মায়া সভ্যতার সর্ববৃহৎ ধ্বংসাবশেষ শহর তিকাল

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮

তিকাল হল প্রাচীন মায়া সভ্যতার সর্ববৃহৎ ধ্বংসাবশেষ শহর। বর্তমানে উত্তর গুয়াতেমালার পেতেন বাসিনে এটি অবস্থিত। এল পেটেন বিভাগে অবস্থিত, গুয়াতেমালার তিকালের জাতীয় পার্কের অংশ। ১৯৭৯ সালে এই স্থানটিকে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) পৃথিবীর ঐতিহ্য স্থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্র। তিকালের সবচেয়ে কাছে শহরগুলো হল ফ্লোরেস এবং সান্তা এলেনা, প্রায় ৬৪ কিলোমিটার বা ৪০ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত।তিকাল ছিল প্রাচীন মায়া সভ্যতার রাজধানী এবং সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী রাজ্যের একটি। যদিও তিকালের স্মৃতিসৌধ স্থাপত্যর বয়স খ্রীষ্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দী কিন্তু তার প্রাচীন সময় কালের প্রায় ২০০ থেকে ৯০০ খ্রীষ্টাব্দ ধরা হয়। সে সময়টি পুরো মধ্য আমেরিকা এলাকার জুড়ে মায়া অঞ্চলের রাজনৈতিকভাবে অর্থনৈতিকভাবে এবং সৈন্য বাহিনী দ্বারা প্রভাব বিস্তার করে। যেমন কেন্দ্রীয় মেক্সিকানের মধ্যে তেওতিউয়াকান প্রভাব বিস্তার করেছিল। প্রমাণিত হয় যে ৪র্থ খ্রীষ্টাব্দে তেওতিউয়াকানের দ্বারা তিকাল জয় করা হয়েছিল। প্রাচীন কালের শেষে দিকে নতুন কোনও গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিসৌধ তিকালতে নির্মাণ করা হয়নি ববং অভিজাত প্রাসাদগুলোকে পোড়ানো হয়েছিল।উত্তর গুয়াতেমালার মধ্যে, আপনি সেন্ট্রাল আমেরিকা প্রাচীন মায়ান রাজধানী তিকাল পরিদর্শন করতে পারেনl। ইতিহাসের বৃহত্তম মায়ান শহরগুলির মধ্যে তিকাল একটি ।
তিকাল শহরটি ঐতিহাসিক এবং বৈজ্ঞানিক চেনাশোনাগুলিতে অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে যেমন আপনি যদি মায়া বুঝতে চান তবে সত্যিকার অর্থে একটি স্থান। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ অবস্থান । সেন্ট্রাল আমেরিকান বৃষ্টি বনের ব্যাকড্রপের মধ্যে এককালীন শক্তিশালী নগরীর সঙ্কলন অবস্থান সত্ত্বেও তিকালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খননকার্যের স্থান। এই excavations বিস্ময়ের পরে আবিষ্কৃত হয়েছে, এবং তিকাল। উন্মুক্ত স্টেলা, পিরামিড, মন্দির এবং আবাসিক ডোমানগুলির মধ্যে সমৃদ্ধ। তিকালের বেশিরভাগ এখনও ঘন বনের নিচে সমাহিত করা হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।গবেষকদের মতে এমনও হতে পারে তিকাল সহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকা জুরে প্রায় এক মিলিয়ন অধিবাসীদের বাড়ি ঘর ছিল ।

৮ টি +২/-০