![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমায় ভালেবেসে সারাটি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই, তোমার আগে পরপারে আমি যেতে চাই
প্রথমে তিনটি ঘটনা শেয়ার করি।
ঘটনা ১ – একটি ২৪/২৫ বছর বয়সের ছেলে, পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা সুবিধার না, এই আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য ছেলেটিকে তার মা ও আত্বীয়স্বজন মিলে ধার কর্য করে বিদেশে পাঠান। কয়েকবছর ছেলেটি পরিবারের অবস্থা উন্নয়নে জানপ্রাণ কষ্ট করে। অনেকগুলো ভাইবোনের সংসারে তার সে চেষ্টা কিছুটা হলেও সফলতার মুখ দেখে। সে যেখানে থাকে সেখানে পানি খুব অপ্রতুল হওয়াতে পানি কম খেত এর ফলে একসময় তার জন্ডিস দেখা যায়। মালিকপক্ষ তার সামান্য কিছু প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে, কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়না। পরবর্তীতে কাজে আগের মতো দক্ষতা দেখাতে না পারায় তাকে ঐ বিদেশী কোম্পানি থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে তার পরিবার তার পরবর্তী চিকিৎসা করতে গেলে তখন ধরা পড়ে যে জন্ডিস এর চিকিৎসা ভালমতো হয়নি তার ফলে তার কিডনি স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। তার রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা ছিল ২৫। এই ছেলেটির সাথে আমাদের দেখা হয় বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাকে তখন ইমারজেন্সি বেসিসে হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়া হয়। তখন তাকে প্রায় ১০/১৫ দিনের মতো হাসপাতালে থাকতে হয়। বাংলাদেশে কিডনি রোগীদের চিকিৎসা যেরকম ব্যায়বহুল তাতে তার পরিবারের জন্য ঐ ১০/১৫দিন হাসপাতালে থেকে যাবতীয় চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করা কতটা কষ্টসাধ্য ছিল তা ওর মায়ের বিভিন্ন সময়ে ওদের এলাকার অর্থ ও প্রভাবপ্রতিপত্তি সম্পন্ন লোকজনকে ফোন করে আর্থিক সাহায্য চাইতে দেখে বুঝতে পেরেছি। প্রাথমিক বিপদটা কাটিয়ে উঠার পর ওরা খুব দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছিল কারন বাড়তি একটি দিন কাটানো ওদের জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছিল।
ঘটনা ২ – এই ছেলেটির বয়স খুব বেশী হলে ১৫/১৮ বছর হবে। ওর ব্যাপারে এতো বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়নি। কারন সেলিমের ডায়ালাইসিস পিরিয়ড যখন প্রায় শেষের দিকে তখন এই ছেলেটি বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলো। ছেলেটির বাবা পেশায় কৃষক। কিভাবে তার কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে সেটা বিস্তারিত জানা হয়নি। তবে প্রথম যেদিন ওর ব্যাপারে জানি সেদিন ডায়ালাইসিস ইউনিটের ডক্টর ও নার্সদের কাছ থেকে জানতে পারি ছেলেটি ডায়ালাইসিসের জন্য যে ক্যাথেডার করা লাগে সেটা করাতে রাজী হচ্ছেনা ভয় পাচ্ছে বলে। ক্যাথেডার করানোটা একটু কষ্টদায়ক ও বটে। একটি রাবারের নল গলা বা পা বা তলপেটের কাছে একটি ধমনি ও শিরার সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয় যার মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করে ডায়ালাইসিস মেশিনের মাধ্যমে রক্ত পরিশোধিত করে আবার তা শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। বাচ্চা একটা ছেলে এই প্রসেসটাতে যেতেই ভয় পাচ্ছিলো। ডক্টর ও নার্সদের অনেক বোঝানোর পর সে ক্যাথেডার করাতে রাজী হয়। ডায়ালাইসিসের সময় একধরণের ব্লাড লাইন ব্যাবহার করা হয় যার মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত টেনে মেশিনের মাধ্যমে পরিশোধন করা হয়। প্রথম প্রথম যাদের ডায়ালাইসিস করা হয় তাদের ক্ষেত্রে এই ব্লাড লাইন একবার ব্যবহার করা ভালো। ছেলেটির দরিদ্র কৃষক বাবা জানিনা সে কত টাকা নিয়ে ঢাকা শহরে ছেলের চিকিৎসা করাতে এসেছিলো। ছেলেটির ২য় দিন ডায়ালাইসিসের সময় সেলিমের ও ডায়ালাইসিসের ডেট ছিল। ঐ দিন ছেলেটিকে যখন ডায়ালাইসিসের জন্য আনা হল তখন নার্স ব্লাড লাইনের খোঁজ করতে লাগলো। ছেলেটির বাবা বলল ঐ দিনতো কিনে আনলাম। নার্স তখন বলল ঐ দিনেরটাতো ঐ দিন ব্যাবহার করা হয়েছে আজকে নতুন লাগবে। অল্পশিক্ষিত দরিদ্র কৃষক বাবা তখন নার্সকে অনুরোধ করে বলে ওইটা আরেকবার ব্যাবহার করা যায়না? একটা ব্লাডলাইনের দাম ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা। এতো অল্প বয়সের একটা ছেলে যেখানে ডায়ালাইসিসের খরচ ঠিকমত জোগাড় করা ওর পরিবারের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে সেখানে কতদিন ওর পরিবার এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালাতে পারবে ওরা আর ওদের আল্লাহই জানেন।
ঘটনা ৩ – এই ছেলেটির বয়স আনুমানিক ২৫/২৬ বছর, ওর নাম মারুফ। নার্স মারফত জানতে পারি যে মারুফ গত ২ বছর ধরে ওখানে ডায়ালাইসিসের জন্য আসে। আমরা খুব অবাক হই এই ভেবে যে ডক্টররা যেখানে আমাদেরকে সেলিমের চিকিৎসার শুরুর দিকেই কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা চিন্তা করতে বলেন সেখানে এই ছেলেটিকে কেন বলেননি বা বললেও এই ছেলেটি কেন তা করাচ্ছেনা। এই ছেলের টাকাপয়সাজনিত কোন সমস্যা ছিলোনা। পরে কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে একদিন আমি ওর সাথে কথা বলি, তখন জানতে পারি যে ও কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা ভেবেছে কিন্তু ওকে কিডনি দেয়ার মতো কেউ নেই। ওর ছোট এক বোন ও এক ভাই আছে। বোনের বিয়ে হয়েছে কিছুদিন আগে। ভাই অনেক ছোট ও ভাইয়ের রক্তের গ্রুপ মারুফের রক্তের গ্রুপ এক না। আর বাংলাদেশ সরকারের আঈন মোতাবেক যে নয়টি ক্যাটাগরির কিডনি দাতাদের কাছ থেকে সে কিডনি নিতে পারবে তার মধ্যে কেউ নেই ওকে কিডনি দেয়ার মতো।
কিছুদিন আগে সেলিমকে নিয়ে ডঃ এর কাছে গিয়েছিলাম রেগুলার চেকাপের জন্য। পপুলার হাসপাতালের প্রফেসর ডঃ নিজামুদ্দিন চৌধুরী নেফ্রলজিস্ট এখন ওর কিডনি ভালো রাখার জন্য যা কিছু করা দরকার সেই অনুযায়ী সব করছেন এবং আমাদের দিয়ে করাচ্ছেন। ওনার কাছে শুনলাম পপুলার হাসপাতালে তিনজন ক্লায়েন্ট পুরোপুরি রেডি হয়ে গিয়েছিলো ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশনের জন্য। অপারেশনের আগে কিডনি দানকারীর রেনোগ্রাম করে দেখা হয় যে তার কোন কিডনিটা বেশী কর্মক্ষম। কর্মক্ষম কিডনিকে বাদ দিয়ে অন্য কিডনিটি প্রতিস্থাপন করা হয় কিডনি গ্রহণকারীর শরীরে। ঐ পরীক্ষায় দেখা যায় যে ডোনারের একটি কিডনি কর্মক্ষম এবং অন্যটির আকার কিছুটা ছোট ও তেমন কর্মক্ষম নয়। পরে শেষ মুহূর্তে বাধ্য হয়ে ডক্টররা ঐ ক্লায়েন্টের ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশনের চিন্তা বাদ দেন। এভাবে অন্য দুজন ক্লায়েন্টের ক্ষেত্রেও কোন একটা সমস্যা দেখা যাওয়াতে তাদের অপারেশান শেষ পর্যন্ত করা যায়নি। এখন প্রশ্ন হল আর্থিকভাবে অক্ষম বা সক্ষম এই মানুষগুলো কি করবে? অপারেশান করার যাদের সামর্থ নেই তাদের ও তাদের পরিবারের বসে বসে পরিবারের প্রিয় একজন সদস্যের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আর যারা সক্ষম তাদের এই আঈনের মারপ্যাঁচে পড়ে রক্তসম্পর্কের বাইরের কারো কাছ থেকে কিডনি না নিতে পেরে এদেরও মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিই বা করার আছে।
এই অসহায় মানুষগুলোর কথা ভাবতে গিয়েই আমার মনে হয়েছে আমাদের দেশে মরণোত্তর অঙ্গ দানের প্রচলন যদি থাকতো তাতে এই লোকগুলোর জন্য কিছুদিন বেশী বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হয়তো থাকতো। বাংলাদেশে মৃত ব্যক্তিদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার৷ কেননা, মৃত্যুর আগে কেউ তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দানের অঙ্গীকার করলেও মারা যাওয়ার পর তাঁর স্বজনরা এ ব্যাপারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আগ্রহী হননা৷ এ ছাড়া এই ব্যাপারটি নিয়ে তেমন মাথাও ঘামানো হয়না৷ তাই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের সুস্থ লিভার বা কিডনি সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না৷ পাশাপাশি আমরা বাঙ্গালীরা খুব আবেগপ্রবণ একটা জাতী। আমাদের বা আমাদের পরিবারের কারো মৃত্যুর পর তার শরীর নিয়ে কাটাকাটি করা হবে এই চিন্তাটাই মনে হয় আমাদের মধ্যে বেশী কাজ করে। কিন্তু মৃত মানুষটির একটি অঙ্গ ব্যাবহার করে আরেকটি মানুষ ও তার পরিবার হাসিমুখে বেঁচে থাকতে পারে এই চিন্তাটা আমাদের মধ্যে তেমন প্রভাব ফেলেনা। মৃত মানুষটির শরীর হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই গলে মাটিতে মিশে যাবে। কিন্তু মরার পরে ঐ মানুষটি যদি অন্যের উপকারে আসে তাহলে তার মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যদের বাইরেও অন্য মানুষগুলো তার জন্য দোয়া করে যাবে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী অঙ্গদানের ব্যাপারে কোথাও পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা না থাকলে তা অনুমোদনযোগ্য৷ এই নীতি সম্পর্কে যাদের কোনো ধারণা নেই, তারা এ ব্যাপারেও দ্বিধায় পড়েন । ইসলাম ধর্মতত্ত্বের প্রফেসর সাইম ইয়েপ্রেমের ভাষায়, ‘‘সমাজ যদি মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারে, বুদ্ধিদীপ্ত ধর্মবিদ ও শিক্ষাবিদরা মানুষের চোখ খুলতে পারেন, তাহলে অঙ্গদানের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে৷'' সৌদি আরবে কিন্তু অঙ্গদান বেশ প্রচলিত , বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও-র তথ্য অনুযায়ী গত কয়েক বছরে দেশটিতে অঙ্গদান ও অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে৷ বহু মানুষের জীবনও রক্ষা পাচ্ছে এতে। উন্নত দেশগুলোতে অঙ্গদান গর্বের বিষয় হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশে এ ব্যাপারটি এখনো প্রায় অজানা। তবু কিছু ব্যক্তি ইতিমধ্যে তাদের শরীর বাংলাদেশের নানা সংস্থা ও হাসপাতালকে দান করে গেছেন, যা হস্তান্তর করা হয়েছে তার মৃত্যুর পর। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। তবে এখানে শুধু চক্ষু দান ও প্রতিস্থাপন নিয়ে কাজ করা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের সরকারকে ও শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমার মনে হয় সরকারের পক্ষ থেকে বা সাধারণ শিক্ষিত মানুষজন এ ব্যাপারে ইতিবাচক প্রচার প্রচারণা চালালে কিছু অসহায় মানুষ অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে।
ওপরের ঘটনাগুলো সম্পর্কে ভাবতে গিয়ে আবারো উপলব্ধি করলাম আল্লাহ আমাদের কত বড় ভাগ্য দিয়ে পাঠিয়েছেন দুনিয়ায়। এমন জীবন মরণ সমস্যায় আমাদের পড়তে হয়েছিলো যে তখন আমার সবচেয়ে বড় সহায় আমার জীবনসঙ্গীকে আমি হারিয়ে ফেলি কিনা এই আশঙ্কায় প্রতিটি মুহূর্ত কাটাতে হয়েছে। সেই অবস্থা থেকে পরম করুণাময় আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন। তাঁর দরবারে হাজার কোটি শুকরিয়া জানাই। আর অনেকে সেলিমের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি সেলিম এখন ভালো আছে, নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছে। অপারেশানের তিন মাস পার হয়েছে আল্লাহর রহমতে কোন সমস্যা ছাড়াই, সামনের আরও ৩টা মাস আমাদেরকে সাবধানে থাকতে হবে। দোয়া করবেন সবাই আমাদের জন্য।
*** পোস্টের প্রয়োজনে ডাক্তারি শাস্ত্রের অনেক বিষয় উল্লেখ করতে হয়েছে, সব পয়েন্ট নির্ভুল ভাবে তুলে ধরতে পেরেছি কিনা জানিনা। কোন ভুল থাকলে ডক্টর ব্লগারগণ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বা ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
আমি ইহতিব বলেছেন: না ভাইয়া আমি ডাক্তার না, তবে ফেব্রুয়ারী মাস থেকে আমার স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে ডাক্তারী অনেক বিষয় জেনেছি। সেই জ্ঞানই এখানে শেয়ার করেছি।
আমার স্বামীর কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট যিনি করেছেন পপুলার হাসপাতালের প্রফেসর ডঃ এস এ খান তিনি এই বিষয়টা নিয়ে ভাবছেন এবং কিছু করার চেষ্টা করছেন। তার চিন্তা ও আমাদের চিন্তা মিলিয়ে আমার এই লেখা।
ভালো থাকবেন ও দোয়া করবেন আমদের জন্য।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
একজন আরমান বলেছেন:
আমিও এটা নিয়ে ভেবেছি। আমার পরিবার রাজি হলে আমিও দান করবো ভেবে রেখেছি।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
আমি ইহতিব বলেছেন: জেনে অনেক ভালো লাগলো আরমান, তুমি আবার প্রমাণ করলে যে তুমি কত বড় মনের অধিকারী। ভালো থেকো সবসময়।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
বোকামন বলেছেন:
সময়োপযোগী খুব ভালো একটি সচেতনতামূলক পোস্ট।
এমতাবস্থায় আমাদের করণীয় পোস্টে উল্লেখ আপনি করেছেন। সহমত
মাহে রমজানের এই বরকতময় সময়ে, মোনাজাত করলাম-আল্লাহ আপনাদের পেরেশানি মুক্ত করুন ও দ্রুত আরোগ্যতা দান করুন।
আস সালামু আলাইকুম।।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বোকামন। অঙ্গদান সংক্রান্ত একটা সংগঠন করার প্রাথমিক কিছু চিন্তাভাবনা চলছে। প্রয়োজনে পাশে পাবো আশা করি।
ওয়ালাইকুমুসসালাম।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা বিষয় তুলে এনেছেন। আমি ঠিক জানি না এই বিষয়ে ধর্মীয় বিধি নিষেধ আছে কিনা। তবে আমার দ্বারা যদি কারো উপকার হয় তাহলে সেটা আমি করতে রাজি।
@আরমানঃ মাশাল্লাহ খুব ভালো লাগল। আপনি তো ইতিমধ্যে অনেক জনকে হৃদয় দিয়ে এই অংগদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করেছেন। +
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাভা ভাই। প্রয়োজনে আপনাকে পাশে পাবো আমি জানি।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রয়োজনে পাশে থাকবেন আশা করি।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো পোস্ট ++++++++++++++
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। প্রয়োজনে পাশে থাকবেন আশা করি।
৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
আম্মানসুরা বলেছেন: আমি মরণোত্তর অঙ্গ দানে আগ্রহী, কিন্তু আমার স্বামীকে কিছুতেই রাজি করাতে পারছিনা।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০০
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো জেনে যে আপনি অঙ্গদানে আগ্রহী, আপনার স্বামীকে এই মহৎ চিন্তার সাথে সম্পৃক্ত করতে পারেন কিনা চেষ্টা করে দেখুন।
৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
সর্বনাশা বলেছেন:
একটি অত্যন্ত জরুরী বিষয় সামনে নিয়ে এসেছেন। আমি জানিনা ধর্ম কি বলে, তবে এটা বিশ্বাস করি যে, যদি ঈশ্বর পরম করুণাময়ই হয়ে থাকেন, তবে তা নিশ্চয়ই পূণ্যের কাজ, বিলক্ষণ।
বহু আগেই স্থির করেছিলাম, শরীরের প্রত্যঙ্গগুলো দান করে যাওয়ার। আল্লাহ্ আমাকে সেই সামর্থ্য দিন, আমীন।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার বিশ্বাসের সাথে আমিও একমত।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে অঙ্গদানে সামর্থ্য দিন, আমীন।
৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অঙ্গদান একটা গর্বের বিষয়। অবশ্যই।
ভাল বিষয় তুলে এনেছেন।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর।
১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা বিষয় তুলে এনেছেন। আমি ঠিক জানি না এই বিষয়ে ধর্মীয় বিধি নিষেধ আছে কিনা। তবে আমার দ্বারা যদি কারো উপকার হয় তাহলে সেটা আমি করতে রাজি।
@আরমানঃ মাশাল্লাহ খুব ভালো লাগল। আপনি তো ইতিমধ্যে অনেক জনকে হৃদয় দিয়ে এই অংগদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করেছেন।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১১
আমি ইহতিব বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অভি ভাই, প্রয়োজনে পাশে পাবো আশা করি।
১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সচেতনতামূলক বিষয় তুলে এনেছো বীথি। আমার জানামতে ধর্মীয় কোন বিধি নিষেধ নেই এই বিষয়ে এবং আমি আগ্রহী অঙ্গদানে। আমি আমার চোখ দুটো দান করার জন্য একটা ফর্ম নিয়েও ছিলাম অনেকদিন আগে সেখানে পরিবারের দুজন এবং প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার গ্যারান্টি লাগে। আমার পরিবার থেকে রাজিই ছিলো কিন্তু বাদ সাধে আমার প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা ফুফু তাই আর তখন করা হয়ে উঠেনি। দিতে আসলে অনেকেই চায় কিন্তু এত প্রসেসিং এ সব মাঠে মারা যায়। আমার অঙ্গ আমি যাকে খুশি দিবো তাতে অন্যের অনুমোধন কেন লাগবে !! এখন এত পদ্ধতি আরো সহজ করেছে কিনা জানি না। কারো জানা থাকলে শেয়ার করবেন।
বীথি এই বিষয়ে কোন সচেতনতা তৈরি করতে চাইলে পাশে আছি।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
আমি ইহতিব বলেছেন: আপনাদের মতো মহৎ হৃদয়ের অধিকারী মানুষগুলো এই বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করবেন এটা আমি জানি। পাশে আছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। এ বিষয়ে কোন আপডেট থাকলে জানাবো ভাইয়া।
১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা বিষয় তুলে এনেছেন। আমি ঠিক জানি না এই বিষয়ে ধর্মীয় বিধি নিষেধ আছে কিনা। তবে আমার দ্বারা যদি কারো উপকার হয় তাহলে সেটা আমি করতে রাজি।
@আরমানঃ মাশাল্লাহ খুব ভালো লাগল। আপনি তো ইতিমধ্যে অনেক জনকে হৃদয় দিয়ে এই অংগদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করেছেন।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
আমি ইহতিব বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। প্রয়োজনে পাশে পাবো আশা করি।
১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৩
নভোচারী বলেছেন: অঙ্গ দান করলে তা কতদিনের ভেতর প্রতিস্থাপন করতে হয় তা বলতে পারেন?
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
আমি ইহতিব বলেছেন: এ ব্যাপারে আমার সঠিক ধারণা নেই, আশা করি ডাক্তার ভাইয়া ও আপুরা এবিষয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারবেন।
১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৩
একজন আরমান বলেছেন:
@কা_ভা, অভি, কান্ডারীঃ
আমি একজনকেই হৃদয় দিয়েছিলাম।
সিরিয়াস পোস্টে ফান না করলেই কি নয়?
ফান করার জন্য তো ফান পোস্ট আছেই !
১৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষন চমৎকার । মরণোত্তর অঙ্গ দানে সচেতনতা তৈরির জন্য সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের এগিয়ে আসা দরকার ।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই, প্রয়োজনে পাশে থাকবেন আশা করি।
১৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:০৬
ইউসুফ কামাল বলেছেন: অঙ্গদান করার ব্যাপারে কোরাআন কিংবা হাদীসে সরাসরি অনুমোদন বা নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে কোন আয়াত নাযিল হয় নি বা হাদীসও পাওয়া যায় নি। ১৯৭০ সালে মায়লশিয়াতে ওলামাদের একটি সম্মেলন হয় এবং সেখানে ওলামাগণ তিনটি মূল শর্তপূরণ হবার সাপেক্ষে অঙ্গদানের পক্ষে মত দেন।১ শর্তগুলো হল:
১. একজন মুসলিম তার অঙ্গদান করতে পারবেন যদি সেই অঙ্গদানের কারণে যদি তার নিজের জীবন বিপন্ন না হয় বা বড় ধরণের স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতি না হয়।
২. জীবিত দাতার ক্ষেত্রে অঙ্গদানের পরও যদি দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ই স্বাভাবিক জীবন করতে পারেন। (যেমন; দুটো কিডনির মধ্যে একটি দান করা)
৩. এই অঙ্গদানের বিপরীতে দাতা কোনরকম আর্থিক বা সমজাতীয় সুবিধা আশা না করেন/ গ্রহণ না করেন। (অঙ্গ বিক্রি করা হারাম)
পরবর্তীতে অঙ্গদান করার ব্যাপারে ১৯৮৮ সালে জেদ্দায় ইসলামিক ফিকাহ একাডেমীর (OIC -এর ফিকাহ বিভাগ) চতুর্থ কনফারেন্সে,২ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের নানা পরিসংখ্যান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার পর যে সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয় সেটি আগের সিদ্ধান্তেই একটু বিস্তারিত রূপ। এইখানে বলা হয়েছে:
"Organs from the deceased can be transplanted to a patient, where the life of the recipient depends on the transplant, or if the continuation of the basic bodily functions of the recipient depends on the transplant. This is however, dependent on the deceased’s consent, or that of his next-of-kin after his death, or by the decision of the leaders of the Muslim community, should the deceased be unidentified, or does not have any next-of-kin." ৩
এই সম্মেলনে পাস করা রেজ্যুলিউসন অনুযায়ী "অঙ্গ"-কে "কোন ব্যক্তির শরীরের যে কোন অংশ" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছ। ৪ অর্থাৎ, রক্ত, কোষ, টিস্যু, চামড়া থেকে শুরু করে কিডনি, লিভার, কর্নিয়া -সবই এর অন্তর্ভুক্ত। জীবিত বা মৃত যে কেউই এই দান করতে পারবেন যতক্ষণ সেটা মূল তিনটি বিষয়ের কোনটির সাথে সাংঘর্ষিক হচ্ছে (মরণোত্তর দানের ক্ষেত্রে ১ নং শর্ত এমনিই পূরণ হচ্ছে, কারণ এই দানের ফলাফল হিসেবে তার জীবন বিপন্ন হচ্ছে না)।
সেইসাথে ড. জাকির নায়িকের মতামতে দেখলাম তিনি কোরআনের সুরা মায়েদার ৩২ নম্বর আয়াত: "যে একজন মানুষের জীবন রক্ষা করল, সে যেন সমগ্র মানবজাতির জীবন রক্ষা করল" -এর রেফারেন্স দিয়ে বলছেন ৫ এই অঙ্গদান মুসলিম এবং অমুসলিম নির্বিশেষে সকলেই করা যেতে পারে।
অতীতে "অঙ্গদান করা যাবে না" এই রকম একটা মনোভাব ছিল যার প্রধান প্রভাব ছিল এই উপমহাদেশের ওলামাদের মধ্যেই। আধুনিককালে মোটামুটি সব ওলামাদের মত একই রকম। সবার মতামত নিয়ে Islamic Religious Council of Singapore এর "Islamic rulings on Organ Transplant and Organ Donation" শিরোনামে একটি কম্প্রেহেনসিভ প্রকাশনা রয়েছে। ৬
সূত্র:
১. Click This Link.
২. http://islamqa.info/en/ref/107690
৩. Majma’ Al-Fiqh al-Islami: Qararat Wa Tausiyat, 1985-1988, Page 58.
৪. http://islamqa.info/en/ref/107690
৫. http://www.youtube.com/watch?v=AMmfL-FVRYY
৬. Click This Link kidney book ENG.pd
এখান থেকে কপি করাঃ Click This Link
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কামাল ভাই এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
১৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমাদের মধ্যে অঙ্গদান নিয়ে বিভিন্ন ধরণের সংস্কার কাজ করে। আত্মীয়-স্বজন ভাবেন তাদের প্রিয় মানুষটির দেহকে কেটে ছিঁড়ে কষ্ট দেয়া হবে। আমি যখন মরণোত্তর চক্ষুদানের ফর্ম ফিল আপ করতে চাইছিলাম, আমার বাবা কিছুতেই রাজি হন নি। শেষ পর্যন্ত তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন আমরা এই অনুমতি দিতে পারবো না, বিয়ে করো, স্বামীর অনুমতি নিয়ে যা খুশি করো।
এই মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। শুরু করতে হবে নিজেরদেরই।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
আমি ইহতিব বলেছেন: ভালো বলেছেন। মানসিকতার পরিবর্তনই পারে অঙ্গদানকে আরো ইতিবাচক ও গ্রহণযোগ্য করতে। সচেতনতা ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।
১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আপু, চমৎকার একটা পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমার মৃত্যুর পর যদি আমার কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে আর একটা মানুষ আরো কিছুদিন পৃথিবীর আলো বাতাসের স্বাদ পায়, তাতে ক্ষতি কি? আমি বরং খুশিই হব। অনেকদিন ধরে ভাবছি, মরণোত্তর চক্ষুদান ও অন্যান্য অঙ্গ দান করে যাব। আপনার কি জানা আছে আপু এটা কোথায় করা যাবে?
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
আমি ইহতিব বলেছেন: না ভাই আমার এ ব্যাপারে বেশী কিছু জানা নেই। তবে আমি চেষ্টা করবেো জেনে তারপর আপনাকে জানাতে। আর আপনাকে অনেক বড় করে ধন্যবাদ দিতে চাচ্ছি কারন আমার এই পোস্টটা দেয়ার পেছনে আপনার অবদানও আছে। এই বিষয়টা নিয়ে ভাবছিলাম অনেক আগে থেকেই কিছু অংশ লিখেও রেখেছিলাম, ব্যাস্ততার কারনে শেষ করতে পারছিলামনা। আপনি আপনার পোস্টে জানতে চেয়েছিলেন যে নতুন কোন লেখা নেই কেন অনেকদিন ধরে, তখনই ভাবলাম না এবার লেখাটা শেষ করতেই হবে।
এমনিতে অনেক বিষয় মাথায় ঘুরে বেড়ায়, রাতে ঘুমাতে গেলে তখন আরো বেশী করে ঘুরে। কাজের ব্যস্ততায় লেখা হয়ে উঠেনা। আর আজকাল যে ভালো ভালো লেখা সামুতে আসছে তাদের লেখনীতে মুগ্ধ হয়ে ভাবি আমি কি সব ছাইপাশ লিখছি
২০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
জুন বলেছেন: মরনোত্তর অংগদানের ব্যাপারে আমাদের এই কুসংস্কার আর ভ্রান্ত ধারনা থেকে কবে যে বের হয়ে আসতে পারবো জানিনা। আপনার জীবনের কাহিনী পড়ে অনেক কষ্ট লাগলো আমি ইহতিব। এর আগের পোষ্টটিও পড়েছি কি লিখবো কি সান্তনা দেব ভেবে আর কিছু লেখা হয়নি। তাছাড়া আমি নিজেও অসুস্থ থাকায় ব্লগে থাকা হয়নি বিশেষ। দোয়াকরি আপনার স্বামী যেন পরিপুর্ন সুস্থ হয়ে যান।আপনার জীবন সহজ স্বাভাবিক হয়ে উঠুক।
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
আমি ইহতিব বলেছেন: এখন কেমন আছেন আপু?
আমার পোস্ট পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। সেলিম এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছে আলহামদুলিল্লাহ। তবে অনেক ঔষধের উপর আছে আরকি, আরো ৩ মাস এমন মেডিকেশন ও নিয়ম কানুনের মধ্যে চলতে হবে। তারপর ঝুঁকি কিছুটা কমবে। দোয়া করবেন আপু আমাদের জন্য।
২১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... ভাববার মত একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন... +++
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জহির ভাই।
২২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
না পারভীন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট । মরণোত্তর চক্ষু প্রিজার্ভের ব্যবস্থা আছে কিন্তু কিডনি , লিভার ব্যবস্থা আছে কিনা জানিনা । নাকি সাথে সাথে ট্রান্সপ্লান্টের ব্যবস্থা করা হয় ? জানতে ইচ্ছা করছে ।
১৫ তম ভাল লাগা ।
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আমিও ঠিক জানিনা কিডনি লিভার প্রিজার্ভেশনের ব্যবস্থা আছে কিনা। পপুলার হাসপাতালের ইউরোলোজিস্ট প্রফেসর ডঃ এস এ খান এসব নিয়ে অনেক ধরে চিন্তা ভাবনা করছেন। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো কোন না ব্যবস্থা হবে ইনশাআল্লাহ।
২৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৪
মুদ্দাকির বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট +++++++
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৪
না পারভীন বলেছেন: ঈদ বয়ে আনুক প্রতিটি দিনের জন্য অনাবিল আনন্দ । ঈদ মোবারক বিথি ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু, যদিও অনেক দেরী হয়ে গেলো তবু আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাই।
২৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
আরজু পনি বলেছেন:
আমরা ধর্মভয়েই অনেক সময় এসব কাজ থেকে পিছিয়ে যাই ।
তাই ধর্মতে যদি অসুবিধা না থাকে তবে তার প্রচার বেশি বেশি হ্ওয়া উচিত বলে মনে করি ।
আর কিডনি ভালো রাখতে কি কি করণীয় তা আগের কোন পোস্টে দিয়ে না থাকলে আশা করি একটা পোস্ট দিবেন এই বিষয়ে...তাতে অনেকেরই কাজে আসতে পারে ।।
প্রিয়জনদের নিয়ে অনেক ভালো থাকুন ইহতিব ।।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পনি আপু।
কিডনি ভালো রাখতে কি কি করণীয় তা মনে হয় আমার চেয়ে ডঃ আপু ও ভাইয়ারা ভালো বলতে পারবেন, আর নেটে তো আছেই অনেক অনেক তথ্য, পোস্ট দিলে হয়তো কপি পেস্ট পোস্টই দিতে হবে তাই আর দিচ্ছিনা আপু। আরেকটা ইস্যু হোল আমরা যে হারে ভেজাল খাচ্ছি কিসে যে ভালো থাকবো বুঝিনা, কিডনি না ধরলে হয়তো অন্য একটা অঙ্গ ধরবে, তাই কোন কিছুতেই কোন ভরসা পাইনা।
আপনিও ভালো থাকুন এই দোয়া করি।
২৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব ভাল পোস্ট, চমৎকার লিখসেন ||
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন।
২৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩
অ্যামাটার বলেছেন: Posthumous অর্গান ডোনেট করার ইচ্ছা আছে।
ভাল হয়, এর প্রয়োজনীয়তা, কিভাবে কী করতে হয়; ইত্যাদি নিয়ে একটা পোস্ট দিলে,হয়ত অনেকেই উৎসাহিত হবে। খুব কম মানুষই ফ্যামিলার এটার সাথে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অ্যামাটার আপনার ভালো একটা পরামর্শের জন্য। আমি নিজেও আসলে এসব ব্যাপারে খুব কম জানি। প্রফেসর ডঃ এস. এ. খানের সাথে এসব নিয়ে আলোচনা করার জন্য একদিন বসার কথা আছে। উনার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে পরে আরেকটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে। এ ব্যাপারে আমাদের ডঃ ব্লগার যারা আছেন তারাও সাহায্য করতে পারেন, যার যা কিছু জানা আছে অঙ্গ দান প্রসঙ্গে আমাকে জানাতে পারেন এখানে - [email protected]
২৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মানবিক পোস্টে , চমৎকার ভাবে অঙ্গ দানের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে ।
লেখিকার চিন্তাধারার সাথে সহমত পোষণ করছি ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই।
২৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: উদ্দীপনামূলক পোস্ট ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রত্যাবর্তন।
৩০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
আজরাইল ভাই বলেছেন: কষ্ট গুলো কেন গরীবের জন্য বরাদ্য থাকে ????
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
আমি ইহতিব বলেছেন: আমারও সেই প্রশ্ন। মাঝে মাঝে পথের ধারে গরিব ও দূর্দশাগ্রস্থ মানুষগুলো দেখে নিষ্ঠুরের মতো ভাবি যে আল্লাহ কেন এদেরকে এতো কষ্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন, এতো কষ্ট পাওয়ার চাইতেতো মরে যাওয়া অনেক ভালো। আবার পরে মনে হয় এদেরকে আল্লাহ এজন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন যাতে আমরা যারা অপেক্ষাকৃত ভালো আছি তা যেন উপলব্ধি করতে পারি যে আমরা কতটা ভালো আছি আর তাঁর রহমতে আছি।
৩১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
আজরাইল ভাই বলেছেন: এই কারণে শুকরিয়া আদায় করতে হয় . আল্লাহ যেমনটা রেখছো ভাল রেখছো , আমার চেয়ে কষ্টে মানুষ । তোমাকে ধন্যবাদ যে আমাকে ওতোটা কষ্ট দাও নাই
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
ভাল লিখেছেন। সমাজ ও মানুষের জন্য কিচু করার তাগিদ অনুভব করছেন জেনে আরো ভাল লাগল।আপনি মনে হয় ডাক্তার। আপনার কিন্তু বড় সুযোগ আছে এরকম কিছু করার, সবার আগে এরকম কাজ করবে এমন একটি সংগঠন করা জরুরী।
উদ্যোগ নিয়ে ফেলুন। অনেককেই পাবেন।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।