![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমায় ভালেবেসে সারাটি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই, তোমার আগে পরপারে আমি যেতে চাই
মা তো মা ই, হোক সে কর্মজীবী বা বাসায় থাকা মা। বাসায় থাকা মায়েদের কাজ আরও বেশী। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম মায়েদের চলতেই থাকে। বাসায় থাকা মায়েদের মনে একটা ব্যাপারে স্বস্তি থাকে যে তিনি তার সন্তানের পাশে সর্বক্ষণ থাকতে পারছেন, তার প্রতিদিনের একটু একটু করে বেড়ে উঠা, প্রতিদিনের যত্ন, খাবার দাবার আর বড় বাচ্চাদের পড়াশুনা সব কিছুতে সাথে থাকতে পারছেন, প্রয়োজনীয় সাহায্য ও করতে পারছেন। এই স্বস্তি বা সৌভাগ্য কর্মজীবী মায়েদের হয়না। আমার মত যাদের ৯টা – ৬টা অফিস করতে হয় তাদের জীবন আসলে কতটা আনন্দময় (!)? আশা করছি পাঠক তাদের গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।
আমাদের মত কর্মজীবী মায়েদের জীবন চক্র ব্যাখ্যা করলেই বোঝা যাবে আমরা আসলে কি অবস্থায় আছি। আমাদের দেশে ছেলেদের ঘরের কাজ কর্ম যেমন রান্না বান্না করা, কাপড় ধোয়া, বা ঘর গোছানো এগুলো নিরুৎসাহিত করা হয়। ফলে বড় হতে হতে ছেলেরা এই কাজগুলো শেখে না বা করতেও চায়না। তাই এগুলো হয়ে যায় মেয়েদের কাজ। বর্তমান সময়ের বাস্তবতায় অনেক অনেক মেয়ে চাকরী করছে। সংসার জীবনে প্রবেশের আগে থেকেই চাকরী জীবনে প্রবেশ করছে মেয়েরা। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকা মেয়েদের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এখন একটু ভাবুনতো পাঠক, এই চাকরিজীবী মেয়েটি যখন সংসার শুরু করছে তখন নতুন সংসারের সব দায় দায়িত্ব যদি হুট করে তার কাঁধে এসে পড়ে তখন তার কি অবস্থা হতে পারে? এখন যদিও একক পরিবারের সংখ্যা বেশী, তবুও একটি সংসারের দায় দায়িত্ব কিন্তু কম নয়। একটি মেয়ে সারাদিন অফিস করার পর তার বাসায় গিয়ে কি রান্না হবে বা কখন রান্না করবে তা নিয়ে চিন্তা করতে হয়। দিন শেষে তার কাছ থেকে কতটুকু ভালো ব্যবহার আশা করা যায়? কিন্তু আমরা মেয়েরা এসব ক্ষেত্রে দারুণ পারদর্শিতার সাথে দিন পার করে যাচ্ছি। এমন না যে এমন জীবনচক্র আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোন প্রভাবই ফেলছেনা। এই কর্মজীবী মেয়েটির নিজের জন্য কোয়ালিটি টাইম বা রিল্যাক্সিং সময়টা কখন পাচ্ছে। এই না পাওয়াগুলো জমতে জমতে আমরা একসময় বার্স্ট আউট করি। এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র না পাওয়াগুলো আমাদের সাথে অন্যদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।সব মেনে নিতে নিতে একসময় আমরা অনেক ছোট ছোট ব্যাপার মেনে নিতে চাইনা বা ছাড় দিতে চাইনা। তখনই সূত্রপাত হয় ব্যক্তিগত দ্বন্দের।
আমি আমার ও আমার দেখা কয়েকজনের জীবনের কিছু টুকরো টুকরো ঘটনা শেয়ার করতে চাই। আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে শুরু করি।
আমার বিয়ের পর শশুরবাড়ি হাজারিবাগে থাকা শুরু করি। তখন অফিস ছিল গুলশানে। প্রতিদিন ২+২ = ৪ ঘণ্টার যাতায়াত করার জন্য বের হতাম অনেক সকালে আর ফিরতাম রাত ৮টার দিকে। সৌভাগ্যবশত প্রতিদিনের রান্নার চিন্তা আমাকে করতে হতনা। শাশুড়ি নিজেও চাকরী করতেন বলে প্রতিদিনের রান্নার জন্য সহকারী কেউ না কেউ থাকত। তারপর সপ্তাহের একটি ছুটির দিন আমার, নিজের বিবেকের তাড়নায় হোক বা ইচ্ছে/অনিচ্ছায় হোক সারাদিন কেটে যেত রান্নাঘরে। ছুটির দিনে আমারও ইচ্ছে হত বিয়ের আগের সময়ের মত বেলা ১০টা /১১টা পর্যন্ত ঘুমাতে বা আরাম করতে। বা ইচ্ছে হত কোথাও ঘুরতে চলে যাই সারাদিনের জন্য। নিজের মত করে কিছুটা সময় উপভোগ করতে চাইতাম। কোনটাই করতে পারতাম না। যার ফলে এসবের প্রভাব পড়ত আমার আর তার নতুন বিবাহিত সম্পর্কের উপর। খুব খারাপ কেটেছে সে সময়টা।
এবার আমার এক বন্ধুর কথা শেয়ার করি। তার বাসা মিরপুর, অফিস কাওরান বাজার। ভাগ্য ভালো হলে এক / দেড় ঘণ্টায় বাসায় বা অফিসে যাওয়া আসা করতে পারে। আর ভাগ্য খারাপ হলে ২ ঘণ্টা। তাকে ঘুম থেকে উঠতে হয় ৭ টার আগে। সকালের নাস্তা, ৪ বছরের মেয়ের খাবার, নিজের ও তার স্বামীর অফিসের খাবার রেডি করে বের হতে হয় তাকে। তারপর অফিস শেষ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে কখন ও ৭ টা আবার কখনো ৮ টা। বাসায় ফিরে তার কাজ হল ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে ঢুকা, মাঝে মাঝে সন্ধ্যার নাস্তা বানানো, পরের দিনের কিছু কাজ এগিয়ে রাখা, মেয়েকে খাওয়ানো, নিজেদের খাওয়া, সবার খাওয়া শেষে সব গোছগাছ করে রাখা। আর মেয়েটির স্বামীর কাজ হল বাসায় গিয়েই বিছানায় শুয়ে পড়া আর টিভি দেখা। বেচারা সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত যে তাই! তার পানি খাওয়ার প্রয়োজন হলেও তা এনে দিতে হবে বৌকে। এই টাইপ ছেলেদের কথা শুনলে আমার রাগ লাগে। অবাক হয়ে ভাবী এদের মধ্যে সামান্য মানবতা বা বিবেকবোধ ও কি নেই?
আমি বলছিনা যে ভালো উদাহরণ নেই, আছে কিন্তু তার পরিমাণ খুব কম। এই পরিমাণটা যেন অনেক বাড়ে সেই প্রত্যাশায় এই লেখা। ছেলে সন্তানের মায়েদের জন্য অনুরোধ থাকবে আপনার সন্তানটিকে টুকটাক বাসার কাজ ও শিখান। মেয়ে সন্তানের পাশাপাশি তাকে ছোটখাটো রান্না শেখান যা তার পরবর্তী জীবনে কাজে আসবে। আমি প্রায়ই দেখি ও শুনি যেসব ছেলেরা বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে প্রবাসে সংসার জীবন শুরু করে তারা এসব কাজের ক্ষেত্রে পারদর্শী হয় এবং স্ত্রীকেও সাংসারিক কাজে সাহায্য করে থাকেন। শ্রদ্ধা ও সম্মান সেই উদার ও বিবেকবান মানুষদের প্রতি।
দেশে থাকা পুরুষরা যে বিবেকহীন তা কিন্তু নয়। আমি এমন একটি পরিবারকে চিনি যেখানে সপ্তাহের ছুটির দিনে বাড়ির কর্তাব্যক্তি সন্তানদের সাথে নিয়ে বাড়ির বিভিন্ন কাজ করে তার স্ত্রীর কাজের চাপ কমাতে সাহায্য করেন।
আরও একটি সুন্দর পরিবার আছে আমার পরিচিতদের মাঝে। দুই সন্তানের এ পরিবারে বাবা নেভীতে কাজ করেন আর মা ব্যাংকে । ব্যাংকের জবের প্রেশার কেমন থাকে তাতো সবাই জানে। তবুও আমি সব সময়ই ভাবীকে দেখেছি দারুণ হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত থাকতে। এর পেছনের রহস্য কি জানেন? ভাবীর জন্য বাসায় কাজ জমে থাকে খুব কম। বাসার বাকি ৩ সদস্য সুন্দর মত সব কাজ ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে। আমার খুব শান্তি লাগে যখন ঐ বাসায় যাই। কারন ভাবীকে আমি অনেক মানসিক প্রশান্তিতে থাকতে দেখি।
আমরা মেয়েরা আসলে আমাদের উপর সমাজ বা সংসার বা পরিবার কতৃক অর্পিত সব দায়দায়িত্ব পালন করেই যাচ্ছি। কোন স্বিকৃতি বা পুরস্কারের আশা না করেই চলে আমাদের পথচলা। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমাদের ও খুব ভালো লাগে যদি ছুটির দিনে একটু বেশী ঘুমাতে পারি। ঘুম থেকে উঠে যদি দেখি নাস্তা ও চা রেডি করে আমার জন্য কেউ বসে আছে। দু’একদিনের এই ছোট ছোট ভালোলাগাটুকু আমাদের উপহার দিতে কি অনেক কষ্ট হবে?
***খাপছাড়া লাগছে আমার কাছেই, তবুও দিলাম। এটা ভাবতে ভালো লাগবে যে ব্লগে আমি আছি ভালো থাকুন সবাই।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩২
আমি ইহতিব বলেছেন: ব্যাপক সাহায্য
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৫
সুমন কর বলেছেন: লেখা মোটেও খাপ ছাড়া হয়নি। সুন্দর বলেছেন। +।
অফিস থেকে ফিরে শুয়ে পড়া আর টিভি দেখা পুরুষ আমারও পছন্দ নয়। যতটুকু সাহায্য করা যায়, করলে ক্ষতি কি?
কেমন আছেন?
১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮
আমি ইহতিব বলেছেন: ভাই আমার খুব ইচ্ছে হয় কোন ব্লগ ডে তে বা ব্লগারদের মিলন মেলায় আপনাদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দেই যারা আমার ছাইপাশ লেখার নিয়মিত পাঠক। আপনাদের উপস্থিতি ও মন্তব্য আমাকে এই সামুতে বারবার ফিরে আসতে বাধ্য করে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আবারো।
খুব বেশী ভালো নেই, ছোট কন্যা দুদিন পর পর অসুস্থ হয়। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ, রাতে ভালোমত ঘুমাতে পারেনা সাথে আমিও
আপনি ভালো আছেন আশা করি।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি শুধু "এ টি এমের" মালিক।। কিন্তু এটাই বড় নয়, মেইনট্যান্স বড়।।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১১
আমি ইহতিব বলেছেন: এ টি এমের মালিক তো এখন মেয়েরাও ভাইয়া। গৃহস্থালীর খরচাপাতি যদি মেয়েরাও শেয়ার করতে পারে তবে ছেলেদের ও উচিত বাসার কাজগুলোও শেয়ার করা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। আপনার মত করে সকলেই যদি ভাবত।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
আমি ইহতিব বলেছেন: কেন ভাবেনা ভাই, কেন আমরা শুধু নিজেদের আরামটা নিয়েই ভাবি? বাসায় আমি অনেক হেল্প পাই তবুও মাঝে মাঝে যদি দেখি আমার জামাই নিজে আরাম করছে আর আমাকে অর্ডার করছে তখন রাগ উঠে যায়। নিজের মুড ভালো থাকলে কিছু বলিনা ওকে আরাম করতে দেই আর মুড খারাপ থাকলে দেই ঝারি, তাতেই কাজ হয়ে যায় ।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাবতে শুরু করা প্রয়োজন।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আহা... এমনই হোক প্রতিটি প্রতিটি পরিবার... প্রতিটি সকাল।
আমি ইহতিবকে শুভেচ্ছা.....
১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
আমি ইহতিব বলেছেন: এমন যদি হত আসলেই.......
ধন্যবাদ মইনুল ভাইয়া আপনার সব সময়ের অনুপ্রেরণার জন্য।
৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪
জুন বলেছেন: খাপছাড়া তো নয়ই অত্যন্ত বাস্তব সম্মত আর চমৎকার লেখা আমি ইহতিব
কর্মজীবি মায়েদের ও রেষ্ট নিতে ইচ্ছে করে । তাদের ও ক্লান্তি আছে , শ্রান্তি আছে তা কতজন বোঝে ?
অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+
১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুন আপু। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সব দায়িত্ব কর্তব্য ছেড়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যাই। আবার যখন মেয়ে দুটোর মুখ মনে পড়ে যায় তখন মনে হয় পালিয়েই কি ভালো থাকা যাবে? এই মুখ দুটো আর আরেকটি প্রিয় মুখ না দেখে ভালো থাকবো কি করে আমি?
৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫১
বৃতি বলেছেন: ভাবনা শেয়ারের একটি চমৎকার মাধ্যম ব্লগ। কর্মজীবী মায়ের দৈনন্দিন জীবন, ইচ্ছা অনিচ্ছার জার্ণাল-- অনেকে আমার মত দু'বার পড়বে অনেক ভালো থাকুন।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১
আমি ইহতিব বলেছেন: দু'বার পড়েছেন? জেনে ভালো লাগলো। মাথায় আরো অনেক কিছু ছিলো কিন্তু এই লেখা শেষ করেছি ৪ দিন একটু একটু করে লিখে তাই অনেক কিছু মাথা থেকে হারিয়ে গিয়েছে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
পুলহ বলেছেন: সুমন করের মত আমিও বলি- মোটেও খাপছাড়া লাগে নি !
"সব মেনে নিতে নিতে একসময় আমরা অনেক ছোট ছোট ব্যাপার মেনে নিতে চাইনা বা ছাড় দিতে চাইনা।"-- গভীর এবং ক্রিটিকাল একটা সাইকোলজি বলেই মনে হচ্ছে !
আপনার এ লেখা অনেক ছেলেকেই আত্মবিশ্লেষণের একটা সুযোগ করে দেবে বলেই মনে করি (আমি নিজেও এর অন্তর্ভূক্ত)
শুভকামনা জানবেন আপু !
১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আসলেই আমাদের দেশের ছেলেদের একটু আত্ববিশ্লেষনের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় আমার। ছেলেদের রিল্যাক্স করার জন্য কত কত অপশন আর আমরা মেয়েরা সারাদিন অফিস বাসা এই করেই কেটে যায়। একটু চেষ্টা করুন না আপনার জীবন সঙ্গিকে একটু ভালো সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়ার। সে ভালো থাকলে পারিবারিক আবহাওয়াও ভালো থাকবে।
৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৩
মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন আপু। তবে শুধু কর্মজীবি মায়েদের নয়, গৃহীনি মায়েদেরও দিনশেষে বিশ্রামের প্রয়োজন। আবার যাঁদের বেশ কয়েকজন গৃহকর্মী আছে, তাঁদের ইভয়ের জন্যই চিত্রটি ভিন্ন।
প্রবাসে এসে সংসারে পুরুষরা সাধারনত অনেক বেশী সময় দেয়, গৃহকর্মী সেভাবে নেই বলে। একই চিত্র যেসব বাসায় বাংলাদেশে ঘটছে, সেসব ক্ষেত্রে স্ত্রীর সাথে তাল মিলিয়েই কাজ করা উচিৎ। আমার এক আত্মীয়, ঢাকা ইউনিভার্সিটির একটি বিভাগের ডিন ছিলেন সেসময়, তাঁর স্ত্রী(তিনি আআমর আত্মীয়া) দাওয়াত দিলে হিসেব করে দিতেন স্বামীর কখন্ অবসর। তাঁর বক্তব্য ঐদিনে তো ওর কাজ আছে, তার চেয়ে এই দিন হোক- ও অফিস থেকে এসে রান্না করবে। শৈশবে যখন প্রথম শুনেছিলাম, খুব অবাক হয়েছিলাম! ঘরের দু একটা রান্না বা কাজ ঠিকাছে, দাওয়াতের শাহী রান্না!!! একটু বড় হয়ে বুঝেছি তিনি বাইরে পি এইচ ডি করার সময় নিজেই রান্না করতেন, তাহলে দেশে ফিরে নয় কেনো? উল্লেখ্য তাৃঁর স্ত্রী গৃহিনী ছিলেন :-)
এই পোস্টের প্রথম কমেন্টটা এপিক হয়েছে। একটি প্রচলিত জোক তবে তার যথার্থ ব্যবহার সত্যিই প্রশংসনীয়।
সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আমি ইহতিব।
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩
আমি ইহতিব বলেছেন: সবারই বিশ্রামের প্রয়োজন আপু। গৃহীনি মায়েরা হয়ত একটু কষ্ট করে হলেও হয়ত সময় বের করে বিশ্রামটা নিতে পারে। অফিসে আমরা যে সুযোগটা পাইনা। গত সপ্তাহে ছোট কন্যার খুব শরীর খারাপ ছিলো - ঠান্ডা কাশি জ্বর, ওর বাবা ছিলোনা ঢাকায়। সারাদিন অফিস করে বাসায় গিয়ে নিজের জন্য ৫ মিনিট বিশ্রামের সময় পাইনি। আর রাতের ঘুম তারও ১২টা বেজেছিলো। বাচ্চাটা নিজেও কষ্টে ঘুমাতে পারেনি ঠিকমত, সাথে আমিও। দুপুরে খাওয়ার পর খুব ইচ্ছে হয় একটু যদি ঘুমাতে পারতাম। অফিসে বসে সে কথা ভাবাও তো পাপ।
দারুন উদাহরণ দিয়েছেন আপু। এমন পুরুষদের সংখ্যা আরো বাড়ুক।
মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫১
রবি১০ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
http://www.smpestcontrol.sitew.orgধন্যবাদ আপনাকে
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
আমি ইহতিব বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কিসের লিংক দিলেন কেন দিলেন বুঝতে পারিনি।
১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
বিজন রয় বলেছেন: নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে লিখেছেন।
কেমন আছেন?
সবকষ্ট দূর হয়ে যাক।
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
আমি ইহতিব বলেছেন: নিজের - অন্যের জীবন কাহিনী সবই অভিজ্ঞতার ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে। ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৯
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ইহতিব, এমন লিখার জন্য। আমরা যদি এগিয়ে চিৎকার না করি তাহলে পুরুষকূলের কখনই বোধদয় হবে না। আমি অনেক বেশী পার্থক্য ধরতে পেরেছি বিদেশে আসার পর। আমার পরিচিত দেশী ভাবীদের অবস্থা দেখে খুব তাজ্জব হই, বিদেশে এসেও দেশী পুরুষকূলের কোন বোধদয় নেই। অথচ বিদেশে এটা কেউ চিন্তাও করে না সাহায্য করা ছাড়া একা আরামে থাকবে। আমার কানাডিয়ান ছেলে কলিগ, তার বউ জব করে না কারন বাচ্চা ছোট। ওর দিনের রুটিন শুনে আমি তাজ্জব হয়েগছি। বউ বাচ্চা নিয়ে বিজি বলে আসার আগে ভোরে উঠে সারাদিনের বউ ও বাচ্চার খাবারের ব্যবস্থা করে আসে। আমি পরের লিখায় এখানকার মেয়েদের রাজত্বের কথা বলবো... শুনলেতো আমাদের ছেলে সমাজ আমাকে তাড়া করবে...
২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
আমি ইহতিব বলেছেন: আমি অধীর আগ্রহ নিয়ে তাহলে আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম আপু। আমার এক কাজিন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী, তার ও একই অবস্থা। তার ছেলে হয়েছে মাস দুয়েক আগে। দুলাভাই আমার এমন ভদ্রলোক, সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের ও বৌয়ের জন্য নাস্তা বানান। আর রাতে এসে পরের দিনের রান্না করে রাখেন। আমাদের দেশের পুরুষদের নবাবি ভাবভঙ্গির রাজত্ব কবে যে শেষ হবে!!!
১৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমাদের সবারই উচিৎ স্ত্রীদের বা মায়েদের কাজে সহায়তা করা। আমি চেষ্টা করি আমার স্ত্রীর কাজে কিছুটা সাহায্য করতে । অবশ্য তিনি চাকুরীজীবি নন, পাকা গৃহিনী। আর রান্না বান্নার ব্যাপারে বললে আমি আলু সেদ্ধা ছাড়া কিছুই পারিনা।
২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫
আমি ইহতিব বলেছেন: হা হা হা ভাইয়া, আলু সেদ্ধ করে ভর্তাও বানানো যায়। খারাপ না কিন্তু। আর গৃহিনীদের কাজ কিন্তু সারাদিনই চলে। যতটুকু পারেন সাহায্য করলে ভাবীও খুশী হবেন। ভালো থাকুন আপনারা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০
ঢাকার লোক বলেছেন: আমরা সাহায্য করি না ? যখন বৌ ঘর ভ্যাকুয়াম করে তখন যে আমরা সোফায় পা উঠিয়ে বসি!