![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই নতুন কিছু। জানতে চাই অনেক কিছু।
~~ ভালো আছি ! ( গল্প ) ~~~(পর্ব ১)
ভাইয়া আমাকে ডেকেছেন?
হু , এদিক আসো।
জি ভাইয়া বলেন।
(পেছন থেকে এক জন বললো , ভাই এই পোলার লগে আপনি ভালো ভাবে কথা বলছে! ভাই এর কোন জবাব দিলেন না। )
তমার সাথে তোমার সম্পর্ক কি?
ভাইয়া আমরা ভালো বন্ধু ।
শুধুই কি বন্ধু? কি ভাবে পরিচয়?
আমারা ভালো বন্ধু , একই কলেজে আমরা পড়তাম।
ও কলেজ থেকেই পরিচয়।
জি ভাইয়া।
ও , আচ্ছা ঠিক আছে যাও তাহলে।
(আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না , তিনি আমাকে চলে যেতে বললেন ! তখন একজন বললো ভাই ছাইড়া দিলেন? ভাই শুধু বললেন তোর কোন সমস্যা?)
সেখান থেকে চলে আসার পর নিজেকে অনেক স্বাধীন মনে হলো , কিন্তু ভেবে পাচ্ছিলাম না কেন ছেরেদিলেন।
বেশ কিছু দিন পর , ওই ভাইয়া আমাকে ডাকলেন এই এদিকে আসো ,
আমি গেলাম তিনি আমার কথা জিজ্ঞেস করলেন তমার কথা জিজ্ঞেস করলেন , সাথে বললেন তোমার আর তমার প্রেম কেমন চলছে ,
আমি একটু অবাক হয়েছিলাম তবুও হেসে উড়িয়ে দিলাম যেন কিছুই হয় নি। ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসার পথে অনেক দিনের একটি জটিল সমস্যার সমাধান খুজে পেলাম।
(সেই প্রথম দিনে হয়তো ভাই ভেবে ছিলেন আমরা দুই দুই জনকে ভালোবাসি এবং আমাদের সম্পর্ক কলেজ থেকে তাই তিনি কিছু বলেন নি। কিন্তু তখন পর্যন্ত আমরা শুধু বন্ধু ছিলাম আর আমার সাথে তমার বন্ধুত্ব করার আর একটা কারন হচ্ছে কোঠা! কোঠা বলবো কারন তমা আর আমি একই কলেজে পড়েছি বলে তমা আমার সাথে বন্ধুত্ব করেছে। )
একদিন তমা হঠাৎ করেই আমাকে বললো , কিরে তুই নাকি আমাকে ভালোবাসিস? সবাইকে বলার কি আছে আমাকে বললেই পারতি।
আমি শুধু ভাবছি আমার এই উপকারটা কে করলো।
আর জবাব দিলাম , হা ঠিক তো তাই আমি তোকে ভালোবাসলে তো বলতেই পারি অন্য জনের সাহায্য নিবো কেন?
তার মানে তুই আমাকে ভালোবাসিস না।
আরে! তা কেন হবে তোকে আমি অনেক ভালো বাসি।
তাহলে তো হয়েই গেল তুই সবাইকে বলেছিস যে আমাকে ভালোবাসিস।
(আমি উভয় সংকটে পরে গেলাম , তাকে ভালোবাসি না তাও বলতে পারছি না তা হলে সে বন্ধু হিসেবে রাগ করবে কি আর করার ভালোটাই মেনে নিলাম।)
আমাদের দুজনের মাঝে একটা অঘোষিত প্রেম নিবেদন হয়ে গেল।
অনেককেই. দেখেছি , তাদের প্রেম মানে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রেমের ফল বাদাম চিবায় , পার্কে বসে বসে গল্প করে। কিন্তু আমরা এর কিছুই করলাম না প্রায় বছর কেটে গেল।
বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে , তমা আমার হলে। কাক ভেজা অবস্থায়!
(তমা তখন প্রায় ভেজা ছিলো আমার সেই দিকে খেয়াল নেই আমি মুগ্ধ হয়ে তাকে দেখছি , কতটা নিস্পাপ লাগছে তাকে যেন বর্ষার এক পসলা বৃষ্টির পরে প্রকৃতি যেমন হয় ঠিক তেমন। )
অনেক ক্ষন পর তমা বললো আমার সাথে চলো ,
আমি বললাম কোথায় যাবো? (এই বার মনে হলো তার শরীর মোছার জন্য একটা তোয়ালে দেওয়া প্রয়োজন )
একটা তোয়ালে দিয়ে বললাম , আগে তোমার শরীর মোছো এই প্রথম আমার হলে আসলে একটু বসো নাস্তা দেই।
তমা শুধু বললো , পানি খাবো। আর আমি পানি পান করার সময় তুমি তৈরি হবে আমরা বের হবো।
কিন্তু কোথায় যাবো তা তো বলবে!
কিছু বলা যাবেনা গেলেই দেখতে পাবে
আমি আর তমা পাশাপাশি রিক্সায় বসে আছি , একটু আগের ঝুম বৃষ্টির ফলে পরিবেশ কে অনেক নিস্পাপ মনে হচ্ছে তাবে আমার পাশে যে বসে আছে তাকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। আমি অনেক্ষণ ধরে তমার দিকে তাকিয়ে আছি তমা বিষয়টা খেয়াল করছে কিনা বলতে বলতে পারভো না তবে মনে হচ্ছে একটু পরপর আড় চোখে তাকাচ্ছে। এই বার সরাসরি আমার দিকে তাকালো তমা ,
কি? এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
তোমাকে দেখছি।
আজকেই মনে হয় প্রথম দেখলে?
না , তবে আজকে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
যাও তুমি দুষ্টামি করছো , মনে হয় কোথাও ভিজে আছে তুমি সেখানে তাকাচ্ছো।
তুমি আমাকে এই কথা বলতে পারলে যাও তোমার দিকে আর তাকাবো না।
আমি একটু রাগ করার ভাব নিলাম কিন্তু তমা আমার হাতে হাত রেখে বললো এখন আমি বলছি আমার দিকে তাকাও , তাকাও না! কি হলো একটা সামান্য কথাতেই রাগ করলে চলবে আমি তোমার সাথে একটু দুষ্টামিও করতে পারবো না? প্লিজ তাকাও না।
আচ্ছা কি বলো?
রাগ করছো কেন?
আমি কারও সাথে রাগ করিনা , কি বলবে বলো।
আচ্ছা তুমি কি আমার ভালোবাসো?
এটা কোন প্রশ্ন করলে? তোমাকে প্রমাণ দেখাতে হবে যদি বলো এখনই রিক্সা থেকে লাফ দেই ?
থাক লাগবে না এই ভালো বাসার প্রকাশ , চলো আজকে আমরা বিয়ে করে ফেলি ;
কি বলছো! কিভাবে সম্ভব?
তুমি কি বুঝতে পারছো আজকের তমার সাথে অন্য কোন দিনের তমার পার্থক্য?
না তো , কি হতেছে একটু খুলে বলতো।
তেমন কিছু হয় নি , সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি আজ আমার বিয়ে ! তারপর বাসা থেকে পালিয়ে এসেছি তবে এমন ভাবে এসেছি যাতে কেউ বুঝতে না পারে , এখন তুমি যদি আমায় গ্রহন না করো ঘরে ফিরে না গিয়ে কোন উপায় নেই।
আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম শুধু তমাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি আজকেই জানতে পেরেছো? তমা বললো , হ্যা।
তখনো রিক্সা চলছে , কোথায় যাচ্ছি কোথায় যাওয়ার কথা সব ভুলে গেলাম খানিক বাদে রিক্সাওয়ালা বললো ভাই এখানে নামবেন নাকি আরো একটু সামনে? আমি বললাম যেখান থেকে আসছি সেখানে চলো।
রিক্সা আবার চলতে আরম্ভ করলো।
আমি আর তমা হলে আমার বিছানায় বসে আছি। আমি কোন উপায় খুজে পেলাম না। হঠাৎ করে মিজান ভাইয়ের কথা মনে হলো সেই মিজান ভাই যে তমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলো। সেই দিনের পর থেকে মিজান ভাইয়ের সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক , মিজান ভাই বিয়ে করেছে প্রেমের বিয়ে তবে বিয়ের ঘটক ছিলাম আমি ছোট ভাই হিসেবে যেভাবে পারা যায় সে ভাবে তাকে সাহায্য করেছি , আর তাই মিজান ভাই আর তার স্ত্রী আমাকে খুব ভালোবাসে মিজান ভাইয়ের স্ত্রীও জানে আগের সব কথা। আর তাই ভাবলাম ভাইয়ের বাসায় একটু গিয়ে দেখি কোন উপায় বের হয় কিনা। আমি তমাকে বল্লাম তুমি কি আমার সাথে যাবে নাকি এখানে বসে অপেক্ষা করবে?
না না , আমার পক্ষে এখানে বসে অপেক্ষা করা সম্ভব না।
ওর কথা শুনে বুঝতে পারলাম তমা আমাকে ছাড়তে চাচ্ছে না।
আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে চলো।
কিন্তু আমরা যাচ্ছি কোথায়?
মিজান ভাইয়ার বাসায়।
কিন্তু এখন কথা হচ্ছে মিজান ভাইকে মনে হয় না বাসায় খুজে পাবো , কারন তিনি এখন রাজনীতি করেন অনেক ব্যস্থ মানুষ কাজে থাকবেন হয় তো ।
(চলবে)
তৃতীয় অংশে সমাপ্ত।
©somewhere in net ltd.