| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুমহীন পোকা
ভালো লেখতে পারি না তবুও চেষ্টা করি ভালো লেখার আর তাই এখানে আশা আপনাদের সবার মাঝে :)
শিমুল আগের থেকে প্ল্যানিং করছে আজ তার মনের কথা স্নিগধাকে বলে দিবে। অনেকদিন ধরেই শিমুল অপেক্ষা করছে এইদিনটির। আজ স্নিগধার জন্মদিন। শিমুল আর নিশু দুজন দুজনকে ভালোবাসে কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কাউকে তাদের মনের কথা জানাতে পারে নি। শিমুল বেশ কয়েকদিন ধরেই তার মনের কথা বলার সুযোগ খুজছে।
বেশ সকালেই শিমুল ঘুম থেকে উঠেছে তার আর সহ্য হচ্ছে না কখন সে তার মনের কথা বলতে পারবে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই শিমুল চলে গেলো ৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে বাজারে স্নিগ্ধার জন্য ফুল আনতে। তার মন ছট ফট করছে কখন ফুল নিয়ে যাবে সে স্নিগ্ধার কাছে আর তার হাতে শিমুলের এক মাত্র উপহার তার কষ্ট করে নিয়ে আশা ফুল গুলো দিয়ে তার মনে কথা জানাবে।
স্নিগ্ধারও শিমুলের জন্য সকাল থেকেই মনটা কেমন জানি করছে মনে হচ্ছে তাকে ছাড়া আর এক মুহূর্ত সে থাকতে পারছে না একসময় সব বাঁধা অতিক্রম করে স্নিগ্ধা চলে গেল শিমুলের বাসায় বাসায় গিয়ে জানতে পারলো শিমুল বাসায় নাই।
স্নিগ্ধার মনে এক্টাই প্রশ্ন কোথায় গেলো গাধাটা সে কি জানে না আজ আমার জন্মদিন। আর আমার জন্মদিনে আমি ওকে আমার সব থেকে কাছে পেতে চাই এটা কি শিমুল জানে না?
প্রায় অনেকটা সময় স্নিগ্ধা শিমুলের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো কখন শিমুল আসবে। স্নিগ্ধা ভাবতে থাকে কখন আসবে শিমুল
কখন শিমুল এসেই তাকে বিরক্ত করতে শুরু করবে।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর স্নিগ্ধা শিমুলের দেখা না পেয়ে এক সময় রাগ হয়ে চলে যায় আর সিধান্ত নিয়েই বসে আর কখনো এই গাধার সাথে কথা বলবে না।
কিন্তু স্নিগ্ধা কি জানে তার জন্য সেই ভোর বেলাই শিমুল ফুল কিনতে চলে গিয়েছে বাজারে।
একটা সময় শিমুল ফিরে এলো তার সাথে একটা লাল গোলাপের তোরা আর কয়েকটা চুরি নিয়ে। এগুলো নিয়ে গিয়ে শিমুল জানতে পারে স্নিগ্ধা তার বাসায় এসেছিলো তাই দউরে ছুটে চলে যায় স্নিগ্ধার কাছে।
এই স্নিগ্ধা শোন।
- আমি তোর সাথে আর কখনো কথা বলব না।
আরেহ তুই আমার কথা শোন একবার।
- না আমি কারো কথা শুনছি না!
শোন স্নিগ্ধা তুই শুধুই আমার, আর আমি তোকে ভালোবাসি।
- হা হা হা। এভাবে কি কেউ একটা মেয়েকে প্রোপোস করে হাডারাম!
তাহলে কিভাবে করে?
- তুই ফিল্ম দেখিস না? ওখানে নায়ক নাইকাকে কিভাবে প্রোপস করে। ওভাবে কর এভাবে করলে হবে না।
আমি পারবো না আমি কোন ফিল্মের নায়ক না। আমি হয়ত তাদের মত করে তোকে প্রোপস করতে পারব না কিন্তু আমি তোকে আমার নিজের মত ভালবাসতে পারব। আমি তোকে আমার নিজের মত করে ভালবেসে সাতটি রঙ্গে রাঙিয়ে দিতে পারব! আর তার থেকে বড় কথা আমি তোকে নিজের মত ভালোবাসব অন্য কারো মত না।
বলেই শিমুল ঘুরে হাটা শুরু করলো! কান্না জড়ানো কণ্ঠ নিয়ে স্নিগ্ধা দউরাতে দউরাতে শিমুলের হাত ধরে বলল
"আই লাভ ইউ পাগল"
©somewhere in net ltd.