নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহনশীলতাই ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।

দেশ প্রেমিক বাঙালী

আমি একজন সাধারণ মানুষ। সর্বজন গ্রাহ্য মতামতকে প্রাধান্য দেই।

দেশ প্রেমিক বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০২৪, জুলাই। বাংলাদেশ ছাত্র অভ্যুত্থান। ফিরে দেখা।

০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫


১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এই সময় আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে আহত হন এবং হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর তাঁর মৃত্যুর ছবি, সেই দুই হাত প্রসারিত করা শেষ মূহুর্তের ছবি সবার মনে আছে। সেই জুলাই আসছে। কাজেই আমাদেরও ফিরে দেখার সময় এগিয়ে আসছে। একটা বছর তো কম নয়, কী চেয়েছিল বাংলাদেশ? কী পেয়েছে বাংলাদেশ? ভারতের আধিপত্যবাদ, অগণতান্ত্রিক নির্বাচন, ফেসিস্ট প্রশাসন এসবই তো নানান সমস্যা।

যখন সেই স্বৈরশাসন জনগনের অভিব্যক্তির গটা টিপে ধরে, খেয়ে পরে বাঁচবার স্বাধীনিতা কেড়ে নেয়, তার দুটো সবল হাতের জন্য কাজ জোটে না ঐ স্বৈরতন্ত্রের তৈরি করা বৈষম্যের জন্য, যখন সেই দম বন্ধ করা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আম আদমি তার ভবিষ্যৎকে দেখতে পায় না, ভবিষ্যৎ এক ঘসা কাঁচের ওপাশে হারিয়ে যায়। তখন সে প্রতিবাদ করে, কারণ খুঁজতে চায় আর খুঁজে বার করে ঐ যে এই উপমহাদেশে এক ভারতীয় আধিপত্যবাদকে, দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শেকড় গজিয়ে ওঠা এক প্রকান্ড স্বৈরতন্ত্রকে, তার বিরুদ্ধেই মানুষের প্রতিবাদ কখনও মিছিল আন্দোলন আলোচনাতেই শেষ হয়, কখনও তা অভ্যুথ্বান হয়ে ওঠে, সেদিন জুলাইয়ে সেটাই হয়েছিল।

গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত নির্বাচন, এক অবাধ, স্বাধীন, মুক্ত নির্বাচন। না হয় নি। কিন্তু কবে হবে? তা কি জানতে পেরেছে মানুষ? সেনা প্রধান বলছেন ডিসেম্বারের মধ্যেই চাই, সরকারের তরফে আগামী জুন মাসের মধ্যে করা হবে বলে জানানো হচ্ছে, বিএনপি চাইছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। মানুষ তো চেয়েইছিল এক অবাধ গণতান্ত্রিক নির্বাচন। আসেনি। কারণ কী? কারণ তারজন্য সংস্কার প্রয়োজন। একমত, সংস্কার দরকার। তো সেই সংস্কার কোন পথে হবে? কতটা হয়েছে, সেই সংস্কারের রোডম্যাপ কোথায়? কারোর জানা নেই। হ্যাঁ এখানেই আছে সমস্যা। মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সে প্রশ্ন আরও বড় আকার নেবে, নেবেই। কারণ এখনো অবাধ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের স্বাদ মানুষ পায়নি সেই কবে থেকেই, ১৫ বছর হয়ে গেছে। না, জুলাই অভ্যুথ্বানের মূল দাবি অবাধ স্বাধীন গণতান্ত্রিক নিরপেক্ষ নির্বাচন আজও হয় নি, কবে হবে তাও জানেন না সাধারণ মানুষ।

তবে সরকারের পক্ষথেকে পরিস্কার করার দরকার কি কি সংস্কার হয়েছে? কতটুকু হয়েছে এবং আরো কতটুকু করা প্রয়োজন?




আংশিক সংকলিত অনিকেত চট্রপাধ্যায়ের লেখা থেকে।


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:১৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আবু সাইদের ব্যাপারে যে কথা কেউ বলে না তা হলো। চাকুরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারা যাওয়া একজন সে। সে নিবন্ধন(মাদরাসা) তে পাশ করেছিলো। বোনের আশা ছিলো বিসিএস ক্যাডার হবে।

বাকি যারা মারা গেছে অধিকাংশ মানুষের বেকগ্রাউন্ড ভিন্ন।

০৪ ঠা জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আসলেই এই কথাটি কেউ বলেনা।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২১

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: এই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি মোটেও ভালো কিছু নয়।

০৪ ঠা জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতাই করাপ্টেড।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫৩

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: সেনাবাহিনী, সচিবালয়, নির্বাচন কমিশন সবইতো ফ্যসিস্টের দোসরদের দখলে। এই অবস্থায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন কি সম্ভব? এই পরিস্থিতিতে জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকার করা বিএনপির ( যাদের বর্তমান ভুমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ) কথায় যদি ডক্টর ইউনুস দ্রুত নির্বাচন দেন, তবে সেটা দেশ ও জুলাইয়ে নিহত শহীদদের রক্তের সাথে সরাসরি বেইমানি হবে। অন্তবর্তী সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে সব আগাছা ধীরে ধীরে পরিষ্কার করার জন্য।

০৪ ঠা জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমি আপনার সংগে শতভাগ সহমত। ডক্টর ইউনুসকে সময় দিতে হবে। যারা এখন নির্বাচন নির্বাচন করছে তারা গত ১৫ বছর কী ছিড়েছিলেন? এখন এতো তাড়া কেন?

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১

ফেনিক্স বলেছেন:



আমেরিকা ক্যউ করেছে, হাসিনাকে সরায়েছে, মাঝখানে ১৯৭১ সালের বিশ্বাসঘাতকদের উত্তরসুরীরা জাতীকে ধ্বংস করতে সাহায্য করতে গিয়ে মরেছে।

১৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: না কি জাতীকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে গিয়ে মারা গেছে।

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফেনিক্স@আবু সাইদের পরিবার অত্যন্ত গরীব। উহা অনার্স পড়ার সময়ে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়েছিলো। রেজাল্ট বের হওয়ার আগে মারা গিয়েছে। উহার বোনের স্বপ্ন ছিলো ভাই বিসিএস ক্যাডার হবে। কথিত আছে আবু সাইদ শিবিরের সাথী ছিলো। কিন্তু উহার পরিবারের সদস্যদের পোষাক দেখে একেবারেই তা মনে হয় নাই। আবু সাইদ ইউনিভার্সিটির পূর্বে শিবিরের সাথে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন। হয়তো আর্থিক ভাবে সহায়তা দিচ্ছিলো শিবির তাকে।

উহার আন্দোলনে অংশ নেয়া যৌক্তিক ছিলো। কিন্তু আম্লিক উহাকে নেশাখোর তকমা দিয়েছে।

১৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আম্লিক ভুয়া তকমা দিয়েছে।

৬| ০৫ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৬:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আবু সাইদ ছিল বলির পাঠা।

১৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পুলিশ আদিষ্ট হয়ে হত্য করলে কীভাবে বলির পাঠা হয়?

৭| ০৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩

রাবব১৯৭১ বলেছেন: ধর্মীয় দালালেরা আবু সায়ীদের বলির পাঠা বানিয়েছে।

১৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এখানে ধর্মের কোন সংযোগ ছিলনা, ছিল শুধু বঞ্চনা ও বৈষম্যের।

৮| ০৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: পুলিশ মারলো কারা? থানায় আগুন দিলো কারা? মেট্রোরেল ভাঙল কারা? সরকারি গাড়ি বাসে আগুন দিলো কারা?

১৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: উহা আম্লিগের ক্যাডার, টোকাই ও খ্যাপাটেরা করেছে ছাত্রদের কালিমা লেপনের উদ্দেশ্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.