ও দেশের অশান্তির কারন হতে পারে না। ইসলাম শান্তির কথা বলে, কোটি কোটি মানুষকে আকর্ষিত করেছিল। সমাজে তার (সাঃ) লড়াই ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠার লড়াই, আর এই লড়াই ছিল ভালবাসার লড়াই, বোমাবাজি বা সন্ত্রাসের লড়াই নয়।
©somewhere in net ltd.