নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া ও আমাদের অন্ধকারে রেখে চলে যায় ।

In The End Everything Is A Gag.

আকরাম হোসেন(ইলুসিব ইলুশান)

অবস্থান মৌনতায়,.....

আকরাম হোসেন(ইলুসিব ইলুশান) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন জানি.।.।.। ;) Re-post.

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

ছেলেদের ডানপাশে মেয়েদের বামে:
কাজে কর্মে অধিকাংশই ডান হাত ব্যবহার করে। জামার বোতাম ডানপাশে এবং ছিদ্রটি বাঁদিকে থাকায় লাগানো যায় বেশ সহজে। ছেলেদের জামার বোতাম ডানে হলেও, মেয়েদেরটা কিন্তু বামে।
কারণ, প্রথম যখন বোতাম আবিষ্কার হয়, এটি ছিল বেশ মূল্যবান এবং একমাত্র অবস্থাসম্পন্ন কারও বোতাম লাগানো জামা পরা সম্ভব ছিল। এদিকে আবার ওই সময়ে অবস্থাসম্পন্ন বাড়ির মেয়েরা জামা নিজের হাতে পরতেন না। পরিচারিকা পরিয়ে দিত। যেহেতু পরিচারিকা মেয়েটির সামনে দাঁড়িয়ে জামার বোতাম লাগাত তাই পরিচারিকার সুবিধার জন্য জামার বোতাম থাকত বামে। সেই রেওয়াজটি এখনও রয়ে গেছে।

টেনিসে শূন্য পয়েন্ট ‘লাভ’:
টেনিস খেলা হিসাবে প্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফ্রান্সে। ওই সময় স্কোর বোর্ডে শূন্য পয়েন্টকে কেউ কেউ ডিম বলে ডাকত, যেহেতু শূন্য দেখতে অনেকটা ডিমের মত। ফ্রেঞ্চ ভাষায় ডিম প্রতি শব্দের উচ্চারণ হল লাভ। পরবর্তীতে টেনিস যখন ইংল্যান্ডে এ জনপ্রিয়তা পেল ফ্রেঞ্চ ডিম ইংরেজিতে হয়ে গেল লাভ। এখন বাংলাদেশে ব্যাডমিন্টন টেনিস উভয় খেলাতেই শূন্য স্কোরের পরিবর্তে ‘লাভ’ উচ্চারণ জনপ্রিয়।

গ্লাস ঠোকাঠুকি:
কোন উৎসবে পানের আগে গ্লাস ঠোকাঠুকির দৃশ্যের অবতারণা টিভি ও চলচ্চিত্রের পর্দায় আমরা হর-হামেশা দেখি। আর আমাদের সমাজে যারা পানে অভ্যস্ত তাঁরা তো এটি নিজেরাই করেন। কিন্তু কেন করেন? একটি প্রাচীন বিশ্বাস থেকেই করেন। সেই প্রাচীন কাল থেকে ভাবা হয় কোন উৎসব মানেই শয়তানের উপস্থিতি। উৎসবের নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং একে আনন্দমুখর করতে শয়তানকে তাড়ানো হয়। খ্রিস্টিয় বিশ্বাস থেকে শয়তান তাড়াতে চার্চে ঘণ্টা বাজাতে হয়। ঘণ্টাধ্বনির প্রতিরূপ শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে শয়তান তাড়াতেই গ্লাস ঠোকাঠুকি।

শুভ ভাগ্য বোঝাতে আড়াআড়ি আঙুল:
প্রাচীনকালে খ্রিস্টানরা নাস্তিক্যবাদীদের দৃষ্টি এড়িয়ে মহান স্রষ্টার অনুগ্রহ লাভের জন্য এবং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য শুভ করতে দুই হাতের আঙুলগুলো আড়াআড়িভাবে রাখত। এখন, সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে বা চিহ্নের ভাষায় আড়াআড়ি আঙুল বোঝায় ‘গুড লাক’ বা ‘শুভ ভাগ্য’।

কনে সর্বদা বরের বামে:
আমরা সবাই লক্ষ করে থাকব কনে সর্বদা বরের বামে থাকে। এমনকী বিয়ের পরও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সচেতন বা স্বাভাবসিদ্ধ নিয়মমত বৌ স্বামীর বামে দাঁড়ান। বসেন, ছবি তোলেন, আরও কত কী। কখনও বা মনে প্রশ্ন জাগে কনে সর্বদাই বরের বাম পাশে কেন? কারণটি মজার। প্রথাটি চালু হয়েছিল সেই যুগে, যখন শক্তিমানকে পুজো করত মানুষ। বীরের ছিল আলাদা মর্যাদা। জোর যার মুল্লুক তার অনেকটা এমন ছিল সামাজিক কাঠামো। তখন বর পাশের গ্রাম বা রাজ্য হতে তার পছন্দনীয় পাত্রীকে বা কনেকে তুলে আনতেন বা অনেকটা জোর করে বিয়ে করতেন। এমন প্রায়ই হত বৌ নিয়ে নিজের বাড়ি ফিরবার পথে কনের রূপমুগ্ধ অন্য কারও দ্বারা বা কনের আত্মীয়-পরিজনের হামলার মুখোমুখি হতে হত। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বর কনেকে রাখত বামে আর ডান হাত রাখত কোমরে রাখা তলোয়ারের উপর। B-)

পেন্সিল কেন ষড়ভুজ:
অধিকাংশ পেন্সিলের বাইরের গঠন ষড়ভুজাকার, গোল নয়; কারণ ষড়ভুজাকার পেন্সিলের প্রস্তুত খরচ গোলাকার-এর তুলনায় কম। একই পরিমাণ কাঠে ষড়ভুজাকার পেন্সিল প্রস্তুত করা যায় ৯টি, অথচ গোলাকার পেন্সিল হয় ৮টি। এ ছাড়াও ষড়ভুজাকার পেন্সিল টেবিলে গড়ায় কম।

প্রতীক গাধা বাঁ হাতি কেন:
আমাদের দেশে যেমন আওয়ামী লীগ এবং বি.এন.পি, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল হলো ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং রিপাবলিকান পার্টি। নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা এবং কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশে বি.এন.পি-র নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ। কেন, তা সহজেই অনুমেয়। যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতীক গাধা ও হাতি কিন্তু সহজে বোধগম্য নয়। কারণ তা দেশটির বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে না। এ কথা বলবার জো নেই যে ওই দেশের লোক সবাই গাধা বা হাতির মত বলশালী। কারণ আছে বটে এবং তা মজাদারও বটে। ১৮২৮ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ালেন এন্ড্রু জ্যাকসন। প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁকে বিদ্রƒপ করে বলত জ্যাক অ্যাম্প বা পুরুষগর্দভ। নির্বাচনে জিতেছিলেন এন্ড্রু জ্যাকসন। তারপর থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতীক হলো গাধা। অন্যদিকে কার্টুনিস্ট থমাস নাস্ট ১৮৭৪ সালে রিপাবলিকানদের জনপ্রিয়তার ব্যাপকতা বোঝাতে হাতি আঁকেন। ব্যস, হাতিই হলো রিপাবলিকানদের প্রতীক।

জাহাজের পোর্টহোল গোলাকার হয়:
জাহাজের পোর্টহোল যদি গোলাকার না হয়ে কোণবিশিষ্ট হয়, তবে জাহাজের কাঠামোতে চিড় ধরবার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। সমুদ্রের তরঙ্গের সাথে জাহাজের অবিরত ওঠানামায় কাঠামোতে যে সংকোচ ও প্রসারণ চাপের সৃষ্টি হয় পোর্টহোল গোলাকার হওয়ায় তা সমানভাবে ভাগ হয়ে যায়। এগুলো যদি কোণবিশিষ্ট হত তবে চাপের তারতম্যের কারণে চিড় ধরত।

স্কাই স্ক্র্যাপার নেই:
আমেরিকান শহরগুলো স্কাই স্ক্র্যাপার বা গগনচুম্বী অট্টালিকার জন্যও বিখ্যাত। কিন্তু অবাক হতে হয় দেশের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি.সি.তে কোন স্কাই স্ক্র্যাপার নেই।
বাংলাদেশে কম বেশি যে কয়টা স্কাই স্ক্র্যাপার আছে সবকটাই ঢাকাতে কেন? ১৯১০ সালে শহরের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য অটুট রাখবার স্বার্থে অট্টালিকা উচ্চতা আইন প্রবর্তন করা হয়। আইন অনুযায়ী আবাসিক ভবন সর্ব্বোচ্চ ৮৫ ফুট এবং বাণিজ্যিক ভবন সর্ব্বোচ্চ ১৩০ ফুট নির্মাণ করা যায়। এই আইন এখনও চালু আছে।

আকাশ কেন নীল: রং ধনুর যত রং সবটাই রয়েছে সূর্যরশ্মিতে। এই সূর্যের আলো যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে পৃথিবীমুখী হয় তখন গ্যাস কণা এবং অন্যসব উপাদান এদের রং ছড়ায়। যে রঙের ওয়েভলেংথ যত কম সেটি তত দ্রুত এবং সহজে ছড়ায়। যেহেতু সূর্যের আলোস্থিত রং সমূহের মধ্যে নীলের ওয়েভলেংথ সবচেয়ে কম এটিই দ্রুত ও সহজে ছড়ায়, তাই আমরা আকাশ নীল দেখি। :)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আগে বোধহয় পোস্টা পড়েছিলাম যখন আমার ব্লাগাকাউন্ট ছিল না| ভাল লাগা

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

আকরাম হোসেন(ইলুসিব ইলুশান) বলেছেন: তাইতো RE-post লিখলাম :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.