নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুপ থাকা কিংবা না থাকার কল্যান আর অকল্যান

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৯


[অসুস্থতা হেতু দীর্ঘদিন নিরব থাকায় সামুতে ফিরলাম অনুভুতিতে আসা নিরবতা নিয়েই কিছু কথামালায় ]

চুপ থাকার মাঝে লুকায়িত আছে প্রশান্তির সুর,
আল্লাহ প্রদত্ত বাকশক্তি, এক মহা মুল্যবান নূর।
সব কথা হচ্ছিল লেখা , মনেরই সুপ্ত খাতায়,
প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম কিছু না বলা কথার ছায়ায়।

ভেবেছিলাম নীরবতা হতে পারে এক প্রাচির ,
ঠোঁটে হাসি ছিল কম, ছিলনা কথার ভিড়
তবে অন্তরে বিধছিল কথা প্রকাশের তীর
দেশের চলমান ঘটনা করে তুলল অস্থির।

জানি, যে আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে,
কথা বলুক কল্যাণে; নতুবা থাকুক নিরবে।
সেরা মুসলিম বা মুমিন বান্দা কেবল সেই,
যার জিহবা থেকে নিরাপদ থাকে সকলেই।

শ্রেষ্ঠ আমল সময়ের উপসনা নামাজ,
সাথে গড়ে তুলা সততার সভ্য সমাজ
আর জিহ্বার নিয়ন্ত্রণেই শ্রেষ্ঠতার তাজ।

আল্লার তরফে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি তাদেরি জন্য,
যারা নিয়ন্ত্রণে রাখে নিজের জিভ আর গুপ্ত অঙ্গ।
রাসুলের (সা.) বাণী, অকারণ বাক বিতন্ডা থেকে
যে চুপ থাকে সে পায় মুক্তি দোযকের আগুন থেকে।

ক্ষুদ্রতম কিছু কথাও যদি অবহেলায় হয় বলা,
তা হতে পারে তাদের তরে পতনের ভেলা ।
সুসংবাদ তাদের , যারা নিজেকে রাখে গোপনে
গৃহে থাকে শান্তিতে, আর কাঁদে পাপের স্মরণে।

মানবের পাপের অধিকাংশই ঘটে জিহ্বা দূষণে,
শব্দের আঘাতে হৃদয় ভাঙে মায়া মুছে কারণে।
সেই ব্যক্তির জান্নাতে প্রবেশ কঠিনই রয়,
সমাজ যার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ নয় ।

আল্লার প্রিয় তারাই, যারা জমিনে চলে নম্রতায়,
আর অজ্ঞ জনের সাথেও শান্ত ভাবে কথা কয় ।
কোন আমল নিয়ে যায় জান্নাতের পথে ?
উত্তরে রাসুল(সা.) বলেন, আল্লাহ ভীতি আর
শক্ত ঈমান ও ইহসানের সাথে পথ চলে।

যে জন আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা বলে,
জানেনা কতদূর তার সুফল ফলে,
তেমনই অসন্তুষ্টির কথা যারা বলে
তারা জাহান্নামে যেতে পারে চলে।
প্রার্থনা
আল্লাহ আমাদেরকে রাখুন করুণায় ভরা,
তাঁর নির্দেশিত পথেই যেন থাকি সারা!

আমীন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অকারণে কথা বলা অকল্যাণ। প্রয়োজনে কথা বলতেই হবে।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

যতার্থই বলেছেন ।
শুভেচ্ছা রইল

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯

আমি সাজিদ বলেছেন: সুস্থতা কামনা করি।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

আপনার জন্যও দোয়া রইল ।

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর। অনেক দিন পর আসলেন। আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দিন।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সুন্দর হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
দোয়া করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা রইল

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

নতুন বলেছেন: আপনার সুস্বাস্থ কামনা করছি।

বর্তমানে কেমন আছেন?

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এখন অনেকটা সুস্থতা বোধ করছি ।
আমাকে দোয়া করার জন্য ধন্যবাদ ।
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
আল্লাহ আমাদের ব্লগারদের পারস্পরিক
সম্পর্ককে আরও মজবুত ও মধুর করুন।

৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

আরাফআহনাফ বলেছেন: স্বাগতম !
সুস্থতা আল্লাহর বড় নেয়ামত।
আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দিন।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ঠিক্সই বলেছেন সুস্থতা আল্লাহর বড় নিয়ামত।

সুস্থতা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত একটি অমূল্য উপহার। একজন মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে যত কাজকর্ম বা
আনন্দ-উল্লাস করে, তার মূল ভিত্তি হলো শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। একজন ব্যক্তি শারীরিকভাবে অসুস্থ
হলে জীবনযাপনের সমস্ত আনন্দ হারিয়ে যায়, কারণ শারীরিক কষ্ট মানুষের মানসিক সুখকেও নষ্ট করে ফেলে।

আল্লাহ তায়ালা মানুষের জীবনে সুস্থতাকে একটি বিশেষ নিয়ামত হিসেবে দান করেছেন, যা দিয়ে তিনি তার
বান্দাকে পরীক্ষাও করেন। অসুস্থতার সময় আমরা বুঝতে পারি সুস্থতার প্রকৃত মূল্য। যেমন কেউ শারীরিকভাবে
দুর্বল হয়ে গেলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা কতটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তখন সুস্থ অবস্থার দিনগুলোর কথা মনে
পড়ে, আর আমরা অনুধাবন করি যে, সুস্থতা আসলে কত বড় আশীর্বাদ।

সুস্থতা ছাড়া পৃথিবীর সব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যও মূল্যহীন হয়ে পড়ে। তাই আমাদের উচিত সুস্থ থাকাকালীন আল্লাহর
শুকরিয়া আদায় করা এবং সেইসঙ্গে আমাদের শরীর ও মনকে ভালো রাখতে সচেষ্ট থাকা।

আমাকে দোয়া করার জন্য ধন্যবাদ ।আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
আল্লাহ আমাদের ব্লগারদের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত ও মধুর করুন।

৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দ্রুত পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠুন। নিজের প্রতি যত্ন নিন।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনার শুভকামনার জন্য। আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি
এবং নিজের প্রতি যত্ন নিচ্ছি। আপনার আন্তরিক শুভেচ্ছা পেয়ে খুব ভালো লাগল।
আপনাকেও সুস্থ ও ভালো থাকার কামনা জানাই।

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনার অসুস্থতা কি ধর্মের দিকে ধাবিত করছে?

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অসুস্থতা আমাকে ধর্মের দিকে ধাবিত করছে বলেই মনে হচ্ছে । এ প্রসঙ্গে বলা যায়
অসুস্থতা মানুষের জীবনে এমন এক অভিজ্ঞতা, যা তাকে জীবনের সত্য, অমরত্ব ও মৃত্যুর উপলব্ধিতে গভীরভাবে
চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে। অসুস্থ অবস্থায় শারীরিক দুর্বলতার কারণে মানুষ তার শক্তির প্রতি যে আস্থা ছিল, তা কমে
যায়। সে বুঝতে পারে, পৃথিবীর সুখ-দুঃখ, আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য, খ্যাতি বা বাহ্যিক প্রতিপত্তি, কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এ
ধরনের উপলব্ধি তাকে আধ্যাত্মিকতার দিকে ধাবিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ধর্ম একটি মানসিক আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে, যা কঠিন সময়ে মানুষকে শক্তি যোগায়। অসুস্থতার মধ্যে থাকা
অবস্থায় মানুষ নানা ভয়, আশঙ্কা এবং অবসাদের মুখোমুখি হয়, যা তাকে মানসিকভাবে ক্লান্ত করে তোলে। এই
সময়ে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, প্রার্থনা বা স্রষ্টার প্রতি ভরসা তাকে মানসিক শান্তি দিতে পারে। ধর্ম মানুষকে বিশ্বাস
করতে শেখায় যে, যে কোনো কষ্ট স্রষ্টার পরীক্ষা বা দয়া থেকে উদ্ভূত, যা তাকে আত্মশুদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।

বিভিন্ন ধর্মেই অসুস্থতার প্রেক্ষিতে বিশেষ প্রার্থনা, উপবাস বা ধার্মিক কার্যকলাপকে উৎসাহিত করা হয়। যেমন,
ইসলাম ধর্মে রোগ বা কষ্টকে গুনাহ মাফের একটি মাধ্যম হিসেবে দেখানো হয়েছে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয়,
অসুস্থতা শারীরিক পাপের ফলাফল এবং পুনর্জন্ম বা কর্মফল অনুযায়ী মানব জীবনে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি
হতে হয়। খ্রিস্টধর্মে অসুস্থতার সময় প্রার্থনার মাধ্যমে ভগবানের করুণা প্রার্থনা করা হয়। এসব ধর্মীয় বিশ্বাস
মানুষের মনকে স্থির রাখতে এবং জীবনের অর্থ বুঝতে সাহায্য করে।

তবে অসুস্থতার ফলে ধর্মের প্রতি এই টান শুধুমাত্র মানসিক তৃপ্তি বা সান্ত্বনার জন্যই নয়, বরং এটি মানুষের মধ্যে
অনন্ত জীবনের প্রতি এক প্রবল আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত করে। অনেকেই এই সময়ে ধর্মীয় বই বা গ্রন্থ পাঠের দিকে
মনোযোগী হয়, যা তাকে জীবনের গভীরতর অর্থ উপলব্ধিতে সাহায্য করে। ফলে ধর্মের প্রতি এই আকর্ষণ
শুধুমাত্র একান্ত মুহূর্তের সহায়ক নয়, বরং এটি আত্মোপলব্ধির এক গভীর মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

এইভাবে দেখা যায়, অসুস্থতা মানুষকে জীবনের নশ্বরতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং তাকে চিরন্তনতার
দিকে ধাবিত করে, যার মাধ্যমে ধর্মের প্রতি তার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।এই বৃদ্ধ বয়সকালে আমিই বা এর বাইরে
কি করে থাকি , ধর্মের দিকে ধাবিত না হয়ে কি পারা যায় !

শুভেচ্ছা রইল

৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫০

অগ্নিবেশ বলেছেন: সব কিছু জেনে বুঝেও চুপ থাকতে হবে,
মুখ খুললেই যদি ভন্ডামি প্রকাশ পেয়ে যায়,
তাই আল্লাহর ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে,
উহু না না, কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।
মুমিন হল নাকে দড়ি বাঁধা উটের মত,
হাদিসে কয়।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এখানে একটি গভীর সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ রয়েছে। ইসলামে সত্য বলার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
করার গুরুত্ব অনেক। অন্যায় দেখে চুপ থাকা বা প্রশ্ন না করা কোনোভাবেই একটি আদর্শ আচরণ হিসেবে
বিবেচিত নয়। হাদিসে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যুক্তির প্রয়োগ এবং ন্যায় বিচারের উপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
একজন মুসলমানের উচিত আল্লাহর পথে থাকা, যা শুধু ভয় দেখানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং নিজেকে
সঠিক পথে পরিচালিত করা।

ইসলামে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে অন্ধভাবে অনুসরণ নয়, বরং জ্ঞান, যুক্তি ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং অন্যায়ের
প্রতিবাদ করাও সমানভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.