নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে নিজেকে একটি ডানা ভাঙ্গা আহত পাখি মনে হয়.....

আম্মানসুরা

ইচ্ছেখাতা

আম্মানসুরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমকামিতা কি বিকৃত মানসিকতা?

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

কিছুদিন আগে মুক্তমনা ব্লগে সমকামিতা নিয়ে একটা লেখা পড়লাম যেখানে বিভিন্ন ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে সমকামিতা একটা স্বাভাবিক যৌন প্রবৃত্তি। সেখানে আমি বিরোধিতা করায় আমাকে অভিজিৎ রায়ের সমকামিতা বইটা পড়ে সমকামিতা সম্বন্ধে জ্ঞান নিতে উপদেশ দেয়। সেই উপদেশের প্রেক্ষিতেই আজকের এই পোষ্ট। আমার ক্ষুদ্র বিচার ক্ষমতায় যেই বিষয় গুলো উঠে এসেছে তাই তুলে ধরলামঃ

১) অভিজিত রায় তার বইতে প্রানি জগতের সমকামিতার বিভিন্ন উদাহরণ দিয়েছেন এবং অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত সমকামিতা যে মানব সভ্যতায় বিদ্যমান তা তুলে ধরেছেন এবং এর প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছেন যে সমকামিতা বাস্তবতা ও স্বাভাবিক।

- আমরা যদি মানব সভ্যতার দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাব ইনসেস্‌ট, ধর্ষণ (ওরাং ওটাং এ ধর্ষণ দেখা যায়) এর মত যৌনাচারও মানুষ ও প্রানি জগতে বিদ্যমান। কিন্তু তাই বলে আমরা কিন্তু কক্ষনই এই প্রবৃত্তি গুলোকে স্বাভাবিক বলব না। আমরা মানুষ, আমরা নৈতিকতার ছাঁকন দিয়ে অনেক আদিম আচরণ ছেকে পৃথক করেছি যা আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।

২)তিনি তার বই তে উভগামিতা কে স্বাভাবিক বলেছেন। তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।

- আমরা যারা বিষমগামী তারা তো বিপরীত লিঙ্গের যেকোন সুন্দর মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হই তাই বলে কি অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হতে হবে? পারিবারিক বিশ্বস্ততার মূল্য কোথায় থাকল। অনেক পাখি সহ বিভিন্ন প্রাণী আছে যারা এক প্রজনন ঋতু তে একজন সঙ্গীকেই বেছে নেয়, কিছু কিছু পাখি আছে যারা সাড়া জীবন বা দীর্ঘ সময়ে কোন সঙ্গী পরিবর্তন করে না। আমরা মানুষেরা শুধু মাত্র প্রবৃত্তির বাধনে বাধা নই, বিশ্বস্ততা, ভালবাসার মত বিষয়গুলো আমাদের মাঝে উপস্থিত। তাহলে একজন উভগামি ব্যক্তি কে কি একজন ব্যভিচারী ব্যক্তি বলা যায় না? কারণ তার মাঝে বিশ্বাস বা ভালবাসা নেই আছে শুধুই যৌন তাড়না। যা মেটাতে তিনি নারী বা পুরুষ যেকোন মানুষকে বেছে নেয় কিন্তু কাউকেই ভালবাসে না, শুধুই সম্ভোগ করে।

৩)বিবর্তনের আলোকে সমকামিতা কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন

“সমকামিতাকে যদি বাস্তবতা হিসেবে মেনে নেয়া হয় তবে আমাদের বের করতে হবে ডারউইনিয় দৃষ্টিকোণ থেকে এর উপযোগিতা কি। ............................................. পিঁপড়ে, মৌমাছি,উইপোকা কিংবা বোলতার মত প্রজাতিতে এই ধরনের বন্ধ্যা সৈন্যের উপস্থিতি বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। এরা বংশবৃদ্ধিতে কোন ভূমিকা রাখেনা। কিন্তু নিজেদের গোত্রকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করে জনপুঞ্জ টিকিয়ে রাখে। মানুষের জন্য কি এটা খাটে? বিবর্তনীয় মনোবিদ্যার আলোকে একটু চিন্তা করা যাক।এমন কি হতে পারে যে, সমকামী পুরুষেরা সেই আদিম শিকারি সংগ্রাহক সমাজে বাচ্চা লালন পালনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল? নিজেদের মধ্যে মারামারি না করে যখন একাধিক পুরুষ দলবদ্ধ হয়ে গোত্রের দায়িত্ব নিত আর শিকার সন্ধান করত, সেই গোত্র হয়ত অনেক বেশী খাবারের যোগান পেত, কিংবা হয়ত বহিঃশত্রুর হাত থেকেও রক্ষা পেত অন্যদের চেয়ে বেশী। ফলে টিকে থাকার প্রেরণাতেই হয়ত কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষে পুরুষে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিলো –যা গোত্রে এনে দিয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা। কিংবা হয়ত এমনও হতে পারে – যখন শক্তিশালী পুরুষ শিকারে যেত, হয়ত সে গোত্রের কোন গে চাচা রক্ষা করার দায়িত্ব নিত ছোট ছোট ছেলেপিলেদের। আর পুরুষটিও শিকারে বের হয়ে স্ত্রীর পরকীয়ার আশঙ্কায় ভাবিত থাকত না।................................সমকামী প্রবৃত্তিটি হয়ত বিবর্তন প্রক্রিয়ার উপজাত........................যেমন হাড়ের সাদা রঙ বা চোখের নীল বা বাদামি রঙ কোন বাড়তি উপযোগিতা দেয় না- এটা প্রকৃতিতে আছে বিবর্তনের সাইড ইফেক্ট হিসেবে। সমকামিতাও বিবর্তনের সেরকম কোন উপজাত হতে পারে।”

- প্রথমেই আসি পিপড়া বা মৌমাছির বিষয়ে, এক্ষেত্রে শ্রম বণ্টন হয়েছে কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এরূপ শ্রম বণ্টন হয়নি। পিপড়া, মৌমাছি ইত্যাদির ক্ষেত্রে শুধু রাজা-রানী বংশবৃদ্ধির দায়িত্ব পালন করে, কর্মীরা খাবার সংগ্রহ ও বাসা পাহারার কাজ করে। মানুষের ক্ষেত্রে এরূপ হয়নি তাই এই উদাহরণ প্রযোজ্য নয়। আদিম সমাজে সমকামী পুরুষের যে ভূমিকার কথা ধারনা করা হল তাও গ্রহণ যোগ্য নয় কেননা এমন কোন বৈশিষ্ট্য সমকামীদের মধ্যে বিদ্যমান নাই, ইহা নারী সমকামিতা ও উভগামিতা ব্যাখ্যা করে না। যদি এই ধারনার সত্যতা থাকত তাহলে আমরা দেখতাম আফ্রিকান জংলিদের মাঝে কিছু মানুষ জন্ম থেকেই পরার্থে কাজ করছে ও যৌন পিপাসা মিটানোর ক্ষেত্রে সমকাম প্রবণ। বা যদি দেখা যেত পরোপকারী ব্যক্তিরাই সমকামী তাহলে ধারনাটির সত্যতা প্রমাণ হত কিন্তু তা দেখা যায় না। তারপর সমকামকে ব্যাখ্যা করার জন্য যে উপজাত ধারনাটি দেয়া হল তাও গ্রহণ যোগ্য নয়, চোখের নীল বা বাদামি রঙ এর কারণে দর্শন ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে না কিন্তু সমকাম এর জন্য বংশবৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে। মানুষের চোখের, চুলের রঙের পিছনে ভৌগলিক কারণ ও রয়েছে।

৪) তিনি তার বইতে আরও উল্লেখ করেছেন যে, সমকামিতা সামাজিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কাজ করে।

- যৌন সম্পর্ক কে যদি সামাজিক সম্পর্কের মাধ্যম ধরি তাহলে বহুগামিতা সামাজিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কাজ করে, সমকামীতা নয়। বন্ধুত্ব হল সামাজিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রধান উপায়, সমকামীতা কি বাড়তি উপযোগিতা দেয়?

৫) এছাড়া তিনি তার বই তে বিভিন্ন গবেষণা তুলে ধরেছেন এবং আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন স্বীকার করে নেয় যে সমকামিতা রোগ নয় (১৫ই ডিসেম্বর ১৯৭৩) তা বলেছেন।

- সমকামিতা নিয়ে যে গবেষণা হয়েছে সেগুলোকে আবর্জনা বললে ভুল হবে না কেননা কোনটাই সর্বসম্মত হয়নি ও এক দশকের বেশী টেকেও নি। এর কারণ হল পক্ষপাতদুষ্টতা। সমকাম নিয়ে গবেষণাকারী অন্যতম বিজ্ঞানী হলেন হ্যাঁমার, যিনি একজন সমকামী। আমেরিকার সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন ইনসেস্ট , পেডোফিলিয়াকেও যৌন রোগ মনে করে না। কিন্তু ইনসেস্ট কে স্বাভাবিক যৌন প্রবৃত্তি ভাবলেই তো বমি আসে। এর জন্য কোন গবেষণা দরকার হয় না, স্বাভাবিক বোধই বলে দেয় ইহা বিকৃতি।

৬)এছাড়া তিনি তার বইতে ‘গে জিনের খোঁজে’ অধ্যায়তে উল্লেখ করেছেন যে- ‘সমকামী পুরুষেরা আসলে পুরুষ দেহে বন্দী নারী আত্নার অতৃপ্ত প্রকাশ’

- এই উক্তি টি কিন্তু অসম্পূর্ণ ভাবে সমকাম কে সমর্থন করে কারণ নারী সমকামিতা ও পুরুষ ‘টপ’ দের ক্ষেত্রে ইহা খাটে না। তার মানে এই উক্তির পেছনে তিনি যে কারণ দেখিয়েছেন সেগুলিও সমকাম কে ব্যাখ্যা করে না।



সমকামিতা সম্বন্ধে আমার কিছু বক্তব্য সংক্ষেপে তুলে ধরছি

- সমকামিতা যদি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হয় তাহলে ধরে নেই এই স্বাভাবিক প্রবৃত্তি দ্বারা সাড়া বিশ্বের সবাই তাড়িত তাহলে মানব জাতির বিলুপ্ত হওয়া কে আটকাবে? স্বাভাবিক প্রবৃত্তি তো বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দেবে না। আশা করব সমকামী সমর্থক রা আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন।

- সমকামিতা যদি স্বাভাবিক হত তাহলে সমকামীরা যৌনরোগ দ্বারা অধিক আক্রান্ত হত না। কারণ মলাশয় গাত্র অস্থিতিস্থাপক ও পাতলা তাই ঘর্ষণে মেমব্রেন সহজেই ছিরে যায়। লিঙ্গের গঠন কিন্তু যৌনীর উপযোগী, মলাশয়ের নয়।

- উন্নত প্রাণীদের মধ্যে বংশবিস্তার হয় যৌন জননের মাধ্যমে। প্রজনন কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয় বংশবিস্তারের উপর ভিত্তি করে। প্রকৃতি তে সেসব প্রাণী টিকে আছে যারা বংশ বৃদ্ধি করেছে ও পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হয়েছে। এই পয়েন্টে সমকামিতার কোন গ্রহণযোগ্যতাই নেই।

- রাগ, হিংসা প্রভৃতি মানবাচরণ গুলো কিন্তু বংশানুক্রমে সঞ্চারিত হয় তাই বলে কি আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করি না?

- প্রচণ্ড ধার্মিক লোকদের মাঝে সমকামিতা দেখা যায় না, ইহা কিন্তু ভাবার মত বিষয়।

- সমকামীরা নিজেদের মধ্যে মিলিত হবার সময় ‘টপ’ ও ‘বটম’ হয়ে মিলিত হয়। তারা তো নারী বা পুরুষের ভূমিকা থেকে বের হতে পারেনি, সেই ভূমিকায় পৌছতেই হচ্ছে। ইহা কি সমকামের ব্যর্থতা নয়? সমকাম যদি প্রাকৃতিক হত তাহলে এদের যৌনাঙ্গের বিবর্তন হত, কিন্তু হয়নি।

তাই আমি মনে করি সমকামিতা কোন স্বাভাবিক যৌন প্রবৃত্তি নয়।



(পূর্বে নকশা ব্লগে প্রকাশিত)

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

তোমোদাচি বলেছেন: সমকামীতা যদি বিকৃত সেক্স না হয় তাহলে ডিকশনারিতে বিকৃত সেক্স শব্দটা আর থাকার দরকার নেই!

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২২

আম্মানসুরা বলেছেন: সহমত

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

নতুন জনম বলেছেন: তাই আমি মনে করি সমকামিতা কোন স্বাভাবিক যৌন প্রবৃত্তি নয়। একমত।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

িলপু_িসলেট বলেছেন: পবিত্র রমজান মাসে এসব পোষ্ট না করলে হয় না ??? কি ভাবে কাম করা যায় এগুলান ছাড়া কি পৃথিবীতে আর কিছু নাই ???

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

আম্মানসুরা বলেছেন: এখানে আমি কি অসংযমী কিছু দিয়েছি? তারপরও আপনার যদি রুচিতে আঘাত করে দুঃখিত। পরবর্তীতে মাথায় রাখব

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: @িলপু_িসলেট, পবিত্র রমজান মাস জেনেও আপনি যে এই পোস্টে ঢুকেছেন, এতে কিন্তু আপ্নিও গুনাহের ভাগীদার হলেন ।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি বোকা হয়ে গেলাম

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

মদন বলেছেন: তোমোদাচি বলেছেন: সমকামীতা যদি বিকৃত সেক্স না হয় তাহলে ডিকশনারিতে বিকৃত সেক্স শব্দটা আর থাকার দরকার নেই!

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

আম্মানসুরা বলেছেন: হুম

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

জন্মগত ভাবে একজন হিজরা কে যদি স্বাভাবিক ভাবে সমাজে মেনে নেয়া যায় তবে জন্মগতভাবে যে সমকামী তার দোষ কোথায়?

প্রকৃতি বা ইশ্বরের সৃষ্টিতে বৈচিত্র্য থাকতেই পারে।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

আম্মানসুরা বলেছেন: জন্মগত ভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী আর সমকামী এক নয়। কারন কাম প্রবৃত্তি যদি জন্মগত হয় তাহলে খাদ্য প্রবৃত্তি জন্মগত হত কিন্তু তাই কি? এছাড়া জন্মগত রাগি, জন্মগত লম্পট ইত্যাদি বিষয় ও মেনে নিতে হয়। আপনি বলুন ইহা মেনে নিয়ে কোন লম্পট কে আপনি সমর্থন করবেন? আমার দাদা, বাবা , চাচারা ও ২ ফুপি ভীষণ রাগি। বলা যায় রাগ আমার বংশগত অর্জন। আমি এক সময় ভীষণ রাগি ছিলাম কিন্তু এখন অনেক তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

হেডস্যার বলেছেন:
ম্যানিলা নিশি'র সরল স্বীকারোক্তি ;)

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

আম্মানসুরা বলেছেন: হা হা হা














৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২২

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

হ আপনে বেশী বুঝেন :|| @ হেডস্যার

৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অবশ্যই ।

ম্যানিলা নিশি @ হিজড়া জন্মগত শারীরিক সমস্যা ।
সমকামিতা মানসিক সমস্যা । এটা জন্মগত কিংবা শারীরিক কোন সমস্যা নয় ।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

আম্মানসুরা বলেছেন: হুম

১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

অপূর্ন @

সমকামিতা জন্মগত কোন সমস্যা নয় - এ ধারণা কোথায় পেলেন,নিজস্ব গবেষনা? এখানেও অনেক গবেষক পাবেন।

১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

নতুন বলেছেন: মানুষের শরীর কিন্তু ১টাই... ( মানে নারীর/পুরুএর শরীর একই উপাদানে তৈরি... মায়ের গভে` কয়েক সপ্তাহ পযন্ত বোঝার উপায় নাই যে সে ছেলে বা মেয়ে.... পরে হরমনের প্রভাবেই তা ছেলে বা মেয়েতে পরিনত হয়... )

তাই আমার মনে হয় ঐ হরমনের গন্ডোগলের জন্য কারুর টেস্ট পরিবত`ন হতেই পারে...

আর আমার মনে হয়না কেউই ইচ্ছা করে সমকামী হতে পারে... আপনি যদি স্ট্রেট হন তবে আপনি আরেক পুরুষের সাথে কিছু করার চিন্তাও করতে পারবেনা....

কিন্তু যে সমকামী তার চিন্তা কিন্তু সম্পূন আলাদা...

তাই আমার মনে হয় সমকামীতাও ইচ্ছাকৃত না... সম্ভবত তা জন্মগত ভাবেই মানুষের মাঝে আছে....

( প্রগ্রামের ছোট খাটো সমস্যার মতন... )

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

আম্মানসুরা বলেছেন: সমকামী পুরুষ টপ দের ক্ষেত্রে কি বলবেন? উভগামি দের ক্ষেত্রে কি বলবেন? আর ইহা কোন রোগ তা বিজ্ঞান স্বীকার করেনা।

১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: এসব মানুষদের কাছ থেকে আল্লাহ আমাদের দূরে রাকুক

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

আম্মানসুরা বলেছেন: প্রার্থনা টি এরূপ হলে বোধ হয় ভালো হত- মানুষকে এসব প্রবৃত্তি থেকে আল্লাহ দূরে রাখুক।

১৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সমকামিতাকে মানসিক রোগের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কারণ জানেন ? না জানলে জেনে নিন ।
What’s noteworthy about this is that the removal of homosexuality from the list of mental illnesses was not triggered by some scientific breakthrough. There was no new fact or set of facts that stimulated this major change. Rather, it was the simple reality that gay people started to kick up a fuss. They gained a voice and began to make themselves heard. And the APA reacted with truly astonishing speed. And with good reason. They realized intuitively that a protracted battle would have drawn increasing attention to the spurious nature of their entire taxonomy. So they quickly “cut loose” the gay community and forestalled any radical scrutiny of the DSM system generally.

Also noteworthy is the fact that the vote of the membership was by no means unanimous. Only about 55% of the members who voted favored the change. Click This Link

So all the people who had this terrible “illness” were “cured” overnight – by a vote!

আপনি যে জঘন্যতম লিঙ্ক আমাকে দিলেন , সেই লিঙ্কে কোন সায়েন্টিফিক প্রমাণ নেই । কেন এবং কিভাবে সমকামিতাকে মানসিক রোগের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা তো উপরেই বলা হল ।

সমকামীদের নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই । তারা তাদের মত থাকুক । কিন্তু এটাকে শারীরিক জন্মগত একটা বিষয় বলায় আপত্তি আছে । পারলে কোন সায়েন্টিফিক প্রমাণপত্রের লিঙ্ক দেন @ম্যানিলা নিশি । জ্ঞান অর্জন করি ।

১৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: *American Medical Association statistic, 2002. প্রকাশিত একটা আর্টিকেল আছে , পড়ে দেখুন , কাজে লাগবে , আপনারা যারা বলেন সাইকিয়াট্রি প্রমাণ করেছে এটা মানসিক রোগ নয় , তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়েছে *American Medical Association statistic, 2002.

১৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আগের লিঙ্কটা আসে নি http://www.jesus-is-savior.com/Evils in America/Sodomy/homosexuality_and_psychiatry.htm

১৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

দি সুফি বলেছেন: তোমোদাচি বলেছেন: সমকামীতা যদি বিকৃত সেক্স না হয় তাহলে ডিকশনারিতে বিকৃত সেক্স শব্দটা আর থাকার দরকার নেই!

১নং পয়েন্টের জবাবে যেটা বলেছেন সেটার চেয়ে বেশি আর কিছু বুঝানোর দরকার। ধর্ষন যুগযুগ ধরে চলে আসতেছে। এখন অভিজিৎ রায়ের মত মানুষেরা যদি এইটাকে স্বাভাবিক যৌনকর্ম বলে মনে করে, তাহলে একটা ধর্ষকের সে সাজা, তা এদেরও হওয়া উচিত।

সমকামীরা অবশ্যই তাদের পাপের ফল ভোগ করবে, এবং নিসন্দেহে তা কঠোর আজাব।

এটা অবশ্যই বিকৃত মানসিকতা। এবং এদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। নয়ত পুরো মানব সমাজই হুমকির মুখে পরবে।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি মনে করি কাওন্সেলিং , প্রপার গাইড এর মাধ্যমেই সমকাম দূর করা সম্ভব।

১৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সমকামিতা যে স্বাভাবিক একই বিষয় এটা প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন homosexual movement' রা যে যুক্তি দিয়ে শুরু করে তা হল '' প্রাণীকুলের মধ্যেও সমকামিতা দেখা যায় , সেহেতু এটা খুবই স্বাভাবিক এবং ন্যাচারাল '' তার উত্তরেই একটা গবেষণামূলক পোস্ট , যেখানে এই ধারনা ভুল , মিথ বলে প্রমাণ করা হয়েছে '' the homosexual movement's attempt to establish that homosexuality is in accordance with human nature, by proving its animal homosexuality theory, is based more on mythological beliefs and erroneous philosophical tenets than on science. সেখানে একজন গবেষক বলছেন , - "Homosexual" Animals Do Not Exist

In 1996, homosexual scientist Simon LeVay admitted that the evidence pointed to isolated acts, not to homosexuality:

Although homosexual behavior is very common in the animal world, it seems to be very uncommon that individual animals have a long-lasting predisposition to engage in such behavior to the exclusion of heterosexual activities. Thus, a homosexual orientation, if one can speak of such thing in animals, seems to be a rarity.[11]
কারণ প্রাণীকুলের এই "homosexuality." কে যদি Instinct অথবা normal animal behavior বলা হয় তাহলে "Filicide" and "Cannibalism" কেও একই বলতে হবে । সম্ভব ?

আর মানুষকে যদি জন্তু জানোয়ারের একটি সাময়িক অ্যাক্টকে মাপকাঠি ধরে নিরুপন করতে হয় তাহলে তো আর কিছুই বলার নাই !!!

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ণ, আপনার মন্তব্য এই পোস্টটিকে তথ্য সমৃদ্ধ করল।

১৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

এছাড়া জন্মগত রাগি, জন্মগত লম্পট ইত্যাদি বিষয় ও মেনে নিতে হয়

আপনার কি মনে হয় এই দুনিয়ার মানুষ সবাই সমান দোষ-গুন বৈশিষ্ট নিয়া জন্মায়? কোন জগতে আছেন ভাইজান?

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

আম্মানসুরা বলেছেন: আপনি বোধ হয় আমার কথাটি বুঝতে পারেন নাই, আমি বলতে চাই যে আমাদের মানব চরিত্রের অনেক কিছুই খুঁজতে গেলে জিন নির্ভরতার প্রমাণ মিলবে। তাই বলে কি আমরা চরিত্র গঠন করতে সচেষ্ট নই???????????
তবে সমকামিতা যে জেনেটিক তার প্রমাণ মেলেনি। এটাকে প্রকৃতির বিচিত্রতা বলেও কভার করা যায় না কারন ইহার বিবর্তনিক ব্যাখ্যা নাই।

১৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

পুকুরপাড় বলেছেন: ইহা বিকৃত রুচির কাজ ।
তাইলে মানুষের সাথে পশুর পার্থক্য কোথায় ?
চিকিত্তসা বিজ্ঞানে ইহা মানসিক ও শারীরিক উভয় রোগ ।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১২

আম্মানসুরা বলেছেন: 'চিকিত্তসা বিজ্ঞানে ইহা মানসিক ও শারীরিক উভয় রোগ ' - এ বিষয়ে আপনার কিছু জানা থাকলে শেয়ার করতে পারেন

২০| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এই সমকামিতার জন্য ধ্বংস হয়েছে সামুদ জাতি। আল্লাহ আমাদের এইসব পাপ থেকে বিরত রাখুন আমিন।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০২

আম্মানসুরা বলেছেন: আমিন

২১| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

েব্রকআউট বলেছেন: এরকম গুরুত্বহীন একটা বিষয় নিয়ে আলোচোনা করার মতো কিছু আছে বলে মনে করি না।
পৃথিবীতে বিকৃত মানসিকতা পূর্বেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে । এইসব ফালতু বিষয় উপেক্ষা করেন ।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৫

আম্মানসুরা বলেছেন: এই বিষয়ে কেন লিখেছি উপরেই উল্লেখ করেছি তার সাথে আরেকটা বিষয় যোগ করি তা হল আমাকে কিছু মুক্তমনা ব্লগার খোঁচাচ্ছিল এই বলে - আমি যদি অভিজিৎ রায় এর সমকামিতা বই এর বিরুদ্ধে কিছু যুক্তি দিতে পারি তাহলে তা লিখছি না কেন?

২২| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা নিঃসন্দেহে মানসিক একটা বিকৃতি। আপনার পোষ্টটা ভালোই।

তোমোদাচি বলেছেন: সমকামীতা যদি বিকৃত সেক্স না হয় তাহলে ডিকশনারিতে বিকৃত সেক্স শব্দটা আর থাকার দরকার নেই

২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৬

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: এই দেখেন অভিজিৎ রায়ের চ্যালার কাজ।
মুখ দিয়ে কেন খাদ্য গ্রহন করতে হবে? পায়ু পথ দিয়ে কেন নয়? মগা চিপের নতুন টপিক!!

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আম্মানসুরা বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি পড়লাম, কমেন্ট করে আসছি।

২৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৬

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: সমকামিতা বিষয়ে এই পোস্টি আমাকে ভাল লেগেছে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

আম্মানসুরা বলেছেন: হুম, আমিও পড়েছিলাম।

২৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: তাই আমি মনে করি সমকামিতা কোন স্বাভাবিক যৌন প্রবৃত্তি নয়।

এইটাই শেষ কথা... আল্লাহ আমাদের সব ধরণের কু প্রবৃত্তি থেকে বেচে থাকার তৌফিক দান করুন, আমিন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৯

আম্মানসুরা বলেছেন: আমিন

২৬| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

চিরতার রস বলেছেন: সমকামিদের মানসিক চিকিৎসা দরকার। এদের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়তে থাকলে একসময় এরা রাস্তায় কাপড়খুলে নাচানাচি করারও আবদার করে বসবে যেটা ইতিমধ্যে পশ্চিমাবিশ্বে দেখা যাচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয়ের একটা প্রধান মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে এই সমমাকিতা।

০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

আম্মানসুরা বলেছেন: মানসিক সমস্যা ও চারিত্রিক দোষ দুটি আলাদা বিষয়। আমি এখানে কনফিউসড যে এটা মানসিক সমস্যা নাকি চারিত্রিক দোষ নাকি নিজের যৌন দুর্বলতা লুকানোর আধুনিক উপায়!!

২৭| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

আনোখা আফতাব বলেছেন: এখানে যারা মন্তব্য করেছে, হোক সেটা সমকামিতার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে, আমার কাছে মনে হয়েছে আগে থেকেই সমকামিতা সম্পর্কে তাদের একটি স্ট্যান্ড রয়েছে এবং এখানে এসে সেটা শুধু জাহির করেছে মাত্র। তবে আমার ব্যাপারটা ভিন্ন। আমি এখনও এ ব্যাপারটা নিয়ে কনফিউজড। এখানে আমি কোন পক্ষেরই নই।

তবে আমি যেটা অনুভব করি সেটাই বলছি। এই পৃথিবীর যাবতীয় আকর্ষণীয় পুরুষ যদি কেয়ামত পর্যন্ত আমাকে যৌনভাবে সুড়সুড়ি দিতে থাকে, তবুও আমার একটি লোমও সেই সুড়সুড়িতে সাড়া দেবে না এ ব্যাপারে আমার মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।

এখন সমকামী একজন পুরুষ কি করে সেটা পারে এটা আমার কাছে বিরাট রহস্য এবং সমকামিতা সম্পর্কে যত পোস্ট পড়লাম সব সমকামিতার পক্ষে বিপক্ষের শক্তির এক অঘোষিত লড়াই কিন্তু আমি যে রহস্যটা জানাটা সবার চেয়ে জরুরি মনে করি সেই রহস্যের একটা কূল কিনারা করার সৎ আগ্রহ কারও মধ্যে লক্ষ্য করছি না। সবাই অনেকটা প্রোপাগান্ডা নিয়ে ব্যস্ত দেখতে পাচ্ছি।

১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

আম্মানসুরা বলেছেন: আমাকে কেও কোটি টাকা দিলেও আমি কোন খুন করতে পারব না কিন্তু একজন সিরিয়াল কিলার কিভাবে সামান্য কারনে বা অকারনে নির্মম ভাবে খুন করে তা আমার কাছে রহস্য।

আপনার প্রশ্নের উত্তর না পেলেও স্বরূপ টা বুঝেছেন নিশ্চয়ই!

বিকৃত মানসিকতা, চারিত্রিক দুষ্টটা ইত্যাদি বিষয় গুলোর কারন কি তা বিস্তর আলাপের বিষয় তবে এই বিষয় গুলো কে বৈধতা দেয়া বা বাহবা দেয়া কক্ষনোই সমর্থনযোগ্য নয়।

২৮| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

আনোখা আফতাব বলেছেন: "বিকৃত মানসিকতা, চারিত্রিক দুষ্টটা ইত্যাদি বিষয় গুলোর কারন কি তা বিস্তর আলাপের বিষয়।"

আমি মনে করি পক্ষে বিপক্ষে এত বিভেদ সৃষ্টি না করে আমাদের সেই বিস্তর আলাপের দিকে যাওয়া উচিত এবং খুঁজে বের করা উচিত কেন ব্যাপারগুলো ঘটছে এবং এর উত্তম সমাধান কি হতে পারে। একজন সমকামীকে সমর্থন না দিয়ে জোরপূর্বক অন্য কাজে নিয়োজিত করা যেতে পারে হয়ত কিছু সময়ের জন্যে। কিন্তু এটা কোন দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই সমাধান নয়। আমি যা করি ভালভাবে করার চেষ্টা করি। তাই আমি চাই এই সমস্যার সমাধানটাও এমনভাবে হোক যেন সমাধানের ভিত্তিটা "হাইপথিসিস" নয় বরং "এভিড্যান্স" এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে।

২৯| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

নতুন বলেছেন: সমস্যাটা অবশ্যই সমকামী মানুষের মনে.....

কিন্তু প্রশ্ন হলো এইটা কি তার নিয়ন্ত্রনে কিনা>>

ভ্রুন যখন মায়ের পেটে থাকে ৭ সপ্তাহের পরে তা ছেলে/মেয়ের লিং্গ রুপ ধারন করা শুরু হয়... পুরুষ/স্ত্রীর দুজনেরই জনন অংগ কিন্তু একই স্ট্রাকচার থেকেই হয়..... তাহলে পাথ`ক তৌরি করে হরমন...



হরমন যেহেতু ছেলে বা মেয়ের জনন অংগের গঠন নিয়ন্ত্রন করে...তেমনি তাদের মনের চাহিদাও ঠিক করে দেয়....

Click This Link

এখন যদি কোন ছেলের শরীরে মেয়ের চাহিদা না তৈরি করে ছেলের চাহিদা তৌরির হরমন বেশি একটিভ হয় তবে ঐ ছেলে কিন্তু শারিরিক ভাবে ছেলে... কিন্তু মনে মনে ছেলের প্রতি আকষ`ন অনুভব করবে...

আমি কারুর পক্ষে বা বিপক্ষে না.... কিন্তু কিছু গে/লেসবিয়ানের কথায় মনে হয়েছে যে এটা তারা মনের গভীর থেকে অনুভব করে... এটা নিজের চয়েস না...

যেহেতু ছেলে/মেয়ের শরির একই...শুধু মাত্র হরমনের প্রভাবেই আমরা পুরুষ বা মহিলাতে পরিনত হই...এবং বিপরিত লিংগের প্রতি আকষ`ন অনুভব করি.....

তাই ঐ হরমনের কমবেশি/বা কোন প্রভাবে ছেলে ছেলের প্রতি বা মেয়ে মেয়ের প্রতি আকষি`ন অনুভব করেতেই পারে....

তবে সেটা সৃস্টি ত্রুটি ঐ মানুষের না... কিন্তু আমরা তো সৃস্টিকতা`কে দোষ দেইনা তাই ঐ মানুষেরই দোষ দেই...

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:২৪

আম্মানসুরা বলেছেন: যতখানি জানি, সমকামিতা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় বিভিন্ন ফল পাওয়া গেছে তাই গবেষকরা কোন সিদ্ধান্তে এক হতে পারছেন না। একজনের গবেষণায় জিনগত সমস্যা ধরা পড়লে আরেকজন তা নাকচ করে দিচ্ছেন। সমকামী গবেষকরা এটা নিশ্চিত করেছে যে এটা কোন রোগ নয়। হরমোনাল সমস্যা হলে তো খুব সহজেই চিকিৎসা নিয়ে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। তবুও যদি কথার খাতিরে ধরে নেই যে হরমোনাল বা জেনেটিক কারনে একজন মানুষ শারীরিক ভাবে ছেলে হলেও মানসিক ভাবে মেয়ে বা একটা মেয়ে অনুরুপ ভাবে ছেলে ভাবতে পছন্দ করে তাহলে কিন্তু একটা বড় প্রশ্ন রয়ে গেল তাদের সঙ্গীদের ক্ষেত্রে। সমকামীদের মধ্যে টপ ও বটম দুটো ব্যাপার আছে। একজন ছেলের ভুমিকায় ও আরেকজন মেয়ের ভুমিকায় থাকে। তাহলে যে ছেলের ভুমিকায় থাকে সেই ছেলেটি কেন একটা ছেলেকে বেছে নিচ্ছে? বা যে মেয়েটি বটম থাকে সে কেন একটা মেয়ে বেছে নিচ্ছে?

৩০| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

আনোখা আফতাব বলেছেন: এবং সেইসাথে আরেকটু যোগ করতে চাই।
"এক্সসেপ্সন ইজ নট দ্য রুল"। তাই এক্সসেপ্সনকে গায়ের জোরে মেইনষ্ট্রীমে আনলেই সেটা সমাজে ছড়িয়ে পড়বে এই ভেবে পক্ষের লোকদের আনন্দিত হওয়া বা বিপক্ষের লোকদের ভীত হওয়ার কারণ দেখি না।
সমস্যাটা যদি জীনগত হয় তবে আর দশটা জীনগত সমস্যার মত এটাকে ভেবে নিয়ে এটা রহিত করার ব্যবস্থা নিয়ে ভিকটিমকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা উচিত।
আর যদি মানসিক হয়, তবে সঠিক কাউন্সেলিং এবং এর কারণগুলো সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে ভিকটিমকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা উচিত।
এদেরকে ইস্যু করে নতুন সমস্যার সৃষ্টি না করে আসুন সবাই মিলে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টাকে দেখি এবং সমাজ থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যাপারটাকে বিদায় করার চেষ্টা করি। সমর্থন করা বা অসমর্থন করাটা খুব বড় পরিবর্তন আনবে না যতদিন না আমরা সমাধান করতে মনযোগী না হব।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪১

আম্মানসুরা বলেছেন: সমাজের শুরু থেকে সমস্যা ছিল, আছে ও থাকবে। সমস্যা সমাধানের পথ খুজে বের করার পক্ষে আমিও। কিন্তু আমার পোস্টের মুল কথা হল সমস্যাকে সমস্যা বলতে হবে। এটাকে স্বাভাবিক, ভালো, আধুনিক বলা উচিত না।

সমাধানের পথ খুজে বের করতে হলে আগে এটা একটা সমস্যা তা ভাবা জরুরি। একজন সমকামী অর্ধেক ভালো হয়ে যাবে যদি সে জানে যে এটা সমস্যা, স্বাভাবিক কিছু নয়।

৩১| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৭

প্রিন্সর বলেছেন: Reuters প্রকাশ করে শুধু মাত্র আমেরিকায় প্রতি পাঁচজন গে ব্যক্তিদের মধ্যে একজন এইচাইভি তে আক্রান্ত হয় আর বাইসেক্সুয়ালদের মধ্যে প্রতি ২০ জনে একজন । আরেকটা সমীক্ষায় দেখা গেছে আমেরিকায় সিফিলিস আক্রান্তদের মধ্যে ৬৫% হচ্ছে সমকামী । CDC ২৮টি স্টেটে জরিপ চালিয়ে দেখেছে ফার্স্ট টাইম গনোরিয়ার চিকিৎসা করানো রোগীর সংখ্যায় হচ্ছে ২৭% । তার মধ্যে ২৪% হচ্ছে হোমোসেক্সুয়াল আর মাত্র ২.৯% হচ্ছে হেটেরোসেক্সুয়াল । পয়েন্ট হচ্ছে এটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর । যেমনটাঃ সিগারেট, গাঁজা, আফিম । কিন্তু মানুষ খাচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে!
সমকামিতা ক্ষতিকর, এই ফ্যাক্টটা মানতেই হবে । ধামাচাপা দেওয়ার কোন উপায় নেই । দুই ভাবে প্রকৃতি বিবর্তিত হতে পারে । একটাকে বলে প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং অপরটা কৃত্তিম নির্বাচন । প্রাকৃতিক নির্বাচনে প্রকৃতি তার রুলস অনুযায়ী নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যায় । আর কৃত্তিম নির্বাচন হচ্ছে অনেকটা জোর করে তেঁতো ওষুধ গেলানোর মত । তবে রুলসের বাইরে গেলে প্রকৃতি তা নিজেই অপসারণ করে ফেলে । বাস্তবজীবনেও তাই দেখা যায় । দাম্পত্য জীবনে, রোগে শোকে সব মিলিয়ে তারা টিকে থাকতে পারেনা । আত্নহত্যার প্রবণতাটাও ওদের মধ্যেই বেশি ।
মজার জিনিস হচ্ছে, একসময় নারীবাদী প্রগতিশীলরা বলত, বিয়ে নাকি ধর্মের সৃষ্টি । নারীদের দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দী করে রাখে, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস আর ভালোবাসাটাই হচ্ছে আসল । সেই তারাই এখন ধামাঢোল পিটিয়ে সমকামী বিয়ে নিয়ে মাতামাতি করছে!! ;)

৩২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আমি সমকামি সম্পর্কে যতটা জানি এখানে একটু বলি।

১. পৃথিবীর প্রায় ৪০০এরও অধিক প্রজাতির প্রাণী আছে জাদের মধ্যে সমকামিরা আছে। যেসব প্রাণীদের মধ্যে সমকামিতা আছে তাদের সংখ্যা প্রায় ১০%। মানুষও এই প্রাকৃতিক নিয়ম বজার রেখেছে। জরিপ বলে মানুষের মধ্যে ৩.৭% সমকামি।

২. সমকামিতার পিছনে জিন কাজ করে। আর যে বিষয়ের উপর বেশি মনোযোগ দেয় মানুষ মানে "সবাই যদি সমকামি হত" সেটা আদৌ সম্ভব না।

৩। সমকামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন পথ বেছে নেয় না। তারা প্রাকৃতিকভাবে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অনাসক্ত। আপনি ধার্মিক হিসেবে এটাকে রোগ বলেন বা যাই বলেন এর জন্য তাকে শাস্তি বা ভুল বলা অযৌক্তিক।

৪। সমকামিরা সাধারনত সন্তান দত্তক নেয়। এটা খুবই মহৎ কাজ। প্ৃথিবীতে অনেক শিশুই এতিম হওয়ার মত দুর্ভাগ্য বহন করে। সমকামিদের এই মহৎ আমাদের দৃষ্টিগোচর করা উচিত না।

৫। ইসলামিক বিশেষজ্ঞ ডঃ জাকির নায়েক আরও কিছু স্কলাররা ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন এই বলে যে অবাধ যৌনতা মানুষকে সমকামি করে তুলে। বিষয়টা খুবই ভুল ও অনৈতিক যুক্তি চয়ন। কেননা এমন অগণিত সমকামীজুগল আছে যারা সারাজীবন একই সঙ্গির সাথে থাকে। ছেলে-মেয়ে জুগলের মতও তাদের মাঝে ভালবাসা ও কমিটমেন্ট আছে এটা স্বাভাবিক।

৩৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

গেদা (Geda) বলেছেন: অভিশপ্ত সমকামিতা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না ! তাতে বিকৃত রুচির লোকরা ১০০০ টি যুক্তি ও সুফল তুলে ধরুক না কেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.