নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণমুখী একটি চাওয়া

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২০


মানুষের মুখে হাসি ফুটুক,
আঁধার মুছে আলোর ছোঁয়া,
ক্লান্তিহীন পথ চলুক,
নতুন স্বপ্ন আনবে জোড়া।

দিনবদলের শপথ নিয়ে,
কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করে যাই,
নদীর স্রোতে ভেসে ভেসে
একটি স্রোতে মিলিয়ে যাই।

সবার তরে সমান বিচার,
ধনীর দুঃখীর, ছোটো বড়,
পথে পথে শোভা জাগুক
এক সমতার আলোড়ন।

শোষণ মুক্ত সোনার সকাল
জেগে উঠবে এই বাংলায়,
স্বপ্নটাকে ছুঁয়ে যাবো
আমরা সবাই একসাথায়।

মানুষ যদি মানুষে মেলে,
দুর্বল জুটে শক্তি পায়,
বাংলা হবে স্বপ্নখানা—
সবার তরে আলোর ধায়!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এমনই একটা দেশ আমরা সবাই চাই। হাজারো মেধাবী তরুনের রক্ত, চোখ, হাত, পা হারানো যেন কোন অবস্থাতেই বৃথা না যায়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




হাজারো মানুষ তাদের জীবন উৎকর্ষ করেছেন একটি মুক্ত, সুন্দর এবং সঠিক সমাজ ও দেশ গড়ার উদ্দেশ্যে।
তাদের এই আত্মত্যাগের পিছনে ছিল অসীম সাহস, অপরিসীম ত্যাগ ও অগাধ দেশপ্রেম। আমরা যদি তাদের
আত্মত্যাগকে যথার্থভাবে সম্মান না করি এবং তাদের আদর্শকে বাস্তবায়িত না করি, তবে তা শুধুমাত্র তাদের
জীবনকে নয়, বরং আমাদের জাতির অগ্রগতিকেও বাধাগ্রস্ত করবে।

যে সব মানুষ মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন, তারা বিশ্বাস করতেন যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম
একটি উন্নত সমাজে বাস করবে। তাদের আত্মত্যাগের মানে ছিল একটি বৈষম্যহীন, নির্যাতনমুক্ত এবং সম্ভাবনাময়
সমাজের ভিত্তি স্থাপন করা। তাই আমাদের দায়িত্ব হলো সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া এবং তাঁদের আত্মত্যাগ বৃথা
না যেতে দেওয়া।

তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের জাতীয় পরিচয়কে নতুন মাত্রা দিয়েছে । প্রত্যেকটি সংগ্রাম, প্রত্যেকটি প্রতিবাদ,
প্রত্যেকটি আত্মবলিদান আমাদের আজকের বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথ দেখাচ্ছে। তাদের আত্ত্যামগকে শ্রদ্ধা
জানিয়ে আমরা আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে আরও শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করে তুলতে পারি।

এজন্য প্রয়োজন সঠিক শিক্ষাব্যবস্থা, দায়িত্বশীল নেতৃত্ব এবং জনসচেতনতা। আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালনে
উদাসীন হই এবং দুর্নীতি, সামাজিক বৈষম্য বা অবিচারকে প্রশ্রয় দিই, তবে তা শুধুমাত্র আমাদের প্রজন্মকে নয়,
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই প্রয়োজন সমাজের প্রত্যেক সদস্যের সম্মিলিত প্রয়াস।

সংক্ষেপে, হাজারো মানুষের আত্মত্যাগ আমাদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁদের আদর্শ ও সংগ্রামকে
সম্মান জানিয়ে একটি সুন্দর, নিরপেক্ষ ও উন্নত সমাজ গড়ে তোলাই হবে তাঁদের প্রতি আমাদের প্রকৃত শ্রদ্ধার্ঘ্য।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দারুন লিখেছেন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ! বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের জটিলতা ও পরিবর্তনশীলতায়
সকলের করনীয় জানার চেষ্টা করেছি মাত্র। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনাদের মত পাঠকের চিন্তা-ভাবনা ও
প্রতিক্রিয়া আমার লেখানির মান ও পরিপূর্ণতা বৃদ্ধি করে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের আলোচনার মাধ্যমে
আপনার মতামত শুনতে উদগ্রীব থাকবো।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর একটি বাংলাদেশের আশায় আছি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার মুল্যবান আশার জন্য ধন্যবাদ ।
বাংলাদেশকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে গড়ে তোলার আশা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের মনে আছে।
এটি শুধুমাত্র একটি আকাঙ্ক্ষা নয়, বরং আমাদের দেশপ্রেমের একটি অভিব্যক্তি। বাংলাদেশের সম্ভাবনাগুলো
যেমন অপার, তেমনি এর চ্যালেঞ্জও কম নয়। তবে একসঙ্গে কাজ করে এগুলোর মোকাবিলা করলে আমরা
একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারি।

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। পোশাক শিল্প, কৃষি, প্রবাসী আয়ের মতো
সেক্টরগুলো আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করলেও এখনো চ্যলেঞ্জের মুখে আছে। তবে আমাদের কৃষির
আধুনিকীকরণ, আরও শিল্পায়ন, এবং আইটি খাতে বৈশ্বিক প্রবেশের প্রয়োজন, যা দেশের যুবকদের জন্য
কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং দেশের আয়ের পথ বাড়াবে।

একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য বিবিধভাবে বৈষম্যে নিপতিত শিক্ষার উন্নয়ন অপরিহার্য। শিক্ষা শুধু জানার ক্ষেত্রেই
নয়, দক্ষতা গঠনের মাধ্যমে একটি সচেতন, সৃজনশীল ও উদ্যোগী সমাজ গড়ে তুলতে পারে। পাঠক্রমে পরিবর্তন,
আধুনিক শিক্ষাদানের পদ্ধতি এবং কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োগ বাড়ানো উচিত।এ ক্ষেত্রে আমাদের স্কুল-কলেজগুলোকে
আরও আধুনিকীকরণ এবং শিক্ষকদেরকে রাজনীতি বিমুক্ত করে শুধু শিক্ষা ও গবেষনা কাজে নিবেদিত একটি
বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে ।

সবার জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণ
এবং সবুজায়ন নিশ্চিত করে আমরা একটি পরিষ্কার, বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।

বাংলাদেশে নারীর অবদান ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এবং তারা আজ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য
ভূমিকা রাখছে। কিন্তু নারীদের আরও ক্ষমতায়ন, সুরক্ষা, এবং সমান সুযোগের প্রয়োজন যাতে তারা দেশের উন্নয়নে
সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সমান সুযোগ
সৃষ্টি করতে হবে।

উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে আমাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের যুব
সমাজের উদ্ভাবনী শক্তি ও আইটি দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও এগিয়ে
নিয়ে যেতে হবে। স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, ফ্রিল্যান্সিং, এবং ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে দেশের কর্মসংস্থানের সুযোগ
বৃদ্ধি করা সম্ভব।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে একটি শক্তিশালী সামাজিক সংহতি বিরাজমান। আমাদের ঐক্য
বজায় রেখে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। তাছাড়া সবার মধ্যে মানবিকতা,
সুনীতি ও দায়িত্বশীলতা গড়ে তুলতে হবে যাতে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় থাকে।

মোটকথা, একটি সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে হলে আমাদের অবশ্যই আমাদের দায়িত্বগুলো আন্তরিকতার সাথে
পালন করতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক ঐক্যের মাধ্যমে আমরা যদি
আমাদের লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাই, তবে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। আমাদের নতুন প্রজন্ম
যদি সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহায়তা পায়, তবে তাদের হাত ধরেই আমরা এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত দেখতে পাবো।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:





আলী ভাই কেমন আছে?
অনেকদিন পর ব্লগে আলী ভাইয়ের লেখা পড়লাম।

অল্প কথায় ছোট একটা লেখা কিন্তু বক্তব্য স্পষ্ট।
দিনশেষে এটাই চাওয়া, সবাই মিলেমিশে একসাথে ভালো থাকুক, আনন্দে থাকুক।

পোষ্টের ছবিটা রিলিজিয়াস পেইন্টিং?
এখানে ঠিক কি বোঝাচ্ছে।
দেখে মনে হচ্ছে প্রলয় নৃত্য।

ভালো থাকবে আলী ভাই।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার মন্তব্যে আন্তরিক ভালোবাসা অনুভব করা যায়। অনেক ধন্যবাদ, এত সুন্দরভাবে অনুভূতিগুলো শেয়ার
করার জন্য। আমি ভালো আছি, আপনার কথাগুলো মন ছুঁয়ে গেল।

লেখার বিষয়ে আপনার মতামত জেনে খুব ভালো লাগল। দিনের শেষে সবাই মিলে আনন্দে থাকার চাওয়াটাই
সত্যিই আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

ছবির ব্যাপারে বলি—হ্যাঁ, এটি একটি রিলিজিয়াস পেইন্টিং এবং প্রলয় নৃত্যের আভাসও আছে এতে, যা একদিকে
সমাপ্তির প্রতীক হলেও অন্যদিকে নতুন সূচনারও ইঙ্গিত দেয়।

আপনিও ভালো থাকবেন, এই প্রার্থনা রইল। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৭

শায়মা বলেছেন: আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও.......

কবিতাটা পড়ে রবিঠাকুরের এই লাইনটা মনে পড়ে গেলো.......

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



"আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও..."

তোমার সেই আলোতে প্রতিটি ক্ষণ হোক স্নিগ্ধ, পূর্ণ আর সজীব।
এই আলোয় মুছে যাক সকল আঁধার, প্রাণ ফিরে পাক কল্পনার জগৎ।
নব সূর্যের প্রতিটি রশ্মিতে ভরে উঠুক মনের গভীর কোণ,
তোমার এই আলোকধারায় হারিয়ে যাক সমস্ত ক্লান্তি আর যন্ত্রণা।

প্রত্যেক রাত্রি হোক নতুন ভোরের প্রতীক্ষা,
তোমার আলোয় সিক্ত হোক প্রতিটি প্রাণের তৃষ্ণা।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৩৮

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:

এই
বাংলাদেশে
মানুষের
কোন
চাহিদাই
আজ
পর্যন্ত
পূর্ণ
হয়নি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার মন্তব্যে যে কথাটি উঠে এসেছে, তা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে। তবে এটি বলাই
যুক্তিযুক্ত যে বাংলাদেশে মানুষের চাহিদার পূর্ণতা বা অসন্তুষ্টি নিয়ে সাধারণিকরণ করা খুব একটা সহজ কর্ম নয়।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অনেক সেক্টরে ইতিবাচক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো,
প্রযুক্তি, কৃষি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে যা মানুষের জীবনমানের উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে। অবশ্যই, সব
চাহিদা সম্পূর্ণভাবে মেটেনি, এবং বিবিধ কারণে যথা অপশাসন, দুর্ণিতি, সুষ্ঠ রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক গনগন্ত্র
প্রভৃতি ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে,সাথে অপুর্ণতা রয়েছে বিশেষ করে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে।
তবে প্রয়োজনীয় সকল চাহিদাগুলো পূরণে সকলকে সন্কামিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে সে সাথে
কাজের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে ।

মোটকথা হল , এক কথায় বলা বেশ কঠিন যে "কোনো চাহিদাই পূর্ণ হয়নি"। যদিও অনেক চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা এখনো মেটানো সম্ভব হয়নি, ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় দেশের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে চলুক এ কামনাই করি।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: যদিও এটা শুধু ভাবনায় সীমাবদ্ধ থাকার কথা বাস্তবে এদেশে প্রায় অসম্ভব -তার পরেও এমন আশা তো আমরা করতেই পারি সব সময়!

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




একটি সমাজ বা রাষ্ট্রে গণমুখী প্রত্যাশা সব সময় সহজলভ্য হয়ে ওঠে না। গণমুখী ইচ্ছা বা দাবি যখন কোনো
জনগোষ্ঠীর অধিকারের প্রশ্নে আসে, তখন তা বাস্তবায়নের পথে নানা বাধা-বিপত্তি আসে। সত্যি বলতে, সমাজের
কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক জটিলতা—এই সকল উপাদান মিলেই গণমুখী চাওয়াগুলো
বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

তবুও, মানুষের মধ্যে এই চাওয়াগুলো যে একেবারে বিলীন হয়ে যায় না, সেটাই আমাদের আশার প্রধান ভিত্তি।
ইতিহাসে এমন বহু উদাহরণ আছে যেখানে গণমুখী প্রত্যাশার শক্তিতে অচলাবস্থা ভেঙে নতুন দিশা তৈরি হয়েছে।
সাধারণ মানুষের অধিকার অর্জনের দীর্ঘ ইতিহাসই প্রমাণ করে, সংগ্রাম ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই অনেক
অসম্ভব মনে হওয়া বিষয় বাস্তব রূপ পেয়েছে।

তাই এ আশা ছেড়ে না দিয়ে বরং প্রত্যাশাগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে নিরন্তর কাজ করে যাওয়াটাই উচিত। আর মানুষ
যখন সত্যিকার অর্থে সংহত হয়, তখন সেই শক্তি নীতিগত বাধা ও প্রশাসনিক জটিলতাকেও অতিক্রম করতে
সক্ষম হয়।

শুভ কামনা রইল

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩

ক্লোন রাফা বলেছেন: আশা আর স্বপ্ন মানুষকে বাচিয়ে রাখে এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। এক প্রজন্ম একটি মুক্ত স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে । আরেক প্রজন্মের দায়িত্ব ও কর্তব্য হওয়া উচিত দেশকে সমৃদ্ধ করা । অর্থনৈতিক মুক্তির পথে দেশ’কে বিকশিত করা । কাজটা হওয়া উচিত ছিলো রিলে রেসের মত। কিন্তু আপনার আমার স্বপ্নের দেশ / কবিতায় যা বর্ণিত করলেন । আদৌ কি ঠিক পথে আছি আমরা ও প্রজন্ম⁉️

আবারো স্বপ্ন ভঙ্গের আশংকার মাঝেও সেই আশা ও স্বপ্ন দেখি । ছন্দময় কবিতায় সুন্দর বাংলাদেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ॥

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার মন্তব্যে যে গভীর ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে, তা আমার মন ছুঁয়ে গেছে। সত্যিই, আশা আর স্বপ্নই আমাদের
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রধান প্রেরণা। এক প্রজন্মের মুক্তির সংগ্রামের পর দায়িত্ব বর্তায় নতুন প্রজন্মের ওপর, যারা
সেই স্বাধীনতাকে সমৃদ্ধি আর উন্নয়নের পথে চালিত করবে। রিলে রেসের মতো এ পথচলা হাতে হাত রেখে, একে
অপরের স্বপ্ন ও অর্জনের দায়িত্ব নিয়ে।

তবে আমাদের বাস্তবতায় অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, যা আমাদের মাঝে স্বপ্নভঙ্গের ভয় জাগায়। তবুও, আপনার মতো
পাঠকদের আশা ও ইতিবাচক ভাবনা আমাদের নতুন করে বিশ্বাস জাগায়, যেন আমরা নতুন স্বপ্নের পথে আবারও
যাত্রা করতে পারি। বাংলাদেশের প্রতিটি স্বপ্নপথ যেন ছন্দময় হয় এবং প্রত্যেকটি প্রজন্ম সেই ছন্দে একতাবদ্ধ হয়ে
এগিয়ে যেতে পারে—এটাই আমাদের কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.