নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমায় ভালোবেসে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই, তোমার আগে পরপারে আমি যেতে চাই

আমি ইহতিব

তোমায় ভালেবেসে সারাটি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই, তোমার আগে পরপারে আমি যেতে চাই

আমি ইহতিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো লাগা দুটো ছবির কথা (ভারতীয় বাংলা)

১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

আজকাল এমন অলস হয়েছি – লেখালেখির ক্ষেত্রে মন বসাতেই পারিনা। তাই অনেকদিন কোন পোস্ট ও দেয়া হয়না। অনেকেই জিজ্ঞেস করেন নতুন পোস্ট নাই কেন? কিছু বলতে পারিনা। কেমন যেন হয়ে গিয়েছি আমি। এখন শুধু পড়তে ভালো লাগে। লেখার কথা মনে হলেই যেন জ্বর আসে গায়ে। যাই হোক ব্যাক্তিগত তাড়নায় হোক আর সহব্লগারদের আগ্রহের কারনে হোক আজ কিছু লেখার চেষ্টা করছি। কোন ছবি দেখে তার রিভিউ কখনো লিখিনি, তাই এই পোস্টকে মুভি রিভিউ ভাবা ঠিক হবেনা। শুধু আমার কিছু ভালো লাগার কথা শেয়ার করতেই এই পোস্টের অবতারণা।



আমাকে মাঝে মাঝে শুক্রবারে অফিস করতে হয়। অবশ্য শুক্রবারে অফিস করে মজা আছে, বস থাকেনা। আর সারাদিনে বড়জোর দুঘণ্টার কাজ করতে হয় এরপর বাকী সময়টা নিজের মত করে কাটাই আমরা। ছবি দেখে বা গেমস খেলে। গত শুক্রবারে দুটো ছবি দেখে ফেললাম। প্রথমে দেখলাম একলা আকাশ। কয়েকদিন আগেই পরমব্রতের ছবি দেখে ক্রাশ খেয়েছিলাম। তাই You tube এ ছবি খুঁজতে যেয়ে যখন দেখলাম এটাতে পরমব্রত আছে তখন এটাই দেখা শুরু করলাম। ভারতীয় বাংলা ছবিগুলো দেখতে ভালো লাগে দুটো কারনে – ওদের অনেক ছবিতেই সুন্দর কাহিনী থাকে আর ওদের অভিনয় দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। বিরক্ত হই একটা জিনিস দেখে – ওদের অনেক ছবিতেই যেমন করেই হোক পরকীয়া ব্যাপারটা থাকবেই। যেন পরকীয়াকে স্বীকৃতি দেয়ার একটা বড়সড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় বাংলা ছবির নির্মাতারা।

২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া একলা আকাশ ছবিতে নিশা চরিত্রে পারনো মিত্রের অভিনয় ভালোই লেগেছে। শুধু মনে হচ্ছিলো শেষ দৃশ্যে মেয়ের মৃত্যুর পর তার যে প্রতিক্রিয়া তা আরও একটু ভালো হতে পারতো। আর পরমব্রত তো আমার ফেবারিট এখন। তবে এই ছবিতে ওর অভিনয়ের সুযোগ কম ছিল বলে মনে হয়েছে। সন্তানের মঙ্গলের জন্য বাবা মা যে কোন কিছুর সাথে আপোষ করেননা তা এই ছবিতে বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে।



কাহিনী সংক্ষেপ – নিশা ও অরিজিতের ছোট সংসার। নিশা গর্ভবতী, তাঁকে যে পরিমাণ সময় ও মানসিক সাপোর্ট দেয়া দরকার অরিজিত তা পারেনা অফিসের কাজের চাপে ও মহিলা কলীগের কারনে যার সাথে তার এক্সট্রা ম্যারিটাল এফেয়ার থাকে। নিশার একসময় একটি মেয়ে সন্তান হয়। নিশা তার মেয়েটি বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে অরিজিতের সময় পাওয়ার। পরবর্তীতে সে তার এক গুরু ও চলচিত্র নির্মাতার সূত্রে চলচিত্রে অভিনয় করা শুরু করে। যা তার ও অরিজিতের মধ্যকার দুরত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়। অরিজিত একসময় বুঝতে পারে নিশাই তার প্রকৃত ভালবাসা আর তাদের মেয়ে দিশা সেই ভালোবাসার শক্তি। সে ফিরে আসে একসময়। এদিকে নিশাও একসময় তার ভুল বুঝতে পারে এবং সংসারে ফিরে আসে। কিন্তু এর মাঝে তাদের সন্তানের লাংস এর সমস্যার কারনে সে অসুস্থ হয় ও শেষে মারা যায়। ট্র্যাজিক এন্ডিং দিয়ে শেষ হয় ছবি। একজন মা হিসেবে খুব খারাপ লেগেছে শেষটা দেখে। আপনার সন্তানকে সময় দিন – এমন একটা মেসেজ দেয়ার চেষ্টা ছিল ছবিটিতে যা ভালো লেগেছে।



ন হন্যতে – এই ছবিটিও ২০১২ সালে মুক্তি পায়। জুঁই চরিত্রে রূপা গাঙ্গুলির অভিনয় দেখে আমি মুগ্ধ। শিউলি চরিত্রে সায়ানি দত্তের অভিনয় ও প্রশংসা করার মতোই। শেষ দৃশ্যে এই দুজনের অভিনয়ে আমাকেও কাঁদতে হয়েছে।



কাহিনী সংক্ষেপ -
পুরনো জরাজীর্ণ বাড়িতে এক ছেলে এক মেয়ে আর স্বামিকে নিয়ে জুঁইয়ের বাস বিশাল এক যৌথ পরিবারে। একদিন রাতে সেই বিশাল বাড়ী ভেঙ্গে পড়ে। ঘটনাক্রমে জুঁই ও তার স্বামী বাড়ীর বাইরে ছিল। তাদের ছেলে ও মেয়ে সেই ভেঙ্গে পড়া বাড়ীর নিচে চাপা পড়ে। জুঁই ও তার স্বামী সন্তানদের ব্যাকুল হয়ে খুঁজতে থাকে ভেঙ্গে পড়ার বাড়ীর ধ্বংসাবশেষে। একসময় মনে করে ওদের সন্তানরা বেঁচে নেই। কিছুক্ষণ পর জুঁইয়ের কানে আসে তার বাচ্চাদের আর্তনাদ। তখন সে দেখতে পায় ওরা বেঁচে আছে তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে। লোকজন ডেকে জুঁই ওদের উদ্ধারের চেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু উদ্ধারকারী লোকজন এক পর্যায়ে জানায় যে ছেলে মেয়ে দুটো এমনভাবে আটকে আছে যে ওদের যে কোন একজনকে বাঁচানো যাবে। কাকে বাঁচাবে সেই স্বিদ্ধান্তের জন্য যখন মাকে প্রশ্ন করা হয় তখন তার যেই অসহায় অবস্থা তা রূপা গাঙ্গুলি বেশ দক্ষতার সাথেই ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক কষ্টে মা তার ছেলেকে বাঁচাতে বলেন আর মেয়ের মৃত্যুর জন্য তিনিই দায়ী এই অপরাধ বোধে বাকী জীবন দগ্ধ হতে থাকেন। ধ্বংসস্তুপের নিচে থেকে শিউলি তা শুনতে পায়। সৌভাগ্যক্রমে সেও বেঁচে যায়। কিন্তু সে প্রচণ্ড অভিমানে মায়ের কাছে না যেয়ে একা হাঁটতে থাকে রেললাইনের পথ ধরে। ষ্টেশনে অপেক্ষারত একজন ক্লান্ত ও বিদ্ধস্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে ঊদ্ধার করে ও তার বাসায় নিয়ে যায়। এখানে একটু ড্রামাটিক ব্যাপার দেখায় যা কিছুটা অবিশ্বাস্য তবে পুরো ছবির কাহিনীর সাথে তা খুব একটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি। যিনি শিউলিকে উদ্ধার করেন তার নাম মুর্শিদ। ওনারা তাদের মেয়েকে হারান কিছুদিন আগে। এরপর থেকে মুর্শিদের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে যান। ওনাদের মেয়ে দেখতে শিউলির মতো ছিল বলেই তিনি শিউলির মা বাবার কোন খোঁজ না করে ওকে মেয়ে হারানো স্ত্রীর কাছে নিয়ে যান। শিউলিকে দেখে অনেক দিন পর ওনার স্ত্রী জয়ার মুখে হাসি ফুটে আর ধীরে ধীরে তিনি স্বাভাবিক হতে থাকেন। এভাবে শিউলি মুর্শিদ পরিবারে বড় হতে থাকে আর ওদিকে ওর মা স্বামী হারিয়ে ছেলে রতনকে নিয়ে একা জীবন যাপন করতে থাকেন। মাঝে অনেক ঘটনা প্রবাহের পর একদিন শিউলি ওর ভাইয়ের দেখা পায়। পরে সে তার মায়ের সাথে দেখা করতে যায়। এতবছর পর মা মেয়ের দেখা হওয়া এই দৃশ্য দেখার আগেই আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছিল, আর তা দেখার পর অটো চোখে পানি চলে এল। ছবিতে মা মেয়ের সাথে আমিও কেঁদেছি।

মা বাবা সন্তান এই সম্পর্কটি পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী সম্পর্ক। আর সন্তান মা বাবার জন্য আল্লাহতায়ালার রহমত স্বরূপ মনে হয় আমার। তাই এই সম্পর্ককে সুন্দর রাখতে আমাদের সবচেয়ে বেশী যত্নবান হওয়া উচিত।



*** অনেকদিন পর লিখলাম। জানিনা কিছু হয়েছে কিনা। যারা সময় নষ্ট করে পড়বেন তাদেরকে অগ্রিম ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর রিভিউ লিখেছেন বিথি আপু । কিছু ব্যাপারে বাড়াবাড়ি ছাড়া কোলকাতার সিনেমা ভালোই লাগে ।

১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।

আসলেই ভারতীয় বাংলা ছবির কিছু ব্যাপার দেখলে বাড়াবাড়িই মনে হয়। অথচ একটা সময় ছিলো সেই ভিসিআরের যুগে। আমরা ছোট ছিলাম। বাসায় একটা উৎসব উৎসব ভাব হত। আম্মু তার এক বান্ধবী সহ সপ্তাহে একদিন বাসায় ভারতীয় বাংলা ছবি দেখার আয়োজন করতো। কত ভালো ভালো ছবি দেখেছি তখন।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

সুমাইয়া আলো বলেছেন: সুন্দীয় ভাবে উপস্থাপন ; ভাল লাগা জানাই গেলাম :)

১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমাইয়া আপু। সময় পেলে ছবি দুটি দেখে নিতে পারেন ভালো লাগবে।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটাও দেখি নাই। ইদানিং পরমব্রতের খুব নাম শুনতেসি। দেখতে হবে।

১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

আমি ইহতিব বলেছেন: ভাইয়া পরমব্রতের হেমলক সোসাইটি সিনেমাটি আগে দেখেন ভালো লাগবে। ঐটা দেখেই আমি ফিদা হয়ে গিয়েছিলাম।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০

স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: আপনার সাথে আমিওও একমত আপু ভারতীয় বাংলা সিনেমাতে শিল্পী দের অভিনয় দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করে তবে পরকীয়া ব্যাপারটা তারা আনবেই মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত লাগে| ন হন্য দেখা হয়নি দেখে নিব|

১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নছোঁয়া। সিনেমাদুটো দেখবেন সময় করে। ভালো লাগবে আশা করি।

৫| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সুমন কর বলেছেন: আমিও প্রচুর মুভি দেখি। এখন কমিয়ে দিয়েছি! দু’টো ছবিই দেখেছি। ১মটি ভাল লাগেনি। ২য়টি ভাল লেগেছিল।

রিভিউ বা যাই বলেন, ভাল হয়েছে।

১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

আমি ইহতিব বলেছেন: আমি মাঝে মাঝে চেষ্টা করি মুভি দেখার। হিন্দি ভালো কিছু পাইনা আজকাল। জামাইয়ের কারনে কিছু ইংলিশ দেখা হয়। আর আমার কারনে সে কিছু ভারতীয় বাংলা সিনেমা দেখে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১১

মোঃ শিলন রেজা বলেছেন: ভারতীয় বাংলা ছবির মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে "কালপুরুষ" ছবিটা। আপনি একবার এই ছবিটা দেখতে পারেন।

১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯

আমি ইহতিব বলেছেন: You Tube এ দেখে মনে হল অনেক আগের সিনেমা এটি। সময় করে দেখব।


মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

রুপ।ই বলেছেন: ছবিগুলো দেখতে হবে ।

১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

আমি ইহতিব বলেছেন: কেমন লাগলো জানাবেন।

৮| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নাম শুনছি। দেখতে হবে ছবিগুলো। রিভিউ ভালো লেগেছে বিথী আপা!

১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাদীদ ভাই। দেখে নিয়েন, ভালো লাগবে আশা করি।

৯| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো। বর্ননা পড়ে দেখতে ইচ্ছা হবে এমন মতামতই তো সার্থক। আপনার লেখা পড়ে সেইরকম সবকিছু যেন দেখার আগেই অক্ষরের মাঝে দেখতে পেলাম। ভালো থাকবেন আপু।শুভেচ্ছা আপনার বাবু ও তার বাবার জন্যেও ।সুখী পরিবার হোক সবার।

১৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

আমি ইহতিব বলেছেন: সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন আপনিও।

১০| ১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:০৭

বোকামানুষ বলেছেন: ন হন্যতে নামটা শুনে প্রথমে ভেবেছিলাম মৈত্রী দেবীর বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে মনে হয় ছবি পরে বুঝতে পারলাম কাহিনি আলাদা

রিভিউ ভাল লেগেছে সময় আর সুযোগ পেলে দেখবো একসময়

১৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

আমি ইহতিব বলেছেন: মৈত্রী দেবীর উপন্যাস পড়া হয়নি।

দেখে নিয়েন, আশা করি ভালো লাগবে।

১১| ১৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যদিও ছবি দেখি নাই তবে আপনার রিভিউ ভাল লাগলো।

১৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

আমি ইহতিব বলেছেন: দেখতে পারেন ভালোই লাগবে মনে হয়। ন্য হণ্যতে বেশী ভালো লেগেছে আমার।

১২| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

আরজু পনি বলেছেন:

দুটি সিনেমাতেই সন্তানের কাহিনী...পড়তে ভালো লাগলো ইহতিব ।

মায়ের জন্যে শুভকামনা রইল ।

১৭ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আমি ইহতিব বলেছেন: আমার ভারতীয় বাংলা সিনেমা দেখা নতুন করে শুরুর পেছনে আপনার অবদান কিন্তু অনেক পনি আপু। আপনার এই পোস্ট দেখার পর থেকে মূলত আমি নতুন করে আবার ভারতীয় বাংলা সিনেমা দেখা শুরু করি। দহন, খেলা এগুলো আপনার পোস্ট পড়ার পর দেখেছি। ১৯ শে এপ্রিল দেখেও কেঁদেছি। বাবা ছাড়া বড় হওয়া একটা মেয়ের জন্য কতটা কষ্টদায়ক তা দেখে আমি আমার ঈশিত্বর জন্য ভয়ে কুঁকড়ে ছিলাম অনেক দিন। আবহমান এখনো দেখা হয়নি, ডাউনলোড করে রেখেছি, দেখবো। যতবারই কোন ভালো ভারতীয় বাংলা সিনেমা দেখি আপনার কথা মনে পড়ে যায় অজান্তেই। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো কিছু সিনেমা দেখতে অনুপ্রাণিত করার জন্য।

ভালো থাকুন আপু।

১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মা বাবা সন্তান এই সম্পর্কটি পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী সম্পর্ক। আর সন্তান মা বাবার জন্য আল্লাহতায়ালার রহমত স্বরূপ মনে হয় আমার। তাই এই সম্পর্ককে সুন্দর রাখতে আমাদের সবচেয়ে বেশী যত্নবান হওয়া উচিত।
পৃথিবীতে এই সম্পর্ককে অবহেলা করার মত লোকও কিন্তু অনেক আছে-তাই না??
আর ছবি সম্বন্ধে মন্তব্য করলাম না কারন যেকারনেই হোক না কেন মনটা খারাপ হয়ে যায়। যে কারনে বই পড়াও একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছি। বিশেষ করে উপন্যাস।।

২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

আমি ইহতিব বলেছেন: দূর পরবাসে পরিবার পরিজন ছেড়ে থাকা অনেক কষ্টের বুঝি ভাইয়া। তারপর ও জীবন চলে যায় আপন গতিতে।

ভালো থাকুন শুধু এই দোয়া করি।

১৪| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হেমলক সোসাইটিতো দেখসি। আচ্ছা ঐটাই তাহলে সুবিখ্যাত পরমব্রত!

২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

আমি ইহতিব বলেছেন: জী ভাইয়া ঐটাই সুবিখ্যাত পরমব্রত!

১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি ইহতিব ,


" ন হন্যতে " নামটি দেখে মন্তব্য করতে বসেছি ।

মৈত্রেয়ী দেবীর "ন হন্যতে" নামে একটি বই আছে । ভেবেছিলুম তারই চিত্ররূপ । দেখা গেলো তা নয় ।

মৈত্রেয়ী দেবীর "ন হন্যতে" পড়েছেন ? সাথে মির্চা এ্লিয়েদ এর " লা নুই বেঙলী " ও পড়তে হবে । নইলে অপূর্ণ থেকে যাবে । একটি আর একটির জবাব । ভালো লাগবে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার মন্তব্য দেখে বই দুটি পড়ার অনেক আগ্রহ হচ্ছে। অনলাইনে পেয়ে গিয়েছি অলরেডি। এখন শুধু পড়ার অপেক্ষায় আছি।

১৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

রাজিব বলেছেন: ন হন্যতে নাম দেখে আমারও বইয়ের কথা মনে হয়েছি।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২২

আমি ইহতিব বলেছেন: মুভিটাও ভালো, দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি ইহতিব ,



পড়ুন । ভালো লাগবে । 'লা নুই বেঙলী'র উত্তর হলো 'ন হণ্যতে' ।
আপনার পড়ার আগ্রহ বাড়াতে 'লা নুই বেঙলী'র প্রথম লাইনটি নীচে তুলে দেয়ার লোভ সামলাতে পারলুম না -
" মৈত্রেয়ীর সঙ্গৈ আমার প্রথম সাক্ষাতের সঠিক তারিখটা মনে না থাকায়, কাহিনীটা কোথা থেকে আরম্ভ করবো ঠিক বুঝতে পারছি না । "

আমার এই অহেতুক আগ্রহের জন্যে ক্ষমা চেয়ে রাখছি ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২১

আমি ইহতিব বলেছেন: ছি ছি ক্ষমা চাওয়ার কি আছে ভাইয়া। ভালো যেকোন কিছু সবার সাথে শেয়ার করার অন্যরকম আনন্দ আছে। সেই আনন্দ পেতেই যেমন আমার এই পোস্ট দেয়া ঠিক তেমনি আপনি আমাকে বই দুটোর নাম সাজেস্ট করেছেন সেই একই আনন্দে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কোনটা যে আগে শুরু করবো তাই বুঝতে পারছিনা।

১৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

তাসজিদ বলেছেন: আপনি নিয়মিত লেখেন না কেন?

আসলে মাতৃত্ব এক অদ্ভুত জিনিস। কোন সংজ্ঞায় একে ফেলা যায় না

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

আমি ইহতিব বলেছেন: প্রচন্ড ফাঁকিবাজ হয়ে গিয়েছি মনে হয় তাই নিয়মিত লেখা হয়না ;)

এত ভালো ভালো লেখা ব্লগে আসে এখন সেখানে আমার কাছে নিজের লেখাগুলো নিতান্তই এ্যামেচার টাইপ লাগে, এটাও নিয়মিত না লেখার একটা কারন।

ঠিকই বলেছেন, মাতৃত্ব অদ্ভুত জিনিস। গতকাল হোম এ্যালোন মুভিটি দেখছিলাম। সেখানেও মায়ের ভূমিকা দেখে আবার আবেগে আপ্লুত হলাম। মায়ের পক্ষেই সম্ভব ক্রিসমাস পালন করতে পুরো পরিবারের সাথে ছুটিতে গিয়েও যেহেতু কেভিনকে একা ফেলে চলে আসা হয়েছে সেজন্য আবার ফিরে যাওয়া আর তা যেভাবেই হোক না কেন। খুব চাই একজন ভালো মা হতে, জানিনা পারবো কিনা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

লিরিকস বলেছেন: +

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিরিকস।

২০| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

জুন বলেছেন: মৈত্রেয়ী দেবীর ন হন্যতে আগে পড়ুন ইহতিব। তারপর মির্চা ইলিয়াদের লা নুই বেঙ্গলী । ম্যুভি দেখিনি রিভ্যু ভালোলাগলো ইহতিব।
+

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুন আপু। মুভিটিও ভালো হয়েছে, দেখতে পারেন।

২১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সংকলনে যাচ্ছে সুন্দর পোস্টটা ...
অভিনন্দন অগ্রীম ...

২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

আমি ইহতিব বলেছেন: বলেন কি? খুশীতে তো লম্ফ দিতে ইচ্ছে করছে আমার, অফিসে বলে দিতে পারছিনা :(

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। নতুন পোস্ট দেয়ার অনুপ্রেরণা পেয়ে গেলাম।

২২| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভারতীয় বাংলা দুটো প্রিয় মুভি হলো 'অন্তহীন', 'জাতিস্মর'

জাতিস্মরের পর কোন ধরনের মুভিই দেখিনি।

দেখতে হবে।

২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

আমি ইহতিব বলেছেন: 'জাতিস্মর' দেখে আমরাও মুগ্ধ ভাইয়া। আমরা মানে আমি আর আমার স্বামি। তার মুগ্ধতার একটা নমুনা দেই - এই মুভিতে কবিগানের যে ব্যাপারটা ছিলো তা ওকে এতোই মুগ্ধ করেছে যে ওদের বিভাগীয় নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এরকম একটি আইটেম রাখার আয়োজন করে। আর ওর বুদ্ধিমান ছাত্রছাত্রীরা বেশ ভালো একটি কবিগানের পর্ব রাখে অনুষ্ঠানে আর সেটা ছিলো মনোবিজ্ঞান সংক্রান্ত। দারুন হয়েছিলো ওদের আয়োজনটা।

অন্তহীন দেখা হয়নি। দেখবো সময় করে।

দু'দিন আগে আরেকটা মুভি দেখলাম - C/O স্যার। এটাও ভালো লেগেছে। এটারও রিভিউ লেখার ইচ্ছে হচ্ছে, সময় পাচ্ছিনা বলে লেখা হচ্ছেনা।

২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

আমি ইহতিব বলেছেন: ও আরেকটি বিষয় বলতে ভুলে গেছি, 'জাতিস্মর' এর শেষ দৃশ্যে এসে রোহিতের গান গাওয়া দেখে এতো ভালো লাগছিলো মনে হচ্ছিলো আমি যদি মহামায়া হতে পারতাম!!! :)

২৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হেমলক সোসাইটি দেখছিলাম। এরপর আর কোন মুভি দেখা হয় নাই। সবকিছুতেই আলসেমি লাগে। জাতিস্মর দেখার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু হয়ে ওঠেনি।

২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

আমি ইহতিব বলেছেন: সময় করে দেখেন আপু। ভালো লাগবে।

আর আপনার নূহা সিরিজ শেষ হলে আমাকে একটু জানায়েন প্লিজ, পুরোটা একসাথে প্রিন্ট করে তারপর পড়বো।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জাতিস্মর আর হেমলক সোসাইটি দেখার জন্য বলেছে অনেকেই। আপনার রিভিউ আর কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে দেখা উচিত।

ভাল রিভিউ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর। মুভি দুটো দেখতে পারেন ভালো লাগবে আশা করি।

২৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

নক্ষত্রচারী বলেছেন: অন্তহীন, হেমলক সোসাইটি, ভূতের ভবিষ্যৎ , বোঝেনা সে বোঝেনা, গয়নার বাক্স, রঞ্জনা আমি আর আসব না ইত্যাদি দেখা হইসে ;)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

আমি ইহতিব বলেছেন: ভূতের ভবিষ্যৎ দেখা হয়নি। রঞ্জনা আমি আর আসব না অর্ধেক দেখে আর দেখা হয়নি।

তিতলি, C/O স্যার, উনিশে এপ্রিল এগুলো দেখতে পারেন ভালো লাগবে আশা করি।

২৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৫

নক্ষত্রচারী বলেছেন: ও আরো দুটা বাদ পড়সে । বাইশে শ্রাবণ আর অটোগ্রাফ ।

রেকমেন্ড করার জন্য ধন্যবাদ । :)

২৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: দুটিই দেখেছি । চমৎকার মুভি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.