নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে সুন্দরী ললনাদের জন্য একটি রেশমী শাড়ির জম্ম কাহিনী

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৪


বাহারী সিলকের শাড়িটি পরিধানের সাথে এর জম্ম বৃত্তান্তটা একটু জানার আগ্রহটাই স্বাভাবিক
মথ জাতীয় রেশম পোকাটিই মুলত রেশমী বস্রজাত পণ্যের মুল কেন্দ্র বিন্দু । তুত গাছ কেন্দ্র করেই এদের জীবন চক্র । এখানেই জনম এখানেই খতম । আসুন নীচে একটু ধারাবাহিক ভাবে দেখি রেশম প্রজাপতি তার নীজের জীবনখানি কুরবানী দিয়ে কি মনোরম সাজে সেজেছে ।
তুঁত গাছ

বাংলাদেশের সর্বত্র জম্মে । তবে রাজশাহী অঞ্চলে বেশী । বাংলাদেশ সেরিকালচার বোর্ড রেশম চাষ ও বিকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ।
তুঁতগাছ ফসলের মাঠে, পথের ধারে ও বাড়ীর আঙগীনায় চাষ করা হয়
রেশমপোকারা এর পাতা খায়।
গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করে ডালায় রেখে তাতে রেশম মথের ডিম ছেড়ে দেয়া হয় । বাংলাদেশে রেশম উন্নয়ন বোর্ড দেশের রেশম চাষীদেরকে ডিম সরবরাহ করে থাকে।

পাতার বুকে ডিম রাখার পরে এগুলি ফুটে পোকার জম্ম হয় । পুকাগুলি জম্মের পর থেকেই এরা পাতা খাওয়া শুরু করে ও দ্রুত বড় হতে থাকে।
পোকাগুলি বড় হলে তাদেরকে রাখা হয় বিশেষভাবে তৈরী একটি চন্দ্রকী ডালে । এটাকে ঘরের কোণে রেখে দেয়া হয় যতন করে ।

রেশম পোকা থেকে গুটি পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি একেবারে কুঠির শিল্প। গ্রামীন গৃহবধুরা এ শিল্পের সাথে বেশী জড়িত। ঘরে বসেই কাজটি করা যায় ।
পোকা একটু বড় হওয়ার পরে এর পায়ুপথে নির্গমিত কশ থেকে গুটি পেচানো শুরু হয় । নীজ কশ নিশৃত আশ বা ফিলামেন্ট এর সমাহারে গঠীত গুটির ভিতরে পোকাটি আবদ্ধ হয়। জম্ম নেয় রেশমগুটির। গুটিগুলি সাদা ও রঙগীন হয় নীচে দেখুন :

গুটি অভ্যন্তরে আপন আলয়ে পুর্ণতা এলে গুটি কেটে প্রজাপতি বা মথ আকারে বেরিয়ে এসে উড়ে যায় বনবিহারে যদি সুযোগ পায়।
কিন্তু গুটি কেটে মথ হয়ে বের হয়ে গেলে গুটি বা কোকন থেকে টেনে বের করা রেশম সুতা কোন কাজে লাগেনা কারণ এর ফিলামেন্ট তখন কাটা পরে যায়, ফিলামেন্টের ধারাবাহিকতা থাকেনা । একটি গুটি থেকে প্রায় হাজার ফুট লম্বা ফিলামেন্ট পাওয়া যায় ।

তাই পোকাটি গুটি কেটে বের হয়ে যাওয়ার পুর্বেই একে ফুটন্ত গরম পানিতে ডুবিয়ে নিষ্ঠূরভাবে হত্যা করা হয় যেন গুটি কেটে তারা বেরিয়ে যেতে না পারে । ভিয়েতনাম ও চীনে অবশ্য গুটির ভিতর থাকা মরা পোকাটাকে রেশম চাষীরা পাক করে খায় মজা করে ।

ভিতরে থাকা পোকাগুলিকে হত্যা করার পর গুটি গুলিকে হাতে বা মেশিনে রিলিং করে রেশম সুতা বের করা হয়।

প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী রঙ্গীন ও বয়ন উপযোগী সুতায় পরিনত করা হয় ।

তারপর রেশশী সুতা দিয়ে হস্তচালিত তাতে বাহারী শাড়ি বুনা হয়।

রেশমী সুতায় তৈরী একটি দামী কাঞ্চিভরম শাড়ি পরিহিতা

একটি ভাল দামী খাটি রেশমী শাড়ি তৈরির জন্য যে পরিমান রেশম সুতার প্রয়োজন হয় তা পেতে হলে কয়েক হাজার গুটি সেই সাথে রেশম পোকার জীবনহানী অত্যাবশ্যক । এত গুলি প্রজাপতি হত্যা করে তাদের জীবনের বিনিময়ে তৈরী শাড়ি পরে মনের সুখে গান গাই তাকে নিয়ে কবিতা লিখি , প্রজাপতি হয়ে আকাশে উড়তে চাই , ভুলে যাই তার মৃত দেহটাকে শাড়ি ও ওরনায় জড়িয়ে রেখেছি নীজ গায়ে । আসুননা মনের সুখে প্রজাপতি নিয়ে কবিতা ও গান লিখার সাথে সাথে মানুষের হাতে তার জীবনের করুন পরিনতির কথাটি ভেবে তার জন্য একটু দু:খ প্রকাশ করি । কত ভাবেই না প্রজাপতিরা আমাদের জীবনকে ভরিয়ে দিচ্ছে ফুলে ফুলে ঘুরে পরাগায়ন সহায়তায় ফলে পরিনত করে আর মরে গিয়ে গায়ে আদর করে জড়িয়ে থেকে ।

মন্তব্য ৭৫ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৭৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিষয়টি জানা ছিল , তবে ধারাবাহিক ছবির ব্যবহার পোস্টটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে !
ভাল লাগলো !

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন জেনে খুব খুশী হলাম । রেশম শিল্পর সাথে দেশের কয়েক লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়োজিত । সকলের সচেতনতা এ শিল্পের উন্নয়নে ও গ্রামীন দরিদ্রদের কর্মসংস্থানে অনেক সহায়ক ভুমিকা পালন করবে ।
শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রবাসী জীবনের উপর মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ গ্রন্থটির জন্য ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৪

কল্লোল পথিক বলেছেন:


চমৎকার পোস্ট।
একটি শাড়ীর জন্ম ইতিহাস।

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পথিক ভাই । খুব খুশী হলাম প্রসংসাবাণীটুকু পেয়ে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । এ পোস্ট টি তো তুঁত গাছের ফুল থেকেই বিকসিত ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

৪| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৬

বিজন রয় বলেছেন: রাজশাহী যেতে হবে।

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কষ্টকরে রাজশাহী যেতে হবেনা দাদা চাইলে রাজশাহী চলে আসবে ।
অনেক ধন্যবাদ ।

৫| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: প্রথম প্লাসটি কিন্ত আমার। আপনি তো বহুমুখী প্রতিভা। কবিতা, গীতিকাব্য এবার গবেষণা।
হাজারো স্যালুট।

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা । শেষেরটা মানে গবেষণাটাই আমার মুল, কবিতা আর গীতিকাব্য হল বাই প্রডাক্ট ।

৬| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম হাজার প্রজাপতি জীবন দিয়ে একটা প্রজাপতি সাজায় :)

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব সুন্দর কথা বলেছেন । তাইতো এখন মনে হচ্ছে একটি প্রজাপতি হাজার প্রজাপতিকে অতি আদরে আপনাতে ধারণ করে মনের আকাশে উড়ে উড়ে ভুলিয়ে দেয় হাজার প্রজাপতির দু:খ গাথা ।

ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল

৭| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

মনির হোসন বলেছেন: good

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল

৮| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল

৯| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০২

বিজন রয় বলেছেন: ৫ নম্বরে আমার মন্তব্যের উত্তর পেলাম না!!!!

আমাকে টপকে মনিরা সুলতানা উত্তর পেল।
আমাকে এত অবহেলা!!!!

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কি যে বলেন দাদা, আপনি আমার মাথার তাজ। অবহেলা তো কল্পনাও করতে পারিনা ।কম্পিউটারে দুজনের টা প্রায় একি সময়ে এসেছে । আপনার মন্তব্যের জবাব টা একটু বড় সর হয়ে যাবে ভেবে মনে করেছি দুকথায় আপার জবাবটা দিয়ে আপনার সাথে একটু লম্বা চওড়া কথা বলব । এই ছিল মোর মনে । এর মধ্যে লিখার সময় আবার দরজায় করাঘাত, লিখা বাধ্য হয়ে সংক্ষেপ করতে হল ।
আশাকরি ভুল বুঝবেন না ।
নীজ গুনে অপরাধ মোর ক্ষমহে প্রিয় কবি ।

১০| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৯

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: কি যে মন্তব্য করব আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মানুষ বড়ই পাষাণ্ড ....!
পোষ্টটি এক কথায় অসাধারন।
অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেল এ ধরায়।

১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি ভাই । আসন্ন ঈদে সবাই ব্যতিবেস্ত হয়ে যাব রেশমী শাড়ি ও রেশমী জুরিদার পাঞ্জাবীর জন্য । একবারও চিন্তা করবনা লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা উপভোগ করছি নির্মল আনন্দ ।
খুশী হলাম অাপনার সুন্দর সহানুভুতিমূলক অনুভুতি টুকু দেখে ।

১১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ বিনা দরকারেও ছোট প্রাণীদের হত্যা করছে।

১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কি আর করা , পাট বস্র সুতা বস্র মানুষের ভাল লাগেনা ভাল লাগে পোকা মারা বস্র ।

১২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কত ভাবেই না প্রজাপতিরা আমাদের জীবনকে ভরিয়ে দিচ্ছে ফুলে ফুলে ঘুরে পরাগায়ন সহায়তায় ফলে পরিনত করে আর মরে গিয়ে গায়ে আদর করে জড়িয়ে থেকে ।

দারুন করে ভেবেছেন। :)

১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । হুমায়ুন আহমেদ বেচে থাকলে তাঁকে বলতাম নুহাস পল্লীতে একটি প্রজাপতি পল্লী করার জন্য যা হবে প্রজাপতিদের জন্য অভয়ারন্য । এখন কেও আছেন কি এমন একটি উদ্যোগ নিতে ?
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

১৩| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,



সহ-ব্লগার গিয়াস উদ্দিন লিটন এর মতো আমারও কথা এই ---বিষয়টি জানা ছিল , তবে ধারাবাহিক ছবির ব্যবহার পোস্টটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে !

প্রিয়তে রাখার মতো । রাখলুম ।

১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অবশ্যই বিষয়টি জানারই কথা ।পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে শুরু করে ঢাকা মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ও রাজশাহী বিভাগের জেলা সমুহের গ্রামীণ জনপদের কয়েক কয়েক লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে রেশম চাষ ও এ শিল্পের সাথে , তুত গাছের চাষ থেকে শুরু করে রেশমী শাড়ি তৈরীর প্রক্রিয়াটির সাথে । বিষয়টি সকলের সাথে শেয়ার করার আনন্দই আলাদা। খুব খুশী হলাম প্রিয়তে নেয়ার জন্য ।

ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।

১৪| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,



সহ-ব্লগার গিয়াস উদ্দিন লিটন এর মতো আমারও কথা এই ---বিষয়টি জানা ছিল , তবে ধারাবাহিক ছবির ব্যবহার পোস্টটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে !

প্রিয়তে রাখার মতো । রাখলুম ।

১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অবশ্যই বিষয়টি জানারই কথা ।পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে শুরু করে ঢাকা মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ও রাজশাহী বিভাগের জেলা সমুহের গ্রামীণ জনপদের কয়েক কয়েক লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে রেশম চাষ ও এ শিল্পের সাথে , তুত গাছের চাষ থেকে শুরু করে রেশমী শাড়ি তৈরীর প্রক্রিয়াটির সাথে । বিষয়টি সকলের সাথে শেয়ার করার আনন্দই আলাদা। খুব খুশী হলাম প্রিয়তে নেয়ার জন্য ।

ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।

১৫| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: চমৎকার লেখা ভাই, ভাল লাগা রইল...

১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৬| ১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

শায়মা বলেছেন: বাহ বাহ

রেশমী চুড়ির সাথে রেশমী বা রেশম শাড়ি কথা!:)

১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব খুশী হলাম আপুমনিকে পেয়ে এখানে । রেশমী চুড়ির জনম বিবরণ নেই জানা শুনব তা আপুমনিরই কাছে ।

১৭| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩২

শেয়াল বলেছেন: এইসব জানতাম

১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শিয়াল পন্ডিত মহাশয় তাহলে বলেন এখন রেশমী চুড়ির জনম বিবরণ ? শুনে হয় প্রীত ।
খুশী হলাম মনে সন্ধা নামার সাথে সাথে মহাশয়ের আগমনে ।

১৮| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৮

কালনী নদী বলেছেন: অনেক বছর আগে বাংলাদেশে মসলিন কাপড় মিলত যা কিনা একটি আঙ্গটির ভিতর দিয়েও নির্দিদ্বায় চলে যেত! এ ধরনের একটি মাড়ি পেরে ম্যাম সাহেবাকে দিতাম জানালার ফোকর দিয়ে দিতে আমার সুবিধাই হতো! কি করবো খারাপ মনের ব্রিটিসরা সেটা সেকালেই কারিগড়ের হাত কেটে বন্ধ করে দিয়েছেন।

আপাতত আপনার ছবিদেখে তারে রেশমী জামদানী শাড়ী কিনে দেবার ইচ্ছা হচ্ছে।

সময় স্বল্পতার জন্য লেখাটি পড়তে পারি নি! সংগ্রহে রাখলাম ঘরে গিয়ে ভাইয়ার মোবাইল দিয়ে চুপটি করে পড়ে দেখবো বরে।

অসংখ্য শুভ কামনা জানবেন ভাইয়া।

১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বৃটিশেরা মসলিন কারিগরের হাত কেটে নিলেও পারেনি নিতে কেরে ঐতিহ্যের শিকরটা । মসলিনের উপাদান কাপাসিয়ার কার্পাষ তুলা, ডেমরার তারারো আর টাংগাইলের বাজিত পুরের তাঁতীরা আজো যায়নি হারিয়ে । তারা বুনে চলেছে মসলিন । মানে হয়ত তা অনেক পিছিয়ে । সরকারী পৃষ্ট পোশকতা নেই বললেই চলে । মসলিন তাঁতী পরিবারের শিশুটিরও মনে জেগে আছে সেই আগেকার দিনের মসলিন শাড়ি বুননের স্বপ্ন । বছর বিশেক আগে ডাচ মন্ত্রী মিসেস কুনের সাথে ডেমরার তারাবো তাঁতী পাড়ায় সেরকই একটি দৃশ্য চোখে পরে । একটি ছোট্ট শিশূ মসলিন শাড়ি বুনার স্বপ্ন বুকে নিয়ে খট খটি তাতে চেষ্টা করছে আপন মনে মসলিন শাড়ি বুননের জন্যে । আমি আশাবাদী হয়ত মসলিন ফিরে আসবে হাতকাটা মসলিন তাঁতী কারিগরের বুকফাটা কান্নায় তার স্বজনের হাত ধরে ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইজান এখানে এসে দেখেছেন বলে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

১৯| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৮

সম্রাট৯০ বলেছেন: এত গুলো জীবনকে হত্যা করে এই ফ্যাশন না করলে ভালো হতো, বিষয়টা কেমন না

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । আমিও বুঝতে পারছিনা হলটা কি । কালনি ভাইএর মন্তব্যের জবাব লিখে ছবি ডাউনলোড করে সাবমিট বাটনে চাপ দেয়ার পরে লিখা ডাবল এসেছে ।

তবে খুশী হয়েছি লিখাটি দেখেছেন বলে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

২০| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২১

সম্রাট৯০ বলেছেন: আমার মন্তব্য ছিলো পাঁচ লাইনের, বাটন চাপার পর এখানে শো করছে এক লাইন, এটা কেমন ব্যপার

১৫ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমিও বুঝতে পারছিনা হলটা কি । কালনি ভাইএর মন্তব্যের জবাব লিখে ছবি ডাউনলোড করে সাবমিট বাটনে চাপ দেয়ার পরে লিখা ডাবল এসেছে ।

তবে খুশী হয়েছি লিখাটি দেখেছেন বলে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

২১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । বৃটিশেরা মসলিন কারিগরের হাত কেটে নিলেও পারেনি নিতে কেরে ঐতিহ্যের শিকরটা । মসলিনের উপাদান কাপাসিয়ার কার্পাষ তুলা, ডেমরার তারারো আর টাংগাইলের বাজিত পুরের তাঁতীরা আজো যায়নি হারিয়ে । তারা বুনে চলেছে মসলিন । মানে হয়ত তা অনেক পিছিয়ে । সরকারী পৃষ্ট পোশকতা নেই বললেই চলে । মসলিন তাঁতী পরিবারের শিশুটিরও মনে জেগে আছে সেই আগেকার দিনের মসলিন শাড়ি বুননের স্বপ্ন । বছর বিশেক আগে ডাচ মন্ত্রী মিসেস কুনের সাথে ডেমরার তারাবো তাঁতী পাড়ায় সেরকই একটি দৃশ্য চোখে পরে । একটি ছোট্ট শিশূ মসলিন শাড়ি বুনার স্বপ্ন বুকে নিয়ে খট খটি তাতে চেষ্টা করছে আপন মনে মসলিন শাড়ি বুননের জন্যে । আমি আশাবাদী হয়ত মসলিন ফিরে আসবে হাতকাটা মসলিন তাঁতী কারিগরের বুকফাটা কান্নায় অনেক ধন্যবাদ । বৃটিশেরা মসলিন কারিগরের হাত কেটে নিলেও পারেনি নিতে কেরে ঐতিহ্যের শিকরটা । মসলিনের উপাদান কাপাসিয়ার কার্পাষ তুলা, ডেমরার তারারো আর টাংগাইলের বাজিত পুরের তাঁতীরা আজো যায়নি হারিয়ে । তারা বুনে চলেছে মসলিন । মানে হয়ত তা অনেক পিছিয়ে । সরকারী পৃষ্ট পোশকতা নেই বললেই চলে । মসলিন তাঁতী পরিবারের শিশুটিরও মনে জেগে আছে সেই আগেকার দিনের মসলিন শাড়ি বুননের স্বপ্ন । বছর বিশেক আগে ডাচ মন্ত্রী মিসেস কুনের সাথে ডেমরার তারাবো তাঁতী পাড়ায় সেরকই একটি দৃশ্য চোখে পরে । একটি ছোট্ট শিশূ মসলিন শাড়ি বুনার স্বপ্ন বুকে নিয়ে খট খটি তাতে চেষ্টা করছে আপন মনে মসলিন শাড়ি বুননের জন্যে । আমি আশাবাদী হয়ত মসলিন ফিরে আসবে হাতকাটা মসলিন তাঁতী কারিগরের বুকফাটা কান্নায় তার স্বজনের হাত ধরে ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইজান এখানে এসে দেখেছেন বলে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

২২| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:০৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দারুন কিছু জানালেন

১৫ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপনার কাছে দারুন লেগেছে বলে । আপনিতো আরণ্যক আপনাকে একটি কথা খুলে বলতে চাই মন খুলে । প্রজাপতিদের জীবন আজ বড় বিপন্ন । এদের জম্ম হয়েছে শুধু পরের উপকার করার জন্য । ফুল থেকে ফল , পরাগ থেকে মধু, গান হতে কবিতা , জীবন দিয়ে মানুষের বসন ফ্যাশন কতকিছুই না দিচ্ছে । কিন্তু এরা হয় যাচ্ছে পাখী ব্যঙগ বা সাপের উদরে , না হয় অনেকে মারা যাচ্ছে ধানের ক্ষেতে, আমের মুকুলে বিষাক্ত কীট নাশক ছড়ানোর কারণে । তাই প্রজাপতিদের জন্য কি একটা "প্রজাপতি পল্লী" বা "প্রজাপতি অভয়ারন্য" করা যায়না যেখানে হরেক রকমের প্রজাপতিরা নির্ভয়ে থাকতে পারবে । আসুন না সারা দেশব্যপী আমরা একটা কেমপেইন গড়ে তুলি প্রজাপতিদের জীবন রক্ষা কল্পে ।
যাহোক ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

২৩| ১৫ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৫০

কালনী নদী বলেছেন: U think moslin come back! i hope so. . our lost tradition that much affordable.

১৫ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জি ভাই বিষয়টা নিয়ে আমি বাক্তিগতাবে আশাবাদী । বছর পচিশেক আগে তাঁত শিল্পের উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছিল এর আওতায় Revival of Muslin in Bangladesh এর জন্য একটি Aid worthy element ছিল । নেদারল্যাল্ড প্রকল্পটিতে সহায়তা করতে আগ্রহী ছিল। তৎকালীন ডাচ বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা সহকারী মন্ত্রী মিসেস কৌন বাংলাদেশের মসলিন উৎপাদন এলাকা সমুহ তথা ডেমরার তারাবো ( যা এখন জামদানী শাড়ি তৈরীর জন্য প্রসিদ্ধ ও টাংগাইলের বাজিতপুর যা বর্তমানে টাংগাইল মসলিন শাড়ি তৈরীর জন্য প্রসিদ্ধ ) এলাকাটি পরিদর্শণে গিয়েছিলেন । যাহোক, বিবিধ কারণে প্রকল্পটি দিনের আলো সেভাবে দেখেনি ।কিছুদিন আগেও তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ও দেশের ঐতিহ্যময় মসলিনের পুণরুথ্থানের বিষয়টি বর্তমান পাট ও বস্ত্র মন্ত্রীর গোচরে নিয়েও কোন ফল হয়নি । তাই বলেছি এ লক্ষে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা নেই বললেই চলে । এখন মসলিন যদি ফিরে আসেই তবে তা আসবে ক্ষুধে মেধাবী তাঁতীদের নিজস্ব চেষ্টায় যেমনটি চেষ্টা করছে ছবিতে দেখানো একটি ছোট্ট বালক । সে তার বাপ দাদার কাছে শুনেছে যে তার পুর্ব পুরুষেরা নাকি মসলিন শাড়ি তৈরী করতে পারত এবং তা একটি ছোট দিয়াশলাই বাক্সে ভরে রাখা যেত । তাঁতী বালকটির চোখে মুখে স্বপ্ন সে পারবে এই মসলিন কাপর বানাতে । বালকটির কথা ও প্রত্যয় দেখে আমিও আশাবাদী একদিন হয়ত আমাদের গুণী তাঁতী ভাইরা সত্যি সত্যি হারিয়ে যাওয়া মসলিন শাড়ি তৈরীর কৌশলটুকু পুণরুদ্ধারে সক্ষম হবেন ।

২৪| ১৫ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৯

কালনী নদী বলেছেন: inshallah! bro' may allah help that child to get back one of our most precious golden traditon! but you se how the stop the prograssion! also worried about da situation when he get reach his destination. that is nt a easy work so far. . . thank you for being there for us.

১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন কাজটি খুব সহজ নয় । একদিকে দেশী আর দিকে প্রতিবেশী । ভারতীয় শাড়ির অনুপ্রবেশ তাঁতশিল্পের অগ্রগতি করে দিচ্ছে কঠীন থেকে কঠীনতর । জানিনা মুক্তির কি উপায় । তাঁত বোর্ডের ফ্যাশন ডিজাইন প্রকল্পটি বছর গড়িয়ে শুধু নির্মাণ কাজই চলছে বলে তাদের ওয়েবপেজে দেখা যায় এর ফল তাঁতীরা এখনো তেমন পাচ্ছেনা বলেও দেখা যায় ।

২৫| ১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:২৫

কালনী নদী বলেছেন: Asobi bidesi agration! its seems lile unviteable riality that has to happened although in our concern. thats why we are nt da majority but into 2% who cares abt future.

১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: That’s true bro , I can guess the real story behind the scene . Very hard to overcome them due obvious reason

২৬| ১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১২

নীলপরি বলেছেন: বিষয়টা জানতাম । তবে সবিস্তারে ছবিসহ পড়তে ভালো লাগলো । যদিও মনটা একটু খারাপ হয়ে গেছিল ! :| তারপর ভাবলাম , এটা তো বাঁচার লড়াই । কারন এগুলো স্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট নয় । গুটিপোকাগুলো তো চাষ করা হয়েছে । যাঁরা এই শিল্পের সাথে যুক্ত তাঁদের মুখে হাসি ফুটছে । আর সেভাবে ভাবলে মাছও ছোঁয়া যায় না । :)

উপস্থাপনাতে ++++

১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি যতার্থই বলেছেন । বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মিনিফিলিয়েচার গুলিতে কোটি কোটি রেশম পোকার ডিম উৎপাদন করা হয় রেশমচাষীদের মাঝে বিতরণের জন্য । অনেকটা মাছের পোনার মত । এছাড়াও দু:খ পাবার কিছু নেই মনিরা আপা একটি সুন্দর কথা বলেছেন হাজার প্রজাপতি জীবন দিয়ে একটি প্রজাপতি সাজায় । আমিও এখন বলি একটি প্রজাপতি হাজার প্রজাপতিকে অতি আদরে আপনাতে ধারণ করে মনের আকাশে উড়ে উড়ে ভুলিয়ে দেয় হাজার প্রজাপতির দু:খ গাথা ।
কোন দু:খ নেই, চিন্তা করার কারণ নেই প্রজাপতিদের মনেও দু:খ নেই তারা বেচে আছে হাজার প্রজাপতি হয়েই ।
অনেক ধন্যবাদ ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

২৭| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

অংকুর জেসফি বলেছেন: রাজশাহীর মানুষ আমি, আগে থেকেই জানতাম। কিন্তু সচিত্র বর্ণনা মন ছুঁয়ে গেল, অসাধারন।

১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অংকুর ভাইয়া । রাজশাহীর ভোলাহাট বাংলার ঘরে ঘরে পরিচিত রেশম শিল্পের জন্য । রাজশাহীকে তো বলাই হয় রেশম নগরী । কামনা করি রাজশাহী তার এই ঐতিহ্য ধরে রাখুক আবহমান কাল ধরে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

২৮| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
বিষয়টা জানা ছিল কিন্তু এত বিশদভাবে না।

আপনার চমৎকার পোস্টে জানা হলো কিছু অজানা তথ্যও।

ধন্যবাদ ভাই। :)

১৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

২৯| ১৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

নীলপরি বলেছেন: আরে আপনার নতুন পোষ্ট ( মেঘদূত ) কোথায় গেল ? সকালে একটু ব্যস্ত থাকায় পরে এসে ভালো করে পড়ব ভেবেছিলাম । এখন এসে দেখছি নেই !

১৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এখানে আসার জন্য । উত্তরটা আপনার ব্লগে আপনার পোস্টে দিয়ে এসেছি একটু মেহেরানি করে দেখে নিবেন ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

৩০| ১৭ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার "মেঘদুত" কো্থায়?

১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । মেঘদূতের বারতা আপনার কাছে গিয়ে দিব । মেঘদূত নীজেই বিলীন হয়ে পারছেনা দিতে বারতা । তবে এখানে একটি কবিতায় কিছুটা বলা হবে তা ।

৩১| ১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৩৪

জুন বলেছেন: বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম এন জি ও তে কাজ করার সুবাদে রেশম চাষের পুর্ন পদ্ধতিটি দিনের পর দিন নিজ চোখে দেখার সুযোগ হয়েছে। তুত গাছ থেকে সিল্ক আর এন্ডি সিল্কের বস্ত্র পর্যন্ত। আপনি খুব সুন্দর করে ছবির মাঝে তুলে এনেছেন আমার স্মৃতি বিজড়িত এই প্রকল্পটি। যদিও গুটি পোকা দেখে ভয় পেতাম সাংঘাতিক।
অনেক ভালোলাগলো ছবিসহ বৃত্তান্ত।
+

১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এখানে আসার জন্য । সামুর পাতায় মাত্র মাস তিনেক আগে আমার নাম উঠেছে । তাই সকলের সাথে এখনো তেমন পরিচয় হয়নি । গতকাল একটি ব্লগের মন্তব্যের ঘরে আপনার কিছুটা পরিচয় পেয়ে আপনার ব্লগে গিয়ে প্রোফাইল দেখে অভিভুত হয়েছি । নীল সায়রের তলে অনেকখন বিচরণ করেছি । দেখা শেষ হয়নি চোখে ছিল ঘুম , পরে আবার সাগরের গভীরে যাব এ বিবেচনায় কোন চিহ্ন রেখে আসা হয়নি তখন । আজকে বেলা বাড়লে আবার সাগরে ডুব দিব ।
তুঁত চাষ থেকে এন্ডি সিল্ক বস্ত্র উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন শুনে খুব ভাল লাগল । হা আমরা গর্বিত সে সমস্ত এনজিওদের কর্মকান্ডে যারা গ্রামীন রেশম চাষীদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।
ভাল থাকুন , সুকুমার ফুলের শুভেচ্ছা রইল। এখানে ফুলটা দেয়া গেলনা তাই ৩২ নং মন্তব্যটা আপনার জন্যই একটু দেখে নিলে খুশী হব ।

৩২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এখানে আসার জন্য । সামুর পাতায় মাত্র মাস তিনেক আগে আমার নাম উঠেছে । তাই সকলের সাথে এখনো তেমন পরিচয় হয়নি । গতকাল একটি ব্লগের মন্তব্যের ঘরে আপনার কিছুটা পরিচয় পেয়ে আপনার ব্লগে গিয়ে প্রোফাইল দেখে অভিভুত হয়েছি । নীল সায়রের তলে অনেকখন বিচরণ করেছি । দেখা শেষ হয়নি চোখে ছিল ঘুম , পরে আবার সাগরের গভীরে যাব এ বিবেচনায় কোন চিহ্ন রেখে আসা হয়নি তখন । আজকে বেলা বাড়লে আবার সাগরে ডুব দিব ।
তুঁত চাষ থেকে এন্ডি সিল্ক বস্ত্র উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন শুনে খুব ভাল লাগল । হা আমরা গর্বিত সে সমস্ত এনজিওদের কর্মকান্ডে যারা গ্রামীন রেশম চাষীদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।
ভাল থাকুন , সুকুমার ফুলের শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ১৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:০৮

জুন বলেছেন: আমার মন্তব্যে এত সুন্দর একটি প্রতি উত্তর সাথে ফুলের উপস্থিতি দারুন লাগলো ড:এম এ আলী। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার প্রতি ও রইল ধন্যবাদ ।

৩৪| ২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইজন্যই এসব শাড়ী এত দামী হয়।

একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন, আপনি কি পেশায় ডাক্তার ?

২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাই সাব ডাক্তার আর হতে পারলাম কৈ । তবে আর কিছু না পাইরা পি এইচ ডি কইরা একচটা কাগুজী ডক্টর ইন দর্শন হয়ে ড: টা নামের আগে লাগিয়ে রাখছি, সবসময় মনে থাকার জন্য যে আমার বিদ্যার দৌড় এই দুই ফুটা পর্যন্তই , এর বেশী কিছু জানিনা, কোন বেফাস কথা যেন না বলে ফেলি , Self control mechanism এর মত আরকি । কারণ কোন ডক্টর এর লিখাকে মানূষ চটকানী দিতে পছন্দ করে বেশী , তবে লাভ হয় শিখা যায় অনেক কিছু ।
শিক্ষা নেয়ার জন্য এখন এই সামুর পাতায় ভর্তী হইছি আবার। আপনাদের মুল্যবান লিখা থেকে শিখছি ।
আমার প্রতিতি হচ্ছে আপনি কোন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক , আমার বিশ্বাস আপনার নামের আগেও ড: আছে যদি আমার ধারণা ভুল না হয় ।
ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য ।

৩৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: সিক্স বা সেভেনে পড়েছিলাম। এত ক্লিয়ার ছবি ছিল না
বইয়ে। ভালো লেগেছে।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
ভাল লাগার কথা শুনে
খুশী হলাম । আরো
লেগেছে ভাল তব
ব্লগের সাথে হতে
পেরে পরিচিত ।

৩৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যদিও জানা ছিল কিন্তু ছবি ও বর্ণনায় যতটা জীবন্ত হলো ততটা জীবন্তময় এর মত জানা ছিলনা।

মরে গিয়েও জড়িও থাকো অঙ্গে
আহা প্রজাপতি তুমি বেঁচে থাক কত রঙ্গে।+++++

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দুঃখ্যিত ।
মসন্তব্যের কোন নোটিশ পাইনি বলে
অনেক পুরাতন এই পোষ্টে জমে থাকা
মুল্যবান মন্তব্যটি দেখতে পারিনি ।
অনেকদিন পরে আজকে এসে এর
দেখা পেলাম ।

সুন্দর ছন্দময় মন্তব্যে খুবই প্রীত হলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৭| ০৪ ঠা মে, ২০২২ দুপুর ১:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ পোস্ট পড়ে কোন নারী যদি রেশমি শাড়ি পরা পরিহার করে, তবে আমি অবাক হবো না। নারীর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কি নিদারুণ একটি নির্দয় প্রক্রিয়া জড়িত, তা ভাবলে আর রেশমি শাড়ি পরা নারীকে সুন্দর দেখাবে না।

"হাজার প্রজাপতি জীবন দিয়ে একটা প্রজাপতি সাজায়" - চমৎকার এ পর্যবেক্ষণটির জন্য মনিরা সুলতানা কে ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ২:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রায় ৬ বছর আগের একটি পোষ্ট
এসে দেখার জন্য ধন্যবাদ ।

গুটির ভিতরে জন্ম নেয়া সিল্ক মথগুলিকে
গুটি কেটে বেড় হয়ে আসতে দেয়ার
সুযোগ না দিয়ে এদেরকে গরম পানিতে
চুবিয়ে হত্যা না করে তাদেরকে জীবন্ত
বেড় হয়ে আসতে দিলেই মনে হয়
আরো বেশি ভাল হতো , পাকৃতিক
জীব বৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষা করতে
এরা আরো বেশী সহায়তা করতে
পারত । এরা মরে গিয়ে মানুষের
সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও এ শিল্পের সাথে
জড়িতদেরকে যে পরিমান আর্থিক
ভাবে লাভবানের জন্য সহায়তা করে
তার চেয়ে এরং পাকৃতিক ভারসাম্য
রক্ষা করতে সহায়তার মাধ্যমে
এরা দেশ ও জাতিকে মনে হয়
আরো বেশি সহায়তা করতে
পারে । পরিবেশবাদী বিশেষজ্ঞগন
বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন ।
উলেখ্য আজকাল খাটি রেশমী বস্ত্রের
নামে যা বজারে পাওয়া যায় তার
মধ্যে কৃত্তিম রেশমী তন্তুর পরিমানই বেশী ।
তাই পাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট
করে তথাকথিত খাটি রেশম শিল্প বিকাশের
নামে কুটি কুটি প্রাণী হত্যা যজ্ঞের পিছনে
ছুটার বিষয়টি নিয়ে ভাবনার অবকাশ
আছে বলে মনে হয় ।

আপনার দেয়া ধন্যবাদ মনিরা'পুকে জানিয়ে দিব ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৮| ১১ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:




রেশমি কাপড়ের প্রতি আগ্রহ কখনও ছিলোনা, পরাও হয়নি ।
আর এই লেখা পড়েতো মনে হয়, নো ওয়ে ......

কেমন আছে আলী ভাই ।




২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দু:খিত ।
বেশ কিছুদিন যাবত পুরানো ব্যাক পেইন নিয়ে
বলতে গেলে শয্যাসায়ী , তাই লিখতে ও পড়তে
বেশ কষ্ট হয় বলে সামুতে বিচরন করতে
পারচিনা । সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী ।
শুভেচ্ছা রইল

৩৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




আলী ভাইকে ইদানিং সামুতে দেখা যাচ্ছে দীর্ঘ বিরতির পর ।
আশা করি এখন সুস্থ আছে ।



২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক পুরাতন একটি পোষ্টে এসে আমার কুশল
জানতে চাওয়ায় অনেক অনেক খুশী হয়েছি ।
বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দু:খিত ।
বেশ কিছুদিন যাবত পুরানো ব্যাক পেইন নিয়ে
বলতে গেলে শয্যাসায়ী , তাই লিখতে ও পড়তে
বেশ কষ্ট হয় বলে সামুতে বিচরন করতে
পারছিনা । সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী ।
শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.