![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলতে শোনা যায়, আল্লাহ সর্বত্রে বিরাজমান।
আসলে কি আল্লাহ সর্বত্রে বিরাজমান?
এবিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে হলে আমরা কার কাছে যাব?
দুনিয়ার কোন মুফতী, মাওলানা কিংবা পিরের কাছে যাব?
আসলে এবিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে একমাত্র কুরআন এবং হাদীসই যথেষ্ট।
আল্লাহ কোথায় আছেন সেটাতো আল্লাহই বলে দিয়েছেন পবিত্র কুরানের মাধ্যমেই।
দলিল-
তাঁর মত কিছু নেই আর, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরা শুরা, ৪২: ১১)
পরম করুণাময় আরশের উপর আছেন। (সূরা তাহা, ২০: ৫ আয়াত।)
তোমরা তার থেকে নির্ভয় হয়ে গেলে যিনি আসমানে আছেন,
আর তিনি তোমাদের সহকারে জমিনকে ধ্বসিয়ে দিবেন না?।(সূরা মূলক ৬৭: ১৬ আয়াত)।
বরং আল্লাহ তাকে তাঁর নিকটে উত্তলন করে নিয়েছেন। (সূরা নিসা, ৪: ১৫৮ আয়াত)।
আর তিনিই আল্লাহ যিনি আসমানে আছেন। (সূরা আনআম ৬: ৩ আয়াত)।
নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। (সূরা আরাফ-৭:৫৪)
এ সমস্ত আয়াতের তাফসীরে ইবনে কাসীর রহ: বলেন: তাফসীরকারকগণ এ ব্যপারে একমত পোষণ করেন যে, তারা আল্লাহ সম্বন্ধে ঐভাবে বর্ণনা করে যেভাবে জাহমীয়ারা (একটি ভ্রষ্ট দল) বলে যে, আল্লাহ সর্বত্র আছেন। আল্লাহ তাআলা তাদের এ জাতীয় কথা হতে পাক পবিত্র ও অনেক ঊর্ধ্বে।
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথেই আছেন। (সূরা হাদীদ, ৫৭: ৪ আয়াত)।
অত্র আয়াতের ব্যখ্যা হল; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথে আছেন দেখার দ্বারা, শ্রবনের দ্বারা, যা বর্ণিত আছে তফসীরে জালালাইন ও ইবনে কাসীরে। এই আয়াতের পূর্বের ও শেষের অংশ এ কথারই ব্যখ্যা প্রদান করে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সপ্তম আসমানের উপর উঠানো হয়েছিল, তাঁর রবের সাথে কথোপকথনের জন্য। আর সেখানেই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়েছিল। (বুখারী ও মুসলিম)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
ألاَ تأمَنُونيِْْ وَأنا أمِينُ مَنْ فيِ السَّمَاء (وهو اللهُ) (ومعني في السَّماء: علي السَّمَاء) (متفق عليه)
তোমরা কি আমাকে আমিন (বিশ্বাসী) বলে স্বীকার কর না? আমি তো ঐ সত্ত্বার নিকট আমিন বলে পরিগণিত যিনি আসমানের উপর আছেন। (আর তিনি হলেন আল্লাহ)। (বুখারী ও মুসলিম)।
سأَلَ رَسُولُ الله صلي الله عليه وسلَّمَ جَارِيَةً فَقَالَ لَهَا: أيْنَ اللهَ؟ فَقَالَتْ في السَّماءِ قَالَ مَنْ أنا؟ قَالَتْ أنْتَ رَسٌولُ اللهِ قَالَ: أعْتِقْهَا فإنَّها مُؤْمِنَةً . (مسلم)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্রীতদাসীকে জিজ্ঞেস করলেন: বলতো আল্লাহ কোথায়? সে বলল, আসমানে। তারপর তিনি বললেন: বলতো আমি কে? সে বলল: আপনি আল্লাহর রাসূল। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একে মুক্ত করে দাও, কারণ সে মুমিনা। (মুসলিম)।
“আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেনঃ মহামহিম আল্লাহ তায়ালা প্রতি রাতে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষনা করতে থাকেনঃ কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছে এমন, যে আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দিব । কে আছে এমন, যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব।(বুখারী-১০৭৯ ইঃফাঃ)
আরো দলিল:
সূরা বাকারা-২: ১৪৪< নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর।
ফেরেশতাগণ এবং রুহ আল্লাহ তায়ালার দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়। (সূরা মায়ারিজ-৪)
আল্লাহই ঊর্ধ্বদেশে আকাশমন্ডলী স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ব্যতীত- তোমরা এটা দেখেছ। অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হলেন (অর্থ্যাৎ সপ্ত আসমানের উপরে আরশে সমাসীন হয়েছেন)। (সূরা রা’দ-১৩:২)
স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, হে ঈসা! আমি তোমার কাল পূর্ণ করছি এবং আমার নিকট তোমাকে তুলে নিচ্ছি। (আল ইমরান-৩:৫৫)
ফেরাউন নিজেকে আল্লাহ দাবী করেছিল। কাফের হওয়া সত্ত্বে সে মূসা আঃ এর কথা বিশ্বাস করে হামানকে বলেছিল,
ফেরাউন বলল, হে হামান! তুমি আমার জন্য এক সুউচ্চ প্রাসাদ তৈরী কর, যাতে আমি অবলম্বন পাই আসমানে আরোহনের এবং আমি দেখতে পাই মূসা (আঃ) এর রব আল্লাহকে। (সূরা মুমিন-৪০:৩৭-৩৮)
এতেই বুঝা যায় মুসা আঃ আল্লাহর ঠিকানা দিয়েছেন আরশের। আল্লাহ যদি সর্বত্র হতেন তবে ফেরআউন কোন কারণে হামান কে সুউচ্চ প্রাসাদ বানানোর নির্দেশ দিবে?
ঈমানদারের জন্য যরূরী হ’ল, আল্লাহ অবতরণ করেন একথা বিশ্বাস করা এবং কিভাবে করেন সেকথা বলা থেকে বিরত থাকা। কারণ আল্লাহ্র কাজ তাঁর মতই হয় মানুষের মত নয়। সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে রাত হয় এটা আল্লাহ্র ইচ্ছাতেই হয় এবং তাঁর অবতরণ তাঁর ইচ্ছাতেই হয়। পৃথিবীর যে অংশে যখন রাত হয়, সে অংশে তাঁর মর্যাদা অনুযায়ী তাঁর অবতরণ ঘটে। যা অনুভব করার ক্ষমতা মানুষ রাখে না (ছাবূনী, আক্বীদাতুস সালাফ, পৃ: ২)
চার ইমামগণই এ ব্যাপারে একমত যে, তিনি আরশের উপর আছেন, তিনি তাঁর কোন সৃষ্টির সাথে তুলনীয় নন।
সুস্থ বুদ্ধি, বিবেক, আল্লাহ যে আসমানে আছেন তা সমর্থন করে। যদি তিনি সর্বত্রই বিরাজমান হতেন তবে অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা জানতেন এবং সাহাবীদের শিক্ষা দিতেন। দুনিয়ার বুকে এমন অনেক নাপাক অপবিত্র জায়গা আছে যেখানে তাঁর থাকার প্রশ্নই উঠে না।।
যদি বলা হয়, আল্লাহ তাআলা তার জাত সহকারে আমাদের সাথে সর্বস্থানে আছেন, তবে তার জাতকে বিভক্ত করতে হয়। কারণ, সর্বত্র বলতে বহু জায়গা বুঝায়। এটাই ঠিক যে আল্লাহ তাআলার পবিত্র জাত এক ও অভিন্ন। তাকে কোন অবস্থাতেই বিভক্ত করা যায় না। তাই ঐ কথার কোন মূল্য নেই, যে তিনি সর্বত্র বিরাজমান। আর এটা প্রমাণিত যে, তিনি আসমানে আরশের উপর আছেন। তবে তিনি তাঁর শ্রবেনর, দেখার ও জ্ঞানের দ্বারা সকল বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবহিত।
আল্লাহর নিজস্ব একক একটি স্বত্ত্বা অবশ্যই আছে, তার হাত, পা চোখ সবই আছে তবে তা দেখতে কেমন তা আমাদের পক্ষে কল্পনা করা সম্ভব নয়। যদিও কুরআনে বর্নিত আছে, আল্লাহ মানুষকে তাঁর নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তাই বলে আল্লাহ দেখতে মানুষের মত এটা কি আমরা বলতে পারি? এটা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে এটা বলা যে, আল্লাহর আকৃতি কেমন তা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। তবে আল্লাহ নিরাকার নন এটাই সত্য। তাঁর আকার অবশ্যই আছে। যেহেতু কুরআনে উল্লেখ আছে আল্লাহর কুরছী (আসন) আছে, আল্লাহ আরশে সমাসীন হয়েছেন, তিনি সবকিছু দেখেন, তিনি সবকিছু শোনেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়াতাআলা) একক স্বত্ত্বা বিশিষ্ট হলেও তাঁকে চর্মচোখে দেখা সম্ভব নয়। আমাদের প্রিয়নবী (সাঃ) আরশে পৌঁছেও আল্লাহকে দেখতে পারেননি, কেবল তারঁ নূর ছাড়া। যদিও তিনি আল্লাহর খুবই নিকটে ছিলেন যা ছিল একটি তীর এবং ধনুকের দূরত্ব মাত্র। মুসা আঃ ও আল্লাহকে দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, আমরা কি সূর্যকে দেখতে পারি? অবশ্যই না। আমরা পৃথিবী থেকে খালি চোখে কেবল সূর্যের আলোটাই দেখতে পারি কিন্তু সূর্যের আকার, গঠন কিছুই দেখিনা। সূর্য কোটি কোটি মাইল দূর থেকেও আমাদের ঘর আলোকিত করে। আল্লাহর সৃষ্টি একটি সূর্য যদি এত দূর থেকে আমাদেরকে আলো দিতে পারে, তাহলে যিনি সূর্যটাকে সৃষ্টি করেছেন তিনি যত দূরেই থাকুন না কেন, সুদূর আরশ থেকে তিনি আমাদেরকে তারঁ অদৃশ্য নূরের বেষ্টনীতে বেঁধে রেখেছেন। তারঁ কুরছী যদি আসমান-জমিন ব্যাপী হয় তারঁ পক্ষেই সম্ভব আমাদের ঘাড়ের রগের চেয়েও নিকটবর্তী হওয়া।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪
অাল-ইসলাম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাই, আরশ শব্দের অর্থ হলো সিংহাসন।
মহাশূন্যের সবচেয়ে দূরের এবং সর্বোচ্চ স্থানে আরশ অবস্থিত।
সমগ্র বিশ্বজগতের অধিপতি মহান আল্লাহ এই আরশের উপর সমাসীন।
বিজ্ঞানীরা আকাশের সীমানা পায়নি বলে আকাশ নেই এটা কি ভাবা যাবে?
তবে গবেষনা চলছে, ব্লাকহোলের মত আকাশ সম্পর্কেও হয়ত একদিন তারা তথ্য পেলেও পেতে পারে।
তবে, এবিষয়ে একটি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে কুরআনে; যে কোন মানব অথবা জীন (বিজ্ঞানের ভাষায় এ্যলিয়েন) আকাশ ভেদ করতে পারবেনা। একসময় জীনেরা প্রথম আকাশের প্রান্তে যেতে পারত, তবে এখন আর পারেনা।
আকাশের কাছাকাছি গেলেই নিয়োজিত ফিরিশতাগণ তাদের প্রতি আগুনের তীর নিক্ষেপ করে।
সে অনুসারে যদি কখনো বিজ্ঞানীরা আকাশের ধারনা পায়, আর যদি সেখানে নভোযানও পাঠায়
তাহলে একই ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থ্যাৎ তার উপরে যাওয়ার পারমিশন নেই।
আপনার ৩য় প্রশ্নের উত্তর:
একটি হাদীসে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
অনেক আলেম মত দেন যে, এটা রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে মূল অর্থে নয়।
তবুও বলছি, যাঁর হাতে সমগ্র জগতের রাজত্ব তারঁ পক্ষে সবই সম্ভব।
যিনি আমাদেরকে মিলি সেকেন্ড সম্পর্কেও জ্ঞান দান করেছেন, তিনি যদি মিলি সেকেন্ডেরও কম সময়ে যখন পৃথিবীর কোথাও উল্লেখিত রাত হয় কয়েক মিলি সেকেন্ডের জন্য প্রথম আকাশে উপস্থিত হন তা কি অযৌক্তিক মনে হবে?
যেহেতু উল্লেখ নাই আল্লাহ সেখানে কতক্ষন অবস্থান করেন?
ধন্যবাদ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
অাল-ইসলাম বলেছেন: একটি কথা বলা বাকী ছিল।
কোন মানব ও জীন আকাশের সীমানা অতিক্রম করতে পারবেনা তবে ছাড়পত্র ছাড়া।
আমাদের মহানবী সাঃ আরশে যেতে পেরেছিলেন কারন তাঁর জন্য অনুমতি বা ছাড়পত্র ছিল।
দলিল:
O company of jinn and mankind, if you are able to pass beyond the regions of the heavens and the earth, then pass. You will not pass except by authority [from Allah ].55:33
হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না।55:33
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
বিজন রয় বলেছেন: আল্লাহ নিরাকার এবং সর্বত্রে বিরাজমান। অবশ্যই।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২
অাল-ইসলাম বলেছেন: ভাই, নিরাকার মানে কি?
আল্লাহ নিরাকার একথা কোথা থেকে আসল? হয়ত হিন্দুদের কোন ধর্মগ্রন্থে একথা লিখা থাকতে পারে।
কিন্তু মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এবং হাদীসের কোথাও উল্লেখ নেই যে, আল্লাহ নিরাকার।
যে বস্তুর কোন আকার থাকেনা সে বস্তুর অস্তীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তৈরী হয়।
আমরা খালি চোখে সূর্যের আলোটাই দেখি কেবল, কিন্তু সূর্যের গঠন কি দেখতে পাই?
সূর্যের আকার-আকৃতি না দেখেও আমরা যুগ যুগ ধরে বিশ্বাস করি সূর্যের অস্তীত্ব আছে।
তেমনি মহান আল্লাহরও আকার, স্বত্তা বা অস্তীত্ব রয়েছে, যদিও তাঁকে আমরা দেখতে পাইনা।
একটি পিঁপড়ার কাছে হাতীর অস্তীত্ব কেমন?
মূলত চর্মচোখে আল্লাহকে দেখার কোন সুযোগ নেই এটাই আসল কথা।
হযরত মুসা অাঃ অাল্লাহকে দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আল্লাহর নূরছাড়া কিছুই দেখতে পারেননি।
শেষনবী মুহাম্মাদ সাঃ আরশে গিয়েও আল্লাহর নূরছাড়া কিছুই দেখতে পাননি।
যেহেতু আল্লাহর নূর আছে সেহেতু তাঁর অস্তীত্বও রয়েছে এটাই সত্য।
আর সর্বত্রে আল্লাহর গুনের প্রকাশ রয়েছে, তিনি সবকিছু দেখেন এবং সবকিছুই শোনেন।
তবে শারিরীকভাবে বা স্বত্তাগতভাবে তিনি সর্বত্রে উপস্থিত একথা সত্য নয়।
আল্লাহ স্বত্তাগতভাবে কোথায় উপস্থিত তাতো কুরআনেই বলে দিয়েছেন।
তিনি আরশে আজীমে সমাসীন।
ধন্যবাদ
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
অাল-ইসলাম বলেছেন: এবিষয়ে একটি আলোচনা দেখুন...
https://www.youtube.com/watch?v=cyioM275oOU
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: ভাই আপনাকে ধন্যবাদ উত্তর দেওয়ার জন্য।আপনার উত্তর পুরোপুরো না হলেও মোটামোটি সন্তুষ্ট। আমার মনে ১টি প্রশ্ন ছিল। প্রশ্নটা এমন , আল্লাহ তাল্লাহা নামায এবং রোযার ক্ষেত্রে সূর্য কে ব্যবহার করেছেন। যেমন রোযার ক্ষেত্রে সূর্যাস্ত বা সূর্যাদ্য় প্রয়োজন। কিন্তু দেখা গিয়াছে উত্তর ও দক্ষিন মেরুতে বিশেষ করে শীত বা গরমকালে সূর্যাস্ত বা সূর্যাদ্য় হয় না ,হলেও সেটা নাম মাত্র।যার ফলে নরওয়ে কে বলা হয় নিশিথ সূর্যের দেশ। এসব এলাকার লোকেরা রোযার সময় নিকটবর্তী নগরের সাথে সময় মিলিয়ে সেহরী বা ইফতার সারে।
আমার কথা হলো আল্লাহ সবজান্তা তাহলে এমন ১টি সময় সূচি তিনি প্রর্বতন করলেন যা পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য হলো না কেন?
৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০
অাল-ইসলাম বলেছেন: ভাই, আল্লাহ যদি তেমন কোন সময় সূচী নির্ধারণ করতেন তাও মানুষ মানত।
তবে আল্লাহ চান, মানুষ যেন সহজে তাঁর হুকুম পালন করতে পারে।
তিনি মানুষের অন্তরটাই দেখেন, পরিস্থীতির আলোকে সর্বোচ্চ চেষ্টাই মূলত লক্ষ্যনীয়।
আমলের বেলায় অনিচ্ছাকৃত ভূল সমূহও আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।
আপনার ধারনা যে, আল্লাহ সবজান্তা হয়েও এবিষয়টি নিয়ে ভাবেননি?
আপনিই বলুন, কয়েক হাজার মানুষের জন্য একটি নিয়ম করলে যদি কয়েকশ কোটি মানুষের কষ্ট হয় তাহলে কোনটা ভাল?
বৃষ্টির কথাই ধরুন, কখনো বৃষ্টি হলে সাময়িকভাবে কারো না কারো একটু ক্ষতি হয়, আবার কারোর জন্য একই সময়ে বৃষ্টি খুবই অপরিহার্য্য। যার কিছুটা ক্ষতি হয়, তার এক দিক দিয়ে ক্ষতি হলেও অন্যান্য বহু দিকদিয়ে তারও উপকার হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০২
ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: আপনার উত্তর মনপুত হলো না।বৃষ্টি আর সূর্যদোয় বা সূর্যাস্ত এক জিনিস না। আল্লাহ আছেন এটা বিশ্বাস। তাই তিনি যেরকমই আদেশ দেন না কেন সেটা অবশ্র পালনীয়। কিন্তু যিনি মহান সষ্ট্রা তার নিখুত বিশ্লেষন আমাদের ঈমানী শক্তি বাড়িয়ে দেয় বৈকি। আর ইটা খুব সহজেই কর যেত যেমন উত্তর মেরুতে স্থলভাগ না রাখলেই হতো যেমন রাখা হয়নি দক্ষিন মেরুতে।অথবা সূর্যটাকে আর একটু বেশী উত্তরমূখী করা যেত।নতুবা অন্য একটা চাদ বা গ্রহের সাথে মিলিয়ে করা যেত। এমনি অনেক অনেক বিষয় ছিল।
তবুও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ উত্তর দেওয়ার জন্য। আমার ইচ্ছা আছে এই সব ব্যাপারে বিজ্ঞ কোন আলেম এর সাথে কথা বলার। আপনার কাছে যদি ভালো কোন আলেমের ঠিকানা থাকে তাহলে কৃতজ্ঞ থাকিব।
আমার আর একটি প্রশ্ন।
যেমন আমি বা আপনি আজ কোন মুসলিমের ঘরে জম্ন গ্রহন করেছি বলে মুসলিম। যদি অন্য কোন ধর্মের ঘরে জন্ম হতো তবে হয়তো সেই ধর্মের অনুসারী হতাম। যেটা সম্পূর্ন আল্লাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তার মানে আমি মুসলিম হবো কি হবো না সেটা আল্লাহ নিয়ন্ত্রন করছেন। আাবার আল্লাহ পাক বলেছেন ইসলাম ধর্ম ব্যতিত অন্যকোন ধর্ম গ্রহনযোগ্য নয় এবং তাদের স্থান জাহান্নাম। আমার কথা হলো যেটার জন্য আমি দায়ী নই সেটার জন্য তিনি আমাকে শাস্তি দিবেন কেন?
৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
অাল-ইসলাম বলেছেন: ভাই, বৃষ্টির বিষয়টি এখানে নিয়ে আসলাম যাষ্ট উদাহরন হিসেবে।
তবে আপনার উল্লেখিত বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা সবারই কর্তব্য।
মানুষকে আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে এবিষয়ে চিন্তা করারও উপদেশ দিয়েছেন।
এসকল বিষয়ে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দুই ধরনের ব্যাখ্যাই পাওয়া যায়।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার জন্য নেটে সার্চ করা যেতে পারে, আর যৌক্তিক ব্যাখ্যার জন্য বিভিন্ন অালেমের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।
এছাড়া ডা. জাকির নায়েক সাহেবের লেকচার থেকেও প্রথম এবং শেষ প্রশ্নের উত্তর সমূহ পেতে পারেন।
ধন্যবাদ।
৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৯
ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫
ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: আমাকে নাস্তিক ভাবার দরকারও নাই কিন্তু কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চাই
১।আরশ কি?
২।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সপ্তম আসমানের উপর উঠানো হয়েছি। আকাশের সংজ্ঞা কি, এর সিমানা কতদূর? কারন বিজ্ঞানিরা এখনও আকাশের সীমানা পাই নি?
৩।মহামহিম আল্লাহ তায়ালা প্রতি রাতে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন। তাহলে কথাহলো মহামহিম আল্লাহ সব সময় নিকটবর্তী আসমানে থাকেন কারন যে কোন সময় পৃথিবীর কোথাও না কোথাও রাতের শেষ তৃতীয়াংশ থাকে।
প্রশ্ন আরও আছে আজ শুধু আপনার বল্গ রিলেটেড প্রশ্ন করলাম শুধুমাত্র নিজের ক্ষুধা মিটানোর জন্য ।