নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে নিজেকে একটি ডানা ভাঙ্গা আহত পাখি মনে হয়.....

আম্মানসুরা

ইচ্ছেখাতা

আম্মানসুরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আস্তিকদের অজ্ঞতাই নাস্তিকতার জন্মদাতা

১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

আস্তিক বনাম নাস্তিক এই ক্ষেত্রে কলমের যুদ্ধ কলম দিয়ে হওয়াই উচিত। আমি যতটুকু জেনেছি ও বুঝেছি তার প্রেক্ষিতে দেখি আস্তিকরা আক্রমনাত্নক আচরণ করে নিজেদের নীতিগত ভাবে হেয় ও দুর্বল প্রমান করে। মহামানব গণ প্রশ্নকারীকে আঘাত বা কটু কথা বলেছেন তার কোন ইতিহাস আমার জানা নাই। যতদুর জানি তারা প্রশ্নকারীকে স্বাগত জানাতেন। অজ্ঞ থাকা ভাল নাকি প্রশ্ন করে নিজের দ্বিধা দ্বন্দ দূর করা উচিত????

আমরা যদি একটুকরা জমি কিনি তাহলে তা ভাল করে যাচাই বাছাই করে নিই অন্যদিকে যে বিশ্বাসের উপর আমার আত্নার অস্তিত্ব নির্ভর করছে সেক্ষেত্রে অন্ধবিশ্বাসের অনুসারী হই!!!!!!! বিষয়টি বড়ই বিস্ময়কর!!!

আমার মনে হয় নাস্তিকতার দায়ভার আস্তিকদের। আস্তিকদের অজ্ঞতাই নাস্তিকতার জন্মদাতা।

নাস্তিকতার কারন

-বাস্তব জগতে ঈশ্বরের বাস্তব সম্মত কোন অবস্থান নেই। আমরা বাস্তব জগতের বাসিন্দা , আমাদের চিন্তাভাবনা বাস্তবতা কেন্দ্রিক। এমতাবস্থায় বাস্তবতার নিরিখে ঈশ্বরের অবস্থানের কোন জোরালো প্রমান নেই। কল্পনার ঈশ্বরকে আর কতক্ষণই বা মানা যায়। তাই ঈশ্বর অনুগত হওয়া মৌখিক ভাবে অনেকেই দাবি করলেও সত্যভাবে কেউ নেই।

-বর্তমান সমাজে যারা ধর্মের প্রদর্শক, ধারক ও বাহক তারাই তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমান করে দিয়েছে ও দিচ্ছে যে বেহেশত অপেক্ষা ক্ষমতা ও টাকা বেশী মূল্যবান।

-মৌখিক ভাবে সকল ধর্মই শান্তির ঘোষণা করে কিন্তু জিহাদের নামে চলে হত্যাযজ্ঞ।

-কোরান বা হাদিস নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে কোন প্রশ্ন করলে তাকে কাফের ট্যাগ পেতে হয় এবং তার উপর নেমে আসে ......। তখন প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে হুযুররা উত্তর জানেনা বলেই খেপে যায় এবং নিজেদের মুখোশ খুলে যাবার ভয়ে ভীত হয়ে আক্রমনাত্নক হয়।

-কোরআনকে বিজ্ঞানময় বলে দাবি করা হয়। এই দাবির প্রেক্ষিতে যদি জানান হয় যে কোরআনে বলা আছে পৃথিবী স্থির আর সূর্য তাকে কেন্দ্র করে ঘোরে, তখন উত্তর না দিয়ে তেড়ে আসে।

-মুসলমানরা যদি কোরান হাদিসে এতই অনুগত হয়, এবং তা যদি শুদ্ধ হয় তবে নিজেদের মধ্যে এত দলা-দলি কেন? কেন একদল আরেকদল কে অবৈধ বলে? একসাথে ২ টি বা তার অধিক বিষয় সঠিক হতে পারেনা। কোনটি সঠিক তা কেও জানেনা।এমতাবস্থায় সন্দেহ জাগা স্বাভাবিক যে আসলে সবাই ভুল।

-প্রত্যেক গর্বিত ধার্মিক ব্যক্তির ধর্ম গ্রহণে পরিবারের ভুমিকাই প্রধান অথচ ভাবখানা এমন যে সে জেনে বুঝে ধার্মিক।বাস্তবে জানা বা বুঝার ক্ষেত্রে শূন্য।সেক্ষেত্রে ধর্ম নিয়ে গর্বের কারন কি?

-গরিব লোকেরাই ধর্মভীরু হয় কিন্তু আল্লাহ বা ঈশ্বর তাদের সাহায্য করে বা করেছে তা নয়।বাস্তবে, যে ব্যক্তি বুদ্ধি, চেষ্টা, শ্রম দিয়ে কিছু পেতে চায় সেই সফল হয় এমতাবস্থায় আল্লাহকে ডাকার প্রয়োজন কি?

আমার দৃস্টিতে নাস্তিকতার পেছনে কিছু যৌক্তিক কারন রয়েছে। আস্তিকতার পেছনে তেমন যৌক্তিক কারন আছে কি? আমি নিজেও খুজে চলেছি যে আমি কেন আস্তিক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.