নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহু গুণের আধার জাফরানের আদি অন্তঃ বাংলাদেশে এর চাষাবাদ প্রসঙ্গ

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৭


সুগন্ধী ও অতি মুল্যবান বনেদি মশলা হিসাবে জাফরান আমাদের সকলের কাছেই বেশ পরিচিত একটি শব্দ । জাফরানের আরেকটি নাম কুঙ্কুম বা কেশর, ইংরেজীতে বলে স্যাফরন saffron। বেগুণী রঙের জাফরান ফুল দেখতে খুবই সুন্দর ।

পৃথিবীর একটি অন্যতম দামী পুষ্পজাতীয় মসলা, ফুল হতেই এর উৎপত্তি। জাফরান তার সুবাস, ঔষধি, রঞ্জনবিদ্যা এবং প্রসাধনীগুণের জন্য জগৎ বিখ্যাত। অত্যন্ত মূল্যবান হওয়ায় জাফরানকে বাণিজ্যিক অঙ্গনে বলা হয় লাল সোনা ( রেড গোল্ড)।
জাফরান ফুলের সকল অংশেরই মুল্যবান প্রয়োগ উপযোগীতা রয়েছে । পরিণত জাফরান গাছে বেগুণী রঙের ফুল হয়। এই ফুলের ভিতরে থাকে লম্বা পরাগ দন্ড। এ দন্ডের রঙ হলুদ ও কমলা মিশ্রনে জাফরানি বর্ণের হয়।পরিণত ফুল শুকালেই এই দন্ড মশলা হিসেবে ব্যবহৃত করার জন্য ফুল থেকে আলাদা করা হয়। ১ পাউন্ড বা ৪৫০ গ্রাম শুকনো জাফরানের জন্য ৫০ থেকে ৭৫ হাজার ফুলের দরকার হয়, এক কিলোর জন্য প্রয়োজন একলক্ষ দশ থেকে একলক্ষ ৭০ হাজার ফুল।

পরাগ দন্ডের হলুদ অংশ ব্যবহৃত হয় রং তৈরীতে এবং ফুলের পাপড়িগুলি আরো বহুবিদ কাজে ব্যবহৃত হয়।

জাফরানের ইতিহাস
সেই প্রাচীন কাল হতেই ইউরুপ ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে জাফরান তার সুগন্ধ ও উজ্জ্বল রঙের এর জন্য গুরুত্বপুর্ণ পন্য হিসাবে গন্য ছিল । এ ফসলের আদিনিবাস গ্রীস। উল্লেখ্যযে প্রায় প্রায় চার হাজার বছর পুর্বে ( খৃষ্টপুর্ব ১৬ শতকে) আগ্নেয় ভস্মস্তুপে পরিনত প্রাচীন গ্রীস নগরী এক্রোতিরিতে খননকৃত প্রত্নতাত্বিক ভবনের দেয়ালে অঙ্কিত ফ্রেসকো শিল্প কর্মে সে সময়ের অনেক ইতিহাস্‌ই চিত্রিত হয়েছে ।
প্রত্নতাত্বিক সেই ভবনটির দেয়ালে অঙ্কিত ফ্রেসকো শিল্প কর্ম (fresco of the "Xeste 3" building):

দেয়ালে অঙ্কিত ফ্রেসকো শিল্প কর্মে জাফরান ফুল গাছঃ

জাফরান ব্যবহারের প্রথম চিত্রটি পাওয়া যায় প্রাক্-গ্রীক সংস্কৃতির ব্রোঞ্জ যুগের। ক্রীটের নোসোস প্রাসাদে পাওয়া জাফরান চাষের চিত্রে দেখা যায় মেয়েরা ও বাঁদররা জাফরান তুলছে। এজিয়ান দ্বীপ সান্টোরিনির আক্রোতিরি খননের সময়ে " জেস্ট-৩" ভবনে পাওয়া যায় ফ্রেস্কোচিত্রের নিদর্শন , গ্রীকরা একে "থেরে" বলত। এই চিত্রগুলি সম্ভবত খ্রীষ্টপূর্ব ষোড়শ বা সপ্তদশ শতাব্দীর। চিত্রগুলিতে এক মিনোয়ান দেবীকে দেখা যায় ঔষধ তৈরী করার জন্য জাফরান ফুল তুলছেন ও পরাগমুন্ড পরিষ্কার করছেন।

এইস্থানের আরেকটি ফ্রেস্কোচিত্রে জাফরান দিয়ে নিজের রক্তাক্ত পায়ের শুশ্রূষা করতে দেখা যায় এক নারীকে।

এই ফ্রেস্কোগুলিতেই যেখানে প্রথম জাফরানের ওষধিগুণের উদ্ভিদ দ্বিদ্যাসম্মত দৃশ্য চিত্রায়িত হয়েছে।

আদি গ্রীকদের উপকথামতে অনেক দুঃসাহসী নাবিক সুদূর সিলিসিয়া অঞ্চলে পাড়ি দিয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান জাফরান সংগ্রহ করার জন্য। হেলেনীয় রূপকথার ক্রোকাস ও স্মাইলাক্সের কাহিনী সবচেয়ে জনপ্রিয়। জলপরী স্মাইলাক্সকে ভালো লাগে সুদর্শন যুবক ক্রোকাসের। পরীকে সে যতই কাছে পেতে চায় না কেন, স্মাইলাক্স ধরা দেয় না। অ্যাথেন্সের নিকটবর্তী অরণ্যে তার প্রেমের সারল্যে অভিভূত হয় স্মাইলাক্স।

তবে ক্রোকাসের ভালোবাসা ফিরিয়ে না দিতে সে ক্রোকাসকে একটি গেরুয়া রঙের ফুলে পরিণত করে দেয়। গেরুয়া রং হল অনন্ত ও অস্বীকৃত প্রেমের প্রতীক :
ক্রোকাস ও স্মাইলাক্স পুষ্পে পরিণত হয়,

ঘন বর্ষণে কিউরেটিস জন্মায়
এমন কয়েকশো রূপকথা পার হই আমি,
এই চিত্তের মাধুর্যে যদি খুশি হও তুমি।
- ওভিড, মেটামর্ফোসেস্।

প্রাচীন, মিশরে ক্লিওপেট্রা জাফরান মিশ্রিত গরম জলে স্নান করতন আর প্রসাধনী হিসেবে ব্যবহার করতেন জাফরান।
চীন, গ্রীক ও রোমানরা মূলত সুগন্ধি হিসেবে জাফরান ব্যবহার করতেন। সম্রাট নীরু যখন রোমে এসেছিলেন সমৃদ্ধশালী রোমানরা রোজ জাফরান মিশ্রিত জলে স্নান করতেন ও দেবতার কাছে অর্পণ করতেন; মাস্কারা, সুরা ও সাজসজ্জাতেও তারা জাফরান ব্যবহার করতেন।
সুমেরীয়রা তাদের ওষুধ ও জাদুবিদ্যায় জাফরান ব্যবহার করে। তারা আরো বিশ্বাস করত দৈব মহিমাই জাফরানের ওষধিগুনের কারণ।
ইউরোপের অনেক দেশ যথা স্পেন , গ্রীস, তুরস্ক , আফ্রিকার মিসর , এশিয়ায় আফগানিস্থান ও চীন এ কম বেশি জাফরানের চাষ হতে থাকে। ভারতের কোন কোন অংশে বিশেষ করে কাশ্মীরেও এ ফসলের চাষ বিস্তার লাভ করে ।

পারশ্য উপসাগরীয় অঞ্চলে জাফরান
সেই প্রাচীন কাল হতেই পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলেও জাফরান তার সুগন্ধ ও উজ্জ্বল রঙের এর জন্য গুরুত্বপুর্ণ পন্য হিসাবে গন্য ছিল । জাফরানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় তা ধীরে ধীরে গ্রীসের গন্ডি পেরিয়ে পারশ্য ( ইরান) বিস্তার লাভ করে ।জাফরানের ইতিহাস হতে জানা যায় যে পারস্য সাম্রাজ্যের উত্তরপূর্বে বর্তমান ইরাকে প্রায় পঞ্চাশ হাজার বছর আগেকার প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্রে জাফরান-রঙে রঙিন পশুদের ছবি পাওয়া গেছে । তিন হাজার বছর আগেকার ইহুদিদের কাছে তনখে কেশর বা জাফরান একটি সুগন্ধি পন্য হিসাবে ছিল গন্য ।
সোলোমনের গীতিমালায় (সং অফ সোলোমন) দেখা যায়
তোমার ওষ্ঠে মৌচাকের মতো মধু ঝরে,
হে প্রিয়, জিহ্বাতলে ভাসে মিষ্টত্বের দুগ্ধ,
আর লেবাননী সুবাস আছে তোমার বস্ত্রে
গাল যেন তোমার ডালিম ফলের বাগান,
সে বাগানের ফল যেন ওষধি আর জাফরান,

সুদূর অতীতে দেবতাদের পূজায় অর্পিত হওয়া ছাড়াও জাফরান তার অসাধারণ হলুদ রং, সুগন্ধ ও ওষধিগুনের জন্য ব্যবহার হত।
চন্দনের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে তা স্নানের জলেও ব্যবহার করা হত। এশীয় মহাদেশে যুদ্ধে এসে সম্রাট আলেকজান্ডার ও তাঁর সৈন্যবাহিনী বহুল পরিমাণে জাফরান ব্যবহার করেন। জাফরান মিশ্রিত চা ও ভাত ছাড়াও, সাইরাস দ্য গ্রেট-কে অনুসরণ করে আলেকজান্ডার স্বয়ং জাফরান কেশর ছড়ানো জলে স্নান করতেন। সাইরাসের মতোই তিনিও জাফরানের ওষধিগুনে বিশ্বাসী ছিলেন। ম্যাসিডোনিয়ায় ফিরে যাওয়ার পরেও গ্রীকরা এই স্নানের রীতি বজায় রেখেছিল।

দক্ষিণ পুর্ব এশিয়া
পারসি নথিপত্র অনুযায়ী, অন্যান্য মশলার মতো জাফরানও পারস্য দেশ থেকে ভারতবর্ষে আমদানি করা হয়েছিল। ভারতীয় সম্রাটদের পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন উদ্যান ও পার্কে জাফরান গাছের ফলনের পরিচর্যা করা হতো । খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে ফিনিসীয়রা নতুন কাশ্মিরী জাফরানের ব্যবসা শুরু করে বেশ লাভবান হয়।

কাশ্মীরি লোককথা অনুযায়ী একাদশ বা দ্বাদশ শতাব্দীতে , দুইজন সুফি দরবেশ সর্ব জনাব খাজা মসুদ ওয়ালি ও হজরত শেখ শরিফুদ্দিন কাশ্মীরে এসে জাফরান চাষ ও ব্যবহার প্রচলন করেছিলেন। আদি চাইনিজ বৌদ্ধধর্মে ভারতে জাফরানের আগমনের আরেক কাহিনী প্রদান করে। খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে এক ভারতীয় বৌদ্ধ সন্ন্যাসী মধ্যন্তিকা কাশ্মীরে যাত্রা করেন। তিনিই কাশ্মীরি জাফরানের প্রথম শস্যদানাটি বপন করেন ও সেখান থেকেই ভারত উপমহাদেশে জাফরান বিস্তার লাভ করে দাবী করা হয়। কয়েকজন ইতিহাসবিদদের মতে, মঙ্গোল আক্রমণকারীরা পারস্যদেশ হয়ে চিনদেশে জাফরান নিয়ে আসে। তবে খ্রীষ্টপূর্ব আনুমানিক তৃতীয় শতাব্দীতে চাইনিজরাই জাফরানের কাশ্মীরি উৎস স্বীকার করে। বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও জাফরানী রংগের বস্ত্র পরিধান করে ।

বর্তমানে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও গ্রেট ব্রিটেনের উদ্যোগে আফগানিস্তানে আবার জাফরান চাষ চালু হয়েছে। হতদরিদ্র ও কপর্দকশূন্য আফগান চাষীদেরকে তাদের লোভনীয় ক্ষতিকর পপি চাষের বদলে জাফরান ফলাতে উৎসাহিত করছে । বাংলাদেশেও অতি সামপ্রতিক কালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাপান হতে প্রায় ৪০০ শত জাফরান গাছের বালব নিয়ে এসে সফলভাবে এর থেকে ফুল ফুটাতে সক্ষম হয়েছেন ।

জাফরান একরকমের নির্বীজ ট্রাইপ্লোয়ড। বিশেষ ধরনের মিয়োসিস দ্বারা এর বংশবৃদ্ধি ঘটে। নির্বীজ ট্রাইপ্লোয়ড এর কারণে জাফরান ফল তৈরি করতে পারে না। যে কারণে এর বংশ বিস্তারের জন্য মানুষের সাহয্য প্রয়োজন হয়। ক্রোম তথা বালবগুলি মাত্র এক বছর পর্যন্ত বেচে থাকে এবং এর মধ্যেই এগুলিকে মাটিতে রোপন করতে হয়। বালব হতে চাড়া গজিয়ে বেড়ে উঠে ও তাতে ফুল ফোটায়
ছবি : বেষ্ট জাফরানী

ফুল হতে জাফরান কেশর প্রক্রিয়াকরন পদ্ধতি
পাপড়ী মেলা ফুলের পরাগদন্ড (স্টিগমা) সংগ্রহ করে তা থেকে জাফরান এর প্রাপ্তি ঘটে । প্রথম বছর রোপিত সব গাছে ফুল আসেনা, এ সময় প্রায় শতকরা ৪০-৬০ ভাগ গাছে ফুল আসতে পারে। মাত্র এক গ্রাম জাফরান পেতে প্রায় ১৫০টা ফুলের প্রয়োজন হয়। পরের বছর একেক গাছ থেকে প্রায় ২-৩টা করে ফুল দেয়। তবে তৃতীয় বছর থেকে প্রতি বছর জাফরান গাছ ৫-৭ টা করে ফুল দিতে সক্ষম।
এটা একটা ব্যয় বহুল ও প্রচুর শ্রম নির্ভর কাজ। একারণে এই দামী মসলা চাষে এখন অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু আমরা একটি অতি জনবহুল দেশ, কর্ম সন্ধানে বিপদের ঝুকি নিয়ে নৌকায় করে উত্তাল সাগর পারি দিয়ে, কেওবা দলালের হাত ধরে ভিটেমাটি বিক্রি করে পরিবার পরিজন ছেড়ে কাজের সন্ধানে বিদেশে পারি দিচ্ছি ,কেওবা আবার প্রতারনার শিকাড় হয়ে রিক্ত হস্তে দেশে ফিরে যার পরনাই দুরাবস্থায় পতিত হচ্ছি । তাই স্বল্পপুজিতে বাড়ীর উঠান সংলগ্ন খালী জায়গায় , খেতের আলে, ঘরের ছাদে , দেশের চড়াঞ্চলের বন্যামুক্ত উচুস্থানে বানিজ্যিক ভিত্তিতে এর চাষ করা যেতে পারে । চাষ প্রক্রিয়া অতি সহজ, এদেশের কৃষককুল দারুন প্রাকৃতিক বৈরী পরিবেশেও অনেক বিদেশী কৃষি পন্যের সফল চাষাবাদ করে চলেছেন । তাই এই শ্রম নির্ভর কিন্তু উচ্চ দামের ফসলের প্রতি কৃষকদেরকে আকৃষ্ট করতে পারলে দেশের গ্রামীন দরিদ্র জনগুষ্ঠির সকলের জন্য একটি লাভজনক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি হবে বলে একান্তভাবেই আশা করা যায়। প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতার ।

জাফরানের ব্যাবহারিক ক্ষেত্র
খাবার সু-স্বাদু করার জন্য বিশেষ করে বনেদী পোলাও,বিরিয়ানি, কালিয়াতে জাফরানী রঙ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানে জর্দা তৈরীতে ও তাতে আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক রং আনতে জাফরান একটি অন্যতম উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয় । আমাদের দেশে জাফরান মূলতঃ ব্যবহার হয় জরদা নামের মিষ্টান্ন ও পায়েস তৈরিতে। অনেক পান বিলাসী এর পাপড়ি পানের সাথে চর্বণ করেন।

তবে খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহারের পুর্বে জাফরান কেশরকে গরম পানিতে ফুটিয়ে নীচের চিত্রের মত রংগীন নির্যাস তৈরী করে নিতে হয় ।

মুখমন্ডল আকর্ষণীয় করতে ও ত্বকের উজ্জ্বল রং আনার জন্য স্বচ্ছল সচেতন রমণীরা প্রাচীন কাল থেকেই জাফরান ব্যবহার করে আসছে। এখনকার বিউটি পার্লারেও রূপচর্চায় জাফরান অন্যতম উপাদান হিসাবে সমাদৃত। বনেদী পার্লারগুলোতে নান্দনিক সাজসজ্জায় এর রঙ মেহেদিও সাথে সংমিশ্রণে মোহনীয় উজ্জ্বল রং এর উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

জাফরানী রঙ বিভিন্ন হারবাল ওষুধ প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় ব্যবহার হয় । জাফরান যেমন অর্থকরী একটি মসলা তেমনি এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও অন্য অনেক শারীরিক সমস্যা নির্মূলে ঔষধি হিসেবে কাজ করে থাকে বলে আয়ুর্বেদিকগন উল্লেখ করেন । এক সময় দেহসৌষ্ঠব বাড়ানোর জন্য গায়ে মাখা হতো জাফরান যা জাফরানের ইতিকথা অধ্যায়ে বলা হয়েছে । ত্বকের লাবন্য বাড়াতে জাফরানের জুড়ি নেই। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং অবসাদের চিহ্ন দূর করে ত্বককে সতেজ ও সজীব করে তোলে। এর ভেষজ গুণ এতই সমৃদ্ধ যে, এটি মানবদেহে অন্তত ১৫টি সমস্যা দূর করতে সক্ষম। জাফরানে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা দূর হয়। স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি বৃদ্ধিতেও এটি বেশ সহায়ক। প্রসাধন সামগ্রীতে জাফরানের বহুল ব্যবহার রয়েছে।

তবে আসল জাফরান চেনা জরুরি, জাফরান কেনার সময় ক্রেতাদের অনেক ক্ষেত্রে ঠকিয়ে দেন বিক্রেতারা। কারণ, বাজারে নকল জাফরান বিক্রি হয়। কুসুম নামের ফুলের পাপড়ি দিয়ে নকল জাফরান তৈরি করা হয়। কুসুম (ইংরেজি Safflower) একটি কমলা- হলুদ রংএর ফুল যা প্রায় ১ থেকে ২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। এটা অনেক সময় জাফরানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। পৃথিবী বহুদেশে এটাকে জাফরান নামে বিক্রি করে মানুষ ঠকানো হয়। মসলা হিসাবে এটার কোন মূল্য নাই । এই ফুলটিও এখন অবশ্য বিলুপ্তির পথে । কুসুম গাছ দুই ধরনের- একটি বেশ বড় এবং উঁচু, অন্যটি খুবই ছোট ও ঝোঁপালো ধরনের। পরিত্যক্ত মাঠ কিংবা ঘাসবনে আপনা আপনিই জন্ম নেয়া এই উদ্ভিদটির নৈর্সগিক সৌন্দর্য্যে বিমোহিত করে তোলে সবাইকে। বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ এলাকায় এটির সাক্ষাত এখনো মিলে। উদ্ভিদটির সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে সময়ের করালগ্রাসে এক সময় বিলুপ্তির তকমা লাগবে এর গায়ে।

অন্য জাতের আরো একটি কুসুম ফুল

কুসুম ফুল থেকে তৈরি গুড়ার রঙ জাফরানের মত হওয়ার কারণে নকল আর আসল জাফরানের পার্থক্য করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। জাফরান কেনার সময় ক্রেতাকে অবশ্যই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী দেশে জাফরান চাষাবাদের একটি পর্যালোচনা
আমাদের নিকট প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাশ্মীরে ও হিমাচল প্রদেশে জাফরানের বানিজ্যিক চাষাবাদ হয় । যদিউ কাশ্মীরের ও হিমাচলের জলবায়ুর সাথে আমাদের দেশের জলবায়ুর বেশ পার্থক্য রয়েছে তথাপি সে এলাকার জাফরানের চাষাবাদের চিত্রটি আমাদের জন্য কিছুটা দিক নির্দেশনা দিতে পারে বিবেচনায় সেখানকার চাষাবাদের কিছু চিত্র এখানে তুলে ধরা হল ।
উপযোগী আবহাওয়ার কারণে কাশ্মীর উপত্যকায় পুলওয়ামা ও বুদগম জেলায় জাফরান বেশী উৎপন্ন হয়।

ফসল তোলার সময় এটি সেখানে একটি উৎসবে পরিনত হয়, সেখানে নারীরা লোকগান গাইতে থাকে এবং বয়স্ক লোকেরা বাচ্চাদের কাছে স্থানীয় কাহিনী বর্ণনা করে।

কৃষকরা সকাল সকাল ঘর হতে বেরিয়ে যায় আর শিশির ঝরে পড়ার পর গাছ হতে জাফরান ফুলগুলি তুলতে শুরু করে।

পাপড়ি মেলা জাফরানের ফুলে ফুলে মৌমছিদের গুঞ্জরণ শুনতে শুনতে কৃষকেরা গাছ হতে ফুলগুলি তুলে ঝুরীতে ভরে ।

বাগান হতে ফুল তুলার পরে কৃষক তার পরিবারের সকলকে নিয়ে দাওয়ায় কিংবা ঘরে বসে নিজ হাতে ফুল হতে পরাগ দন্ডগুলি (কেশরগুলি) পৃথক করে ।

এই পরাগ দন্ডগুলিই জাফরানে পরিনত হয় ।

প্রায় ১৩০ থেকে ১৬০ টি ফুল হতে ১ গ্রামের মত জাফরান পাওয়া যায় । ফুলের ঘন লাল রংগের পরাগমুন্ড পৃথক করার পরে সেগুলিকে ঘরের ভিতর শুকানো হয় , রোদের তাপে শুকালে এর রং ফেকাশে হয়ে যায় ।

কৃষকগন সাধারণত ফরিয়াদের কাছে শুকনো জাফরানগুলি বিক্রি করে, যারা পরে সেগুলি ফার্মগুলিতে বিক্রয় করে।

পরবর্তীতে ফার্মগুলি সংগৃহীত জাফরান থেকে মংরা বা মগ্রা নামে পরিচিত সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং শ্রেষ্ঠ মানের জাফরান তৈরি করে।

কাশ্মীরে সাধরনত তিন ধরনের জাফরান তৈরী হয় , এর মধ্যে মংরা সবচেয়ে দামী, দ্বিতীয় গ্রেডেরটি দামী তবে খাটি জাফরানের নাম লাচা , এবং তৃতীয় গ্রেডেরটি হল জারডা , এটা সবচেয়ে কম দামী , ভারতীয় কাশ্মীরী জাফরান যা আমাদের এখানে বৈধ কিংবা অবৈধভাবে এসে থাকে তা এই গ্রেডের জাফরানই বটে । তার পরেতো কুমকুমের ভেজাল আছেই । ভেজালের বিষয়টি একটু পরেই আলোচনায় উঠে আসবে ।

কাশ্মীরের পলেমা এলাকার কৃষকদের কাছে জাফরানের চাষাবাদই আয়ের মুল উৎস ।

জাফরানের সাথে কাশ্মীরীদের একটি ঐতিহ্যগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ও রয়েছে, এটি কাশ্মিরের সকল বিখ্যাত রন্ধনশিল্পে ব্যবহৃত হয় এবং বিবাহ উৎসবের সময়ে সেসমস্ত খাদ্যদ্রব্য অতিথিদেরকে পরিবেশন করা হয় ।


জাফরানের চাষাবাদ পদ্ধতি
প্রায় সব ধরনের জমিতে জাফরান ফলানো যায়। তবে বেলে-দোঁআশ মাটি এ ফসল চাষে বেশি উপযোগী। জলাবদ্ধ সহনশীলতা এ ফসলের একেবারেই নেই। পর্যাপ্ত রোদ ও আলো-বাতাস প্রাপ্তি সুবিধা আছে এমন স্থানে এ ফসল আবাদ ব্যবস্থা নেয়ার কথাই কৃষি বিশেসজ্ঞগন বলে থাকেন।
পরিবারিক প্রয়োজন মেটাতে গৃহকোণের বাগানের প্রান্ত এলাকাতেও এ ফসল চাষের প্রচলন আছে। অনেকে ছাদে, পটে বা ছোট ‘বেড’ তৈরী করে নিয়েও সেখানে সীমিত আকারে জাফরান চাষ করে পরিবারের চাহিদা পূরণ করে থাকে। পারিবারিক পরিসরে বসতবাড়ি এলাকায় এ ফসল চাষের জন্য বেশি উপযোগী। এ ফসল একবার রোপন করা হলে ৩-৪ বছর পর্যন্ত ফুল দেয়া অব্যাহত থাকে। তবে গাছের গোড়ায় পানি জমতে দেয়া যাবেনা । উচু ঢালু জায়গা হলে ভাল হয় ।


গাছের বৃদ্ধি ও ফুল
বসন্ত শেষে মাটিতে বালব রোপনের পর এই জাফরান বাল্বগুলিতে কয়েক সপ্তাহ পর হতেই ফুলের কুড়ি দেয়া শুরু করে ।

গাছে শীতের প্রারম্ভে অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ফুল আসে।

অক্টোবর মাস থেকে গাছ ফুল দেয়া আরম্ভ করে এবং নভেম্বর মাস পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। তবে মৌসুমী তাপমাত্রার উপর এ ফুল ফোটা অনেকটা নির্ভর করে। পাপড়ি মেলা ফুলের গন্ধে পুরা এলাকা মৌ মৌ করে। ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ফুল তুলে তার থেকে পরাগদন্ড ছেঁটে সংগ্রহ করা প্রয়োজন। জাফরান সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজ অতি ধৈর্য্যের সাথে করতে হয় যা অনেকটা চা পাতা সংগ্রহের মত। ফসল সংগ্রহ, পরবর্তীতে প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণন এ কাজগুলো উৎপাদনকারী সব দেশেই মহিলারা করে থাকে।

বাংলাদেশে জাফরানের ব্যবহার , প্রাপ্যতা ও চাষাবাদ সম্ভাবনা
আমাদের দেশে জাফরান উৎপাদন হয় না বলে দেশের সব বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট, হোটেল ও মিষ্টান্ন সম্ভারেই কেবল প্রতি বছর ছত্রিশ থেকে চল্লিশ কেজি জাফরান আমদানি করা হয় ( সুত্র :বাংলাদেশ প্রতিদিন, তারিখ ২রা নভেম্বর ২০১৮)। বাংলাদেশে আমদানিকৃত জাফরান বাইতুল মোকাররম মার্কেট, গুলিস্তানের খদ্দর মার্কেট ও সুপার স্টোরে পাওয়া যায়। জাফরান' প্রতি কেজি’র মূল্য গ্রেড অনুযায়ী প্রায় ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ।

দুবাই হতে কিছু ইরানী জাফরান দেশে এনে বিপণন করা হয় বলে বেশ কিছু অনলাইন এডে দেখা যায়

২৫ গ্রামের একটি ইরানী জাফরনের প্যকেটের দাম ৩৯৯৯.০০ টাকা ( সুত্র - Click This Link )। এটা যে কতটুকু খাটি তা সরবাহকারী ও ব্যবহার কারীই কেবল বলতে পারবে তবে এটা যে জাফরানী ফ্লেবার সমৃদ্ধ একটি পন্য তাতে কোন সন্দেহ নাই । ভারত হতেও প্রতিবছর প্রায় ৫০ কেজির মত পন্য জাফরান ফ্লেবার (সুত্র: Click This Link) নাম দিয়ে ও জাফরান সমৃদ্ধ কসমেটিক দ্রব্য হিসাবে আরো কিছু জাফরান পন্যসামগ্রী বাংলাদেশে প্রতি বছর আমদানী ঘটে ।

জাফরানের উপর থেকে আমদানী নির্ভরশীলতা কমিয়ে ও উচ্চমুল্যমানের এ্ই ফসল দেশেই ফলানোর লক্ষ্যে ২০০০ সালে বাংলাদেশের ৯ টি বিএডিসি উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে জাফরানের চাষ শুরু করা হয়েছিল বলে বিভিন্ন সংবাদ ভাষ্য হতে জানা। তবে এ সমস্ত তথ্যের কোন নির্ভরযোগ্য বিস্তারিত বিবরণ কোথাও দেখা যাচ্ছেনা । তবে একথাও শুনা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের মাটি জাফরান চাষের জন্য মোটামুটি উপযোগী। তাই অতি মুল্যবান এই জাফরান চাষাবাদের দিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকে । জাফরান চাষের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব কেননা অতি শ্রমঘন এ ফসলটির উৎপাদন সীমিত হলেও সারা দুনিয়াব্যপী এর চাহিদা রয়েছে ব্যপক ।
সম্প্রতি শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এক প্রায়োগিক গবেষনায় দেশে জাফরান উৎপাদন সফলতার মুখ দেখেছে বলে দাবী করা হয়েছ । গবেষকদলের প্রধান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন জানান, তাঁরাই দেশের মাটিতে প্রথম সফলভাবে জাফরান উৎপাদন করেছেন (সুত্র Click This Link )।
বাংলাদেশে জন্মানো জাফরান ফুলের চিত্র

বাংলাদেশ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত বলে এখানকার স্বাভাবিক তাপমাত্রা জাফরান চাষের জন্য অনেকটা অনুপযোগী বলে শেকৃবির গবেষক দল মনে করেন । তাই সার্বিক দিক খেয়াল রেখে গ্রিন হাউস এর মাধ্যমে দেশে জাফরান সম্পূর্ণ সফলভাবে উৎপাদন সম্ভব বলে জানান শেকৃবির এই গবেষক দল। তাঁদের মতে ব্যক্তিপর্যায়ে দেশে জাফরান চাষ এমহুর্তে বেশ ঝুকিপুর্ণ ও ব্যয়বহুল ।এ জন্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জাফরান চাষ বিস্তারে প্রয়োজনীয় সহায়তার লক্ষ্যে কমপক্ষে ২০০০ বর্গফুটের একটি গ্রিনহাউস প্রয়োজন যা মাতৃ বিজাগার হিসাবে কাজ করবে আর এর জন্য খরচ হবে সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুই কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকার যদি এই সম্ভাবনাময় গবেষণায় বিশেষ অনুদানের ব্যবস্থা করেন, তবে তা সম্প্রসারণমূলক প্রায়োগিক গবেষনায় আরেকটি ধাপ উন্মোচিত করবে বলে তাদের ধারনা। জাফরান চাষাবাদকে বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এর প্রয়োগিক গবেষনা খুবই প্রয়োজন । কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চাইলে শেকৃবী তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরী সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও সংবাদ ভাষ্যে দেখা যায় ।

জাফরান চাষাবাদের জন্য আমাদের আশু করণীয়
দেশের প্রত্যেক হর্টিকালচার সেন্টারের সুবিধামত স্থানে ২- ৩ টা স্থায়ী বীজ তলায় এ দামী গুরুত্বপূর্ণ হাইভ্যালু ফসলের আবাদ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। পার্শ্ববর্তী যে কোন দেশ থেকে দু-একশত জাফরান বালব সংগ্রহ করে চাষের উদ্যোগ নেয়া জরুরী। জাফরান বালব সংগ্রহ করে প্রত্যেক হর্টিকালচার সেন্টারে বিশেষ করে গাজীপুরে অবস্থিত নূরবাগ জার্মপ্লাজম হর্টিকালচার সেন্টারে চাষ ব্যবস্থা নিয়ে মাতৃ বাগানের উৎস সৃষ্টি করা যেতে পারে।
গাজীপুরের নূরবাগ জার্মপ্লাজম হর্টিকালচার সেন্টার

জার্মপ্লাজম হর্টিকালচার সেন্টারের হুপ/গ্রীণ হাউজের বীজ বেদিতে যে ভাবে জাফরানের বালব রোপন করা যেতে পারে
প্রতি বালবের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ ইন্চি করে দুরত্ব রাখতে হবে


গ্রীন হাউজে রোপনের পর যথাযথ পরিচর্যায় কি ফল দিবে নীচে দেখা যেতে পারে


জাফরান আবাদ খুবই সহজ , সকাল বেলায় গাছ হতে শীতের শিশির ঝড়ে যাওয়ার পর গাছ হতে শুধু ফুলটি তুলে নিতে হবে যেমনটি কাশ্মীরি কৃষকেরা করে থাকে বলে পুর্বেই দেখানো হয়েছে । তারপর ফুল হতে পরাগদন্ড পৃথক করে তা শুকিয়ে জাফরান পাওয়া যাবে ।

সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে এবং আধুনিক উদ্যান নার্সারী সমৃদ্ধ ব্রাক বাংলাদেশের মত কৃষক বান্ধব এনজিওগুলি এগিয়ে আসলে আশা করি দেশের অনাচে কানাচে জাফরান চাষ একটি গতি পাবে । অপরদিকে জাফরান বিপনন ও সরবরাহ নিয়োজিত বানিজ্যিক ফার্মগুলি এগিয়ে এসে দেশে বিরাজমান সহজলভ্য গ্রামীন জনবল নিয়োগ করে লাভজনক বানিজ্যিক জাফরান চাষাবাদ শুরু হতে পারে । ফলে দেশের মাটিতে জাফরান চাষ কর্মসুচীটি তৈরী পোশাক শিল্প খাতের মত একটি যুগান্তকারী বিপ্লব বয়ে আনবে বলে বিশ্বাস করা যায় ।
জাফরানের কমার্শিয়াল গার্ডেন এর জন্য একটি মডেল প্লান্ট এর ছবি

জাফরানের আরো বিবিধ ব্যবহার
জাফরন এর মত এর ফুলের পাপড়িগুলিউ মুল্যবান । ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পশুরোগ নিরাময়ের জন্য জাফরনের পাপড়ি হতে ঔষধ তৈরী হয় । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্তের অনেক দেশে জাফরান পুপষ্পদল হতে গৃহসয্যার জন্য বিভিন্ন ধরনের দৃষ্টিনন্দন মুল্যবান পটপুরী তৈরী হয় ।
জাফরান পুষ্পদামের একজোড়া পটপুরীর দৃশ্যঃ

বিশ্ববাজারে জাফরানের বড় ভোক্তা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট, তবে তারা এটা মসলা হিসাবে ভোগ করেনা, বরং মুল্যবান জীবন রক্ষাকারী ঔষধ তৈরীতে বেশী ব্যবহার করে । এর সৌন্দর্য পর্যবসিত হয় জীবন রক্ষাকারী ঔষধে । তাই সেখানে এটি একটি বিশেষায়ীত ঔষধি পুষ্প হিসাবে গৌরবের আসনে অধিস্ঠিত। উন্নত বিশ্বের সকল দেশই বিবিধ প্রকারের জাফরানজাতীয় পন্য সংগ্রহ/আমদানী করে। জাফরানের এই বৈশ্বিক বানিজ্যিক সুযোগ কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা কৃষি প্রধান বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্ব নিয়ে এখনই ভাবার দাবী রাখে ।



উল্লেখ্য যে , জাফরান ফুলের পরাগ দন্ডের ( কেশর ) মানের উপর জাফরানের মান নির্ভর করে


ফুল থেকে পরাগ দন্ড ( কেশর) পৃথক করে শুকনোর প্রক্রিয়ার উপরও ভিত্তি করে এর গুনগতমান নির্ভর করে
কিছু ইরানী ও কাশ্মীরি উন্নতমানের জাফরান কেশরের ছবি নীচে দেখানো হল :
ইরানে জাফরানের বাজার

ইরানী হলুদ ও লাল রঙের জাফরান কেশর
I
একটি কাশ্মীরি জাফরান কেশর প্যাকেজ


জাফরান হতে আহরিত রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার
জাফরান পুষ্পের পরাগদন্ড হতে রাসানিক আহরণ করা সবচেয়ে বেশী কঠিন তবে খুবই মুল্যবান কর্মকান্ড কারণ এই পরাগ দন্ড হতে উদ্ভূত রাসায়নিক পদার্থগুলি ঔষধি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। পরাগদন্ডে বিদ্যমান রাসায়নিকের মধ্যে তিনটি রাসায়নিক উপাদান যথা পিক্রোক্রোকিন (picrocrocin), ক্রোকিন (, crocins) এবং সেফ্রানাল (safranal )অন্যতম । পরাগদন্ডে যতবেশী উচ্চতরের এই রাসায়নিক উপাদান থাকবে পরাদন্ডটি ততই, ভাল মানের। এই রাসায়নিকগুলি খুব মূল্যবান এবং তাদের অ্যান্টিকার্কিনোজেন প্রভাব রয়েছে, তাই তারা সত্যিই ব্যয়বহুল। প্রতি এক গ্রাম সাফরনে ৭ মিগ্রগ্রাম পিক্রোক্রোকিন পাওয়া যেতে পারে এবং পিক্রোক্রোকোসিনের প্রতি মিলিগ্রামের দাম ৩০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে সুতরাং এটা খুবই মুল্যবান জাফরান জাতীয় একটি পদার্থ (সুত্র- Click This Link )
বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারের চিকিৎসার বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে পিক্রোক্রোকোসিন ব্যবহার করার বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন ।

পরিশেষে বাংলাদেশে জাফরান চাষের বিষয়ে দেশের জলবায়ুর বিষয়টি একান্তভাবেই অআমলে নিতে হবে । আআমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে যখানে সাফল্যের সাথে বানিজ্যিক ভিত্তিতে জাফরানের চাষাবাদ হেচ্ছে বিশেষ করে কাশ্মীর উপত্যকায় একটি মধ্যপন্থী জলবায়ু রয়েছে। গ্রীষ্ম সাধারণত হালকা এবং মোটামুটি শুষ্ক , প্রায় সারা বছর জুড়ে বৃষ্টিপাত হয় এবং কোন মাসে বিশেষ করে শুষ্ক হয় না।
সেখনে জুলাই মাসে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩২ ° সেন্টিগ্রেড এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি সবচেয়ে শীতলতম (সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -১৫ ° সেন্টিগ্রেড আর সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ০ ° সেন্টিগ্রেড)। গত কয়েক বছরে অবশ্য কাশ্মীর উপত্যকায় আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং বার্ষিক বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি সম্ভবত বাণিজ্যিক বনায়ন প্রকল্পের কারণে । পক্ষান্তরে বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। বছরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৫০০-২৫০০মি.মি./৬০-১০০ইঞ্চি; গড় তাপমাত্রা ২৫° সেলসিয়াস। নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত হালকা শীত । মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল । জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। আমাদের দেশে জাফরানের চাষাবাদ সম্ভাবনা প্রসঙ্গে উপসহাদেশে জাফরানের তীর্থভুমী কাশ্মীরের জলবায়ুর সাথে আমাদের দেশের জলবায়ুর তুলনামুলক পর্যালোচনা প্রাসঙ্গিগ। কেননা বাংলাদেশের জলবায়ুর সাথে সঙ্গতি রেখে গবেষনার মাধ্যমে আমাদের দেশে চাষাবাদের জন্য জাফরানের যথাযথ জাত নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। লাগসই গবেষনা ফলাফল ও কৃষকদের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কর্মকান্ডের ফলে সামপ্রতিক কালে মরুভুমির ফল খেজুর দেশর সব জায়গায় ও শীতের দেশের ফল স্ট্রেবেরী বর্তমানে বাংলাদেশের যেসব এলাকায় শীত বেশি পড়ে ও অনেক দিন স্থায়ী হয় সেসব এলাকায় সাফল্যের সাথে এর চাষ হচ্ছে । তেমনি ভাবে এই আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির যুগে একটি বহুগুনের আধার মুল্যবান সন্মানজনক ও প্রকৃতির শোভাবর্ধনকারী শ্রমঘন জাফরান চাষেও একসময় আমরা সাফল্য লাভ করতে পারি বলে দৃঢ় ভাবে আশা করতে পারি ।

জাফরান সম্পর্কে যতটুকু জানতে পেরেছি বললাম। অনেকে আরও বিস্তারিত জানেন। বিশেষ করে যারা জাফরান চাষ করতে দেখেছেন অথবা চাষ করেছেন। ভুল হলে আশা করছি সংশোধন করে দেবেন।

ধন্যবাদ লম্বা সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে সাথে থাকার জন্য ।


তথ্য সুত্র :লেখার সাথে লিংক করে দেয়া হয়েছে
ছবি সুত্র : গুগল অন্তরজাল

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +২৬/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,



জাফরানের মতোই রঙিন একটি লেখা। জাফরানের খুঁটিনাটি সহ তার ইতিহাস নিয়ে আপনার এ লেখাটি ব্লগে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। অবশ্য আপনার অনেক লেখাই বিশেষ বিশেষ বিষয়ে এক একটি মাইলফলক।

আমাদের দেশে এই বিশাল খরুচে প্রজেক্ট নিয়ে কারা কাজ করবেন? যাদের যাদের কথা বললেন, তারা কি আদৌ এতে উৎসাহী হবেন? আমরা তো আবার অল্প পুঁজিতে বেশী লাভ খুঁজি!

এতো পরিশ্রমী লেখাটির জন্যে জাফরানী শুভেচ্ছা।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথম মন্তব্যদানকারী হিসাবে বিশেষ ধন্যবাদ ।
গিন্নীর বায়না নিয়ে দোকানে জাফরান কিনতে গিয়ে টের পেলাম বিষয়টা কি ।
দোকান হতে দোকানে ঘুরে টের পেলাম এর বহুবিদ দিকের কথা ।
এছাড়াও শ্রদ্ধেয় সহব্লগার খায়রুল আহসানের কাশ্মীর ভ্রমন পোষ্ট পাঠকালে
কাশ্মীরী জাফরানের কিছু বিষয়ে উনার পোষ্টের মন্তব্যের ঘরে লিখার সময়
এ বিষয়টি নিয়ে কিছু জানার আগ্রহ হয় । সে আগ্রহ হতেও এ পোষ্টের জন্ম ।
যাহোক, পোষ্ট মাইল ফলক কিনা জানিনা তবে এ বিষয়ে আমাদের অনেকের
ভাসা ভাসা জানার পরিধিকে কিছুটা হলেও যদি সমৃদ্ধ করে এবং এ বিষয়ে
গঠনমুলক/সমালোচনামুলক কিছু কথা তাঁরা বলেন তাহলে আমার পরিশ্রমকে
স্বার্থক মনে করব ।

আপনি ঠিকই বলেছেন এই ব্যয়সাধ্য কর্মসুচী প্রস্তাবনা সংস্লিষ্টদেরকে হয়তবা
কোন ভাবেই এর প্রতি উৎসাহিত করবেনা । তবে আমার মনে হয় মাত্র
দেড় কোটি হতে ২ কোটি টাকার মত একটি গ্রীনহাউজ তৈরী করে এই
অতি মুল্যবান কৃষি পন্যটির বিষয়ে প্রায়োগিক গবেষনার কথা না বলে
শেকৃবির গবেষক অধ্যাপক যদি কমপক্ষে দের দুহাজার কোটি টাকার
প্রকল্প প্রস্তাব করতেন তাহলে এথক্ষনে হয়ত এটা সংস্লিষ্টদের কাছে
অধিকমাত্রায় গ্রহনযোগ্য হতো বিবিধ কারনে!!
যাহোক, আনেক সময় নিয়ে লেখাটি পাঠ করে মুল্যবান মতামত
রেখে যাওয়ায় খুবই ভাল লাগল ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৩

বলেছেন: এক অজানা কারণে জাফরান ফল তৈরি করতে পারে না। যার ফলে এটা বংশ বিস্তারের জন্য মানুষের সাহয্য প‌্রয়োজন হয়। ক্রোমগুলি মাত্র এক বছর পর্যন্ত বেচে থাকে এবং এর মধ্যেই এই ক্রোমগুলিকে মাটিতে রোপন করতে হয়। এই উদ্ভিদ এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে কোন বীজ তৈরি হয়না। বীজ না হবার কারন হচ্ছে এই উদ্ভিদ এর দেহে কোন মিয়োসিস কোষ বিভাজন হয়না। আমরা জানি যে শুক্রানু আর ডিম্বানু তৈরি হয় মিয়োসিস কোষ বিভাজন দ্বারা। যেহেতু জাফরান উদ্ভিদ এর দেহে কখনই মিয়োসিস বিভাজন হয়না সেহেতু শুক্রানু ও ডিম্বানুও তৈরি হয়না। শুক্রানু আর ডিম্বানুর মিলনেই ভবিষ্যতে বীজ তৈরি হয়। এই উদ্ভিদ এ শুক্রানু আর ডিম্বানু সৃষ্টি হয়না বিধায় বীজ ও জন্মে না। চার বছর পর পর একটি জাফরান উদ্ভিদ এর মুলে অসংখ্য টিউবার তথা বালব সৃষ্টি হয়। বালব এর অন্য নাম ক্রোম। খুব সাবধানে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা এই উদ্ভিদ এর বালব সংগ্রহ করে তা রোপন করেন যাথেকে পরবর্তীতে নতুন জাফরান এর জন্ম হয়।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কি কারণে জাফরান ফল তৈরি করতে পারে না তা বিস্তারিতভাবে ব্যখা করে বলে দিয়ে আমার এ পোষ্টটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য
অন্তরের অন্তস্থল হতে ধন্যবাদ । আপনার এই বিবরণ অনেকের কৌতুহল মিটাবে । এটাকে অনেকের বাড়ীর বাগনে কিংবা ছাদে আবাদ করে নীজেদের পারিবারিক চাহিদা মিটাতে পারবেন । নীজের উদ্যোগে খাটি জাফরান পেতে পারবেন । কৃষি উদ্যান বিষারদগন আরো বিস্তারিতভাবে একে সাধারণ মানুষর কাছে পরিচিত করে তুলতে পারবেন বলে মনে করি । দেশের যে সমস্ত পর্যটক কাশ্মীরে পর্যটনে যান তারা ফিরার পথে যদি কিছু জাফরান ক্রোম নিয়ে এসে নীজেদের বাগানে এর আবাদ করেন তাহলে সহজেই এর বিস্তার ঘটতে পারে ।

শুভেচ্ছা রইল

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৬

করুণাধারা বলেছেন: জাফরানি এনসাইক্লোপিডিয়া!! জাফরান সম্পর্কে জানার মত যা কিছু আছে, সব এই পোস্টে পাওয়া যাবে!! ছবিগুলো অপূর্ব! এর আগে আমি কখনো জাফরান ফুলের ছবি দেখি নি। কত কিছু জানালেন, ঢ়জাফরান গাছ এর অঙ্কুরোদগম এবং চাষাবাদের পদ্ধতি পর্যন্ত ছবির সাহায্যে দেখিয়েছেন।

এমন পরিশ্রমী পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্টের উপরে এমনতর অনুপ্রেরনামূলক
মুল্যায়ন করার জন্য রইল ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
আমাদের এই অতি পরিচিত কৃষিপন্যটিকে
আরো একটু বিষদভাবে সকলের সাথে শেয়ার
করার মানসেই এই প্রচেষ্টা ।

শুভেচ্ছা রইল

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

শায়মা বলেছেন: জাফরান ফুল বেগুনী হয় এটা ভাবতেই পারিনি। আমি ভাবতাম কমলা বা লাল। যাইহোক ভাইয়া আমার স্কুলে এক মা আমাকে ছোট্ট এক কৌটায় জাফরান দিয়েছিলো যার বাড়ি ছিলো কাশ্মীর। :)

যাইহোক আমি জাফরান সম্পর্কে একটা গান জানি

পরি জাফরানী ঘাগরী


০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তোমার কৌটার জাফরানীতো মনে হয় শেষ ।
পোষ্টে থাকা ইরানী দোকান হতে যত
পার আরো একেবারে ফ্রিতে নিয়ে যাও ।
সামনের কোরবানীর ঈদে হরেক পদের
বিরিয়ানী , কালিয়া আর জর্দা তৈরিতে
লাগবে , আর সেগুলি আমরা তোমার
পরবর্তী ঈদ পরিবেশনায়তো পাবই ।
আমিতো মনে করেছিলাম গানের
সাথে তোমার নাচ দেখব , নাকি এটা
তোমার ছোটকালের নৃত্যানুষ্ঠান :) , তবে
আমরা পরিবারের সকলে মিলে এই ছোট
পরীদের জাফরানী ঘাগরী নৃত্য পরিবেশন
আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি ।

নিরন্তন শুভেচ্ছা রইল

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


পারসিক, আফগানী, উজবেক, কাশ্মীরা ফুল উৎপাদন ও ফুল থেকে সুগন্ধি, ঔষধ তৈরি করে আসছেন কয়েক হাজার বছর ধরে; এটি তাদের গৌরব ও সম্পদ। আপনি এই বিষয়ে অনেক জেনেছেন, আমরা আপনার থেকে জানলাম; ভালো থাকুন।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পারসিক, আফগানী, উজবেক, কাশ্মিমিরা জাফরানী ফুল হতে সুগন্ধি ও ঔষধ তৈরির তৈরীর পাশাপাশি একে তার দেশের জনগনের জন্য একটি লাভজনক পেশায় পরিনত করেছে । আফগানীদেরকে ক্ষতিকর লোভনীয় পপি চাষ হতে মুখ ফিরিয়ে এই মুল্যবান কৃষিপন্য চাষাবাদের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য সাম্প্রতিককালে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ও বৃটেন সহায়তা করে যাচ্ছে ।

শুভেচ্ছা র্‌ইল

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক মূল্যবান একটি লেখা। পড়ে খুবই ভালো লাগলো । এই ধরনের লেখা প্রচুর পরিমাণে আসা দরকার।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি মুল্যবান অনুভুত হওয়ায় খুশী হলাম ।
বাকৃবী আর শেকৃবির উদ্যান তত্ব্ বিষারদ,
গবেষক ও শ্রদ্ধেয় অধ্যাপকদের বলেন
এবিষয়ে আরো বেশী করে প্রায়োগিক
গবেষনা পরিচালনার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: করুণাধারা বলেছেন: জাফরানি এনসাইক্লোপিডিয়া!! আপু একদম ঠিক বলেছেন। একবার পড়লাম, মন ভরেনি। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। ভাল মতো পড়ে আবার মন্তব্য করব। মুগ্ধ, আমি রীতিমতো মুগ্ধ!!!

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ,
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আপনার মুগ্ধতার কথা শুনে আমিউ মুগ্ধ ।
অফুরান শুভেচ্ছা রইল

৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ইরান, তুরস্ক আর ভারতের জয়পুর ও আজমীরে অরিজিনাল জাফরান দেওয়া খাবার খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আপনার বহুল তথ্য সমৃদ্ধ জাফরানের ইতিহাস আমি প্রিয়তে নিয়ে রেখেছি এবং সঙ্গে লাইক। ব্যাবসা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে আমার বক্তৃতা রাখতে হয় আগামী কোনো অনুষ্ঠানে আপনার দেওয়া তথ্য থেকে অবস্যই আমার বক্তব্য থাকবে সঙ্গে কৃতজ্ঞতায় আপনার নাম উল্লেখ্য থাকবে সহ ধন্যবাদ সামহোয়্যার ইন ব্লগ।

ধন্যবাদ ডক্টর এম আলী ভাই। ভালো থাকুন - সুস্থ্য থাকুন - ব্যাস্ত থাকুন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অরিজিনাল জাফরান সংমিশ্রনে তৈরী খাবারের স্বাদই আলাদা ।
আপনি খুবই ভাগ্যমান, ইরান, তুরস্ক আর ভারতের জয়পুর ও
আজমীরে অরিজিনাল জাফরান দেওয়া খাবার খেতে পেরেছেন।
ঘরের বিরিয়ানী , কালিয়া আর জর্দা পাকাতে গিয়ে দোকান হতে
নিয়ে আসা জাফরান হতে আমরা কত যে ঠকছি তা কি
আর বলব । নীজেরা নীজেদের গার্ডেনের গ্রীন হাউজে এর
আবাদ করতে পারলে নীজেদের জন্যতো খাটি জাফরান
পাওয়া যেতে পারে । আর আমরা মনপ্রাণ খুলে চেষ্টা করলে
দেশের জন্য বানিজ্যিক ভিত্তিতে এর চাষ করতে পারি ,তবে
ফটকা কারবারি ও বিদেশ ভ্রমনকারী ব্যগেজ পার্টি ও তাদের
পৃষ্ঠ পোষকেরদের কারসাজিতে জাফরান চাষ কর্মসুচী
সহসা আলোর মুখ দেখবে বলে মনে হয়না । যাহোক
দেশবাসীর সামনে পতাকাতো তুলে দিলাম । সকলে মিলে
বিবেচনা করা হোক কিভাবে জাফরান নিয়ে এগুনো যায় ।

এদিকে উদ্বেগের খবর হলো মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে
বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে পপি চাষ।
বান্দরবানের থানচি, পানঝিরিসহ দুর্গম পার্বত্য এলাকা,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ, নওগাঁসহ সীমান্তবর্তী এলাকায়
গোপনে চলছে পপি চাষ। বলা হচ্ছে দুই দেশের সীমান্তবর্তী
এসব দুর্গম এলাকায় প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
এমন কি এখন গোপনে অনেকেই ব্যক্তিগত নার্সারীতে
বা ঘরের পাশে, ছাদে টবে ক্ষতিকর পপি আবাদ করছে

এই ক্ষতিকর পপি চাষ আফগানিস্তানের মত কখন যে মহামারী
আকার ধারণ করবে তা কে জানে । তাই আফগানিস্তানের
মত সে এলাকার মানুষদেরকে পপি চাষের থেকেও আরো
মুল্যবান কৃষিকাজে নিয়োজিত করা জরুরী হয়ে পড়েছে ।

ব্যবসা সংক্রান্ত সমাবেশের আলোচনায় দেশের জাফরান চাষ
ও এর বানিজ্যিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবেন শুনে খুশী
হলাম ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৩১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট পড়লাম। সম্ভাবনার বানী যেনো আশার প্রদীপ জ্বালায়। সত্যি এমন যদি হয় আমাদের দেশও এই চাষ করে আয় করতে পারে কোটি টাকা।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন ,
সম্ভাবনার বানী যেনো আশার প্রদীপ
জ্বালায়
কথামালা শুনে মনে
সত্যিই ঘন সবুজ আলোর আভাই
যেন দেখতে পাচ্ছি । কামনা করি
আপনার আশার আলো দিনের
মুখ দেখুক ।

শুভেচ্ছা রইল

১০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটি অনেক বড় হলেও পড়তে একটুও ক্লান্তি লাগেনি। অসংখ্য ছবি লেখার গুনগত মানের সাথে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ ও চিত্তাকর্ষক। আপনার পরিশ্রম ও তথ্য সংগ্রহের দক্ষতা এক কথায় অতুলনীয়। তরুণ বয়সের অনেকেই এই কাজ করতে পারবে না। অসাধারণ একটি পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একটা বিষয় জানতে চাইছি। সেটা হলো, এই যে বালব শব্দটি ব্যবহার করেছেন, এটা কী গাছের কাণ্ড বা মূল? বাংলাদেশের আবহাওয়ায় জাফরানের চাষ সফল হলেও গুনগত মান কী কাশ্মীর বা ইরানের মতো হবে?

লেখাটির একটি হার্ড কপি সংরক্ষণ করতে অনুরোধ করছি। ভার্চুয়াল মিডিয়ার অবস্থা তো দেখতেই পাচ্ছেন।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ইসলাম ভাই , এই লম্বাচওরা লেখাটি পাঠে ক্লান্তি লাগেনি শুনে মনে প্রশান্তি এলো । বয়সের কারণে লেখালেখিতে বেশি সময় দিতে পারছিনা । স্মৃতি শক্তিও কমে আসছে, লেখতে গিয়ে অনেক কথাই সঠিকভাবে মনে করে উঠতে পারছিনা । ভুল যেন নিত্য সঙ্গি হতে চলেছে ।

জাফরানের গোড়ায় মাটির নীচে বড় পেয়াজের মত জন্ম নেয় জাফরানের মুল , এটা কন্দ , মুল ও গেঁড় নামে পরিচিত । ইংরেজীতে এটা বালব ( bulb) কিংবা ক্রোম (Corm) নামে পরিচিত । আমাদের শেরে বাংলা নগর কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ব বিভাগের শিক্ষক ও গবেষকগন একে বালব বলায় আমিউ একে বালব বলেছি । একটি জাফরান গাছের বিভিন্ন অংশের চিত্র নীচে দেখানো হল-


অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং সুন্দর একটি পোষ্ট। আপনি অত্যন্ত ধৈর্য ধরে খ্রিস্টপূর্ব 16 শতক থেকে শুরু করে প্রাচীন গ্রীস রোম মিশর চীন অবশেষে ভারতীয় উপমহাদেশে এসে থামলেন। অত্যন্ত চমৎকারভাবে জাফরানের কেরামতি তুলে ধরলেন। সত্যিই তো কি নেই জাফরানের মধ্যে। আমরা ছোট থেকেই বিরিয়ানির উপযোগী একটি মসলা বলে জেনে এসেছি। যদিও কোন দিন সত্যি কারের জাফরানমিশ্রিত বিরিয়ানি খেয়েছি বলে মনে হয় না। কয়েক বছর আগে নিতান্ত আগ্রহ বসতো পাড়ার একটি দোকানে খাঁটি জাফরানের খোঁজ করেছিলাম। গ্রামের দাম 500 টাকা শুনে চমকে উঠেছিলাম। এবং তার জন্য আগাম অর্ডার দেওয়া ছাড়া যোগান সম্ভব নয় পরিষ্কার জানিয়ে দেয়। দোকানদার আমার হাতে কামধেনু কোম্পানির একটি কেমিক্যাল জাফরান ধরিয়ে দেয়। যার গায়ে লেখা ছিল ইউজ অনলি ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পারপাস। আমি সেটি দেখে দোকানীকে ফেরত দেই। তবে কলকাতার কলুতলা স্ট্রিটে অন্যান্য মসলা সঙ্গে জাফরান বিক্রি করতেও দেখেছি।
কিন্তু সেই জাফরানের প্রসাধনী দিক, ভেষজ গুণ সহ নানান তথ্য সম্বলিত উপকারিতা আপনার পোস্টে চমৎকারভাবে উঠে এসেছে।++++

পোস্ট একাদশ লাইক।

শুভকামনা জানবেন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী, জাফরান বিষয়ে আপনার ইন্টারেস্ট দেখে ভাল লাগল ।
আপনি ঠিকই বলেছেন সত্যিকার খাটি জাফরানের দাম শুনলে মাথা ঘুরে যাওয়ার কথা ।
সত্যিকারের খাটি জাফরান দিয়ে আমাদের এ বাংলা ভাষাভাষি অঞ্চলে খাদ্য দ্রব্য তৈরী করা হয় কিনা সন্দেহ ।
বেশীর ভাগই জাফরান ফ্লেবারড কেশর কিংবা খাদ্য উপযোগী আর্টিফিসিয়াল জাফরানী হলুদাভ ভেজিটেবল রং ।
বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পাওয়া য়ায় , পাষ্চাত্তের ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেনটগুলিতে এর বহুল ব্যবহার ।
আমার ধারনা কলকাতার কামধেনুর জাফরানগুলি আমাদের এখানকার ব্যগেজপার্টি টুরিস্টগন নিয়ে এসে
বাজারে ছেড়ে দেয় । তাই আসল নকল জাফরান চেনাটা খুবই প্রয়োজন, তা না হলে ঠকার সম্ভাবনাই বেশী ।
আশা করি জাফরান প্রিয় লোকজন এখন থেকে আসল নকল জাফরান চেনার বিষয়ে সচেতন হবেন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল


১২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:২১

হাবিব বলেছেন: আমনার ব্লগ যেমন তথ্য-উপাত্তে সমৃদ্ধ, মন্তব্যও তেমনি। গ্রেট ম্যান

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ হাবিব স্যার,
গ্রেট ম্যানের গ্রেট কথা শুনে ভাল লাগল ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



এককথায় অসাধারণ পোস্ট। সময় নিয়ে পড়ার ইচ্ছে। লাইকসহ সরাসরি প্রিয়তে পোস্ট।

আলী ভাই, আপনার স্বাস্থ্য এখন কেমন যাচ্ছে? আল্লাহর রহমতে সার্বিক সুস্থ আছেন তো, ইনশাআল্লাহ? আমাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক শুভকামনা এবং দুআ আপনার এবং আপনার পরিবারবর্গের জন্য। আমরাও আপনার দুআ প্রার্থী।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোষ্টটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ায়
ও প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা রইল।
স্বাস্থ্য তেমন একটা ভাল যাচ্ছেনা,
বয়সহেতু বেশীক্ষন লেখালেখি করা
যাচ্ছেনা । আপনাদের মুল্যবান
লেখাগুলি মাঝে মধ্যে এসে দেখে
যাই আর সাথে করে নতুন কিছু
জানার আনন্দ নিয়ে যাই ।
আমার জন্য দোয়া করবেন
আপনি ও আপনার
পরিবারবর্গের জন্যও
দোয়া রইল ।

১৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪

হাসান রাজু বলেছেন: এই পোস্ট টা লেখার সময় কি পরিমান ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন তা চিন্তা করেই হয়রান হয়ে যাবার কথা । কিন্তু ডঃ এম এ আলী এই নামটা দেখে ধরে নেয় যায়, যে ব্যাক্তি মন্তব্য করতে ইয়া পরিমান ঘাঁটাঘাঁটি করেন তার পোস্ট নিশ্চয়ই তথ্য উপাত্তে পরিপূর্ণ থাকবেই থাকবে। তাই, এটা আপনি বলেই স্বাভাবিক । বিশাল পোস্ট কিন্তু এক বসাতেই শেষ লাইন পর্যন্ত পড়ে ফেলার মত একটা অসাধারণ পোস্ট।

এখন আপনার শারীরিক অবস্থা কেমন? সুস্থ ও ভালো থাকবেন।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এক বসাতেই শেষ লাইন পর্যন্ত পড়ে ফেলার মত একটা অসাধারণ পোস্ট
বলে পরিগনিত হ ওয়ার কথা শুনে অনেক প্রশান্তি পেলাম । ভাবছিলাম
লম্বা পোষ্ট দিয়ে প্রিয় পাঠকদেরকে না জানি কতটাই না বিরক্ত করছি
আপনার কথায় অনেক শান্তনার সাথে অনুপ্রেরণা পেলাম ।
শরীরটা মাঝে মাঝেই ঝামেলায় ফেলছে , দোয়া করার জন্য
কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল

১৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬

এমজেডএফ বলেছেন: ব্লগে এখন সিরিয়াস টাইপের লেখা খুবই কম। সবাই যেনতেনভাবে একটি কবিতা, গল্প বা সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে দুকলম লিখে নিজেদের নিয়মিত হাজিরা দিয়ে যাচ্ছে! এদের অনেকেই বেশি সময় ও পরিশ্রম দিয়ে ভালো লেখা যেমন লেখে না তেমনি আবার কেউ দীর্ঘ আকারের কোনো ভালো লেখা দিলে তাও পড়ে না :(
অনেক সময় ও পরিশ্রম দিয়ে লেখা জাফরানের আদি অন্তঃ পোস্টটির জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। জাফরান সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানলাম। সে সাথে ল ভাইকেও ধন্যবাদ, তিনি জাফরানের ব্যতিক্রমধর্মী তথ্যটি মন্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। উল্লেখ্য, জীবজন্তু, উদ্ভিদ ও প্রকৃতির ব্যতিক্রমধর্মী তথ্য (Odd Facts ) সংগ্রহ আমার সখ :)

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লেখক নীজের জন্য লিখে যাবে কেও পড়ল কি বা পড়ল না তা খুব গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নয় , তবে কোন গনমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে হলে মাধ্যমটির কথা ও পাঠকের ভাল লাগা না লাগার কথাও লেখার সময় বিবেচনায় নিতে হয় । যাহোক, সামুর এই ক্রান্তি কালে এখানে ঢুকে এর প্রথম পাতায় , নির্বাচিত পাতায় , আলোচিত পাতায় কিংবা নীজ পোস্টে অপরের মন্তব্য দেখে দেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দেয়া যায়। সামুতে কত রকম লেখা , আর তার ভেতর কত মঝাদার ও জানা অজানা কথাই না রয়েছে । যারা লেখাগুলু পড়েন তাদের অনেকেই হয়ত কল্পনাও করতে পারেন না যে কিছু কিছু লেখা আছে যার পেছনে লেখকের কতটা প্রয়াস নিতে হয়েছে। ভাল লাগল ব্লগে এ সময়ে লেখালেখির সামগ্রিক অবস্থার সাথে আমার লেখাটির উপরে আপনার অনুভব ও সুচিন্তিত মতামত দেখে । জীবজন্তু, উদ্ভিদ ও প্রকৃতির ব্যতিক্রমধর্মী তথ্য সংগ্রহে আপনার সখের কথা শুনে আশান্বিত হলাম এ বিষয়ে আপনার নিকট হতে তা জানতে পারব বলে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট। অনেক পরিশ্রম করেছেন।
ছবি গুলো দেওয়ার কারন পোষ্টটা আরো বেশি সুন্দর হয়েছে।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এমনতর সুন্দর মুল্যায়নে খুবই অনুপ্রানীত হলাম,
এদেশে জাফরান এর বহুল ব্যবহার থাকলেও
এর চাষাবাদের বিষয়টি এখনো উপেক্ষিত ,
সকলে এ বিষয়ে চিন্তা করলে এমন দামী
অর্থকরী ফসলটি দেশেই উৎপন্ন হতে পারে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: জাফরানের আদ্যপ্রান্ত বিশ্লেষণের জন্য অনেক ধন্যবাদ , পোষ্টটি প্রিয়তে নিলাম ।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার এ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। জাফরান নিয়ে বরাবরই আমার খুব আগ্রহ। আপনার সবিস্তারে বিবরণ পড়ে জানার আগ্রহটা আরো বাড়লো। জাফরান হচ্ছে Crocus গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের প্রজাতি। এটি ওজনের মধ্যে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা মূল্যবান মসলার একটি। এদের বেশির ভাগ ভারতে কাশ্মীরে জন্মায়। এটি গ্রিসে প্রথম চাষ করা হয়েছিল।

এক অজানা কারণে জাফরান ফল তৈরি করতে পারে না। যার ফলে এটা বংশ বিস্তারের জন্য মানুষের সাহয্য প‌্রয়োজন হয়। ক্রোমগুলি মাত্র এক বছর পর্যন্ত বেচে থাকে এবং এর মধ্যেই এই ক্রোমগুলিকে মাটিতে রোপন করতে হয়।

বিরিয়ানীতে রংএর জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও দামি প্রসাধন সামগ্রী হিসেবে জাফরান ব্যবহার্য। প্রাচীনকালে জাফরান গায়ে মাখা হতো শরীরের সৌষ্ঠব বাড়ানোর জন্য। ত্বক এর গুণে লাবণ্যময় হয়ে ওঠে। এ ছাড়া নানা রোগেও জাফরানের বহুমাত্রিক ব্যবহার লক্ষ করা যায়।

জাফরানে রয়েছে বিস্ময়কর রোগ নিরাময় ক্ষমতা৷ মাত্র ১ চিমটে জাফরান আপনাকে প্রায় ১৫ টি শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টের লেখা পাঠান্তে মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্য রাখার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার দেয়া মুল্যবান তথ্যগুলি পোষ্টটিকে সমৃদ্ধ করেছে ।
এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

জাফরান বিষয়ে আপনার আগ্রহের কথা শুনে শুনে খুশী হলাম ।
বাংলাদেশে কোন মতে এর চাষ করা গেলে শুধুমাত্র ইন্ডিয়ান
রেস্টোরেন্ট নামে পরিচিত ইউকের বাংলাদেশী রেষ্টোরেন্টগুলিই
এর জন্য একটি বড় আকারের মার্কেটে পরিনত হতে পারে ।
সে সমস্ত রেষ্টোরেন্টে পোলাও রান্নার সময় যে পরিমান পাওডার
ভেজিটেবল রং ব্যবহার করা হয় সেস্থানে এটা ব্যবহার হতে পারে।

প্রসাধনী হিসাবেও এটা বিশাল বাজার পেতে পারে । প্রয়োজন এর জন্য
যথাযথ প্রকয়োগীক গবেষনা ও এর চাষাবাদের জন্য কারিগরীসহ
আন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা । সরকারের
সদিচ্ছা থাকলে কোন কিছুই অসম্ভব নয় ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসাধারন একটি পোস্ট। অনেক কিছু জানা হল ।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক কিছু জানতে পেরেছেন শুনে ভাল লাগল ।

শুভেচ্ছা রইল

২০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: এটার রং আর ঘ্রান দুটোই পাগল করার মত,জাফরানী পোলাও বলেন আর জর্দ্দা চাউল বলেন,দুইটারয়ি পাগল আমি। জাফরানী রঙে রাঙানো শব্দ দিয়েই লিখেছেন জাফরানের আদি কথা।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অসাধারণ দ্যোতিময় শব্দমালায় গঠিত মন্তব্যের কথামালায় মুগ্ধ,
সে সাথে দারুনভাবে অনুপ্রানীত । জাফরানে পাগল ছিলেন
সেই প্রাচীন কালের সম্রাট , সম্রাজ্ঞী , রাজা বাদশা, হালে
আমাদের মত পোলাও বিরিয়ানি জর্দা আয়েসী জনতা,
এছাড়া রূপ লাবন্য সৌন্দর্য পিয়াসী সুন্দরীগনতো
আছেনই প্রসাধনী হিসাবে একে ব্যবহারের জন্য ।
তাই আমি আপনি তো এর জন্য পাগল হবোই :)

২১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জাফ্রানী ঐ আলতা ঠোঁটে
মিস্টি হাসির গোলাপ ফোঁটে
মনে হয় বাতাসের ঐ দিলরুবাতে
সুর মিলিয়ে আলাপ ধরি
দেখো ঐ ঝিলিমিলি চাঁদ
সারারাত আকাশে শলমা জরি
এই মোম জোছনায় অঙ্গ ভিজিয়ে
এসো না গল্প করি

আপনার পোষ্ট পড়তে পড়তে এই গানটাই গুনগুন করছিল মনে। :)

দারুন সমৃদ্ধ পোষ্টের জন্য অভিবাদন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
আসলেই ভাবি- কত অজানা এই ভুবন। কত প্রয়োজনীয় একটা বিষয় জানা। অথচ আসলেই কত অজানা।
এই পোষ্ট পাঠের আগে আর পরের অনুভব এমনই।

বানিজ্যিক সম্ভাবনার কথা জেনেতো মনে হচ্ছে এখনই শুরু করি! কিন্তু গ্রী হাউজের কথা বলেতো আবার ফুটা বেলুনের মতো চুপসে বানিয়ে দিলেন ;) হা হা হা

প্রিয়তে রেখে দিলাম।

অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনার সাথে ++++++++++++

১০ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




জাফ্রানী ঐ আলতা ঠোঁটে
মিস্টি হাসির গোলাপ ফোঁটে
মনে হয় বাতাসের ঐ দিলরুবাতে
সুর মিলিয়ে আলাপ ধরি
দেখো ঐ ঝিলিমিলি চাঁদ
সারারাত আকাশে শলমা জরি
এই মোম জোছনায় অঙ্গ ভিজিয়ে
এসো না গল্প করি
আরতি মুখোপধ্যায়েরকন্ঠে এই মিস্টিমধুর গানটি
বিমুগ্ধ হয়ে শুনছি আর লিখছি
গানের সুর ও লিরিক অপুর্ব অসাধারন
এমন একটি সুন্দর মধুর গান শুনতে
অনুপ্রানীত করার জন্য ধন্যবাদ ।

আর গ্রীন হাউজের কথা শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই । শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল তাদের দৃস্টিভঙ্গি হতে একটি বড় সড় গ্রীনহাউজ এর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন । দেশের এতবড় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োগিক গবেষনা পরিচালনার জন্য একটি ২০০০ বর্গফুটের গ্রীন হাউজ নাই তা ভাবতেও অবাক লাগে । এটা নতুন করে করতে হবে কেন । আর করলেই বা এত টাকা লাগবে কেন । আমিরিকার মত দেশেও এই মাপের একটি গ্রীন হাউজ করতে লাগবে মাত্র ৪০ লাখ টাকার মত । The average cost for a greenhouse structure is about $25.00 per square foot. These large greenhouses are 500 to 1,000 square feet. They usually have all of the amenities a plant could hope for । আর তাঁদের কথামত এই পরিসরের একটি গ্রীন হাউজের জন্য দের দু কোটি টাকা লাগলেই বা কেন । অন্যদিকে লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে যদি মহাশুণ্যে নৌকা ( স্যাটেলাইট ) পাঠানো যায় তাহলে দেশে একটি অতি মুল্যবান হাইভ্যালু কৃষি কাজের গবেষনা ও তার সুফল দেশবাসীকে পৌঁছে দেয়ার জন্য দের দু কোটি টাকাতো নস্যি । সমস্যাটা এখানে নয় , এটা এখানে করা হলে দেশের আমদানী বানিজ্যের উপরে হয়তবা বিরোপ প্রভাব পড়তে পারে , এ বানিজ্যের সাথে যারা যুক্ত আছেন তারা নাখোশ হতে পারেন , কায়েমী স্বার্থবাদীদের হাতের কারসাজি কতদুর গড়ায় তা কে জানে । উল্লেখ্যযে, লাগসই গবেষনার ফলাফল ও কৃষকদের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কর্মকান্ডের ফলে সাম্প্রতিক কালে মরুভুমির ফল খেজুর দেশের সব জায়গায় চাষ হচ্ছে ও শীতের দেশের ফল স্ট্রেবেরী বর্তমানে বাংলাদেশের যেসব এলাকায় শীত বেশি পরে ও অনেক দিন স্থায়ী হয় সেসব এলাকায় সাফল্যের সাথে চাষ হচ্ছে । তেমনি ভাবে এই আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির যুগে একটি বহুগুনের আধার মুল্যবান সন্মানজনক ও প্রকৃতির শোভাবর্ধনকারী শ্রমঘন জাফরান চাষেও একসময় আমরা সাফল্য লাভ করতে পারি বলে আশা করতে পারি । তাই খরচের কথা না ভেবে আগ্রহী হলে এখনই লেগে পড়ুন, দেশে টাকার অভাব নাই, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট এখন দেশের আকাশে বাতাশে ঘুরে।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২২| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মনকাড়া জাফরান ফুল।অসাধারন লাগলো।এই লেখাটি অত্যান্ত যুগোপযোগী।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লেখাটি অসাধারণ ও যুগোপযোগী অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩

নীলপরি বলেছেন: অনেকদিন পর লিখলেন । অসাধারণ পোষ্ট ।
+++++++++++++

শুভকামনা

১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য ।
লেখাটি ব্লগের অনেক গুণী ব্লগারের কাছে অসাধারণ অনুভুত হলেও সামুর কাছে কিন্ত তা একেবারেই নয় ।
সকলের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি নির্বাচিত পোষ্টের পাতার দিকে তাকালেই তা বুঝতে পারবেন ।
তাই লেখাটিকে একটি গতানুগতিক মামুলি লেখা হিসাবে গন্য করলেই বরং বেশী খুশী হব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬

নীলপরি বলেছেন: আপনার সব লেখাগুলোই অনেক রিসার্চের ফল । আমাদের অনেকের কাছেই তাই এগুলো তথ্যভান্ডার । আর , আমি নির্বাচিত পাতাটা কোনোদিনই আলাদা করে দেখি না । যাদের তথ্যের দরকার হবে তাঁরা আপনার পোষ্ট অবশ্যই দেখবেন । এটুকু , বলতে পারি ।
শুভকামনা জানবেন ।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমার কাছেও এর কোন বিশেষ গুরুত্ব নেই । তবে যেহেতু গবেষনা কর্ম আমার ভাল লাগে, তাই সামুকে মুল্যায়নের জন্য মাঝে মধ্যে সেখানে চোখ রাখি, অনেক সময় নির্বাচনগুলুলি দেখে একটু অবাকও হই, ব্লগে থাকা অন্য সব লেখাগুলির উপরতো আমার নীজেরো একটি মুল্যায়ন আছে । ব্লগের অনেক পোষ্টের লেখার উপর আমি সবসময়ই একটি বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন রাখি , মন্তব্যগুলিও বেশ লম্বাচোরা হয়ে যায় । এ ব্লগে আমার প্রায় হাজার দশেক মন্তব্য আছে যেগুলি সম্পর্কে অনেকেই বলেছেন যে সেগুলি এক একটি পৃথক পোষ্টের মর্যাদা রাখে । অনেকেই আমাকে সে রকম করতে অনুরোধও করে থাকেন । কিন্ত আমি সে লোভ সংবরন করে রাখি , কারো পোষ্টে দেয়া মন্তব্যগুলিকে তুলে নিয়ে নীজের পোষ্ট সংখ্যা বাড়াতে চাইনা । যাহোক, যখন আবার দেখি সেখানকার লেখায় পাঠকের মন্তব্যগুলিও পোষ্ট দাতার দৃষ্টগোচর হয় না । নির্বাচিত হোক কিংবা অন্য যে কোন পোষ্টই হোক সেগুলিতে থাকা পাঠকের মন্তব্যসমুহ দীর্ঘসময় ধরে ফেলে রেখে পোষ্টদাতা সামান্য দুচার মিনিনট সময় ব্যয় না করে নতুন পোষ্ট দেয়ার জন্য বেশী তৎপর হন । পোষ্ট প্রসবই যেখানে মুল লক্ষ্য সে রকম পোষ্টগুলি খানিকটটা বিরোক্তির উদ্রেক করে বটে । ব্লগে লেখালেখি একটি পারষ্পরিক মিথক্রয়া, এটাই ব্লগকে সজীব রাখে । এর ব্যত্যয় হতে দেখলে একটু খারাপ তো লাগতেই পারে । একটি পোষ্ট নির্বাচিত পাতায় যাওয়ার জন্য আরো অনেক ক্রাইটেরিয়া থাকা আবশ্যক । গুণী ও বিজ্ঞ মডারেটরদের নিজস্ব বিবেচনা ছাড়াও লেখাটির উপর ব্লগের আরো বিজ্ঞ ও গূনী পাঠকের মতামতগুলি বিবেচনায় নিয়ে তার পর যথাযথভাবে সে লেখাটিকে মুল্যায়নের পর নির্বাচিত পাতায় নিয়ে বসালে সামু ব্লগের ক্রেডিটিবিলিটি আরো বেশী হত বলে আমার বিশ্বাস । যাহোক, এটা সামুর একান্ত নিজস্ব ব্যপার । আমরা এখানে লেখা প্রকাশ করতে পারলেই বেশী প্রীত হব । কামনা করি সামু যেন সমস্ত প্রতিকুলতা কাটিয়ে সুস্থ সাবলীলভাবে বিচরণ করতে পারে ।
অপনার অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যে প্রীত হলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

২৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ধাণ চাষে চাষীদের নিরুৎসাহিত ও বিভ্রান্ত করছে সেখানে এই মুল্যবান জাফরান চাষ করাতো দেশে স্বপ্নের মতো। আমরা ভুল পথে চলে গেছি জানিনা সামনে ইউটার্ন আছে কিনা? ডঃ এম আলী ভাই আপনার লেখা পড়ে আমি পূর্বে মন্তব্য করেছি। এখন যেই মন্তব্য করছি তা হতাশা জনক নয় এটি ভীতিকর মন্তব্য। আমি বর্তমান আলামত নিয়ে কিছুটা আমার পোষ্টে আপনার মন্তব্যে উত্তর দিয়েছি তা পড়ে জানাবেন।

১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , পাঠান্তে আমার দুএকটি কথা সেখানে বলে এসেছি ।

২৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২০

নজসু বলেছেন:


আমার শ্রদ্ধেয় এবং প্রিয়।
আশা করি ভালো আছেন।
সুন্দর ছবিসমৃদ্ধ তথ্যবহুল এই পোষ্টটি জাফরান সম্পর্কে আমার জানার পরিধি বাড়িয়ে দিলো।
বাজারে যে নকল জাফরান পাওয়া যায় তা নিশ্চিত হলাম।

একটা সময় বাজারের ছোটখাটো পানের দোকানগুলোতে পানের সাথে জাফরান দেয়া হতো।
তখন পঞ্চাশ পয়সা বা এক টাকা দামের পানের সাথে ব্যয়বহুল জাফরান আসলেই দিতো কিনা সন্দেহ রইলো।

বেগুনি রংয়ের জাফরানি ফুলের প্রতি ভালোবাসায় আপনার প্রতিও রইলো একরাশ ভালোবাসা।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ২:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নজসু ।
জাফরান বিষয়ে এখন ভাল একটি ধারনা হল
শুনে ভাল লাগল ।
পানের দোকান হতে দু নম্বরী জাফরান
আমিউ অনেক খেয়েছি । তবে তা দু এক দুটাকায় নয়
অনেক বেশী দামে বিদেশী টাকায় ,
তবে কত দামে তা বলবনা এখানে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সোহানী বলেছেন: আমারো আবারো একই কথা, আপনার কোন অধিকার নেই এতো চমৎকার গবেষনাধর্মী লেখাগুলোকে হারিয়ে যেতে দেওয়া। এগুলো সম্পদ। শুধু আমাদের জন্যই নয় আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ও দরকার এ লিখাগুলি। যে পরিশ্রম, সময় আপনি ব্যয় করেছেন তা শুধু আমাদের মতো কিছু লোক জানলো দেখলো তা কিছুতেই হতে পারে না। এটলিস্ট কোন জার্নালে প্রকাশ করেন!!!

জাফরান সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানতাম না। দেশে নিউমার্কেট থেকে জাফরান কিনেছিলাম ছোট্ট একটা কৈাটা ১০০ টাকায়। এখন সন্দেহ হচ্ছে সেটা আসলেই জাফরান ছিল কিনা........। এখানে অবশ্য পাই কিন্তু দেশের মতো আয়েশী জীবন নেই বলে কিনিনি। দাম ও কম নয়....। তারপরও আপনার লিখা দেখে কিনতে ইচ্ছে হচ্ছে।

জাফরানের ব্যবচ্ছেদ অসাধারন লাগলো। তারউপর অনেকদিন পর আপনার আগের রুপ ফিরে এসেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। অনেক ভালো থাকেন সবসময়।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান পরামর্শ দেয়ার জন্য । লেখাগুলি বিভিন্ন মাধ্যমে রাখা আছে । তাছাড়া গুগল প্লাটফরম ব্যাবহার করে লেখাগুলি ছাড়া হচ্ছে বলে এটা গুগল অন্তর্জালেও যে ভেসে বেড়াচ্ছে তা আপনিউ জানেন । আপনার যে কোন লেখা শুধু বিষয়বস্তুর টাইটেল লিখে গুগলের সার্চবারে বসিয়ে দিলে দেখতে পাবেন । যাহোক ,বই আকারে প্রকাশ করতে পারলে ভাল হয় । বিষয়টি মাথায় আছে ।
ভাল কথা টিউলিপের মত এটাও আপনার ঘরে/বাগানে টবে লাগাতে পারেন । এর থেকে পিউর জাফরান পাবেন । কিভাবে জাফরানের কন্দ বা বালব পেতে পারেন তার একটি সুত্র নীচে দিলাম ।কিভাবে এটার পরিচর্যা করবেন তা পোষ্টে বলাই আছে।
Saffron Crocus 10 Bulbs - Rare Spice - Fall Blooming - Crocus Sativus, Model: Home & Outdoor Store।Price: CDN$ 25.30 FREE SHIPPING.
সুত্র Click This Link
নতুন লেখা একটা এসে গেছে । ভাল থাকুন ।
শুভেচ্ছা রইল

২৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

জুন বলেছেন: ডঃ এম এ আলী আমি সত্যি বিস্মিত হয়ে গেলাম জাফরান এর ইতিহাস ও তার নানা রকম ব্যবহার এর কথা পড়তে পড়তে। আমার ধারনা ছিল এটা এই উপমহাদেশে অথবা পারস্যে উতপত্তি। কিন্ত গ্রীস শুনে অবাকই হোলাম। রোমানরা প্রতিদিন জাফরান দিয়ে গোসল করতো তার মানে সেখানে একটু আধটু না, মুল্যবান এই মশলা জাফরান প্রচুর পরিমানেই উৎপাদিত হতো বোঝা গেল।
আমার বান্ধবী কাশ্মীর বেড়াতে গিয়ে ছোট্ট এই কাচের বক্সে করে জাফরান এনেছে আমার জন্য। মুল্যবান মনে করে এত যত্নে রেখেছি যে এর মধ্যে অনেক কিছুই রান্না হলো কিন্ত তা দিতেই ভুলে গেছি। আজই ওটাকে খুজে বের করতে হবে।
ভারী চমৎকার একটা লেখায় অনেক ভালোলাগা ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জাফরান শব্দটি পারসিক ভেবে আমারো ধারনা ছিল এটার মুল বোধ হয় পারস্য সাম্রাজ্যভুক্ত কোন দেশেই হবে । কিন্ত পরে জনতে পারি এ ফসলের আদি নিবাস গ্রীস। উল্লেখ্যযে প্রায় প্রায় চার হাজার বছর পুর্বে ( খৃষ্টপুর্ব ১৬ শতকে) আগ্নেয় ভস্মস্তুপে পরিনত প্রাচীন গ্রীস নগরী এক্রোতিরিতে খননকৃত প্রত্নতাত্বিক ভবনের দেয়ালে অঙ্কিত ফ্রেসকো শিল্প কর্মে সে সময়ের অনেক ইতিহাস্‌ই চিত্রিত হয়েছে ।প্রত্নতাত্বিক সেই ভবনটির দেয়ালে অঙ্কিত ফ্রেসকো শিল্প কর্মে জাফরান ফুল গাছ দেখা যায় । যে চিত্রটি পাওয়া যায় তা নাকি আবার প্রাক্-গ্রীক সংস্কৃতির ব্রোঞ্জ যুগের। ক্রীটের নোসোস প্রাসাদে পাওয়া জাফরান চাষের চিত্রে দেখা যায় মেয়েরা ও বাঁদররা জাফরান তুলছে, মানুষে ও প্রানীতে কি সুন্দর সহবস্থান ও সহযোগীতা ভাবতে পারেন । এজিয়ান দ্বীপ সান্টোরিনির আক্রোতিরি খননের সময়ে " জেস্ট-৩" ভবনে পাওয়া ফ্রেস্কোচিত্রের নিদর্শন , গ্রীকরা যাকে "থেরে" বলত সেগুলি সম্ভবত খ্রীষ্টপূর্ব ষোড়শ বা সপ্তদশ শতাব্দীর। চিত্রগুলিতে যে শুধু জাফরানের বিষয়ই আছে তা নয় , এতে রয়েছে সে সময়কালের অনেক ইতিহাসেরই চিত্র । ইতিহাসের ছাত্রী এবং আমাদের এ ব্লগের ইবনে বতুতার কাছে আশা করি এটা আকর্ষনীয় হবে ।সুযোগ পেলে আর্ট আর্কাইভে গিয়ে দেখে আসতে পারেন ।
হা কাশ্মীরি সেই জাফরানের কৌটাটা খুলে ব্যবহার শুরু করুন , তবে ব্যবহারের পুর্বে গরম পানিতে ফুটিয়ে এর নির্যাস বের করে নিতে ভুলবেন না । এই কৌটা শেষ হলে বলবেন নতুন কৌটা পাঠিয়ে দিব :)

শুভেচ্ছা রইল

২৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০২

সোহানী বলেছেন: গুগল অন্তর্জালেও যে ভেসে বেড়াচ্ছে তা জানি কিন্তু সেটা বই আকারেই দেখতে চাই।

টিউলিপ এবার লাগাতে পারিনি এমনকি ঠিকভাবে বাগান ও করতে পারিনি। খুবই ঝামেলার মাঝে আছি। তাই জাফরান লাগানোর সাহস করছি না। তারপরও লিংক সেইভ রাখলাম যদি কখনো পারি।

এবার কোরবানী ঈদ সম্ভবত ইউএসতে থাকবো সেটাই চেস্টা করছি। আপনার সাথে দেখবেন ঠিকই দেখা হয়ে যাবে।

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: টিউলিপ লাগানোর সময় ঘনিয়ে আসছে । তবে নভেম্বরে লাগালে ভাল হবে । বেশী ঝামেলা নাই । সুপার মার্কেট হতে কাগজের প্যকেটে থাকা টিউলিপের বক্স কিনে নিয়ে এসে ঘরের ভিতরে ছোট টবে গুজে দিয়ে রাখলে দিন ১৫ এর মাঝে কুড়ি ফুলে মুরগীর বাচ্চার মত বিভিন্ন রংগের পালক নিয়ে ফুটে উঠবে, মিষ্টি একটি হাসি নিয়ে তাকিয়ে থাকবে মালিকানীর দিকে ।
ঘটনাটি কেমন ঘটতে যাচ্ছে বলুন দেখি । স্পেশাল ডিসকাউন্টের বিঞ্জাপন দেখে পরিবারের লোকজন আপনার ওখানকার নায়েগ্রার বিশেষ দৃশ্যাবলী দেখার জন্য অস্থির হয়ে গেছে ।

আপনার সাথে দেখা সাক্ষাতের সুযোগটা মনে হয় মিস হয়েই গেল ।
যাহোক আপনার সফল ট্রিপস এর জন্য শুভেচ্ছা রইল ।

৩০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারণ লেখা ! একেবারে জাফরানের আদ্যাপান্ত !!
অনেক কিছুই একেবারেই অজানা ছিল ।

চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব খুশি হলাম এসে দেখার জন্য ।
পোষ্টটি চমৎকার ও অসাধারণ
অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল

৩১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাই ,
জাফরান সম্পর্কিত বিশাল তথ্যবহুল
ও জ্ঞান গাম্ভীর্যপূর্ণ লেখাটি পড়ে আমি বিমোহিত। আটচল্লিশটি ছবি সম্বলিত এই পোস্ট যথেষ্ট পরিশ্রমী।
আপনার লেখাটি পড়ে যা জেনেছি আমার মনে হয় জাফরানের সম্পর্কে আর জানার কিছুই বাকি নেই এবং যথেষ্ট গবেষণামূলক হয়েছে। আমি জাফরান সম্পর্কে এত কিছু জানতাম না । আজ জানলাম এবং পোষ্ট সরাসরি প্রিয়তে নিলাম।

অনেক আগের একটি ঘটনা বলছি,
আমার আম্মা বলছেন পাকিস্তান আমলে আম্মার বড় বোন
যখন করাচিতে থাকতেন তখনো এই জাফরানের যেমন চাহিদা ও
দামীয় ছিলো তাই আমার বড় খালা অল্প পরিমাণে আনতেন।
এখনও সেই রকমই রয়ে গেলো এর মূল্য আর কমে না।


অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদেরকে কষ্ট করে দেওয়ার জন্য।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
মন্তব্যের কোন নোটিশ পাইনি বলে সময়মত এসে
আপনার মুল্যবান মন্তব্যটি দেখা হয়ে উঠেনি ।
পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

আপনার আম্মা ও বড় খালার সুবাদে জাফরানের সহিত
আপনার সাক্ষাত পরিচিতি আছে জেনে খুশী হলাম ।

আপনার প্রতিউ শুভ কামনা রইল ।

৩২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'বহু গুণের আধার' জাফরানের কিছু চমৎকার ছবি দেখে মুগ্ধ হ'লাম এবং এর আদি অন্তঃ ইতিহাস জেনে সমৃ্দ্ধ হ'লাম। ২০১৯ সালে কাশ্মীর ভ্রমণের সময় আমি সেখানে পথের দু'পাশে ব্যাপকভাবে জাফরানের চাষ হতে দেখেছি।
'মেয়েরা ও বাঁদররা জাফরান তুলছে' - কিসের সাথে কি! :)
'সং অভ সলোমান' থেকে উদ্ধৃত পাঁচটি পংক্তি পড়ে একেবারে বিমুগ্ধ হয়ে গেলাম!
নানা তথ্যে সমৃদ্ধ বৈচিত্রপূর্ণ এ পোস্টে ২৬তম প্লাসটি রেখে গেলাম।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


প্রায় বছর খানেক পুরাতন একটি পোষ্টে এসে মনযোগ দিয়ে পোষ্টের লেখা পাঠ করে
অতি সুন্দর একটি মন্তব্য দানের জন্য অন্তরের অন্তস্থল হতে ধন্যবাদ ।

'সং অভ সলোমান' থেকে উদ্ধৃত পাঁচটি পংক্তি পড়ে একেবারে বিমুগ্ধ হয়েছেন শুনে
ভাল লাগল । সং অভ সলোমান পুরাটা অনুবাদ করার ইচ্ছা আছে । জানিনা সময়
ও সামর্থতা পাবো কিনা ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: হতদরিদ্র এবং কপর্দকশূন্য আফগান চাষীদেরকে পপির বদলে মূল্যবান জাফরান চাষ করে জীবিকা অন্বেষণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে গ্রেট বৃটেন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এতটা ব্যয়বহুল এবং শ্রমনির্ভর কাজে মাথাগরম আফগানরা কতদিন লেগে থাকতে পারবে, সে প্রশ্নটা থেকেই যায়।
মানবদেহের অন্ততঃ ১৫টি সমস্যা দূর করতে সক্ষম জাফরানের বিস্ময়কর ওষধিগুণের কথা জেনে চমকিত হলাম। আমাদের দেশে জাফরান চাষ সম্পর্কিত আপনার সুচিন্তিত প্রস্তাবনাগুলো সরকারের নীতি নির্ধারকদের সুদৃষ্টি পেলে খুব ভালো হতো।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



জানিনা হতদরিত্র আফগান চাষীদেরকে পপির বদলে মুল্যবান চাষ কর্মসুচীতে াআগ্রহী করার জন্য
গ্রেট বৃটেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রচেষ্টা এখন কতটা সফলতা পেয়েছে , তবে প্রচেষ্টাটি মুখ
থুবরে পরার সম্ভাবনাই বেশী , মাথাগরম আফগানরাও যে এ প্রচেষ্টার সাথে লেগে থাকবেনা সে বিষয়ে
আপনিও দেখা যায় বেশ সন্দিহান ।

এ লেখাটি সামুতে প্রকাশ করার কিছুদিন পরে এখানকার ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো হিসাবে
ময়মনসিংহ কৃষি বিদ্যালয়ের দুজন প্রফেসর এসেছিলেন । স্থানীয় মসজিদে উনাদের সাথে আমার পরিচয়
ও আলাপচারিতা হয় । উনারা প্রায় মাসখানেক এখানে ছিলেন । মাগরেব ও এশার নামাজের জন্য নিয়মিত
মসজিদে আসতেন , সে সময়ে তাঁদের সাথে ঘনিষ্টভাবে মিলা মেশার সুযোগ হয়, আন্তরিকতা বাড়ে ।
একদিন নিমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে আমার বাসায় তসরিফ রেখে আমাকে ধন্য করেন । সেসময় কথায়
কথায় বাংলাদেশে জাফরান চাষের উপরে আমার চিন্তাধারা নিয়ে একটু আলোচনা হয় । আমার লেপটপ
খুলে জাফরানের উপর সামুতে প্রকাশিত লেখাটি তাঁদেরকে দেখাই । লেখাটি পাঠে তারা বেশ প্রসংসা
করলেন এবং বললেন বাংলাদেশে জাফরান চাষের সম্ভাবনার বিষয়টি নিয়ে তারা দেশে ফিরে তাদের
সহকর্মীদের সাথে কথা বলবেন । বেশ এই পর্যন্তই তারপর বিষয়টি আর আগায় নাই ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আহমেদ জী এস এর সাথে সহমত পোষণ করে আমিও বলতে চাই, "জাফরানের খুঁটিনাটি সহ তার ইতিহাস নিয়ে আপনার এ লেখাটি ব্লগে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। অবশ্য আপনার অনেক লেখাই বিশেষ বিশেষ বিষয়ে এক একটি মাইলফলক"। তার মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আমার কাশ্মীর ভ্রমণ পোস্টটিকে স্মরণ করেছেন দেখে যারপরনাই প্রীত হলাম।

এর ২ নং মন্তব্যটিতে উনি জাফরানের কোন বীজ না হওয়ার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা আপনার পোস্টকে যে আরও সমৃদ্ধ করেছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়, যা আপনিও প্রতিমন্তব্যে বলেছেন। তার এই ব্যাখ্যা পড়ে আমার মনে হয়েছে যে তিনি একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী, নতুবা এতকিছু একজন সাধারণ উৎসাহী পাঠকের জানার কথা নয়।

চমৎকার এই পোস্টের সাথে মিল রেখে যুতসই একটি গানের উল্লেখ করেছেন বিদ্রোহী ভৃগু, এজন্য তাকে ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমার মনে পড়ে ২০১৯ এর মাঝামাঝি আপনার কাশ্মীর ভ্রমন নিয়ে সামুতে একটি লেখা
সিরিজ আকারে আসছিল । সেখানে একটি পর্বে আপনার লেখার উপর মন্তব্যের ঘরে আমি
বলেছিলাম পোষ্টে থাকা কেশর তথা জাফরান বিষয়ক কথামালা ,জাফরান গ্রোয়ারদের দোকান,
আর জাফরান মিশ্রিতকাপ ভর্তী কাহওয়া চা দেখে জাফরানের প্রতি এমনই আসক্তি ধরে যায় যে
এই চায়ের রেসিপি জানার জন্য কাশ্মীর বিষয়ে গবেষনা শুরু করে দেই ।এই চায়ের পিপাসা
নিবারনে এতই মসগুল হয়ে পরি যে সেখান যা পেলাম তা দিয়ে এ মন্তব্যের ঘরে লিখতে গেল তা
দৃষ্টিকটুভাবে হয়তা অনেক বড় হয়ে যাবে । তাই জাফরান বিষয়ে ছোট্ট একটি পৃথক পোষ্ট দেয়ার
চিন্তায় পেয়ে বসে । যে ভাবনা সেই কাজ । এই পোষ্টটি ছিল তার ফসল ।

ঠিকই ধরেছেন ব্লগার ল এর মুল্যবান মন্তব্যটি আমার পোষ্টকে সমৃদ্ধ করেছে ।
বিদ্রোহী ভৃগুর কবিতাটি খুবই সুন্দর হয়েছে । বছর দুয়েক আগে ঢাকায় বিদ্রোহী
ভৃগুর সাথে আমার সাক্ষাত করার সৌভাগ্য হয়েছিল । আনেক প্রসঙ্গের সাথে এটি
নিয়ে তার সাথে আলোচনা হ য়। ব্যস্ততার কারণে তিনি এখন ব্লগে খুবই অনিয়মিত
প্রায় হারিয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় । দোয়া করি তিনি যেন ব্লগে নিয়মিত হন ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এটা দেখে খুব ভালো লাগছে যে এই পোস্টের অধিকাংশ মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য একাধিক 'লাইক' পেয়েছে। অনেক মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য ৩/৪/৫ টাও 'লাইক' পেয়েছে।

কোন পোস্টের মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে এত বেশি 'লাইক' পাওয়া সাধারণতঃ খুবই কম দেখা যায়। তার মানে এই পোস্টের বিদগ্ধ পাঠকেরা শুধু পোস্টটাই নয়, পোস্টের মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলো সবিস্তারে পড়ে তাদের ভালোলাগার কথা এখানে জানিয়ে গেছেন। পাঠকদের এই আগ্রহ ও ভালোলাগা পোস্টের মানদণ্ড বিচারে এক অন্যতম মাপকাঠি। আপনার এ সাফল্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জনাব এম এ আলী। ক্ল্যাপস, ক্ল্যাপস, ক্ল্যাপস!

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অসুস্থতাহেতু বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দু:খিত ।
মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যতে পাঠককুলের নিকট হতে লাইক
পাওয়ার জন্য নীজকে সৌভাগ্যমান মনে করছি ।
অনেক ধৈর্য ও সময় নিয়ে এ পোষ্টের উপরে করা মন্তব্য
ও প্রতিমন্তব্য সমুহ পাঠ করে সেগুলিকে আবার মুল্যায়িত
করে নীজের মন্তব্যের ঘরে নিজস্ব বিশ্লেষনাত্বক মন্তব্য
দান করা সে এক অসাধারণ কাজ । এ ব্লগে এমন একটি
বিরল গুণের অধিকারী হিসাবে আপনার প্রতিউ রইল
অসংখ ক্ল্যাপস ।

শুভ কামনা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.