নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে নিজেকে একটি ডানা ভাঙ্গা আহত পাখি মনে হয়.....

আম্মানসুরা

ইচ্ছেখাতা

আম্মানসুরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রামপাল কিভাবে আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে ?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

ফেসবুকে কিছু অন্ধ লীগ সমর্থকদের রামপাল নিয়ে সমর্থন করতে দেখে বিরক্তি লাগল তাই নেট ঘেঁটে এই তথ্য গুলো বের করলাম।

রামপাল কিভাবে আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে আসুন দেখিঃ

১)রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে দুই দেশের সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি নামে একটি কোম্পানিও গঠন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অর্থায়ন করবে ১৫% পি ডি বি, ১৫% ভারতীয় পক্ষ আর ৭০% ঋণ নেয়া হবে। যে নীট লাভ হবে সেটা ভাগ করা হবে ৫০% হারে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনবে পি ডি বি। বিদ্যুতের দাম নির্ধারিত হবে একটা ফর্মুলা অনুসারে। কী সে ফর্মুলা? যদি কয়লার দাম প্রতি টন ১০৫ ডলার হয় তবে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ এর দাম হবে ৫ টাকা ৯০ পয়সা এবং প্রতি টন ১৪৫ ডলার হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৮ টাকা ৮৫ পয়সা। অথচ দেশীয় ওরিয়ন গ্রুপের সাথে মাওয়া, খুলনার লবন চড়া এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা তে যে তিনটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের যে চুক্তি হয়েছে পি ডি বির সাথে সেখানে সরকার মাওয়া থেকে ৪ টাকায় প্রতি ইউনিট এবং আনোয়ারা ও লবন চড়া থেকে ৩টাকা ৮০ পয়সা দরে বিদ্যুৎ কিনবে। সরকার এর মধ্যেই ১৪৫ ডলার করে রামপালের জন্য কয়লা আমদানির প্রস্তাব চূড়ান্ত করে ফেলেছে। তার মানে ৮ টাকা ৮৫ পয়সা দিয়ে পি ডি বি এখান থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনবো সেটা নিশ্চিত।



২)১৮৩০ একরধানী জমি অধিগ্রহণের ফলে ৮০০০ পরিবার উচ্ছেদ হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্ম সংস্থান হতে পারে সর্বোচ্চ ৬০০ জনের, ফলে উদ্বাস্তু এবং কর্মহীন হয়ে যাবে প্রায় ৭৫০০ পরিবার। শুধু তাই নয় আমরা প্রতি বছর হারাবো কয়েক কোটি টাকার কৃষিজ উৎপাদন।

ক) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয়;



খ) ধান ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়;



গ) প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩/৪টি গরু, ২/৩টি মহিষ, ৪টি ছাগল, ১টি ভেড়া, ৫টি হাস, ৬/৭টি করে মুরগী পালন করা হয়;



ঘ) ম্যানগ্রোভ বনের সাথে এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এলাকাটি স্বাদু ও লোনা পানির মাছের সমৃদ্ধ ভান্ডার। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খাল ও নদীর নেটওয়ার্ক জৈব বৈচিত্র ও ভারসাম্য রক্ষা করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৫২১৮.৬৬ মেট্রিক টন এবং প্রকল্প এলাকায় (১৮৩৪ একর) ৫৬৯.৪১ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়।





পরিবেশের ক্ষতিঃ

কয়লাভিত্তিক যেকোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে অন্য যে কোনো প্রকল্পের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের কয়লাভিত্তিক প্রকল্প প্রতি ৫০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রায় ২.২ বিলিয়ন গ্যালন পানির প্রয়োজন হয়।রামপালের প্রকল্পের ক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে মেটানো হবে পশুর নদী থেকে। পশুর নদীরপানি নোনা ও মিঠা জলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের প্রয়োজন মেটাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই নদীটির সাথে ওই গোটা অঞ্চলের সামগ্রিক জীববৈচিত্র্যের সংযোগ রয়েছে। এটি ওই অঞ্চলের জনবসতির ক্ষেত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। কিন্তু এই প্রকল্প তৈরি করতে গিয়ে আমরা সেই নদীর অস্তিত্বকেই বিপন্ন করে ফেলছি।



এই প্রকল্প এলাকা সুন্দরবনের ঘোষিত সংরক্ষিত ও স্পর্শকাতর অঞ্চল থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে। অন্যান্য দেশে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫-২০ কি.মি.-এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয় না। এমনকি এই ভারতীয় কোম্পানিকেও তার নিজের দেশেই এই যুক্তিতে মধ্য প্রদেশে একটি অনুরুপ প্রকল্প করতে দেয়া হয়নি। ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দরবন থেকেমাত্র ১৪ কি.মি. দূরে! আবার সুন্দরবন থেকে দূরত্ব আসলেই ১৪ কি.মি. কিনা সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে। খোদ ইআইএ রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে প্রকল্পের স্থানটি একসময় একেবারে সুন্দরবনেরই অংশ ছিল।



কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুইটিবিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট থাকবে। প্রথম ইউনিটটি নির্মাণ করতে সাড়ে চার বছর সময় লাগবে। প্রথম ইউনিটটি নির্মাণের সাড়ে চার বছর সময় জুড়ে গোটা এলাকার পরিবেশ, কৃষি,মৎস ও পানি সম্পদের উপর অসংখ্য ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।



বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মালামাল ও যন্ত্রপাতি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নদী পথে পরিবহন করা হবে। ফলে বাড়তি নৌযান চলাচল, তেল নিঃসরণ, শব্দদূষণ, আলো, বর্জ্য নিঃসরণ ইত্যাদি সুন্দরবনের ইকো সিস্টেম বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, ডলফিন, ম্যানগ্রোভ বন ইত্যাদির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে ইআইএ রিপোর্টে আশংকা করা প্রকাশ হয়েছে। ড্রেজিং এর ফলে নদীর পানি ঘোলা হবে। ড্রেজিং সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে তেল- গ্রীজ ইত্যাদি নিঃসৃত হয়ে নদীর পানির দূষিত হবে। পশুরনদীর তীরে যে ম্যানগ্রোভ বনের সারি আছে তা নির্মাণ পর্যায়ে জেটি নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে কাটা পড়বে। নদী তীরের ঝোপঝাড় কেটে ফেলার কারণে ঝোপঝাড়ের বিভিন্ন পাখিবিশেষ করে সারস ও বক জাতীয় পাখির বসতি নষ্ট হবে।

এর পরে আসছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র অপারেশনে থাকার সময়কার প্রভাব- ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইডও ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড নির্গত হবে। পশুর নদী থেকে প্রতি ঘন্টায় ৯১৫০ ঘনমিটার করে পানি প্রত্যাহার করা হবে। যতই পরিশোধনের কথা বলা হোক, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানি নির্গমন হলে তাতে বিভিন্ন মাত্রায় দূষণকারী উপাদান থাকবেই যে কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেলায় 'শূন্য নির্গমণ' বা 'জিরো ডিসচার্জ' নীতি অবলম্বন করা হয়। এনটিপিসিই যখন ভারতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রনির্মাণ করে তখন 'জিরো ডিসচার্জ' নীতি অনুসরণ করে অথচ রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে- 'পরিশোধনকরার পর তরল বর্জ্য বা ইফ্লুয়েন্ট ঘন্টায় ১০০ ঘনমিটার হারে পশুর নদীতে নির্গত করা হবে।' যা গোটা সুন্দরবন এলাকার পরিবেশ ধ্বংস করবে। ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে ২৭৫ মিটার উচু চিমনী থেকে নির্গত গ্যাসীয় বর্জ্যরে তাপমাত্রা হবে১২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ফলে আশেপাশের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রেবছরে ৭,৫০,০০০ টন ফ্লাই অ্যাশ ও ২ লক্ষ টন বটম অ্যাশউৎপাদিত হবে। এতে বিভিন্ন ভারী ধাতু যেমন আর্সেনিক, পারদ,সীসা, নিকেল, ভ্যানাডিয়াম,বেরিলিয়াম, ব্যারিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, রেডিয়াম মিশে থাকে। কিন্তু আরো ভয়ংকর ব্যাপার হলো, একদিকে বলা হয়েছে এই বিষাক্ত ছাইপরিবেশে নির্গত হলে ব্যাপক দূষণ হবে অন্যদিকে এই ছাই দিয়েই প্রকল্পের মোট ১৮৩৪একর জমির মধ্যে ১৪১৪ একর জমি ভরাট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে! এই বর্জ্য ছাই এর বিষাক্ত ভারী ধাতু নিশ্চিত ভাবেই বৃষ্টির পানি সাথে মিশে, চুইয়ে প্রকল্প এলাকার মাটি ও মাটির নীচের পানির স্তর দূষিত করবে যার প্রভাব শুধু প্রকল্প এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। উৎপাদিত বর্জ্য ছাই সিমেন্ট কারখানা, ইট তৈরি ইত্যাদি বিভিন্ন শিল্পে ব্যাবহারের সম্ভাবনার কথা ইআইএ রিপোর্টে বলা হলেও আসলে বড় পুকুরিয়ার মাত্র ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত দৈনিক ৩০০ মেট্রিক টন বর্জ্য ছাই কোনো সিমেন্ট কারখানায় ব্যাবহারের বদলে ছাই এর পুকুর বা অ্যাশ পন্ডে গাদা করে রেখে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টারবাইন, জেনারেটর,কম্প্রেসার, পাম্প, কুলিং টাওয়ার, কয়লা উঠানো নামানো, পরিবহন ইত্যাদির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও যানবাহন থেকে ভয়াবহ শব্দদূষণ হয়। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত সালফার, নাইট্রোজেন,কার্বন ইত্যাদির বিভিন্ন যৌগ কিংবা পারদ, সীসা, ক্যাডমিয়াম, ব্যারিয়াম ইত্যাদি ভারী ধাতুর দূষণ ছাড়াও কুলিং টাওয়ারে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণেও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক আকারে নিউমোনিয়া জাতীয় রোগ ছড়িয়ে পড়ে।



বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বছরে ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার টনকয়লা ইন্দোনেশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণআফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে আমদানী করতে হবে। আমাদানীকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজের মাধ্যমে মংলাবন্দরে এনে তারপর সেখান থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সুন্দরবনের ভেতরে পশুর নদীর গভীরতা সর্বত্র বড় জাহাজের জন্য উপযুক্ত না হওয়ার কারণে প্রথমে বড় জাহাজে করে কয়লা সুন্দরবনের আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত আনতেহবে, তারপর আকরাম পয়েন্ট থেকে একাধিক ছোট জাহাজে করে কয়লা মংলাবন্দরে নিয়ে যেতে হবে। ১৩২০ মেগাওয়াটের জন্য প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টন কয়লা লাগবে।অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্যায়ের শেষে ২৬ হাজার টন কয়লা লাগবে। এর জন্য সুন্দর বনের ভেতরে হিরণ পয়েন্ট থেকে আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত ৩০ কিমি নদী পথে বড় জাহাজ বছরে ৫৯ দিন এবং আকরাম পয়েন্ট থেকে মংলা বন্দরপর্যন্ত প্রায় ৬৭ কিমি পথ ছোট জাহাজে করে বছরে ২৩৬ দিন হাজার হাজার টন কয়লা পরিবহন করতে হবে!



সরকারের পরিবেশ সমীক্ষাতেই স্বীকার করা হয়েছে, এভাবে সুন্দরবনের ভেতরদিয়ে কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করার ফলে, কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ থেকে কয়লার গুড়া,ভাঙা /টুকরো কয়লা, তেল,ময়লা আবর্জনা, জাহাজের দূষিত পানি সহ বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নি:সৃত হয়ে নদী-খাল-মাটি সহ গোটা সুন্দরবন দূষিত করে ফেলবে। চলাচলকারী জাহাজের ঢেউয়ে দুইপাশের তীরের ভূমি ক্ষয় হবে। কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ ও কয়লা লোড-আনলোড করার যন্ত্রপাতি থেকে দিনরাত ব্যাপক শব্দ দূষণ হবে। রাতে জাহাজ চলার সময় জাহাজের সার্চ লাইটের আলো নিশাচর প্রাণী সহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল সুন্দরবনের পশু-পাখির জীবনচক্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।



এই ভারতীয় কোম্পানি এন টি পি সি র মধ্যপ্রদেশে প্রস্তাবিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ভারতীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাতিল করে দিয়েছে। তাঁরা বলেছে,” বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য প্রস্তাবিত স্থানটি কৃষি জমি, যা মোটেই প্রকল্পের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া নর্মদা নদী থেকে প্রকল্পের জন্য ৩২কিউসেক পানি টেনে নেয়া প্রকল্পের জন্য বাস্তবসম্মত নয়। কৃষি জমির সল্পতা,নিকটবর্তী জনবসতি, পানির সল্পতা, পরিবেশগত প্রভাব এসব বিবেচনায় এই প্রকল্প বাতিল করা হোল’। যে বিবেচনায় এন টি পি সি নিজের দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রনির্মাণ করতে পারেনি সেই একই বিবেচনায় বাংলাদেশে কী তাদের প্রকল্প বাতিল হতে পারেনা?



প্রকল্পে ১৫% বিনিয়োগে ভারতীয় মালিকানা ৫০%।বিদ্যুতের দাম পড়ছে দ্বিগুণেরও বেশী। উচ্ছেদ হচ্ছে ৭৫০০ পরিবার। কৃষিজ সম্পদ হারাচ্ছে দেশ। পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে বাংলাদশে কিন্তু ৫০% শতাংশ মালিকানা ভারতীয় কোম্পানির? ভারত মধ্যপ্রদেশে যে প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ সেই এনটিপিসিকেই সুন্দরবনের উপর ১৩২০মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সুযোগ করে দিচ্ছে পরিবেশের উপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব তোয়াক্কা না করেই। তার উপর ভারতীয় কোম্পানিকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র লাভের করও দিতে হবে না। এটা কীভাবে জাতীয় স্বার্থের অনুকুলে হয়? আরএটাই কী আমাদের গিলতে হবে?

২৮শে সেপ্টেম্বর ঢাকা-সুন্দরবন লংমার্চের প্রস্তুতি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, সুন্দরবন ধ্বংস করে দেশের স্বার্থবিরোধী এ রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প আমরা হতে দেবো না। সুন্দরবন ধ্বংস করে যে বিদ্যুৎ প্রকল্প করা হচ্ছে এর ক্ষতি অপূরণীয়। এটা টাকায় পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন হিসাবে এর পরিমাণ ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার কম নয়। তিনি বলেন, আমাদের জ্বালানি উৎপাদনের বহু বিকল্প আছে কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প নেই। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে সাধারণত বিশ্বে ও বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতি থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে এ ধরনের প্রকল্প নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয় না। ভারতীয় কোম্পানি বাংলাদেশের সুন্দরবনের ৯-১৪ কিলোমিটারের মধ্যেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে। বাফার জোন বিবেচনা করলে এ দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। অথচ ভারতেরই ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট-১৯৭২’ এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সমীক্ষা অনুসারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা যায় না। এজন্য গত কয়েক বছরে ভারতের কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে তিনটি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসিকে বাংলাদেশ সুন্দরবনের যত কাছে প্রকল্প নির্মাণ করতে দিয়েছে ভারত তার নিজের দেশে তা করতো না। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ প্রকল্পে সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যাবহার করা হবে। সেজন্য সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না। তাহলে, ভারতের ভূখণ্ডে কেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না?

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতুল্লাহ বলেন, পয়সা আছে যেখানে সরকার আছে সেখানে, তারা জনগণের কথা শুনবে না। তাই আমাদের এটা প্রতিরোধ করতে হবে। ২৩শে সেপ্টেম্বরের প্রকল্প বাতিলের ঘোষণা না দিলে ২৪শে সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে ২৮শে সেপ্টেম্বর রামপালের দিগরাজে মহাসমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।





তথ্যসূত্রঃ

মানব জমিন

বি ডি নিউজ ২৪

ইআইএ রিপোর্ট, বাংলাদেশ সরকার

পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক নোট

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

খাটাস বলেছেন: সব তথ্য গুলো সমন্নয় করে অসাধারন কাজ করেছেন আপু। পোস্টে প্লাস সহ বক্সে। অনেক কিছু জানলাম।
কিন্তু সরকার রামপালের পক্ষে কি যুক্তি দেয়, সে ব্যাপারে কোন লিঙ্ক দিতে পারবেন? পড়ে দেখতাম।
আপনার জন্য শুভ কামনা।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

আম্মানসুরা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
সরকার আর কি যুক্তি দিবে! বরাবরের মত সমস্ত খতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়। আপনার আগ্রহের জন্য নিচে একটি লিঙ্ক দিলাম
Click This Link

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সরকারের স্বার্থ শাখ দিয়ে মাছ ঢাকা ।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি , আমার দেশ এর সম্পাদক যে কারনে গোপন নথি
তথ্য ফাসে গ্রেফতার ।।
সহ আউলা সরকার আর কাউরে সুযোগ বেদেনা তাই ভারতের সাথে
আঁতাত ।।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

আম্মানসুরা বলেছেন: অন্যান্য বিষয় গুলো জানিনা তবে রামপালের ক্ষেত্রে ইআইএ রিপোর্ট অস্বীকার করে সরকার অন্ধের মত আচরণ করছে।

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

ঢাকাবাসী বলেছেন: কমিশন যা খাওয়ার তাতো খাওয়া শুরু হয়ে গেছে সুতরাং এটা আর এখন বন্ধ করার উপায় নেই! ভালো লিখেছেন।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি আশাবাদী। কেন যেন মনে হয় শুভ বুদ্ধির জয় হবে।

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ফেসবুকে একটা পোস্ট দিছি আপনার লেখা থেকে কিছু ইনফো নিয়ে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ ফেসবুকে পোষ্ট দেবার জন্য। তথ্যগুলো ছড়িয়ে পরুক।

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেছেন: কমিশনের ভাগ পেয়ে তাদের পুলাপাইন কানাডায় থাকবে যা ভোগ করার আমরাই ভোগ করবো সাথে অন্ধ লীগ সমর্থকদের নিয়ে । :|

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

আম্মানসুরা বলেছেন: কবি এখানে নিরব!

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট । তথ্যগুলো দারুণ ভাবে এক জায়গায় নিয়ে এসেছেন । সবার বোধদয় হউক ।


পোস্টে ভাললাগা ++

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।
আমার কামনা সরকারের বোধোদয় হোক কারন আমারা সবাই বুঝলেও কিছু হবে না যতক্ষণ না সরকার এর শুভবুদ্ধি না হবে।

৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

আখাউরা পূলা বলেছেন: নিজের সম্পদ আগে নিজেরা খাইতাম, সহ্য করা যেত, যখন ভিনদেশিদের দিয়া আমাদের সম্পদ খাউয়ান হয়, তখন এটা সহ্য করা যায় না...
"সুন্দরবন।
অতীব সৌন্দর্যমণ্ডিত এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য ।
একে রক্ষা করা আমাদের দেশপ্রেমিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব ।
আমরা ব্যর্থ হলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না ।"
-রানা স্যার

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি আশাবাদী। আমরা হয়ত রক্ষা করতে পারব।

৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আমরা বিদ্যুত চাই, তবে আমাদের অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে নয়। দেশে আরো অনেক জায়গা আছে, সেখানে করা হোক, কিন্তু সুন্দরবনে করার বিপক্ষে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

আম্মানসুরা বলেছেন: আমারও তাই মত, দেশে অনেক জায়গা আছে কিন্তু সুন্দরবন কেন?
আমার কামনা সরকারের বোধোদয় হোক কারন আমারা সবাই বুঝলেও কিছু হবে না যতক্ষণ না সরকার এর শুভবুদ্ধি না হবে।

৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৮

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: মজার বিষয় হল - সরকার এর সব কর্তা ব্যাক্তি রা মনে হয় একই সাথে একই ব্রেইন দ্বারা পরিচালিত হয় , তা না হলে কেউ এখনও বলে নি যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এর চেয়ে আমাদের সুন্দর বন বেশি জরুরী । আর সামুও কোন স্টিকি পোষ্ট রাখেনি এর বিরুদ্ধে । তাহলে সামুও সুবিধা ভোগী ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

আম্মানসুরা বলেছেন: সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা একই নিজস্ব অর্থনৈতিক লোভ দ্বারা আক্রান্ত তাই সবার আচরণ একই রকম। সামুর বিষয় নিয়ে একমত নই কারন সামু স্টিকি রাখা বা না রাখায় রামপাল এর উপর কোন প্রভাব পরবে না।

১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

চিরতার রস বলেছেন: বিদ্যুৎ চাই কিন্তু তা সুন্দরবন এবং তৎসংলগ্ন পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে নয়।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

আম্মানসুরা বলেছেন: আমিও তাই মনে করি । বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিকল্প আছে কিন্তু সুন্দরবনের কোন বিকল্প নেই।

১১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০১

খাটাস বলেছেন: খাটাস আপু ?????????????? B:-) B:-) B:-) B:-) :(( :(( :((
এইটা আপনি কি বললেন?
এইটা শোনার আগে আমি ব্লগিং ছাইড়া দিলাম না কেন? :(( :((
খাটাস ভাইয়া। আপুরা খাটাস হয় না। /:) X( :)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

আম্মানসুরা বলেছেন: :P :P :P
সরি ভাইয়া, আমি মাননীয় স্পিকার হয়ে গেলাম :D
ইহা হইল ছদ্মনামে ব্লগিং করার কুফল :#)

১২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

নির্জন শাহরিয়ার বলেছেন: অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক। দাদা বাবুদের খুশি করার জন্য বাংলাদেশ ধ্বংস করার কোন মানে হয় না।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

আম্মানসুরা বলেছেন: অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি আমারও

১৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আচ্ছা ভাবছি বাড়ির ছাদে যদি ম্যানগ্রোভ লাগান যায় তাহলে কিন্তু মন্দ হয়না।
;)

তথ্য বহুল পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১১

আম্মানসুরা বলেছেন: বাড়ির ছাদে বাঘ পালার সাহস হবে? ;)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কাণ্ডারী অথর্ব।

১৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: "আমাদের জ্বালানি উৎপাদনের বহু বিকল্প আছে কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প নেই"

এটাই মূল কথা। কিন্তু চুক্তি বাতিলের কোন সম্ভাবনা দেখছি না।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

আম্মানসুরা বলেছেন: এই সহজ কথাটা মাথা মোটা সরকারের মাথায় ঢুকেনা কেন? আসলেই তো তাই "আমাদের জ্বালানি উৎপাদনের বহু বিকল্প আছে কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প নেই" ।

১৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “যদি থাকে সুন্দর মন
বাঁচিয়ে রাখো সুন্দরবন”

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

আম্মানসুরা বলেছেন: বাহ!!!! চমৎকার বললেন তো!



“যদি থাকে সুন্দর মন
বাঁচিয়ে রাখো সুন্দরবন”

১৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক চমৎকার এবং গঠনমুলক পোষ্ট। কিছুতেই সুন্দর বনের ক্ষতি হতে দেয়া চলবে না।
গুড জব আপু।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
আমি আশাবাদী। হয়ত শেষ সময়ে এসে সরকারের বোধোদয় হবে!
তবে আমার আশা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দুরাশা হয়ে থাকে :-0

১৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব চমৎকার পোস্ট।
ওয়েল ডান লুলু ||

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি বোধহয় ফেবু থেকে আমার নামের প্রথম অংশ জেনেছেন। আপনি কি এই নামেই ফেবুতে আছেন?

১৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রামপাল প্রকল্প বন্ধ কর।

দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল কর।।


২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

আম্মানসুরা বলেছেন: যদি থাকে সুন্দর মন
বাঁচিয়ে রাখো সুন্দরবন

১৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন এবং তা অনতিবিলম্বে । সাধারন মানুষের জন্য,শিল্প খাতে , খুব দ্রুত গড়ে ওঠা শিল্প ও বৈশ্বিক প্রয়োজনে বিদ্যুৎ এখন অপরিহার্য্য । নাহলে জিডিপি সূচক নিচে নামতে থাকবে । রামপাল বাদ দিলাম ,কিন্তু হবেটা কোথায় ? এ ব্যাপারে কেউই বলছেন না । ঘন জনবসতিপূর্ন বাংলাদেশে কোথাও জননিরাপদ জায়গা পাওয়া যাবে না । কিছু একটা বলুন আর নাহয় কুপি নিয়েই খুশী থাকি আমরা ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
বাংলাদেশ ছোট কিন্তু বিদুতকেন্দ্র খোলার জায়গার অভাব এতটা ছোট নয়। আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ, এই বাক্য ছোট থেকেই মুখস্থ করছি এবং যতটা দেখেছি তার প্রমাণ পেয়েছি। তাই নৌপথ এর সুবিধা সম্বলিত জায়গার অভাব নেই।

২০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

শাহ আজিজ বলেছেন: আবারও কাটিয়ে গেলেন মুল প্রসঙ্গ । একটা জায়গা অন্তত নির্বাচন করুন বিদ্দ্যুত প্রকল্প র জন্য ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

আম্মানসুরা বলেছেন: সম্পূর্ণ দেশ খুঁজে খুঁজে ১০ টা জায়গা নির্বাচন করব কিন্তু কথা দিন তাহলে রামপাল এর প্রকল্প বাতিল করবেন। কৈ সরকার তো এমন প্রস্তাব রাখল না? দয়া করে এড়িয়ে যাবেন না।

২১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর বন নিয়ে অযাচিত কোন সিদ্ধান্ত নিলে এর প্রতিফল পাবে সরকার।একটা দেশের এত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বলির পাঠা হতে পারে না। এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আমন্ত্রণ জানাই । অতীব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ভাল লাগলো ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

আম্মানসুরা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল্প হতে পারে কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প নেই।

২২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আসলে যারা ভারত বিদ্বেষী তারাই এ সমস্ত কাজ-কারবারে নানা খুঁত খুজে বার করে। তারা কুটিল বলে ভারতের উন্নতি চায় না। ভারতের উন্নতি হলে বাংলাদেশ বাঁচবে। ভারতে গিয়ে তারা কাজ করতে পারবে। ভারতের কয়লা (যার মূল্য পরে দ্বিগুন করবার সম্ভাবনা) আমদানী করে কিছু গরিব মানুষ ধনী হতে পারতো। আর সবচেয়ে বড় কথা যেখানে ভারতের একক স্বার্থ নাই সেখানে তাদের আগ্রহ দেখা যায় না। তিস্তা নিয়ে গড়মসি এ কথাই প্রমাণ করে।

আনেক আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম, যশোরের কোন এলাকায় গ্যাস পাওয়া গেছিল। সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলনের কাজ কশুরু করতেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর লোকেরা হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করে সে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। ভারত হচ্ছে এমন একটা রাষ্ট্র যে কেবল নিজের উদর পূর্তির ভাবনায় ব্যকুল। আর তাকে সহযোগীতার জন্য আছে এই দেশীয় কিছু শকুন, যারা নিজের গোয়ালের গরুগুলো মরে যাওয়ার জন্য দিনরাত দোয়া করছে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৯

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র , আমাদের মা বাপ নয়। এই সাধারণ কথাটা অনেকেই বুঝে না।
আমদের সবার আগে নিজেদের স্বার্থ দেখা উচিত কিন্তু উচিত কাজ খুব কম ক্ষেত্রেই সরকার করে থাকে /:)

২৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

এইচ আর খান বলেছেন: পোষ্টে প্লাস । একই বিষয়ে আরেকটি পোষ্ট (প্রমানাদি সহকারে)...আমাদের গর্ব সুন্দরবন কে রক্ষা করতেই হবে

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ এইচ আর খান।
ওই পোস্টের লিঙ্ক দিলে পড়তে পারতাম।

২৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ,জুলিয়ান সিদ্দিকী । প্রতিবেশী হিসাবে ভারত ক্রমশ দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে ।কাশ্মিরে আল কায়েদার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে । প্রতিবেশিদের দেওয়া যন্ত্রণা এখন ভারত কে বহন করতে হবে ।

২৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: রামপাল প্রকল্পের ফিজিবিলিটি রিপোর্ট পড়ে জানুন কি কি বিষয় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অপরিহারয্য । তারপর আমরা একসাথে এগুতে পারি ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

আম্মানসুরা বলেছেন: শাহ আজিজ ভাই এখন কিন্তু আপনি এড়িয়ে গেলেন।

যদি আমি আপনাকে পাল্টা জিজ্ঞেস করি
কেন রামপাল অপরিহার্য? কেন অন্য কোন স্থান নয়? কেন ভারতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হল না? ব্লা ব্লা ব্লা ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর আদৌ আছে কি?

২৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

লুব্ধক০১ বলেছেন:

অংশগ্রহণ বাড়ছে , বাড়ছে মুক্ত চিন্তার ব্যবহার , মুক্ত দেয়ালে রামপাল বিরোধী ও পক্ষের দেয়াল লিখন বেড়ে চলছে তালে তালে ।শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে। আপনার ও আপনার বন্ধুর মতামত একটি সুসংবদ্ধ পরিসংখ্যানের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ ।বেচে থাক সুন্দরবন ,রামপাল নয় মনের সুপ্ত আলোয় আলোকিত হোক আপনার চারপাশ ।আপনার মতামত শেয়ার করতে এখানে ক্লিক্‌ করুন ।

ইভেন্ট লিঙ্ক

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

আম্মানসুরা বলেছেন: ধন্যবাদ।
মতামত শেয়ার করার লিঙ্ক কাজ করছে না, ডাটাবেজ এরর দেখায়।
ইভেন্টে জয়েন করেছি ও আমার ফেবু বন্ধুদের ইনভাইট করেছি।

২৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

শ্যামল জাহির বলেছেন: নিতম্ব তো দিয়েই রেখেছি দাদা বাবুকে!

প্রকল্পে ১৫% বিনিয়োগে ভারতীয় মালিকানা ৫০% মাত্র!
সেই কুপি-কেরোসিনের সময় থেকেইতো নমস্কার মহাশয়দের কুর্নিশ করে আসছি। সুতরাং, ৫০% এর বেশী দাবী করলেও অবাক হওয়া ছাড়া কী-ই বা করার আছে!

মাইকের সামনে আমরা শুধু দ্রুপদ গাইতে পারবো। কিন্তু দ্রুপদীর ন্যায্য শব্দ-বাক্য সরকারের কর্ণপাত হবে কী না, তাই দেখার বিষয়।

পরিশেষে এটুকু বলবো- আমার নাক কেটে পরের যাত্রা শুভ হোক আমি চাইনা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

আম্মানসুরা বলেছেন: বন্ধুত্ব ও তোষামোদি এক জিনিস নয়, এই বিষয় টি সরকারের বুঝতে হবে। নিজের স্বার্থকেই বড় করে দেখতে হবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: শাহ আজিজ সাহেব একজন বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত মনে হচ্ছে।
তার কথার যদি সারমর্ম করি তবে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে আর কোন ফিজিবল জায়গা নেই, সুতারং রামপালই হবে দেশের শেষ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

আর, বিকল্প জায়গা খোজার দায়িত্ত কি জনগণের? মস্করা করেন নাকি ভাই? আপনার রসবোধের প্রশংসা করতে হয়।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৩

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না :||

২৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

নেক্সাস বলেছেন: যারা ঘুমিয়ে আছে তাদের ঘুম ভাঙুক।


অনেক সুন্দর ও কাজের পোষ্ট আম্মানসুরা ভাই

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

আম্মানসুরা বলেছেন: জেগে জেগে যারা ঘুমায় তাদের ঘুম ভাঙ্গে না, দেখেন না তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে দিল X( X((



ভাই রে আমি ভাই না বইন :D

৩০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: “যদি থাকে সুন্দর মন
বাঁচিয়ে রাখো সুন্দরবন”

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আম্মানসুরা বলেছেন: “যদি থাকে সুন্দর মন
বাঁচিয়ে রাখো সুন্দরবন”



বাচাতে পারব কি?

৩১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১৪৯৮ সনে এই উপমহাদেশে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি এসেছিল ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। পরের সব ইতিহাস আমাদের জানা। ১৯১৩ সনে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানির বাংলাদেশে আসবার পায়তারা। আমাদের কর্তৃপক্ষের নির্বোধ আচরণ দেখলে শরীর জ্বলে যায়। আড়িয়াল বিলে বিমান বন্দর বানানো নিয়ে একবার তারা এরকম উদ্যোগ নিয়েছিল। আমার ভাবতে কষ্ট হয়- কার বা কাদের স্বার্থে জনগণের ইচ্ছেকে জলাঞ্জলি দিয়ে কর্তৃপক্ষ নিজের এবং অন্যের ইচ্ছে পূরণে মরিয়া হয়ে ওঠে?

সুন্দর একটা তথ্যবহুল পোস্ট। ধন্যবাদ প্রাপ্য আপনারই।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

আম্মানসুরা বলেছেন: অনেকেরেই দেখি রামপালের পক্ষে সেরাম ভাবে , আমি বুঝি না কিভাবে তারা পারে!


রামপালের বিপক্ষে কথা বলার জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য পিনাকী দার, তার অনুসন্ধানী লেখনীতে অনেক কিছু আমরা জানতে পেরেছি।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৩২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০০

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: আপু পোস্ট টাতে অনেক সুন্দর করে ইনফো গুলো দিয়েছেন , কিন্তু আসল কথা হল শেষমেশ কি রক্ষা হবে ! আমরা আমাদের পর্যটন প্লেস টা শেষ করে দিতে চাইনা ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০২

আম্মানসুরা বলেছেন: জানিনা আপু, আমিও আপনার মতন ভয়ে আছি।

৩৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:


কেন রামপাল অপরিহার্য? কেন অন্য কোন স্থান নয়? কেন ভারতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হল না? ব্লা ব্লা ব্লা ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর আদৌ আছে কি?


সহমত।


১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

আম্মানসুরা বলেছেন: :)

৩৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

অ্যানোনিমাস বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

আম্মানসুরা বলেছেন: :)

৩৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

বিল্লা বাবা বলেছেন: অর্জুন রামপাল নাকি? হে তো বলিউড এ B:-) B:-) B:-)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

আম্মানসুরা বলেছেন: B:-/ B:-/ B:-/ B:-/

৩৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

এম মশিউর বলেছেন: আম্মানসূরা, পেয়েছি। :)

আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। রামপাল নামে একজন ক্রিকেটারও আছে। ;)

৩৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০৭

রাসেলহাসান বলেছেন: পোস্টে ভালো লাগা থাকলো।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.