![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এমন বাবা ক'জনইবা আছেন। অবশ্য অনেকেই রিকশা চালিয়ে সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারেন না। নিজের সংসার চালানোই কষ্টকর। তবে সন্তানের প্রবল আগ্রহ আর মেধা বিকাশের ইচ্ছা থাকলে সেক্ষেত্রে বাবা-মা শত কষ্টের মাঝেও সন্তানকে শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রাণপণ চেষ্টা কর থাকেন।
এমনই এক বাবা যিনি সুদূর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে এসে চাটখিল উপজেলায় গত এক যুগ ধরে রিকশা চালিয়ে অর্থ উপার্জন করে তিন ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সেই বাবা জাকির হোসেন (৫৫)।
রিকশাচালক বাবার অদম্য মেধাবী এই ৩ ছেলে এখন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশোনা করছেন। জাকির হোসেনের বাড়ি হাতিয়া উপজেলার বাইশ নং দাসের হাটে। অতিদরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। নিজেদের ছোট্ট একটা বসতভিটা ছাড়া নেই কোনো জায়গা-জমি।
নিজে কোনো পড়াশোনা না জানলেও সন্তানদের পড়াশোনায় তিনি কোনো কার্পণ্য করেন না। সহধর্মিণী আলেয়া বেগম তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। জাকির নিজ এলাকায় অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আবার কখনো দিনকামলা খেটে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ছেলেদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ছেলেদের টাকার যোগান দিতে চাটখিলে এসে তিনি রিকশা চালিয়ে অর্থ উপার্জন শুরু করেন।
এখানে একা থেকে সামান্য খরচ করে বাকি টাকা সংসার আর ছেলেদের পড়াশোনার পেছনে ব্যয় করছেন তিনি। জাকির জানান, তার ৫ ছেলে। বড় ছেলে রাসেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স করছে, আরেক ছেলে আজাদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনে অনার্স করছে এবং ফরিদ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছে।
তিনি বলেন, এক ছেলে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। অপর ছেলে চাটখিল বাজারে ব্যবসা শুরু করেছে। ছেলেরা তাকে রিকশা চালানো ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছে। ছেলেদের জীবন স্বার্থক হলেই আশা পূরণ হবে বলে জানান তিনি। ছোট ছেলেকেও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার ইচ্ছা আছে বলে জানান জাকির।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার
ঠিকই বলেছেন কস্ট করে কস্ট কিনা ।
ছেলেগুলি আখেরে ভাল মানুষ হলে হয় তা না হলে
জাকির হোসেনের জী্বন কাটতে পারে চোখের জলে ।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা থেকেও সফল।
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: @এম এ আলী -
আমি ওটা বুঝাতে চাইনি। আমি বুঝাতে চেয়েছি পিতৃ পরিচয়ের কারণে সমাজেও হয়তো মাঝে মাঝে কটু কথা শুনতে হতে পারে...
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: এটা অনেকের পড়ার উৎসাহ যোগাবে
৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫২
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার নিজ উপজেলার লোক। নিউজটা পড়ে অনেক আনন্দ লাগছে। ইচ্ছে থাকলে কোন প্রতিবন্ধকতাই কাউকে রুখতে পারে না। এধরনের উদাহরণ বেশি বেশি মানুষ এর সামনে আসা উচিত।
৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
সুমন কর বলেছেন: নিউজটা পড়ে অনেক আনন্দ লাগছে।
৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জনাব জাকির হোসেনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন রইল।
৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সল্যুট এমন বাবাদের
১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জাকির হোসেনের জন্য রইল শ্রদ্ধা ও ভালবাসা । কামনা করি সন্তানগুলি যেন কৃতজ্ঞ হয় সারা জীবন । শ্রমের মর্যাদা সবার উপরে সে যে পেশারই্ হোক , ভবিষ্যত বংশধরদের জন্য তার বাবার এই সৎকর্ম পেশাটাই হোক সন্মানের আসন । কবির কথাটাই যেন ফলে অক্ষরে অক্ষরে হে দারিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান তুমি মোরে দানিয়েছ খ্রিস্টের সন্মান ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এরকম ঘটনা মাঝে মাঝেই আমাদের চোখে পড়ে। তবে আমার মনে হয় এসব ঘটনা আবার পরবর্তী জীবনে সন্তানদের সমাজে একটু ঝামেলায় ফেলবে...