নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া ও আমাদের অন্ধকারে রেখে চলে যায় ।

In The End Everything Is A Gag.

আকরাম হোসেন(ইলুসিব ইলুশান)

অবস্থান মৌনতায়,.....

আকরাম হোসেন(ইলুসিব ইলুশান) › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের কিছু কুসংস্কার বা ভুল ধারণা !

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৬

প্রযুক্তি যত অগ্রসর হচ্ছে, কুসংস্কার ততই কমছে, তাই না? কিন্তু আসলেই কি তাই? একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, খোদ প্রযুক্তি নিয়েই আমাদের রয়েছে এমন সব ভুল ধারণা যাকে কুসংস্কার বললেও ভুল হবে না। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে আমাদের এসব কুসংস্কার। এসব কুসংস্কার কি, আর তার পেছনে সত্যিটাই বা কী?

১) ক্যামেরায় অনেক বেশি মেগাপিক্সেল না থাকলে ভালো ছবি উঠবে না

এটা হলো ডিজিটাল ফটোগ্রাফির ব্যাপারে সবচাইতে প্রচলিত “মিথ”। সুন্দর একটা ছবি তুলেতে মেগাপিক্সেল এর চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ক্যামেরার লেন্স, সার্কিট, সেন্সর, আপনার নিজের লাইটিং ও কম্পোজিশনের জ্ঞান এবং ক্যামেরার ওপর দখল। ইন্সটাগ্রামে গিয়ে দেখুন, সাধারণ আইফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করেই অনেকে তুলে ফেলছেন মোহনীয় সব ছবি।


২) ফোন এবং ল্যাপটপের ব্যাটারি একেবারে খালি করে তারপর রিচার্জ না করলে তার কর্মক্ষমতা কমে যাবে

এক সময়ে এটা সত্যি ছিলো। ব্যাটারির চার্জ একেবারে শূন্য করে তারপর ফুল চার্জ দিলে ভালো থাকতো সেই ব্যাটারি। কিন্তু তা অনেক আগের ঘটনা। এখন ব্যাটারির প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন বেশিরভাগ গ্যাজেটে ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম আয়ন অথবা লিথিয়াম আয়ন পলিমার সেল। এগুলো চার্জ দেবার এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই।

৩) তথ্য মুছে দিতে পারে চুম্বক

এই ভয়ে অনেকেই কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ, ডিভিডি এসব রাখেন চুম্বক বা ম্যাগনেট থেকে দূরে। আসলে কিন্তু ডাটা মুছে ফেলার জন্য বেশ বড় এবং শক্তিশালী চুম্বকের দরকার হয়। তাই ছোটখাটো চুম্বকের ভয় না করলেও চলবে। MRI মেশিন এ যেমন বড় ধরণের চুম্বক ব্যবহার হয় সেগুলোর আশেপাশে একটু সামলে চলুন।

৪) ব্রেইন ক্যান্সারের একটা কারণ হলো সেলফোন

১৯৯০ থেকে শুরু করে ২০০০ এর প্রথম কিছু বছর পর্যন্ত এ ব্যাপারে সবাই ভীত ছিলো বটে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি গবেষণাতেও নিশ্চিত করে বলা যায়নি যে সেলফোন ব্যবহারের সাথে ক্যান্সারের সংযোগ আছে।

৫) ভিডিও গেমসের প্রভাবে বাচ্চারা খারাপ হয়ে যায়

অনেকের ধারণা ভিডিও গেমস খেলার ফলে বাচ্চারা বখাটে হয়ে যায়, অভদ্র আচরণ করতে থাকে। প্রায় ১০ বছর ধরে চলা এক গবেষণায় দেখা যায়, বাচ্চাদের আচরণের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি ভিডিও গেমস। বরং একটি গবেষণায় দেখা যায় দিনে এক ঘণ্টার কম সময় ভিডিও গেমস খেললে বাচ্চারা হাসিখুশি থাকে তাদের তুলনায় যারা মোটেই গেমস খেলে না। তবে সবকিছুরই একটা সীমা আছে। আর খুব বেশি ভিডিও গেমস খেললে বাচ্চারা আসক্ত হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তো ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকেই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

শামছুর রহমান বলেছেন: আমার মনে বলে আগের অনেক জানা ধারনা আমাদেক পরিচানায় এরূপ সহায়তা করে ৷ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট !

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

আকরাম হোসেন(ইলুসিব ইলুশান) বলেছেন: হুম, কুসস্কার গুলু এভাবে দূর করা যাবে । ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

ফা হিম বলেছেন: প্রতিট পয়েন্টের শেষ -- "ওমা, তাই নাকি!"

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

আকরাম হোসেন(ইলুসিব ইলুশান) বলেছেন: ওমা, তাই তো !!
ধন্যবাদ। :-B ;)

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

সাবাব ইকবাল বলেছেন: ভিডিও গেমসের বিষয়টা ভালো লাগছে... কিন্তু আমার আব্বা আম্মাকে কে বোঝাবে ? =p~

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২১

আকরাম হোসেন(ইলুসিব ইলুশান) বলেছেন: অতিরিক্ত করা থেকে দূরে থাকুন, মা বাবা কিছু বলবেনা। puzzle গেম খেলুন ।
ধন্যবাদ। :-B

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

নতুন বলেছেন: ৫) ভিডিও গেমসের প্রভাবে বাচ্চারা খারাপ হয়ে যায়


আসক্তি পযা`য়ে না গেলে ভিডিও গেমস অবশ্যই বাচ্চাদের জন্য ভাল...।

সমস্যা সমাধান, নতুন আইডিয়া বের করতে সাহাজ্য করে অনেক গেমস...

আইকিউ বাড়াতে সাহাজ্য করবে এই গেমস গুলি..

অতিরিক্ত করা থেকে দূরে থাকুন :)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

আকরাম হোসেন(ইলুসিব ইলুশান) বলেছেন: :-B :)
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.