![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই নতুন কিছু। জানতে চাই অনেক কিছু।
ভাবছি!
আর সুস্থ হবো না ,
যেমন আছি তেমনটাই থেকে যাবো।
আমি জানি যদি সুস্থ হয়ে যাই তাহলে আর হাসপাতালে থাকা হবে না !
সবাই যে কেন বলে হাসপাতাল অনেক খারাপ যায়গা এখানে নাকি অসুস্থ হয়ে আসে একজন আর বের হয়ে যায় দুই জন , কারন. রোগী যে আছে সে তো ভালো হয়ই না সাথে রোগীর সাথে যে থাকে সেও অসুস্থ হয়ে যায়।
আমার হাসপাতালে থাকতে চাওয়ার প্রধান কারন আমার জীবন শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সব চেয়ে গত ১৪ দিন ধরেই সুখে আছি। অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি।
না! আমি এ বলবো না জীবনে কোন দিন কারও কাছ থেকে ভালোবাসা পাইনি , হা পেয়েছি আর এখন সে আমার পাশেই আছে। আমি বলছি আমার জীবন সঙ্গিনীর কথা সে আমাকে খুব ভালোবাসতো , এখনো বাসে। আর আমি তাকে ভালো বাসি কিনা জানতে চাচ্ছেন? আমি শুধু এই কথা বলবো কেন ভালো বাসবো না! যেমন রূপবতী , তেমন বুদ্ধিমতী , আর তেমন তার গুন। কি পারেনা আমি আজ পর্যন্ত জানি না ,
হ্যা , আমদের বিয়ে হয়েছে বেস কিছু বছর আগে , আমি আর তমা একই বিশ্ব বিদ্যালয়ের একই বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করেছি । (আপনারা অবশ্যই বুঝেছেন তমা কে , নতুন করে কিছু বলার আছে? )
তমা আর আমি লেখাপড়া করেছি এক সাথে কিন্তু আমি কিছুই করতে পারি নি , আর তমা একটা চাকরি করে ওটা দিয়েই আমাদের সংসার নামের চাকা ছাড়া যানটিকে চালাতে হতো । আমি কিছুই করতে পারি নি , চেষ্টা করেছি অনেক কিন্তু পারি নি।
ওই তো তমা এসেছে , এসে আমার দূর্বল হাতের উপর হাত রেখেছে । যাতে করে আমার একটু বল হয় এই তো অর্ধাঙ্গিনী । কিন্তু ? আপনাদের কাছে একটা প্রশ্ন রেখে গেলাম উত্তরটা পরে দিলেও চলবে।
তমার সাথে আমার পরিচয় কলেজে পরিচয় বলা যাবে তার কারন তখন তাকে শুধু চিনতাম এর কারন ছিলো মেয়েদের মধ্যে পরীক্ষায় তমা সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেত আর স্যার মেডামরা এসে তার কথা বলতো। তাই আমার ইচ্ছে হয়েছিলো দেখার কে এই তমা। ও আপনাদের বলা হয় নি আমাদের কলেজে মেয়েরা ক্লাস করতো সকালে আর আমাদের ক্লাস হতো দুপুরে। আর এই কারনেই কলেজে মেয়েদের সাথে তেমন একটা পরিচয় হয়নি। ও যেখানে ছিলাম আমি চিন্ত করলাম তমাকে আমার কালকেই দেখতে হবে। অনেক বন্ধুদের বললাম আমার পরিকল্পনার কথা তারা বললো এটা কোন বেপার না , তুই বললে আমরা কথাও বলিয়ে দিতে পারি। আমি বললাম আমার অত কিছু লাগবেনা ,শুধু বলে দিলেই হবে তমাটা কে। আরে তুই নিশ্চিত থাক কালকে তমা তোকে খোজবে , তোর আর খোজার কোন দরকারই নাই। যদিও আমি জানতাম তারা কিছুই করবেনা , তার পরও বিশ্বাস করলাম।
পরদিন বন্ধুদের কাউকে আর আসে পাশে পেলাম না , হয়তো গা ঢাকা দিয়েছে ,কিন্তু সেই দিনই তমার সাথে আমার দেখা হয়।
আমি আগে জানতাম যারা লেখাপড়া ভালো তারা নাকি সুন্দরী হয় না , কিন্তু ও এত সুন্দর যে আমি সামনে যেতে ভয় পাচ্ছিলাম। কারন অনেক চালাক , খারাপ ছেলেরাই সুন্দরীদের সামনে যেতে ভয় পায় আর আমি …
আমি সেই দিন পারিনি , তমার সাথে কথা বলতে। অন্য একদিন হয়েছিলো , সেই কথা আপনাদের আর একদিন বলবো। তমার সাথে আমার পরিচয় সেই দিন হয় নি কিন্তু বেশ কিছু দিনের জন্য আমার মনে স্থান পেয়ে যায়। আমি কাউকে প্রথম দেখলেই তার প্রেমে পরে যাই কিন্তু সেই ভালো লাগা বেশি দিন থাকে না , তমার ক্ষেত্রেও একই হলো।
কলেজের সময় গুলো তখন খুব ব্যাস্ত কাটাচ্ছি , এই রকম কোন এক দিনে তমার সাথে আমার লেগুনায় দেখা হয়ে যায়। অনেক ইচ্ছে করছিলো তার সাথে কথা বলি , কেউ ভাববেন না তাকে আমি প্রেমের কথা বলতে তার সাথে কথা বলতে চেয়েছি। আমার মনে এখন আর ওই সব কাজ করছেনা। মানসিক সব প্রস্তুতির পরে তমার সাথে কথা বলতে যাব ঠিক তখনই সে লেগুনা থেকে নেমে গেল। কি আর করা আজও পরিচিত হওয়া হলো না।
কলেজ এর ঠিক শেষ সময় নির্বাচনি পরীক্ষা হয়েছে একমাস হলো , আজ রেজাল্ট দেওয়ার কথা রেজাল্ট দেওয়া হলো ভালোই করলাম প্রথম ৫ জনের মধ্যে আছি। আর অন্য দিকে মেয়েদের মধ্যে তমা হয়েছে আমাদের বিভাগে মেয়েদের মধ্যে প্রথম। যেহেতু আমি ছেলেদের মধ্যে ৩য় হয়েছি আর তমা মেয়েদের প্রথম সেই সুত্রে আমাদের সাথে হালকা একটু পরিচয় হয় , আর সেই পরিচয় পর্বে এসে বাধ সাধেন আমার ক্লাস টিচার - আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন , তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে খুব খুশি , মনে রাখবে আমার বিষয়ে তুমি কিন্তু প্রায় ফেল করেছিলে আমি তোমাকে জোর করে পাশ করিয়ে দিয়েছি কথাটা মনে রাখবে।
আমি শুধু বললাম , আচ্ছা স্যার্। ( আমার সব শেষ আরে স্যার আপনি আমাকে সারাদিন অপমান করতেন তাই বলে একটা মেয়ের সামনে? )
স্যারের উপর খুব রাগ হচ্ছিলো।
(একটা কথা বলে রাখা ভালো আমাদের কলেজের ইতিহাস ছিলো যে ছাত্র নির্বাচনি পরীক্ষায় জিপিএ-৩.০০ পাবে সে নিশ্চিত থাকতে পারে এইচএসসি পরীক্ষায় এ+ পাবে )
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা গেল তমা আমার থেকে অনেক ভালো রেজাল্ট করলো আমি খুব খারাপ করেছি তাও বলবো না , বেশি ভালো করিনি কিন্তু সব জায়গায় চালিয়ে দেওয়ার মত। আমি অখুশি হইনি , এখন আর তমার সাথে দেখা না হলেই হয়।
বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রথম দিনের ক্লাস , কি ভাবছেন ! কত সহজে বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম , না জীবনে কোন দিন এমন প্রেম করিনি বই খাতার সাথে যা করেছিলাম রেজাল্ট দেওয়ার পরের মাস গুলো। এর পর বিশ্ব বিদ্যালয় ,ভুলে থাকতে চেয়েছিলাম সেই দিন গুলোর কথা আর তাই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছিলাম।
বিশ্ব বিদ্যালয়ে প্রথম যার সাথে পরিচয় হলো সে হচ্ছে তমা , হ্যা এই সেই তমা যার সামনে আমাকে অপমান করা হয়েছিলো প্রথম পরিচয়ের দিনেই। আজ আমি আর তমা একই ভার্সিটির একই বিভাগের শিক্ষার্থী।
এবার বলি কিভাবে পরিচয় হলো , আমি সে দিন আমাদের বিভাগের সামনের করিডোর দিয়ে হাটছিলাম এমন সময় পাশ থেকে একটি মেয়ে আমাকে বললো , এই যে শুনছেন?
তাকিয়ে দেখি তমা ,
আরে তমা কি খবর? তুমি কি এইখানেই আছো নাকি?
হ্যা , তুমি?
হ্যা আমিও এখানেই আছি ,
(তমা একা দাড়িয়ে ছিলো , তাই ভাবলাম হয় তো কারও জন্য অপেক্ষা করছে)
আমি বললাম কারও জন্য অপেক্ষা করছো নাকি?
না , এভাবেই দাড়িয়ে ছিলাম। তুমি কোথায় যাচ্ছো?
তাহলে চলো , একটু ঘুরে আসি পরের ক্লাস হতে এখনো অনেক বাকি।
ঠিক আছে তাহলে চলো।
সেই দিনই প্রথম তমার সাথে আমি ভালো করে করে কথা বলি।
এর পরে দেখতাম , অনেক বড় ভাই তমার সাথে কথা বলতে আসতো কিন্তু তমা তাদের সাথে কোন দিন কথা বলতো না আর আমি বলতে না চাইলেও আমার সাথে এসে কথা বলতো ।
এক বড় ভাই তমাকে সরাসরি প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং বলে সে আজকে তার জবাব নিয়েই যাবে । তমা তাকে বলেছিলো ভাই কালকে আসেন আমাকে একটু ভাবতে সময় দেন । অনেক বোঝানোর পর সে চলে গেল।
পরদিন এই সবের কিছুই আমি জানি না , তমা আমাকে নিয়ে তার সামনে হাজির ওই বড় ভাই কিছু না বলে চলে গেল।
এর কিছু দিন পর আমি বাসায় যাচ্ছিলাম , ওই বড় ভাই আমাকে ডাকলেন তার. পাশে আরও অনেকে আছে ।
(চলবে)
(দ্বিতীয় অংশে সমাপ্ত।)
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৬
করিম কাকা বলেছেন: ।