নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
সারসের বড় পদ লম্বা গ্রিবা ও চঞ্চু
স্থুলকায় দেহ তার বিশালাকার ডানা
ছিকনিডি (Ciconiidae) গোত্র বিশেষ
বিশাল তার আদি পরিবার ইতিহাস ।
বলতে গেলে দুনিয়ার সর্বত্রই এরা বসবাসে তবে
ঠান্ডা দেশ হতে নাতিশিতুষ্ণ্ই পছন্দ ভীষনভাবে
করেনা তেমন ডাকা ডাকি নিরবেই তারা থাকে
পুলকে ডানা ঝাপটানিতে সাথীকে কাছে ডাকে ।
অনেক সময়ে কতক হয়ে দেশান্তরী
দেশ বিদেশে অবিরাম করে ঘোরা ঘুরী
ব্যাঙ মাছ পোকা কেঁচোই প্রধান খাবার
তাবলে নেয়না কেরে মাছরাঙ্গার আধার
বিশাক্ত কীট নাশকের কবলে আতঙ্কিত
ছয় জেনেরায় (Genera ) বিকসিত পাখীটি
টিকে আছে হয়ে উনিশটি জীবন্ত প্রজাতি ।
কিছু তার দেখানো হল দিয়ে টেনে প্রতিকৃতি ।
Genera = (biology) any of the taxonomic groups into which a family is divided and which contains one or more species. For example, Vulpes (foxes) is a genus of the dog family ( Canidae)
সকল প্রকার সারস প্রজাতির প্রধান গোত্র হল মুলত: দুটি
একটি সৈনিক ( Muster) গুচ্ছ (phalanx ) গোত্র অপরটি
দল বেধে চলে তাই গুচ্ছ আর চোখা ঠোটের কারণে সৈনিক
কত নামে কত ভাবে আসে সারসেরা কবিতায় গানে দৈনিক ।
কবিতায় কেও সারসকে নিয়ে ঝুলে থেকে শুন্যে ডানা মেলে
কোন কবিতায় সারসেরা কুমিরের মুখ থেকে মাছ নেয় তুলে।
সারসেরা গ্লাইডিং ফ্লাইট এর রূপ ধরে উড্ডয়নে
ডানার উড্ডয়ন গতি পায় উষ্ণ বাতাসের টানে
অটোমার অনুসা ১৮৮৪তে তার ফটো এলবামে
এর ডানাকে গ্লাইডার ডিজাইন করেছিল প্রথমে।
সারসেরা হয় ভারী লয়ে লম্বা ডানার ব্যাপ্তি
মারাবোর ডানার দৈর্ঘ বার ফুটেরও বেশী
কোনটার ওজন প্রায় আট কেজিরো বেশী
ডানার দৈর্ঘটাও জীবন্ত সব পাখীর অধিক
সারসের নীড় গুলি বড়সর থাকেও বছর ধরে
কোনটার নীড় ছয় ফুট ডায়ামিটারের উপরে
গভীরতাও তাদের দশ ফুটের হিসাবে পরে
এক বিবাহেই এরা খুশী থাকে বছর ধরে ।
সারসেরা এক বিবাহ ও বিশ্বস্ততার মুর্ত প্রতিক
তাই পুরাণ ও কৃস্টিতে তার অবদান সমধিক
তবে সাথি বদলায় দেশান্তরিত হওয়ার পরে
সাথিহীন সারসিরা সাথি খুঁজে দেশান্তর করে।
সারসদের জীব বৈচিত্র বেশী আফ্রো এশিয়ায়
নয়টি এশিয়ায় আর ছয়টি প্রজাতি আফ্রিকায়
কাঠ, জাবিরু,মাকুরী মিলে তিনটি আমেরিকায়
কাল গর্দান সারসির সন্ধান মিলে অস্ট্রেলিয়ায় ।
সারসেরা আদিতেই ছিল স্বতন্ত্র এক প্রজাতি
অলিগছিন পরিবার ভুক্ত বলে ছিল পরিচিতি
জলজ অনেক পরিবারভুক্ত প্রাণীদের সহগে
সারসের উৎসমূল ৫০ মিলিয়ন বছরের আগে ।
যদি ও কতক সারস প্রজাতি নির্বংশের হুমকিধীন
ইতিহাস বলে কোন সারস এখনোত হয়নি বিলীন
মাদাগাস্কার দ্বীপে প্রাপ্ত সারস নামী পাখীর কংকাল
ছিলই যে শুধু আদি বসতিধারীদের খাবারের জঞ্জাল ।
সারসের ডিএনএ স্টাডি হতে দেখা যায়
আরডিডাই, বেলেনছিপিটাই , স্কপিডাই
আর থ্রেসকিআরনিথাই পরিবার ভুক্তরাই
কালের বিবর্তনে হল সারসি ছিকনিডাই ।
( Ardeidae, Balaenicipitidae, Scopidae
and Threskiornithidae belong to the
Pelecaniformes that make Ciconiidae
the only group of present Saros pakhi )
এই সারসিরাই এখন বিস্তৃত বিশ্ব চরাচরে
দেখা যাক উনিশ প্রজাতির নাম ধরে ধরে
কোথায় এরা কেমনে নীড় রচে বসবাস করে
কেমন করে আকাশে তারা ডানা মেলে উড়ে ।
১) দুধ সাদা সারস
বেশী বসবাসে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা বালি জাভায়
কিছু আছে মালএশিয়ায় আর বিপন্ন কম্বোডিয়ায়
ডয়েসে ভেলীর প্রতিবেদনে দেখা যায় সেখান কার
কৃষকেরা দিচ্ছে পাহারা ধানক্ষেত তাদেরকে রক্ষায় ।
দুধ ধবল সারসিদের আকাশে উড়া
২) হলুদ চঞ্চু সারস পাখী
হলুদ চঞ্চুল সারস পাখী মুলত পুর্ব আফ্রিকাবাসি
তবে দক্ষীন আফ্রিকা সুমালিয়া আর সেনেগাল
ভারতমহাসাগরের মাদাগাস্কার উপকুলেও মিলে
কেনিয়ার টানা নদীর কূলে থাকে তারা দলে দলে ।
৩) রঙ্গিন অংকিত ( Painted) সারস পাখী
হিমালয়ের পাদমুলে বিকাশমান এই সুন্দর সারসি কূল
ডানা মেলে বিচরণ করে সমগ্র বংগ-ভারত উপকুল
তবে মরুভুমি ময় ইন্দো অব-বাহিকায় এরা অপ্রতুল
বঙ্গোপসাগরের পলিমাটিময় উপকূলে থাকতে ব্যকুল ।
৪) কাঠ সারসি
বৃহদাকার এই সারসিটি আমেরিকায় বসবাসি
এটা লম্বা ঠ্যাং ওয়ালা সুন্দর এক জলের পাখি
ছপ ছপ করে জলের মধ্য দিয়ে হাটা চলতি
বছর দুয়েক আগে ঘোষিত এক বিপন্ন প্রজাতি ।
৫) এশিয়ান ওপেন বিল
দক্ষীন পুর্ব ভারত ও বঙ্গোপ সাগর কুল ঘেসা সুন্দরবনে
হিরন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দেখা যাবে লাগিয়ে চোখ দুরবীনে
কেমন করে করছে তারা নাচানাচি , কুমিরের মুখ খুলে
চোখা ঠোট দুটো দিয়ে তাজা মাছ আনছে টেনে তুলে ।
৬) আফ্রিকান ওপেন বিল
আফরিকান হলেই নাম যে হয়ে যাবে কৃষ্ণ তা কিন্তু নয়
এ সারসকুল তার পাখনা নিয়ে আসলেই দেখতে কৃষ্ণ হয়
আফ্রিকার প্রায় সকল দেশেই, লাইবেরিয়া উগান্ডা আর সুদান
হতে শুরু করে তানজানিয়ার নদী উপকুলে করে এরা বিচরণ ।
৭) এবডিম সারস
এই সারস ছিছনিয়া গোত্রের সাদা-উদর সারস নামেই পরিচিত
ধূসর পা, লাল হাঁটু এবং সাদা নিম্মাঙ্গ নিয়ে আফ্রিকায় বসবাসি
দেখায় ভাল আকারে সবচেয়ে ছোট ওজন মাত্র এক কেজি
ডিম পারে দুই/ তিনটি মেয়ে গুলো পুরুষের চেয়ে বেশি তেজি ।
৮) পশমী গলা সারস
পশমসদৃশ গ্রীবা একটি বড় পাখি, সাধারণত একমিটারের বেশী লম্বা
মাথায় একটি কালো "মস্তক টুপি", সাদা ঘাড় এবং সাদা ছোট্ট উদর
সঙ্গে কাজল ডানা উপরের অংশ গাঢ় মসৃন সবুজ এবং স্তন রক্তবর্ণ
দীর্ঘ লাল পা ও একটি সরু চঞ্চু , কালচে পুচ্ছটি যৌন আবেদনময়ি
ব্যাপক গ্রীষ্মমন্ডলীয় এ প্রজাতি এশিয়ার ভারত ইন্দোনেশিয়া, এবং
আফ্রিকায় গিয়ে দেশান্তরী গাছ জলাভূমির বাসিন্দা হয়ে বংশ বিস্তারি ।
৯) তুফান সারস
তুফান সারস এখন একটি বিরল প্রজাতি লম্বায় প্রায় এক মিটার
কালো ডানা সাদা পুচ্ছরাশি , লাল বিল, কমলারং মসৃন মুখের ত্বক,
লাল পা ও হলুদ বেগুনী পেখমের সঙ্গে সারস সারসির মিল অনুরূপ
তরুণ পালকের অনাবৃত ত্বকে তরুণী সারস ঠাই নেয় চুপে চাপে ।
সল্প পরিচিত প্রজাতির দেখা মিলে সুমাত্রা বোর্নিওর নির্বিঘ্ন বননীড়ে
স্বাদু পানির আবাসস্থলই তার কেল্লা অন্যতম, দক্ষিণ-পূর্ব সুমাত্রার
কালিমানটান এবং ব্রনাইতে সীমাবদ্ধ অবশিষ্ট জনগোষ্ঠী সঙ্গে মিলে
বর্তমান বিশ্বে তুফান সারসের সংখ্যা পাঁচশয়ের নীচেই হিসাবে বলে।
সীমিত পরিসর আর অতি শিকাড়ের দরুন, তুফান সারস কিছু এলাকায়
বিপন্ন প্রজাতি হুমকিতে আছে বলে আইউসিএন রেখেছে লাল তালিকায় ।
১০) মাগুরী সারস
মাগুরী সারস এর সন্ধান মিলে ল্যাটিন আমেরিকায়
আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ফরাসি গায়ানা,
গিয়ানা, প্যারাগুয়ে, সুরিনাম, উরুগুয়ে ও ভেনেজুয়েলায় ।
এটা চিলি, ত্রিনিদাদ, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ ও পেরুতে ভবঘুরে,
প্রাকৃতিক আবাসস্থল নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি, প্রায় ক্রান্তীয় বা
ক্রান্তীয় মৌসুমে প্লাবিত তৃণভূমি, জলাভূমি ও ফসলের মাঠে ।
এরা দুধ সাদা সারসেরই নিকটতম আত্মীয় তবে বৃদ্ধিতে সামান্য তেজি
পুচ্ছসহ দৈর্ঘ প্রায় ছয় ফুট ওজনটাও আকার ভেদে প্রায় পাঁচ কেজি
পুরুষেরা আকারে বড় তবে নারীবশ বলে রয়েছে জগতজোড়া খ্যাতি।
১১) অরিএন্টাল সারস
ওরিয়েন্টাল সারস নিয়ে কালো ডানার পালক একটি বেশ বড় পাখী
দুধ সাদা সারসের চাচাত ভাই ইউরোপীয় সাদা সারস রাশীয়াবাসি
পাখার প্রসারতায় লম্বায় প্রায় আট ফুট ওজনটাও প্রায় সাত কেজি
চোখের চারপাশে লাল চামড়া ,সাদাটে রামধনু রয়েছে ঝুলে পরা চঞ্চু ।
জাপান ও কুরিয়ায় এককালে দেখা গেলেও হয়েছে তারা এখন বিলুপ্ত
প্রজনন কাল ছাড়া এরা নির্জন পাখী , প্রজনন সময়াসন্নে হয় দেশান্তরী
প্রজননকালে মেয়ে সারসী ডিম দেয় ছয়টি, ছানা লালন শেষে ফিরে আসে
মার্চ এপ্রিলে দল বেদে এক সাথে পরিবার পরিজন সহ আপন আবাসে ।
১২) সাদা সারস
এটাও একটি বড় সারস পরিবার গোত্রিয় পাখি
ডানার সাদা কালো অংশ নিয়ে করে মাখা মাখি
নীচে দুটু দীর্ঘ লাল পা উপর দিকে তীক্ষ্ন লাল ডগা ঠোঁট
কাল পুচ্ছ থেকে চঞ্চু পর্যন্ত এরা লম্বায় হয় প্রায় আট ফুট ।
এদের দুই উপজাতি, একটি ইউরোপের উত্তর ফিনল্যন্ড বাসি
অপরটি এশিয়া মাইনর ( কাজাখস্থান) গ্রীস্মকালের দুর প্রবাসী
সাব সাহারা আফ্রিকা হতে ভুমধ্য সাগরের ঘুরপথ এড়িয়ে হয়
নাতিশিতুষ্ণ ভারতমুখী, এয়ার থারমাল পরিমাপে এরা পারদর্শী ।
১৩ ) কাল গলা লাল ঠোঁট সারস
বড় সারস পরিবার ভুক্ত বিরল প্রজাতি যা ইউরোপের উষ্ণ অংশে করে বসতি
( মধ্য ও পূর্ব অঞ্চলে), দেখা যায় নাতিশীতোষ্ণ এশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে
এরা থাকে জোড়ায় জোড়ায় কখনোবা ছোট ছোট ঝাঁকে জলাশয় এলাকায়,
গ্রীষ্মের সময়, কালো সারস পূর্ব এশিয়া (সাইবেরিয়া এবং চীন) পশ্চিম মধ্য ইউরোপ
যথা উত্তর এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড, জার্মানির স্যাক্সনি এবং বাভারিয়ার, চেক প্রজাতন্ত্র,
হাঙ্গেরি, ইতালি ও গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চল, স্পেন ও পার্শ্ববর্তী পর্তুগাল অভিমুখেও ধায় ।
১৪) কাল গলা কাল ঠোঁট সারস
এটিও সারস পরিবারেরই একটি লম্বা দীর্ঘ গ্রীবাবিশিস্ট পাখী
মুলত: অস্ট্রেলিয়ার জনবিরল দ্বীপের আবাসিক সারস প্রজাতি
নারীপুরুষ দেখতে একি রূপ ধরে তবে বয়সন্ধিক্ষনে মিলনের কালে
কাম ধনু রং বদলায় সাদা ও কালো পালকের ঘর্ষনে চক চক চালে
ভারতের আসাম উপত্যকার উত্তর গাঙ্গেয় ভূমিতে উপস্থিতি রয়েছে ব্যাপক
বাংলাদেশে হাউর এলাকায় বিচরিত হলেও শিকারীর ভয় তার থাকে ভয়ানক।
উড়ন্তকাল গলা কাল ঠোঁট সারস
১৫) জিন-বিল সারস
পাখীটির মাথা, ঘাড়, পিঠ, ডানা ও লেজ চিত্রাভ কালো ,দেহের বাকি সব সাদা
ঠোঁট দুটু অপরুপ, অগ্র ভাগ লাল এবং রামধনুটাও লাল আর হলুদে গাথা ।
এটিও একটি বড় আকারের সারস প্রজাতি, সারা আফ্রিকা জোড়ে বসতি
সুদান, ইথিওপিয়া কেনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সাব-সাহারা হয়ে চলে
গাম্বিয়া, সেনেগাল, আইভরি কোস্ট চাদ ও উত্তর আফ্রিকার মিশর প্রতি
পুরুষেরা লম্বায় আট হতে নয় ফুট মেয়েরা কিছুটা ছোট হলেও সুন্দর অতি
মিলনকালে পার্থক্য দেখায় মেয়েদের সুবর্ণ হলুদ আর পুরুষের বাদামী চোখ।
১৬) জাবিরু সারস
‘টুপি গুয়ারাণী’ ভাষা তথা ‘ফোলা ঘাড়’ হতে ল্যাটিন জাবিরু নামটি আসে
এ সারসটির বসবাস আমেরিকার আমাজন বেসিন ও ল্যাটিন আমেরিকান
মেক্সিকো থেকে শুরু করে আর্জেটিনা ব্রাজিল পুর্ব প্যরাগুয়ের চাকু অঞ্চলে।
পাখীটির পালকের বেশী অংশই সাদা মাথা ও ঘাড়েও নেই কোন পশম আর
কাল গলার নীচে পশমবিহীন একটি লাল থলী দেখা যায় সে উড়ার কালে ।
নারী-পুরুষের চেহারা অনুরূপ কিন্তু পুরুষটি বড় যা লক্ষণীয় হতে পারে যখন
নারী-পুরুষ মিলনকালে পুরুষটি ঝাপটে ধরে শক্তিশালী সুতনু পাখীর মতন ।
১৭) লেছার এডজুটেন্ট সারস
সারস পরিবারভুক্ত পাখী , খালি মাথা পশম শুন্য ঘাড়
নির্জন জলাভুমি ঘনিস্ট আবাস স্থল পরিবেস্টিত সারসটি
ধারনা মধ্য জাভা হতে ভারতে উড়ে আসা একটি প্রজাতি
ক্ষুদ্রাকৃতি আকার পাখার দৈর্ঘ তিন থেকে চারফুট মাঝার
বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকুলে আছে এর মহা বিস্তার
মায়ানমার থাইল্যান্ড সিংগাপুরেও এর রয়েছে সমাহার ।
১৮) গ্রেটার এডজুটেন্ট সারস
এটা জিনাসভুক্ত এশিয়ার লেছার এডজুটেন্ট ও আফ্রিকার মারাবো সারসের
বংগভারত জুড়ে পাওয়া গেলেও কম্বোডিয়ায় এখনো এটা বিচরে বাপক হারে
সংখ্যা এর দিনে দিনে হতেছে ক্ষীন বর্তমানে এর আকার এক হাজারে লীন ।
লেফট রাইট করে পদক্ষেপ দেয় বলে বিটিসেরা নাম দিয়েছে গ্রেটার এডজুটেন্ট।
উনিশ শতকে ক্যাল কাটায় এরা ছিল ভরপুর শকুনের সাথে চলত মিতালী করে
ভাগারের ময়লা খেত তাই অবহেলে একে ডাকা হত নোংরাপাখী ‘হারগিলা’ বলে
তবে করা হতোনা বিরক্ত এদের মাঝে মাঝে মারা হতো আয়ুর্বেদিক ঔষধি কাজে
ইত্যাদি বিবিধ কারণে এটা একদা হয়েছিল প্রয়োগ কলিকাতা মিউনিছিপাল লগোতে ।
১৯) মারাবু সারস
পশ্চিম আফ্রিকার বৃহৎ সারস পাখি বিশেষ
এটা প্রায়ই থাকে মানব বসতির কাছাকাছি
বিশেষত সাহারার ল্যান্ডফিল সাইট লাগুয়া
যেথায় রয়েছে ভেজা এবং শুষ্ক আবহাওয়া ।
চুল বৃহৎ সাদা ভর, ষড়যন্ত্রের মত লম্বা ডানা
চর্মসার সাদা পা,কখনও বা গঙ্গাপুত্রের মত
পিছনে থাকা সাদা কাল ঘন চুলের কারণে
মৃতের সৎকারে প্রবৃত্ত পাখি বলে হয় মনে ।
জীবিত পক্ষীকুলে মারাবোর ডানাই সর্ববৃহত বলে এখনো স্বিকৃত
উচ্চতায় পাঁচফুট, ডানার টানা তের ফুট ওজনটাও প্রায় দশ কেজি
বৃহৎ আকারের কারণে মারাবোকে চিনতে হয়না কারো কোন ভুল
চুলশুন্য মাথা ও ঘাড়, কাল পিঠ এবং সাদা তল , পিতম্ব লম্বা ঠোঁট
নারী পুরুষ সমরূপ তবে নারিটি বেশী পিত ঠোঁট দুটি একটু ছোট।
মারাবো সারসের ব্যাবহার মানবের কাজে হয়েছে যুগ হতে যুগান্তরে
ঝড়ে পরা পালক দিয়ে টুপি ও বসনার কত না আকার পেয়েছে ধামে
মাছ ধরা জালের ফাৎনা সহ বস্ত্র অলংকরন হয়েছে মারুবীর পেখমে ।
মারাবোর পেখমের অবয়বে বাহারী বস্ত্রাবরণ
২০) বাংলার বক পাখী
সারস কাহন হবেনা শেষ যদি না হয় বলা সে কথা
বাংলার শুভ্র সাদা বলাকা বক পাখী সকলেই চিনে
ছেলে বুড়ো সকলেরই মুখে মুখে ঘুরে কবিতা খানি
‘ও বগী তুই খাসকি পান্তা ভাত চাছ কি? এ ও কিন্তু
সারস পরিবার পাখীদেরই সমগোত্রিও আছে সর্বত্র
বলাকা নিয়ে কাব্য কবিতা সংস্কৃতি আছে যত্র তত্র।
বাংলার বলাকারা উড়ে চলে আকাশে
সারসের পিঠে চড়ে এই দুনিয়াটা ঘুরে এলে একটা মহাকাব্য হবে
লিখা শুরু জানিনা শেষ কবে হবে নাকি হবেই না কোন দিন তবে
সারসেরা এখন বিপন্ন ধানক্ষেতে ছড়ানো কীটনাশক ও শিকাড়ির
অত্যাচারে আসুন এদের রক্ষায় ক্যাম্পেইন গড়ে তুলি ঘরে ঘরে ।
ছবি সুত্র : গুগল নেট
তথ্য সুত্র : গুগল
ও
Gibb, G.C. et al. (2013) Beyond phylogeny: pelecaniform and ciconiiform birds, and long-term niche stability. Molecular Phylogenetics and Evolution, 68(2):229–238.
Noriega, Jorge Ignacio & Cladera, Gerardo (2005): First Record of Leptoptilini (Ciconiiformes: Ciconiidae) in the Neogene of South America. Abstracts of Sixth International Meeting of the Society of Avian Paleontology and Evolution: 47
২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা । আমারো জানা ছিল না এত প্রজাতির সারস পাখী আছে । 'কম্বোডিয়ার শেষ সারস পাখী' শীর্ষক একটি পোস্ট ডয়েসে ভেলীতে দেখে দেখতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশে সারসদের কি হাল । সে চিন্তা থেকেই সারসের ডানায় ভর করে দুনিয়াটা একবার ঘুরে এলাম । ঘুরার কালে পাওয়া বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য ও ছবি দিয়ে এটা সাজালাম সামুর ভাই বোনদের সাথে শেয়ার করার জন্য , এই আর কি ।
ভাল লেগেছে শুনে খুশী হলাম । ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।
২| ২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩১
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। খুব-ই ভালো লাগল। এগিয়ে যান, শুভাশিস রইল।
২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কবি ভাই আপনার প্রতিও থাকল অনেক অনেক শুভাশিস । ধন্যবাদ অসাধারন বলার জন্য ।
৩| ২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: সারস পাখি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ
২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই । শ্রম মোর সার্থক হলো শুনে তব ভাল লাগাখানি ।
৪| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৩৩
ঘটক কাজী সাহেব বলেছেন: কুমিরের মুখ খুলে
চোখা ঠোট দুটো দিয়ে তাজা মাছ আনছে টেনে তুলে । কখনো কখনো এও হয়তো সম্ভব ঘটক যেমন মাইয়া চিনে, সারসও তেমন ...
৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ২:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই কাহনের ঠিক কলজেটার মধ্যে নজর দিয়ে দিছেন । বলতেই হয় ঘটক মাইয়া তুলতে ভুল করেনা সারসের মত সেও ঠিকই বের করে নিয়ে এনে জায়গামত ফিট কইরা দেয় একেই বলে পাকা ঘটক !!!!!্
অনেক ধন্যবাদ ।
৫| ৩০ শে মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছবি দেখলাম, সারস পাখী আসলেই সুন্দর পাখী।
৩০ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পাখি সুন্দর লাগায় অনেক ধন্যবাদ ।
৬| ৩০ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সারস পাখির পোষ্ট অনেক ভাল লাগল
ভাল থাকুন
৩০ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পাখী ভাল লাগায় অনেক ধন্যবাদ ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
৭| ৩০ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
খাইরুন লো বলেছেন: এত সারস পাখি জীবনেও দেখিনি।
৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । সারসেরা এখন বিপন্ন ধানক্ষেতে ছড়ানো কীটনাশক ও শিকাড়ির অত্যাচারে । আসুন এদের রক্ষায় ক্যাম্পেইন গড়ে তুলি ঘরে ঘরে ।
৮| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৫
কালনী নদী বলেছেন: সত্যিই অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া!
এটাও সংগ্রহে নিছি।।। এতো সুন্দর পাখির ছবি!!! ওয়াউ।
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ কিন্তু পায়ের কাটা -টা সেড়ে ওঠেন তারাতারি প্লিজ।
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই । সারসের ছবি গুলি সহজ লভ্য যে কেও দেখতে পারে অনায়াসে যাদের ইন্টারনেটে প্রবেশ আছে। কিন্তু এদের নামদাম পরিচিতি বিবরণ কে কোথায় থাকে এখন তারা কে কতটা বিপন্ন সে সম্পর্কে বাংলায় কোন বিস্তারিত বিবরণ এক সাথে খুঁজে পাইনি । মনে করলাম সারস প্রজাতি নিয়ে সহজ ছন্দময় সচিত্র একটি লিখা লিখলে মনে হয় আমাদের নব প্রজম্মের জন্য ভাল হয় ।
এখানে অখ্যাত ব্লগারের পোস্টে লোকজন খুব কমই বিচরণ করে এটা স্বাভাবিকও বটে। তবে বিষয়গুলি আমার প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে যাবে এ লক্ষ নিয়েই লিখা ।
আমার কাটা টার প্রতি উৎকন্ঠার জন্য কৃতজ্ঞ ।
অনেক ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।
৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
পলাশমিঞা বলেছেন: খুব ভালো লেগেছ ভাই।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগায় ধন্যবাদ ।
১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগায় ধন্যবাদ ।
১১| ০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ৯:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ৫ কোটি বছরের প্রাচীন প্রজাতি সারস পাখির ইতিহাস ভূগোল সবই জানা হলো। এদের নীড়গুলো দশ ফিট গভীর আর ছয় ফিট ব্যাসের হয়ে থাকে জেনে আশ্চর্য হ'লাম।
"মেয়েগুলো পুরুষের চেয়ে বেশি তেজী" - এটাতো মানুষসহ সৃষ্টির সকল প্রজাতির পশু পাখির ক্ষেত্রে সত্য।
ছবিগুলো দৃষ্টিনন্দন!
০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক পুরাতন একটি লেখা পাঠ সুন্দর মন্তব্য রেখে
যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
ভাই দোয়া করবেন , প্রচন্ড বেক পেইন নিয়ে
প্রায় মাসখানেক ধরে শয্যাসায়ী ।
ব্লগে বিচরণ করতে পারছিনা ।
আজকে একটু লগ ইন করে
আপনার মুল্যবান মন্তব্যটি
দেখতে পেলাম ।
শুভ কামনা রইল
১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ এতটা শ্রমসাধ্য এবং সুন্দর লিখাটির সন্ধান দেবার জন্য। এত বৈচিত্রময় এবং বর্ণিল সুন্দর সারস রয়েছে টা এই লিখাটিতে না এলে জানাই হতো না। সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হ'লামএটা জেনে যে, এদের নীড়গুলো দশ ফিট গভীর আর ছয় ফিট ব্যাসের হয়ে থাকে। মনে হয়ে ওখানে একটা মানুষ খুব ভালভাবে পালিয়ে থাকা সম্ভব!
ভাল থাকবেন।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক পুরানো একটি পোষ্টে এসে সুন্দর একটি
মন্তব্য করে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৩
সুমন কর বলেছেন: এতো সারস আগে জানা ছিল না। চমৎকার পোস্ট।