নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতিকে অনুভব করার জন্য কাউকে চোখে দেখা বা তার কথা কানে শোনা বা পরিচয়ের প্রয়োজন পরে না। একজন লেখক তার অনুভূতি লেখার মাধ্যমেই প্রকাশ করে থাকে যা যে কোন অনুভুতিশীল ব্যাক্তির অনুভব করার জন্য যথেষ্ট

আমি দেলোয়ার

যে কোন বিষয়েই একাধিক মানুষের একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। আর এই দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমেই ফুটে ওঠে তার ব্যক্তিত্ব বা চরিত্র। তাই নিজের দৃষ্টিভঙ্গিটা ভালো করার চেষ্টা করুন না হলে কিছু অসুস্থ মস্তিস্কের ব্যক্তিদের কাতারে আপনার নাম লেখা হয়ে যাবে।

আমি দেলোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

চির সত্য ভবিষ্যৎ

২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৪০

রাতে কিছু চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পরলাম। ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় ৩ টা বেজে গেলো। ফজরের আযান হয়ে গেলো অথচ প্রতিদিনের মত আজ ঘুমটা ভাঙল না। এভাবে বেজে গেলো সকাল ১১ টা। তারপরও ঘুমটা খুব গভীর। ঐ দিকে একটু পরপর ঘুম থেকে উঠার জন্য ডাকা হছে। কিন্তু ঘুম আর ভাঙ্গে না। দুপুর ১ টা বাজে। ব্যাপারটা অস্বাভাবিক মনে হল সবার কাছে। এবার একটু কাছে গিয়ে ডাকা হল, কোন সাড়াশব্দও নিই। কেউ একজন চিৎকার করে কান্না জুরে দিল। বাড়ির অন্যান্য লোকেরাও ভয়ের সাথে বিছানার সামনে হাজির। তাদের মুখ দেখেই বোজা যায় তারা কতটা ভয়ার্ত। কেউ একজন বলল ডাক্তার আনতে। কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে লাগলেন। সবাই অধীর আগ্রহে ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে। এখন ডাক্তারই জেন একমাত্র আশার আলো। অবশেষে সব আশার আলোকে নিভিয়ে দিয়ে ডাক্তার হতাশার সুরে ঘোষণা দিলেন আল্লাহ তাকে জান্নাত নসীব করুন। ৫ সেকেন্ডের জন্য সবাই চুপ রইলো। তারপর পুরো ঘর জুড়ে কান্নার আওয়াজ। ধীরে ধীরে খোবর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল। মসজিদে এলান করা হল। বাসার সামনে অনেক মানুষের ভিড়। কেউ কেউ বলছে সে এই রকম ছিল, সে ঐ রকম ছিল। অনেক পরিচিত মুখ সবাই এক সাথে। অনেকেরই চোখে জল। ফেসবুকেও কথাটা জানাজানি হয়ে গেলো। সবাই শেষের পোস্টটাতে লাইক কমেন্টের বন্যা বইয়ে দিল। মৃত্যুর পরে জেন একজন বিখ্যাত কেউ। কেউ কেউ বলছে বন্ধু চলে গেলে, তোমাকে ভুলতে পারব না ইত্যাদি ইত্যাদি। এমনকি যে ছেলে বা মেয়েকে কখনো ম্যাসেজও করা হয়নি সে ও দুঃখ প্রকাশ করছে। অথচ আজ তাদের কমেন্টগুলো উত্তরহীন রয়ে গেলো।দুপুর গড়িয়ে বিকেল ৫ টা। জানাজার সব কাজ শেষ। এখন কবর দেয়ার পালা। এখনো অনেকেই কাঁদছে। তারপর কবর দিয়ে চির বিদায় জানাতে প্রস্তুত। ঠিক এই ভাবে ৩ অথবা ৪ দিন পর শোকটা কমে যাবে। আস্তে সবাই ভুলে যাবে। ধীরে ধীরে আমার অনুপস্থিতিতে সবাই অভ্যস্ত হয়ে যাবে। সবাই নিজ নিজ জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরবে। মাটি দেয়ার সময় হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে মটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হল। সবাই দয়া করে চলে যেতে লাগলো। এতক্ষণ ধরে সব কিছুই দেখছিলাম। অনেকবার ডাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন লাভ হইনি। এখন আর থাকার অনুমতি নেই। আমাকে যেতে হবে। আমকে যেতে হবে আমার কর্মের হিসেব দিতে। কেয়ামত পর্যন্ত এই কবরই হবে আমার একমাত্র বাসস্থান। এখন আল্লাহ ছাড়া কেই বা আছে আমার আপন জন!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.