![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে বিশ্বাস করি । নিজের কাজ কে বিশ্বাস করি । আমি ভালোবাসি নিজেকে আমি ভালোবাসি হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীস্টান উপজাতি কে ভালোবাসি । আমি বাঙ্গালীকে ভালোবাসি ।আমি বাঙ্গালীর স্বাধীনতাকে ভালোবাসি । আমি ভালোবাসতে ভালোবাসি ।
রহমান কোথায় যেন শুনেছে দামী পোশাক পরলে আত্নবিশ্বাস বাড়ে। রহমানের একটু পরে পরীক্ষা। খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। অন্তত লোকে তাই বলে। তার আত্নবিশ্বাস কম। আত্নবিশ্বাস বাড়াতে রহমান তার বাবার শেরওয়ানি নিয়ে এসেছে। বিয়ের সময় রহমানের বাবা এটা পরেছিল। ক্যাটক্যাটে কালারের শেরওয়ানি। রহমান সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেরওয়ানি পরে পরীক্ষা দিতে যাবে। পরীক্ষার হল মানে দোযখ মনে হয় ওর কাছে। ওর বাবার কাছে শুনেছে বিয়ে করলেও মানুষ দোযখেই যায়। তার মানে বাবা শেরওয়ানি পরেই দোযখে ঢুকেছিল। রহমান আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শেরওয়ানি পরছে। একটু ঢিলা হয়েছে। সমস্যা নেই, দামী পোশাক ঢিলা হলে কিছু হয় না।
রহমান পরীক্ষার হলে ঢুকে ওর সীটে বসে পড়েছে। সবাই হাসছে। মিট মিট করে। পাশের মেয়েটা বিড়বিড় করে এখনো কি যেন মনে মনে পড়ছে। একটা লাইন মাঝে মাঝে বারবার শোনা যাচ্ছে- এরিস্টটল এর মতে, এম্ম এম্ম এরিস্টটলের মতে। মেয়েটা পড়েই যাচ্ছে। সে রহমানকে দেখেনি, হাসছেও না কোন দিকে তাকাচ্ছেও না। মেয়েটা চশমা পরা। চশমা পরা মেয়েরা নাকি বোকাসোকা হয়, কোন একটা বইয়ে পড়েছিল সে। বোকা মেয়েরা না বুঝে রাগ করে। রহমানের পানির পিপাসা পেয়েছে। মেয়েটার কাছে পানির বোতল আছে। ভাবছে চাইবে কিনা। চাইলে যদি রেগে গিয়ে বলে - এইটা হুজুরের পড়া পানি কাউকে দেয়া যাবে না।
রহমান বসে আছে। পানির পিপাসা বেড়ে যাচ্ছে। ওর গলা শুকিয়ে গেছে। ভাবলো আমার তো দামী পোশাক আছে। পানি চাইতে সমস্যা নেই। আত্নবিশ্বাস টেস্ট করার জন্য রহমান পানি চেয়ে ফেলল।
- শোনেন, পানি দেবেন একটু?
মেয়েটা পাশ ফিরে তাকিয়ে আবার বিড় বিড় করে শুরু করল - এরিস্টটলের মতে...এম্ম এম্ম... পানি মুখ দিয়ে খাবেন না।
রহমান খেয়াল করল ডান হাতের মাথায় পানির বোতল ধরে মেয়েটা এগিয়ে দিয়েছে। রহমান পানির বোতল নিল। কিন্তু ও বুঝতে পারছে না এরিস্টটল মুখ দিয়ে পানি খেতে মানা করেছে ক্যানো? পানি কিভাবে খাবে তাহলে?
সে চিন্তায় পড়ে গেল। পানি খাবে নাকি ফিরিয়ে দেবে। মেয়েটা এবার তাকাল। চোখ দেখা যাচ্ছে না ভাল করে। অনেক মোটা কাচের চশমা। তাই মেয়েটা রেগে আছে কিনা বোঝা গেল না। মেয়েটা জিজ্ঞেস করল -
খাওয়া হইছে? হইলে দ্যান।
রহমান আত্নবিশ্বাস পাচ্ছে না। হাত কাঁপছে। শেরওয়ানি টা মনে হয় দুই নাম্বার। আজকে বাবাকে গিয়ে বলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গিয়ে বলবে - দুই নাম্বার শেরওয়ানি পরে বিয়ে করছেন ক্যান? ভাল জিনিস কিনতে পারেন না?
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
াহাহাহ!
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
হানিফঢাকা বলেছেন:
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা হা| মজাদার
আমার তো চশমাপরা মেয়েদের দারুন কিউট লাগে| আর ওরা মোটেও বোকা নয়
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৮
শেষ কক্ষপথের ইলেক্ট্রন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১
হাসান মোহাম্মদ মেহেদী বলেছেন: লেখাটা সুন্দর হয়েছে।