![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘরে কি সবাই ঘুমিয়ে গেল নাকি,, অনেকক্ষন দরে গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি, কেউই গেট খুলতে আসছে না। কলিং বেলটা ও কাজ করছে না। একটু পরেই বাগিনাটা ( বড় আপু ছেেল) গেট খুলে দিল। কিরে এতক্ষন লাগলো কেন গেট খুলতে। মামা উপরে পড়তে বসেছিলাম পাখার বাতাসে কিছু বুঝা যায়নি,, আপনি জুরে জুরে ডাকছিলেন তাই তাড়াতাড়ি নিচে নেমে গেট খুলে দিলাম। তুর নানু কোথায়,, অফিস থেকে আসলে আম্মাই সব সময় গেইট খুলে দেন তাই না দেখতে পেরে জিজ্ঞাস করলাম। নানুর ডাইবেটিস বেড়েছে তাই ঘুমিয়ে আছেন। ডাইবেটিস বাড়লে ঘুমিয়ে থাকতে হয় নাকি ? হাটতে হবে। ঘুমিয়ে থাকলে তো ডাইবেটিস এমনিতেই বাড়বে। তুর আম্মু কি করেন, আম্মুও ঘুমিয়ে আছেন। আজ আম্মুরও ডাইবেটিস বেড়ে আছে। কি বলিস ! আমরা কি complete ডাইবেটিস পরিবার হয়ে গেলাম। না মামা এখনো কয়েকজন বাকি আছে।।
ভালো ! না হয় সবাইকে ঘরে ঘুমিয়ে থাকতে হবে। বুজলি কিছু।। হা বুজিছি মামা। হ বুজলেই ভালো। আজ বাসায় ফিরতে ক্ষাণিকটা দেরি হল। বাহিরে একটা জরুরি কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই দেরি হল। বাসায় ফ্রেস (fresh) হয়ে একটু সময় নিয়ে টেলিভিশনেরর চ্যানেলগুলোতে ঘাটতে থাকলাম,, কোন চ্যানেল গুলোতে খবর উপস্থাপনা হচ্ছে না। শুধু বিজ্ঞাপনের আলোকসজ্জা,, মনে হচ্ছে একটা সময় আসবে তখন চানাচুরের বিজ্ঞাপনের সাথে মানুষের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ হবে ঠিক এবাবে,,
ডাক এসেছে মৃত্যুর
খেয়ে যান চানাচুর।।
অফ!! ভিষন ক্ষিদা লেগেছে। ছোট বাগিনাটাকে বললাম! কিরে কি রান্না করেছে আজ। মামা আজ কিছুই রান্না হয়নি। কেন ?? সবাই দুধ কলা দিয়ে ভাত খেয়েছি। আম্মুও অসুস্থ নানুও অসুস্থ।। তাই কিছুই রান্না হয়নি।। এ কেমন কথা ! আম্মার রুমে গিয়ে আস্তে আস্তে আম্মাকে ডাকলাম! আম্মা আজ নাকি কিছুই রান্না করেন নি ? ঘুমিয়ে আছেন মনে হয় শুনতে পায়নি ! একটু পরে সারা দিয়ে বললেন,, আজ অসুস্থ, কাজের মহিলাও আসে নি। দুধ দিয়ে কলা দিয়ে ভাত খেয়ে নে। কলা গুলো ফ্রিজের পাশে ঝুলানো আছে ঐ খান থেকে ২ টা কলা নিয়ে ভাত খেয়ে নে,, আপনারা খাবেন না ? ফ্রিজে রুটি আছে পরে গরম খেয়ে নিবো। অনেক দিন পর দুধ দিয়ে কলা দিয়ে ভাত খাবো !! মনে পড়ছে ছোট কালে মেঝ খালাদের বাড়িতে বেড়াতে গেলে সবচেয়ে মজা করে যে খাবার টা খেতাম সেটাই হলো দুধ দিয়ে কলা দিয়ে ভাত।। খালা নিজের হাতে খাওয়াতেন।। খালুর গরুর খামার ছিল। দুগ্ধ খামার ( dairy farm). পনেরো টা গরু ছিল। যতটুকু মনে আছে সব গুলো গরুই বিদেশি জাতের গরু ছিল।। আমার খালাতো ভাই প্রায় বলতো তাদের গরু গুলো অস্ট্রিলিয়ার ( হলেস্ট্রিয়ান জাতের গরু)। তাই দুধের চাহিদার কমতি কি করে থাকবে এই গ খামার পরিবারের। যেদিন চলে আসবো সে দিন তো খালা ৪ - ৫ টা এক লিটারের পানির বোতলে দুধ দিয়ে দিতো, আর বলতো নে তুর মাকে বলবি,, খালা দিয়েছে।। মনে মনে ভাবতাম ভালোই হলো,, প্রতিদিন দুধ কলা দিয়ে ভাত খাওয়া যাবে। সময়ের টানে অনেক দূরে চলে এসেছি। দুধ কলা আজ পেট ভরে না।। সব কিছুতেই যেন গরল ।। হাত মাখা ভালবাসার খাদ্য আজ বিলিন ।। দুধ কলার ভাত ঠিকই রয়েছে।। নেই শুধু মায়া মমতার যত্ন।।
©somewhere in net ltd.