![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে কোন বিষয়েই একাধিক মানুষের একাধিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। আর এই দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমেই ফুটে ওঠে তার ব্যক্তিত্ব বা চরিত্র। তাই নিজের দৃষ্টিভঙ্গিটা ভালো করার চেষ্টা করুন না হলে কিছু অসুস্থ মস্তিস্কের ব্যক্তিদের কাতারে আপনার নাম লেখা হয়ে যাবে।
যাদু হল এমন কোন বিষয় যা মানুষকে আকৃষ্ট করে। যা মানুষকে বোঝায় যা সে দেখছে বা শুনছে তা সঠিক। যা মানুষের অন্তরকে কেড়ে নিতে পারে। যা মানুষের অন্তরে কোন কিছুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাতে পারে। যা মানুষের চিন্তা, ভাবনা, চেতনা, কথা, কর্ম বাহ্যিক-অভ্যন্তরীণ এ দুই বিষয়েই নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। এটাই হল যাদু। আর যে যাদু করে তাকে বলে যাদুকর।
কবি বা লেখককেও যাদুকর বলা যেতে পারে। তারা হলেন একধরনের যাদুকর। এই কারণেই পাঠকরা তাদের লেখার মায়ায় জরিয়ে পড়ে। বলতে গেলে একপ্রকার সম্মোহিত হয়ে পড়ে তারা। সুন্দর সুন্দর লেখার মাঝে তারা হারিয়ে যায়। কাল্পনিক হোক বা বাস্তব, লেখার প্রতি তারা মন্ত্রমুগ্ধ হয় যেমনটা হয়েছিল হ্যামিলিয়নের বাঁশি-ওয়ালার সেই বাঁশির সুরে হ্যামিলিয়নের ছেলে মেয়েরা। তাদের লেখাগুলো পাঠকের মস্তিষ্কে প্রবেশ করে এবং তাদেরকে বিশ্বাস করায় যা ঐ লেখার মধ্যে ছিল। যার অক্ষর জ্ঞান যত বেশী পাঠকের উপর তার প্রভাব তত বেশী ফলে। পাঠক একসময় বিশ্বাস করতে শুরু করে এই লেখাটাই তার জীবনের একটি অংশ। তখন সে কল্পনা করতে থাকে। ঐ লেখার মাঝে নিজের কোন এক চরিত্রকে খুঁজে পায়। নিজেকে ভাবতে থাকে সে রকম করে। লেখক তখন সক্ষম হয় পাঠকের অন্তরে প্রবেশ করতে। পাঠক তখন জাদুমন্ত্রে সম্মোহিত একজন।
দুইজন কবি বা লেখকের উদাহরণ দিতে চাই এখানে। কাজী নজরুল ইসলাম যাকে বিদ্রোহী কবি বলা হয়। তিনি লেখার এই যাদুকে আয়ত্ত করতে পেরেছিলেন। তার লেখা কবিতা, গল্প এখনো মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করে। এখনো তার কবিতাগুলো পড়লে শীতল হয়ে যাওয়া রক্ত গরম হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের আরেকজন লেখক যাকে বলা হয় নন্দিত কথা সাহিত্যিক। তিনি হলেন হুমায়ূন আহমেদ। তার সৃষ্টি হিমু বাস্তব কেউ না হলেও তা এখনো পাঠকের মনে জায়গা করে রয়েছে। নিজেকে হিমু ভাবে বা হিমুর চরিত্রকে নিজের সাথে মিলিয়ে নিয়েছে এমন পাঠক অনেকেই আছে। এইগুলো যাদুকরের যাদু ছাড়া আর কি!
পরিশেষে বলতে চাই, লেখার এই যাদু যতটা মঙ্গলজনক তততাই বিপদজনক। কারণ এই যাদু, লেখক কতটা সঠিক এবং কতটা ভুল তার উপর বিবেচনা করেই মঙ্গল অথবা অমঙ্গল ডেকে আনে। লেখার যাদু জানে এমন কেউ সহজেই পাঠকের মস্তিকে প্রবেশ করতে পারে এবং পাঠককে তাই চিন্তা বা বিশ্বাস করাতে পারে যা সে করাতে চায়।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
আমি দেলোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে। এত কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য। এভাবেই পাশে থাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৭:২২
কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: দারুণ বলেছেন