|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখাজোকা শামীম
গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
আমাদের দেশের মানুষের একটা প্রবণতা আমার খুব খারাপ লাগে।
আমরা যে কোন শিল্পীকে ছোট করে খুব আনন্দ পাই।
হুমায়ূন আহমেদ মারা যাওয়ার পর তাকে যে মহান শিল্পী হিসেবে প্রমাণ করার জন্য বুদ্ধিজীবী সুশীলরা মুখে ফেনা তুলে ফেলল, তারাই আজ থেকে ২৫ বছর আগে হুমায়ূন আহমেদকে কথায় কথায় অপমান করত। বহুবার শুনেছি, হুমায়ূন আহমেদ খুব সস্তা দরের লেখক। তার লেখা পড়া মানে হল চটি বই পড়া।
আমার মনে আছে, হুমায়ূন আহমেদের বই হাতে আছে বলে কত বাজে কথা শুনতে হয়েছে। আমরা নাকি সস্তা পাঠক, হুমায়ূন যারা পড়ে তারা গাধা ইত্যাদি ইত্যাদি । অথচ যারা বাজে কথা বলেছে তারা এই ২৫ বছরে কিছুই করে নি। স্রেফ বসে বসে গ্যাঁজানো ছাড়া এবং মানুষের সমালোচনা করা ছাড়া তাদের বিশেষ কোন কাজ নাই।
এই রকম এক বিশেষ সুশীল হুমায়ূন আহমেদ মারা যাওয়ার পর তার স্মরণ সভায় উপস্থিত। ওই হারামী হুমায়ূন আহমেদের বইকে চটি বই বলত। সেই হারামী স্মরণ সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি যে কত মহান সাহিত্যিক ছিলেন সেটা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলল। আমার আর সহ্য হয় নি। আলোচনা সভা শেষ হওয়া মাত্র হারামীর বাচ্চাকে ছাই দিয়ে ধরলাম। ২৫ বছর আগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া মাত্র বলল, ওই রকম কোন কথা আমি কোন দিনও বলিনি। পুরোপুরি অস্বীকার করল। এই ভণ্ড গত ২৫ বছরে কী করেছে ? গাঁজার কলকি টানা ছাড়া কিছুই করে নি। ভণ্ড আর কাকে বলে ?
আজকে অনন্ত জলিলকে নিয়ে তামাসা করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে যাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করতে পারলে আমাদের নিজের ব্রাহ্মণত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। যারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে তারা আগামী ২৫ বছরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কিছুই করবে না। কিন্তু পাকনা পাকনা কথা বলবে।
এরাই আবার অনন্ত জলিল মারা যাওয়ার পর তিনি যে কত মহান শিল্পী ছিলেন এবং তার কত ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন, সেটা প্রমাণ করতে গিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলবেন।
কেন যেন আমরা শিল্পীদের সম্মান দিতে পছন্দ করি না, তাদের অপমান করে আমাদের খুব আনন্দ লাগে। যেই দেশের যেই রীতি। ।
তার ভুলভাল ইংরেজি ডায়ালগটার মূল ম্যাসেজটা আমার ভালো লেগেছে। ওটার ভুলটা সবার চোখে পড়ছে কিন্তু দেশপ্রেমটা কারো চোখে পড়ছে না।
আপনি বাংলাদেশেরটা খাচ্ছেন, সুতরাং দেশটাকে শ্রদ্ধা করুন। - চমৎকার কথা।
তিনি বলেছেন বলে সেটা পরিহাসের কথা হয়ে যায় না। কেবল বাংলা সিনেমার হিরো বলে তাকে পচানোর কিছু নাই। তার চেয়ে অনেক পচা নায়ক হিন্দি, তামিল, তেলেগু ভাষায় আছে। তারা কিন্তু তাদের পচায় না।
উদাহরণ হিসেবে রজনীকান্তকে নেয়া যেতে পারে। মাদ্রাজে রজনীকান্তকে দেবতার মতো সম্মান করা হয়।
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মধ্যে দোষ গুণ আছে। আলোচনা যদি করতে হয়, দোষগুণ সমেত আলোচনা হবে।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলি।
আমার এক বন্ধু জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা জয়যাত্রার প্রধান সহকারী পরিচালক ছিলেন। এখন তিনি পরিচালক। একটা চমৎকার স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসে আছেন আজ ৫ বছর। কোন প্রযোজক পাচ্ছেন না। কেউ তার ওই সিনেমায় টাকা বিনিয়োগ করতে চায় না। কারণ ওই স্ক্রিপ্টে অশ্লীল কোন নাচগানের অবকাশ নাই। এই হল বাংলাদেশ। সমালোচনা করার পাশাপাশি এই বাস্তবতাটা নিয়াও কথা হোক।
ভালো ভালো সিনেমা অনেক নির্মাণ হয়। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম অনেক ভালো ভালো সিনেমা বানায়। সেই সিনেমাগুলোর টাকা তুলতে হয় টিভিতে চালিয়ে। কেউ হলে গিয়ে সেই সিনেমা দেখে না। কেবল ঢাকার দুই তিনটা সিনেমা হলে মুক্তি দিয়ে কোন সিনেমার লগ্নিকৃত টাকা তুলে ফেলা সম্ভব না।
এই ব্লগে অনেকে বাংলা সিনেমাকে পচায়। ওই পচানিকে অনেকে মুভি রিভিউ বলে তারিফ করে। ওটা মুভি রিভিউয়ের জাতও না । মুভি রিভিউ মানে মুভিকে পচানো না, ভালো মন্দ সব কিছু বলা ।
তারা কিন্তু কোন দিনও সিনেমা হলে যায় না, ভালো সিনেমা মুক্তি পেলেও যায় না, খারাপ সিনেমা মুক্তি পেলেও যায় না। তারা সিনেমা হলের দর্শক না। তারা টিভিতে হিন্দি সিনেমা দেখে বা হলিউডি মুভি দেখে। অথবা তারা ডাউনলোড করে সিনেমা দেখে। তারা যেই সব সিনেমা দেখে সেগুলোর মধ্যে এ রেটেড সিনেমাও থাকে, ফালতু সিনেমা থাকে, উরাধুরা সিনেমা থাকে, ভালো সিনেমাও থাকে। তারা কিন্তু ওই সব সিনেমাকে পচিয়ে কোন রিভিউ দেয় না। ওই সব সিনেমার রিভিউ হিসেবে তারা যা লিখে সেটা ওই মুভি কোম্পানী বিজ্ঞাপন মনে হয়। মনে হয়, তারা ওই মুভির প্রোমোশনাল লিখেছে। প্রশংসায় বিগলিত সেই সব মুভি রিভিউ। নিজের অজান্তেই তারা ওদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে।
আমার কাছে মনে হয়, এরা না বুঝেই অন্য কারো দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেকটা তারাও প্রপাগান্ডার শিকার। হিন্দি ও হলিউডি কালচার দ্বারা তারা প্রভাবিত । দেশজ কালচার বা দেশের মুভিকে ছোট করে তারা নিজেকে উচু জাতের বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করে থাকে। আপনি মুভি রিভিউ নামের এই পচানি লেখার আগে একবার অন্তত ভাবুন ---
আপনি কারো দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছেন না তো - নিজের অজান্তেই।
তাদের দেখার তালিকায় কখনও বাংলা সিনেমা থাকে না। এরা মূলত বাংলা সিনেমার দর্শকই না। কারণ হল বাংলা সিনেমা সম্পর্কে নেতিবাচক প্রপাগান্ডা। প্রপাগান্ডা চালিয়ে বাংলা সিনেমাটাকে এতটা খেলো করা হয়েছে যে, এখন যে কোন সিনেমা সেটা ভালো হোক বা মন্দ হোক, বাংলা সিনেমা হলেই পচানো হয়। সুতরাং ভদ্রলোকের সংজ্ঞায় এটা অবশ্যই যোগ করা আছে যে, তিনিই সুশীল ও ভদ্রলোক যিনি হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখেন না। যিনি হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখেন, তিনি ভদ্রলোক নন। ভালো সিনেমাগুলো এই নেতিবাচক প্রপাগান্ডার শিকার হয়ে সিনেমা হলে দর্শক পায় না। ফলে পুরো ইন্ডাস্ট্রি এখন ধুকছে। এই ভুয়া নেতিবাচক প্রপাগান্ডা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
বাংলা সিনেমাকে পচিয়ে আর যাই হোক, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কোন লাভ হয় না। দরকার গঠনমূলক সমালোচনা। খুব বেশি দরকার। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনার ভীষণ ভীষণ অভাব। গঠনমূলক সমালোচনা করা ভালো, সেটা ভীষণভাবে দরকার আছে কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই পচানোর কোন মানে হয় না।
অফটপিক : এই পোস্টের মন্তব্য হিসেবে এসেছিল কথাগুলো। কিন্তু দেখলাম, এই বিষয়ে একটা আলাদা পোস্ট হতে পারে। সুতরাং ...
Click This Link
১৫১ টি 
+৩৮/-০ ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৯
অদম্য১২৩৪ বলেছেন: প্রপাগান্ডা চালিয়ে বাংলা সিনেমাটাকে এতটা খেলো করা হয়েছে যে, এখন যে কোন সিনেমা সেটা ভালো হোক বা মন্দ হোক, বাংলা সিনেমা হলেই পচানো হয়। সুতরাং ভদ্রলোকের সংজ্ঞায় এটা অবশ্যই যোগ করা আছে যে, তিনিই সুশীল ও ভদ্রলোক যিনি হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখেন না। যিনি হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখেন, তিনি ভদ্রলোক নন।
ঠিক বলেছেন
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৪
শ।মসীর বলেছেন: সহমত ...........।
অনন্ত অন্তত চেস্টা করছে, হুম সে নায়ক হতে পারে কিনা বা তার সে যোগ্যতা আছে কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু বাংলা সিনেমা নিয়ে সে যে পরীক্ষা করছে , নিজের টাকা বিনিয়োগ করে হউকনা নিজেকে তুলে ধরার জন্য , সেটাকে অবমূল্যায়ন করার কোন মানে হয়না ।
অন্তত এর ফলে অন্য পরিচালকরা যদি শোধরায় সেটাও হবে বড় পাওয়া ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনন্তের সিনেমাগুলো আমি দেখেছি। প্রচলিত যে কোন এফডিসি ফিল্মের মতোই। কাহিনী খুব একটা ভালো না। কিন্তু কোন অশ্লীলতা নাই। অশ্লীলতা না থাকাটা বিরাট ব্যাপার।
সিনেমার প্রিন্ট ভালো। লোকেশন ভালো। নায়ক নায়িকা সুদর্শন। অভিনয়ে কাচা অনন্ত কিন্তু বর্ষা বা অন্য নায়িকারা খারাপ না।
একশন দৃশ্যগুলো হলিউড বা বলিউড প্রভাবিত। কিন্তু চলনসই।
সে বাংলা সিনেমাকে নতুন করে দাড় করাতে চাচ্ছে। তার এই দৃষ্টিভঙ্গিটাকে আমি শ্রদ্ধা করি।
রিভিউকারীদের বলছি, তাকে আপনি সমর্থন না-ই করতে পারেন। কিন্তু তাকে খেলো বানাতে গিয়ে গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে খেলো করতে পারেন না। আপনি নিজের অজান্তেই ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করছেন, আপনার লেখা পড়ে অনেক দর্শক সিনেমা হলে যাচ্ছেন না। ক্ষতি হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির।
হলিউড বা বলিউডে অসংখ্য আজেবাজে সিনেমা নির্মিত হয়। আপনি যে কোনভাবেই হোক, সেগুলো গেলেন। সেই আপনিই আবার হলিউড বা বলিউডের মুভি রিভিউ লিখতে গিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছেন। আসলে কি আপনি কারো দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছেন - নিজের অজান্তেই ?
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৪
হীরা ৪৪ বলেছেন: বাঙ্গালী কিছু ভাগ আছে এই ভাগের বিশাল একটা অংশ না বুঝে অন্যের কথায় বিশ্বাস করে আর হুদাই লাফায় , হুজুকে মাতাল।
সিনেমা বা গল্প যেটাই বলেন না কেন, এগুলো কেমন হবে টা নিরভর করে পাঠক বা দর্শক কেমন তার উপর। আর যিনি লিখেন তিনিও এককালে এই পাঠক বা দর্শক শ্রেণি থেকেই উঠে আসেন। বাংলা সিনেমা আর যাই হোক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখন উচ্ছন্নে যায় নি । অনেক ভাল সিনেমা আজকাল তৈরি হচ্ছে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বাংলাদেশের ভালো সিনেমার বেশির ভাগ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম থেকে তৈরি হয়। এই ভালো সিনেমাগুলোও কেউ হলে গিয়ে দেখে না । কেন ? কারণ এই সুশীলরা চায় না, ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হোক। তারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখাটাকে জাত যাওয়া বলে মনে করে।
আবার এরাই হলিউড বা বলিউডের মুভি দেখে ওয়াও ওয়াও করে।
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৪
হীরা ৪৪ বলেছেন: সহমত
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৬
রাফসান রাফী বলেছেন: "তার ভুলভাল ইংরেজি ডায়ালগটার মূল ম্যাসেজটা আমার ভালো লেগেছে। ওটার ভুলটা সবার চোখে পড়ছে কিন্তু দেশপ্রেমটা কারো চোখে পড়ছে না।
আপনি বাংলাদেশেরটা খাচ্ছেন, সুতরাং দেশটাকে শ্রদ্ধা করুন। - চমৎকার কথা" -সহমত
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ সহমতের জন্য।
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪০
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
সত্য কথাগুলোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫০
আমার জীবন বলেছেন: 
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কেন ?
৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫০
হেডস্যার বলেছেন:
ঠিক। আপনি ব্যপারটা নিয়ে নতুন করে ভাবালেন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভাবার দরকার আছে। আমরা কি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছি কি না।
১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫২
আমিতপু বলেছেন: আমি লেখার সাথে একমত। এটা সত্যি যে বাংলা ছবিকে পঁচিয়ে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কোন উন্নতি করতে পারব না।
কিন্তু, কিছু কথা বলতেই হচ্ছে
সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যক্রমে ঈদের বন্ধে একটা চ্যানেলে (সম্ভবত সময়) নায়ক অনন্ত এঁর সাক্ষাতকার দেখার সুযোগ হয়েছে। অনন্ত সাহেবের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমার প্রথমে মনে হয়েছে যে, নায়ক বলেই কি কোন অভিনেতাকে উৎকট/ কিম্ভুতকিমাকার সাজ নিতে হবে? এই গরমে তাঁর সাজ- চকচকে কালো স্যুট, টাই, বুট, বেমানান চিপ/ জুলফি। নায়ক বলেই কি তাঁকে ভুল-ভাল ইংরেজিতে কথা বলতে হবে?? বাংলায় বললেই তো হয়।
আমার তো ভাই সাজপোশাক দেখে আর বাংলা উচ্চারন (ছিনেমা, পেজেন্ট) শুনেই অস্থির লেগে গেছে। মনে হয়েছে নতুন টাইপের আর-জে (হলে গিয়ে মুভি দেখার ইচ্ছাটাও ভ্যানিশ হয়ে গেছে)। একটু নরমাল ভাবে কথা বললে, একটু নরমাল ড্রেস (পাঞ্জাবি পাজামা, জিন্স-টি শার্ট) পড়লে এতোটা দৃষ্টি কটু হয় না।
যে কোন শো- তে দৃষ্টি কটু কিছু চোখে পড়লে মানুষ টিজ করবেই। কোন যুক্তি দিয়ে ঠেকানো যাবে না। তবে অনন্ত সাহেবের যদি এসব টিজ থেকে ভুল টা বের পরবর্তীতে তা শুধরে নেন, তাহলে আজ যারা তাঁকে টিজ করছে তারাই তাঁকে মাথায় নিয়ে নাচবে। আমদেরকে সেই সুসময়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনন্ত জলিলের সীমাবদ্ধতাকে আমি অস্বীকার করি না। কিন্তু তার উদ্যোগটাকে সাধুবাদ জানাই।
বাংলা সিনেমার এই দুর্দিনে সে অশ্লীল সিনেমা না বানিয়ে সাদামাটা বাণিজ্যিক সিনেমা বানাচ্ছে। সেগুলো সে টিভিতে দিয়ে টাকা ওঠাচ্ছে না, সিনেমা হলে চালাচ্ছে। দর্শককে আবারও সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
নিজের টাকায় সে অনেক সিনেমা হলকে সংস্কার করে ডিজিটাল বানানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে।
সে একটা পরিবর্তন করার সূচনা করেছে। তাকে সাহায্য করার বদলে তাকে পচানো তো কোন কাজ না।
১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৩
অপরাজিত বা হাতিমানব বলেছেন: অনেক গুরুত্ব পূর্ন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন শামীম ভাই।অনন্ত জলিল ও হুমায়োন আহমেদের বিষয়টা তুলনা নাচল্লেও বিষয়টা কাছাকাছি বলা যায়।একজন দর্শকের একটা মুভি খারাপ লাগলে তা পচাইতেও পারে কিন্তু কিছু জিনিস দর্শকের ঘারে চাপাইয়া দেওয়ার মত হইয়্যা গেছে লেভেল তৈরি হইয়্যা গেছে স্টার সিনেপ্লেক্সে টিভি মাইক্রোফোনের সামনে দারাইয়া এক মেয়ে বলে "বাংলা মুভি দেখতে যাচ্ছি" একথা কোন মুখ নিয়ে বলবো!তবে অনন্ত জলিলের মুভি এই শ্রেনীর ভেতরের অনেকেও নাকি দেখতে যাচ্ছে ভালো দিক।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি মনে করি, অনন্ত জলিল একা যেটা শুরু করেছে, এই ধারায় আরও কয়েক জন এসে যোগ দিলে বাংলা সিনেমায় একটা পজিটিভ পরিবর্তন আসতে শুরু করবে।
১২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৪
মদন বলেছেন: +
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১০
সায়েম মুন বলেছেন: আপনার লেখাটা ভাল লাগলো।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৯
তাশফী বলেছেন: অনন্তকে যারা গালাগালি করেন তাদের কেউ কি আসলেই তার ছবি দেখেছেন? নাকি অন্যের সাথে তাল মিলানোর জন্য অন্য কারো মুখে শুনেই গালাগালি করেন? বাস্তবতা হল হয়ত জ্বলন্ত সাহেব তার সিনেমাগুলোতে হাস্যকর কিছু কান্ডকারখানা করেন কিন্তু তিনি সিনেমার উন্নয়নেই কাজ করছেন। এট লিস্ট এফডিসি কেন্দ্রিক সিনেমাগুলোর যে দূর্দশা তা অনেকটাই কাটানো গেছে। কাহিনীতে যথেষ্ট বৈচিত্র আছে। বিদেশি নায়িকা আসছে। বিদেশে মুক্তি দেয়া হচ্ছে।বাংলা সিনেমা ঐ দেশ গুলোতে পরিচিত হচ্ছে। প্রতিভাবান আর প্রতিষ্ঠিত পরিচালক,প্রযোজক,অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যদি এই সুযোগ কাজে লাগান তাতে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি আবার মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে।নায়ক এম এ জলিল এর মত যদি আরো ৩-৪ জন এগিয়ে আসে তবে ঢাকাই চলচ্চিত্র ফিরে পাবে হারানো সুদিন।অনন্ত যদি ধারাবাহিকভাবে ১৩-১৪ কোটি টাকা খরচ করে টানা ৪-৫ টা সিনেমা বানাতে পারে, তবে আমাদের উচিত হলে বা টিভিতে( যদি টিভিতে প্রিমিয়ার করে আরকি) সিনেমা গুলি দেখা।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন।
আমাদের উচিত সিনেমা হলে গিয়ে তার সিনেমাগুলো দেখা। তারপর তার গঠনমূলক সমালোচনা করা, পচানো নয়।
১৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২১
রাফা বলেছেন: যারা সমালোচনা নয় অপ-সমালোচনা করছে তারা কি বাংলা সিনেমার প্রকৃত দর্শক।তারা বছরে একবার হয়তো সিনেমা হলে যায় শুধু কুৎসা রটনা করার জন্য।বিদেশি বস্তাপচা ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকে তারা।তাদের কাছে দেশের সব কিছু খারাপ ,আর বিদেশের সবকিছু হোচ্ছে রসগোল্লা।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এই হল আসল কথা।
দেশের কুত্তার চেয়ে বিদেশী কুত্তা আমাদের সব সময়ই ভালো লাগে । 
১৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০২
গানচিল বলেছেন: অনন্তের কোন ছবি দেখার সুযোগ হয়নি এখনো।তাই কোন মন্তব্য করা উচিত হবে কিনা বুঝতে পারছিনা।তবে তার বাংলা উচ্চারন নিয়ে ব্লগের বিভিন্ন জনের কটাক্ষ এবং তীর্যক মন্তব্য পড়ি আর ভাবি ওরাই আবার কোন আনাড়ী শিল্পীর বাংলিশ উচ্চারনে গাওয়া গান (যা আজকাল প্রায়ই শুনি)শুনে যখন লাফাতে থাকে তখন সেই শিল্পীর উচ্চারন নিয়ে কিছু লিখেনা।যত দোষ কেবল অনন্তের। ডাবল স্ট্যাণ্ডার্ড আর কাকে বলে।
ভাল লাগলো আপনার লেখা।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আশা করি, অনন্তের সিনেমা দেখবেন। তারপর তার গঠনমূলক সমালোচনা করবেন।
১৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২১
chai বলেছেন: সহমত।++++
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৫
েরজা , বলেছেন:
শামীম ভাই- যারা এটা করছে তারা অন্য কারো দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না , এই সমালোচনাটা কোন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ না বলেই আমার মনে হয় ।
আপনি যখন সবার সামনে হাস্যকর কিছু করবেন পাবলিক কিন্তু আপনাকে ছেড়ে দিবে না ।
এই লোক পাবলিকের ( মধ্যবেত্তের ) হাসির খোরাকে পরিনত হয়েছে , ষড়যন্ত্রের ব্যাপার না ।
এই ভদ্রলোকের বাংলা উচ্চারন-ই যথেস্ঠ পাবলিকের হাস্যরসের উৎস হবার জন্য , ইংরেজীটা না হয় বাদ-ই দিলাম ।
আর যেখানে সে বাংলাই বলতে পারে না সেখানে এই ইংরেজী বললে পাবলিকের আর দোয কী ?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: একটা শ্রেণী আছে যাদের কাছে দেশের সব কিছু নিয়াই হাস্যরস করতে ভালো লাগে। বিদেশের সব কিছু জাতের মনে হয়। ঔপনিবেশিক চিন্তাভাবনা এখনও এই জাতের মধ্যে ভালোভাবেই আছে।
এরা দেশের নুন খাবে, গুণ গাবে বিদেশের। এদের জন্যই দেশে কোন ভালো কাজ হয় না।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: Click This Link
১৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৯
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: সহমত।
১২++
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৩
মনাপাগলা৪২০ বলেছেন: সুন্দর লিখছেন আপনি, ++++
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৫
মনাপাগলা৪২০ বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনন্ত জলিলের সীমাবদ্ধতাকে আমি অস্বীকার করি না। কিন্তু তার উদ্যোগটাকে সাধুবাদ জানাই।
বাংলা সিনেমার এই দুর্দিনে সে অশ্লীল সিনেমা না বানিয়ে সাদামাটা বাণিজ্যিক সিনেমা বানাচ্ছে। সেগুলো সে টিভিতে দিয়ে টাকা ওঠাচ্ছে না, সিনেমা হলে চালাচ্ছে। দর্শককে আবারও সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
নিজের টাকায় সে অনেক সিনেমা হলকে সংস্কার করে ডিজিটাল বানানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে।
সে একটা পরিবর্তন করার সূচনা করেছে। তাকে সাহায্য করার বদলে তাকে পচানো তো কোন কাজ না।
এটা যদি সত্যি হয় তাহলে আমি তার মুভি হলে গিয়েই দেখব
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যে কোন ভালো বাংলা সিনেমাকে হলে গিয়ে দেখেন। তাতে করে আরো বেশি ভালো সিনেমা নির্মিত হবে।
এর অর্থ ধরে নিয়েন না, অনন্ত জলিলের সিনেমাকে আমি ভালো সিনেমা বলছি। তার সিনেমাগুলো গতানুগতিকের চেয়ে সামান্য ভালো।
২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৫
ডেভিড বলেছেন: সহমত শামীম ভাই, বাংলা সিনেমার দু:সময়ে অনন্ত কিছু একটা চেষ্টা করছে, যতই সে হাস্যকর কিছু করুক, তার চেষ্টাটাকে শ্রদ্ধা করা উচিত। কিন্তু তাকে নিয়ে ক্রমাগত সমালোচনা দেখে মনে হচ্ছে বাংলা সিনেমার সে বারটা বাজাচ্ছে।
যদিও বাংলা সিনেমা নিয়ে লিখতে গেলে নেতিবাচক দিকটিই বেশি আসবে। কিন্তু দেশের দিকে তাকিয়ে, দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির হারান মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে, দর্শকদের আবার সিনেমামুখি করতে অনন্ত ও অন্যান্যদের চেষ্টার নেতিবাচক সমালোচনাগুলো বন্ধ রাখার সবাইকে আহ্বান জানাই
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পচানি দেয়াটা ভিন্ন জিনিস - তোমারে আমি দেখতে পারি না তুমি যাই কর না কেন - এটা হল সেই টাইপ জিনিস।
অন্য দিকে সমালোচনা হল ভালো মন্দ সব দিক নিয়ে কথা বলা। গঠনমূলক সমালোচনায় সব কিছুই থাকে। পচানি থাকে না।
২৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৭
শিপু ভাই বলেছেন:
ধন্যবাদ শামিম ভাই। একেবারে মনের কথাগুলো বলার জন্য। বিষয়টা নিয়ে আমি লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লেখনী শক্তির সীমাবদ্ধতার জন্য লেখা হয় নি।
+++++++++++++++++++
অনন্ত বাংলা সিনেমার জন্য একটি আশির্বাদের নাম। নায়ক অনন্তের চেয়ে প্রযোজক অনন্ত আমার কাছে বেশি প্রিয়।
তারে হিংসা করে হলেও এখন অনেকেই বড় বাজেট নিয়ে ছবি বানাতে আসবে। এটাই স্বার্থকতা।
আর নায়ক হইলেই যে সে ভুলভাল কিছু করতে পারবে না তেমন না। অনন্ত বাস্তবেও উচ্চারন (বাংলা/ইংলিশ) ভুল করে। কিন্তু বাস্তবেও সে একজন হিরো।
*সুদর্শন
*সফল ব্যবসায়ী
*নায়িকার মত সুন্দরী বৌ (নায়িকা বৌ)
*রিস্ক নেওয়ার মানসিকতা। ( সাহস করে একজনকে কিলাইতে যাওয়ার চেয়ে এক কোটি টাকা দিয়া ফিল্ম বানানো বেশি রিস্কি।)
*দেশপ্রেমিক
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: তার উচ্চারণে সমস্যা আছে। তার আচার আচরণ হয় তো কেমন । কিন্তু লোকটার অবদান তো কম না। বাংলা সিনেমার দুর্দিনে বিগ বাজেটের সিনেমা বানাচ্ছেন এবং সফলও হচ্ছেন।
নিচের লিংকে দেখেন ...
Click This Link
এর আগে স্বপন আহমেদে লাল টিপ নিয়া চলল ব্যাপক পচানি। একটা একটা করে সিনেমা আসে, আর সেই সিনেমাকে পচানি দেয়ার জন্য ঝাপিয়ে পড়ছেন ব্লগাররা। এই ব্যাপারটা মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এটা কি ঠিক ?
গঠনমূলক সমালোচনা করেন।
২৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৯
সীমান্তে অসীম বলেছেন: শামীম ভাই আপনার লেখাটা পড়ে হতাশ হয়েছি। সিনেমায় তার ভূমিকা আমি প্রশংসা করি। কিন্তু তাকে নায়ক হয়েই সেই ভূমিকা পালন করতে হবে কেন? আপনাকে যদি ১০ কোটি টাকা দিয়ে বলা হয় আপনি বাংলা সিনেমার নায়ক হোন, আপনি হবে? আমার বিশ্বাস হবেন না। জলিলের প্রযোজনায় আত্মনিয়োগ করাই যথাযথ হতো।
তার বাংলা এবং ইংরেজী উচ্চারণ যাতা.... এটা যদি মানুষের হাসির উদ্রেগ করে তবে তাকে আপনি ঠেকাবেন কিভাবে? সব কিছুতে রহস্যের গন্ধ খোঁজা ঠিক নয়। অনন্ত আপনাকে মানায় না।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি রহস্যের গন্ধ খুজিনি। দেশের নুন খেয়ে বিদেশের গুণ গাওয়া আমাদের পুরোনো অভ্যাস। দেশের সব খারাপ, বিদেশের সবই ভালো - এই হল আমাদের মানসিকতা।
আমিও আপনার মতো জলিলের প্রযোজক হিসেবে অবদানটাকে বড় বলে মনে করি।
২৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১২
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: একটা কথা চোডকাল থেইকা আজ পর্যন্ত সৎ পুলিশ অফিসারের মরন আর তার পোলার প্রতিশোধ ছাড়া বাংলা ছবিতে কিছু দেখছেন। কই আলোর মিছিল, আগুনের পরশমনি, জীবন থেকে নেয়া এসব ছবিরে তো কেউ পচায় না। যেগুলারে পচায় কারন আছে বলেই পচায়।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বাংলা সিনেমার গল্পের সংকট নিয়ে অনেক আগেই লিখেছিলাম।
Click This Link
বাণিজ্যিক ছবিগুলোর ধরন হবে ভিন্নরকম। এটা সব দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই হয়।
২৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২০
দারাশিকো বলেছেন: স্যালুট শামিম ভাই।
এই একই কথা বলার ইচ্ছা আমারও। কয়েকদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিভাবে বলা যায়। আপনি বলে দিলেন।
কৃতজ্ঞতা 
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভাইরে ..... পচানির মহামারী লাইগ্যা গেছে।
যেই সিনেমাই আসে, তারেই পচানি দেয়ার জন্য রেডি হয়া আছে। এটা কোন ধরনের মানসিকতা ?
২৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শামীম ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। মনের কথা গুলো বলেছেন।
এই ধরনের এক তরফা নেতিবাচক সমালোচনা ঠিক না। ভালো মন্দ মিলিয়ে বললে সেটার গ্রহনযোগ্যতা থাকত অনেক বেশি।
অনন্ত জলীলের বাংলা সিনেমা পরিবর্তন করার যে প্রয়াস সেটা অবশ্যই ভালো। তবে টাকা থাকলেই হয়ত আপনি নিজেই অভিনয় করতে হবে এমন ধরনা ঠিক না। তিনি একজন ভালো প্রযোজক হতে পারেন। অনেক ভালো ছবি আছে যেগুলো শুধু টাকার অভাবে ঠিকভাবে হয় না। সেখানে যদি তিনি লগ্নি করতেন তাহলে আরো অনেক বেশি ভালো হত।
আর একদিনেই তো সব পরিবর্তন করে ফেলাটা সম্ভব না কিংবা হয়ত উচিত নয়, সেটা আমাদের বুঝতে হবে। অনেকে ছবির বিভিন্ন কোরিও গ্রাফী নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটের সাথে আস্তে আস্তে করে এই কোরীয়গ্রাফীকে উন্নত করতে হবে। কোন নায়িকা যদি আজকে 'শীলা কি জাওয়ানী' টাইপ কোরীওগ্রাফীর সাথে নাচে তাহলে সেটা হঠাৎ করে জন সাধারনের জন্য গ্রহন করা মুসকিল। সেই নায়িকাকে নিয়ে শুরু হবে আবারো নানা কাহিনী। যাই হোক আমি খুব বেশি মুভি দেখি না। অল্প বিস্তর দেখি। আর কোন সর্ম্পকে ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে বেশি কিছু না বলাই ভালো।
তবে আপনের পোষ্টের সব কথার সাথেই আমি মোটামুটি একমত।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনন্ত জলীলের বাংলা সিনেমা পরিবর্তন করার যে প্রয়াস সেটা অবশ্যই ভালো। তবে টাকা থাকলেই হয়ত আপনি নিজেই অভিনয় করতে হবে এমন ধরনা ঠিক না। তিনি একজন ভালো প্রযোজক হতে পারেন। অনেক ভালো ছবি আছে যেগুলো শুধু টাকার অভাবে ঠিকভাবে হয় না। সেখানে যদি তিনি লগ্নি করতেন তাহলে আরো অনেক বেশি ভালো হত।
......................................................................................................
পুরাই একমত।
২৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৯
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই,
কুঁড়ে ঘরে থাকি করো শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি কত সুখে অট্টালিকা পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ-বৃষ্টি ঝড়ে।
বাবুই হাসিয়া কহে সন্দেহ কী তায়,
কষ্ট হোক তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক তবু ভাই পরেরও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।
২৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৭
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর করে কিছু কথা বলছেন। পচানি জিনিসটা আমি একদম পছন্দ করি না। তবে ইদানিং বাংলা সিনেমা নিয়ে সাট্যায়ার রিভিউগুলোও কিন্তু দর্শক বাড়াচ্ছে। আমি হলে গিয়ে অনেক বাংলা সিনেমা দেখেছি। গত ঈদের তিনটি সিনেমা দেখেছি মফস্বলের হলে বসে শুধু মাত্র সিনেমাশিল্পের কথা চিন্তা করে। কিন্তু হলের পরিবেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর যাবার মত অবস্থা নেই। জলিল যেসব সিনেমা বানাচ্ছে এসবই একদিন আরও ভালো হল গড়ে উঠতেও সাহায্য করবে। চমৎকার পোস্টে প্লাস দিতে বাধ্য হলাম
অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া !!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: তার মোস্ট ওয়েলকাম সুপার হিট সিনেমা। সিনেমা হিট না হলে সিনেমা হল টিকবে না। আর সিনেমা হলই যদি না থাকে, তবে সিনেমা দেখাবেন কোথায় ? তাই এমন সিনেমাই বানাতে হবে যেটা দর্শক দেখে, পয়সা দিয়ে টিকেট কেটে হলে বসে দেখে।
যারা টিভি বাংলা সিনেমা দেখে পচানি লেখে তারা সিনেমা শিল্পের উন্নতি চায় না, এরা হল ভণ্ড। এই সব ভণ্ডদের কাছ থেকে দূরে থাকা উচিত।
৩০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৭
সপ্তম ইন্দ্রিয় বলেছেন: সময় উপযোগী পোস্ট । আপনি যেটা ব্লগে করছেন আমি বাস্তবে আমার কিছু অতি পন্ডিত বন্ধুদের সাথে করেছি , মানুষ কেন বোঝে না রাতারাতি বাংলা ছবিকে পরিবর্তন করা সহজ না , নায়ক অনন্ত যেটা করছেন আর কয়জন সেটা করেছে এখন?
ব্যাপারটা এমন হয়ে গেছে নিজে আমি ল্যাংড়া আর অন্নের পায়ের জুতা নাই বলে চিল্লা ফিল্লা।
আপনার একটা কথা ভালো লেগেছে শামীম ভাই
আপনি বাংলাদেশেরটা খাচ্ছেন, সুতরাং দেশটাকে শ্রদ্ধা করুন
আশাকরি জলিল সাহেব এর হাত ধরে বাংলা ছবির পরিবর্তন আসবে।
হিন্দি আর ইংরেজি ছবির চুশীল রা নিপাত যাক।
পোস্টে ++++++
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনি বাংলাদেশেরটা খাচ্ছেন, সুতরাং দেশটাকে শ্রদ্ধা করুন
কথাটা আমার না, অনন্ত জলিল বলেছেন। তিনি ভুলভাল ইংরেজিতে বলেছেন, আমি বাংলা করে দিয়েছি।
৩১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০১
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। সহমত।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৮
তাসিম বলেছেন: আপনার একটা কথা ভালো লেগেছে শামীম ভাই
আপনি বাংলাদেশেরটা খাচ্ছেন, সুতরাং দেশটাকে শ্রদ্ধা করুন
আশাকরি জলিল সাহেব এর হাত ধরে বাংলা ছবির পরিবর্তন আসবে।
হিন্দি আর ইংরেজি ছবির চুশীল রা নিপাত যাক।
পোস্টে ++++++
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনি বাংলাদেশেরটা খাচ্ছেন, সুতরাং দেশটাকে শ্রদ্ধা করুন
কথাটা আমার না, অনন্ত জলিল বলেছেন। তিনি ভুলভাল ইংরেজিতে বলেছেন, আমি বাংলা করে দিয়েছি।
৩৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৯
শিপু ভাই বলেছেন:
কোন কোন রিভিউ লেখক নাকি তাদের রিভিউকে প্রযোজকদের ব্ল্যাকমেইলিং এর জন্য ব্যবহার করছে বলে গুজব শুনতে পাচ্ছি। এমনটা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমিও এমনটা শুনেছি।
এই সব ব্লাকমেইলকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করে দেয়া দরকার।
৩৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩২
অচিন.... বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার কথা গুলো
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮
অচিন.... বলেছেন: তবে আমার মনে হয় সবাই সঠিক পথে আসতেছে, আগে সাকিবকে নিয়ে বাজে কিছু বললে প্রতিবাদ করতো না কেউ, কিন্তু অনন্তর বিষয়ে এই আচরন শুরু হওয়াতে অনেকেই কিন্তু অনন্তকেই সাপোর্ট করতেছে। এটা মনে হয় পজিটিভ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনন্তকে প্রযোজক হিসেবে অবশ্যই সাপোর্ট করি। সে এমন সব সিনেমা বানাচ্ছে যেগুলো অশ্লীল না। এর আগে ডিপজল যা বানিয়েছে তার চেয়ে অনেক ভালো।
বিগ বাজেটের এই ছবিগুলো ভালো ব্যবসাও করছে। তার মানে হল সে আমাদের হলগুলো বন্ধ হওয়াটা আপাতত ঠেকাতে পারছে। এটা একটা পজিটিভ দিক।
তার উচ্চারণ খারাপ। আচার আচরণে সমস্যা আছে। অনর্থক ইংরেজি বলার চেষ্টা করে , ভুলভাল ইংরেজি বলে। নকল গল্পের সিনেমা বানায়।
কিন্তু সে ভালো প্রিন্টের ছবি বানাচ্ছে । ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। মনোরম লোকেশনে যাচ্ছে । বিগ বাজেট নিয়ে একের পর এক সিনেমা বানিয়েই যাচ্ছে ।
তার ভালো মন্দ দুটোই আমাদের বলতে হবে।
৩৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৮
নােয়ফ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ শামিম ভাই । কাউকে পচিয়ে আমরা মনে হয় বেশি আনন্দ পাই।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমারও তা-ই ধারণা
৩৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৯
ফজলে রাব্বানি বলেছেন: সহমত
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪
অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: আপনি শুরুতেই হুমায়ুন আহমেদের যে প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন, আমার মতে সেখানে একটা টেকনিক্যালি একটা ত্রুটি আছে। কথায় আছে যে বাড়ন্ত মূলা পত্তনেই চেনা যায়। হুমায়ুন আহমেদ তাঁর প্রথম উপন্যাসের মাধ্যমেই জাত চিনিয়েছিলেন, বাণিজ্যিক ধারার লেখা শুরু করেন অনেক পরে। আর অনন্ত জলিলও তার প্রথম ছবিতেই অভিনেতা হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন।
অনন্ত জলিল যে ধরণের অভিনয় করেন, শুধুমাত্র চলচ্চিত্র শিল্প টিকিয়ে রাখার দোহাই দিয়ে এধরণের সিনেমাকে পৃষ্ঠপোষকতা করার কোন যুক্তি দেখি না আমি; বরং আমার মতে এধরণের সিনেমা বানানোর চেয়ে একেবারে কিছু না বানানো অনেক ভালো। ভালো সিনেমা দর্শক অবশ্যই দেখবে, কোন রিভিউয়ারের ব্ল্যাকমেইলিং ভালো সিনেমাকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আর অন্যদিকে কারো বাচনভঙ্গি (ইংলিশ এবং বাংলা উভয়ই) যদি হাস্যকর হয়, তাহলে শ্রোতা হাসবেই, সে কথাটা নিখাঁদ দেশপ্রেম থেকে বলেছে নাকি ঐ মুহূর্তে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বাঁচাতে বলেছে সেটা কেউ বিবেচনা করবেনা।
ভালো থাকবেন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার কথার রেশ ধরেই বলছি যদি পচানি দেয়ার দরকার হয়, তবে প্রথমে পচানি দেয়ার দরকার ডিপজলকে। এই লোকটা বাংলা সিনেমাকে অন্ধকার যুগে নিয়ে গিয়েছিল। বিশ্বাস না হলে অনলাইন সার্চ মেরে দেখেন। তার সিনেমায় এমন নোংরা দৃশ্য পাবেন যে ........
অথচ ওই কুলাঙ্গারের অতো সমালোচনা হয় না।
জলিল সেই জায়গা থেকে সিনেমাটাকে উঠিয়ে আনছেন। হলে দর্শক যাচ্ছে । সবাই তো জ্ঞান গুণী দর্শক না। তারা সাধারণ দর্শক।
এই ঈদে মুক্তি পাওয়া মোস্ট ওয়েলকাম সুপার হিট। তার ধারে কাছে অন্য কোন ছবি নাই।
Click This Link
৩৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৫
লেহালুয়া বলেছেন: মেইনস্ট্রিম বাংলা সিনেমা যেগুলো বানানো হয় সেগুলো অবশ্যই আমাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়না। প্রযোজক, পরিচালক সবাই ভাবে তাদের সিনেমার দর্শক শুধুই রিকশাচালক আর গার্মেন্টস শ্রমিকরা! কিন্তু তারা জানেনা যে যাদের চিন্তা করে এসব ছবি বানাচ্ছে তারাও এখন আর ঐসব দেখতে পছন্দ করেনা। আর তাই আমাদের সিনেমাগুলো সব মুখ থুবরে পড়ছে।ইন্ডাস্ট্রিও হুমকির মুখে! আমাদের নির্মাতারা আরো সৃজনশীল হতে হবে। সুন্দর গল্প নিয়ে সুন্দর সিনেমা দর্শক কখনো ফেরায় না।
আমি অনন্ত'র সিনেমাগুলো দেখতে পছন্দ করি কাহিনি বা অভিনয়ের জন্য অবশ্যই না। সুন্দর লোকেশন, আধুনিক চিত্রায়ন, সুন্দর গান এসব হচ্ছে জলিলের সিনেমার প্লাস পয়েন্ট।তার প্রথম সিনেমা দেখতে গিয়ে প্রথমদিকে খাপছাড়া লাগলেও পড়ে অদ্ভুত ডায়ালগগুলো শুনে খুব মজা পেয়েছি।যে কারণে ওর মুভিগুলো আমার কাছে অ্যাকশন কমেডি হিসেবে ভালো লাগে।অনন্ত'র অবদান অবশ্যই অনেক বেশি বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।আলোচনা হোক, সমালোচনা হোক মানুষতো দেখছে এটাও কম কি।আমি ২ দিন ঘুরে টিকেট পাইনি।আর হাসাহাসি করাকে পজিটিভলি নেন।রজনিকান্তকেও সবাই পচায়।ব্যপার না। যাই হোক বস্ ডোন্ট মাইন্ড অনন্ত সাহেব ছবি বানাক, আমরা সাধুবাদ জানাই।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পুরাই একমত।
৪০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০১
শিপন মোল্লা বলেছেন: দুষ্টু না শুনে ধর্মের কাহিনী" কি জানি যদি আপনার এই লিখাটা পড়ে তাদের মানসিকতার কিছুটা পরিবর্তন আসে তবে পোস্টের সার্থকতা অনেক বেরে যাবে। যাই হোক তাদের জ্ঞান ফিরুক বা না ফিরুক আপনি আপনার লিখনি দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন কঠিন করে, ইস আমি যদি আপনার মতো করে লিখতে পারতাম। ধন্যবাদ শামিম ভাই এমন সচেতন মূলক পোস্ট করার জন্য, দেখুন এখানেও আমার কিছু প্রিয় ব্লগার আপনার মতের অমিল হচ্ছে এখানেই ব্লগের মজা।
আপনি যথার্থই বলেছেন বাংলা সিনেমাকে পচিয়ে আর যাই হোক, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কোন লাভ হয় না। দরকার গঠনমূলক সমালোচনা। খুব বেশি দরকার। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনার ভীষণ ভীষণ অভাব। গঠনমূলক সমালোচনা করা ভালো, সেটা ভীষণভাবে দরকার আছে কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই পচানোর কোন মানে হয় না।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পড়ার জন্য এবং মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৩
প্লাস_মাইনাস বলেছেন: সুন্দর লিখছেন প্লাস দিতেই লগিন করলাম ।
তবে একটা কথা হা অনন্তর চেষ্টাকে ছোট করে দেখার কারন নেই। সে এটলিস্ট ট্রাই তো করছে কিছু করার। এইটাই বা কয়জন করে। তবে সে যদি একটু অন্যভাবে করত চেষ্টা টা ভাল হত। তার টাকা আছে প্রডিউস পরজন্তই থাকত। ভাল পরিতালক কলাকুশলি নিয়ে কাজ টা করত অনেক বেশি প্রশংশিত হত। হয়ত এখন তার নাম যেমন সবার মুখে মুখে সেটা হত না কিন্তু কিছু মানুষ ঠিকি তাকে মনে রাখত।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনন্ত দেশের সেরা মেধাগুলো নিয়ে কেন কাজ করে না, আমি বুঝি না। টাকায় কি না হয়।
৪২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০১
রাসেল মেটামোরফোজ বলেছেন: আমার মনের কথাগুলোই বলেছেন।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৪৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০২
খুদে দানব বলেছেন: সহমত। যদিও নায়ক হিসেবে অনন্তের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, কিন্তু একথা অনস্বীকার্য যে, বাংলা সিনেমাকে নতুন একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করাতে তার যে চেষ্টা, তাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে। নিন্দা না করে বরং সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসবার জন্য গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে তাকে সহযোগিতা করা উচিত।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি সেই কথাটাই বলছি।
৪৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৩
রাসেল মেটামোরফোজ বলেছেন: যারা প্রতিনিয়ত অর্ধ উলঙ্গ হিংলিশ (হিন্দি ও ইংরেজি মিশ্রিত বিকৃত ভাষা) ছবি দেখে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে এতটাই পচিয়েছেন যে, ব্যতিক্রম কিছু তাদের চোখে পড়লে সেটা পচা মনে হওয়াটা স্বাভাবিক।
কথায় আছে "সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ"।
এখানে অসৎ সঙ্গ বলতে ভারতীয় অর্ধ উলঙ্গ হিংলিশ ছবিকে বোঝানো হয়েছে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: হতে পারে
৪৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আচ্ছা, অনন্ত জলিল কি 'খোঁজ দ্য সার্চ'-এর নায়ক না? আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা শিল্পীদের যেমন মূল্যায়ন করতে পারি না, তাঁদেরকে প্রাপ্য সম্মানটুকুও দিতে পারি না। 'সার্চ' দেখার পর ফেইসবুক বা অন্য কোথাও আমি একটা প্যারা লিখেছিলাম- 'সার্চ' টেকনোলজিক্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট ও মেকিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশে একটা টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে বিবেচিত হবে। সারা মুভি দেখে এ ছেলেটাকে আমার খুব স্মার্ট মনে হয়েছে, এবং তাঁর টেনে টেনে কথা বলায় একটা নতুন স্বাদ ও মাধুর্যও রয়েছে। এ ছবিটি আমি বিদেশে অবস্থানকালে বেশ কয়েকজন 'সুশীল' বাংলাদেশিদের নিয়ে দেখবার কালে তাঁরা স্টান্ট হয়ে যান- বাংলাদেশে এ স্ট্যান্ডার্ডের ছবি!
আপনি আমার মনের কথাগুলো বলেছেন। পোস্ট পড়তে খুব ভালো লাগলো।
তবে যারা বাংলাদেশের ছবির নামে নাক সিটকায় তাঁদেরকে ছবি বানানোয় নামিয়ে দেয়া গেলে ভালো হতো, তাঁরা এমন কিছু পয়দা করতে পারতেন যা দিয়ে এ দেশে একটা মেইডেন অস্কার জুটে যেতে পারতো
শুভ কামনা শামীম ভাই।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: 'সার্চ' টেকনোলজিক্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট ও মেকিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশে একটা টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে বিবেচিত হবে।
সত্য কথা।
৪৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৮
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: ভালো বলেছেন। পচানিটা বেশী হয়ে যাচ্ছে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পচানির মহামারী লেগে গেছে।
৪৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পোষ্টে হাজারটা প্লাস। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সিনেমাগুলোর এমন দশা যে এভাবে চললে ১০ বছর পরে এদেশে আর সিনেমা হলের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যাবেনা। শাকিব খানের ছবি এখনো কিছুটা হিট হয় বলে হল মালিককা এখনো কিছুটা লাভের মুখ দেখে। নইলে উপায় ছিলনা! বাণিজ্যিক ছবিতে বিনিয়োগ এবং একটু উন্নতমানের কিছু করার অনন্ত জলিলেলে উদ্যেগ অবশ্যই সবদিক থেকেই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যারা পচানি লেখে তারা কিন্তু ইমপ্রেস টেলিফিল্ম নির্মিত ভালো সিনেমাগুলো দেখে না। তার প্রমাণ হল এই সিনেমাগুলো ঢাকার কয়েকটা হল ছাড়া কোথাও মুক্তি পায় না। ইমপ্রেস সিনেমার খরচ ওঠানোর জন্য সেই সিনেমাকে টিভিতে মুক্তি দেয়। তাতে ইমপ্রেসের টাকা উঠে যায়, কিন্তু হল মালিকরা তো কোন লাভ পায় না।
সিনেমা হল সিনেমা হলে চলার জিনিস। যেই সিনেমা সিনেমা হলে চলে না সেটা ভালো সিনেমা হতে পারে, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি ওই সিনেমার উপর টিকে থাকতে পারে না, হল মালিকরা সেই সিনেমার উপর টিকে থাকতে পারে না।
সুতরাং এমন সিনেমা দরকার যেটা সিনেমা হলে মুক্তি পাবে এবং সুপার হিট করবে। অনন্ত জলিলের সিনেমাগুলো সেই ধাচের সিনেমা। আমাদের সাধারণ দর্শকের জন্য নির্মিত সিনেমা।
পৃথিবীর সব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এই ঘরানার সিনেমা হয়।
৪৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৪
েনহ।ল বলেছেন: আসলেই ।। কখন এইভাবে দেখি নাই চিন্তা কইরা ।। আপনে আমার চোখ খুইলা দিলেন ।। ধন্যবাদ
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খোলা চোখ আর বন্ধ কইরেন না। এই চোখ নিয়া সিনেমা হলে ঢুইক্যা পড়েন। দেইখ্যা আসেন দেশের একটা সিনেমা।
৪৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৯
কাঙাল মামা বলেছেন: চরম বলেছেন, একদম আমার মনের কথা। পচানোকারীদের মুখে ভরে দেয়া উচিত আপনার লেখা।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ, মামা।
৫০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৫
মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: ভালো বলছেন শামীম ভাই
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সমর্থন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৫১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৫
সুমন অহেমদ বলেছেন: এরকম একটা লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ--
মানুষকে পচিয়ে আমরা এত আনন্দ পাই!! খুব এ খারাপ লাগে যখন দেখি শিক্ষিত মানুষের কারো ভাষাগত অথবা উচ্চারণগত নিয়ে ঠাট্টা করছে---!
সপ্তাখানেক আগে আমিও খুব বিরক্ত হয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম-- লেখাটা হয়ত অনেকেরই চোখে পরেনি--
সাকিব খান এবং এম এ জলিল অনন্তকে নিয়ে যাদের অনেক ব্যাথা, তাদের উদ্দেশ্যে--
যাই হোক, এরকম একটা লেখার দরকার ছিল-- ধন্যবাদ আপনাকে--
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়েছি। চমৎকার লিখেছেন।
আরও লেখার চাই। বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বাচাতে হবে। তাহলে ভালো এবং মন্দ সব ধরনের সিনেমা বানানো যাবে। ইন্ডাস্ট্রি না বাচলে ভালো সিনেমা বানানোর পথও বন্ধ হয়ে যাবে।
৫২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৮
জনাব রায়হান বলেছেন: আপনার সঙ্গে একমত
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ, রায়হান
৫৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫২
শোয়েব হাসান বলেছেন: দারুন ।
ভালো লাগলো আপনার লিখাটা পডে । উ লালা উ লালার মত বেশ্যা নিত্য যাদের ভালো লাগে তারা কত রুচি বোধ সমন্ন লোক তা জানতে আমার বাকি নাই।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বাংলা সিনেমা নিয়া এত নাক সিটকানি। অথচ ঘরে ঘরে প্রতিদিন বস্তাপচা হিন্দি সিনেমা দেখছে সবাই। অর্ধ উলঙ্গ সেই সব সিনেমা দেখতে আমাদের আর লজ্জাও লাগে না।
৫৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৫
হাছুইন্যা বলেছেন: ++
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২২
দেশী মামা বলেছেন: তখন বাংলা সিনেমার চরম দুঃসময় মাত্র শুরু হয়েছে । ভালো স্ক্রিপ্ট, অভিনেতা অভিনেত্রী, পরিচালকের অভাবে অশ্লীল ছবি মাত্র শুরু হই হই করছে । এরকম সময়ে টিভিতে দেখা একটা সাক্ষাৎকারের কথা মনে পড়ে গেল ।
আনন্দ সিনেমা হলের গেটম্যান কে যখন জিজ্ঞেস করা হল বাংলা সিনেমা নিয়ে কেন এত সমালোচনা, সে উত্তর করেছিল - যারা বাংলা সিনেমাকে খারাপ বলে এরা ছন্দে এক টিকিটে দুই ছবি দেখে ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বাংলা সিনেমার এখনও চরম দুঃসময় চলছে। এখনও একমাত্র ভরসা দেয়ার মতো নায়ক সাকিব খান। ভালো স্ক্রিপ্ট প্রায় নাই । পরিচালকও হাতে গোনা। মেধাবী পরিচালকদের হাতে কোন কাজ নাই। এফডিসি খা খা করছে।
অন্য দিকে ভালো সিনেমা যারা নির্মাণ করছেন (ইমপ্রেস বা অন্যান্য ) সেগুলো সিনেমা হলে চলছে না। টিভিতে মুক্তি দিয়ে টাকা ওঠাতে হচ্ছে। ফলে হল মালিকরা দিনের পর দিন লোকসান গুনছেন। দিশেহারা অবস্থা।
যারা ভালো সিনেমা হয় না বলে নাক সিটকান, তারা ভালো সিনেমা নির্মিত হলেও সিনেমা হলে যান না। তারা টিভিতে বা ডাউনলোড করে সেই সিনেমা দেখেন। ফলে ভালো সিনেমা নির্মাণ করেও নির্মাতা বা পরিচালকদের আঙ্গুল চুষতে হয়, লোকসান গুনতে হয় প্রযোজকদের। একটা মানুষের পক্ষে কোটি কোটি টাকা লোকসান দিয়ে কত দিন ভালো সিনেমা বানানো সম্ভব ?
শাসন করা তাকেই সাজে, সোহাগ করে যে .....
এই অবস্থায় অনন্ত সাহস করে সিনেমা বানাচ্ছেন, তার ছবিগুলো সিনেমা হলে দর্শক টানছে। ইন্ডাস্ট্রির সুদিন আবার ফিরে আসার একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে তাকে পচানি। পচানির মহামারী।
আমরা বাংলাদেশীরা নিজের পায়ে কুড়াল মারতে খুবই পছন্দ করি।
Click This Link
৫৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫০
সামুর ডাইনোসর বলেছেন: আমি চিন্তা করছি আপনার এই পোষ্টের পর সামুর বাঘা বাঘা হিট খোর ব্লগার, যারা বাংলা সিনেমা কে পচিয়ে হিট কামায় বা নাম কামায় করেছে তাদের কি হবে?
বাংলা সিনেমা পচানোর জন্য তাদের কি আদৌ লজ্জা হবে?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ইসপের একটা গল্প আছে ---
ব্যাঙ ও বালকদের গল্প । একটা জলাশয়ে অনেক ব্যাঙ থাকত। বালকরা সেই জলাশয়ে ঢিল ছুঁড়ে আনন্দ পেত। তাদের ঢিলে অনেক ব্যাঙ মারা যেত। এক দিন এক ব্যাঙ সাহস করে বলল, তোমরা তো মজা করছ, কিন্তু আমাদের তো জান যায়।
পচানিওয়ালারা তো মজা করছে, কিন্তু বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তো জান যায়।
৫৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৬
বুনো বলেছেন: চমৎকার বলেছেন ভাই। আপনার সবগুলো যুক্তিই ভালো লেগেছে, খালি হুমায়ুন আহমেদ এবং অনন্ত জলিলের তুলনা প্রসঙ্গে একটু বলতে চাই।
উনারা দুজনেই একটা বিশেষ শ্রেণীর কাছে অবহেলিত, কিন্তু পার্থক্য হোল হুমায়ুন আহমেদ এর চেয়ে ভালো কিংবা সমকক্ষ হবার মত কোন লেখক এদেশে নেই কিন্তু অভিনেতা অনন্তর চেয়ে ভালো গুণসম্পন্ন অনেকেই রয়েছে।
স্পীড বা মোস্ট ওয়েলকামের চলচিত্রগুণ সম্পর্কে কোন অভিযোগ নেই। কারণ মনে রাখতে হবে, এই দেশে যদি ১কোটি শহুরে দর্শক মনপুরা'র ভক্ত হয় তাহলে গ্রামাঞ্চলে অন্তত ৩কোটি মান্না'র ভক্ত আছে। সব মিলিয়ে অনন্ত'র মুভি থিমই পারফেক্ট বর্তমান প্রেক্ষাপটে। কিন্তু সমস্যা ওই একটাই, নিজের টাকায় মুভি বানিয়ে অনন্তর নিজেকে হাইলাইট করার প্রচেষ্টা। সে যদি দুটি মুভিতেও আরেফিন শুভ বা এরকম কাওকে ব্রেকথ্রো দেয়, এদেশের চলচিত্রে একটা বিপ্লব হলেও হয়ে যেতে পারে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি হুমায়ূন আহমেদ ও অনন্ত জলিলের তুলনা করি নি। করার কোন প্রশ্নই আসে না। আমি নতুন শিল্পীদের প্রতি আমাদের অবহেলা, টিটকারী ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার ঐতিহ্য বোঝানোর জন্য হুমায়ূন আহমেদ প্রসঙ্গটি এনেছি।
আমাদের দেশে নতুন শিল্পী তৈরি হওয়ার কোন পরিবেশ নাই। প্রথম সমস্যা পরিবার। আপনি একটা কেরানী হতে চান, পরিবার ১০০% সাপোর্ট দেবে। মাত্র ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকুরি শুনলে আপনার পরিবার বাক বাকুম করে উঠবে। কিন্তু আপনি নায়ক/গায়ক/লেখক/পরিচালক হতে চান, পরিবার কখনও সমর্খন করবে না। আত্মীয় স্বজন আপনাকে পাগল বলবে। সামাজিকভাবে আপনাকে নিয়ে কটু কথা বলা হবে। বন্ধুরা আপনাকে পচাবে। এই অবস্থায় এই দেশে কিভাবে গুণী শিল্পী জন্ম নেবে ? ভেবে দেখেছেন কখনো ?
অথচ একজন সফল শিল্পী একজন সফল ব্যবসায়ীর থেকে বেশি উপার্জন করতে পারে। অনেকে তো শিল্পপতির চেয়েও বেশি উপার্জন করে।
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে সমস্যা আছে। এটা বদলাতে হবে। খবু দ্রুতই বদলানো দরকার। এই কেরানীগিরি মার্কা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটা জাতি কখনই মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না।
৫৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৩
তাইলেকি বলেছেন: ভালো লাগলো । আপনার লেখা চমৎকার ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৫৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৯
সাদাকালোরঙিন বলেছেন: এই লোকটা হয়ত সেরা অভিনেতা নয়, কথাবার্তার ধরন হয়ত সবচেয়ে পরিশীলিত নয়, কিন্তু বাংলা সিনেমা নিয়ে তার যে উচ্চাশা তাতে কোন খাদ আমি অন্তত দেখিনি। সে নিজের পয়সায় , নিজের চেষ্টায়, নিজের বুদ্ধিতে যতটুকু প্রচেষ্টা করে চলেছে তাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এটাই হল আসল কথা।
৬০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২২
ই-আলো বলেছেন: সুন্দর লেখা।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০২
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:
শুনেন ভাই, স্বল্পশিক্ষিত আব্দুল জলিল সামান্য একট গার্মেন্টস কর্মী থেকে একটা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হইছে। মোটামুটি শারীরিক গঠন আর কয়েক কোটি টাকা থাকলেই যদি নায়ক হওয়া যায় তাহলে এরকম অন্তত কয়েক হাজার জলিল এই বাংলাদেশেই আছে। জলিল মিয়া সিনেমা করার পিছনে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি বা এই জাতীয় কোন শুভ উদ্দেশ্য নাই। নিম্নবিত্ত মানুষ যেমন হাতে টাকা পাইলে মাঝেমধ্যে বিড়ি ছেড়ে বেনসন খায়- এই জলিলও সেই উদ্দেশ্যে সিনেমা বানায়। যারা জলিলের সিনেমার মধ্যে চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতেছে বা জলিলের সমালোচনায় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজে পাচ্ছে- সেইসব বেকুবের মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালার পরামর্শ দিচ্ছি।
তারপরও যদি আতলামি না কমে তাহলে ইভা রহমানের গানের সিডি কিনে সঙ্গীত শিল্পে অবদান রাখার অনুরোধ করছি।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনি বুঝতে ভুল করেছেন। আমি জলিলের সাফাই গাইছি না। আমার জলিলকে মহান বানানোর কোন ইচ্ছাই নাই। জলিল সাদামাটা ছবি বানাচ্ছে। এই রকম ছবি যে কোন লোকই টাকা থাকলে বানাতে পারে । কিন্তু বানাচ্ছে না তো । আপনে নিজে গিয়া চেষ্টা করে দেখেন কারো কাছ থেকে টাকা বের করতে পারেন কি না ।
আমার আপত্তিটা তাকে বা অন্য শিল্পীকে পচানোর বিরুদ্ধে। আপনি একজন শিল্পীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করুন। গঠনমূলক সমালোচনা করুন। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই কোন বাংলা সিনেমা মুক্তি পেলেই তাকে পচানোর উদ্দেশ্য কী ?
এখানে কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুজি নাই। আমরা পশ্চিমাদের দ্বারা এত বেশি ব্রেইন ওয়াশ যে, দেশজ কোন কিছুকে খারাপ এবং ওদের সকল কিছুকে মহান বলে জাহির করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলি। আমি এই আত্মঘাতী চিন্তার জায়গাটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি মাত্র।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৬২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৬
অ তে আজগর বলেছেন: আমরা বাংগালীরা আর কিছু না পারি মাগার সমালোচনাতে ওস্তাদ।একই বিষয়ে পোস্ট করে আমি ব্যান খাইছি তাই আর কিছু কইলাম না।+++
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ব্যান খাইলেন কেন বুঝলাম না।
৬৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৪
এস বাসার বলেছেন: আপনার কথাগুলো ভালো লাগলো।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৬৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৫
মামুন হতভাগা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,প্রায় এরকম একটা পোষ্ট করেছিলাম,তাই নিয়ে কি কান্ডই না করল কিছু ব্লগার।
আমি বুঝিনা ব্লগের হিট কি কাজে আসবে যদি আমার দেশের কোন কিছু আমার লেখনির জন্য মানুষ নেগেটিভলি নেয়।
সিক মনে হয় তাদের যারা নিজের স্বার্থের জন্য,নিজের জনপ্রিয়তার জন্য গঠনমূলক সমালোচনা না করে শুধু নেগেটিভ কথা লিখেই যাচ্ছে সিনেমা নিয়ে।
নেগেটিভ যে জিনিসগুলা চোখে পড়ছে বা তাদের কাছে মনে হচ্ছে সেটা কি করে পজেটিভ করা যায় তা নিয়ে নেগেটিভ রিভিউকারীদের কোন মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয়না।বরং তাদের লেখা পড়ে কতজন সিনেমা দেখতে যাবেনা বলছে সেটার সংখ্যা দেখেই তারা মহা সুখ অনুভব করে।
অনেক অনেক প্লাস থাকল।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: দেশীয় সব কিছু নিয়ে আমাদের এই নেগেটিভ মানসিকতা পুতেঁ দিয়ে গেছে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ। তারা চলে গেছে, তাদের তল্পীবাহক চিন্তাটা আমাদের শিক্ষিত সমাজে রেখে গেছে সুক্ষ্ম কৌশলে। আমরা টেরও পাচ্ছি না, ঔপনিবেশিক চিন্তা আমাদের কাজ করিয়ে নিচ্ছে , আমরা ব্যবহৃত হচ্ছি নিজের অজান্তে। সেই ঔপনিবেশিক চিন্তার কারণেই আমরা নিজের দেশের সব কিছুকে পচিয়ে আনন্দ চাই। পশ্চিমা সব কিছুকে মহান বলে গদগদ হই।
৬৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩২
নীলান্ত১১ বলেছেন: প্রতিদিন অনেক নিউজ (খবর!) আর ব্লগ (অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি) পড়ি। কিন্তু সচারচর মন্তব্য করি না, লেখার চাইতে পড়া ভালো। কিছু কিছু সময় থাকে হাত গুটানো ঠিক না!(?)
শামীম ভাই, মন্তব্য আপনার লেখা পড়ে নয়, কিছু জ্ঞানী (!) পাঠকের মন্তব্যের সারর্মমের জবাবে বলি- কন্ঠ শিল্পী মমতাজকে অনেক সংগীত বোদ্ধারা ১০/১৫ বছর আগে কি বলতো?!! আর এখন তাদের জবাব দিতে বলেন।
আর জনগন (ম্যঙগো পিপল) এর দোষ আর কি , যেখানে ভারতের নায়ক নায়িকাদের অনুষ্ঠানে চেয়ার ছাড়া আমাদের মন্ত্রি-এমপি রা যদি উপস্থিত থাকতে পারে!!!!
শামীম ভাই, আমাদের দেশে এখনো অনেক শিকখিত(!) আছে, যারা ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানের খেলোয়ারদের কেই দাম দিতে যানে, আমাদের ছেলেরা যতো ভালই করুক...
লজ্জিত আমি, লজ্জিত আমার মতো সহমত পোষনকারীরা, এখনো আমাদের দেশে ভারত -পাকিন্তান প্রেমিকের সংখ্যা বেশী, আমার বাংলাদেশী কই?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আগের মন্তব্যটি আবারও করি ।
দেশীয় সব কিছু নিয়ে আমাদের এই নেগেটিভ মানসিকতা পুতেঁ দিয়ে গেছে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ। তারা চলে গেছে, তাদের তল্পীবাহক চিন্তাটা আমাদের শিক্ষিত সমাজে রেখে গেছে সুক্ষ্ম কৌশলে। আমরা টেরও পাচ্ছি না, ঔপনিবেশিক চিন্তা আমাদের কাজ করিয়ে নিচ্ছে , আমরা ব্যবহৃত হচ্ছি নিজের অজান্তে। সেই ঔপনিবেশিক চিন্তার কারণেই আমরা নিজের দেশের সব কিছুকে পচিয়ে আনন্দ চাই। পশ্চিমা সব কিছুকে মহান বলে গদগদ হই।
৬৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১০
'একলা শালিক' বলেছেন: আমাদের দেশে একজন শিল্পী/উদ্যোক্তার পথ এভাবেই অযথা সমালোচনা শ্লথ করে দিতে চাই আমরা... তাকে নিয়ে ফান করেছি/করছি আমি নিজেও, কিন্তু যখন দেখলাম এই লোকটা একটু চেষ্টা করছে বাংলা সিনেমাকে আবার সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, কতখানি পারছে সেটা পরে ভাবার বিষয়, তখন বুঝলাম যে তার চেষ্টাটাকে অন্তত স্বাগত জানানো উচিত আমাদের।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: তার কাজ নিয়ে সমালোচনা হতে পারে কিন্তু সেটা হবে গঠনমূলক। এমনভাবে উপস্থাপন করা উচিত নয়, যাতে দর্শক আর সিনেমা হলে না যায়। বাংলা সিনেমার এই মরণ দশার সময় একটা লোক অশ্লীলতামুক্ত ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিনেমা বানাচ্ছেন, তাকে বাহাবা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। এই লোক আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
Click This Link
৬৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটা পোস্টের জন্য ।
কথা হলো একদল সিনেমা বানায় আরেক দল দেখে, এই দুয়ে মিলে টোটাল ইনডাস্ট্রি । নির্মাতারা যেমন তাদের বোধ, চিন্তা, রুচি মিলিয়ে সিনেমা বানান, দর্শকেরাও নিজস্ব বোধ আর রুচি দিয়েই তা দেখে । তাই কোন সিনেমার বা সিনেমা সংশ্লিস্ট কারোর সমালোচনা, তা যত ইতিবাচক, নেতিবাচক বা স্যাটেয়ার হিসাবেই আসুক না কেন তাতে সিনেমা শিল্পেরই লাভ । তবে গঠনমুলক সমালোচনা সব ভাল কাজের জন্যই জরুরী । কিন্তু নেতিবাচক বা স্যাটেয়ারকেও আপনি উড়িয়ে দিতে পারেন না । দর্শকের রুচি বা ভাললাগা-মন্দলাগাকেও সম্মান দিতে হবে । পৃথিবীর সব দেশেই ভাল সিনেমা যেমন দর্শকের ভাললবাসা পায়, মন্দ সিনেমার জন্য জোটে গালি বা আক্রমন । এমনকি জগন্য সিনেমা বা হাস্যকর অভিনয়-দৃশ্যের তালিকাও করে তারা । তাই বিষয়টা সিনেমাপ্রেমীদের দৃস্টিতেই দেখা ভাল ।
জলীল অনন্ত বাংলা সিনেমা প্রযোজনা এবং অভিনয় করে এই খাতে অবদান রাখছেন । শুধু জলীল কেনো, যারাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই শিল্পের সাথে জড়িত, তাদের কারো অবদানকেই খাটো দেখার কিছু নাই । আবার বিহাইন্ড দ্য স্ক্রীন তার অবদান যত বেশী থাকুকই না কেন, দর্শক কিন্তু তার অভিনয়টাই দেখে । তো দর্শকেরও অধিকার আছে অনন্তের অভিনয় ভালো হলো না খারাপ হলো তা প্রকাশ করার । আর কেউ যদি তা স্যাটেয়ারের মাধ্যমে প্রকাশ করে, এতে বাংলা সিনেমার কেন ক্ষতি হবে ? স্যাটেয়ারতো সারা বিশ্বে স্বীকৃত, বিশ্বের অনেক গুনী-ট্যালেন্ট-ব্রিলিয়ান্ট-লিজেন্ডদের নিয়ে স্যাটেয়ার হয় । এক ব্যাকহামকে নিয়ে ইংল্যান্ডে যে স্যাটেয়ার হয় তা অবিশ্বাস্য, বা রজনীকান্তকে নিয়ে ইন্ডিয়ায় । কিন্তু এতে ইংল্যান্ড ফুটবলে যেমন ব্যাকহামের অবদান প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি, তেমনি ইন্ডিয়ান ফিল্মে রজনীকান্তকে নিয়েও নয় ।
এম এ জলীল বাংলা সিনেমায় ইনভেস্ট করছেন এটা অবশ্যই আমাদের সিনেমার জন্য ভাল খবর । আবার এখানে তার অবদান কতটুকু তা হয়ত ভবিষ্যতে আরও ভাল জানা যাবে ।
আপনার ইতিবাচকতাও ভাল লেগেছে, বাংলা সিনেমার ব্যাপারে যারা এখনও আশাবাদী তারা এই শিল্পকে ইতিবাচকভাবেই উৎসাহিত করবেন । আর বাংলা সিনেমাকে বাঁচানোর জন্য এইরুপ উৎসাহ বা প্রনোদনার দরকার আছে । নেতিবাচকতাও সমানে থাকবে, কিন্তু এই নেতিবাচকতার জবাব দিতে হবে ভাল এবং উৎকৃস্ট কিছু নির্মান করেই । আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলা সিনেমা তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে, নতুন সামাজিক-পারিবারিক কাহিনী আর নিটোল সংগীত নির্ভর ছবি নির্মান হবে, সিনেমায় বিকল্প গবেষনা আর নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট আসবে, আমাদের সামাজিক এবং রাস্ট্রিক অসংগতিগুলো সিনেমার মাধ্যমে সুন্দর ভাবে ফুটে উঠবে । আপনার মত আমিও স্বপ্ন দেখি, বাংলা সিনেমা একদিন সারা বিশ্বে নজর কাড়বে, আমরা সেই দিনের অপেক্ষায়..
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পৃথিবীর সব দেশের কথা যখন বললেন, তখন পৃথিবীর সব দেশের মিডিয়ার কথা আসুক।
আমাদের পাশের দেশ ভারতের কথা বিবেচনায় নেয়া যাক। ওদের দেশে প্রচুর টিভি চ্যানেল ভারতীয় চলচ্চিত্রকে প্রমোট করে। পত্র পত্রিকা প্রমোট করে।
এইচ বিও, ওয়ার্নার ব্রাদার্স বা স্টার মুভিজ কিন্তু হলিউড সিনেমাকে প্রমোট করে । সিনেমা সম্পর্কে পজিটিভ নেগেটিভ কথাবার্তা হয়। মানুষ সিনেমা সম্পর্কে জানতে পারে।
অন্য দিকে আমাদের টিভি মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়া এফডিসির সিনেমাকে নেতিবাচক পন্থায় উপস্থাপন করে। বহু বছর ধরেই এটা একটা ফ্যাশনের মতো চলে আসছে। যারা এই নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে তারা কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই ফান করার জন্য করছে।
অন্য দিকে ভারত বা আমেরিকায় প্রচুর ফিল্ম ইনস্টিটিউট আছে। ওসব ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষিত অভিনয় শিল্পী ও কলাকুশলী বের হয়ে আসছে। আমাদের স্বাধীনতার এত বছর পরেও একটা সরকারী ফিল্ম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা গেল না । ভালো শিল্পী যে চান, তারা কাজটা শিখবে কোথায় ? হাওয়া থেকে ? চলচ্চিত্রের মতো এত প্রাকটিক্যাল একটা কাজ প্রশিক্ষণ ছাড়া কি করা সম্ভব ?
সুতরাং কেবল এক তরফা কথা বললে তো হবে না।
৬৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১২
ৈজয় বলেছেন: দারুন কিছু কথা লিখেছেন।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
৬৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৪৮
C/O D!pu... বলেছেন: আসলেই আমরা কতোটা রুচিবান?
বাংলা সিনেমাকে ছিঃনেমা বললেই সবার কাছে কতো সহজে একটা স্মার্ট দর্শক হিসেবে সমাদ্রিত হওয়া যায়...
জাতি হিসেবে আমরা আর বাংলাদেশী নেই, সংকর হয়ে গেছি...
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সমালোচনা ভালো, কিন্তু পচানো ভালো নয়
৭০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০১
পারমানবিক বোমা বলেছেন: যারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে তারা আগামী ২৫ বছরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কিছুই করবে না। কিন্তু পাকনা পাকনা কথা বলবে।
ওরা আসলে ফ্রী ডাউনলোডের পার্টি !!!!!!!!!!!!!!
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সেটা ঠিক আছে। যারা সিনেমা হলে যায় না, তাদের পাকনা পাকনা কথায় কিছুই বদলাবে না।
৭১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৬
পুচকে ফড়িং বলেছেন:
ভাই, আমরা কারো খারাপ কাজের প্রতিবাদ করার সাহস পাইনা; সমালোচনা উপেক্ষা করে নিজেই ভালো কিছু শুরু করবো সেই সাহসও আমাদের নেই। আবার অন্য কেউ ভালো কিছু করলেও আমরা তা সহ্য করতে পারিনা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কঠিনভাবে সহমত।
অত্যন্ত কঠিন সত্য কথা বলেছেন।
৭২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৯
স্বপনীল জলরং বলেছেন: তিনিই সুশীল ও ভদ্রলোক যিনি হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখেন না। যিনি হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখেন, তিনি ভদ্রলোক নন। ভালো সিনেমাগুলো এই নেতিবাচক প্রপাগান্ডার শিকার হয়ে সিনেমা হলে দর্শক পায় না। ফলে পুরো ইন্ডাস্ট্রি এখন ধুকছে। এই ভুয়া নেতিবাচক প্রপাগান্ডা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে
ভাই অশাধারন লিখেছেন । তবু ও কতিপয় মূর্খ বাংলা মুভি নিয়ে যাচ্ছে তাই লিখবে। কি করব বলেন এদের কে বাদ দিয়ে তো আর সমাজ না । কি বলেন ???
পোস্টে সুপার প্লাস +++++++্
১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৫৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পড়ার জন্য এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৫
টুং টাং বলেছেন: সামিম ভাই।
অফপিক টা যে আমার টা দিলেন তাতে আমার কোন সমস্যা নাই।
তবে সামুতে জলিল সাহেব কে নিয়ে অনেকে অনেক পোস্ট দিছে ,
কেউ তাচ্ছিল্য করে, কেউ বা আবার তার পজেটিভ দিক নিয়ে ।
আর আপনার মন্তব্য তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা উনাকে এবং বাংলা সিনেমা কে নিয়ে নেগেটিভ বলছে।
তবে বুঝতে ভুল হয় তো। বেশির ভাগ লোক জাস্ট তার কথা বলার ভঙ্গি নিয়ে কথা বলছে বা মজা করছে। আর আপনি এটা অন্য ভাবে দেখছেন। অন্যর কথা বলব না কারন আপনি অফপিকে আমাকে দেখিয়েছেন তাই আমি বলব,
আমি বাংলা সিনেমা নিয়ে বাজে কথা বলি নাই বা হিরোকে ছোট করে দেখাই নি। আমার পোস্টে পচানোর কথা আশে নাই ভাই। আর বাংলা সিনেমা কেও ছোট করে দেখানো হয়নি।
হুদাই অন্য দিকে ঠেল তাছেন। আর আমার ভূমিকা টাও আপনি খেয়াল করেন নি মনে হয়।
দেশে এই প্রথম কোন হিরু
কোন সিনেমা হলের সামনে
গাড়ির উপরে বসে
সাধারণ পাবলিকের সামনে
ইন্টার্ভিউ।
সাহস নিয়া পাবলিক ফেস করা
কয় জন পারে?
আর একটা কথা, আপনি যেভাবে বুঝাতে চেয়েছেন এটা আমরা বা আমি বুঝি। কারন সবার আগে দেশ। দেশ কে আপনি এবং জলিল সাহেব যেভাবে ভালবাসেন আমরা তার চেয়ে কম নয়।
আশা রাখি আমি এখন কি বলতে বা বুঝাতে চাইলাম নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।
আর ভবিষ্যতে অফপিক বুঝে শুনে দিবেন।
৭৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: আপনার এই পোস্টটা আগেই পড়েছিলাম, চিন্তাও করেছিলাম আপনার কথাগুলা নিয়ে, একারনে সাথে সাথে কোন কমেন্ট করিনাই, আসলে দর্শকরাই ঠিক করে দেয় একটা ইন্ড্রাস্টিতে কেমন কাজ হওয়া উচিত ।
০২ রা নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ইন্ডাস্ট্রি নির্ভর করে দর্শকদের উপরে - কথা সত্য। কিন্তু শক্তিশালী গল্পকার, পরিচালক, প্রযোজক বা নায়ক /নায়িকা দর্শক তৈরি করতে পারে। এটা তাদের দায়িত্ব্ও।
এটা একটা দেয়া নেয়ার ব্যাপার।
৭৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৯
জাহিদ ১৯৯ বলেছেন: Click This Link
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ, জাহিদ। দেখেছি এবং মন্তব্যও করেছি।
৭৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১৭
অন্যআমি বলেছেন: পোস্টটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৭৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৬
দুঃখ বিলাসি বলেছেন: +++++++
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৬
অথৈ সাগর বলেছেন: বাংলা সিনেমাকে পচিয়ে আর যাই হোক, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কোন লাভ হয় না। দরকার গঠনমূলক সমালোচনা। খুব বেশি দরকার। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনার ভীষণ ভীষণ অভাব। গঠনমূলক সমালোচনা করা ভালো, সেটা ভীষণভাবে দরকার আছে কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই পচানোর কোন মানে হয় না।[/sb
সহমত ।