নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
পুর্বের পর্ব সমুহ
পরশ পাথর প্রাপ্তি: পর্ব-১
পরশ পাথর প্রাপ্তি : পর্ব-২
বাড়ীর পুর্ব দিকের বিল থেকে একটি সরু খাল দক্ষীন মুখী হয়ে গিয়ে পড়েছে নদীর ঘাটের বাপাশ দিয়ে নদীতে। খালের দু’পাশেই ঘন বন ও বাশের ঝাড়। আবার খালটি নদীর সাথে যেখানে মিশেছে সেখানে নদীর ঘাটের এক পাশে খানিক দুরে রয়েছে একটি শ্মশান। এলাকার হিন্দুরা মারা গেলে ঐ শ্মশান ঘাটে এনে মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করে । শ্মশানে বছরে মাত্র দু’তিনটি মৃত দেহ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য আসে। খালের অপর পাশে নদীর তীরে বাস করত এলাকার একটি হিন্দু ধোপা পরিবার । ধোপাটার নাম ছিল রায়া ও ধোপীকে আমরা সকলে দিগ্গয়ার মা বলে ডাকতাম। দুজনেই ছিল আধা পাগলা। ১৯৬৫ সনে পাক ভারত যুদ্ধের সময় রায়ট লেগে গেলে এলাকায় হিন্দুরের উপর বেশ বিপদ নেমে আসে, জায়গা জমি দখলের জন্য সুযোগ সন্ধানী কিছু লোক রাতের আঁধারে হিন্দুদের উপরে চড়াও হতো। মাত্র ১৭ দিনের মাথায় পাক ভারত যুদ্ধ থেমে গেলেও হিন্দুদের উপর সহিংসতা কমেনি।
ধোপাধোপীর একমাত্র ছেলে দিগু ও তার বউ বাপ মায়ের জমি জমা পানির দামে গোপনে কয়েকজনের কাছে বিক্রয় করে তাদেরকে এখানে ফেলে রেখে ভারতে চলে যায়। জমি সন্তান হারানোর কারণে ধোপা ধোপি পাগল হয়ে গেছে বলে সবাই বলাবলি করত। এই ধোপা-ধুপী সকল সময়ই এটা সেটা নিয়ে নীজেদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি ও কথা কাটাকাটি করত । রায়া বলত সে রামের ধোপা আর দিগুর মা বলত সে সীতার ধোপা, তাই কেও কাওরে ছেড়ে কথা বলতনা ।
ছবি-২ : নদীর ঘাটে ধোপাধোপীর ছবি
দিন কয়েক আগে আমরা বন্ধুরা দুপুর বেলায় গোছলের জন্য সবে মাত্র নদীর ঘাটে গিয়েছি। সে সময় দেখতে পাই বাড়ীর সামনে নদীর পারে সরিষার বীজ বপনের জন্য সদ্য চাষ দেয়া জমিতে বড় দুটি ঢেলার উপরে বসে ধোপা ধোপী তুমুল ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি করছে। তাদের অবস্থা দেখে আমরা বলাবলি করছিলাম পাগলা পাগলি এখনই লেগে যাবে। এমন সময় চোখের পলক পড়তে না পড়তেই দেখা যায় দিগুর মা রায়াকে বড় একটা শক্ত ঢেলা দিয়ে শরীরের বিশেষ সংবেদনশীল স্থানে কষে আঘাত করছে। ঢেলার আঘাত খেয়ে মাগো বাবাগো বলে রায়ার সে কি চিৎকার। রায়ার মাগো বাবাগো মরে গেলাম মরে গেলাম চিৎকার শুনে আমরা দৌঁড়িয়ে গিয়ে দেখি রায়ার অবস্থা কাহিল। সকলেই ধরা ধরি করে তাকে ঘরে নিয়ে যাই। বৃদ্ধ রায়ার চিকিৎসার জন্য এলাকার পুরানো কালী ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসা হয় ।মাস খানেক ভোগার পরে দারুন অসুখে বৃদ্ধ রায়া মারা যায়। তাকে ঐ শ্মশানে সংকার করা হয়। আমরা দুরে দাড়িয়ে দেখেছি তাকে আগুনে পুড়িয়ে কি ভাবে সৎকার করা হয়েছে।শুকনা কাঠের স্তুপের ভিতরে তার দেহ রেখে আগুনে পুড়া দেয়ার সময় তার হাত পা বেঁকে উঠলে বড় একটি বাশের লাঠি দিয়ে বাকা হয়ে যাওয়া হাত পাগুলিকে আগুনে ঠেলে দেয় ভাল করে পুড়ার জন্য। আগুনে পোড়া দেহের ভস্ম ও কয়লা পরে নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয় ।
ছবি-৩ : শ্মশানে চিতদাহের একটি ছবি
আমরা ছোট কালে শুনেছি যেদিন শ্মশানে কাওকে পুড়ানো হয় সেদিনটি যদি আমাবশ্যা তিথি হয় তবে সেদিন শ্মশানে ভুত পেত্নি আসে। ছোট কালে বড়দের কাছে ভুত পেত্নির গল্পই শুধু শুনেছি কিন্তু তাদেরকে চোখে কখনো দেখিনি। তাই মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম সন্ধার পরে রাত একটু গভীর হলে শ্মশান ঘাটে গিয়ে দুর থেকে চুপি চুপি ভুত পেত্নি দেখে আসব, আবার কবে না কবে পুড়াবার জন্য শ্মশানে মৃত দেহ আসবে তার কোন ঠিক নাই , তাই এ সুযোগ কিছুতেই ছাড়া যায় না। যা ভাবা সেই কাজ। রাতে খাবারের পরে বাহির বাড়ির ঘরে আমরা চাচা ভাতিজা দুজনে ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়ি। ঘুম কি আসে, ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকি।অপেক্ষায় থাকি চাচা কখন ঘুমাবে। কিন্তু কাকা ঘুমাচ্ছেনা দেখে বিরক্তি ধরে যায়।আমি জানি দুজনে শুয়ে থাকার সময় কাকাকে গল্প বলতে বললে উনি যে কোন একটি গল্পের কিছুটা বলা শুরু করেই ঘুমিয়ে যান । তাই কাকাকে একটি গল্প শুনাতে বললাম । কাকা ধমক দিয়ে বললেন এখন কোন গল্প টল্প হবেনা ,নদের চাদ ও মহুয়ার ব্যপার সেপার নিয়ে বড় চিন্তায় আছি্, বুঝলাম কাকাকে মহুয়া পালাগানের বিষয় আছর করেছে। এখানে উল্লেখ্য যে আমাদের এলাকার গান পাগল অবস্থাসম্পন্ন চিরকুমার ইদ্রিশ মাষ্টার তাঁর প্রাইমারী স্কুলের মাষ্টারী চাকুরী ছেড়ে দিয়ে একটি গানের দল গঠন করে এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পালাগান ও যাত্রার আসর বসাতেন । সারারাত ধরে চলত তার পালাগান । কোনদিন চলত রুপবান ,কোনদিন আলুমতি,কোন দিন ছয়ফলমুল্লুক ও বদিউজ্জামাল,কোনদিন বেদের মেয়ে মহুয়ার পালাগান চলত ।ইদ্রিশ মাষ্টার পরিচালিত ছয়ফলমুল্লুক ও বদিউজ্জামান পালাগানটি অনুসরনে আমি ছয়ফল মুল্লুক- বদিরুজ্জামাল রূপকথার সচিত্র কাব্যগাথা ( ১ম পর্ব ) নামে সামুতে একটি লেখাও প্রকাশ করি ।
সেথায় ছিল কাব্যাকারে লেখা কিছু কথা ও ছবি যথা-
সাদা মেঘ ধীরে ধীরে লেকের পাড়ে নেমে এসে হল প্রকাশ অপরূপা এক সুন্দর পরীর
মেলে দিল অঙ্গ স্বর্ণালীকেশ সুবর্ণ নেত্র, দেহটিও চন্দ্রপ্রভা, ডানা দুটি যেন উড়ন্ত শুভ্র শীখা
ছবি-৪ : পরীরূপী বদিরুজ্জামালের ছবি
তারপর ছয়ফুল দেখে বদর জামাল পাখনা খুলে লেকের জলে নামে সকলের শেষে
পটল চেড়া দুটি চোখ,দীঘল চুল, পুর্ণচন্দ্র মুখখানি ছলাত করে পানিতে উঠে ভেসে।
এর পর কি হল তা ছয়ফল মুল্লুকের মুখেই শুনা যাক
জামাল রূপে পাগল হয়ে
দেশ ছাড়িলাম জাহাজ লয়ে
ডুবল জাহাজ লবলং সাগরে ,
আমারে যে ধইরা নিল
দেও দানবে ।
উল্লেখ্য নীল নদের দেশ মিশরে বাস করত ছয়ফুল মুল্লুক নামে এক যুবরাজ । আর জামাল পরীকে খুঁজতে গিয়ে যে লবলং সাগরে তার জাহজটি ডুবল সেটি হলো মিশর আর সৌদী আরবের মাঝখানে থাকা আজকের লোহিত সাগর যা বিশ্বের সবচেয়ে লবণাক্ত সাগরগুলির একটি।
ছবি-৫: লবলং তথা লোহিত সাগরের ছবি
যাহোক, দুর দুরান্ত হতে মানুষ এসে এ সব পালাগান দেখতো শুনতো । সারারাত ধরে চলত নাচগান । কাকা কোনটিই বাদ দিতেন না । গতকাল রাতে তিনি তার সমবয়সিদেরকে নিয়ে পাশের গ্রামে অনুষ্টিত বেদের মেয়ে মহুয়া পালাগানটি দেখতে গিয়েছিলেন। দাদার চোখকে ফাকি দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে সারারাত জেগে পালাগান শুনে দিনের বেলায় একটি লম্বা ঘুম দিয়েছেন । এখন রাতের খাবার খেয়ে আগের দিনের দেখা পালা গানের কাহিনী ও গান গুলি নিয়েই চিন্তায় ছিলেন।মাঝে মাঝে একটু গুনগুনিয়ে কি সব কথামালা বলে গানের সুরে টান দিতেন।বুঝলাম কাকাকে আগের রোগে ধরেছে। কথন যে আজ ঘুমাবে তা আল্লাই জানে । আমি জানি তাকে চিন্তার জগত হতে গল্প কথার মধ্যে নামিয়ে আনতে পারলে অল্পক্ষনের মধ্যেই তার পুর্ব অভ্যাস মত ঘুমিয়ে পরবে , আমিও চলব ভুত দেখার জন্য নদীর ঘাটের পানে ।
এই কথা ভেবে কাকাকে বললাম চিন্তা বাদ দিয়ে গতকালের দেখা তোমার মহুয়া পালাগানের গল্পটাই একটু বল । কাকা বললেন ভাল কথাই বলেছিছ, তাহলে মহুয়ার গল্পটিই শুন । আমি বললাম মহুয়াটা আবার কে? কাকা বললেন বেশি প্রশ্ন না করে মনোযোগ দিয়ে গল্প শুন, তোর সব প্রশ্নের উত্তর পাবি । এ কথা বলে কাকা শুরু করল, মহুয়া হল হুমরা বাইদ্যার মেয়ে। হুমরা বইদ্যার দল ঘাটে ঘাটে নোঙর ফেলত ও হাট বাজারে পাড়ায় সাপের খেলা দেখাত।একদিন হুমরা বাইদ্যার দল নদের চাঁদের জমিদারী এলাকায় গ্রামে সাপের খেলা দেখাতে আসে। তখন মহুয়ার রূপে মুগ্ধ হয়ে নদের চাঁদ তাকে প্রেম নিবেদন করে। আমি বললাম প্রেম জিনিসটি আবার কি? কাকা বললেন চুপ কর, এত বুঝার কাম নাই যা বলছি তাই এখন শুন । বড় হলে বুঝবে প্রেম কি জিনিষ, তখন তুই আমার থেকে পালিয়ে থাকবে । আমি বললাম তাহলে আর শুনে কাম নাই , তুমি এখন ঘুমাও। কাকা বললেন বলা যখন শুরু করেছি তখন শেষ না করে ঘুমাতে পারবনা । আমি জানতাম গল্প একটু বলার পরেই কাকা ঘুমিয়ে পড়বে, তাই বললাম বেশ তাহলে তোমার গল্প বলা আবার শুরু কর।
কাকা বললেন মহুয়ার রূপে-গুণে মুগ্ধ নদের চাঁদ তৎক্ষণাৎ তার প্রেমে তো পরলই , হাজার টেকার শাল দিল আরো দিল টেকা কড়ি, বসত করতে হুমড়া বাইদ্যারে দিল একখান বাড়ী। আমি কাকাকে জিজ্ঞেস করলাম মহুয়ার রূপ কেমন ছিল , কাকা বললেন সেটা তোকে কেমনে বুঝাই? আমি বললাম দাঁড়াও,তোমার বই এর তাকে থাকা একটি বইএর উপরে একটি সুন্দর মেয়ের ছবি দেখেছি , উঠে গিয়ে নিবু নিবু হরিকেনের আলো উসকে দিয়ে বইটি নিয়ে ছবিটি কাকাকে দেখায়ে বললাম দেখতো এমন নাকি , কাকা বলল দুষ্ট কোথাকার, তুই আমার বই নিয়ে ঘাটাঘাটি করিছ , এই কাজ আর করবিনা, তবে তুই ঠিকই ধরেছিছ, মহুয়া দেখতে এমনই রূপবতি। বললাম ঠিক আছে,তোমার বই নিয়ে আর ঘাটাঘাটি করবনা, এখন তোমার গল্প বলা শেষ কর দেখি।
ছবি-৬ : বেদের মেয়ে মহুয়ার ছবি
কাকা বললেন নদের চাদের উদ্দেশ্য ছিল মহুয়া তার এলাকায় স্থায়ী হোক। হুমরা বেদে উপহার গ্রহণ করল , পাশের গ্রাম উলুয়াকান্দায় গিয়ে বাড়ি বানাল। এই পর্যন্ত বলে কাকা শুরু করল একটি গান-(অনেক বছর পরে গানের সব কথাগুলি জানতে পারি ময়মনসিংহ গীতিকায় থাকা মহুয়ার কাহিনী পাঠে)
নয়া বাড়ী লইয়া রে বাইদ্যা বানলো জুইতের ঘর,
লীলুয়া বয়ারে কইন্যার গায়ে উঠলো জ্বর।
নয়া বাড়ী লইয়া রে বাইদ্যা লাগাইল বাইঙ্গন,
সেই বাইঙ্গন তুলতে কইন্যা জুড়িল কান্দন।
কাইন্দ না কাইন্দ না কইন্যা না কান্দিয়ো আর,
সেই বাইঙ্গন বেচ্যা দিয়াম তোমার গলায় হার।
এই গানের কথাগুলি তখন এলাকায় চলতি পথে কিশোর যুবাদের কণ্ঠে, রাখাল বালক আর নৌকার মাঝি, ফসলের খেতে কাজ করার সময় অনেক চাষীর কন্ঠেই শুনা যেতো জোড়ালো আওয়াজে ।
যাহোক, বুঝলাম চাচা ভাতিজার ঘুম আজ হারাম, কাকার মুহুয়ার পালাগান শেষ হতে রাত না আবার পার হয়ে যায়, আমি কি আর গল্প শুনার মধ্যে আছি, আমি চাই কাকা তাঁর অভ্যাস মত গল্প বলতে বলতে ঘুমিয়ে যাক আর আমি যাই শ্মশান ঘাটে । তাই কাকার গান থামানোর জন্য বললাম কাকা আর তর সইছেনা তার পর কি হল তারাতারি বল। এ কথায় গান থামিয়ে কাকা বলা শুরু করলেন হুমরা বেদের চোখ ফাকি দিয়ে নদের চাদ নিত্যই মহুয়ার সাথে দেখা সাক্ষাত করে ।কিন্তু দুজনের দেখা সাক্ষাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সরদার হুমরা বেদে। একদিন নদের চাঁদ মহুয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়। গল্পটা ভালই লাগতেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কাকা নিশ্চুপ হয়ে যায় ।ক্ষানিক পরেই শুনা গেল নৌকার দাঁড় টানার শব্দের মত কাকার নাসিকা গর্জনের শব্দ । এ অপেক্ষাতেই ছিলাম।মনে মনে বললাম কাকা তুমি শান্তিতে ঘুমাও আজ তোমার ভাতিজা তোমাকে ভুত দেখায়েই ছাড়বে, তার আগে শ্মশান ঘাটে গিয়ে দেখে আসি ভুত বস্তুটা দেখতে কেমন ,আর ভুতেরা রাতের বেলায় শ্মশান ঘাটে করেইবা টা কি। চুপি চুপি বিছানা ছেড়ে উঠে আগে থেকেই যোগার করে রাখা কালো চাদরটি গায়ে জড়িয়ে শ্মশান ঘাটের উদ্দেশ্যে ঘর হতে বেরিয়ে পরি। ঘর হতে বের হওয়ার পরে যে সমস্ত ঘটনা ঘটল সে এক বিরাট কাহিনী।
কিন্তু এই কাহিনীটা প্রায় অর্ধ শতাব্দি পরে স্মৃতিকথন হিসাবে লেখার অনেক পুর্বেই ছেলেবেলায় কাকার মুখে শুনা মহয়া কিছছা কাহিনীটি ময়মনসিংহ গীতিকায় আরো বিষদভাবে পাঠ করে ছিলাম। একারণে স্মৃতির মনিকোঠায় জমে থাকা ময়মনসংহ গীতিকায় থাকা কাহিনীগুলি এক এক করে বেরিয়ে এসে ঐ রাতে শ্মশান ঘাটে দেখা কাহিনী লেখায় বিঘ্নতা সৃষ্টি করছিল বারে বারে । তাই লেখার বিঘ্নতা কাটিয়ে উঠার জন্য ময়মনসিংহ গীতিকা প্রসঙ্গ গুলি পরের পর্বে একটু বিষদভাবে লেখার জন্য তুলে রেখে শ্মশানঘাটে ভুত দেখার কথা বলায় মনোনিবেশ করলাম ।
ছেলেবেলায় আমি এক হুজুরের কাছে শুনেছিলাম, কাওকে জিন ভুত পেত্নিতে ধরলে তার হাতের কনিষ্ট আঙ্গুলে খুব জোড়ে চেপে ধরে ‘ইয়া আল্লা মুশকিল কুশা’ বললে ভুত নাকি ভয় পেয়ে বাপ বাপ ডেকে পালায়, এছাড়া এই কথা বললে ভুত নাকি ধারে কাছে আসতেও সাহস পায়না ।তাই বুকে সাহস নিয়ে ভুত যেন অন্ধকারে আমাকে দেখতে না পায় সে জন্য কালো চাদরটি দিয়ে ভাল করে আপাদ মস্তক ঢেকে মুখে ‘ইয়া আল্লা মুসকিল কুশা’ জপতে জপতে শ্মশান ঘাটের দিকে এগিয়ে গেলাম। শ্মশান ঘাটের কাছে গিয়ে চারপাশটা ভাল করে দেখে নিয়ে নদীর দিকে ঝুকে পরা বাঁকা তাল গাছটিতে হেলান দিয়ে বসে অধিক আগ্রহে অপেক্ষায় থাকি কখন ভুত আসবে । অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না, ভুত আসেনা। এসময় মনে পরে দাদীর কাছে শুনা ‘ঠাকুমার ঝুলিতে’ থাকা ভুত প্রেত রাক্ষস খোক্কস,দেও দানব ,ডাকিনী যোগিনীদের কথা ।সে সমস্ত গল্পে দাদীর মুখে শুনেছিলাম ভুতেরা নানা জাতের হয় ও তারা বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন সময়ে রাত নিশিতে মানুষের সামনে দেখা দেয়। যেমন-
পেত্নী নাকি একটি নারী ভূত, এরা যে কোন আকৃতি ধারন করতে পারে, তবে পেত্নীদের আকৃতিতে সমস্যা আছে, তাদের পাগুলো নাকি পিছনের দিকে ঘোরানো থাকে। তাই ভাবলাম পেত্নী আসলে কোন ভয় নাই, এরা হেটে আমার দিকে আসতে চাইলে পা পিছনের দিকে থাকে বলে এরা আমার কাছে আসতে চাইলে বরং আমার থেকে দুরেই চলে যাবে ।
ছবি-৭ : একটি পেত্নীর ছবি
শাকচুন্নি নাকি বিবাহিত মহিলা ভূত । তারা নাকি আম গাছে বসবাস করে । তাই এরা এখানে আসবেনা, কারণ আমিতো বসে আছি তাল গাছের তলে। আরো নাকি আছে পেঁচাপেঁচি ভুত।তবে এদেরকেও আমি ভয় পাইনা মোটেও, কত পেঁচাপেঁচি ধরেছি আমি গাছের ডালে চড়ে। মেছোভুতের কথা শুনেছি নসু কাকার মুখে ,এদের সাথে কাকার নাকি অনেকবার দেখা হয়েছে বিলে মাছ ধরার কালে। এরা নাকি নির্জন সময়ে খালে বিলে মাছ ধরার কালে কারো ডুলিতে ধরা মাছ থাকলে তাকেই ধরে মাছ খাওয়ার তরে । আমি তো মাছ ধরতে আসিনি কিংবা আমার কাছে কোন মাছ নাই, তাই এরা কেন আসবে আমার কাছে । তবে কিছুটা ভয় পাচ্ছিলাম দেও আর নিশি ভুতের কথা ভেবে। কারণ দেও ভুত নাকি নদী তীরেই বেশী থাকে।দাদীর কাছে গল্পে শুনেছি নিশি ভুতেরা নাকি সবচেয়ে ভয়ংকর জাতের ভুত ।আর এই নিশি ভুত নাকি রাত গভীরে এসে শিকাড় ধরে।
এসব কথা ভাবতে ভাবতে রাত গভীর হয়ে আসলে খালের উপর ঝুলে পরা শেওড়া গাছের ডালের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাশের শন শন শব্দ শুনতে পাই। উল্লেখ্য ছোটকালে অনেকের কাছে শুনেছি এ খালের উপর দিয়ে আমাবশ্যা তিথিতে ঘুড়ার মত দেখতে পাখাওয়ালা জন্তু জানোয়ার নাকি শন শন শব্দ করে ঝড়ের বেগে উড়ে যায় নদীর দিকে। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যেতো কোন রকম ঝড় বৃষ্টি ছাড়াই খালের পাড়ের বড় কড়ই গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে আছে নীচে।মানুষে বলত এটা নাকি দেও আর নিশি ভুতেরই কাজ । অনেকের ধারনা এখানে এই খালের শেষ প্রান্তে নদীর তীরে মাটির নীচে নাকি প্রচুর সোনা রোপার গুপ্তধন রয়েছে, আর ভূতেরা নাকি সেটা পাহাড়া দিয়ে রাখছে,তাই রাত বিরাতে সেখানে খালের উপর দিয়ে নিশি ভুতের আনাগোনার আলামত পাওয়া যায়।
ভুতের অপেক্ষায় বাঁকা তাল গাছে হেলান দিয়ে বসে এসব কথাই ভাবতেছিলাম গভীরভাবে , তখন বাতাশের শন শন শব্দ ও আকাশে বিজলীর চমকানো দেখে মনে হল এখনই বুজি ভুত সেই উড়ন্ত ঘোড়ার বেশ ধরে মাথার উপরে চলে আসবে ।
B8 : ছবি-৮ : পঙখীরাজ ঘোড়াসম ভুতের ছবি
তবে আশার কথাও আছে । দাদীর কাছে ঠাকুমার ঝূলিতে থাকা গল্পে শুনেছি ব্রক্ষদৈত্যও নাকি আছে।এরা ভাল ও বিপদগ্রস্থ মানুষকে দুষ্ট ভুতের হাত হতে রক্ষা করে । তাই মনে সাহস এলো দুষ্টভুত যদি এসেই পড়ে তবে ‘ইয়া আল্লা মুসকিল কোশা’ জপতো অছেই সে সাথে ব্রক্ষদৈত্য এসে উদ্ধার করবে আমাকে।
ছবি-৯ : ব্রক্ষদৈত্যের ছবি
গল্পে এটাও শুনেছিলাম যে ডাকিনী মায়াবিনী নামেও নাকি এক জাতের ভুত আছে , এরা থাকে তাল গাছে । রাত নীশিতে গাছ হতে নেমে এসে শ্মশানঘাটে গিয়ে অন্য ভুতের সাথে পাখনা মেলে নাচে। এ কথা ভাবার সাথে মনে হল আমিতো সত্যিই এখন বসে আছি তালগাছের নীচে , এখানে এই ভুতদেরই আসার সম্ভাবনা বেশী একথা ভাবার সময় একটু তন্দ্রাভাব এসে গিয়েছিল।সেসময় আধা ঘুমে আধা জাগরনে মনে হল ভয়াল দর্শন বিশাল ধারালো নখ নিয়ে একটি অদ্ভুত দর্শন নারিমুর্তী পরীরমত পাখনা মেলে নেমে আসছে শ্মশান ঘাটের দিকে।
ছবি- ১০: ভীষণ দর্শন এক মায়াবিনী
এর পরে পরেই মনে হল ভয়াল দর্শন পাখনা ওয়ালা মুর্তীটিকে তাড়া করে একদিকে সুর্য আর দিকে চন্দ্রকে রেখে আকাশ হতে নীচে নেমে আসছে কয়টি সুন্দর পরি , আর তার নীচে নীচে নাচছে হাস্যোজ্জল অগনিত ভুতের মাথার খুলী ও কংকাল ।মনে হল এ যেন দাদীর কাছে শুনা ঠাকুমার ঝুরির গল্পের কাহিনীর মত পরী আর ভুতের ছবি ।মনে মনে ভাবলাম শ্মশান ঘাটে নীশিরাতে বিভিন্ন জাতের ভুতেরা বুজি এমনিভাবেই নাচানাচি করে।
ছবি -১১ : পরী আর ভুতের নাচানাচি
আমি যখন শ্মশান ঘাটে নদীর তীরে তাল গাছে হেলান দিয়ে আত্মহারা হয়ে অপুর্ব দর্শন ভুতেদের নাচানাচি কল্পনা করছি, সে সময় বাড়িতে ঘটে যায় আর এক মহাবিপত্তি । আমার বিড়ি খোর চাচা মাঝে মাঝে রাতে এক ঘুম দিয়ে উঠে প্রকৃতির ডাক সেরে দিয়াশলাই জ্বেলে টেন্ডো পাতার বিড়িতে আগুন ধরিয়ে পুরা বিড়ি শেষ করে লম্বা ঘুম দিতো। রাত গভীরে বিড়ি খাবেতো খা, সেদিনই তাঁকে বিড়ি খেতে হল। বিড়ি খাওয়ার জন্য দিয়াশলাই জ্বালিয়ে দেখতে পায় আমি বিছানায় নেই ।তাই আমার নাম ধরে খুবই ডাকছিল । তবে আমাকে পাবে কোথায়, আমিতো ভুত দেখার জন্য ঘর হতে বেড়িয়ে গেছি। আমাকে বাড়ীর আশে পাশে কোথাও না পেয়ে চিল্লা চিল্লি করে বাড়ীর সব লোকজনদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে জড়ো করল। এদিকে বিপত্তি আর একটি নীজেই ঘটিয়ে রেখেছিলাম। দিন কয়েক আগে বাড়ীতে বেড়াতে আসা আমার সাথে সারাক্ষন এটা সেটা নিয়ে লেগে থাকা দুষ্টের শিরোমনি বড় ফুফুর বাচাল মেয়েটাকে বিকেল বেলায় কথাচ্ছলে বলেছিলাম আজ রাতে ভুত দেখতে শ্মশান ঘাটে যাব,ফিরে এসে তোকে ভুতের ভয় দেখাব। তখন আমার কথায় পাত্তা দেয়নি বরং কোমড় বাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে আমাকে একটা ভীতুর ডিম বলে উপহাস করে বলে ছিল ‘যা যা তুই যদি ভুত হছ আমি হব তোর শাকচুন্নী’ ।
ছবি -১২ : শাকচুন্নীরূপি বাচাল মেয়েটি
এখন বাড়ীতে আমাকে না পাওয়ায় দুষ্টুটা সকলকে বলে দেয় ভুত দেখার জন্য আমি নাকি শ্মশান ঘাটে গেছি ।বড়রা তৈরী হয় শ্মশান ঘাটে আমাকে খুঁজতে যাওয়ার জন্য। মশালের আলোকে নাকি রাতের বেলায় ভুতেরা ভয় পায়, তাই বাঁশের চোংগার মাথায় নেকড়া বেধে তা কেরোসিন দিয়ে ভিজিয়ে মশাল জ্বালিয়ে দুই কাকা ছোটেন শ্মশান ঘাটের পানে। ছোট কাকা প্রায় দৌঁড়ে সকলের আগে পৌঁছে যায় শ্মশান ঘাটের কাছে। বিপত্তিটা বাধাল মশালের সাথে না গিয়ে আগেই আমার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে তাল গাছের কাছে পৌঁছে গিয়ে। তার চড়া গলার ডাক শুনে নদী তীরের দিকে তাকিয়ে থেকে আমার ভুত দেখায় বিঘ্ন ঘটে । আচমকা তার ডাক শুনে মনে করেছি নিশী ভুত বুজি পিছন দিক হতেই এসে গেছে । ভুত দেখার জন্য যেইনা পিছন ফিরেছি তখন কালো চাদরে ঢাকা আমাকে দেখে ভুত মনে করে ছোট কাকা ভয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গোঙ্গাতে থাকে ,মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে ।
ছবি-১৩ : কাকাকে ভয় দেখানো ভুত
কাকা প্রায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।কিছুটা হুস এলে বাপরে বাপ কত বড় ভুতরে বলে বির বির করতে থাকে । মেঝো কাকাতো রাগে গড় গড় করতে করতে আমাকে টেনে হিচরে বাড়ীর পথে নিয়ে চলে । ছোট কাকাকেও ধরাধরি করে বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। বাড়ীতে নিয়ে এসে ছোট কাকাকে গায়ে সাবান মেখে গোসল করানো হয়। গোসল করানোর সময় কাকার হাতে পায়ে কাল কাল লম্বা অনেক চুল পাওয়া যায়। সবাই বলাবলি করছিল এগুলি নাকি ভুতের চুল । সকলের ধারনা ভুতে নাকি কাকাকে ধাক্কা দিয়ে মটিতে ফেলে দিয়েছে। আচমকা বাঁকা তাল গাছের নীচের ঢালু জায়গায় মাটিতে পরে যাওয়ায় কাকার বাদিকের চোয়াল সামান্য বেকে গেছে । সবাই বলছে এটা ভুতের থাপ্পর খেয়ে হয়েছে।আর ভুতটা নাকি তাল গাছে আমার উপর ভর করেই বসে ছিল। আমিতো ভালকরেই জানি কাকা ভুত দেখে নাই দেখেছিল কাল চাদরে মোড়া আমাকে । যাহোক, বিভিন্ন হট্টগোলে রাত পোহাল ।
সকালে কাকার বাঁকা চোয়াল সুজা করার জন্য পাশের গ্রাম থেকে রুস্তম ওজাকে ডেকে আনা হলে। ওঝা এসে মাটিতে ছোট গর্ত করে খাল পাড়ের রড় শেওড়া গাছের মরা ডাল কেটে তাতে আগুন ধরিয়ে তার ঝোলা হতে একটি হাতাওয়ালা কোদাল বের করে সেটাকে গনগনে আগুনের উপর রেখে টকটকে লাল করল ।পরে আগুনে তেতে উঠা কোদালটি কাকার চাপার কাছে নিয়ে বির বির করে কি সব মন্ত্রকথা বলে ছেকা দিল ।গরম কোদালের ছেকা খেয়ে কাকার চোয়াল মহুর্তেই সোজা হয়ে গেল। পরে ওজার কাছ হতে জানা গেল ভুতে ধরা রোগীদেরকে ওনি গরম কোদালের ছেকা থেরাপী দিয়েই ভাল করেন । কাকাকে তো ভাল করল, কিন্তু আমি ভীত হয়ে পড়লাম, আমার মধ্যে ভুতের কোন আছর পরেছে কিনা তা দেখার জন্য ওজা আমাকেও না তপ্ত কোদালের ছেকা দেয়?কিন্তু আমাকে কোদাল থেরাপী না দিয়ে শুধু আমার বাহাতের কনিষ্ট আঙ্গুলে খুব জুড়ে কিছুক্ষন চাপাচাপি করে ওজা ঘোষনা করল আমার উপরে এখন ভুতের কোন আছর নেই । যাক হাফ ছেড়ে বাচলাম ।
ছবি-১৪: ভুতে ধরা মানুষের চিকিৎসার জন্য কোদাল থেরাপী
কোদালের গরম ছেকা খেয়ে ভুতের ভয় দুর হয়ে কাকা ভাল হয়ে যায়। কাকাকে আসলে কোন ভুতে ধরে ছিল কিনা তা নিয়ে চিন্তায় পড়লাম , আমার কেবলি মনে হতো কাকা কোন ভুত দেখে নাই, কালো চাদরে দেখা আমাকে দেখে শুধু ভুতের ভয় পেয়েছিল।আর তাঁর গায়ে গতরে ভুতের কালো চুল পাওয়ার বিষয়টিও পরে আমার কাছে খোলাসা হয়েছে । দিনের বেলায় তাল গাছের নীচে গিয়ে দেখা গেল সেগুলি চুল নয়, বিষয় অন্য কিছু , সেগুলি ছিল তাল গাছের নীচে মাটিতে পরে থাকা পচা পাটের আশ। উল্লেখ্য বর্ষাকালে খালের পানিতে পাট গাছ জাক দিয়ে পঁচানোর পরে খালের পারে তালগাছের নিচে বসে পাটের আশ ছাড়ানো হতো। সে সময় পাট গাছের নীচের অংশের পঁচা ছোবরা মাটিতে ফেলে রাখা হতো যা দেখতে অনেকটা ছিল মানুষের মাথার লম্বা চুলের মত ,ভুত দেখে ভয় পেয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে গড়াগড়ি দেয়ায় সময় চুলের মত পঁচা পাটের আশ কাকারগায়ে গেগে গিয়েছিল, যাকে সবাই বলছে ভুতের চুল । এদিকে শ্মশান ঘাট হতে আমাকে ধরে আনতে গিয়ে কাকাকে ভুতে ধরার বিষয়টি বিবিধ মুখরোচক গল্পাকারে পাড়াময় ছড়িয়ে পড়ে।দেখা হলেই বন্ধুরা আমার কাছে জানতে চাইত ভুত দেখতে কেমন , ভুতের সাথে কোন কথা হয়েছে কিনা, ভুতেরা শ্মশানঘাটে রাতে কি করে ইত্যাদি বিষয়। কাকার অসময়ে ডাকাডাকির কারণে আমিতো সে দিন নীশি রাতে বেশিক্ষন শ্মশানঘাটে থাকতে পারিনি । ভুত দেখার সুযোগটাও তেমন পাইনি। তবে তাল গাছের গোড়ায় হেলান দিয়ে বসে ভুত বিষয়ে গভীর চিন্তামগ্ন হয়ে নদীর তীরে শ্মশান ঘাটে কাছে বসে কল্পনায় আসা ধাড়ালো নখওয়ালা মায়াবী ডাকিনীর সাথে ভুতেদের নাচানাচির কথাটা বলে দেই। কল্পনার কথাটি বাদ দিয়ে মঝা করার জন্য তাদেরকে বললাম শ্মশানঘাটে নিশী রাতে শুধু ভুতই আসেনা, মায়াবী ডাকিনী যোগীনীরাও নেমে এসে নাচনাচি করে। বললাম আমার কথা বিশ্বাস না হলে তারা যদি ভুত দেখতে চায় তবে সাহস করে নিশি রাতে কালো কাপরে আপাদমস্তক ঢেকে শ্মশান ঘাটে গিয়ে যেন গভীর চিন্তামগ্ন হয়ে ভুত আসার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে, শুধু খেয়াল রাখতে হবে উনারা যেন তাদেরকে দেখতে না পায়। তাহলে তারা অবশ্যই ভুত দেখতে পাবে এটা আমার পাক্কা প্রমিস ছিল তাদের কাছে ।
শ্মশানঘাটে গিয়ে এমনতরভাবে ভুত দেখার পরে বেশ কিছু দিন কেটে যায় । ভুলতে পারিনা নদী তীরে শ্মশান ঘাটে মায়াবী ডাকিনী যোগীনীদের সাথে ভুতের নাচানাচির কথা।অনেক সময় ভেবেছি এটা কি আমি স্বপ্নে কিংবা বাস্তবে না শুধু কল্পনায় দেখেছি। , তারপর মনে মনে ভাবি, না! আমিতো সে রাতে একটুও ঘুমাই নাই,শুধু একটু তন্দ্রাভাব এসেছিল , তাহলে স্বপ্নই বা দেখব কিভাবে। আবার ছোটকালে দাদীর কাছে শুনেছি ভুতেরা নাকি স্বপ্নে দেখা দিতে পারেনা। ভুতেদের সে ক্ষমতাই নাই। কেও যদি ভুত দেখে তবে তা বিশেষ অবস্থায় জাগরনেই দেখে, স্বপ্নে নয়।যদিও স্বপ্নে ভুতের মত কিছু দেখে তবে তা শুধুই প্রতিকী। সুতরাং স্বপ্নে দেখা ভূত কখনই প্রকৃত অর্থে ভূত নয়। তাই বিশ্বাস করতে শুরু করি, আমি মনে হয় সজাগ থেকেই আসল ভুত দেখেছি। কারণ জীবনে কত স্বপনই তো দেখেছি কিন্তু কোন দিন স্বপ্নে ভুত দেখি নাই,আর পরিচিত অন্য কারো কাছে স্বপ্নে ভুত দেখার কথাও তেমনকরে শুনি নাই, তবে অনেকেই স্বপ্নে ভুতুরে কান্ড ঘটতে দেখেছেন বলে জানা যায়,কিন্তু কান্ড ঘটানোর কর্তা মূল ভুতের সাক্ষাত কখনো পায়নি।
পরবর্র্তী সময়ে পরিনত বয়সে ভুত দর্শন বিষয়ে বিভিন্ন লেখা হতে জানতে পেরেছি যে মনের গহীনে জমে থাকা ভৌতিক বিষয়গুলি বিশেষ নৈসর্গিক অবস্থায় (যথা রাত্রী নিশিতে ভৌতিক একটি পরিবেশে) ভাবনার একটি স্তরে এসে বাস্তব উপলব্দির কাছাকাছি চলে আসে। তখন চিন্তার গভীরতা বৃদ্ধি পেয়ে চিন্তাযুক্ত উপলব্দিগুলি অনেক সময় আরো বিচিত্রভাবে মনসচক্ষে বাস্তবে দেখার ক্ষমতা সৃষ্টি করে । চিন্তিত বিষয়ের উপলব্ধি আরো গভীর ও সূক্ষ্ম হয়ে উঠলে মনোযোগ আরো বেশি গভীর অনুভবের স্তরের দিকে যায় । অনুভবের সে স্তরে তখনকার চিন্তাভুক্ত বিষয়গুলি মনুষচক্ষে ধরা দেয় ও সেগুলিকে বাস্তব বলে মনে হয়। সে সময়কার দেখা বিষয়গুলিকে অনেকেই হয়তো বলবেন দৃস্টিভ্রম, তবে সেটা মনের সাধারণ অবস্থায় ক্ষনিকের জন্যই ঘটে থাকে । কিন্তু আমার দেখা বিষয়গুলি প্রাসঙ্গিক বিষয়ে একটি ভৌতিক পরিবেশে গভীরভাবে চিন্তামগ্ন হয়ে দেখা একটি বেশ লম্ব ঘটনা। তাই, গভীর রাত্রী নিশীতে নির্জন শ্মশান ঘাটে দেখা ভুত,মায়াবিনী আর পরিদের নাচা নাচিকে স্বপ্ন , বাস্তব বা কল্পনাপ্রসুত বলব সে প্রশ্নের উত্তর আজো পরিস্কার ভাবে মিলেনি ।
তবে একটি কথা সত্য বলে জানি সেটা হলো ভূত বিশ্বাসীদের মনে গেঁথে থাকে ভূত। কারণ জন্ম থেকে মানুষের অবচেতন মনে ভূত বেশ বড় একটা জায়গা করে নেয় । প্রচুর ভূতের গল্প শোনা মানুষের মনের অন্দরে ভুত বেশ থাবা গেড়ে বসে। এর ফলে মানসিক কাঠামোতেও ভূত তার পাকাপাকি একটা জায়গা করে নেয়। ভূত দেখার মানসিকতা নিয়ে The Houran and Lange model ( সুত্র https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/9229473/) মতবাদটি বলছে, একজন মানুষই অপরকে ভূত দেখতে উদ্বুদ্ধ করে। যদি একজন মানুষ কোনও জায়গায় ভূত দেখেছে বলে দাবি করে, তাহলে ভূতে বিশ্বাস করে এমন মানুষরা সে কথা শোনার পর সেই নির্দিষ্ট জায়গায় ভূত দেখবেই। এটা বাস্তবের থেকেও বড় অবচেতন মনের ক্রিয়ায় হয়ে থাকে। আর ভূতে বিশ্বাস রাখে এমন একজন মানুষের মস্তিষ্ক নিজের অজান্তেই ভূতের পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম। সাধারণ গল্প কথায় ভুতের সাক্ষাত পাওয়ার স্থান হলো গাছপালায় ঢাকা ভাঙ্গাচোঙ্গা পোড়ো বাড়ি, কবরস্থান, শ্মশান , শেওড়াতলা বা বড় বটগাছ। কারণ মানুষ ঐসমস্তজায়গাতেই ভুত দেখা দেয় বলে মনে করে । অবশ্য জার্নাল অফ সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে Houran and Lange model এর সীমাবদ্ধতা ও অসারতার দিকগুলিও বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে( সুত্র : https://core.ac.uk/download/pdf/161883567.pdf )
একজন বিজ্ঞানী ( নিউরোলজিষ্ট) একথাও বলেছেন যে যাঁরা প্রচন্ড ভূতে বিশ্বাস করেন বা ভূত দেখেছেন বলেন তাদের উপর কাজ করে এক বিশেষ বৈদ্যুতিক তরঙ্গ। ডি পিজ্জাগালি নামে এক বিজ্ঞানী ২০০০ সালে একটি পরীক্ষা করেন। তাতে তিনি দেখিয়েছিলেন, ভূতে বিশ্বাসীরা তাঁদের মস্তিষ্কের ডান গোলার্ধে নিজের উপর অতিরিক্ত আস্থা পোষণ করেন। যাঁরা ভূত দেখবেন বলে ব্রেন ওয়ার্ক করে রাখেন তাঁদের মস্তিষ্কই তাঁদের ভূত দেখায়।
পিজ্জালীর সাথে আমি অনেকটাই সহমত পোষন করি । কেননা সেই দিন রাতের আঁধারে শ্মশান ঘাটের কাছে তাল গাছে হেলান দিয়ে বসে একাকীত্বের ভয় মনে উদিত হোয়ায় অন্য কারও উপস্থিতি জানান দেয়। খাল পাড়ের শেওড়া গাছটা হঠাত নড়ে ওঠা, শ্মশানঘাটে কারও উপস্থিতি নজরে আসার মত দৃশ্য দেখে মনে হলো এভাবেই বুজি আমরা আমাদের মনগড়া ভুতুড়ে পরিবেশ নিজেরাই তৈরি করে নিই।
এছাড়া ভূত দেখার পিছনে নাকি রয়েছে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের কারসাজি? যে তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র আমাদের ভূত দেখায় বা ভূতের সঙ্গে পরিচয় করায় তার নাম ইনফ্রাসাউন্ড। আমরা যে কম্পাঙ্কের শব্দ শুনে অভ্যস্ত, এটি তার চেয়ে নিচু কম্পাঙ্কের শব্দ। ইনফ্রাসাউন্ডের সঙ্গে ভূতের সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক ভাবে গবেষণা করেছেন কানাডার নিউরোসায়েন্টিস্ট ড. পারসিঙ্গার এবং তাঁর লরেনটিয়ান ইউনিভার্সিটির টিম। তাঁরা একটি যন্ত্রও তৈরি করেন যার নাম গড হেলমেট।
ছবি-১৫ : গড হেলমেট পরিহিতা এক নারি
ভূত বিশ্বাসীরা এই হেলমেট মাথায় পরলে, এটি চৌম্বকীয় সিগন্যাল ছুড়ে তাঁদের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশকে উদ্দীপ্ত করে। তাঁরা অবাস্তব অকল্পনীয় দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। দেখা গেছে, নির্জন জায়গায় যতক্ষণ ভূত বিশ্বাসীরা হেলমেটটি পরে ছিলেন, সেই সময়ের মধ্যে তাঁদের অনেকে ভূত দেখেছেন বা ভূতের ছায়া দেখেছেন।
ছবি-১৬ : চৌম্বকীয় সিগনাল তরঙ্গ
Source : Click This Link
‘জার্নাল অফ কনসাসনেস এক্সপ্লোরেশন এন্ড রিসার্চে’প্রকাশিত এই গবেশন টিমের লেখকগন বলেছেন “The God Helmet places four magnetic coils on each side of the head, above the temporal lobes in the brain ।
এই ক্ষেত্রগুলির সংস্পর্শে আসা কিছু ব্যক্তি পরীক্ষার সময় ‘আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা’ থাকার কথা জানিয়েছেন। এই ব্যক্তিদের মধ্যে নাস্তিকদের পাশাপাশি ধর্মীয় বিশ্বাসীরাও ছিল। পরীক্ষাগুলি যে ঘরে পরিচালিত হয়েছিল সেখানে ৮০% ব্যক্তিই ‘অশারিরিক প্রাণীদের’ উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন।
গবেশক টিমের মতে The temporal lobe is involved in processing sensory input into derived meanings for the appropriate retention of visual memory, language comprehension, and emotion association.
ছবি ১৭ : টেম্পোরাল লোব
এই ক্ষেত্রগুলির সংস্পর্শে আসা কিছু মানুষ পরীক্ষার সময় ‘আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা’ থাকার কথা জানিয়েছেন। পরীক্ষাগুলি যে ঘরে পরিচালিত হয়েছিল সেখানে ৮০%মানুষই ‘অশারিরিক প্রাণীদের’ উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন, অপরদিকে সেখানে থাকা কম সংখ্যক মানুষই ঈশ্বরের উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন।
যাহোক, দেখা যায় এ সমস্ত পরিক্ষনের মাধ্যমে কয়েকজন বিজ্ঞানী ভূতের অস্তিত্ব আছে বলে দেখেছেন বা বলেছেন , তবে তা একটু অন্যভাবে। তাদের পরিবিক্ষনে ভূতেরা পৃথিবীতে আছে। তবে তিনারা প্রকৃতিতে বা পোড়ো বাড়িতে কিংবা শ্মশানে বাস করেন না। তিনাদের বাস কেবল সেই সব মানুষের মনে, যাঁরা ভূতে বিশ্বস করেন বা ভূত দেখতে চান।
ভুত আছে কি নেই এই কথা নিয়ে মানুষ মাথা ঘামিয়েছে সভ্যতার আদিকাল থেকে। আর এ সব কাহিনীর শ্রোতা-পাঠকগনও তাদের অবিশ্বাসকে শিকেয় তুলে রেখে, শুনে অথবা পাঠ করে গিয়েছেন ভূতের গল্প যুগের পরে যুগ ধরে। কিন্তু গল্পের শেষে সেই প্রশ্নটাই উঠেছে ভূত কি সত্যিই আছে? পরীক্ষাগারে বিস্তর সময় খরচ করে ভূতের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব প্রমানের গুরুদায়িত্বটি পালনে আগ্রহ দেখাননি তেমন করে কেউ।তবে এ কাজে এগিয়ে এসেছিলেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ ব্রায়ান কক্স।সম্প্রতি কক্স জানিয়েছেন, ভূতের অস্তিত্ব নেই। যদি তা থাকত, তা হলে বিশ্বের সব থেকে বড় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় তা ধরা পড়তই। মানুষের মৃত্যুর পরে তার আত্মা কোথায় যায়, তা নিয়ে সভ্যতার উন্মেষের কাল থেকেই মানুষ সন্ধান চালিয়েছে। যদি তেমন কোনও ‘যাওয়ার জায়গা’ থাকত, তা হলে তা নিশ্চিত ভাবেই বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র সার্ন এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার এ ধরা পড়ত।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের পাঠক কুলের অনেকেই জানেন কি ‘সেই লার্জ হাড্রন কোলাইডার’ । তবে যারা এখনো এই যন্ত্রটির সাথে সম্যক পরিচিত নন তাদের জন্য যন্ত্রটির বিষয়ে ছোট্ট একটি সচিত্র পর্যালোচনা এখানে তুলে ধরা হলো,যা থেকেধারনা করা যাবে যে যন্ত্রটি এই বিশাল ইউনিভার্সের ফিজিক্যাল ও নন ফিইক্যাল বিষয়েরা অসতিত্ব সনাক্তকরনে কত ক্ষমতাসম্পন্ন একটি যন্ত্র ।
লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার বা বৃহৎ হ্যাড্রন সংঘর্ষক (Large Hadron Collider সংক্ষেপে LHC) পৃথিবীর বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী কণা ত্বরক এবং মানবনির্মিত বৃহত্তম যন্ত্র। ইউরোপীয় নিউক্লীয় গবেষণা সংস্থা সার্ন এই ত্বরক নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করেছেন। যন্ত্রটিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের কাছে, ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্তের প্রায় ১৭৫ মিটার নিচে ২৭ কিলোমিটার পরিধির একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে(সুত্র: Click This Link) ।
ছবি - ১৮ : লার্জ হাড্রন কলাইডার এর একাংশের ছবি
এখন অবধি এই যন্ত্রটি বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ল বিষয় পর্যবেক্ষন ও এনালাইসিস করেছে যার মধ্যে কোয়ার্ক-গ্লুন প্লাজমা (কৃষ্ণগহ্বরের বাইরে ঘন পদার্থ Fluid form of Matter) তৈরির সাক্ষী হয়েছে,
ছবি-১৯ : একটি ব্লেক হোলের ছবি
ছবি-২০ : Quark –Gluon- Plasma পরিচিতি
ছবি - ২১ : যে পাঁচটি কারণ কোয়ার্ক-গ্নোন-প্লাজমা স্টাডির গুতুত্বনির্দেশ করে।
ভ্যটিকান সিটিতে পোপের সরকারী বাসভবন Sistine Chapel এর সিলিংএ ৪ বছর(১৫০৮-১৫১২)সময় নিয়ে বিখ্যাত ইটালিয়ান চিত্র শিল্পী Michelangelo https://en.wikipedia.org/wiki/Michelangelo অঙ্কিত Fresco (বিশেষ পদ্ধতিতে ঘরের দেয়ালে বা সিলিংএ অঙ্কিত তৈলচিত্র) চিত্রকর্মে বাইবেলের বিবরনের আলোকে পৃথিবীর প্রথম মানব আদম( আ সৃস্টি সম্পর্কিত বিষয়গুলি শিল্পীর কল্পনায় অংকিত হয়েছে। সেখান হতেই নীচের চিত্রটি উপরের প্রদর্শিত কোয়ার্ক–গ্লোন-প্লাজমার ব্যকগ্রাউন্ড চিত্র হিসাবে স্থান পেয়েছে, বিশ্ব ব্রম্মান্ডে মানব সৃস্টির আদি দিকটি বুঝানোর জন্য ।
ছবি-২২: ইটালিয়ান চিত্র শিল্পী Michelangelo অঙ্কিত Fresco চিত্রকর্ম
সুপারসিমেট্রির (a mechanism to give particles masses that requires the existence of a new particle) বিরুদ্ধে মূল প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে এবং ‘হিগস বোসন’ আবিষ্কার করেছে।
উল্লেখ্য ২০১১ সালে সার্নের বিজ্ঞানীরা এ কণার প্রাথমিক অস্তিত্ব টের পান। শেষ পর্যন্ত লার্জ হাড্রন কলাইডারের ATLAS এবং CMS ডিটেকটরের মাধ্যমে পরিক্ষন শেষে ২০১২ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে সার্নের বিজ্ঞানীরা
ঘোষনা করেন যে 125 GeV মাস রিজিয়নে তারা একটি নতুন কণার সন্ধান পেয়েছেন যা হিগস- বোসনের সাথে সঙ্গতিপুর্ণ ।
ছবি-২৩ : ATLAS ডিটেকটরের ছবি
ছবি-২৪ CMS ডিটেকটরের ছবি
ছবি-২৫ : In an artist’s conception ,a Higgs boson erupts from a collision of protons
অবশেষে হিগস-বোসন হান্টার্স থেকে "গড পার্টিকেল" পাওয়া গেল । এই নব আবিস্কৃত কণাই অস্তিত্বের(Physical existence মূল হতে পাvhv ধারনাটিকে কনফার্ম করেছে ।
এখানে উল্লেখ্য আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদযলয়ের সাবেক অধ্যাপক বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯২৪ সালে বোসন জাতের কণার ব্যাখ্যা দেন। পদার্থ বিজ্ঞানী পিটার হিগস ১৯৬৪ সালে তাত্ত্বিকভাবে এমন একটি কণার ধারণা দেন, যা বস্তুর ভর সৃষ্টি করে। তাঁর মতে, এর ফলেই এ মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে। এ কণাটিই গড পার্টিকেল বা ‘ঈশ্বর কণা’ নামে পরিচিতি পায়। হিগসের এই কণার বৈশিষ্ট্য ও স্বরূপ জানিয়েছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। দুই বিজ্ঞানীর নামে কণাটির নাম দেওয়া হয় হিগস বোসন। ২০১১ সালে সার্নের বিজ্ঞানীরা এ কণার প্রাথমিক অস্তিত্ব টের পান। শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে সার্নের গবেষকেরাই ঘোষণা দিলেন হিগস বোসনের অনুরূপ একটি কণা আবিষ্কারের।
তবে বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সতর্ক করে বলেছেন মহাবিশ্বকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ঈশ্বর কণা খ্যাত এই হিগস বোসন কণার।অবশ্য হিগস বোসন কণা থেকে কবে নাগাদ এ ধরনের মহাবিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে, তার কোনো সময় উল্লেখ তিনি করেননি। তবে এ ধরনের কণা যেন অতিশক্তি অর্জন না করে সে বিপদের কথা ভাবার পরামর্শ তাঁর।
যাহোক ,লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার যে কোনও এনার্জিকেও বিশ্লেষণ করতে সমর্থ। কক্সের মতে, ভূত যদি থাকত, তবে তারা এনার্জি দিয়েই গঠিত হত। কারণ, আত্মা যে কোনও পদার্থ দিয়ে গঠিত নয়, তা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। অথচ থার্মোডিনামিকস-এর দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী এনার্জি উত্তাপে লোপ পায় সুত্র : Click This Link )।
ছবি-২৬ : থার্মোডিনামিকস
Thermodynamics is a branch of physics which deals with the energy and work of a system.
The second law Thermodynamics states that there exists a useful state variable called entropy S. The change in entropy delta S is equal to the heat transfer delta Q divided by the temperature T.
delta S = delta Q / T
তবে একমাত্র ভূতেরাই যদি এই সূত্রকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল জেনে থাকে, তা হলে কিছু বলার নেই। কিন্তু তা যদি না হয়ে থাকে, তা হলে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার তাদের খোঁজ পেতই (সুত্র : Click This Link
তাই সার্ন তথা ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ-এর তরফে মানচেষ্টার ইউনিভার্সিটির কণা পদার্থবিজ্ঞানের সিনিয়র ফেলো এবং যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়ক ফিকশন স্টরির উপস্থাপক ব্রায়ান কক্স (Brian Cox) ভুতের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিবিসি চ্যনেল -৪ থেকে সম্প্রাচিত The infinite Monkey cage অনুষ্ঠানে ভুতের অস্তিত্ব নিয়ে পরিস্কারভাবে বলে দিয়েছেন যে ভুতের কোন অস্তিত্ব নেই।
ছবি-২৭ : The infinite Monkey cage
তবে যদি কোন ভৌতিক এনার্জি তাপকে প্রতিহত করতে সমর্থ হয়? সেখানে কী হবে, তা কিন্তু কক্স বলেননি।
পক্ষান্তরে একদল বিজ্ঞনী দেখাতে সমর্থ হয়েছেন যে মানুষের চোখের একটি ভুতুড়ে ক্ষমতা রয়েছে।
ছবি-২৮ : মানুষের চোখ "ভূতের চিত্রগুলি" সনাক্ত করতে পারে Human Eye Can See 'Ghost Images' (সুত্র Click This Link)
এ প্রসঙ্গে হেরিয়ট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ড্যানিয়েল ফ্যাসিও বলেছেন "যদিও মস্তিষ্ক স্বতন্ত্রভাবে সেগুলি দেখতে পাচ্ছে না, চোখটি কোনও না কোনওভাবে সমস্ত নিদর্শনগুলি সনাক্ত করে এবং তারপরে তথ্যটি রেখে এবং সবকিছুকে একত্রে সংমিশ্রণ করে,"সুত্র:https://www.livescience.com/33664-amazing-optical-illusions-work.html )
যাহোক, মোদ্দা কথা হলো এইসমস্ত যন্ত্রের দৃষ্টি এড়িয়ে ভুতেদের অস্তিত্ব ফাকি দিতে পারবেনা যদি তারা আদৌ থেকে থাকে ।
ভূত আছে কি নেই এই তর্ক চলছিল, চলছে চলবে। বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে ভূতের অস্তিত্ব বিপন্ন করা একদমই উচিত হবে না কারণ দক্ষিনারঞ্জন মিত্রের ঠাকুমার ঝুলি আর দাদা মশায়ের থলি এবং এ সামু ব্লগের অনেক ব্লগারের ভুতের গল্পের রসেই তো আমরা রসাল হই, আমরা একটু নির্মল বিনোদন পাই। এমন সৃষ্টি পেতে যদি একটু ভূতকে ভয় পাই তাতে ক্ষতি কী? শেষ কথা হলো আমার অভিজ্ঞতা হতে বলতে পারি 'ভুত ভয়ংকর কিছু নয় ( যদিও দুর্বল চিত্তের মানুষেরা নীজের ভুলেই কিছুটা ভয় পায়), ভূতেরা খুবই ভাল' বিভিন্ন জাতের ভুতেদের নাচানাচির দৃশ্যটি কল্পনায় হলেও দেখতে কতইনা বিচিত্র আর উপভোগ্য!!
ভুত আছে কি নেই এই প্রসঙ্গের ইতি টেনে ফিরে যাই আমার পোষ্টের মুল কথায়।কিন্তু সে কথাগুলির কলেবর বেশ বড় হয়ে গিয়াসে বলে সেগুলি পরের পর্বে দেয়াই সঙ্গত বলে মনে করি। তবে পরের পর্বে যাওয়ার আগে আরো একটি প্রাসঙ্গিক কথা বলে যেতে যাই । তা হলো জীবনের পড়ন্ত বেলায় পরশ পাথর প্রাপ্তির কাহিনীটা যখন লিখছি তখন সেসময়কালে খালের উপর দিয়ে ডানাওযালা ভুতুরে ঘোড়া উড়াউড়ি করে গুপ্ত ধন পাহড়া দেয়ার যৌক্তিকতা ও কার্য কারণের একটি ভাবনাও পেয়ে বসে ।মনে পড়ে যায় আমাদের এলাকায় পানির জন্য যেখানেই মাটির কুপ খনন করা হতো সেখানেই মাটির বেশ গভীরে অনেক পুড়াতন ভাঙ্গা চোড়া পুড়া মাটির হাড়ি পাতিল পাওয়া যেতো,এখনো পাওয়া যায় । বছর ষাটেক আগে আমাদের বাড়ির পাশে একটি পতিত জমি চাষের সময় লাংগলের ফলার আচরে একটি অদ্ভুত আকারের পাথরের শীল পাটা পাওয়া যায়। শীলটি পাটার উপরে নীচের চিত্রটির মত খাড়াখাড়ি অবস্থায় দাঁড়ানো ছিল বলে দেখতে পাওয়া যায় । এটা কোন আমলের তা কেও বলতে পারেনা ।মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা বাড়ী ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র অশ্রয় নেয়ায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে খালি বাড়ী হতে এই মুল্যবান নিদর্শনটি লুট হয়ে যায়।
ছবি -২৯ : মাটির নীচে প্রাপ্ত শীল পাটা
আমাদের গ্রামের লালমাটির টিলার উপরের মাটিতে রয়েছে বিপুল পরিমান ভাঙ্গাচুরা হাড়ি পাতিল থালাবাসনের টুকরা,এদেরকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় চাড়া । জমিতে এদের বিশাল উপস্থিতির কারণে উচুভিটা জমি চাষ দেয়া কৃষকের জন্য ছিল বেশ কষ্টকর ব্যপার। জমিতে কষ্ট করে চাষ দেয়ার সময় লাঙ্গলের ফলার সাথে ভাঙ্গা হাড়ি পাতিলের টুকরা উঠে আসলে কৃষক মাথায় হাত দিয়ে বলত কপালে আছে চাড়া ,এগুলি মনে হয় আমাদেরকে করবে ভিটা মাটি ছাড়া। কষ্ট করে চাষ দিয়ে এমন জমিতে ফলানো যেতো শুধু মাস কলাই,এক বিঘা জমি চাষে এক মন কলাই ফলানো যেতোনা । ছোট সময় শুনেছি আমাদের গ্রামে কেও মারা গেলে মানুষ যেমনি কাঁদত মৃতের জন্য তেমনি নাকি কাঁদত চাড়া ভর্তী মাটিতে কবর খোরার কষ্টের কথা ভেবে, কারণ মাটি যত কাটত ততই বের হতো চাড়া আর কোদালের মুখ হয়ে যেতো ভোতা ,কোদালীর মাথার ঘাম পায়ে পড়ত, আধাদিন কেটে যেতো শুধু কবর খোরতেই । যাহোক, ইত্যাকার আলামতের কথায় পরিস্কার ভাবে প্রমানিত হয় এখানে এক সময় একটি বর্ধিষ্ণু জনপদ ছিল, ভাওয়াল গাজীপুর এলাকার সাংস্কৃতিক জগতে কয়েক শত বছরের পুরাতন সোনাভানের পুথিতেও এখানকার সমৃদ্ধশালী জনপদের উল্লেখ রয়েছে দেখা যায়। লেখাটির এ পর্যায়ে এই এলাকার ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং এর সাথে যুক্ত পুরাকির্তীগুলির বিষয়ে কিছুটা নাড়াচাড়া করে যে মনিমুক্তাসম ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায় তা পরের পঞ্চম পর্বে লেখার বাসনা নিয়ে এ পর্বের লেখায় এখানেই ইতি টানলাম। পরশ পাথর প্রাপ্তির পরের পর্ব দেখার জন্য আমন্ত্রন রইল ।
এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
তথ্য সুত্র: যথাস্থানে লিংক আকারে দেয়া হয়েছে ।
ছবিসুত্র : কৃতজ্ঞতার সহিত গুগল অন্তর্জালের পাবলিক ডমেইনের চিত্রসমুহ
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মনযোগী পাঠক । পুরা পোষ্টটি বেশ মনযোগ দিয়ে পাঠ করেছেন দেখে ভাল লাগল ।
ধোপা রায়ার মৃত্যুটি খুবই মর্মান্তিক ।১৯৪৭ সনে ভারত ভাগের পুর্বক্ষনে হিন্দু মুসলমান
রায়টের পরে ১৯৬৫ সনে পাক ভারত যুদ্ধের সময়ে আরোএকটি স্ম্প্রদায়িক নিপিড়ন
দেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল । সে সময় অনেক হিন্দু পরিবার ভারতে চলে যায়,
দেশত্যগী অনেক হিন্দু পরিবারের সহায় সম্পত্তি এনিমী প্রপার্টিভুক্ত হয় , আবার অনেকে
তাদের একই সহায় সম্পত্তি গোপনে কয়েক জনের কাছে বিক্রয় করে যায় ।
ঐ সমস্ত এনিমী প্রপার্টি নিয়ে পরে দেশে অনেক তেলেসমাতি কান্ড ঘটেছে
এবং এখনো সেগুলি ভেস্টেট প্রপার্টিনামে তালিকা ভুক্ত থাকায় মামলা মোকদ্মমা ,
দখল বেদখল নিয়ে কোর্ট কাচারী , উকিল ,মোক্তার ব্যরিষ্টার ও এলাকার ভুমিখোরদের
মধ্যে বিবিধ ধরনেরকারসাজি কারচুপি লেগেই আছে সে সস্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই
অবগত আছেন ।
আমি পোষ্টের লেখার বিবরনের সাথে প্রাসঙ্গিক ছবি যুক্ত করি বিষয়টিকে একটুভাল করে
বুজানোর জন্য , ছবিগুলি নীজেই একটি সহজবোদ্ধ কনটেন্ট এনালাইসিসের কাজ
করে। ফলেপাঠকপোষ্টের না পড়েও সহজেই বুঝতে পারেন কি কথা বলা হচ্ছে পোষ্টে ।
ছবিগুলি ভাল লেগেছে শুনে খুশী হলাম।
মাটির নীচেপাওয়া শীল পাটাটির মুল্য তখন তেমন ভাবে বুঝতে পারিনি। আর বুঝলেইবা
কি করতেপরতাম, তখন জীবনটি হাতে নিয়েই পাক বাহিনীর হামলার মুখে অতি প্রয়োজনীয়
কিছু সামগ্রী নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে হয়েছিল ।
ঠিকই বলেছেন ফুফুর দুষ্টু মেয়েটাকে যদি শ্মশানে যাবার কথা না বলতাম তাহলে ঠিকই ভুত দেখে ছাড়তাম ।
তবে ভুতের সাক্ষাত না পেলেও ঘরে ফিরে প্রথমেই শাকচুন্নীর মুখটি দেখে ছিলাম, সবার আগে এসে ভেংচি
কেটে বলেছিল সেই নাকি আমার ভুত দেখার বারটা বাজিয়ে দিয়েছে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ৬২ বা ৬৫ তে আমার নানা নানী আসাম থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে চলতে আসতে বাঁধ হয়।
দিগু ও তার স্ত্রী মতো বহু মানুষ পানির দামে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। সেসব খবর কেউ রাখে না।
আগুনে পোড়া দেহ দেখতে কত না ভয়ঙ্কর!
শশ্মান আর কবরস্থানেই বেশি ভুত প্রেত থাকে কেন? সেদিন একজন আমাকে বলল, কোথাও ভয় পেলে বা অশরীরি কিছু দেখলে কবরস্থানে গিয়ে হাজির হবে। সেখানে তুমি নিরাপদ।
নীলনদের দেশের যে গল্পটা বললেন, সেটা খুব ভালো লেগেছে।
কাকা অনেক জ্ঞানী লোক। তাকে আমার সালাম দিবেন।
বাংলার প্রতিটা ভূত নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আলোচনা টূকু ভালো লেগেছে।
ভূত দেখা নিয়ে পোষ্টে যে ব্যখ্যাটা দিয়েছেন সেটাই বাস্তবসম্মত।
এক পোষ্টে কি নেই!!! সব কিছু আছে। শাকচুন্নী যেমন আছে, তেমনি স্টিফেন হকিং পর্যন্ত আছেন।
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
৬২ বা ৬৫ তে আপনার নানা নানী আসাম থেকে তাঁদের ব্যবসা
গুটিয়ে বাধ্য হয়ে এখানে এসে ভালভাবে সন্মানের সাথে প্রতিষ্ঠিত
হতে পেরেছেন সেটাই এখন সৌভাগ্য বলে মনে হচ্ছে ।
কারণ আসামে নাগরীকত্ব আইনের গ্যারাকলে পরে অনেকেই
এখন বিবিধ ধরনের নির্যাতনের মুখে পতিত হচ্ছেন ।
সে সময় আসাম থেকে চলে আসা এক পরিবার
বৈবাহিক সুত্রে আমাদের গ্রামে স্থায়ী হয়েছেন ।তাদের
বাড়ীতে ছিল আসামী কলাগাছ।সে সকল কলা গাছে
বেশ বড় আকারের কলা ফলত, কলার ছড়াও ছিল
বিশালাকার । কলার মধ্যে বিচি থাকলেও কলা ছিল
খুবই মিষ্ট । তাদের কাছ হতে আসামী কলাগাছের
চাড়া নিয়ে এসে আমাদের কলা বাগানে
রোপন করা হয়েছিল । নদীর পারের বালি-
দোয়াস মাটিতে কলার সে কি ফলন ।
দাদা আসামী কলাকে জ্ঞানদা সুন্দরী কলা নামে
ডাকতেন ।কলার অনেক নাম যথা সবরী ,কবরি,
চম্পা,চিনিচম্পা, সাগর , আমৃতসাগর ,
নিহালী , কাঠালী , ভুইত্তা কলা ( বড় কলা),
আনাজী কলা,কত নামই না শুনেছি ,কিন্তু
কলার নাম যে জ্ঞনদা সুন্দরী হয়
তা ভাবতেও অবাক লাগে। এটাকে
সংক্ষেপে জ্ঞানা কলা নামেও ডাকা
হতো ।
আপনার মন্তব্যের দুটি কথা নিয়ে গেল
আমাকে অনেক দিনের পুরানো স্মৃতিতে।
দিগু ও তার স্ত্রী মতো বহু মানুষ পানির দামে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হলেও
তারা গোপনে একই জমি কয়েক জনের কাছ বিক্রি করে যে বিপত্তি বাধিয়ে গেছে
তার ফলশ্রুতিতে সে জমির দখল নিতে গিয়ে ঝগড়া ফ্যসাদ, মারামারি
মামলা মোকদ্দমা এখনো লেগে আছে । উকিলের কারসাজিতে
জমিজমা নিয়ে দেওয়ানী মামলা নাকি চলে কয়েক পুরুষ ধরে ।
উকিল এমন জমির বিরোধ নিয়ে কেইস পেলে সেটা সে সারাজীন চালিয়ে
গিয়ে উত্তরাধিকার হিসাবে কেইস দিয়ে যায় তার ছেলের কাছ ।
শশ্মান আর কবরস্থানেই বেশি ভুত প্রেত থাকে কেন?
এ প্রশ্নের কিছুটা উত্তর দেয়া হয়েছে আমার পোষ্টে
কারণ মানুষ ভুত দেখতে চায় অমন স্থানেই !!
কোথাও ভয় পেলে বা অশরীরি কিছু দেখলে কবরস্থানে গিয়ে হাজির হলে।
সেখানে নিরাপদে থাকারকথা শুনে অনেকটা আশ্বস্থ হলাম ।
নীলনদের দেশের যে গল্পটা শুনে ভালো লেগেছে শুনে খুশী হলাম
সেখনে থাকা লিংকে গিয়ে কাহিনীটিপাঠ করে দেখতে পারেন ।
কাকা অনেক জ্ঞানী লোক একথা সত্য। তবে তিনি যে শুধু জ্ঞানী ছিলেন তাই নয়,
তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । উনার কিছু শারিরিক অসুবিধা থাকায়
উনাকে মুক্তি যুদ্ধে যোগদানে আনুমতি না দেয়ার কারণে গলায় দড়ি বেধে
তিনি বেশ কয়েক বার বাড়ীরসামনের বেল গাছের ডালে ঝুলে
আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন । উনার অবস্থা দেখে উনাকে মুক্তিযুদ্ধে
যেতে দাদী অনুমতিদেন ।
অনেক কষ্টে সীমান্ত পাড়ী দিয়ে উপারের মুক্তি যোদ্ধা ট্রেনিং ক্যম্পে গেলে
তার পায়ের অবস্থা দেখে কেম্টেন তাকে রিক্রুটে অস্বিকৃতি জানালে তিনি
পাশের একজনের কাছ থেকে হঠাত করে রাইফেল কেড়ে নিয়ে নীজের
বুকের দিকে তাক করে বলেন আমাকে রিক্রুট করা না হলে গুলি ছুড়ে
নীজকে শেষ করে ফেলবেন। আগ্যতা তাঁকে রিক্রুট করা হল ।
দেশে ফিরে তিনি অনেক গরুত্বপুর্ণ অপারেশনে অংশ নিয়েছেন ।
তিনি এখন জীবিত নেই । শরীরে অনেক আঘাত নিয়ে দেশ
স্বাধীনের কয়েক বছর পরে চিকিৎসারত অবস্থায় ইন্তেকাল
করেন । তাই আপনার ছালাম তাঁর কাছে সশরীরে পৌঁছিয়ে
দেয়া সম্ভব নয় । তবে উনার জন্য দোয়া কামনা রইল ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: নিচ থেকে চার নম্বর ছবিতে দুজন মানুষকে দেখা যাচ্ছে একটা স্পেস শীপে বসা।
ছবিতে এই দুইজন কে? আমি কিন্তু তাদের চিনতে পেরেছি। একজন আপনি, আরেকজন আমি। হে হে---
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার দুরবীন লাগানো চোখকে ফাকি দিবে সে সাধ্য কার।
এমন একটি স্পেসশীপে চরে দুনিয়া চক্কর দিতে পারবেন কয়েকবার ।
তখন শুধু ঢাকার হালচাল নয় , দুনিয়ার হালচাল উঠে আসবে
আপনার লেখায় ।
শুভেচ্ছা রইল
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০২
জুন বলেছেন: রায়া ধোপা, শ্মশানঘাট তারপর নানান রকম ভুত পর্যন্ত ঠিক আছে ডঃ এম এ আলী ভাই। কিন্ত যখনি সাইন্স নিয়ে আসলেন তখন মনে হলো একটু রেস্ট নেই
মামদো বলেও কিন্ত একরকম ভুত আছে কিন্তু
আবার আসবো ভুতাখ্যানে।
+
০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঠিক আছে একটু রেষ্ট নিয়ে সাইন্স অংশটুকু দেখার জন্য আবার আসার অপেক্ষায় রইলাম ।
হ্যাঁ মামদো নামে ভুত আছে । তবে এটা নাকি ম্লেচ্ছ তথা মুসলমান ভুত ।
মুসলমানগন পর্ব জন্মে বিশ্বাসি নয় বিধায় এদের অস্তিত্ব খুঁজে যাওয়া যাবেনা।
কারণ মৃত্যুর পর তারা পারলৌকিক স্তরের জায়গায় অবস্থান করেন ।
তাই আমার লেখায় এটাকে এড়িয়ে গেছি ।
শুভেচ্ছা রইল
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! কী চমৎকার মুনশিয়ানায় জীবন স্মৃতি কে ঘিরে লিখে গেলেন দারুণ এক উপাখ্যান।
রায়া ধোপার পরিণতি এবং মৃত্যু দুটাই কষ্টের। দেশ ভাগের সময় টা আমার কাছে ভীষণ হতাশা আর বেদনার। আমি প্রায়শই বাংলা হিন্দি উর্দু যে ভাষায় পাই দেশ ভাগের সময়ে করা মুভি দেখি। মাতৃভূমি ত্যাগের কষ্ট যন্ত্রণা, কাছের মানুষদের প্রতারণা। যাইহোক
এর পর ই নিয়ে গেলেন আমাদের কে চীরায়ত বাংলার সেই মধুর পালাগানে। আপনার কাকার সাথে রুপবান ,আলুমতি, ছয়ফলমুল্লুক ও বদিউজ্জামাল, বেদের মেয়ে মহুয়া 'র স্বপ্নিল জগতে। বিটিভে এক সময় হীরামন ও মণিহার নামে অনুষ্ঠান হত। সেখানে গয়া বাইদ্দা র নৃত্য নাট্য দেখেছিলাম। হ্যাঁ ঐ বয়সটাই কৌতূহলের ! আপনার কৌতূহলী মন আমাদের কে বিভিন্ন ভূতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো । গড হেলমেট পেলে একদিন মজা করে চুম্বক তরঙ্গের খেলায় ভূত দেখা যেত। আমি এ যাবত অন্যমনস্ক বা নির্জনে যতকিছু দেখেই থমকে গেছি, সেটা আসলে কি না দেখে সেখান থেকে সরি নাই। তাই আর আপনার মতোই জমিয়ে ভূত দেখা, ভূতের গল্প লেখা হয়ে উঠল না জীবনে
লার্জ হাড্রন কলাইডার ঈশ্বর কণা ও জানা হল! বাড়ি লুট করার সময় এত ভারী শিলপাটা ও বাদ যায় নি ! হয়ত যে নিয়েছ এর ঐতিহাসিক মূল্য জানে? আপনাদের এলাকায় চাড়ার কোথা শুনে শৈশব মনে পড়লো! কত যে ডিজাইনের চাড়া কুড়াতাম কুতকুত খেলার জন্য। তবে আপনাদের এলাকার নৃতাত্ত্বিক মূল্য অনেক বলেই মনে হচ্ছে।
খুব খুব ভালো লাগলো আপনার এই গল্পচ্ছলে শিক্ষার পোষ্ট, ছবিগুলো নিঃসন্দেহে লেখাকে অনন্য করেছে।
ধন্যবাদ অসাধারণ আরও একটি পোষ্টের জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মাটিতে চাড়া দিয়ে দাগ কেটে কুত কুত খেলার জন্য ঘর বানানোর কথা কি ভুলা যায় । কুতকুত খেলায় ঘর বেচাকেনার বিষয়টি বাণিজ্যের প্রতি গ্রামীণ নারীদের আকাঙখা ও সচেতনতার কথা তুলে ধরে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই তাই দেখা যায় নীজের জন্য একটি ঘর চায় সারা জীবন ধরে । কুত কুত খেলার ছন্দময়ী মন্ত্রটাও বড় সুন্দর।
লাইলি লুইলি বাঁশের চোঙ
বাঁশ কাটলে টাকা থোং
এত টাকা নেবো না
লাইলির বিয়া দিব না
লাইলির আম্মা কাঁন্দে
গলায় রশি বান্দে
এটা ছিল শুধু মেয়েদের খেলা , ছেলেদের নো চান্স । তবে জোড় করে পাশে দাঁড়িয়ে দেখতাম মাটিতে আঁকা ৭/৮টি ঘরের শেষ মাথায় থাকত অর্ধচন্দ্রাকৃতির আর একটি ঘর ।
প্রথম ঘরে গুটি ফেলে এক পা শূন্যে রেখে এবং দম দিতে দিতে গুটিকে সবগুলো ঘর অতিক্রম করে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ঘরে এনে পা নামিয়ে দম ফেলা হত। তার পর এই ঘর থেকে গুটিকে পা দিয়ে আঘাত করে সব ঘর অতিক্রম করতে হতো ।। গুটিটি সব ঘর অতিক্রম না করলে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ঘর থেকে বের হয়ে শূন্যে পা তুলে দম নিতে নিতে তাকে আবার আগের নিয়মে ঘর থেকে বের হয়ে আসতে হয়। তারপর একজনকে কপালে গুটি রেখে উপর দিকে তাকিয়ে ৮টা ঘরের দাগে পা না ফেলে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ঘরে যেয়ে আবার প্রথম ঘরে ফেরত আসতে পারলে সে ঘর কেনার যোগ্যতা অর্জন করত। কুতকুত খেলায় যে ঘর কেনা হবে সেই ঘরে পা বা গুটি ফেলা যাবেনা। ঘর কেনার প্রক্রিয়াকালীন সময় খেলোয়াড়ের দাঁত দেখা গেলে ঐ খেলোয়াড়ের খেলা ঐ অবস্থায় মারা যায়। ক্রমান্বয়ে ঘর কিনে শেষ ঘরটি দখল করার মাধ্যমে খেলার নিস্পত্তি হতো। কোন মেয়ের দাত দেখতে পেলে বা তার কপালের পরে গেলে আমরা ছেলেরা খিল খিল করে হাসতাম, আর কপালে জুটত তেরে আসা মেয়েটির হাতের চাড়া । দৌড়ে
পালানো ছাড়া কোন উপাই থাকতনা ।
রায়ার পরিনতি ও কষ্টকর মৃত্যুর কথা এখনো মনে বাঝে, তাইতো উঠে এসেছে লেখার মাঝে ।
বাংলার পল্লী গাথার ভিতরে আমার মন এখন ডুবে আছে ।দিন কয়েকের ভিতরে পরশ পাথর প্রাপ্তি পর্ব -৪এ উঠে আসবে বাংলার বিখ্যাত পল্লী গাথার কথা একটু বিষদ ভাবে । দেখে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রন রইল ।
লার্জ হাড্রন কোলাইডার নিয়ে আরো বিষদ কিছু লেখার জন্য ব্লগের গুণী পদার্থ বিজ্ঞানীদের প্রতি একটি অনুরোধ রেখে গেলাম এখানে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪
জুন বলেছেন: আপনি হয়তো জানেন পুরো রোম শহর জুড়ে পাবলিকের খোড়াখুড়ি সরকারী সম্পুর্নভাবে নিষেধ। প্রাচীন রোমের ধ্বংসাবশেষের অর্থাৎ প্রাচীন প্রত্নতাত্মিক নিদর্শন কোথায় কি লুকিয়ে আছে কেউ তো বলতে পারে না। রাস্তায় সব গাড়ি পার্কিং , কোন আন্ডার গ্রাউন্ড গারাজের ব্যবস্থা নাই কেন জানতে চেয়ে এই উত্তর শুনেছিলাম। আর আমরা কোদালের ঘায়ে কত সমৃদ্ধশালী নগরীকে চুর্নবিচুর্ন করছি বছরের পর বছর ধরে কে তার হিসাব রাখে
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শরিরটা ভাল যাচ্ছেনা ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার
মুল্যবান মন্তব্যে ফিরে আসব।
শুভেচ্ছা রইল।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনি যতার্থই বলেছেন, রোম শহড় জুড়ে পাবলিকের খোড়াখোড়ি নিষিদ্ধ ।
রোমান সাম্রাজ্যের পুরাটা জুড়েই বিশেষ করে রোমসহ ইটালীর বিভিন্ন প্রান্তেই
মাটির উপরে ও নীচে লুকিয়ে আছে অনেক মুল্যবান প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন ,
যেমনটি দেখা যায় নীচের মত গুহাচিত্রে।
অসচেতন ভাবে কোড়াখুড়ি করতে গিয়ে কোন মুল্যবান প্রত্নতাত্বিক নিদর্শণ
যেন হারিয়েনা যায় সে জন্য তারা কতই না তারা সচেতন । আর আমরা
পেয়েও হারাই।দুর্ভাগ্য আর কাকেবলে । কোনদিন যে যে সচেতনতা আসবে
আমাদের মাঝে তা আল্লাই জানেন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
ভুত থাকুক আর না থাকুক , আপনার কাকার পালাগানের গল্পের সুরে আপনিও সেই রায়া ধোপা থেকে শুরু করে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের ২৭ কিলোমিটার পরিধির সুড়ঙ্গে ঘুরিয়ে ভুতের চৌদ্দগোষ্ঠি দেখিয়ে দিলেন ।
যথারীতি একটি "এম এ আলীয়" পোস্ট ! আপনি পারেনও বটে! এতো এতো এনার্জি নিয়ে, এতো এতো বিশ্লেষন ধর্মী লেখা দেখে বোঝাই যায় আপনি এখনও প্রানবন্ত, টগবগে আর সুরসিকও বটে। জীবনের শেষ দিনটুকু পর্যন্ত আপনি এমনই থাকুন, আমাদের প্রার্থনায় এটা রইলো।
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার নিয়ে বিস্তারিত লেখার অনুরোধ থাকছে। এটা বিজ্ঞানের এক মহা বিস্ময়। বোনস কণা বা ঈশ্বর কণার মতো যে কণা লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে বানানো হয়েছে বা ধরা পরেছে সে তো বেশ ক'বছর আগের কথা । কি করে বা কি ভাবে কোলাইডারে এই কনার আবিষ্কার হয়েছে, জানতে চাই। বর্তমানে তার অবস্থা কি তা নিয়েও লিখুন।
লেখায় +++++++
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শরিরটা ভাল যাচ্ছেনা ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার
মুল্যবান মন্তব্যে ফিরে আসব।
শুভেচ্ছা রইল।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
উত্তর দিতে বিলম্ব হল বলে দু:খিত।
মুল্যবান ও রসিক মন্তব্যে আপ্লুত।
করুনার কারণে ঘর থেকে বেশি
দুর যতে পারিনা ঘরে বসেই
কাজ নাই তো খই বাজ এর মত
যা মনে আসে তাই লিখে সময়
কাটাই, সাথে পড়া লেখাটাও চলে
সেখানেই পাই শান্তনা ।
আপনার অনুরোধ রাখার চেষ্টা করব।
সামু ব্লগে বেশ কজন নাম করা পদার্থবিদ
আছেন বলে জানি , বিষয়টির প্রতি তাঁদেরো
দৃষ্টি আকর্ষন করছি, তারা আমার থেকে
অনেক ভাল করে কোলাইডারে বোসন-কণা
আবিস্কারের কাহিণী/পদ্ধতিটির বিবরণ দিতে
পারবেন বলে মনে করি ।
আনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার প্রথম মন্তব্যের উত্তর এত সুন্দর উত্তর দিয়েছেন যে আমি প্রচন্ড মুগ্ধ হয়েছি। কিন্তু আমাকে কিছুটা বিপদেও ফেলেছেন। আসামী কলা খাওয়ার জন্য মনটা অস্থির হয়ে গেছে। বাংলাদেশে তো আর এই কলা পাওয়া যায় না। আমার আবার অভুয়াস হলো- একটা কিছু খেতে ইচ্ছা করলে না খাওয়া পর্যন্ত শান্তি পাই না। দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। আমার খালার সাথে কথা বললাম, উনি নানা নানীর সাথে দীর্ঘদিন আসামে ছিলেন। খালা বললেন, আসামের কলা খুব মজা। এরকম কলা তিনি কলকাতা বা বাংলাদেশে আর দেখেন নি।
কাকার ব্যাপারে কিছু যেন বিমোহিত হয়ে গেলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের আমি মনে প্রানে সম্মান করি।
আপনাকে অনুরোধ করবো সময় সুযোগ মতো শুধু মাত্র কাকাকে নিয়ে একদিন একটা পোস্ট দিবেন। আর যদি কাকার কোনো ছবি থাকে তাহলে লেখার সাথে দয়া করে একটা ছবিও দিবেন।
আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন। আর হ্যা বাইরে গেলে মাস্ক মাস্ট। ঘরে বাইরে যেখানেই থাকুন। একটু পরপর হাত ধুয়ে নিবেন।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শরিরটা ভাল যাচ্ছেনা ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার
মুল্যবান মন্তব্যে ফিরে আসব।
শুভেচ্ছা রইল।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার খালা ঠিকই বলেছেন এই কলা দেশে খুবই বিরল।
আসাম হতে আসা লোকজন যেসব গ্রামীণ এলাকায় বসত
গেড়েছেন সেখানে কিছু এ জাতের কলা ফলে বলে জানা যায়।
আসামী কলা খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে শুনে খুশী হলাম ।
আমি এ মহুর্তে ঢাকায় থাকলে আমাদের বাগানের
আসামি কলা খাওয়াতে পারতাম । তবে আশা রাখি এ
কলার সন্ধান আপনি পাবেন খিলগাও রেল লাইনের পাশে
বসা কাঁচা বাজারে , সেখানে এ জাতের কলা আমি বিক্রি
হতে দেখেছি ।এখন পাওয়া যায় কিনা তা সঠিক বলতে
পারছিনা ।
উল্লেখ্য সেখানে আসামী কলার মোচা/ফুলও পাওয়া যায়।
আসামী কলার ফুল দেখতে অতি সুন্দর । অনেকেই বলে
থাকেন এর চেয়ে সুন্দর ফুল নাকি নেই বাংলা মুল্লুকে ।
কাকাকে নিয়ে পোষ্ট দেয়ার বিষয়টি মাথায় রাখলাম।
করুনা মুক্ত থাকার জন্য আপনার সুপরামর্শ শিরোধার্য ।
আপনি্ও ভাল থাকুন এ কামনা রইল।
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার পোষ্টটা প্রকাশিত হওয়ার পরপরই পড়ার শুরু করেছিলাম; আমার শরীর ভালো হওয়ায় আজ শেষ করলাম। এত বেশী তথ্য একই যায়গায় দিয়েছেন যে, ইহা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে গেছে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শরিরটা ভাল যাচ্ছেনা ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার
মুল্যবান মন্তব্যে ফিরে আসব।
শুভেচ্ছা রইল।
১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:০৭
কলাবাগান১ বলেছেন: এক দমে এই লিং এর এমাজন প্রাইম এর ভিডিও টা দেখেছিলাম হিগস বোসন নিয়ে...রেজাল্ট জেনে সমাধানের চেয়ে আরো বেশী প্রশ্ন দেখা দিয়েছেলিং সামু দিতে দিচ্ছে না .. ডকুমেন্টারীর নাম Particle Fever
আর গডস পার্টিকেল এর নাম টা হয়েছে একটা বিজ্ঞানী Leaderman এর একটা 'গালি' থেকে...যিনি এটাকে নামকরন করেছিলেন, উনি রাগের চোটে বলেছিলেন "Goddman particle" -
so elusive particle he was frustrated so he said that phrase....
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শরিরটা ভাল যাচ্ছেনা ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার
মুল্যবান মন্তব্যে ফিরে আসব।
শুভেচ্ছা রইল।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান কিছু তথ্য রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
Higgs Boson কনা আবিস্কারের পর এটা নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে জগতের সকল সেরা পদার্থ বিজ্ঞানীদের মাঝে । ২০০৮ সালে লার্জ হাড্রন কোলাইডার উদ্বোধনের পর থেকে ২০১২ সনে Higgs Boson কণা প্রাপ্তির বিষয়টি সার্নের বিজ্ঞানিরা ঘোষনা দেয়া পর্যন্ত প্রায় ৪ বছর ধরে আমিরিকায় তৈরী করা Documentary Film ‘Particle Feaver’ নিয়ে অলোচনা কালে David Kaplan বলেছেন none of the theoretical models are supported by this finding, and that the long-term implications of the discovery of Godparticle are unclear.
এছাড়াও some physicists think there could be several different types of Higgs bosons and this is just the first one that have detected.Thus some physicists think there could be several different types of Higgs bosons, and Godparticle is just the first one that have detected.
As such some scientists agree that the "Goddamn Particle" would've been way better than "God Particle.
১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
উপস্থিতি জানান দিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় সুন্দর পোস্টটিতে আপাততঃ +++
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপাততঃতা কাটিয়ে উঠার অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায়রে পরশ পাথর!!!!!
কই থেইক্যা কই লইা যায়
উপরের সব অসাধারন মন্তব্যের পর আর কি বলবো, তাই মাথা চুলকাচ্ছি প্রিয় ড. এম এ আলী ভায়া।
সত্যি আহেমদ জিএস ভায়ার কথাই সত্যি "এম এ আলীয়" পোস্ট ! এই ব্রান্ডিং চাইলেও সহসা কেউ অর্জন করতে পারবে বলে মনে হয় না।
ইংরেজী ঘোষ্টের শব্দগত মানে বিশ্লেষন জানিনা, তবে বাংলায় ভূত শব্দের মাঝেই কিন্তু সত্য লুকানো আছে।
ভূত =/বিশেষ্য পদ/ অদৃশ্য আত্মা-বিশেষ; শিবানুচর ভূতনাথ.; প্রেতযোনি মরে ভূত বনা.; চরাচর সার্বভূত.; পঞ্চভূত। ২. /বিশেষণ পদ/ অতীত সময় ভূতপূর্ব.; রূপায়িত প্রস্তুরীভূত.।
ভূ Bengali definition [ভু] (বিশেষ্য) ১ পৃথিবী; ভূমণ্ডল।
২ স্থল; ভূমি; স্থান (ভূভাগ)।
৩ পাতাল।
৪ হিন্দু পুরাণোক্ত সপ্তলোকের অন্যতম।
৫ আধার।
ভূত, ভুত Bengali definition [ভুত্] (বিশেষ্য) ১ হিন্দু মতে দেবযোনিবিশেষ; শিবের অনুচর (ভূত নামা)।
২ প্রেত; পিশাচ (ভূতে পাওয়া)।
৩ জীব; প্রাণী (সর্বভূত)।
৪ হিন্দুমতে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুসমূহের মূল উপাদান পঞ্চভূত অর্থাৎ ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ও ব্যোম।
৫ কাণ্ডজ্ঞানহীন (গেঁয়ো ভূত)।
৬ অতীত; যে কাল চলে গেছে (ভূতকাল, ভূত-ভবিষ্যৎ)।
□(বিশেষণ) হয়েছে এমন; সংঘটিত; পরিণত।
"ভূত" অস্তিত্বের এমন অবস্থা যা অতীতে ছিল বা ভবিষ্যে বিরাজ করে। অদৃশ্য। পঞ্চভূতের রুপান্তরিত এক অবস্থা।
যা বিশেষ অবস্থা বা বিশেষ দৃষ্টি সক্ষমতায়, অবস্থায় দৃষ্টিগোচর হয় বা শ্রুতি গোচর হয়
দারুন সংগা বানিয়ে ফেললাম ।নাকি বলেন হা হা হা
সব গুনিজনের সহবতের প্রভাব আরকি ।
কণা বিজ্ঞান বা পরমানু বিজ্ঞান যেদিন আলোক বিজ্ঞানের সূক্ষতায় গভীর বিশ্লেষনে যেতে পারবে, সেদিন হয়তো
আংশিক সত্যের কাছাকাছি যেতে পারবে । বিশ্বাসী হিসেবে বিশ্বাস করি সৃষ্টি তত্বে নূর বা আলো এবং শক্তির সমন্বয়েই সব সৃস্টির আদি বিকাশ। পর্যায়ক্রমে এই আলো এবং শক্তির সমন্বিত রুপই ক্রমবির্বতিত হয়ে বিভিন্ন উপাদানে বিভক্ত হয়েছে আপেক্ষিকতায়, অবস্থানভেদে, প্রয়োজনীতায়। সৃষ্টি তত্ত্বের গূড় রহস্য পর্ব পড়তে পড়তে শুধু মনে হয়েছিল- আহা- কবে বস্তুগত ভাবে প্রমানীত হবে আর সাধারন মানুষ অনুভব করতে পারবে সত্যের চিরায়ত রুপ।
যেমন আমাদের বিজ্ঞানীর নাম জড়িত বোসন কনার ধারনা প্রমাণ হতে লেগেছে দীর্ঘ সময় এবং সাধনা। হয়তো এমন দিন আসবে যেদিন সৃষ্টি তত্ত্বের এই ধারনা বা তত্ত্বও বাস্তবিক রুপ লাভ করবে।
অনেক অনেক শুভকামনা। সুস্থ থাকুন আর আমাদের দারুন দারুন লেখনি দিয়ে সমৃদ্ধ করুন।
আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শরিরটা ভাল যাচ্ছেনা ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার
মুল্যবান মন্তব্যে ফিরে আসব।
শুভেচ্ছা রইল।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খিত ।
ভুতের অসাধরণ সংজ্ঞায় অভিভুত।
আপনার মত গুণীজনের সহবতে আমিও ধন্য ।
সামুর মাঠে গত কয়েক দিন ধরে দেখা যায় ভুত নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল।
তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কথা হচ্ছিল বিভিদ জাতের আদি ভুত নিয়ে ।
হাল আমলে তার সঙ্গে আরও যে সমস্ত ভুত জুটেছে তার মধ্যে অন্যতম হল সাম্প্রদায়িকতার ভূত, অসহিষ্ণুতার ভূত,
জাতীয়তাবাদী ভূত চেতনাবাদী ভুত ইত্যাদি। সব মিলিয়ে জনবিস্ফোরণের মতো এখানে সেখানে এখন প্রায় ভূত-বিস্ফোরণ!
আরো আছে যুদ্ধবাজ জীবন্ত ভূত। ইয়া বিশাল তাদের বুকের ছাতি। ভাঁটার মতো চোখ নিয়ে তারা বলছে, 'বেশী বাড় বাড়লে ‘উচিত শিক্ষা দেয়া হবে'।
কিছু ভূতেরা সেই কথায় তুমুল করতালি দিচ্ছে। কিছু লোক অবশ্য যুদ্ধের প্রতিবাদ করে বলছে
সারা দেশটা ভুতের মাঠ হয়ে যাবে। তখন আমার শ্যাওড়া গাছটা কোথায় খুঁজে পাব?
জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা যারা করছে তারা এখনো ভূত হয়নি, এখনও জীবনের আশা আছে।
জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা মানে কি জীবনের আশা? পিছন থেকে শুঁটকো ভূতের ফোড়নও শুনা যাচ্ছে ।
চন্ডুখোর নামেও নাকি এক জাতের ভূত আছে এরা , পেশায় লেখক ও সম্পাদক। ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
তাঁর গল্পে এই ভুতের কথা লিখে গিয়েছেন, ‘‘সকল সংবাদপত্র অফিসেই এই ভুতের অদৃশ্যভাবে যাতায়াত আছে।
ভূতগ্রস্ত হইয়া লেখকরা কত কি যে লিখিয়া ফেলেন সেটা যার ঘারে পরে তিনিই বুঝেন চন্ডুখোর ভুত কাকে বলে' ।
এছাড়া ফেবু আর হোয়াটসঅ্যাপের ভূত মানুষের জীবন জেরবার করে ছেড়েছে।
নব্যভূতেরা নাকি সবাই এই রকম। কোথায় সেঁধিয়ে, কখন কাকে আক্রমণ করবে বোঝা দায়।
এখন আরো দেখা যায় খেনো গলার মেছো ভূতেদের আর রমরমা নেই, বেশির ভাগই নিরামিষাশী।
নিরামিষাশী ভূতেরা নাকি শুধু কাগজের তৈরী নোটকে ঘুষ হিসাবে খায় ।
এখন চারিধারে শুধুই এই তৃণভোজী গোভূতের রমরমা।
সাম্প্রদায়িকতার ভূতের অবস্থাও এখন রমরমা । অগে ভুতের মাঠে সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ ছিল, মামদো থেকে ব্রহ্মদৈত্য সবাই একসঙ্গে থাকত। এখন সাম্প্রদায়িকতার ভূতের জ্বালায় সবাই তটস্থ। ক্ষমা-টমা চেয়ে, ভূতেদের তুষ্ট করে জানা গেল, ক্ষমতার ভূত অনেকটা ইংরেজি ড্রাকুলার মতো, কখন কোত্থেকে কার ঘাড়ে দাঁত বসিয়ে দেবে তার কোন ঠিক নেই ।
ক্ষমতার ভূত কি আর এক জায়গায় থাকে? ভূতের রাজার বরে ওরা যেখানে সেখানে যেতে পারে। হাতে তালি দেওয়ার দরকার হয় না। নারীপুরুষ নির্বিশেষে, কাউকে তারা ছাড় দেয় না।ধর্ষনই এখন তাদের অন্যতম দর্শন । এরাই এখন সবচেয়ে সাংঘাতিক ভূত? ওই ভূতের আক্রমণে অনেককে বোবায় ধরে,জান গেলেও ভয়ে কাওকে কিছু বলেনা,বিচারো চায়না, বুঝে গেছে
সরিষার মধ্যেও ভুত আছে,বিচার চাইতে গেলে আরো বিপদ ।
সৃষ্টি তত্ব নিয়ে মুল্যবান কথা বলে পোষ্টটিকে নিয়ে গেছেন অনেক উচ্চতায় ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্যও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি ।
১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
নতুন বলেছেন: আগে মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ছিলো তাই ভুতে বিশ্বাস ছিলো।
এখন আধুনিক সমাজে ভুত বলে কিছু নাই। এখন ঢাকাতেও জ্বীন ভুতের কাহিনি তেমন শোনা যায় না।
আমাদের দেশেও এখন আগের মতন ভুতের গল্প শোনা যায় না। সামনের দিনেও আরো কম শোনা যাবে।
যেমন আগে জাদু দেখার জন্য মানুষ মুখিয়ে থাকতো এখন জাদু বা ম্যাজিসিয়ানের কদর নেই বললেই চলে।
তেমনি অলৌকিকতার উপরে মানুষের বিশ্বাস কমে যাবে। আমাদের দেশেও ভুতের কাহিনি থাকবে না তবে যেতে সময় লাগবে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শরিরটা ভাল যাচ্ছেনা ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার
মুল্যবান মন্তব্যে ফিরে আসব।
শুভেচ্ছা রইল।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ব্
বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খিত ।
আপনি ঠিকই বলেছেন মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ছিলো
তাই ভুতে বিশ্বাস ছিলো।এখন আধুনিক সমাজে ভুত বলে কিছু নাই।
তবে নব্যভুতের উপদ্রব বেড়েছে ।
উপরে বিদ্রোহী ভৃগুর মন্তব্যের উত্তরে নব্য ভুতেদের বিষয়ে কিছু কথা বলা
হয়েছে।
আমাদের দেশে আদি ও নব্যভুতের কাহিনী যেন আর না থাকে
আমিও সে কামনা করছি।
শুভেচ্ছা রইল
১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আমি শৈশবে অন্ধকার থাকতে পারতাম না, রাতে একাকী ঘুমাতে ও ভয় পেতাম। বাল্যকালে শ্মশানের মত ভৌতিক জায়গায় রাতে একাকী যাওয়ার মত দুঃসাহসিক কাজ আপনার সাহসের প্রশংসা করতে হয়। আপনার জীবনী থেকে যে অতি-ভৌতিক কাহিনীর বর্ননা করলেন সাথে ঝাড়ফুঁক,তাবিজ,কবিরাজ, ডানাসহ উড়া ভুতুরে ঘোড়ার মত পৌরানিক কাহিনী আমাদের গ্রাম-বাংলার মানুষের বিশ্বাস এবং প্রবাহমান জীবনকালের প্রকাশ পায়, যা এখনো অনেক জায়গায় বিদ্যমান। পরশ পাথরের এই পর্বটি হয়তো আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া ভৌতিক কাহিনীর বর্ননা দিয়ে শেষ করতে পারতেন, কিন্তু এর বাইরে হিগস বোসম বা ঈশ্বর কনা এবং (LHC) প্রজেক্ট, মহাবিশ্ব স্রষ্টির রহস্য ব্যাখ্যার যে চমৎকার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করলেন, অতি-প্রাকৃতিক বিষয়ে বিজ্ঞান প্রেমীদের ও হতাশ করেনী।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে যদি সরে ও আসি, শুধু যে আমাদের গ্রাম-বাংলায় ভুত,প্রেত নিয়ে বিশ্বাস গল্প-কাহিনি প্রচলিত এমনটা কিন্তু নয় বরং অনেক উন্নত দেশের সমাজ ব্যবস্হায় এর অস্তিত্ব এখন টের পাওয়া যায়। আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আমার রুমমেট ছিল একজন আফ্রিকান পাস্তুর বা খ্রিস্টানদের পাদ্রী। মেকানিক্যাল ইনি্জনিয়ারিং মত বিষয় পড়াশোনার করে ও আমার সেই বন্ধুটি বাইবেলের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ পড়ে অতি- প্রকৃতিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতো সহপাঠিদের।
চীন,জাপান,কোরিয়ার মত উন্নত সমাজে এখন ও স্যামান/স্যামানিজম বলে একটি বিশ্বাস দ্বারা প্রচলিত, যারা মৃতদের উপাসনা করে।বুদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি দৈবিক এবং তত্বিক জ্ঞানের জন্য তারা মৃতদের আত্মার উপাসনা করে। কোরিয়াতে সিউলের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মন্দিরে গেলেই আপনি এই অতি-প্রাকৃত বিষয়ের অস্তিত্ব টের পাবেন। আমাদের সমাজের বিশ্বাস ব্যবস্হার এর সাথে স্যামানদের অনেক মিল রয়েছে। স্যামানরা জন্ম তারিখ, নাম জেনে অতীত,ভবিষ্যত সম্পর্কে বলে দিতে পারে এমন কি বিভিন্ন জীব-জন্তুর উৎসর্গ করে দুষ্টু আত্মার নিকট মুক্তি কামনা করে।
শুধুই কি তাই, কোরিয়ান পুলিশ বিভিন্ন জটিল অপরাধের রহস্য উৎঘাটন করতে এই স্যামানদের সাহায্য নিয়ে থাকে। অনেক উচ্চ শিক্ষিত, ভাল পেশার ব্যক্তিরা ও স্যামান চর্চা করে কোরিয়াতে।
পরিশেষে বলতে চাই, সামুর ব্লগ কমিউনিটিকে যদি একটি ছায়াপথের সাথে তুলনা করি, আপনি হলেন এই ছায়াপথের উজ্জ্বল একটি নক্ষএ। ইদানিং ব্লগের শেষে আপনার মন্তব্য, জীবনের এই অন্তিম সময়, আপনার অসুস্হতার খবর মনকে বেশ খারাপ করে দিচ্ছে। আশাকরি নিজের প্রতি আরো যত্নশীল হবেন। ধন্যবাদ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি গভীর মনোনিবেশ সহকারে পাঠের পর যে অসাধারণ একটি
মন্তব্যকরেছেন তাতে আমি মুগ্ধ । এই মুল্যবান সচিত্র মন্তব্যটি আমার
পোষ্টটিকে একটি উচ্চ মাত্রা দিয়েছে , সে জন্য রইল অনেক ধন্যবাদ ।
শ্যামানদের বিষয়ে তথ্যপুর্ণ মন্তব্যটির মধ্যে অনেক গুরুত্বপুর্ণ কথা উঠে এসেছে।
চীন,জাপান,কোরিয়ার মত উন্নত সমাজে এখন ও স্যামান/স্যামানিজম বলে একটি
বিশ্বাস দ্বারা প্রচলিত, যারা মৃতদের উপাসনা করে।বুদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি দৈবিক এবং
তত্বিক জ্ঞানের জন্য তারা মৃতদের আত্মার উপাসনা করে। কোরিয়াতে সিউলের
সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মন্দিরে গেলেই আপনি এই অতি-প্রাকৃত বিষয়ের অস্তিত্ব টের পাবেন।
আমাদের সমাজের বিশ্বাস ব্যবস্হার এর সাথে স্যামানদের অনেক মিল রয়েছে।
স্যামানরা জন্ম তারিখ, নাম জেনে অতীত,ভবিষ্যত সম্পর্কে বলে দিতে পারে এমন কি
বিভিন্ন জীব-জন্তুর উৎসর্গ করে দুষ্টু আত্মার নিকট মুক্তি কামনা করে।
শ্যামনদের বিষয়ে আমি ইতিপুর্বে কিছু কথা শুনেছি । তবে
আপনার লেখা হতে আরো বিস্তারিত জানতে পারলাম ।
শ্যামানরা বিশ্বাস করে জগতে আত্মা বলে একটা জিনিষ আছে ।
এবং আত্মা মানুষের ব্যক্তি জীবনে এবং সামাজিক জীবনে গভীর
ভুমিকা পালন করে। শ্যামানরা বিভিন্ন উপায়ে সেই আত্মার সঙ্গে
যোগাযোগ করতে পারে । আত্মা শুভ কিংবা অশুভ হতে পারে।
অশুভ আত্ম্রর আছর হলে মানুষ অসুখে পরে ,তখন শ্যামানরা
সারিয়ে তুলতে পারে। তারা অদেখা দৃশ্য দেখতে পারে। শ্যামানদের
আত্মা শরির থেকে বেরিয়ে বিশেষ কোন উত্তরের খুঁজে পারলৌকিক
জগতে প্রবেশ করতে পারে। এসব বিশেষ ক্ষমতার কারণেই শ্যামানরা
সম্ভবত ভবিষ্যত বলে দিতে পারে।
শ্যামনরা মানবসংস্কৃতির একটি শক্তিশালী দিক বা অধ্যায় তাতে কোন
সন্দেহ নাই ।শ্যামনদের পুর্বেকার কারিষমা আজ আর তেমনটা দেখাতে
না পাওয়া গেলেও এখন শ্যামনরা অন্যরুপে ফিরে এসেছে। নিউ এজ
মুভমেন্টও শ্যামনদের অনেক ধ্যানধারনা গ্রহন করেছে।শ্যামনদের সম্পর্কে
গভীর জ্ঞান লাভের উদ্দেশে অনেক জ্ঞানী গুণীগন পড়াশুনা করছেন। এখন
দেখা যায় পশ্চিমাবিশ্ব যুক্তিরভারে অচীরেই ক্লান্ত হয়ে পড়বে। বিজ্ঞান মানুষের
প্রয়োজন মিটাচ্ছে ঠিকই কিন্তু বিজ্ঞান মানুষের কয়েকটি প্রশ্নের বিষয়ে নিরোত্তর।
আর যদি আধুনিক বিজ্ঞান বিশেষ করে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান শ্যামানদের নির্মূল
করে-তা হলে মানুষ আরও অধিক সুস্থ্য ও সবল হয়ে বেঁচে থাকলেও মানুষ হারিয়ে
ফেলবে অপার রহস্যময়তার একটি নিগূঢ় অধ্যায় ।
আপনার সুচিন্তিত ও জ্ঞানগর্ভ লেখনি সামুকে সমৃদ্ধ করুক
এ কামনা রইল ।
আপনিও ভাল থাকুন এ দোয়া রইল
১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১১
সোহানী বলেছেন: আপনার সাহসতো কম না। শ্বশানে গেছেন একা তার উপর মাত্রই মরা পুড়িয়েছে.....!!! ভুত থাকুক না খাকুক আমি ওই ঝামেলার মাঝে যেতে কোনভাবেই রাজি নয়।
আর কোদাল চিকিৎসার কথা জানা নেই। তবে ঝাঁড়ু, মরিচ পোড়া সহ আরো অনেক কিছুর কথা জানতাম।
ভুত আছে কি নেই, সে টা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই আমার। পৃথিবীতে অনেক রহস্যেরই মীমাংসা হয়নিম অনেক আবিস্কার এখনো বাকি তাই সেসব নিয়ে বেশী কাজ বা চিন্তাই করা উচিত। সে কারনে এ নিষয় নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই।
বিজ্ঞানের বোষ্টন কণা সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই তাই যা লিখেছেন তা মাথার উপর দিয়ে গেছে। হকিং যদি বলে থাকেন তাহলে তা নিয়ে একটু চিন্তায় আছি।
আমার আগের জবের বসের মেয়ে সুইস এ প্রজেক্টে কাজ করে। পোস্ট পিএইচডি করছে সেখানে। তার কাছেই প্রথমে এ প্রজেক্ট নিয়ে শুনেছি। সেখানের সে টানেলে তাকে কাজ করতে হয়।
ডুদ্ধের সময়ে আপনার বাসার লুটপাটের কথা শুনে মন খারাপ হলো। এমন একটি নির্দশন লুট হয়েছে সেটা তারা বুঝে নিয়েছে নাকি না বুঝে নিয়েছে। কোন নরমাল ডাকাত বা চোরেরতো এর মূল্য বোঝার কথা না।
বরাবরের মতোই সুপার লাইক!!
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক সময় নিয়ে দীর্ঘ পোষ্টটি পাঠের জন্য ধন্যবাদ ।
ভুত দর্শনের কৌতুহল মিটানোর জন্য একটু সাহস না করলে
অনেক কিছুই দেখা হতোনা।আরো কত কি যে দেখেছি
তার সব বলা যাবেনা , অনেকেই তা বিশ্বাস করবেনা ।
ভুতুরে কান্ড একা একা দেখেছি বলে তার কোন সাক্ষী নাই ।
ভুত নিয়ে গবেষনা চলছে নিরন্তর । কেননা ভুতেদের বিবর্তন ঘটেছে।
হাল আমলে অনেক ধরনের ভুতের সাক্ষাত মিলে । ভুতেদের বিবর্তনের
ফলে শেওড়া তলের ও শ্বশানের ভুতের সাথে আরও যে সমস্ত ভুত জুটেছে
তার মধ্যে অন্যতম হল সাম্প্রদায়িকতার ভূত, অসহিষ্ণুতার ভূত, ধর্ষন ভুত
জাতীয়তাবাদী ভূত, চেতনাবাদী ভুত ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এদের স্বরূপ ও কাজকর্ম নিয়ে এখন গবেশনা ও আলোচনার ঝড় সর্বত্র ।
বোসনের কণার মত বৈজ্ঞানিক আলোচনা মাথার উপর দিয়েই যাওয়ারই কথা,
এতে অবাক হওয়ার কোন কারণ নাই। ব্লগের জানাশুনা অনেক পদার্থবিদগনও
খামুস মেরে গেছেন ।
সার্ন গবেষনা কেন্দ্রের লার্জ হাড্রন কোলাইডারের বিষয়ে পোষ্ট ডক্টরাল গবেশনারত
আপনার প্রাক্তন বসের মেয়ের কাছে সেখানকার কর্মকান্ডের কথা শুনেছেন জেনে
খুশী হলাম ।
মুক্তি যুদ্ধের সময় ঐ পাটাটিসহ আরো অনেক মুল্যবান ঐতিহাসিক সামগ্রী
আমাদের বাড়ী থেকে লুন্ঠিত হয়ে ছিল। আফসুস করা সহ করার কিছুই ছিলনা।
শুভেচ্ছা রইল
১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমি এই ধরনের পোষ্টের পাঠক নই! এমন পোষ্ট লিখেন কি করে? কোন দয়ামায়া কি নাই!
অসাধারন বিশ্লেষন, শুরুর দিকে মনোযোগী হলেও পরে আর নিজকে ধরা রাখতে পারি নাই। এমন আরো আরো লেখা চাই।
আচ্ছা ইউটিউবে এখন কিছু ভুতে ধরা মানুষের ভিডিও দেখা যাচ্ছে এবং পরে সেই ভুত সরানোও হচ্ছে সামনাসামনি, এই সব দেখেছেন, আছে কোন ব্যাখ্যা।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পথ ভুলে হলেও এসেছেন দেখে খুশী হলাম ।
করুনার এই বন্দী জীবনের দিনে কাজ নাই তো ঘরে
বসে খই বাজার মত এ ধরনের পাইনসা পোষ্ট লিখি !
হ্যাঁ এরকমের লেখাই চলবে এই সময়ে ।
ইউটিউবে মানুষকেভুতেধরার ছবি দেখেছি কয়েকটি
সেগুলি মনে কোন দাগ কাটেনি। তবে বাস্তবে
মানুষকে ভুতে ধরতে দেখেছি। একটি এমন ঘটনার
সাথে আমি নীজেও জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছিলাম ।
ঘটনার বিবরণ অনেক বড় , পরে কোন এক সময়
লিখে জানাতে পারি। এখন কোমড়ে প্রচন্ড ব্যাথা
নিয়ে সামুতে বিচরন করছি ব্যথাটিকে একটু ভুলে
থাকার জন্য ।কারণ সামুতে এমন অনেক লেখাই
আছে যেখানে দির্ঘক্ষন নিমগ্ন হয়ে থাকা যায় ।
শুভেচ্ছা রইল
১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১
ওমেরা বলেছেন: কিছুটা পড়ে লাইক দিয়েছিলাম আগেই আজকে আবার পুরোটা পড়ে শেষ করলাম তবে খুব আফসোস লাগছে এমন একটা লিখায় আরো কয়েকটা লাইক দিতে ইচ্ছা হলেও উপায় নাই ।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
হ্যাঁ আপনার আগের লাইক আমি দেখেছি। পুরাটা পরেছেন শুনে ভাল লাগছে ।
লাইক দেয়ার অরো উপায় আছে যথা
আপনার মন্তব্যের উপরে আমার
অগনিত লাইক++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
শুভেচ্ছা রইল ।
১৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৬
শায়মা বলেছেন: ভূতের সাত দুগুনে চৌদ্দ কথন। ভাইয়া ধোপা ধুপী থেকে শুরু করে বৈজ্ঞানিক ভূত পড়তে পড়তে তো আমিই ভূত হয়ে গেলাম মনে হচ্ছে।
কেমন আছো ভাইয়ামনি?
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভুত হয়ে গেলে চিন্তার কোন কারণ নাই!
আমি শয়নে স্বপনে জাগরনে দিনে রাতে নীশিতে
আকাশ বাতাশ পাতালে মর্তলোকে স্বর্গলোকে
সব খানেই ভুত দেখতে পারি । যদি ভুত হয়েও যাও
অপুমনিকেও একটু না হয় দেখে নিব।আর একটি
কথা, আমি যদি ভুতকে দেখে ফেলি তবে তার
মুক্ষ লাভ হয়ে যায়,তাকে আর ভুত হয়ে থাকতে
হয়না ।
আমার শারিরিক অবস্থা বেশী ভাল যাচ্ছেনা ।
পুরানো বেক পেইনটা আবার বেশ যন্ত্রনা দিচ্ছে।
আমার জন্য আপুমনির কাছে দোয়া কামনা
করছি।
শুভেচ্ছা রইল
১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১২
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক দোয়া ভাইয়া।
ব্যাক পেইনের জন্য ফিজিও থেরাপী বেস্ট!!!
সি আর পি তে যাচ্ছো না কেনো?
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
হ্যাঁ ফিজিউথেরাপি ইজ দি বেষ্ট।
কর্ম সুবাদে অবস্থানের কারণে বেশ কয়েকটি দেশের বড় বড় হাসপাতালে
ও ফিজিউ থেরাপি সেন্টারে বেক পেইনের জন্য থেরাপী নিয়েছি ।
এখনো ফিজিউ থেরাপী নিচ্ছি নিয়মিত ।
সে সাথ আছে উচ্চ মাত্রার পেইন কিলার ভক্ষন, সাথে সাইড ইফেক্ট প্রতিরোধক সহায়ক
মেডিসিন , আছে হট ওযাটার বটল থেরাপী ,ডিপ হিট পেচ , ডাক্তার মেয়ে আর তার মায়ের
কড়া তদারকি, বেক পেইনের বড় জ্বালা । লেখালেখি বলতে গেলে বন্ধ, এর থেকে কড়া
যন্ত্রনা আর কি হতে পারে।
মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে মিস ভেলরি টেইলর প্রতিষ্ঠিত সি আর পি কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভাল করেছ ।
করোনার প্রকোপ একটু কমলে মাস কয়েকের মধ্যে দেশের বাড়ীতে গিয়ে একবার সি আর পিতে যাব ইনসাল্লাহ ।
সি আর পি সত্যিই অন্যরকম অসাধারণ । শুনেছি মানবসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৫ সালে বৃটিশ সরকার মহিয়সি
নারী ভেলরিকে ‘অর্ডার অব দ্য বৃটিশ এম্পায়ার’ পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ মানুষ যেখানে তাদের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্য সেবা
থেকে বঞ্চিত সেখানে সিআরপি’র স্বল্প খরচ ও বিনামূল্যে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন
সেবা দান মানবসেবার একটি উজ্বল দৃষ্টান্ত।
সি আর পির প্রতিষ্ঠাতা মহিয়সী নারী ভেলরি টেইলরের প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী
২০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০
সোহানী বলেছেন: একটা মন্তব্যে অসুস্থতার কথা শুনে এখানে লিখলাম। এখন কেমন আছেন?
এটা কি করোনার সাইড এ্যাফেক্ট? আপনাকে বলা হয়নি, আমার বাবার ও করোনা হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে। আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়েছেন কিন্তু করোনা পরবর্তী অনেক জটিলতায় ভুগছিলেন। বাবার বয়স অনেক, তারপরও সেসব জটিলতা সময়ের সাথে ঠিক হয়েগেছে। এখন অনেক ভালো আছেন।
আমেরিকার যেকোন চিকিৎসার ব্যাপারে আমার আস্থা আছে। আর আপনার ঘরের মানুষই এ পেশার তাই বাড়তি উপদেশ দিয়ে ভারী করতে চাই না।
আমারিকার নির্বাচন নিয়ে বলেন? ভোট কি দিয়েছেন?
আমার ইচ্ছে ছিল সামারে যাবার ভার্জিনিয়া। কিন্তু করোনা সব ঝামেলা বাঁধিয়ে দিলো। অপেক্ষায় আছি এ মহামারী থামার। থামলেই বের হয়ে যাবো ..................
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুবই অসুস্থতার মাঝে দিন যাচ্ছে।
চিকিৎসা চলছে।
দোয়া করবেন আমার জন্য।
শুভেচ্ছা রইল
২১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০১
জাফরুল মবীন বলেছেন: তথ্যবহুল সিরিজ।সময় নিয়ে পড়তে হবে।আপাতত প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।
আপনার সুস্থ ও সুন্দর জীবন কামনা করছি।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন।
খুবই অসুস্থতার মাঝে দিন যাচ্ছে।
চিকিৎসা চলছে।
দোয়া করবেন আমার জন্য।
শুভেচ্ছা রইল
২২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: এক মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেছে, আপনার কোনো নতুন পোষ্ট পাচ্ছি না।
আচ্ছা, ব্লগার ঠাকুর মাহমুদ কোথায় জানেন? অনেকদিন তাকে ব্লগে দেখছি না!!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এসে খুঁজ খবর নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
শরিরটা ভাল যাচ্ছেনা বলে লেখা আগাচ্ছেনা ।
জানেনইতো আমার পোষ্টের সাইজ অনেক বড় হয় ।
তবে দিন কয়েকের মধ্যেএকটি পোষ্ট দেয়ার আশা রাখি।
ঠাকুরমাহমুদের পোষ্টে গিয়ে জানতে চেয়েছিলাম দিন কয়েক আগে।
উনার কোন রেসপন্স পাচ্ছিনা । সম্ভবত কোন কাজে খুবই ব্যস্ত আছেন ।
শুভেচ্ছা রইল
২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। কি হয়েছে আপনার?
নতুন কোন বিষয় নিয়ে লিখেবেন এবার?
তবে দূর্নীতিবাজদের নিয়ে অবশ্যই কিছু লিখবেন সময় করে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আবার এসে খুঁজ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
প্রচন্ড বেক পেইন সাথে হাইব্লাড প্রেসার ।
থেরাপী প্লাস ঔষধ সেবন চলছে ।
দোয়া করবেন ।
একটি লোক সাহিত্য কর্মের পর্যালোচনার কাজ করছি।
কয়েকদিনের মধ্যে পোষ্ট করার আশা আছে ।
সাথে ঘরের ভিতর শীতকালীন শবজির চাষ করছি ।
ঘরের ভিতর জানালার কাছে টবে লাগানো পুই শাক
লকলকিয়ে বাড়ছে ।
শুভেচ্ছা রইল
২৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এক সময় আমাদের গ্রামের বাড়িতে পুথিপাঠ হতো - রূপবান, বেল কুমার, বেহুলা লক্ষিন্দর। ময়মনসিংহ হতে গাতক আসতো পুথিপাঠের জন্য। শুরুটা হতো এভাবে “হায় হায় হায় হায় শোনেন দশজনা, বেহুলার কথা আমি এখন করিবো বর্ণনা” সাথে একটি দোতরা থাকতো আর দুইজন সহপাঠি। মধ্যরাত পর্যন্ত চলতো সেই পুথিপাঠ। সেসব এখন শুধুই স্মৃতি। সেই গুণীজন গাতকও নেই আর সাথে সেই পুথিপাঠও নেই।
ভুত ও অশরীরী নিয়ে আমার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আছে।
বাড়িতে পোড়ামাটির চাড়/ মাটির হাড়ি পাতিলের ভগ্নাংশ পাওয়ার কারণ হতে পারে এলাকায় আগে কুমারবাড়ি/কুমারপাড়া ছিলো (সম্ভবত) আমাদের তিতাস নদীর তীরে এক সময় কুমার গ্রাম ছিলো - এখনো সেখানে মাটি খুড়লেই তাদের হাড়ি পাতিলের ভগ্নাংশ উঠে আসে। ৭১এর মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা কুমারবাড়িতে আশ্রয়ে ছিলাম।
আমাদের পুরান বাড়ি অনেক পুরাতন বাড়ি। পূর্বপুরুষরা বাড়ি বন্ধ করার জন্য মাটির নিচে পাথর, পিতলের কলস পুতে রেখে গেছেন। আশা করি এক সময় লিখবো সেসব গল্প।
আপনাদের বাড়িতে মাটির নিচে যে পাথরের কথা উল্লেখ করেছেন আমার ধারণা পাথরটি মূল্যবান ছিলো। ভাইসাহেব আপনার জন্য দোয়া রইলো, আমার জন্যও দোয়া করবেন। ফি আমানিল্লাহ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খ্যিত প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই ।
দিন কয়েক আগে আমার ইমিডিয়েট ছোট বোন হার্ট এটাকে ইন্তেকাল করেছে।
সে মানুষ গড়ার কারিগর একজন নিবেদিত প্রাণ স্কূল টিচার ছিল ।
তার মৃত্যুতে মনটা ভাল নেই বলে দিন কয়েক ব্লগে আসা হয়নি ।
পরে এসে আপনার মুল্যবান মন্তব্যের উত্তর দিব ।
শুভেচ্ছা রইল
২৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
I’m so sorry to hear your sister’s news.
এতো অল্প বয়সে এভাবে চলে গেলেন ! পরিবারের কাউকে হারানো, তাও আবার আদরের ছোট বোন, এর চাই্তে কষ্ট আর কি হতে পারে । আই ফীল ফর ইউ আলী ভাই । জানি শোক কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে । আমি আমার সিব্লিং হারানোর পর নিয়ারলি এক বছর লেগেছে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে । আই উইশ আলী ভাই এবং পরিবারে সবাই যেনো এই সময়টা স্ট্রংলি হ্যান্ডেল করতে পারেন । জেনেছি আপনার নিজের শরীরও ভালো নেই । টেইক গুড কেয়ার । হোপ ইউ উইল গেট ওয়েল সুন ।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খিত।
আপনি ঠিকই বলেছেন এমনতর শোক
কাটিয়ে উঠা অনেক সময়ের ব্যপার ।
সমবেদনা জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আপনারসহ অনেকের মুল্যবান অনেক লেখাই
পাঠ করা হয়ে উঠছেনা বেশ কয়েকদিন ধরে।
আপনার প্রতি শুভেচ্ছা রইল
২৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আলী ভাই,
আপনজনদের পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া হৃদয়বিদারক ঘটনা। কোন কথা বা সান্ত্বনা বিকল্প হতে পারে না। আদরের প্রিয় ছোট বোনের পরকালে চলে যাওয়ার শোক কাটিয়ে ওঠা খুবই কঠিন। সামনে থাকলে যে কথা বলতাম,আজ ব্লগেই সেকথা বলছি। ভেঙে পড়বেন না। এমনিতেই আগে থেকেই জানতাম আপনার নিজের শরীরের অবস্থাও ততটা ভালো নয়। এমতাবস্থায় মনের উপর অত্যধিক চাপ নিজের শরীর খারাপ হতে পারে। নিয়মিত প্রার্থনা করুন। দ্রুতই স্বাভাবিক জীবনে ফিরুন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা সহ আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খিত।
আপনি ঠিকই বলেছেন প্রিয় ছোট বোনের
বিয়োগ ব্যদনা সয্য করা খুবই কঠীন একটি বিষয় ।
আপনার শান্তনার বানী আমার মনকে অনেকটা ।
প্রফুল্লতা দিয়েছে ।
হ্যাঁ আমার শরীরটাও বেশ কয়েক দিন ধরে খারাপ যাচ্ছে ।
আপনার প্রতি রইল শুভেচ্ছা ।
২৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ ধরণের গবেষণাধর্মী পোস্টগুলো এ ব্লগকে অনেক সমৃদ্ধ করে চলেছে। চমৎকার ছবিগুলোও পোস্টের আবেদন অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভূতের ব্যাপারে বিজ্ঞানী ডি পিজ্জাগালী কর্তৃক উদঘাটিত তথ্যটিকে আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়েছে।
আপনার সেই দুষ্ট ফুফাতো বোনটি এখন কোথায় আছেন, কেমন আছেন?
"ভূত বিশ্বাস করিনা ঠিকই, কিন্তু ভয় তো পাইই" - করুণাধারার এ কথাটা আমারও!
আপনার ইমিডিয়েট ছোট বোন এর হার্ট এটাকে ইন্তেকাল করার খবরে মর্মাহত হ'লাম। জ্ঞানের আলো বিতরণকারী মরহুমাকে তার সমস্ত দোষ ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন বেহেস্ত নসীব করুন!
আপনার এ পোস্টটি পড়া শুরু করেছিলাম বহুদিন আগে। কিন্তু এ ধরনের তথ্যসমৃদ্ধ এবং গবেষণাধর্মী পোস্ট পড়তে যে রকম মনযোগ এবং একাগ্রতার প্রয়োজন হয়, একনাগাড়ে ততটা কোয়ালিটি টাইম বের করা বেশ মুস্কিল। অর্ধেকের বেশি অংশ পড়ে প্রথম প্লাসটা আমিই দিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভালভাবে পড়া শেষ করতে এই এত্তদিন লেগে গেল!
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কষ্টকরে এসে পোষ্টটির উপরে মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই ।
ভূতের ব্যাপারে বিজ্ঞানী ডি পিজ্জাগালী কর্তৃক উদঘাটিত তথ্যটিকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
বিজ্ঞানী ডি পিজ্জাগালী কর্তৃক উদঘাটিত তথ্যটিতে আসলেই ভুতের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার একটি ভিত রচিত হয়েছে ।
আমার সেই দুষ্ট ফুফাতো বোনটি তার স্বামী সন্তানাদি নিয়ে ভাল আছে । বোনটি একটি ব্যাংকের জি এম ও তার স্বামী
একটি সরকারী ইউনিভার্সিটি কলেজের অধ্যক্ষ । বোনটি এখনো সময় পেলে ফোনে দুষ্টামিতে মেতে উঠে ।
"ভূত বিশ্বাস করিনা ঠিকই, কিন্তু ভয় তো পাইই" - করুণাধারার এ কথাটা একেবারে সত্য । ভুতে বিশ্বাস
না থাকলেও দৈবাত ঘটে যাওয়া কিছু ভুতুরে কান্ড ঘটতে দেখে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক ।
আমার মনে পড়ে আশির দশকের গোড়ার দিকে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন একটি ভিলেজ স্টাডি
প্রকল্পের আওতায় তথ্য সংগ্রহ পরিদর্শনের কাজে এক সহকর্মীকে নিয়ে রংপুরের বদরগঞ্জে অবস্থান করছিলাম।
স্থানীয় গন্য মান্য অনেকের সাথে কথা বলেছিলাম । বদরগঞ্জের কাছে বিষ্ণুপুর গ্রামে বাড়ী এমন
এক চৌধুরী পরিবারের সাথে বেশ পরিচয় হয়েছিল । কথা হলো পরদিন সকাল বেলা গরুর গাড়ীতে
চেপে উনার এলাকায় যাব , গ্রামের মানুষদের সাথে কথা বলব । পরদিন গেলাম সেখানে ।
অনেকের সাথে কথা হলো । রংপুরের মানুষ অনেক অতিথি পরায়ন । কিছুতেই তাঁরা মধ্যান্ন ভোজ
না করে ফিরতে দিবেন না । কি করা অতিথি সেবা গ্রহন করে গরুর গাড়ীতে করেই বদরগঞ্জ
ডাক বাংলোতে ফিরছিলাম । ফেরার পথে ভাগ্য সুপ্রচ্ছন্ন না থাকায় কিছুটা অসুবিধার মধ্যে
পড়তে হয়েছিল । বদরগঞ্জের কাছাকাছি এসে গরুরগাড়ীর একটি চাকা বিকল হয়ে যায় ।
আর মাইল খানেক পথ গেলেই বদরগঞ্জ , হেটেই যাওয়া যাবে যদিউ সন্ধা ঘনিয়ে আসছিল।
দুই বন্ধুতে একসাথে হাটছি । হঠাত আকাশে কাল মেঘের ঘনঘটা , আকাশে বিজলির ঝলকানী।
সন্ধা নামার সাথে সাথেই চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার । সাথে নেই টর্চ । তবু সামনে এগিয়ে চলছি।
সাথের বন্ধুটি মঝা করার জন্য বলল এই অন্ধকারে এখন যদি আমাদেরকে ভুতে ধরে তাহলে কি হবে?
বলতে না বলতেই সামনে দেখা গেল অদ্ভুত একটি আলো লাফালাফি করে গাছ থেকে নেমে আসছে।
সাথের ভুতের মত দেখায় দানবীয় দুটি মুর্তিমান ছবি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে মর্মে দেখা যায় ।
যদিউ ভুতে বিশ্বাস আমার কম তবু এ দৃশ্য দেখেতো আমরা ভয়ে অস্থির , আমার বন্ধুটি প্রবলভাবে
ভুতে বিশ্বাসী ছিল । সেতো পারলে ভয়ে মুর্ছা যায় । ধীরে ধীরে আলোকময় দৃশ্যটি আমাদের কাছাকাছি
এসে পড়লো । কাছে আসলে ভাল করে তাকিয়ে দেখা গেল এটা একটি মহিষের গাড়ী , গাড়ীর সামনে
একটি হারিকেন জ্বলছে আর তা বাতাসে দুলছে । ঢালু পথে বীজলীর আলোকে অন্ধকারে মহিষ দুটোকে দানবীয়
প্রাণীর মত দেখাচ্ছিল বলে আলোর লাফালাফি আর দানবীয় ছবি দেখে আমরা ভয় পেয়েছিলাম ।
তাই ভুতে বিশ্বাস না করলেও মাঝে মাঝে ভুতুরে কান্ড দেখে ভয় জাগে মনে ।
আমার ছোট বোনের জন্য দোয়া করায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
হ্যাঁ এই পোষ্টে আপনার প্রথম লাইকটি আমি দেখেছি । মন্তব্যের ঘরে আপনার কোন লেখা না দেখে সময়ের অভাবে হয়তবা সম্পুর্ণ পোষ্টটি আপনার মত ব্যস্ত মানুষের পক্ষে পাঠ করা হয়ে উঠেনি বলে ধরে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম পরে সময় করে এসে হয়ত দেখবেন ও আপনার মুল্যবান মতামত জানাবেন । তবে ভালভাবে পড়াশুনা শেষ করতে যে আপনার এতদিন লেগে যাবে
তা ভাবতেও পারিনি । আপনি অবশ্য বলেছেন তথ্যসমৃদ্ধ এবং গবেষণাধর্মী পোস্ট মনযোগ ও একাগ্রতা নিয়ে পড়তে সময়ের প্রয়োজন হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক । শুনে খুবই ভাল লাগল । কিন্তু আমার কোন পোষ্ট কারো ভাল করে পাঠ করতে এতদিন লেগে গেছে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেছি । কারণ একমাত্র কবিতা ছাড়া ( সেটাও অনেক সময় বেশ বড় হয়ে যায় যেমন আম্রপালী, মেঘদুত , মনসামঙ্গল, শকুন্তলা , প্রভৃতি) আমার অন্য সকল পোষ্টই বেশ বড় হয়ে যায়. এমনকি পর্বাকারে দিলেও। একটি পর্বকে আমি স্বয়ংসম্পুর্ণ করতে আগ্রহী হই , আমি চাই বিষয়টি নিয়ে যা বলতে চাই তা যেন কোন আগ্রহী পাঠক এক বৈঠকেই পাঠ করে নিতে পারেন । আমি জানি অনেক সময় একটি পোষ্ট সকল সময় পুরাটা না পড়লেও যেখানে পাঠকের ইস্টারেষ্ট বেশী সেটুকু পাঠ করেই পোষ্টটি সম্পর্কে একটি সার্বিক ধারনা পেয়ে যান। তাঁর অনুভুতিটাও সম্ভবমত প্রকাশ করেন যদি তারঁ হাতে সময় থাকে । পরে সময় হাতে নিয়ে পোষ্টটি বিষদভাবে পাঠ করেন । যাহোক এখন আমার চিন্তায় খানিকটা চির ধরছে বটে । জানিনা এর প্রভাব কি পড়বে আমার পরবর্তী লেখাগুলিতে । এখন থেকে হয়ত এমন ধরনের বড় কোন পোষ্টে অনেক পাঠকের লাইকটুকুও জুটবেনা পোষ্ট প্রকাশের ইমিডিয়েট পরে । যাহোক ভাল একটি বিষয়ে যতার্থ অনুভবের যোগান দেয়ার জন্য ধন্যবাদ । ব্লগটিই সার্অবিকভাবে অবশ্য এই করোনার কালে কেমন যেন অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে । পাঠক সংখ্যা,
মন্তব্য, প্রতি মন্তব্যও আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে সকল লেখকের পোষ্টেই । কামনা করি করোনার প্রকোপ নির্মুল হোক , মানুষের জীবন যাপন স্বাভাবিক আকার ধারণ করুক আর ব্লগে বিচরণ বৃদ্ধি পাক, পারস্পরিক মিথক্রিয়ার সমৃদ্ধি ঘটুক ।
ভাল লাগার শুভকামনা রইল ।
২৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কলিমুদ্দি দফাদার এর মন্তব্যটা খুব ভাল লেগেছে। + +
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কলিমুদ্দি দফাদার এর মুউল্যবান মন্তব্যটি খুবই প্রসঙ্গিক হয়েছে ।
আমার কাছেও খুব ভাল লেগেছে ।
২৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আলী ভাই,
এই মহাকাব্যিক লেখা নিয়ে আমি যা কিছুই বলতে চাই না কেন সেটা অলরেডি বলা হয়ে গিয়েছে । সবাই সবই বলে ফেলেছে ।হাইড্রোন কোলাইডারের খুঁজে পাওয়া ঈশ্বরকণা খুঁজে পাওয়া আর ভুত অনস্তিত্বের বিষয়ক জায়গাটা আজকে আবার পড়তে পড়তে মনে হলো এই লেখাটাতো যখন পোস্ট করেছিলেন সেই সময়েই মনে হয় কা _ভা সাহেবের ভুত প্রতিযোগিতা চলছিল ব্লগে । এই লেখাটা প্রথম যখন পড়েছিলাম তখনও আমার প্রথমেই মনে হয়েছিল মডারেটর না আবার আপনার লেখার ভূত বিষয়ক বৈজ্ঞানিক আলোচনায় আপত্তি করে পোস্টেই গায়েব করে দেয় ! সেই অনাপত্তিতে আর পোস্ট গায়েব না হওয়ায় খুবই খুশি হয়েছি বলাই বাহুল্য । যাক, রায়া ধোপার কাহিনীটা কষ্টের ।কিন্তু সেটা পড়তে পড়তে খুব ছোট বেলায় আমাদের বাসায়ও ধোপা আসতো সপ্তাহে মনে হয় একদিন কাপড় নিতে সেটা মনে হলো। ছোট খাটো গড়নের ধোপার মুখটাও যেন মনে হলো অনেক দিন পরে। আপনার ছোট বেলার অনেক ঘটনার সাথে আমার ছোটোবেলারও অনেক মিল আছে -- ঠিক কাকার কাছে নয় কিন্তু বড়দের কাছে গল্প শুনে শুনেই আমার ছোট বেলার অনেক খুশির দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়েছে ।আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমারও ছোটবেলায় একটা স্মৃতিভ্রমণ হয়ে গেলো । চমৎকার লেখায় অনেক ভালো লাগা । একটা কথা, আপনাকে যোগাযোগ করার কোনো মেইল এড্ড্রেস দিলে খুব খুশি হবো ।
০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তরের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি ।
মন্তব্যের কোন নোটিশ না পাওয়ায় মন্তব্যটি
দেখা হয়ে উঠেনি । হ্যাঁ পোষ্টটি গায়েব
হ ওয়ার সম্ভাবনা ছিল , হলে ভুতুরে কান্ডই
হতো একটা । এতে করে ভুত বলে কিছু
একটা আছে কিনা সে বিষয়টাতে সন্দেহ
আরো দানা বাধছে বটে । যাহোক আমার
এই লেখাটি পড়তে পড়তে আপনারো
ছোটবেলার একটা স্মৃতিভ্রমণ হয়ে গেলো
শুনে ভাল লাগল । মেইল এডরেস
[email protected].
শুভেচ্ছা রইল
৩০| ০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:১১
কল্পদ্রুম বলেছেন: এই পর্বটি আগে পড়িনি। এবারের পর্বটি হালকা মেজাজের এবং বেশ মজার। আপনার কাকা মহুয়ার পালার চিন্তায় যেভাবে বিভোর হয়েছিলেন। তারপর আপনাকে দেখে যেভাবে ভয়ে মূর্ছা গেলেন। সবমিলিয়ে মনে হচ্ছে তিনি সহজসরল মজার মানুষ ছিলেন।
শাকচুন্নী, ব্রহ্মদৈত্য, নিশীর ভূত, মেছো ভূত অনেক রকম ভূতের কথা পড়লাম। সবাই একেবারে দেশী ভূত। "ভুলভুলাইয়া" অথবা "ভোলা" নামের আর একটা ভূত বোধহয় গ্রামে থাকে। মানুষকে ভুল পথ দেখায়।
গ্রামে ভূতের সাথে জ্বিনদেরও বেশ দেখা পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামের বাড়িতে জ্বিন নিয়ে বেশ কিছু ঘটনা চালু আছে।
আপনার দাদি বলেছিলেন ভূত কখনো স্বপ্নে আসে না। এই ব্যাপারটা আমার বেশ অভিনব লেগেছে। আসলেই দেশি ভূতের গল্প বেশিরভাগই চাক্ষুস দেখা ভূতের গল্প। বিদেশী ভূতেরা অবশ্য স্বপ্নেও বেশ ঝামেলা করে। যেমন এই ভূতটি।
নাম ফ্রেডি কুগার। যদিও মোটামুটি আধুনিক কালের ভূত। আপনার পোস্টে এত মজার মজার ছবি দেখে আমিও একটা ছবি দিলাম আরকি।
গড হেলমেটের পেছনের থিওরি সম্পর্কে কিছু ধারণা থাকলেও গড হেলমেটের ব্যাপারে আজকে জানলাম। অনেক দেশে বন্দীদের উপর নানা উপায়ে শারীরিক অত্যাচারের পাশাপাশি মানসিক অত্যাচার করা হয়। এই যন্ত্রটি দেখে মনে হলো এটার অপব্যবহার করার বেশ সুযোগ আছে। ইউটিউবে ডঃ পার্সিঙ্গারের একটি বক্তব্য দেখলাম, উনি বলছেন এই যন্ত্রটি ক্রিয়েটিভ মানুষদের কল্পনাকেও প্রভাবিত করে খারাপ অভিজ্ঞতা তৈরি করে। যারা এই হেলমেটটি ব্যবহার করেছে তারাই মানসিক স্ট্রেসের ভিতর দিয়ে গেছে।
মানুষের চোখ যে 'ঘোস্ট ইমেজ' দেখতে পারে এই ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারিনি। হয়তো আবার দেখতে হবে।
ওঝা নিয়ে আমার একটি অভিজ্ঞতা আছে। মন্তব্য এমনিতেই বড় হয়ে যাচ্ছে বলে লিখছি না। কোদাল চিকিৎসা পড়েও বেশ মজা লাগলো। যদিও বিষয়টা কিছুটা নিষ্ঠুর।
আমাদের মাটির নীচে স্বর্ণালি জনপদের নিদর্শন লুকিয়ে আছে এদের ব্যাপারে সরকারের আরো আন্তরিক হওয়া উচিত। অন্তত সরকার নিজে না পারুক, যারা নিজের উৎসাহে এইসব বিষয়ে ফিল্ডে গিয়ে কাজ করতে চান তাদের টাকা পয়সা ও প্রশাসনিক সাহায্য করলেও করতে পারে।
০৯ ই জুন, ২০২১ ভোর ৪:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খিত ।
"ভুলভুলাইয়া" অথবা "ভোলা" নামের আর
একটা ভূত বোধহয় গ্রামে থাকে।
মানুষকে ভুল পথ দেখায়। একদম
খাটি কথা বলেছেন । আমার মনে
হয় এই ভুভুলাইয়া ভুত সত্যিই আছে।
এরা এখন বেশী আছর করে দেশের
নেতা নেত্রীদেরকে। ভুলবুঝাইয়া এমনই
পথ ভুলাইয়া দেয় যে দেশবাসিসহ নীজে
গিয়ে দুমরে মুচরে পড়ে গর্তে। সেখান হতে
উঠে আসা বেশ কষ্টকর হয়ে পরে ।
নীজেও ভোগে, দেশবাসিকেও ভোগায়!!
ফ্রেডি ক্রগার অভিনিত সারাজাগানিয়া
A Nightmare on Elm Street film series টিতে
অনেক ভৌতিক কাহিনীর সমাহার রয়েছে ।
তাকে এখানে সংযোজন করে ভুত বিষযক
এ পোষ্টটিকে সমৃদ্ধ করেছেন ।
যতার্থই বলেছেন আমাদের মাটির নীচে স্বর্ণালি জনপদের
লুকিয়ে থাকা নিদর্শনগুলি খুঁজে বের করার জন্য
সরকারী উদ্যোগ খুব বেশি প্রয়োজন ।
পুরানো একটি পোষ্ট এসে দেখার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
৩১| ০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:২৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: কিছু প্রতিমন্তব্যে জানলাম আপনার শরীর বেশ খারাপ। এখন কেমন আছেন?
০৯ ই জুন, ২০২১ ভোর ৪:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এখন আল্লার রহমতে অনেকটা সুস্থ আছি ।
এসে কুসল জানার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৯
করুণাধারা বলেছেন: রায়া ধোপার মৃত্যু থেকে শুরু করে মহুয়া সুন্দরীর গল্প, গান, ভূতেদের নাচ, কোদাল থেরাপি আর সবশেষে সার্ন আর LHC এর সাথে পরিচয়- ক্রমান্বয়ে এমনভাবে বলে গেছেন যে একটানে পড়ে উঠলাম। কিশোর মনে অজানার প্রতি অনুসন্ধিৎসা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ফুফুর দুষ্টু মেয়েটাকে যদি শ্মশানে যাবার কথা না বলতেন তাহলে আপনাকে খুঁজতে কেউ শ্মশানে যেত না; কে জানে হয়তোবা আপনার ভূত দর্শন হয়ে যেত, আর আমরাও সাথে সাথে ভূতের বর্ণনা পেয়ে যেতাম!!
ভূতেদের এত শ্রেণী বিভাগ আছে সেটাও জানা হলো আপনার এই লেখার কল্যানে। অবশ্য সবশেষে আপনি সার্নের পরীক্ষার উল্লেখ করে বলেছেন, ভূতের অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি। বাঁচা গেল! ভূত বিশ্বাস করিনা ঠিকই, কিন্তু ভয় তো পাইই।
যেভাবে প্রতিটা বর্ণনার সাথে সংশ্লিষ্ট ছবি দিয়েছেন, তাতে বর্ণনাগুলো বুঝতে সুবিধা হয়েছে। একমাত্র ভূষন্ডির মাঠের ছবিটা পরিচিত, বাকি ভূত পেত্নী সুন্দরী পরি আর, ডানাওয়ালা ঘোড়া- চমৎকার সব ছবি। কোদাল থেরাপির বর্ণনা আর ছবি দুটোই আগ্রহোদ্দীপক, পড়তে পড়তে ভাবছিলাম ওঝার জারিজুরি ফাঁস হয় বুঝি। কিন্তু বাঁকা মুখ সোজা হল কীভাবে? মনে হয় জ্বলন্ত কোদালের ভয়ে!!
মাটির নিচে থেকে পাওয়া শিল পাটাটা এখন কোথায় আছে কে জানে!! কিন্তু আপনার বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে, আপনাদের এলাকায় প্রাচীন কালে এক সমৃদ্ধ জনপদ ছিল। এখনও কি মাটি খুঁড়লে চারা উঠে আসে?
খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টের জন্য।