![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর সহ্য করা যাচ্ছে না .. অসম্ভব এভাবে বেচে থাকা ... যেই রুশো একদিন বন্ধুদের সামনে আমাকে "আর আমি শুধু চাই তোমাকে " গেয়ে প্রোপোজ করেছিলো , যাকে আমি প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি , সেই কি না আমাকে বিরক্তিকর বলে অকারণে আমায় ছাড়তে চাইছে ! এটা আমি কিছুতেই মানতে পারব না , কিছুতেই না ! ওকে ছেড়ে বাচার চেয়ে আমি বরং নিজেকেই শেষ করবো .. হ্যা , তাই করব আমি .. এক সিরিন্জ ব্রাউন সুগার চার্জ করে হাতের চামড়ার উপর দিয়ে দেখতে পাওয়া বেগুনি শিরায় পুশ করার আগ মুহু্র্তে জীবনে শেষ বারের মত একবার আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটার সাথে একবার কথা বলতে ইচ্ছে করলো খুব । ফোন দিলাম তাকে .. তার কথা শুনতে ফোন করেছিলাম , প্রচেষ্টা সফল ..
" তোমার সমস্যা কি নিতু ! বলেছি না আমাদের মধ্যে যা ছিল সব শেষ ! আবার ফোন দিলা ক্যান ! লজ্জা বলে কিছু তোমার মধ্যে থাকলে আর ফোন দেবে না ! বেহায়া মেয়ে একটা .. "
এরপরই ফোন টা কেটে গেল অপর প্রান্ত থেকে । নাহ , আর আমার বেচে থাকার কোনো মানেই নাই .. এক বুক কস্ট আর অভিমান নিয়ে ইনজেকশন তা চামড়ায় ঠেকালাম ...
" এখন অনেক রাত , তোমার কাধে আমার নি:শৃাস , আমি বেচে আছি তোমার ভালোবাসায় .."
আমার ফোনের রিংটোন বাজছে .. হয়তো রিয়াদ ভুল বুঝতে পেরে ফোন করেছে , তড়িঘড়ি করে ফোন ধরলাম ..
: হ্যালো রুশো ?
- ধুর ! আমি ! পাবলো ! গাজা খেয়ে আছোস নাকি ! আমার নাম্বার সেভ করা নাই তোর ফোনে !
: ও তুই !
- নাহ আমার ভূত !
: দোস্ত শোন , আমি সত্যিই এখন একটু ডিসটার্বড আছি । আমি সিরিয়াসলি মজা করার মুড এ নাই এখন ।
- তোর কি মনে হয় ! আমি মজা করার জন্য ফোন দিসি ! এইদিকে আমার জীবন মরণ সমস্যা ! তুই এক্ষণ আয় আমার বাসায় !
ও পাশ থেকে পাবলো ফোন কেটে দিল । এ পর্যায়ে বলি পাবলো কে । পাবলো আমার জন্ম থেকে আমার ফ্রেন্ড । পাবলো আর আমি একই ক্লিনিকে জন্মেছিলাম । পাবলোর দুদিন পর আমি । সেই থেকে আমরা বন্ধু । মানুষের বন্ধুরা নাকি মারাত্মক হেল্পফুল হয় । হ্যা , পাবলো ও ভীষণ ভাবে হেল্পফুল ! ও আছহে বলেই তো ওর নিত্যনতুন সমস্যা ফেস করতে করতে আমরা একেকজন রীতিমত সমাধানবিদ হয়ে গেছি ! পাবলোর ব্যাপারে এখানে উল্লেখ্য যে , পাবলো প্রায় প্রতি সপ্তাহেই অন্তত একবার "জীবন মরণ সমস্যায় ভোগে !" আজো হয়তো তেমন কিছুই । একবার ভাবলাম যাব না । তারপর আবার মনে হলো , মরব যখন , পাবলোকে আরেকটু কৃতজ্ঞ করেই মরি ! তড়িঘড়ি করে গেলাম পাবলোর বাড়িতে । দরজাটা একটু ধাক্কা দিতেই আপনা আপনি দরজাতা খুলে গেল । ঘর পুরো অন্ধকার ! পাবলোটা যে কি না ! জানে আমি অন্ধকার ভয় পাই , তবু ঘরে একটা লাইটও নাই ! আমার এটা মানসিক সমস্যা । ঘুটঘুটে অন্ধকারে ৫ মিনিট থাকলেই আমার নার্ভ আ্যাটাক হয় । কাপা কন্ঠে কয়েকবার ডাকলাম পাবলোকে , কোনো সাড়া নেই ! কতক্ষণ আছি আমি অন্ধকারে ? ২ মিনিট ... ৩ মিনিট .. অনুভব করছি শরীর শিথিল হচ্ছে ধীরে ধীরে ... দম বন্ধ হয়ে আসছে যেন ... কি ব্যাপার ! মরে যাচ্ছি না তো আমি ?? হঠাতই লাইট জ্বলে উঠল আর কানফাটা আওয়াজ । " হ্যাপি বার্থডে !!!!!" প্রাথমিক শক টা কাটতেই একসাথে দেখলাম পাবলো , জুই , রনি , তাবাসসুম , তানভীর , কাওসার আর সুমন কে , সামনে সেন্টার টেবিলে রাখা একটা চকলেট কেক । তার উপরে আমার নাম লেখা ! আররে ! আজ তো আমার জন্মদিন , ভুলেই গেছিলাম ! কিন্তু শালা শালীগুলো ভোলেনি ! আনন্দে আবেগে চোখে পানি আসতে চাইল , কিন্তু পারলো না , তার আগেই তাবাসসুম এসে মুখে একদলা কেক মাখালো ( সাধে এদের শালা শালী বলি !) সে রাতে অনেক মজা করলাম , ওদের গিফট ( হাস্যকর গিফট যেগুলোর মধ্যে একটা ছিড়া জু্তাও ছিল , জুই দিয়েছে , কবে নাকি আমি ওর জুতো পড়ে ছিড়েছিলাম , তার শোধ !) নিয়ে বাড়ি ফিরলাম । এতকিছুর মাঝে সুইসাইডের কথা মাথা থেকে বেরিয়েই গিয়েছিল , বিছানায় পড়ে থাকা ইনজেকশন টা দেখে আাবার মনে পড়ল । জিনিসটা হাতে নিলাম , সাতপাচ অনেক ভাবলাম , তারপর পুশ করলাম । হাতে নয় , কমোডের পানিতে ! বাথরুম থেকে বেরিয়ে প্রথম মেসেজ টা দিলাম রিয়াদ কে , লিখলাম " গরু তোর দড়ি দিলাম খুলে , তুই তোর মত চইড়া খা !" এরপর হোয়াটস আ্যপ এ আমাদের বন্ধুদের গ্রুপ চ্যাটে লিখলাম রাফার গান টা ..
"বন্ধু পথে বন্ধু হয়ে
ছায়াপথে আলো জ্বেলে
সূর্যটাকে বাঁচিয়ে রেখে
জ্যোৎস্না গুলো রাঙিয়ে দিয়ে
কল্পলোকে অবাক বিস্ময়ে
জেগে রবো তুই, আমি আর তোরা
হাসবো সাথে তুই, আমি আর তোরা ।
শুধু তুই, আমি আর তোরা ।"
৫ মিনিট পর রিপ্লাই -
পাবলো : হ , নিজে তো এই জন্মে কিচ্ছু লিখে দিলি না ! খালি টুকলি !
সত্যান্বেষী কাওসার : সবাই মিলে তোরে কেক খাওয়াইলাম , একটা টাকাও আমগোর লাগি খরচ না করে অহন সেন্টি ডায়লগ দিতেসো না !
কুল তানভীর : দোস্ত লাইক তোদেরে ! @পাবলো @কাসু
এন্জেল জুই : হ, তোমার লাইগ্গা কিসু করতে পারলেই আমরা ভালো !
আমি সুমন : সত্যি রে , তোর মত স্বার্থপর সহচর ছিলেন বলেই হয়তো জীবনদা অকালে ট্রামের নিচে আহুতি দিয়েছিলেন !
ডেয়ারিং তাবাসসুম : এই কবির বাচ্চা এখানে কি করে ! ঐ রইন্যা কই তুই ???
রনি দ্যা রকার : বাচ্চারা তোমরা চিল্লাইয়ো না ! আমাদের মানিব্যাগ রে প্যারা দেয়ার অভিযোগে কাল নিতু আমগোরে হেলভেশিয়ায় খাওয়াইবো !
.
.
.
.
সাধে এদের আমি শালা শালী বলি !!??
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
অলীক মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া .. :#>
৩| ২৩ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আজকালকার পিচ্চিরা এমন অদ্ভুত নাম নেয় কেন? ডেয়ারিং, এঞ্জেল, অতঃপর, যদিও, তথাপি, কিন্তু, জন্তু এবং ব্লা ব্লা ব্লা...
গল্প ভালো হইছে।
Life is greater than absolutely anything...
২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫
অলীক মানবী বলেছেন: ভাইয়া , আমার সাইজ এবং আমার চেয়ে কিঞ্চিত বড় সাইজের পিচ্চিরা এসব নাম নেয় আমাদের হাসানোর জন্য । " দুনিয়াতে আল্লায় এত্ত কমেডি না পাঠাইলে আমরা হাসতাম ক্যামনে!!"
আমার একটা হেভি হিট করা ডায়ালগ আছে যে " যার 'বই-ফ্রেন্ড' আছে , তার বয়ফ্রেন্ড লাগে না !' তো আমার এই বইফ্রেন্ড আমাকে টিনেইজ এর অনেক আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিল যে জীবনটা একটা আনন্দোৎসব । সেখানে একজন অতিথি না এলে উৎসবে কোনো সমস্যা হবে না , কিন্তু অনুপস্থিত অতিথি অনেক কিছুই মিস করবেন । আমি না থাকলেও সবই থাকবে , কিন্তু আমার জন্য শুধু একটা অশ্বডিম্ব ! একটা বয়ফ্রেন্ড প্রবলেম আমার প্রস্থানের কারণ হতে পারে না , একটা পরীক্ষার রেজাল্ট আমার ঝরে পড়ার কারণ হতে পারে না , একটা পারিবারিক-সামাজিক বাধা নিষেধ আমাকে থামিয়ে দেয়ার হাতিয়ার হতে পারে না !
Life is beautiful ... Live it , Love It , Color it !!!
এটা আমার মূল মন্ত্র ! কিন্তু আমজনতা কে কি করে বোঝানো যায় বলেন তো ????
৪| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আম জনতা এই আমের সিজনে আমের স্বাদ উপভোগ করুক। এতো বোঝানোরও কোন দরকার নাই। নিজের ইচ্ছামত ভালোমন্দ বুঝে পথচলাতেই আনন্দ। তুমি কি ডিফেন্স কিড নাকি?
২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১০
অলীক মানবী বলেছেন: হেহে মনে হয় !!!
৫| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: তাই ধারনা করছিলাম। আঙ্কেল ডাইকো।
৩০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
অলীক মানবী বলেছেন: আঙ্কেল ডাকা লাগবে না , আমার বহুৎ বড় বড় এব্ং বুড়ো বুড়ো ভাই আছে .. যেমন প্রথম আলোর দন্ত্যস রওশন !! আমাদের প্রি্য় রওশন ভাই !!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ ! বেশ লাগলো, লেখার হাত সত্যিই ভাল...