নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে নিজেকে একটি ডানা ভাঙ্গা আহত পাখি মনে হয়.....

আম্মানসুরা

ইচ্ছেখাতা

আম্মানসুরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তসলিমা নাসরিনের কাছে খোলা চিঠি

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০০

(যাদের তসলিমা নামের উপর চুলকানি আছে তারা দয়া করে পোস্ট টা এভয়েড করেন)







প্রিয় লেখিকা

আমি বাংলাদেশের এক সাধারন, ভীতু, অসহায় ও মূর্খ নারী। আপনার প্রতি যেই অবিচার করা হয়েছে তা আমি কক্ষনোই মেনে নিতে পারিনি কিন্তু প্রতিবাদও করতে পারিনি। আমি ভীতু! তাই আমি ক্ষমা চাই!



আমি আমার বাবা, ভাই, বন্ধু, স্বামী কে বোঝাতে পারিনি কোন নাস্তিক সিগারেট হাতে রেখে কোরান শরীফ পড়লে তাতে কোরান অবমাননা হয় না। কোরান অবমাননা হয়, যখন কোন মুছলিম কোরানের কথা অমান্য করে ও বিপরীত কাজগুলো করে। কোরান অবমাননা হয় যখন নামধারী মুসলমান মানুষ মিথ্যা বলে, হত্যা করে, রেপ করে, দুর্নীতি করে, অসহায় মানুষের শেষ সম্বল আত্নসাৎ করে......... এরাই কোরানের অবমাননা করে। সঠিক মুসলমানের উচিত এদের বিরুদ্ধে জিহাদ গড়ে তোলা। কিন্তু আফসোস!! এরাই সমাজে মাথা উচু করে চলে, আর আপনার মতন জ্ঞানিদের মাথা কেটে আমরা (অ)ধর্ম রক্ষা করি। আমি তাই আপনার নিকট ক্ষমাপ্রার্থী! আমাকে ক্ষমা করুন!



আমি আমার সমাজ কে বুঝাতে পারিনি যে, আপনি নারীদের একাধিক স্বামী গ্রহণে উৎসাহিত করে কিছু বলেন নাই। পুরুষদের একাধিক বিয়ের প্রতিবাদ করেছেন। আমি সেই সব লম্পট কাপুরুষদের মুখের উপর বলতে পারিনি যে, তোমাদের একাধিক বিয়ের কোন যৌক্তিকতা ও দক্ষতা নেই। যদি একাধিক বিয়ের বিষয় চলেই আসে তাহলে নারী অধিক দক্ষ। কারন নারী তার পতিতা পেশা দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১০ বা তার অধিক পতিত পুরুষ কে তৃপ্ত করে যা বিপরীতভাবে কোন পুরুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কোন পুরুষ ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন নারীকে তৃপ্ত করার ক্ষমতা রাখে না। তাই তোমরা একাধিক স্ত্রী রাখার মতন অন্যায় করো না। তসলিমা তোমাদের এই অন্যায়কে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝাতে নারীর একাধিক স্বামীর কথা এনেছে। আমি দুঃখিত! আমি লজ্জিত! আমরা প্রতিবাদ ও উৎসাহের পার্থক্য জানিনা!!!



আমাকে ক্ষমা করুন ম্যাডাম, আমি কাওকে বুঝাতে পারিনি জ্ঞানের যুদ্ধ হবে জ্ঞান দিয়ে। তলোয়ারের যুদ্ধ হবে তলোয়ার দিয়ে। আমি আমার সমাজকে বলতে পারিনি আমাদের নবীর পথে বুড়ি কাটা দিয়ে রাখার পরেও সেই নবী অসুস্থ বুড়িকে সেবা করে মানবতা ও প্রেমের জয়গান গেয়েছেন। তাই তোমরাও মানবিক ও প্রেমিক হলেই নবি খুশি হবেন। কক্ষনোই সন্ত্রাসী কে নবি ভালবাসবেন না। আমাদের নবি যেই অমানবিক কাজ করে নাই তা আমরাও করতে পারিনা। যদি করি তাহলে নাস্তিকদের দেয়া অপবাদের সত্যতা প্রমানিত হয় আর নবীর প্রেমের গান তোমাদের সন্ত্রাসি কাজের আড়ালে হারিয়ে যায়। আমি দুঃখিত!! আমরা ধর্ম ও অধর্মের পার্থক্য আপনাকে বুঝাতে পারি নাই। তাই আমি নবীর উম্মতদের একজন হয়ে ক্ষমা চাইছি।



অতি পুরুষবাদিতা থেকে অতি নারীবাদিতার জন্ম হয়। অতি উগ্রবাদি ধর্মান্ধতা থেকে অতি উগ্র নাস্তিকতার জন্ম হয়। তাই আপনার অতি নারীবাদিতা ও নাস্তিকতার জনক আমাদের এই উগ্র পুরুষবাদি ও মৌলবাদ সমাজ। আমি এই জনক কে ঘৃণা করলেও হত্যা করতে পারিনি, প্রতিবাদ করতে পারিনি। আমার এই ভীরুতা ক্ষমা করুন!



একজন লেখিকা বা কলমযোদ্ধার সাথে আমরা টপ টেরর সন্ত্রাসির মতন আচরণ করেছি। একজন টপ টেরর সন্ত্রাসি ও কলমযোদ্ধার পার্থক্য আমরা করতে শিখে নাই। আমাদের ক্ষমা করুন।



আমাকে ক্ষমা করুন! কারন- আমি আমার কান্নার সমব্যথীকে, আমার উপর করা অন্যায়ের প্রতিবাদকারীর পাশে দাড়াতে পারিনি, তার কান্নায় আমি কাদতে পারিনি! উপরন্তু পরোক্ষ ভাবে আপনার মায়ের ভালোবাসা থেকে আপনাকে বঞ্চিত রাখতে সাহায্য করেছি।

কি করব বলুন!! আমি যে ভীরু, দুর্বল। আমি সমাজকে ভয় পাই। তার চেয়েও বেশি ভয় পাই মানুষের চামড়া দিয়ে মোড়ানো পশুগুলোকে। ওদের মুখ থেকে নির্গত নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ বর্জ্য পদার্থ আমার গায়ে লাগে না তবে ঐ গন্ধটাকে ভয় পাই। এই চিঠি লিখতেও ভয় পেয়েছি। তবুও বিবেকের তাড়নায় লিখলাম। হয়ত আপনার চোখে পড়বে না। তবুও নিজের কাছে ভারমুক্ত হলাম।



ইতি

আপনার ক্ষমাপ্রার্থী

ভীতু বাঙালি নারী

মন্তব্য ১৩৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৯

কাজী রায়হান বলেছেন: ভাল লাগল । :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

আম্মানসুরা বলেছেন: সবার চেয়ে আলাদা মন্তব্য আপানার কাছে পেলাম তাই আমারও ভালো লাগল।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

না পারভীন বলেছেন: প্রিয় আম্মানসুরা আপুনি , তসলিমা আপা তো একজন ডাক্তার ছিলেন, স্বজাতির প্রতি মমতায় উদ্বেলিত হয়ে তার সংগে টুইটার, ফেইসবুক আর কিসে কিসে যুক্ত হয়েছিলাম। এই যে তাকে দেশে আসতে দেয়া হয় না এতে ছিলাম খুব বিরক্ত

অচিরেই আপা আঁতে ঘা দিলেন। আপার একটা অয়েবসাইট দেখে আমি বুঝলাম উনি কোথায় আঘাত করেন। মহানবীর ব্যংগাত্মক কার্টুনে ভর্তি।
নবী অবমাননা সহ্য করার মত মনের জোর আমার ছিলনা। আমি তার প্রতি ভালবাসা ত্যাগ করলাম।

কাউকে কিছু বুঝানোর কি দরকার আছে? আমি যেমন নিজেই বুঝেছি

সেই নারী স্বাধীনতা
এ নিয়ে কথা বললে কেউ হয়
পরম শ্রদ্ধেয় বেগম রোকেয়া

আর কেউ হয় "তসলিমা নাসরিন "
আর সেটা হয় নিজ গুনে বা দোষে।
আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন আর তসলিমা আপার সুমতি দিন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০১

আম্মানসুরা বলেছেন: আপু একটা বিষয় ভেবে দেখেছেন- এই উগ্র তসলিমার জন্মদাতা কে? তিনি কেন এতটা উগ্র? নবিকে নিয়ে তার অনেক আক্রোশ আছে কিন্তু কেন? তিনি কি নবিকে দেখেছেন? নাকি নবিপ্রেমিদের আচরণ দেখে এই আক্রোশ জন্মেছে?

আমার মাথাব্যাথা এখানেই। আমরা যারা ধর্মকে ভালবাসি তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করি নবি তার জীবনে মানবতা, ক্ষমা ও প্রেমের জয়গান গেয়েছেন। তাই নবীর সুন্নত পালন করতে হলে তার দাড়ি টুপি ফলো করার আগে তার মানবিক আচরণ আমাদের ফলো করতে হবে। তবেই আমার নবিপ্রেম স্বার্থক হবে। তিনি যখন ধর্ম বিদ্বেষী কথা বলেন তখন আমরাও পাল্টা লিখব আর তার কথার অসারতা প্রমান করে দেব কিন্তু আক্রমণ কেন? একটা প্রশ্ন করি- কে বেশি অপরাধী? তসলিমা নাকি গু আজম?

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:



হুম।


কামারের দোকানে কোরআন শরীফ পড়ে লাভ নাই, তসলিমা এতো ভালো না। সে শুধু নাস্তিক হইলে কোন সমস্যা ছিলো না, সে একটা ইসলাম বিদ্বেষী, এইটাই হচ্ছে সমস্যা।


কিন্ত বাংলাদেশে এখন তসলিমা থেকেও বেশি ইসলাম বিদ্বেষী লোক আছে।
আরিফুরের আপলোড করা তসলিমার এক সাক্ষাতকারে এই জন্যই তসলিমাকে দেখা যায়, বাধ্য হয়ে একাত্তরের সাংবাদিককে বলতে হচ্ছে, তুমি এমন খেপে আছো কেন??

লাস্ট ভিডিওতে দেখা যায়, মগা চীফ বার বার নিশ্চিত হওয়ার ট্রাই করছে, আপলোড করার পরে সবাই যখন দেখবে, তখন তারা যে কোরআন শরীফের উপর কফির মগ রাখছে- এটা খেয়াল করে,
এইজন্য বার বার সে কফির মগ নামিয়েছে, আর উঠিয়েছে। শুধু শুধু।

কিন্তু তসলিমা একবারই মাত্র এইটা করেছে।


আর আসল কথা হচ্ছে আমাদের অতি আবেগ, এদের সেলিব্রেটি বানাচ্ছে।


জানি না, এই পোস্টের সাথে এই মন্তব্য যায় কি না??


ধন্যবাদ

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১১

আম্মানসুরা বলেছেন: ভাষার ব্যবহার ঠিক রেখে সমালোচনা আমি পছন্দ করি, তাই আপনার এই মন্তব্য এই পোস্টের সাথে খুব যায়।

একজন তসলিমা ও গু আজমের মধ্যে কে বেশি অপরাধী? কে বেশি ইসলাম বিদ্বেষী??

তার লেখা 'ক' 'আমার মেয়েবেলা' সহ আরও কয়েকটা বই আমি পড়েছি। পড়ে মনে হয়েছে আমাদের সমাজ তসলিমার উগ্র রূপের স্রষ্টা। তার প্রত্যেকটা আক্রমণের পিছনে যন্ত্রনা রয়েছে। আপনি যদি লীগ থেকে খুব বেশি আক্রমণের স্বীকার হন তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই খুব বেশি দল সমর্থক হয়ে উঠবেন। আবার পাল্টা ভাবে আপনি যদি দল থেকে খুব বেশি আক্রমণের স্বীকার হন তাহলে লীগ সমর্থক হয়ে উঠবেন। তাই আমাদের উগ্রবাদিতা পরিহার করা উচিত।

যেই লোক ধর্ম মানেনা তার কাছে ধর্মের পবিত্রতা ও আচরণ আশাও করিনা।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

কোন নাস্তিক সিগারেট হাতে রেখে কোরান শরীফ পড়লে তাতে কোরান অবমাননা হয় না। আমার প্রশ্ন হলো, কোন আস্তিক সিগারেট হাতে রেখে কোরান শরীফ পড়লে তাতে কোরান অবমাননা হয় কিনা।

সম্পূরক প্রশ্ন করি। একজন ভার্সিটির শিক্ষক। তিনি সাধারণভাবেই সকলের শ্রদ্ধার পাত্র। এবার নীচের পরিস্থিতিগুলো দেখুনঃ

এক টোকাই ঐ ভার্সিটির শিক্ষককে একটা গালি দিল।
এক রিকশাঅলা ঐ ভার্সিটির শিক্ষককে একটা গালি দিল।
অন্য একজন ভার্সিটির শিক্ষক ঐ শিক্ষককে একটা গালি দিলেন।
একজন ছাত্র ঐ শিক্ষককে একটা গালি দিল।

এইযে ৪ ধরনের মানুষ শিক্ষক মহোদয়কে গালি দিলেন, এতে কি শিক্ষক মহোদয়ের কোনো অপমান বা অবমাননা হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে, তবে আমার কোনো আপত্তি নেই। যদি বলেন, টোকাই বা রিকশাঅলা বা ছাত্র গালি দেয়াতে কোনো অবমাননা হয় নি, কিন্তু শিক্ষকের গালিতে অবমাননা হয়েছে, তাহলেও আমার কথা নেই। আর যদি বলেন, শিক্ষক মহোদয়কে যে কেউ গালি দিলেই শিক্ষককে অবমাননা করা হয়, তাহলে আপনাকে নতুন করে চিন্তা করতে বলছি- আপনার এ কথাটা বিবেচনাপ্রসূত হয় নি। আমরা ভাত খেতে খেতে, বা সিগারেট খেতে খেতে, বা যেমন-তেমনভাবে যে-কোনো ধরনের বই পড়ে থাকি। কিন্তু কোরান পাঠের সময়ে একটু সংযত থাকা উচিত এ কারণে যে এটা একটা পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান খুব সীমিত, কিন্তু কোরান স্পর্শ করার আগে অজু করে পাকপবিত্র হওয়ার ব্যাপারে বইপুস্তকে লেখা আছে দেখেছি। এটা এমন না যে আমি মুসলিম বলে পাকপবিত্র হয়ে কোরান ধরবো, আরেকজন নাস্তিক বলে তিনি ওটাকে যেমন-তেমন ভাবে ব্যবহার করবেন। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি এটুকুই বুঝি। আর এটা শুধু কোরান নয়, যে-কোনো ধর্মগ্রন্থের ব্যাপারেই নিজ নিজ ধর্মের কিছু অনুশাসন থাকবে, যা মেনে চলা উচিত- আস্তিক, নাস্তিক নির্বিশেষে।

উপরে না পারভীন এবং ঘূণপোকা যা বললেন, আমি তাঁদের সাথে একমত। তাঁর বিদ্বেষ শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি অগাধ জ্ঞান লাভ করেছেন, কিন্তু ইসলাম সংক্রান্ত তাঁর বক্তব্যে মনে হয় তিনি ইসলাম ও কোরান সম্পর্কে শুধু ভাসা ভাসা জ্ঞান অর্জন করেছেন। একটু সময় ব্যয় করে কোরান, বাইবেল, ইত্যাদির উপর অধ্যয়ন করলে তথাকথিত মৌলানাদের মুখের ধর্মকথা থেকে নয়, নিজে থেকেই প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করে তাঁর অজস্র প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যেতেন।

তসলিমা নাসরিনের কবিতাগুলো অসাধারণ। কিছু কিছু কবিতা পাঠ করলে চোখ ভিজে ওঠে। কিন্তু সেই কবিতাগুলো তাঁর জীবনের দহন থেকে উৎসারিত, প্রেম ও অতৃপ্তি থেকে সেগুলোর জন্ম। তাঁর গদ্যগুলো প্রাণবন্ত। কিন্তু যেখানে বিতর্ক সৃষ্টি করেন, সেখানে সঠিক তথ্য-উপাত্ত ও যুক্তির বদলে শুধু আবেগতাড়িত হয়ে কথা বলেন। তাঁর যুক্তিগুলো গঠনমূলক হয় না।

বিয়ের ব্যাপারে যে পয়েন্টটা উঠে এসেছে তা আমাদের পারিপার্শ্বিকতা বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে কারা ঘন ঘন বিয়ে করছে। বস্তি এলাকায় গিয়ে দেখুন, ওরা খেতে পায় না, কিন্তু ওরা কিছুদিন পর পর বিয়ে করে, বউ ছাড়ে। গরিব রিকশাঅলাকে দেখুন, সেখানেও এই অবস্থা। আরেকটা গোষ্ঠী আছে- তাঁরা উচ্চবিত্ত, শো-বিজ দুনিয়ার মানুষ। কিন্তু যাঁরাই একাধিক বিয়ে করছেন, তাঁরা কি কেউ সুখ পাচ্ছেন? ব্যক্তিগত জীবনে যেমন সুখ পাচ্ছেন না, তেমনি সমাজেও তাঁরা সমালোচিত ও নিন্দিত হয়ে থাকেন। আর এই যে একাধিক বিয়ের ব্যাপারটা- এটা শুধু পুরুষের মধ্যেই সীমিত নয়, নারীরাও সমভাবে জড়িত। ইসলামে একসাথে একজন ব্যক্তির ৪টি স্ত্রী রাখার বিধান আছে। কিন্তু এর জন্য অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হয়। যেমন, ৪ স্ত্রীকেই পূর্ণ পরিতৃপ্তি দেবার ক্ষমতা থাকতে হবে তার, ৪ জনের ভরণ-পোষণের ক্ষমতা থাকতে হবে, এবং সবচেয়ে বড় শর্ত হলো, প্রথমা স্ত্রীদের অনুমতি গ্রহণ করেই তাকে পরবর্তী বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু বাস্তব দিকটা হলো, যারা একাধিক বিয়ে করছেন, তারা কোনো শর্তই পূরণ করেন বলে আমার মনে হয় না। তসলিমা নাসরিনের বিতর্কের বিষয় ৪ বিয়ের পরিবর্তে বিধান বা শর্ত অমান্য করে বিয়ে করার বিরুদ্ধে হতে পারতো। আর যারা একাধিক বিয়ে করেন, তসলিমা নিজেও সেই দলের অন্তর্ভুক্ত। বিবাহিত পুরুষ, যাদের সুন্দর সংসার ছিল, তাঁদের ঘরেও তিনি হানা দিয়েছেন। একসাথে ৪ স্ত্রী নিয়ে সংসার করছেন, আমরা এমন কোনো নামি-দামি মানুষের কথা জানি না। নিম্নবিত্তদেরকে উদাহরণ হিসাবে টেনে আনলে তা যুক্তিপূর্ণ হয় না।


যাই হোক, তসলিমা নাসরিনের যতখানি লেখালেখি আমি পড়েছি, তাঁর কবিতার জন্য তিনি আমার কাছে মূল্যায়িত হবেন। তবে, যুক্তিহীন বা আবেগতাড়িত কথাবার্তা, বিশেষ করে ইসলাম বিদ্বেষের জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে নিন্দিতই থেকে যাবেন।

ভালো থাকবেন আপু।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

আম্মানসুরা বলেছেন: ভার্সিটির শিক্ষক কে যারা শিক্ষক হিসাবে মেনে নিয়েছে বা স্বীকার করে যে তিনি উচ্চ শিক্ষাধারী বলেই শিক্ষক তিনি রিক্সাওয়ালা বা ছাত্র যেই হোক না কেন তিনি অকারনে বকা দিলে তার জবাবদিহি চাইতেই পারি, আর কেও যদি শিক্ষকের কাজ বিশ্লেষণ করে প্রমান করার চেষ্টা করে যে শিক্ষক লম্পট ও কুশিক্ষিত তার ছাত্র যারা তারাও অনুরুপ তাহলে ঐ শিক্ষকের ছাত্রদের দুটো পথ থাকে- ১) স্যারের সম্বন্ধে যে বিশ্লেষণ ও তথ্য দেয়া হয়েছে তা মিথ্যা প্রমান করা ২) কিংবা তথ্য সঠিক হলে মেনে নেয়া। এখন কথা হচ্ছে তসলিমার বই পড়ে আমি দেখেছি সে বকা দেয়ার জন্য বকা দেয়নি। সে গ্রামিন সমাজে ধর্মের কুপ্রভাব, হিল্লা, ফতোয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখে দেখে প্রতিবাদি হয়েছে আর তার প্রেক্ষিতে মন্তব্য দিয়েছে। বাবরি মসজিদ ভারতে ভাঙ্গা হয়েছে কিন্তু শাস্তি পেয়েছে এদেশের হিন্দুরা। তার ক্ষোভের এই পয়েন্টে ধর্মের ব্যবহার রয়েছে। তার এই ক্ষোভ দূর করার উপায় হিসাবে আমরা তাকে লাঠি নিয়ে তেড়ে এসেছি কিন্তু এতে ক্ষোভ দূর হয়নি বরং আরও বেড়েছে। কিন্তু তখন যদি কোন ইসলামি সংঘটন সেই সব হিন্দুদের পাশে দাড়িয়ে ঘোষণা করত যে নিরপরাধ মানুষকে আঘাত করা ইসলামে নিষেধ তাহলে হয়ত আমরা অন্য তসলিমাকে পেতে পারতাম। কিন্তু তা ঘটেনি। তাই আমি তসলিমার উগ্র রূপের জনক হিসাবে নিজেদের সমাজকেই অধিক দায়ি মনে করি।

কোরানের পবিত্রতা বা মর্যাদা সেই ব্যক্তির কাছেই আছে যিনি এটাকে ঐশী গ্রন্থ বলে মনে করবেন। যিনি এটাকে ঐশী গ্রন্থ ভাবেন না তার কাছে কোরান একটা বই ছাড়া কিছু না। এখন তসলিমা যদি আমাদের আবেগ উস্কে দেয়ার জন্য কোরানে আগুন দিত বা এরুপ কিছু করত তাহলে তাকে দোষ দেয়া যেত। কিন্তু তিনি তার ব্যক্তিগত সভা, রিডিং রুমে আত দশটা বই এর মতন কোরানকে পড়েছেন তাই তাকে আমি বাধ্য করতে পারিনা কেন তিনি সম্মান দিলেন না।

বিয়ের বিষয়টা আমাদের দেশে কিভাবে বর্তমান আছে তা আমরা সবাই জানি। একজন স্ত্রী কক্ষনোই তার স্বামীকে বিয়ের অনুমতি দেয় না। আর কোন মুসলিম নেতাও এই বিষয়ে জোর গলায় কোন সতর্কতা বার বার মনে করিয়ে দেয় না। নবীর যুদ্ধ পরবর্তী কালীন সময়ে সমাজে স্থিতিবস্থা আনতে একাধিক স্ত্রীর প্রয়োজন হয়েছিল যা স্বাভাবিক সময়ে সম্পূর্ণ অপ্রয়োজন। এই কথাটি মুসলিম স্কালাররা জানলেও প্রচার করে না। তাই সমাজের রুপ দেখে তসলিমার প্রতিক্রিয়া অবাস্তব নয়।

আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের উত্তর সম্পূর্ণ দিতে চেয়েছি কিন্তু মনে হয়না পেরেছি।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নাস্তিক নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নাই। নাস্তিক মানে হইল যে স্রস্টা সম্পর্কে বিশ্বাস করে না। তাহলে অবশ্যই একজন নাস্তিক কে কোরআন, বাইবেল, ত্রিপিটক কিংবা বেদেও অবিশ্বাসী হতে হবে। কিন্তু দেখা যায় এরা এমন নাস্তিক যে এদের যত সমস্যা কোরআন হাদিস নিয়ে। তাইলে বাপু তোমরা কেমন নাস্তিক। তারচেয়ে হিন্দু কিংবা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহন করে সুখি থাক না। কোরআন শরীফের উপর চায়ের মগ রাখতে পার কিন্তু তাইলে সেই জায়গায় বেদের উপর রাখলে ক্ষতি কি হইত?

এটা থেকে প্রমানিত হয় এরা মোটেও নাস্তিক না। এরা হলো ভন্ড ইসলাম বিদ্বেষী পেইড যারা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের অনুচর।

তাই এদের কোন কিছুর প্রতি অন্তত আমার সমর্থন থাকতে পারেনা।

আপনি যদি নারী বাদি হিসেবে উনাকে ঠাকুর মনে করেন তাহলে বলছি শুনেন বেগম রোকেয়ার কাছ থেকে শিক্ষা নেন, মাদার তেরেসার কাছ থেকে শিক্ষা নেন, শিক্ষা নেন হাইপেশিয়ার কাছ থেকে। নারী শিক্ষা নেয়ার জন্য এমনই একজনের মুরীদ হলেন যে নিজে ভন্ড।

ভাল থাকুন আপু।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

আম্মানসুরা বলেছেন: তসলিমা ভারত থেকে বিতারিত কেন হয়েছেন?

ধর্মের অমানবিক ব্যবহার নিয়ে লিখতে গিয়ে যেই ধর্ম তার সামনে এসেছে তিনি তাকেই আক্রমণ করেছেন। ইসলাম নিয়ে অনেকেই অধিক নিন্দা করে, কথাটা মিথ্যা নয়। তবে আমি অনেক নাস্তিককে দেখেছি সব ধর্ম নিয়েই সমালোচনা করে। আর বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান এ যাদের জন্ম তারা ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সমালোচক হবেন স্বাভাবিক ভাবেই। তাই আমরা এত ইসলামি সমালোচক দেখি। শ্রীলঙ্কার নাস্তিক হবেন বৌদ্ধ ধর্মের সমালোচক। আশা করি বুঝাতে পেরেছি

বেগম রোকেয়া আজ আমাদের কাছে যেই সম্মানের তিনি কি তার সময়ে এতটা সন্মানের ছিলেন??

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৯

খাটাস বলেছেন: লেখার মাঝের কথা গুলো ভালই লাগল।
কিন্তু নারীবাদী শুনলে মানব শ্রেণীর বাহিরের বিশেষ কিছু মনে হয়।
পুরুষ তন্ত্রের মোল্লা দেখলে ও জানোয়ার মনে হয়।
আমি ও চাই, তসলিমা দেশে আসুক,
কাঠ মোল্লাদের সাথে তাকে ও একই মানসিক হাসপাতালে রাখা হোক।
যুক্তির চেয়ে আবেগি দের উগ্রতা সব সময়ই পীরাদায়ক।
তাদের মুরিদ রা কি করবেন, তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৬

খাটাস বলেছেন: ও আরেকটা কথা। মাত্র ভিডিও দেখলাম। অনেক ওলামা গালাগালি দিয়া মাসালা দিতেছে। আজিব এই ধার্মিক রা। :|
আর আজিব এই টাইপ ধার্মিক দের উস্কে দেয়া মানবতাবাদি রা , :| যদি ও আমি ও কিছে টা উস্কে দিলাম।
আমি মানবতাবাদি না তো তাই।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

আম্মানসুরা বলেছেন: বকা ও সমালোচনার পার্থক্য আছে। একজন গালিবাজকে শাস্তি দেয়ার পক্ষে কিন্তু সমালোচক কে শাস্তি দেয়ার পক্ষে নই। তসলিমা বাংলাদেশের যেসব ধর্মীয় সমস্যা তুলে ধরেছিল তা কি মিথ্যা ছিল?

যুক্তির চেয়ে আবেগি দের উগ্রতা সব সময়ই পীরাদায়ক।

আপনার এই কথার সাথে একমত।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০৮

নবাব চৌধুরী বলেছেন: সিগারেট হাতে রেখে কোর-আন পড়লে সেটা কোর-আন অবমাননা হয়না,এটা আপনাকে কে শিখিয়েছে?
বিয়ের মতো পবিত্র বিষয়ে পতিতাবৃত্তি আসলো কেন?
আপনি নিজেকে নবীর উম্মত ভাবেন?
আশ্চর্য আবার তসলিমাকেও সমর্থন করেন!
তসলিমা একজন সন্ত্রাসির চাইতেও ভয়াবহ,যে নারী যোনির সাধিনতা চায় সে কখনই কলমযোদ্ধা নয়।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

আম্মানসুরা বলেছেন: আপনি যখন এটাকে ঐশী গ্রন্থ বলে ভাবছেন ও বিশ্বাস করছেন তাই আপনি কোরানকে মর্যাদা দিবেন কিন্তু একজন নাস্তিক যিনি কোরান বিশ্বাস করেনা তার কাছে কোরান একটা বই ছাড়া কিছু না। সে একটা বই এর মতন করেই কোরান পড়বে। তাতে কোরান বা ইসলামের কিছু যায় আসে না।

বিয়ে কে পতিতাবৃত্তি বলি নাই। আপনি ঐ অংশটুকু আবার পড়ে দেখেন।

নিজেকে নবীর উম্মত ভাবি বলেই তসলিমাকে সমর্থন করি। কারন আমাদের নবি সমালোচনার জন্য কাওকে আঘাত করে নাই। তিনি প্রেম দিয়ে ধর্ম প্রচার করেছেন। যুদ্ধ করেছেন জীবন রক্ষার জন্য। নিজের প্রচার বা প্রসারের জন্য নয়। বুড়ির গল্পতা নিশ্চয়ই মনে আছে। ঐ গল্প মনে থাকলে আপনিও আমার সাথে একমত হবেন বলে আশা করি।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৫৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পোস্টদাতার জন্য সমবেদনা জানাই। আর কামনা করি তসলিমা নাসরিনের ঘাড়ের ত্যাড়া রগটা সোজা হইয়া যাক।

রড কাটে বা বড় বড় বোল্ডার ভাঙ্গে তেমন বড় সাইজের হাতুড়ির নাম মিস্ত্রীদের ভাষায় হাম্বুর! নরুণ বড় হলে বাটালি, আরো বড় করলে খুন্তি আর আরো বড় করলে শাবল বলা যায়। তেমনই তিনি হাম্বুর আর শাবল দিয়া ধুমাধুম কইরা পাথর কাইটা একটা মননশীল ভাস্কর্য বানাইতে চাইছিলেন। কিন্তু একজন ভাস্কর কতটা ধৈর্য নিয়া আর সময় নিয়া কতটা হালকা টোকায় ছোট হাতুড়ি-বাটাল দিয়া কাজ করেন তা আপনার জানার কথা। জানার কথা তসলিমা নাসরিনেরও।

পড়শী সবাই খারাপ হইতে পারে না। কিন্তু সব পড়শীর বিরাগভাজন হইলে আপনার আবাস না গুটাইয়া নিস্তার নাই। ধর্মীয় বিশ্বাসটা গইড়া ওঠে ছোটবেলায়। সেই বিশ্বাসটারে যদি ধুমাধুম কইরা ভাইঙ্গা ফেলতে চান, তাহলে প্রতিরোধের শিকার তো হবেনই। বিশ্বাস হচ্ছে তেমন একটা ব্যাপার ফিলিস্তিন বা সিরিয়ার সেই আহত বালক, যে হাসপাতালে বলছিল- আল্লাহর কাছে সব বইলা দিবে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২০

আম্মানসুরা বলেছেন: প্রিয় জুলিয়ান দা, আপনার কাছে কে বেশি অপরাধী? -তসলিমা নাকি গু আজম?

তসলিমা সমাজে কার কার ক্ষতি করেছে? কয়জনকে হত্যা করেছে? কয়জনকে অসহায় করেছে?
তার সমালোচনায় ধর্ম আঘাত পায় কি না জানিনা!
তবে চটিবাজ দের লেখায় ধর্ম আঘাত পায়, রেপিস্টদের কারনে ধর্ম আঘাত পায়, হত্যাকারীরা ধর্মকে আঘাত করে বলে জানি ও মানি।

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪

সুমাইয়া আলো বলেছেন: লেখায় +++ সাথে সমবেদনা। ভাল থাকবেন সব সময়।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

আম্মানসুরা বলেছেন: বুঝলাম না

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আনার লেখাটা দুমুখী হয়েছে, একদিকে নবীর প্রশংসা করেছেন অন্যদিকে বহুবিবাহকে চরম ভাবে ঘৃণা করে পুরষকে এক ঘা দিলেন,নবী একাধিক স্ত্রী রেখেছেন সেই বিষয়ে বলেন, আপনি কি জানেন তিনি কেন করেছেন এটা?তারপর আপনার সাথে কথা বলি।

তাসলিমা কি ইসলামের বিরোধী ছিলেন নাকি মোল্লাদের? তার সব গুলো বই কি পড়েছেন? আমার মনে হয় আপনি তাসলিমাকে বিশেষ না জেনে অযথাই ক্ষমা চাইতে চাইতে ক্ষয়ে যেতে বসেছেন।


১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি মুসলিম (মানে= ভদ্র, নম্র, স্রস্টানুগত মানুষ) হবার চেষ্টায়রত। তাই আমার কাছে নবীর আচরণের ব্যাখ্যা হবে পজিটিভ। যা আমি এখন পর্যন্ত জেনেছি ও বুঝেছি। নবি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পরে একাধিক বিয়ে করেছেন আর একাধিক বিয়ের আয়াতেও সেই প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ আছে। আমাদের দেশে ৭১ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু যদি কয়েকজন বীরাঙ্গনাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতেন আর তার অনুসারিদের সেই আদেশ দিতেন তাহলে আমি তাকে আরও বেশি শ্রদ্ধা করতাম। নবিও সেইম অবস্থায় একাধিক বিবাহ করেছেন বলেই তাকে আমি শ্রদ্ধা করি।


তসলিমার লেখায় যেমন তার গ্রামের মোল্লা, মায়ের পীর, বাবরি মসজিদের প্রতিবাদকারী হুজুরদের সমালোচনা আছে তেমনি ইসলাম নিয়ে, নবিকে নিয়েও সমালোচনা আছে। তবে তার সমালোচনার পিছনের কারন অমানবিকতা দূর করার একটা চেষ্টা আছে। আর এই চেষ্টাকেই আমি পছন্দ করি। তাই আমি এই চিঠির ৪র্থ প্যারায় উল্লেখ করেছি যে- আমরা তাকে ধর্ম ও অধর্মের পার্থক্য বুঝাতে পারি নাই। অনুসারির ভুলে পথপ্রদর্শক ও ধর্মের দায় নেই। আশা করি আমার ভিউ বুঝাতে পেরেছি।

১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নাস্তিকতাও যে দেশ এবং ধর্ম ভেদে ভিন্ন হয় জানা ছিল না, এই মাত্র জানলাম আপু আপনার মাধ্যমে। তার মানে হলো নাস্তিকদেরও ভিন্নতা আছে। কেউ হিন্দু নাস্তিক, কেউ ইসলাম নাস্তিক, কেউ খ্রিস্টান নাস্তিক। তাই যদি হয় তাহলে তারা কেন ইসলাম ছেড়ে হিন্দু হয়ে যাচ্ছেনা ?

আমি আবারও বলছি আমি নাস্তিকদের বিরুদ্ধে নই কিন্তু ভন্ডামি মেনে নেয়া যায়না কিছুতেই। আমি খ্রিস্টান তাই বলে নিশ্চয় ইসলাম ধর্মকে গালি দিতে পারিনা সেই অধিকার আমার নেই। কেউ নাস্তিক হতেই পারে তাই বলে তার অন্য ধর্মকে গালি দেয়া বাক স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতা মানেই কাপড় খুলে ট্রাফিক সিগন্যাল মেইন্টেইন করা না।

আর বেগম রোকেয়া বলে গেছেন স্কুল কলেজে নারী শিক্ষার কথা, যৌনাচারের কথা না।

এখন শ্রদ্ধেয় নারীকুলের স্বাধীনতার সেবক তসলিমার যারা মুরীদ তারা আসলে কি চায় ? নারীর অবাধ যৌন স্বাধীনতা নাকি যৌন হীনতা সেটাই বিবেচনার বিষয় ?

নারীতান্ত্রিক গারো সমাজের কথাই চিন্তা করেন নারীরা কি সেখানে বাচ্চা কাচ্চা জন্ম দিচ্ছেনা, রান্না বান্না করছেনা ? নাকি ঐখানে পুরুষ বাচ্চা কাচ্চা জন্ম দেয় আর রান্না বান্না করে ?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

আম্মানসুরা বলেছেন: একজন মানুষ কখন নাস্তিক হয়? কিভাবে নাস্তিক হয়? প্রত্যেক মানুষ তার পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়েই আস্তিক বা নাস্তিক হয়। একজন বাংলাদেশী নাস্তিকের দ্বারা সম্ভব নয় ইউরোপের, আফ্রিকার ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করা। এটা কি আপনি স্বীকার করেন?? নাস্তিক মানে ধর্ম অস্বীকারকারী। একজন মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তি যদি নাস্তিক হয় তাহলে সে হিন্দু ধর্মকে অস্বীকার করে নাস্তিক হবে না। প্রথমে সে ইসলাম ধর্মের ভুল গুলো দেখবে আর মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণের কারনে অন্য ধরমগুলোর অসারতা সম্পর্কে ছোট থেকেই জানবে ও বুঝবে তাই অন্য ধর্মেও যাবে না। তবে কেও যদি শুধু একটি ধর্মের সমালোচনা করে ও অন্য কোন ধর্মের স্তুতিবাদ করে তখন তাকে আপনি বলতে পারেন- তোমার সেই ধর্ম ভাল লাগে তা পালন কর বাপু।

রুদ্র যখন অবাধ যৌনতায় নিজেকে ভাসিয়ে দেয়, নিজের খালার সাথেও প্রেম করে তখন তা নিয়ে কিছু হয় না। এই আচরণের বিপরীতে তসলিমা প্রতিশোধের স্রোতে নিজেকে ভাসিয়েছে। অথচ সবাই তসলিমাকে সমালোচনা করলেও রুদ্রের ক্ষেত্রে তা যেন খুব স্বাভাবিক। অবাধ যৌনতার কথা বলা তসলিমা কে তৈরি করার পিছনে রুদ্রের অবদান কি কিছুই নেই? সে সবার মতন মুখোশধারী ধার্মিক নয়। সে যা করেছে তা বলেছে। সে না বললেও পারত। কিন্তু তা করে নাই। আমার কাছে মুখসধারি ধার্মিকের চেয়ে তার মতন মুখ দেখানো অধার্মিক বেশি সন্মানের। আর আমার চিঠির ৫ নং প্যারায় তার এই উগ্রবাদি আচরণের কথাও ব্যাখ্যা করেছি।

১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫

সোহানী বলেছেন: একটা নির্দিস্ট সময় পর্যন্ত তসলিমা নাসরীনের লিখায় নারী জাগরনের কথা থাকতো, বিশেষ করে তার প্রথমদিকের কবিতা বা উপন্যাস বা আত্বজীবনী। তারপর তার লিখার সাবজেক্ট, ভাষা বা প্যাটার্ন বদলে যায় যা তাকে বিতর্কিত করে তুলে।

আপনার লিখায় অবশ্যই সহমত তবে তসলিমা নাসরীনের প্রথমদিকের লিখার জন্য।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

আম্মানসুরা বলেছেন: আপনি যেই নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলছেন সেই নির্দিষ্ট সময়ে তাকে কি প্রতিদান দেয়া হয়েছে? সেই সময় থেকে কে বা কারা তাকে উগ্রবাদিতার চাদরে ঢেকেছে? আমি সেই কারন গুলোর কথাও বলেছি। সেই কারন গুলোর জন্যই ক্ষমা চেয়েছি। আমাদের ভুল আচরণের কারনে আমরা একজন বেগম রোকেয়া কে নষ্ট করে ফেলছি। রুদ্র,নাইম, সামসুল হক, ইমদাদুল হক মিলন সহ বিভিন্ন ব্যাক্তি কি এই নষ্ট তসলিমার জন্মদাতা নয়?????? একটু কল্পনা করুন- তসলিমা তার স্বামীকে নিয়ে সুখী ছিল, সে রুদ্রের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে একটা কন্যা সন্তানের মা হয়েছে যার নাম -ভালবাসা, তার বাবার অনুপ্রেরনায় তিনি এফসিপিএস কমপ্লিট করেছে, তার নারী জাগরণী লেখার জন্য দেশের পুরস্কার পেয়েছে, ইসলামি সংগঠন গুলো তার সাথে বিতর্কে নেমে তাকে হারিয়ে দিয়েছে.....

আহা!! তাহলে আমরা বোধ হয় একজন বেগম রোকেয়াকেই পেতাম!!

১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

খাটাস বলেছেন: সমাজ কে ভেঙ্গে সমাজ গড়ার চিন্তা, আর সমাজ কে ধীরে ধীরে পরিবরতনের চেষ্টা - দুটো আলাদা বেপার। এ চিন্তা মূলত সমালচনা থেকেই শুরু।
দ্বিতীয় টা বিচক্ষনতার পরিচয়। প্রথম টা বিপ্ল্ববি চিন্তা। কিন্তু এতে কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হিংসা থাকে। যে কোন জাতি গত হিসেবে তা শোষণের ফল হিসেবে মেনে নেয়া যায়। কিন্তু যারা সারা দুনিয়ার মানবতার চিন্তা করেন, মূলত নাস্তিক্যবাদ, তাদের হিংসা যদি ধর্মের চেয়ে ধর্মের মানুষ গুলোর প্রতি থাকে, তা অন্ধ ধার্মিক হোক, আর জেমনি হোক, তাদের চিন্তা আর যাই হোক মানবিক বলা যায় না।
তারা ভোগের দর্শন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। তা করুক, কিন্তু তাদের মানবতা বাদি বা নারী বাদি বললে আমার যথেষ্ট দ্বিমত থাকবেই।
অবুঝ শিশুর ভুলে তাকে উস্কে দেয়া যদি বুদ্ধিমত্তা, মুক্ত চিন্তা হয়- তবে আমি এদের নম নম করা থেকে দূরে থাকাকে বাঞ্চনিয় মনে করব। নাস্তিক মানেই যে ধর্ম বিদ্বেষী হবে সেটা যেমন ঠিক নয়, ধার্মিক হলেই ধর্মান্ধ মনে করা ও কি ঠিক?
এমন সমালোচক এর দরকার মনে হয় না কোন জাতির আছে, মানবতার বিশিষ্ট যদি মানুষের প্রাধান্য থাকে। তবে ধর্মান্ধ দের ও লাথি দিয়া বের করে দেয়া উচিত।
তসলিমারা আর ধর্মান্ধ রা একই সাথে একই পালের ই মনে হয়।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

আম্মানসুরা বলেছেন: যদি তাই হত মানে ধর্মান্ধ ও তসলিমা একি সাজা পাচ্ছে তাহলে কিছুই বলার ছিল না। তাহলে হয়ত আমরা এই তসলিমাকে পেতাম না, হয়ত অন্য তসলিমা পেতাম।

নাস্তিকরা মুলত ধর্ম পালনকারী মানুষদের থেকেও ধর্ম রক্ষাকারী মানুষদের বেশি আঘাত করে মানে মোল্লা পুরোহিতদের। এরাই ফতোয়া দেয়, এরাই সমাজের ধর্ম রক্ষার দায়িত্ব নেয় যা আল্লাহ নবিকেও দেয়নি। কোরানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- হে নবি আপনার দায়িত্ব শুধু প্রচার করা।

অবুঝ শিশু কে বুঝাতে গিয়ে বারবার আঘাত পেলে একটা সময় পাল্টা আঘাত দিতে ইচ্ছা হয়। আরজ আলি মাতব্বর, সক্রেটিস ইত্যাদি জ্ঞানী মানুষেরা চেষ্টা করে শুধু আঘাতই পেয়েছে।

মানবতা রক্ষা করতে গেলে ধর্মের গায়ে যদি আঘাত লাগে তবে সেই দোষ ধর্মের নাকি ধার্মিকের?? এই বিষয়টা এখনো ঝাপসাই রয়ে গেছে। বাবার সম্পদের উপর নারীর অধিকার, হিল্লা বিয়ে, পুরুষের চার স্ত্রী, মুতা আইন, সতীদাহ প্রথা, স্ত্রী শিক্ষা ইত্যাদি বিষয় গুলো দূর করতে প্রয়োজন হয়েছে মানবতা। আর এই বিষয় গুলোকে অস্বীকার ও করতে পারেন না।

হিংসা, অহংকার যেই করুক তা মন্দ কাজ। আর এই বিষয়ে আমিও আপনার সাথে একমত।

১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

প্রথম কথাঃ


তসলিমা নাসরিনকে দেশ থেকে বের করে দেবার কোন যুক্তি দেখি না। সাথে অন্য নাস্তিক বা কুরয়ান বিদ্ধেশ্যিকেও দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা অযৌক্তিক। আর তার উপর আমাদের দেশে ইসলামিক কান্ট্রীও না।


দ্বিতীয় কথাঃ


যারা মুসলমান, তাদের উচিৎ তসলিমা নাসরিনের মত মানুষদের যৌক্তিক ভাবে ফেইস করার ক্ষমতা থাকা, আর তা না হলে চুপ থাকা। আসলে মুসলিম সমাজ এমন ভাবে ধর্ম পালন করবে এবং সামাজিক জীবন অতিবাহিত করবে, যেন অন্যেরা এর প্রতি আকৃষ্ট হয়।


তৃতীয় কথাঃ


আপনি কেন তসলিমার কাছে অযৌক্তিক ভাবে ক্ষমা চাচ্ছেন? আপনি মুসলিম হলে বড়জোর তাকে নিশ্চুপ ভাবে টলারেট করতে পারেন, ক্ষমা চাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না, যেখানে পার্ফেক্ট মুসলিম সমাজ থাকলে আপনি চাইলে তার গলাও কাটতে পারতেন!!


চতুর্থ কথাঃ


নিম্ফোমেনিক বলে একটা টার্ম আছে, যার অর্থ হল এমন মহিলা যার যৌনতা অনেক বেশী বা বারবার যৌন কর্মে লিপ্ত হতে চায় এমন। একজন নিম্ফোমেনিক মহিলার যৌনতাকে একজন স্বভাবিক পুরুষের সমান ধরা হয়। এখন আমার প্রশ্ন হল আপনি কিভাবে সকল পুরুষের খবর জানলেন? আপনি কিভাবে জানলেন একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে দিনে দশবার ক্লাইমেক্স দিতে পারবেন না? বা আপনি কি মেডিক্যললি ব্যাপারটা প্রুভ করতে পারবেন? আর পতিতা যে ভাবে আর যেই মানষিক সেটিংয়ে দিনে ১০জন পুরুষকে নেয়, স্ত্রীকি সেই ভাবেই স্বামীকে নেয়? তাহলে আর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কি জিনিশ? আপনার এই অংশ পড়ে মনে হল আপনি সেক্স, ক্লাইমেক্স আর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পর্কে কিছুই জানেন না!!!


পঞ্চম কথাঃ


পরিবারে যদি একজন স্ত্রী থাকেন পরিবার সুখি থাকা উচিৎ। কোন পরিবারে যদি দুইজন স্ত্রী থাকেন তবে ঐ পরিবার প্রথম পরিবারেরচেয়ে বেশী সুখি থাকা উচিৎ, তৃতিয় জন যদি থাকেন আরো বেশী সুখি থাকা উচিৎ .........। এই রকম চাদের হাট না হলেও অন্তত প্রথম পরিবারের মত সুখটা কন্সটেন্ট হওয়া উচিৎ। নইলে ইসলামের দেয়া অনুমতি পয়েন্টলেস। সোনাবীজ ভাই ভুল বলেছেন, আরেকটা বিয়ে করতে স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন নাই, মোটেও। তবে সুখি পরিবারে তা আন্ডারস্ট্যন্ডিং এর মাধ্যমেই হবার কথা। এবং যে পুরুষের সমর্থ আর প্রয়োজন আছে তার স্ত্রী আপত্তি করবেন বলে মনেও হয় না।


ষষ্ঠ কথাঃ


সকল দোষ হচ্ছে, "ন্যায় না করতে পারা" আর "অন্যায় করার" মাঝে। পুরুষবাদীতা নারীবাদীতা বলে কিছুই নাই আসলে। এগুলো সব হিপোক্রেসি। কারন যারা নারীবাদি সেজে পুরুষকে গালিদেয় তারাও তায় শক্তিশালী পুরুষের সঙ্গিনী হতে। আর যারা পুরুষবাদী সেজে নারীদের গালিদেয় তাদেরো নারী ছাড়া কোন গতি নাই। দোষটা ব্যালেন্সের।



সপ্তম কথাঃ


তসলিমার ব্যাক্তিগত জীবনকে ওভার জেনারেলাইজড করাটা ঠিক না আপা। উনি বাল্যকালে তার মামা চাচার দ্বারা রেইপড হয়েছেন, বাবাকে সবসময় দেখেছেন মাকে পিটাতে, এই রকম ডিস্টার্বড ভাবে বড় হয়ে উনি সিরিয়াল কিলার হতে পারতেন, তার উপর তিনি ছিলেন ডাক্তার। মেইল ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরুষ খুন করলে, কখনই কেউ ধরতে পারতনা, বা হাজার খুনের পরে কদাচিত হয়ত কেউ সন্দহ করতেন। এক হিসাবে উনি ভালো মানুষ, উনি সিরিয়াল কিলার না হয়ে হয়েছেন প্রতিবাদী লেখক। কিন্তু উনার চেতনার স্থানে ভুল আছে। টুপিপরা কোন লোকদ্বারা ধর্ষিতা হয়ে ইসলামের আর নবীর জীবনের গয়রাহা সমালোচনা অযৌক্তিক!!!


শেষ কথাঃ


অবশ্যই প্রচন্ড ভালোবেসে বিয়ে করে, বাসর রাতেই স্বামীর সিস্মে সিফিলিসের চিহ্ন দেখলে, মস্তিষ্কের বিকৃতিটা স্বাভাবিক কিন্তু তসলিমার বুঝতে ভুল হয়েছে, যে নিগ্রহের স্বীকার উনি হয়েছেন তার দোষ ইসলামী সমাজের না বরং সুন্দর একটা ইসলামী সমাজ না থাকবার। আপনারাও একি ভুল করছেন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

আম্মানসুরা বলেছেন: বিশাল বড় কমেন্ট!!!

১ম কথা,
তসলিমার দেশ ছাড়ার মতন অযৌক্তিক ঘটনা বেশ জোড়াল ভাবেই ঘটেছে। আমরাই আন্দোলন করে ঘটিয়েছি। এই দেশ ইসলামক কান্ট্রি তো অবশ্যই। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। যদিও রাষ্ট্রের কোন নামজ রোজা করতে হয় না।

২য় কথা,
আপনার এই কথা একদম ঠিক। আমি এক্ষেত্রে সক্রেটিস এর একটা কথা খুব বেশি মানি- অপরীক্ষিত জীবন ভালো জীবন নয়। আর নিজের মতামত, চিন্তা পরীক্ষা করার সেরা পথ বিপক্ষ দলের সমালোচনা। যদি আমাদের দেশের কোন ধর্মীয় সংঘটন তসলিমাকে বিতর্কের আহ্বান করে হারিয়ে দিত তাহলে আমি ভীষণ খুশি হতাম ও গর্বিত হতাম। কিন্তু বাস্তবতা হল- আস্তিকগন নাস্তিকদের সমালোচনা ফেইস করার যোগ্যতা রাখেনা বিধায় লাঠি দিয়ে ফেইস করতে চায় যা মূর্খের মতন আচরণ।

৩য় কথা,
আমি ক্ষমা চাইছি কারন একজন মুসলিম হিসাবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। কোরানে ৪১ নং সুরার ৩৪ নং আয়াতে স্পষ্ট আদেশ আছে যে- 'ভালো ও মন্দ সমান হতে পারেনা, মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা; ফলে যে তোমার শত্রু সে বন্ধু হয়ে যাবে।' আর খাটি মুসলমান মানে আল্লহনুগত নম্র ব্যক্তি কক্ষনোই বিপক্ষ সমালোচনা কারীকে জবেহ দূরে থাক শারীরিক আক্রমণ ও করবে না কারন সুরা ফুরকানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- আলাহর বান্দাগন অজ্ঞ ব্যক্তির প্রতিউত্তরে সালাম দেন। আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়েছি কারন আমি একজন ধার্মিক হিসাবে তাকে ধর্ম ও অধর্মের পার্থক্য দেখাতে পারিনি। একজন লেখিকার সাথে টপ টেরর সন্ত্রাসির মতন আচরণ করেছি তাই ক্ষমা চেয়েছি। তাকে পুরুষেরা সেই আঘাত করেছে তার প্রতিবাদ না করে তার প্রতিবাদ বন্ধ করতে চেয়েছি। তাকে কোন ডিবেটিং এ আহ্বান করতে পারিনি বলে ক্ষমা চেয়েছি....

৪র্থ কথা,
এই বিষয়টা মুলত পুরুষবাদি সমাজের কাদা ছোড়ার প্রেক্ষিতে কাদা ছোড়া ছাড়া কিছুই নয়। তাই এই কাদা নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটা একটা নোংরা আলোচনা হয়ে যাবে। আসল উদ্দেশ্য- পুরুষ কাদা ছুড়লে নারিও পাল্টা কাদা ছুঁড়তে জানে, এটা বুঝানো।

৫ম কথা
এমন একটা পরিবার বাস্তবে দেখাতে পারবেন। একজন নারী হয়ে বুঝতে পারি কি অসম্ভব কথা বলছেন!!!! একজন পুরুষের কি কি সামর্থ্য থাকলে তাকে একাধিক স্ত্রী গ্রহণে বৈধতা দেয়া যায়???? আর স্ত্রী কেন এটা মেনে নিবে? এটা একজন স্ত্রীর জন্য চরম অপমানজনক। এই পয়েন্টে আপনি আমাকে বোকা বানিয়ে ফেললেন। এতক্ষণ আলোচনা ভালোই লাগছিল।

৬ষ্ঠ কথা
এখানে আপনার সাথে একমত। তবে ন্যায় আর অন্যায়ের মাপকাঠিতে যদি সমস্যা থাকে তাহলে তা কিভাবে মিটবে?

৭ম কথা
তার ব্যক্তিগত জীবন কি খুব বেশি অবাস্তব?? আমাদের সমাজে এমন জীবন পাওয়া নারীর সংখ্যা কি খুব কম? শিশু ধর্ষণ কি রেয়ার শব্দ? ধর্ম নিয়ে তার যেই সমালোচনা আমি পড়েছি সেখানে অবাস্তব কথা পাইনি তবে অনুচিত কথা ছিল। সেই অনুচিত কাজ গুলোর সমালোচনা যদি ধার্মিক লোকেরা করত তাহলে তা তসলিমার নগ্ন আক্রমণের স্বীকার হতে পারত না। যেমন বাবরি মসজিদ প্রসঙ্গে তসলিমার সমালোচনা......

শেষ কথা
তসলিমার এই ভুলটা কি আমরা ধরিয়ে দিয়েছি কখনো? সমস্ত ইসলামিক কাজ গুলো যদি কথায় সীমাবদ্ধ রাখেন আর কাজের সময় অকাজটাই ঘটে তাহলে সেই দোষ কার? আমার একটাই আফসোস, এমন কোন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মুসলিম মানুষ কি আমাদের সমাজে নেই, যে কিনা তসলিমাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করবে আর দেশে ফিরিয়ে এনে তসলিমার লেখার ভুল ত্রুটি গুলো নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষণী লেখা লিখবে!!!

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন:




পোষ্টের প্রথমেই "যাদের তসলিমা নামের উপর চুলকানি আছে তারা দয়া করে পোস্ট টা এভয়েড করেন" এ শীর্ষক কথা জুড়িয়ে দিয়ে আপনিও কি তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দিনের মত কোরআনের উপর কফির মগ রেখে নাস্তিকতার বিজ্ঞাপনের মত পোষ্ট হিটের বিজ্ঞাপন দিলেন না? আশাকরি পোষ্টে লেখা "জ্ঞানের যুদ্ধ হবে জ্ঞান দিয়ে" শীর্ষক লাইনটির মর্মার্থ থেকে আপনি উক্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫০

আম্মানসুরা বলেছেন: না, আমি কোন বিজ্ঞাপনের জন্য লিখি নাই। যদি কেও অসংলগ্ন কমেন্ট করে তাকে জবাব দেবার জন্য লিখেছি। যেন সহজেই বলতে পারি, আপনি কেন এই পোস্টে ঢুকলেন? আমি তো শুরুতেই বলে দিয়েছি। বুঝাতে পেরেছি জনাব?

আমি কোন প্রশ্নের জবাব খুজে পাব?? বুঝলাম না!

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রগতিশীলতা ভালো , আমরা স্বাগত জানাতে পারি ! কিন্তু নগ্ন প্রগতিশীলতা ভালো না , কট্টরপন্থী উগ্রাবাদীতা , কট্ট্ররপন্থী ধর্মান্ধতা , কট্ট্ররপন্থী নাস্তিকতার চর্চা একই জিনিস ! গোলাম আযমের সাথে তসলিমার তুলনা টা যায়না , গোলাম আযম অন্য লেভেলের অপরাধী ! তসলিমা নাসরিন বেচারী হতাশ হয়ে এলোমেলো বকে , যুক্তি আর আবেগের মাঝের ফারাক বুঝতে সে একটা পর্যায়ে ব্যার্থ হতে শুরু করেছে , যখনই সে যুক্তি দিয়ে পারছিলনা তখনই সে নগ্ন আক্রমণ করেছে , মহানবীর কার্টুন এঁকেছে , ব্যাঙ্গ করেছে কোরআনের , ধর্মের ! এতটা জ্ঞানী সে নয় ?? এতোটা স্পর্ধার অধিকার তার নেই , আপনার ও নেই !
আপনি প্রশ্ন করেছেন গোলাম আযম মানুষ খুন করেছে , তসলিমা তো করেনি ! তসলিমার হাতে ক্ষমতা থাকলে ঠিকই সে কোরআন পুড়াতো , ঠিকই সে মসজিদে আগুন দিয়ে পুরুষ খুন করতো , ক্ষমতা টা সেই ভাবেই নেই বলে তার কিছু লেখায় নগ্ন আবেগ বের হয়ে আসে যা তার যুক্তিশীল , প্রগতিশীল স্বত্বাকে খুন করেছে !
দুধের ভিতরে একফোঁটা গোবর ঢেলে দিবো , আপনি তারপরও দুধ স্বামী সন্তান সহ খেতে চাইলে খেতে পারেন !

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৮

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি জানিনা শুধু কি আমি একাই তার বই পড়েছি?? মনে হয় না। তাহলে কি আমি চোখে বেশি দেখেছি?? এটা হতে পারে। ২০০০ এর আগের তসলিমা কেন বাবরি মসজিদ প্রসঙ্গে বাঙ্গালিদের মারামারি নিয়ে লিখে খারাপ হয়েছিল? রমনা পার্কের সামনে পতিতাদের দেখে তাদের কষ্ট আর ক্ষোভ নিজে ধারন করে একটা কবিতা লিখে পুরুষদের আক্রোশে পড়েছিল? যতদুর মনে পড়ে পতিতাদের ১০, ২০ টাকায় কিনে যে আঘাত করা হয় তা বুঝাতে সেও কবিতায় বলেছিল যে, সেও কিছু পুরুষ কিনবে ১০, ২০ টাকায়। তার লেখা গোল্লাছুট কবিতার জন্য কেন তাকে জবাবদিহি করতে হয়েছিল।তার এইসব সাধারন প্রতিবাদের জন্য তাকে কি নগ্ন আক্রমণের স্বীকার হতে হয়নি? আর তাকে আক্রমণ করা হয়েছে ধর্মের কথা বলে। মুতা আইন, হিল্লা বিয়ে, পীর-মাজার ব্যবসা ইত্যাদি সমস্যা গুলো কি অবাস্তব? কিন্তু আমরা কি এইসবের প্রতিবাদ করেছি? যদি করতাম তাহলে তসলিমাকে বলতে পারতাম- এটা আমাদের ইসলাম নয় বলেই আমরা প্রতিবাদ করছি, তুমি ভুল কাজের জন্য ইসলাম কে অপরাধী করতে পার না। কিন্তু এমন একটা ঘটনা কি ঘটেছে?

আসলে আমরা সবাই যুক্তি ও আবেগের মাঝে ফারাক বুঝতে ব্যর্থ।

গোলাম আজম ও তসলিমা ধর্ম কে বিকৃত করার স্কেলের দুই প্রান্তের লোক মনে হয়েছে। একজন ধর্ম কে ব্যবহার করে অধর্ম ছড়িয়েছে আর হাত পা কাটা শিবির উপহার দিয়েছে। আর অন্যজন অনুসারির ভুলে ধর্মকে বকে জাতি উদ্ধার বা নিজের ভোগ বিলাসিতাকে বৈধ করতে চেয়েছে। তাই তারা দুজনে একি অপরাধ স্কেলের অপরাধী। তবে এক্ষেত্রে তসলিমা স্কেলের নিচে থাকবে আর গু আজম থাকবে অনেক অনেক উপরে।

ক্ষমতা পেলে কে কি করত সেই হিসাব করে কি কাওকে শাস্তি দেয়া যায়?? এটা কি হাস্যকর কথা না??


১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: তাহলে দেখা যাচ্ছে তসলিমা নাসরিনের কছে ক্ষমা চাওয়ার মত লোকও আমাদের মাঝে আছে!!! যাইহোক, আমি বিভিন্ন সময়ে তার লেখা বা সাক্ষাতকার পড়েছি। তার চিন্তা-ভাবনা, কার্যকলাপ, আচার-আচরণ তথা সবকিছু দেখে আমার মনে হয়েছে তিনি একজন Sadistic, Psycho ধরণের লেখিকা। জীবন যুদ্ধে সবকিছু হারানো একজন মানুষ যেমন সমাজের সব কিছু অস্বীকার করতে চায় তেমনি তার অবস্থা এর চেয়েও শোচনীয়।

উনি কিসের নারীবাদী? আমার ব্যক্তিগত অভিমত হাজার লম্পট পুরুষের চেয়েও তিনি এককভাবে নারীদের বেশী করে হেয় করেছেন। তিনি ক্রমাগত নারীদের অপমান করে যাচ্ছেন তার লেখা, আচরণ দিয়ে।

উপরে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। তবে আমি কান্ডারি অথর্ব ভাইয়ের সাথে পুরোপুরি একমত। আমরা জানি নাস্তিক মানেই ধর্ম-কর্ম থেকে শতমাইল দূরে তাদের অবস্থান। কিন্তু আমাদের দেশীয় নাস্তিকরা আবার ধর্মকে বড়ই ভালবাসেন??? এদের সমস্ত (অপ)কর্ম (ইসলাম) ধর্ম নিয়ে। কারণে অকারণে তারা ধর্ম নিয়ে পড়ে আছেন। মুখে যা আসছে তাই বলে যাচ্ছেন সমানে। বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে তারা দিনের পর দিন নোংরামীর এক নস্ট প্রতিযোগীতার নেমেছেন। এই জাতীয় কিছু কুলাংগারের মূল উদ্দেশ্য থাকে অন্য। এরা সজ্ঞানে এমনটি করেন। এইসব কুলাঙ্গারদের বলি, আপনারা যদি সমাজ তথা দেশের ভাল কিছু করতে চান তবে পথ চেঞ্জ করেন। এই পথ নস্টদের।

আপনি আমা্দের প্রিয় রাসুল সাঃ এর নানা গুণের কথা বলেছেন। খুব ভাল কথা। কিন্তু আপনি এটাও পড়ে দেখবেন সম্মানিত সাহাবীগণ (রাঃ) নবীজীর (সাঃ) সম্মান রক্ষা করতে কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতেন। এর মানে এই নয় যে, আমি হামলাকারীদের কাজকে সমর্থন করছি। কথা হলো, আপনি নবীজীকে কতুটুকু ভালবাসেন তা নিয়ে। একটা উদাহরণ দেই। ধরুন, আপনার মুখের উপর আপনার শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতাকে উদ্দেশ্য করে কেউ জঘন্য ভাষায় গালি দিল। আপনি প্রথমবার তাকে নিজগুণে ক্ষমা করে দিলেও দিতে পারেন। কিন্তু সে আবার একইভাবে গালি দিলে এবারও যদি আপনি ক্ষমা করেন তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার ব্যাপক সমস্যা আছে। পুরো ব্যাপারটি যদি এইভাবে চিন্তা করেন তাহলে সব ক্লিয়ার হবে। কেননা আমাদের ধর্মে নিজের পিতা-মাতা এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও রাসুল (সাঃ) কে ভালবাসার কথা বলা আছে।

আপনি বারে বারে বলেছেন, কে বেশি অপরাধী? তসলিমা নাকি গু আজম?। আপনাকে আমার প্রশ্ন- হু ইজ গু আজম? আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশের সকল মুসলিম গু আজমের ইসলাম পালন করে? এটা অন্য ইস্যু। তসলিমা নাসরিনের কার্যকলাপ অন্যকিছু দিয়ে ঢাকবার চেস্টা না করাই ভাল।

পরিশেষে আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। আপা আপনি বলুন তো, তসলিমা নাসরিন আসলে কি চান? আমার এই প্রশ্নটার উত্তর চাই-ই চাই।
(কোন কথায় কস্ট পেলে আগেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি)।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩১

আম্মানসুরা বলেছেন: গালিবাজ ও সমালোচকের পার্থক্য কি? দুটো কি একি?

আমার পিতা মাতার কাজের কেও সমালোচনা করলে আমার দুটো পথ খোলা থাকবে- ১) তার সমালোচনার উপযুক্ত তথ্য ভিত্তিক জবাব দেবার মাধ্যমে তার ভুল প্রমান করে দেয়া। বা, ২) সত্য সমালোচনা হলে তা স্বীকার করে নেয়া।

এখন কেও যদি অকারনে আমার বাবা মা কে গালি দেয় তাহলে তাকে অপরাধী বা পাগল বলে সনাক্ত করা যায়।

এখন কথা হচ্ছে তসলিমা কি তার বই তে প্রসঙ্গহীন ভাবে গালাগাল করে গেছে??? নাকি প্রসঙ্গ সহকারে সমালোচনা ও আক্রমণ করেছে???

তসলিমা নাসরিনের একটা কথা আমার বেশ লেগেছে- কেও যদি ধর্ম পালন না করে তাহলে সমাজ তাকে কিছুই বলে না শুধু মুখে মিথ্যা স্বীকার থাকলেই হয়। তিনি এই মুখোশ দূর করতে চেয়েছে।

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমি কি বললুম আর আপনি কী বুঝলেন!

তসলিমা আর গু আজম দুটো নাম লিখতে গিয়ে পার্থক্যটা সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। গু আজম মানবতার হত্যাকারী। রাষ্ট্রীয় ভাবে অপরাধী বলেই তার বিচার হয়। সে তুলনায় তসলিমাকে রাষ্ট্র আদালতে নিলেও তাকে কয়েদী হিসেবে কোনো নাম্বার বা কারাবাসও দেয়নি।

তসলিমা বোরখা নিয়েও লিখেছেন- ক্লাসের সবচেয়ে ডাকাবুকো মুখ-খারাপ মেয়ে কিনা বোরখা পরে। আর আমরা যারা কোনও গালি জানি না, আমরা যারা সরল সোজা ভালোমানুষ, তারা কোনওদিন বোরখার কথা কল্পনাও করতে জানতাম না।

তিনি আরো বলেছেন- দু'একজন যারা পরতে বাধ্য হতো, তারা লজ্জায় রাস্তাঘাটে মাটির সঙ্গে মিশে থাকতো।

অথচ বিয়ের সময় স্ত্রীকে বোরখা কিনে দেইনি বলে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে কটু কথা শোনালেও বলেছিলাম, আমি আমার বউকে বোরখা পরাবো না। কোনোদিন কেনেও দেবো না। সেই বউ পরে নিজে বোরখা বানিয়ে পরেছে, তখন বাধা দেই নাই। যদিও ইসলামে বোরখা পরবার কোনো বাধ্য বাধকতা নাই এমন কি বোরখা পরবার কথাও বলা হয়নি। বলা হয়েছে পর্দার কথা। বোরখা না পরেও মেয়েরা পর্দা পালন করেন। আমার ক্লাসে রাস্তাঘাটে তথা-কথিত পর্দাহীন নারী (বোরখা পরে নাই। মাথায় ঘোমটা টুপি হিজাব পরে নাই।) কিন্তু তাদের অনেকেই শরীরের যতটা ঢেকেছেন আমি মনে করি তা যথেষ্ট। কোমর আর ব্লাউজের প্রান্তের এক চিলতে ফাঁকাও নেই। যিনি সত্যিকার অর্থেই মন থেকে পর্দা করবেন তার বোরখা না পরলেই কী! অনেক মেয়েই স্বেচ্ছায় বোরখা পরেন, তা নিয়ে তসলিমা উপহাস করেছেন, এটা অন্যায়। মেয়েরা যদি অন্যায় না বলেন বা মেনে নেন তা একান্তই মেয়েদের বিষয়। আমিও অভিযোগ করবো না।

তিনি আরো বলেন- পুরুষেরা কী করে তাদের নিজেদের ধর্ষক পরিচয়টিকে টিকিয়ে রাখতে চায় মেয়েদের বোরখা পরার বিধানটি জারি রেখে! নিজেদের আত্মসম্মানবোধ বলে কিছুই কি নেই পুরুষের? তারা কেন এখনও বলছে না, ‘আমরা মেয়ে দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বো না, আমরা আমাদের যৌনইচ্ছেকে সংযত করতে জানি, আমরা বর্বর নই, আমরা অসভ্য অসংযত ধর্ষক নই। আমরা শিক্ষিত, সভ্য। মেয়েরাও আমাদের মতো মানুষ। মেয়েদেরও তো যৌনইচ্ছে আছে, সে কারণে আমাদের তো বোরখা পরতে হয় না। যদি মেয়েরা তাদের যৌনইচ্ছেকে সংযত করতে জানে, আমরা জানবো না কেন? আমরা জানি মেয়েদের সম্মান করতে। আমাদের দোহাই দিয়ে মেয়েদের বোরখার কারাগারে ঢুকিয়ে অত্যাচার করা আর চলবে না’।

-এখানে আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই- পুরুষেরা কী করে তাদের নিজেদের ধর্ষক পরিচয়টিকে টিকিয়ে রাখতে চায় মেয়েদের বোরখা পরার বিধানটি জারি রেখে!

-এ কথা কি সব পুরুষদের আক্রমণ নয়? পুরুষ মানেই ধর্ষক আর নারী মানেই ধর্ষিতা। আম্মানসুরা বইঞ্জান আপনার কী মনে হয় না যে, তসলিমার চোখে আপনিও তাই? যদি সত্যিই নিজেকে ধর্ষিতা মনে করেন, এক্ষেত্রে অভিযোগ করবো না। নয়তো আপনি একজন ভুল মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে ছোট করলেন।

নারী-পুরুষের গঠন প্রকৃতিই নির্ধারণ করে দিয়েছে। প্রকৃতিকে তো আমি বলতে পারি না যে, তোমার নির্মাণে ত্রুটি আছে। আমার বক্ষ সৌন্দর্য নারীর মতো করা উচিত ছিল?

আমি তসলিমার একাধিক স্বামী রাখার আবদারকে মানতে চাই নাই আগে, কারণ আমাদের দেশে তখন ডিএনএ পরীক্ষার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন তসলিমা যদি ১০জন স্বামী রাখতে চান, তাহলে আমার পক্ষ থেকে আগাম শুভেচ্ছা থাকবে। আমাদের দেশে সংসদে তা বিল হিসেবেও উত্থাপন করা যেতে পারে। কেননা আগে একাধিক পুরুষের স্ত্রী নির্দিষ্ট করতে অক্ষম ছিলেন কোন সন্তানটি কার। এখন সে সমস্যা নাই। যেহেতু ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সন্তানের পরিচয় আলাদা করা সম্ভব, কাজেই এক নারীর একাধিক স্বামী এবং কয়েকজন পুরুষ মিলে একজন নারীকে বিয়ে করতে পারবেন এই মর্মে একটি আইন থাকা দরকার। নয়তো নির্বোধ সমাজ তসলিমার মতো সেই ভার্সেটাইল কাপলদের বিতাড়নের সুযোগ পেয়ে যেতে পারে।

তসলিমা খুন না করলেও বিকৃতি ছড়াচ্ছেন। তিনি যাই করেন বুঝে শুনেই করেন। আলোচনায় থাকাটা হচ্ছে তার প্রিয়তম বিষয়। পুরুষ সবই খারাপ, ধর্ষক। নষ্টা আর বদ মেয়েরা বোরখা পরে, পর্দা করে। এসব কথা সমাজের ভারসাম্য নষ্ট করবে না বলতে চান? ধর্মব্যসায়ীদের মুখোশ খুলতে আমরাও চাই, এ বিষয়ে তার সঙ্গে দ্বিমতও খুব একটা পোষণ করি না। কিন্তু ঢালাওভাবে যখন কথা বলেন, তখন তার ছোঁড়া ঢিলের বদলে তার দিকে পাটকেল তো ছুঁড়তেই পারি।

যাই হোক বিষয় হচ্ছে তসলিমা মুসলিম বিদ্বেষী তা ভুল নয়। তাকে যে অন্য ধর্মের পুরোহিতদের নিয়েও কথা বলতে হবে তাও বলছি না। দেশের মেয়ে হিসেবে তার জন্মভূমিতে ফিরে আসবার অধিকার আছে। সে ফিরে আসুক আমিও চাই। সে আবার কবিতায় ঝড় তুলুক। প্রিয় কবি হিসেবে তাকে আবার মুখরিত দেখতেও চাই।

তা ছাড়া প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ভাব বজায় না রাখতে পারলে নিজের ঘর থেকেই সে গলার জোরে অন্যদের ঘায়েল করতে চেষ্টা করুক, তবে তা রয়ে সয়ে করলেই মনে হয় ভালো করবেন।


১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

আম্মানসুরা বলেছেন: গু আজমের কথা এনেছি কারন সেও ধর্মকে পুজি করে অধর্ম ছড়িয়েছে। দুজনেই ধর্মের মাঠের যোদ্ধা। দুজনেই অধার্মিক। দুজনেই ধর্মের কারনে পরিচিত ও নিন্দিত বা নন্দিত। গু আজমের থেকে রগ কাটা শিবির পেয়েছি যাকে শয়তানের দল বলা যায়। আর তসলিমার কাছে পেয়েছি ভোগ-বিলাসিতা বৈধ করার জন্য ধর্মহীনতা। এই পয়েন্টে দুজনেই কি এক স্কেলের অপরাধী নয়??? স্কেলে কার পয়েন্ট বেশি তাই হল মুল বিষয়।

এবার আসি বোরখা প্রসঙ্গে- তিনি বোরখা প্রসঙ্গে পুরুষদের যেই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তা কি অসত্য??? দিল্লির মেয়েটার রেপের ঘটনা মনে আছে দাদা? সেই মেয়ের রেপ হবার পেছনে কি তার পোশাক এর বিষয় কি আসে নাই?? আজো মেয়েদের রেপের কারন হিসাবে কি পোশাকের কথা আসে না? তারমানে একজন মেয়ে চাইলেই তার পোশাক দ্বারা যেকন ইমানদারের ঈমান ভেঙ্গে দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে রিমোর্ট মেয়ের পোশাক!! তেতুল শফির কথা কি ভুলে গেছেন??? এইসব ঘটনা কি তসলিমার কথা কে সত্য প্রমান করে না??? একজন মানুষ যখন একচেটিয়া ভাবে প্রথা বিরোধী কথা বলে আয় তখন তাতে কিছু অপ্রয়োজনীয় তীব্রতা চলে আসে। তসলিমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি বাড়াবাড়ি কথা বলেছেন তবে তা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে। আমার কথা এই নোংরা পাল্লা দেবার বিষয়টা কেন এল?? আর যদি এসেই থাকে তাহলে পুরুষেরা তখন তাদের ভুল আচরণ স্বীকার করে নিলেই তসলিমার পাল্লা দেয়া কথা বন্ধ হয়ে যেত। স্বীকার করলেই হত যে আসলেই আমরা একটু লুচ্চা :P :P ;) B-))


একাধিক যৌন সঙ্গী রাখা কোন মহত বিষয় না বরং নোংরা বিষয়। তা নারী বা পুরুষ যেই করুক। কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে যখন পতিতা আর পুরুষের ক্ষেত্রে হালাল হয় তখন আবারো নোংরা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমি এই নোংরা প্রতিযোগিতা কে ঘৃণা করি।

তসলিমার কাছে ক্ষমা চেয়েছি কারন তার চেয়ে অনেক অনেক বড় বড় অপরাধী যেই সমাজে নির্বিঘ্নে বাস করে তখন সেই অপরাধীদের জন্য আমাদের ধর্ম নষ্ট হয় না কিন্তু তার লেখায় ধর্ম নষ্ট হয় তাই। আমার ধর্ম তসলিমার কলমের নিচে থাকে না তাই তার লেখায় নষ্ট হয় না। বরং তার সমালোচনা আমাকে আমার মতামত পরীক্ষা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।

প্রতিবেশীর সাথে সদ্ভাব বজায় রাখার কথা বলছেন??? অথচ ব্লগার মানেই নাস্তিক বলে মনে করা প্রতিবেশীদের কে নিয়ে কিছুদিন আগে আপ্নারাই রাগ, ক্ষোভ দেখিয়েছেন। তা ভুলে গেলে চলবে কিভাবে দাদা ;) B-))

২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪

আমিজমিদার বলেছেন: তসলিমা নাসরিন অনেক ভুগেছেন এটা সত্যি, তাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া কোন কাজের কাজ হয় নাই এটাও সত্যি, কিন্তু এই দুইটা ফ্যাক্ট তার সকল কাজকে জাস্টিফাই করে দিবে এইটা মানতে পারলাম না।

বেগম রোকেয়ার লেখা পড়ছেন তো অবশ্যই। উনি কি কোথাও যুক্তি ছাড়া কথা বলছেন? যুক্তি না দিয়া তার প্রবন্ধগুলা এক পা-ও আইগায় নাই। আর তসলিমা? নির্দিষ্ট একটা ধর্ম (পড়ুন ইসলাম) এবং নির্দিষ্ট একটা জেন্ডার (পড়ুন পুরুষ) নিয়ে উনার যতটা প্রতিবাদ-ব্যঙ্গ-হাসিতামাশা, কোনোদিন দেখলাম না নারির অধিকার নিয়া ততটা সামনে আগায়া আসতে। উনি উদ্বুদ্ধ করার জন্য লেখেন নাই, আশাবাদ জাগানোর জন্য লেখেন নাই, নারিজাতির অবস্থা উন্নয়নে তার লেখা সক্রিয় না- খোঁচা দেবার জন্য, সস্তা খ্যাতির জন্য, লাইমলাইটে থাকতে তিনি তুমুল উৎসাহি। সুতরাং রোকেয়া আর উনি দুজনে দুই নৌকার মাঝি।

অতি পুরুষবাদিতা থেকে অতি নারীবাদিতার জন্ম হয়। অতি উগ্রবাদি ধর্মান্ধতা থেকে অতি উগ্র নাস্তিকতার জন্ম হয়।


আচ্ছা ঠিক আছে। ধরেন আমার বাপ মা-রে একদিন এক মাদ্রাসার হুজুর এসে চাপাতি দিয়া দুই কোপে কল্লা নামায়া ফেলল। আমি বিশাল মানসিক আঘাত পাইলাম, এবং তার ফলাফল হিসেবে বড় হইয়া চাপাতি-সাইকো হয়া গেলাম; আমি হাতে চাপাতি নিয়া গভীর রাইতে মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় রেইড দেই আর ঘুমন্ত হুজুরগণের কল্লা নামায়া দেই, এবং মাদ্রাসার বইগুলার উপরে পেচ্ছাব কৈরা আসি।

এখন আপনি কি সাজেস্ট করতেসেন যে আমার এই কাজ জাস্টিফাইড?

তসলিমা নাসরিনের ক্ষেত্রে আপনি যে লজিক ইউজ কৈরা পোস্ট দিলেন, সেটা কিন্তু তাইই বলে।

ভাইবা দেখেন আপা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৪

আম্মানসুরা বলেছেন: ভেবেছিলাম সরকারি চাকরি না পেলে কোন কলেজে শিক্ষক হব, কিন্তু মনে হচ্ছে শিক্ষকতা পেশা আমার জন্য না। আমি কাওকেই আমার ভিউ বুঝাতে পারি নাই। মনে হয় আমি খুব খারাপ শিক্ষক হব।

আজ আপনার পরিবারে দোষী ব্যক্তির দোষের কথা যে বলল এবং বলতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করল তখন তাকে এই বাড়াবাড়ির জন্য কঠিন শাস্তি দিলেন অথচ দোষীদের অপরাধ চুপচাপ সহ্য করলেন তখন কি আপনার মনে কোন অপরাধবোধ আসবে না??? একবারও কি মনে হবেনা-ইস আমি যদি ঐ দোষ গুলোর প্রতিবাদ ও প্রতিকার করতাম তাহলে তো এই অবস্থা হত না!!!

আপনি যেভাবে হত্যা দিয়ে উদাহরণ দিলেন তা উপযুক্ত নয় কারন তসলিমার ক্ষেত্রে ধর্মের অযুহাত এনে আক্রমণ কে বৈধ করা হয়েছে তাই তিনি ধর্মকেই তার অত্যাচারের জন্য দায়ি করেন। ধরেন আপনার পিতা রাগের মাথায় আপনার মাকে মৌখিক ভাবে তালাক দিল তাই সমাজ আপনার মা কে হিল্লা দিয়ে আপনার পিতার কাছে পাঠাল তাহলে আপনি কিন্তু সারাজীবন এই হিল্লাকে আর ঐ ধর্মান্ধদের ঘৃণা করবেন। তাই না!!!

এবার বলেন আমার লজিক কি ভুল?

২১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: আপনি Psycho। দয়া করে বনবাসে যান

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

আম্মানসুরা বলেছেন: আপনার মুল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। কোন বনে যাব যদি নামটা বলতেন

২২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৭

না পারভীন বলেছেন: অল্প বিদ্যা সবসময় ভয়ংকরী। নাবীজীর জীবন শুধু মাত্র ক্ষমা, প্রেম আর দয়ার নয়। নবীজীর একজন আপন চাচা ছিলেন আবু লাহাব। তাকে নিয়ে ভয়াবহ শাস্তির কথা বলা আছে। নবীজী নিজে আবুলাহাবের ছেলেকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। বড় করুন সে ইতিহাস। আবু লাহাবের বউ উম্মে জামিল এর স্বভাবের সাথে তসলিমার স্বভাবের মিল আছে। সব সময় হাসি ঠাট্টা আর ধিক্কার দিত। ইসলাম কিন্তু তাকে দয়া করেনি। সে ও কাঁটা বিছাত নবীর পথে। আর আমরা কাঁটা বিছানো বুড়ির গল্পটিই জানি শুধু। আমাদের বিদ্যার দৌড়ের হীনতার কারনেই আমরা সুবিধা বাদী লাজুক আর উদার।

আপনি ইচ্ছা আমার করলে সেই পোস্ট পড়তে পারেন ৫ মের পোস্ট। অনেক বড়।
গু আযম কি গোলাম আযম?
দুইজন দুই ধরনের অপরাধী।
কারো সাথে কারো তুলনা চলেনা।


যাই হোক, আসলে আমি আপনাকে কিছু বুঝাতে আসিনি, কোন ভাবেই ভুল বুঝবেন না। ভালো থাকুন। আপনার লেখা ভাল পাই :)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

আম্মানসুরা বলেছেন: ভুল ভাল অনেক কিছু জানার থেকে সঠিক অল্প জানা অনেক অনেক বেশি ভালো মনে হয় আমার কাছে। এবার আসি লাহাব সুরা প্রসঙ্গে। এই সুরাটি মক্কী, তারমানে প্রথমদিকের সুরা। আল্লাহ কোরানে বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করেছেন যে- আল্লাহ যাহা বলেন 'হও' আর তখনি তাহা হইয়া যায়, যারা নবীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে বা অস্বীকার করে তারা নিজেদের প্রতিই জুলুম করে। যে যেই ভাল কাজ করে তা তার নিজের ইত্যাদি ইত্যাদি, আপনি চাইলে বিস্তারিত রেফারেন্স সহ বলব। কিন্তু মুল কথা হচ্ছে নবীর জীবনের বড় শত্রু আবু জেহেল কে নিয়ে আল্লাহ কিছু লেখেন নাই কিন্তু লাহাব কে নিয়ে কেন?? তাও নবীর চাচার আসল নাম দিয়ে নয়, ডাক নাম দিয়ে!! আল্লাহ তো চাইলেই লাহাব কে ধ্বংস করতে পারতেন আর তা উদাহরণ হিসাবে সুরায় উল্লেখ করতে পারতেন কিন্তু তা না করে কেন ধ্বংস কামনা করে সূরা অবতীর্ণ করবেন। আর আবু লাহাবের মৃত্যু হয়েছিল মহামারিতে ভুগে, আর তার হাত দুটো নিয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন। তাহলে কি আল্লাহ যা কামনা করেছেন তা ঘটেনি নাকি ঘটাতে পারেননি নাকি আমাদের বুঝায় ভুল?? এখন আসি এই সুরার বিষয়ে আরেক্তু বিস্তারিত আলোচনায়-

আরবি উচ্চারণ
১১১.১। তাব্বাত্ ইয়াদা য় আবী লাহাবিঁও অতাব্।

বাংলা অনুবাদ
১১১.১ ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দু হাত এবং সে নিজেও ধ্বংস হোক।

১১১.৩। সাইয়াছ্লা- না-রন্ যা-তা লাহাবিঁও।

বাংলা অনুবাদ
১১১.৩ অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান আগুনে।



১নং আয়াতে লাহাব শব্দের অর্থ করা হয়েছে লাহাব আর ৩নং আয়াতে লাহাব শব্দের অর্থ করা হয়েছে আগুন। কিন্তু কেন??

সূরা যুমারের ৩৩ নং আয়াতে আছে- 'যারা সত্য এনেছে আর সত্যকে সত্য বলে মেনেছে তারাই মুত্তাকী।'

একটা বিষয় ভেবে দেখেন আপু- এত এত নাস্তিক আর তাদের সমালোচনা কেন হচ্ছে? সবাই কি খারাপ? তসলিমা নাসরিন কেন তৈরি হচ্ছে? তার সব সমালোচনাই কি মিথ্যা?? তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে কেন আমাদের ধর্ম চলে যাবে? আমাদের ধর্ম কি তাদের কলমের নিচে থাকে নাকি? আমার মনে হয় সব কিছু নিরপেক্ষ ভাবে গোঁড়া থেকে ভাবলেই অনেক কিছু বুঝা যায়। নিজের ভুল শুধরে নেয়াতে লজ্জা পাইনা, বরং গর্বিত হই।

২৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গোলাম আযম আর তথাকথিত ধর্ম ব্যাবসায়ীদের আচরণেই যদি ম্যাডামের নবীজীর উপরে আক্রোশ জন্মায় তাহলে ব্যাপারটা চরম পর্যায়ের দুঃখজনক হবে , এটাই যদি যুক্তি হয় তাহলে ধরে নিতেই পারি ধর্ম অনুরাগী হতে হলে গোলাম আযমের অনুসারী হতে হবে ?
কি ভয়ংকর !!
তসলিমা নাসরিনকে কেউ বুঝাবে ? সে কি অবুঝ ? স্পর্শকাতর ইস্যু গুলো নিয়ে লেখার আগে এই বয়সী পরিণত কোন লেখকের পর্যাপ্ত পড়াশোনা করা আবশ্যক , উনি এসব লিখেছেন কেননা উনি মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্থ , চরম পর্যায়ের হতাশায় আক্রান্ত হয়ে আবোল তাবোল বলে বেড়ানো একজন ! ধর্মকে যারা ব্যাবহার করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ টা হওয়া উচিত ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা দিয়েই , ধর্মকে অবমাননা করে নয় , নিজের স্বল্প জ্ঞান, সীমিত দৃষ্টিভঙ্গি আর আবেগ দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করে নয় !
সামাজিক অবস্থান , অর্থনৈতিক অবস্থান , আর আমাদের দীর্ঘদিনে গড়ে উঠা সামাজিক কাঠামোর নানা নিয়ম কানুনের পেছনেও অনেক কারণ আছে , সষ্টিকর্তা শখ করে আলাদা করে নারী আর পুরুষ বানান নি , অবশ্যই কারণ আছে ! উনি হতাশায় আক্রান্ত হয়ে , কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর কছে ছ্যাকা খেয়ে যা তা বলে বেড়াবেন আর তা মেনে নেয়া যায়না !
যান বুঝালাম , এই কমেন্ট দেখে তিনি নিশ্চিত বলবেন কোথাকার কোন অভি আসছে আমারে বুঝাতে ! উনি সম্পূর্ণ মানসিক বিকার গ্রস্থ অবস্থায় ভুল পথে নিমজ্জিত , নারী স্বাধীনতার পক্ষে লিখেছেন বলেই ওনার নারীর যোনির স্বাধীনতার দাবী যৌক্তিক হয়ে যাবেনা , এই নিয়ম গুলো ধর্মে , সমাজ কাঠামোতে এমনি এমনি আসেনি !

নারী অধিকার , প্রগতিশীল আন্দোলন করার জন্য ্লেখিকা , ধর্ম ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আরো আছে হোয়াই দিস বুলশিট ?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০১

আম্মানসুরা বলেছেন: ধর্ম ব্যবসায়ীরা কার নাম ব্যবহার করে ব্যবসা করে?? এখন আমরা অনেকে হয়ত ব্যবসায়ীদের বলা কথা গুলো মিথ্যা মনে করি কিন্তু যদি সত্য মনে করি তাহলে কিন্তু নবীর উপর আক্রোশ আসাটা ভুল নয়? যেমন- নবীর একাধিক বিয়ের অজুহাত দেখিয়ে পুরুষের একাধিক স্ত্রী গ্রহণ কে কি আপনি অবৈধ মনে করেন? কোন মুসলিম স্কলার তো বলে না যে, নবি যুদ্ধ পরবর্তী সমাজে এতিম নারীদের সুসংস্থান করতে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করেছেন আর তা বলেছেন। তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় বয়স্ক খাদিজাকে নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন। এই কথার প্রচলন কি আমাদের সমাজে আছে? যদি থাকত তাহলে এই তসলিমা তৈরি হত না। নবিকে যার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের লালসা কায়েম করে তারাই ধর্ম নষ্ট করে আর তসলিমার আঘাতে আমার মতন নাদানেরা আবার গোঁড়া থেকে সবকিছু ভেবে তুলনামূলক সত্য গ্রহণ করতে পারে। তাই আমি সমালোচনাকে ভয় পাই না।

এখন প্রশ্ন হল ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা দেবার দায়িত্ব কার? আমাদের সমাজে কারা ধমের বাহক? আপনি যদি হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধে সমালোচনা করতে চান তাহলে হিন্দুদের জীবন পদ্ধতি আর তাদের ঠাকুর দের আচরণ দেখেই করবেন অথচ একবারও গিতা পড়ে দেখবেন না যে সেখানে- 'একমেবা দ্বিতীয়ম' মানে, লা ইলাহা ইল্লালাহ বা, একজন উপাস্য ভিন্ন আর কেহ নাই কথাটি রয়েছে। কিন্তু আমরা নিশ্চয়ই তা না জেনেই হিন্দুদের মূর্তি পুজা নিয়ে কথা বলি। সুতরাং তসলিমাকে আলাদা করে দোষ দেয়া যায় না। আপনি নিজেও কি তসলিমার বই পড়ে তাকে সমালোচনা করছেন?? মনে হয় না।

আপনি একটা প্রশ্ন করেছেন যে, গোবর মিশ্রিত দুধ আমি খাব কি না?
- তেতুল শফির মস্তিষ্ক নির্গত উৎকৃষ্ট বিশুদ্ধ গোবর যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রধান খাবার সেই দেশে গোবর মিশ্রিত দুধ সুখাদ্য হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত :P

২৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

আম্মানসুরা বলেছেন: বিশাল বিশাল কমেন্টের বিশাল বিশাল রিপ্লাই দিয়ে আমি ক্লান্ত |-) । বাকি গুলোর উত্তর আগামীকাল দিব ইনশাল্লাহ

২৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পুরো মন্তব্যের জবাব টা যুতসই পেলাম না !
তাই এই অংশে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

দুধের ভিতরে একফোঁটা গোবর ঢেলে দিবো , আপনি তারপরও দুধ স্বামী সন্তান সহ খেতে চাইলে খেতে পারেন !
পারবেন ?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

আম্মানসুরা বলেছেন: উত্তর আগের কমেন্টেই দিয়েছি

২৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
১) আপা বাংলাদেশ ইসলামিক কানট্রি না। (গনপ্রজাতন্ত্রী)


২)


৩) ইসলামিক স্টেটে মুরতাদের শাস্তি হল, হত্যা। (শুনতে খারাপ লাগলে কিছু করার নাই), যেহেতু আমরা সেকুলার গণতান্ত্রিক দেশ তাই অবশ্যই ভিন্ন মতের সাথে আলোচনাই হতে হবে। এর বাইরে কিছু না। তাকে দেশ থেকে বের করে দেয়া অপ্রয়োজনীয়।



৪) ঠিক আছে, এই বিষয়ে কাদা ছুড়া ছুড়ি একেবারেই অপ্রয়োজনীয়।



৫) আপা বাহু বিবাহ নিয়ে আমরা গত ৫০ বছর ধরে পশ্চীমাদের শেখানো ভ্রান্তিতে আছি। উনারা ছোট কাল থেকে শুরু করে, বৃদ্ধ অবস্থা পর্যন্ত সমর্থ আর সামর্থ থাকলেই মজা লুটছে বিবাহিত হোক আর অবিবাহিত। স্ত্রীরাও মেনে নিচ্ছে জেনে বুঝে। কারন ঐদেশে বিয়ে আর ডিভোর্স দুইটাই খুব কঠিন। আর আমাদের দেশে এই মিথ্যা হিপক্রেসি হয়ত ৫০ বছর। আমাদের দাদার যুগেও একাধিক স্ত্রী নিয়ে গড়ে উঠা পরিবার গুলো সুখি ছিল। আপনি যে অপমানের কথা বলছেন তা এই যুগের মাইন্ড সেটের ব্যাপার। এর মানে এই না যে সকল পুরুষকে একাধিক বিয়ে করতেই হবে। শুধু যারা শারিরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে সক্ষম এবং ন্যায় বিচার করতে পারবেন তারাই একাধিক বিয়ের যোগ্য। এই নিয়ে বিশাল আলোচনা করা যায়। কিন্তু আসলে নিউট্রাল ভাবে আর সাইন্টিফিক ভাবে চিন্তা করুন। তবে না বুঝতে চাইলে, বোঝানো যাবে না। আর আমার মনে হয় না সব মেয়ে ব্যাপারটাকে অপমান জনক মনে করবে।

৬)


৭) আপা তার লাইফ যতটুকু জেনেছি তারই লেখায়, তা অন্য আর হাজারে ১টা মেয়ের ক্ষেত্রেও মিলবে কিনা সন্দেহ। তবে হা, রেপতো আছে, রেপের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার পক্ষে আমি, এতে কিছু কিউর হবে নিশ্চই। আর অবশ্যই পেডোফিলিকদের থেকে বাচ্চাদের সাবধানে রাখতে হবে। এর সবকিছুর সমাধান ইসলামী জীবন। তসলিমার ভ্রান্ত সব মতবাদ নয়।



তসলিমার কথার প্রতিবাদের দরকার ছিলনা। উনি ব্যাক্তি গত ভাবে কতটা সত্যি বলেছেন এটাও বিবেচনার বিষয়। উনি অনেক সময় এমন ভাবে বলেছেন, মনে হয়েছে, উনি কারো পোশ্য। আর গল্প গুলো ফেঁদেছেন কোমল মতি মেয়েদের সিম্পেথি অর্জন করে এন্টি ইসলামিক চিন্তায় গড়ে তুলবার জন্য। আমার বিশ্বস মায়ের চেতনা পরিবর্তিন করতে পারলে সন্তান আর জাতির চিন্তা পরিবর্তন করা সম্ভব, কেউ তাকে দিয়ে এই চেষ্টাই করিয়েছেন। উনাকে কিছু করার ছিল না, শুধু তাকে নিয়ে হৈচৈ না করলেই হত, আমার মনে হয় তাহলে তাকে বাংলাদেশের ০.৫% শিক্ষিত মানুষো চিনতো না, আর ০.০০০০০০৫% শিক্ষিত মানুষো গ্রহণ করত না। আর আপনি যে ব্যাক্তিত্ত বান ধর্মিক পুরুষের খোঁজে আছেন, তা এক মাত্র আপনার সন্তানই হতে পারে অন্য কেউ হবে বলে মনে করি না।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

আম্মানসুরা বলেছেন: ১) আপনি যা বললেন তা সত্য আবার আমি যা বলেছি তাও সত্য তাহলে এই দুই সত্য কে রক্ষা করা ৩য় সত্য কি হবে? সংকর জাতি!!! যখন যা ব্যবহার করা প্রয়োজন তাই ব্যবহার করি

৩) ইসলামিক স্টেট বললে কিন্তু ধরা খাবেন। এখানেই আমাদের সমস্যা। আমরা কি অনুসারীদের ভুলে ভরা আচরণ গ্রহণ করব নাকি ইসলামের আদেশ মেনে চলব?

৫) ৫০ বছর আগে নারী অধিকার কেমন ছিল? নারীদের জীবন কতখানি উন্নত ছিল? অসহায় মানুষ অনেক কিছুই মেনে নেয়। আমি একটা বাস্তব ঘটনা বলি- আমাদের বাড়ির ফোরথ ফ্লোরে এক দম্পতি থাকে, স্ত্রীর বয়স ৪৫ আর স্বামীর বয়স ৬৫ হবে। স্বামী শারীরিক ভাবে ভীষণ অসুস্থ ও ভগ্ন স্বাস্থ্য অধিকারী। অন্যদিকে স্ত্রী একটু অন্যরকম। ঐ আনটি কে অনেক আগে থেকেই পরকীয়া করতে দেখেছি আর তা ওপেন সিক্রেট। তার স্বামীও কিছু বলেনা। বরং স্ত্রীর প্রেমিক আসলে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এর কারন একটাই- পুরুষটি এই বয়সে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করার সামর্থ্য রাখেনা। স্বামীর এই অক্ষমতা কে আপনি সহনশীল বা সুখী পরিবার ভাবতে পারেন না। একজন পুরুষ হয়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন তিনি কতটা মনকষ্টে ভুগেন। আর যদি একাধিক স্ত্রী রাখার কথা বলতে চান তাহলে ঐ মহিলা কেও একাধিক স্বামী রাখার বৈধতা দিতে হয়, যে সব পুরুষ বন্ধ্যা তাদের স্ত্রীদের ও একাধিক স্বামী গ্রহণের বৈধতা দিতে হয়। তাহলে আপনাদের পকেটের উপর চাপ কমবে

৭) ইসলামি জীবন বলতে কি বুঝাচ্ছেন? ১৮ সম্পর্কের বাহিরে কারো সাথে দেখা করা যাবে না। এই তত্ব??


আমি আমার মতামত পরীক্ষা করতে ভালবাসি আর তা তসলিমা, আরজ আলি মাতব্বর, আসিফ মহিউদ্দিন ইত্যাদি মানুষের দ্বারাই। তাদের সমালোচনা আমার সত্য কে অধিক সত্যে পরিণত করতে সাহায্য করে, অধিক নির্ভুলতা কে বেছে নিতে সাহায্য করে। তার কিছু কিছু সমালোচনা যেমন- একাধিক স্ত্রী, হিল্লা, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ের সমালোচনা আমার কাছে মূল্যহীন বা ফালতু মনে হয়নি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

আম্মানসুরা বলেছেন: ৭) ১৪ সম্পর্ক কে ভুলে ১৮ লিখে ফেলেছি

২৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৫০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভীতু মেয়ের সাহসী লেখা :)
ধন্যবাদ।

বিশেষ কিছু বিষয়ে তার সাথে আমার আপত্তি থাকলেও মানুষ হিসেবে এবং একজন অধিকারবাদী লেখিকা হিসেবে তসলিমা নাসরিনের প্রতি আমার আমার শ্রদ্ধা আছে। আমি নিগৃহীতদের দলে।

কিন্তু শুধু লেখিকাও হিসেবে তাকে আমার মনে ধরে নি। লেখার কোন মান নেই, রাগে ভরা। লেখায় প্রাণ নেই, তবে তথ্য আছে। তথ্য তো খবরেই পাওয়া যায় ;)

একজন মানুষ হিসেবে, তার অসহায়ত্ব/নির্বাসন, দেশে দেশে ঘুরা - এসব আমি মেনে নিতে পারি নি। ভারত যখন তার আবাসিক ভিজা প্রত্যাহার করেছিল, তখন তার অসহায়ত্বে নিয়ে আমি চিন্তিত হয়েছিলাম। ভারত সরকার আবার ফিরে এসেছে - যাতে আমি স্বস্তি পেয়েছি।

বাংলাদেশ সরকার তাকে ফিরিয়ে আনলে আরও স্বস্তি পেতাম। :(


শুভেচ্ছা জানবেন, আম্মানসুরা....

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৫

আম্মানসুরা বলেছেন: হা হা হা

সবাই তেড়ে আসলে সাহস শামুকের খোলসে গিয়ে লুকাবে :P

একজন মানুষ হিসাবে আর একজন সমালোচক হিসাবে তার প্রতি আমরা ভীষণ অন্যায় করেছি ও করছি।


অনেক লেখক আছেন যারা তসলিমার থেকেও অনেক অনেক নোংরা জীবন যাপন করে থাকে তবে মুখে কথা বলার সময় ধর্মীয় মুখোশ ধারন করে। তাদের থেকে কি মুখোশহীন তসলিমা বেশি সম্মানের নয়???

২৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১১

নুরুলইসলাম খান বলেছেন: তসলিমা ম্যাডাম। দেখুন! দেখুন!! প্রজন্মের ভীতু সাহসী মেয়েটি জাগতে শিখেছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

আম্মানসুরা বলেছেন: একটা লাঠির বাড়ি খেলেই এই জাগরণ পালানোর পথ খুজে পাবে না :P

২৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

কাজী রায়হান বলেছেন: আপনার লেকাটি আমি তছলিমা নাসরিনের কাছে পাঠিয়েছি ।আপনার অনুমতি নেইনি , দুঃক্ষিত । তিনি আপনার লেখা পছন্দ করেছেণ

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

আম্মানসুরা বলেছেন: অনুমতি নেবার কি আছে? আমি তো তার কাছেই লিখেছি। বরং তার কাছে এটা আপনি পৌঁছে দিয়ে আমার লেখাটাকে সার্থক করেছেন।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৩০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬

নাহিদ হাকিম বলেছেন: তসলিমা নাসরিনের প্রতি আপনার ভালোবাসা থাকুক, আশা করি উনি বাস্তবতা বুঝে ওঠতে পারবেন। নারী আনন্দোলনকারী হিসেবে আমি বেগম রোকেয়ার চেয়ে তসলিমাকে এগিয়ে রাখতে পারবো না। ঐ মহিলাটির কারণে আজ তসলিমা ডাক্তার হয়েছেন। তিনি এতটা উগ্রবাদী ছিলেন না।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি তসলিমা নাসরিন কে বেগম রোকেয়ার সাথে তুলনাও করি নাই। তসলিমা নাসরিনের উগ্রবাদি আচরণের কারন আমরাই এটাই বলতে চেয়েছি।

৩১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

১) আসলে ভালো কিছু পেতে হলে, আর জিবনে সুখি থাকতে হলে ( ইসলামী মৌলবাদের ) দিকেই ঝুকতে হবে।


৫) ৫০ বছর আগে কেমন ছিল এটার চেয়ে বড় ব্যাপার এখন কি তাঁরা খুব সুখে আছেন? এখনকি আর তাদের পুরুষ তোষণ করতে হয় না? আপনি এক আধুনিক মহিলার পরকিয়ার কতাহ আনলেন। আপা এই নষ্টামীতো সর্ব কালেই ছিল। আপনার সাথে তর্ক করা যেত যদি ইসলাম পুরুষের পরকিয়াকে বৈধ বলত। কিন্তু তা কি আর হয়? কোন পুরুষ যদি অক্ষম হয় তার স্ত্রীর অধিকার আছে স্বামীর কাছ থেকে তার অক্ষমতার কারনে ডিভোর্স নেয়ার, এইটাই হল ইসলামের জাস্টিস। আশা করি আপনি জানেন। আর তা মানলে শুধু শারীরীক কারনে ঐ মহিলার নষ্টামি করতে হয় না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ইসলাম্ থেকে আমরা আজ অনেক দূরে, আমাদের কাছে ইসলাম থেকেও তথাকথিত লোক লজ্জা অনেক বড় ব্যাপার। ডিভোর্স নিবোনা, কিন্তু নষ্টামি করবো আর করাবো!! আপা আপনার সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে আপনার ক্ষোভ বাংলাদেশের প্রচলিত সামাজিকতার বিরুদ্ধে, আর আপনিও তসলিমার মত ক্ষোভ ঝাড়ছেন ইসলামের উপর। ইসলামকে জানুন। জানুন বিয়ে সম্পর্কে কি বলে, বিচ্ছেদ সম্পর্কে কি বলে, বিয়ে কিভাবে হতে হবে, বিচ্ছেদ কিভাবে হতে হবে, হিল্লা বলে যা প্রচলিত আছে তাকি আদৌ ইসলাম কিনা ?? "না" আপনারা যারা শিক্ষিত তাঁরা তা করবেন না, করবেন ইসলামের সমালোচনা, তাহলে কিভাবে হবে?


যৌনতা নিয়ে আপনি কাদা ছুড়া ছুড়ি পছন্দ করেননি, তাই এই প্রসংগেও আর কথা বাড়ানো হয়ত আপনি ঠিক মনে করবেন না!!

যাই হোক অযথাই ব্লগার নার্গিসের সাথে আবুলাহাবের বিষয়ে নাস্তিকদের যুক্তি দেখাচ্ছেন। আমার মনে হয় আপনি অনেক কথা জানেন না। বছর দুই আগে লেখা আমার ( "আমার আবু-লাহাব প্রেম" ) এই পোষ্টটা পড়ার অনুরোধ থাকলো। নাস্তিদের সমালোচনার জবাবে লিখা হয়েছিল। আপনি আপনার প্রশ্নেরো উত্তর পাবেন।

আপনি যাদের নাম উচ্চারন করলেন তাদের সমালোচনাতে আমার কোন সমস্যা নাই। ইসলামের নামে আমরা অনেক ভ্রান্তিতে আছি যেগুল আমাদের ধুয়ে ফেলা উচিৎ, এবং এজন্যই এদের সমালোচনার দরকার আছে। কিন্তু তার মানে এই না যে ইনারা যে যা বলেছেন সব কিছুই ঠিক বা আদৌ কোন টাই ঠিক!!!

আপা অনুরোধ থাকবে ( ইসলামী মৌলবাদের উপরে এই লেখাটা আপনাই পড়ুন )

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

আম্মানসুরা বলেছেন: হুম, আপনার পোস্ট দুটি পড়লাম। কিছু ভালো লেগেছে আবার কিছু কিছু জায়গায় সঠিক উত্তর পাইনি বলেই মনে হল।

আপনি যাকে ভ্রান্তিবাদ বলেছেন আমরা সবাই তা মৌলবাদ হিসাবে বুঝি। মৌলিক বিষয় ধারন করে মৌলবাদ মুসলিম কি খুজে পাওয়া যায়???

৫) এই পয়েন্টে আমি যেই পরিবারের কথা বলছি সেই পরিবারের আন্টির সাথে একবার আমাদের বাড়িয়ালি এই বিষয়ে কথা বলেছিল যে আপনি আপনার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ২য় বিয়ে করেন। এসব করেন কেন? তখন তার উত্তরের মুল কথা এমন ছিল- তার ১ম স্বামী তাকে ছাড়া অসহায়, ঐ লোককে সেবা করার কেও নাই। তিনি ডিভোর্স দিলে ঐ লোক যত্নের অভাবে মারা যাবে, তার ছেলে বড় হয়েছে তাই আরেক বিয়ে করলে ছেলের বিয়ে দিতে সমস্যা হবে, আর তারও ১ম স্বামীর জন্য মায়া লাগে। এখন যদি প্রয়োজনে পুরুষদের মতন মহিলাদেরো একাধিক স্বামী গ্রহণের বৈধতা থাকত তাহলে এই পরিবারের জন্য তা সেরা পথ হত। আর নবি যুদ্ধের পূর্বে তার একজন স্ত্রী নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন। যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এতিম, বিধবাদের সুসংস্থান করতে একাধিক স্ত্রীর বিষয় এসেছে তাও শর্ত সাপেক্ষে। তারমানে ওইরকম ইমব্যালেন্স পরিবেশ ছাড়া পুরুষদের একাধিক স্ত্রী রাখার যৌক্তিকতা নাই।


লাহাব নিয়ে কয়েকটা প্রশ্ন ছিল যার উত্তর আপনার ঐ পোস্টে নাই-

* ১ম আয়াতে লাহাব শব্দের অর্থ লাহাব রাখা হলেও ৩য় লাইনে অগ্নি করা হল কেন?

* নবি অস্বীকারকারিদের প্রতি আল্লাহ যদি ক্ষোভ ধারন করেন তাহলে সুরা ইখলাসে তার অহঙ্কারি উক্তি- 'আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন' বাক্য ভুল হয়ে যায়।

* কোরানে অনেক সুরা তে আল্লাহ কাফির, মুরতাদ এক কথায় খারাপ মানুষদের পরিণতি কি হবে তা বলেছেন। তাদের কর্মকাণ্ডে নবিকে মন খারাপ করতেও নিষেধ করেছেন। অথচ সেই একি আল্লাহ আবার লাহাবে প্রতিহিংসা প্রদর্শন করলেন।

* সবার বিচার হবে কেয়ামতের সময়। আল্লাহ অপরাধীকে এই পৃথিবীতে অবকাস দেন। এমন কথাও আমি কোরানে বহু জায়গায় পেয়েছি। কিন্তু লাহাবের ক্ষেত্রে তা কেন হল না?

*কোরানে আছে- বহু নবিকে হত্যা করা হয়েছে, অস্বীকার করা হয়েছে। তাহলে সেই সব হত্যাকারিদের থেকে কি লাহাব সাহেব বেশি অপরাধী ছিলেন?


এবার আমি আমার ব্যক্তিগত মত বলি- কোরান কাব্যিক আকারে প্রকাশ হয়েছে। তাই এতে অনেক ভাব ও রুপক কথা আছে। এই ভাব ও রুপক অনুবাদ করতে আক্ষরিক জ্ঞানের সাথে সাথে আধ্যাত্নিক জ্ঞানও দরকার। মক্কি সুরা গুলো খুব বেশি ভাব প্রধান। এখানে নির্দেশ ছিল কম। মাদানিতে অনেক আদেশ নিষেধ আমরা পাই। তাই আল্লাহ ও তার নবিকে ভুল অনুবাদের মাধ্যমে অপমান করার আগে আরেকবার স্বচ্ছ ভাবে ভাবা উচিত।

৩২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

জনাব মাহাবুব বলেছেন: তসলিমার বিরুদ্ধে প্রায় সব ব্লগারই ঘৃণা ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা চলছে, সে যে আসলেই একজন ঘৃণিত নারী। কিন্তু আপনি জান-প্রান সঁপে দিয়েছেন তাকে হিরো (হিরোইন!) বানাতে। আপনি কারও যুক্তিরই ধার ধারছেন না। সবার যুক্তির বিপক্ষে আপনার অবস্থান হলো, বিচার মানি মাগার তাল গাছটা আমার। যে যত কিছুই বলুক আপনি কিন্তু তার পক্ষে দোতারা বাজিয়েই যাচ্ছেন।


ইদানিং কিছু (কু)বুদ্ধিজীবী তসলিমাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আধা পানি খেয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। কেউ পত্রিকায় তার রুচিহীন লেখা ছাপিয়ে, কেউ বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে, কেউ গোপনে সরকারের সাথে যোগাযোগ করে কেউবা তাকে নিষ্পাপ, দুঃখি মানুষ হিসেবে প্রচার চালিয়ে সবার সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টার মাধ্যমে। কিন্তু বাংলাদেশীরা তাকে অতীতে যেমন ঘৃনা করে এসেছে তেমনি এখনও করছে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। কারন ঘৃণিত ব্যক্তি অলটাইম ঘৃণিতই থাকে।

সমাজ বা সমাজের মানুষের দোহাই দিয়ে একজন অসৎ, বদ মহিলাকে কখনোই ভালোবাসার পাত্রে পরিণত করা যায় না। যে সমাজের দোহাই দিচ্ছেন, সেই সমাজেই বাংলাদেশের কোটি কোটি নারী-পুরুষ জীবন অতিবাহিত করেছে এবং করছে। কিন্তু তারা তো তসলিমা হচ্ছে না। তসলিমারা যেই সমাজেই থাকুক না কেন, তারা সবসময় তসলিমা হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করবে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আম্মানসুরা বলেছেন: উখে তালগাছ আমার। খুশি?

৩৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আপনি আমার "আবুলাহাব " সম্পর্কিত পোষ্টটি পড়েছেন বলে মনে হল না। আর আপনি যদি মিথ্যা না বলে থাকেন তবে অনুরোধ করবো আরেকবার পড়ার। আপনার সকল উদ্ভট (যৌক্তিক) প্রশ্নের উত্তর সেখানে আছে। B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-)

এতো সামাজিকতার ভয় তার , প্রথম স্বামীর মৃত্যু নিয়ে চিন্তা, ছেলের বিয়ে নিয়ে চিন্তা আর হরদম সবাইকে জানিয়ে অন্য পুরুষের সাথে পরকীয়া??? ভালো গল্প ফেঁদেছেন আপা!! তার পরকিয়ার কারনে তার ছেলের বিয়ের সমস্যা হবে না? নাকি তার স্বামীর দেহের সুখ মনের সুখের চেয়ে বড়? আপা অভদ্রতা করে বলতে হয়, আপনি মিথ্যা গল্প বলছেন, তসলিমার মতই, সবাইকে বিভ্রান্ত করার জন্য।

আর বহু বিবাহ আপনি নাই মানতে পারেন!! আপনি হয়ত নাই জানতে পারেন অনেক পুরুষের ক্ষমতা সম্পর্কে!! এতে আফসোসের কিছুই নাই!! আমিতো একাধিকবার বললাম, যার একাধি স্ত্রীর দরকার আছে, স্বভাবিক ভাবেই তাদের স্ত্রীরা কোন অভিযোগ তুলবেন না, বলেই মনে করি। এরচেয়ে পরিষ্কার ভাবে আর আপনাকে কি বুঝাবো??


ক্ষোভের ব্যাখ্যা করা হয়েছে ঐ পোষ্টে, সারাক্ষন মাথায় তসলিমা ঘুরলে ঢুকবে কিভাবে? আর অহংকার আল্লাহকেই মানায়, তিনিতো অহংকার করবেনই।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৮

আম্মানসুরা বলেছেন: হা হা হা

আপনাকে ধন্যবাদ আমার স্বচ্ছ জ্ঞান তৈরিতে সাহায্য করার জন্য। যেই ঘটনা ভাল লাগে না তাকে সহজেই মিথ্যা বলে উরিয়ে দেয়া পদ্ধতি টি ভালোই

আমি যেই ঘটনাটি বলেছি সেই ঘটনা আপনাকে মিথ্যা প্রমান করার দায়িত্ব দিলাম (যদি ঢাকায় থাকেন), যদি সক্ষম হন তাহলে আপনি সেই শাস্তি দিবেন তাই গ্রহণ করব। আপনার ঢাকায় কোন বন্ধু, আত্নিয় থাকলে তাকে দিয়েও যাচাই করতে পারেন। এছাড়া আমার মিথ্যা বলার প্রয়োজন দেখি না, কারন আমার কাল্পনিক হলে আমি তা সহজেই বলতে পারতাম এভাবে- ধরেন পরিবেশ এমন হলে প্রতিকার কেমন হবে? আর এভাবে আমি বেশি পরিবেশ তৈরি করতে পারতাম। তবে কল্পনা করে পরিবেশ তৈরির বিষয়টি মাথায় থাকল। প্রয়োজনে পরিবেশ তৈরি করব আর তা কাল্পনিক কিন্তু বাস্তবিক হবে।


লাহাব প্রসঙ্গে আমি বলেছি যে কিছু প্রশ্নের উত্তর থাকলেও তা সঠিক মনে হয়নি।

* ১ম প্রশ্নের উত্তর তো কোথাও দেখলাম না।

* ২নং প্রশ্নটি হয়ত আপনাকে বুঝাতে পারিনি। এখানে বলতে চেয়েছি যে, আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নয়, আমরাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী। কিন্তু আল্লাহ যদি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, প্রতিহিংসা প্রকাশ করেন তাহলে তার অমুখাপেক্ষী দাবি মিথ্যা হয়ে যায়, তাই না?

* ৩ নং এরও উপযুক্ত উত্তর পাই নাই। কারন অন্য সমস্ত অপরাধীদের থেকে আবু লাহাব কে আপনি আলাদা করতে কোন সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট দেখাতে পারেন নাই।

তবে একটা বিষয় ভালো লেগেছে- আবু লাহাব বলতে যদি অহংকারের আগুন বা খারাপ চরিত্রধারী যেকোন চরিত্র যা অতীত ও বর্তমানে যখনি থাকুক না কেন তারা ধ্বংস হয়ে যাবে বা যায়। এমন একটা ভাব বুঝতে পেরেছি।







ঐ মহিলা তার স্বামীকে ভালবাসে কারন তার স্বামী তাকে কখনও বাধা দেয় নাই। যা চেয়েছে,তাই দিয়েছে। যাই হোক অবিশ্বাস করলে আর কি বলার আছে।

৩৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ১ তেঁতুল শফির কথা কি ভুলে গেছেন??? এইসব ঘটনা কি তসলিমার কথা কে সত্য প্রমাণ করে না??? একজন মানুষ যখন একচেটিয়া ভাবে প্রথা বিরোধী কথা বলে আয় তখন তাতে কিছু অপ্রয়োজনীয় তীব্রতা চলে আসে। তসলিমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি বাড়াবাড়ি কথা বলেছেন তবে তা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে। আমার কথা এই নোংরা পাল্লা দেবার বিষয়টা কেন এল?? আর যদি এসেই থাকে তাহলে পুরুষেরা তখন তাদের ভুল আচরণ স্বীকার করে নিলেই তসলিমার পাল্লা দেয়া কথা বন্ধ হয়ে যেত। স্বীকার করলেই হত যে আসলেই আমরা একটু লুচ্চা

পুরুষরা কেন ঢালাও ভাবে নিজেদের ভুল হিসেবে দেখবে? লুচ্চা মনে করবে? প্রতিটা পুরুষই যদি এমন মানসিকতার হয়, তাহলে তো মেয়েরা এতদিনে নিজেদের খাঁচাবন্দী রেখে আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ার কথা। অথচ আপনি নির্বিঘ্নে শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে এলেন অপুরুষদের ভেতর দিয়েই? যেহেতু তেঁতুল হুজুরের বয়ান মতো নারীদের দেখে যাদের লালা ঝরে না তারা নপুংসক। আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাহলে নপুংসকে ভর্তি। কি বলেন? (ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে দেখবেন না আশা করি।) নয়তো দিনে একাধিকবার ধর্ষণ থেকে কেউ রক্ষা করতে পারতো না ছাত্রীগুলোকে। এখানেই মেয়ে হিসেবে আপনাদের চিন্তাভাবনার দীনতা প্রকাশ পায়। আর এভাবেই মেয়েদের চোখে পুরুষরা ধর্ষক হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে তেঁতুল হুজুরের যোগ্য অনুসারী। আমি তো দেখছি সমস্যা ছেলেদের নয়- মেয়েদের। তারা ভাবনার দিক দিয়ে নিজেদের উন্নতি ঘটাতে পারছে না। একই সময় দ্বিমুখী আচরণ আর কথা বলছেন। তসলিমা পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খিস্তি করলো যখন তখন সুশীল পুরুষদের উচিত ছিল চুপ থাকা। আর তখন আরো ভালো ভাবে প্রতিষ্ঠা পেতো দোষী বলেই তো প্রতিবাদের মুখ নাই ব্যাটাদের। অথচ আপনি নিজেই স্বীকার করে গেলেন-
একজন মানুষ যখন একচেটিয়া ভাবে প্রথা বিরোধী কথা বলে ... তখন তাতে কিছু অপ্রয়োজনীয় তীব্রতা চলে আসে। তসলিমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

উদাহরণ টেনেছেন দিল্লীর মেয়েটার কথা, শতকরা হিসেবে সেই দেশে ধর্ষণের হার কত? সেটা কি একবার দেখবেন? সে তুলনায় আরো অনেক বেশি সংখ্যায় ভালো আর অ-লুচ্চা পুরুষ রয়ে গেছে আশেপাশে, তাদের ব্যাপারে কেমন সিদ্ধান্ত হবে আপনার?

২ পোশাকের কথাটা আপনি যেভাবে বলেছেন, তা তো আপনি বলবার কথা নয়। একজন মেয়ে যখন চাইতে পারে ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত রাখার স্বাধীনতা, তাহলে তাকে কি সভ্য সমাজে মানাবে? একজন সুস্থ পুরুষ পুরোপুরি নাঙা অবস্থায় পাবলিক বাসে উঠলে কি মেয়েরা মেনে নিবেন?

মানুষ সভ্য হয়েছে বলেই জঙ্গলের বাইরে আবাসস্থল নির্মিত হয়েছে। এখনও আমাজনের জঙ্গলে নাঙা নারী-পুরুষের ছোট ছোট গোত্র আছে। যারা সভ্য সমাজে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে পরিগণিত। পোশাকই তো সভ্যতার চিহ্ন। নাকি? যে সব দেশে মেয়েরা বিকিনি পরে সৈকতে, তারাও তো অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবে না সে পোশাকে, উঠবে না কোনো পাবলিক বাসেও। নাকি বিকিনি পরা মেয়েটাকে বাসের ভেতর দেখে অন্য পুরুষরা চোখ বন্ধ করে রাখলেই সভ্য আর অ-লুচ্চা হবে? আমি এও বলছি না যে, বিকিনি পরা মেয়েটাকে পুরুষরা মিলে গণ ধর্ষণ করলেই উচিত কাজ হবে। এখানে সভ্যতার প্রশ্নে প্রসঙ্গটা তুলেছি। একই ভাবে নাঙা পুরুষ মেয়েদের বাসে উঠলেও কি মেয়েরা খুব স্বাভাবিক বোধ করবে? আপনার মতামত জানতে আগ্রহী আমি।

প্রতিবেশীর সাথে সদ্ভাব বজায় রাখার কথা বলছেন??? অথচ ব্লগার মানেই নাস্তিক বলে মনে করা প্রতিবেশীদের কে নিয়ে কিছুদিন আগে আপনারাই রাগ, ক্ষোভ দেখিয়েছেন।

-কথা ঠিক। কিন্তু এখানে তা প্রায়োগিক দিক থেকে বিচার না করে কীভাবে বলতে পারেন? যেখানে ঢালাও ভাবে পুরুষদের লুচ্চা বলেন, সেখানে চুপ থাকা মানেই তো আপনাকে সমর্থন করা। সে দিক দিয়ে ব্লগারদের ঢালাও ভাবে-
তসলিমার মতে জগতের সব পুরুষ ধর্ষক।

আম্মানসুরার মতে জগতের সব পুরুষ লুচ্চা।

কিন্তু তেঁতুল হুজুর যখন বলেন, মেয়েদের দেখলে লালা ঝরাবার কথা, তখন মেয়েরাই সরব হয়েছিলেন বেশি এই বলে যে, তেঁতুল হুজুরের ঘরে কি মা বোন নেই?

তেমনি আমারও বলতে ইচ্ছে করে যে, তসলিমা বা আম্মানসুরা বইঞ্জানের কি বাপ-ভাই নাই? :P

যেমন প্রতিটা নারীই চায় তার যৌনজীবনে কোনো রকম ঘাটতি না পড়ুক। তাই পরকীয়াটাও বৈধ হওয়া প্রয়োজন। স্বামী বুড়ো আর আর অথর্ব হয়ে গেলে স্ত্রী তখন নার্সের ভূমিকা নিয়ে বুড়োর সেবা করবে অন্ন-বস্ত্র- আশ্রয় আর সামাজিক নিরাপত্তার বিনিময়ে। অন্যদিকে দেহের ক্ষুধা মিটাতে যৌবনা স্ত্রীটি জুটিয়ে নেবেন একজন পার্টটাইম যৌন সঙ্গী। এ সময় তসলিমার গায়ে ফোসকা পড়ে না। ফোস্কা পড়ে পতিতার কাছে না গিয়ে পুরুষটি তার একাধিক স্ত্রীর শয্যা সঙ্গী হলে। এখানে তো বিবেকেরও লজ্জা পাবার কথা, স্ত্রী যেখানে খাওয়া পরা নিরাপত্তা আর ভালোবাসার বিনিময়ে স্বামীকে দেহ দিচ্ছে , আর একজন পতিতা টাকার বিনিময়ে দেহ বিকচ্ছে, দুজনকে একই পাল্লায় তুলে দিলেন?
কিন্তু আম্মানসুরা বইঞ্জান বৃদ্ধ স্বামীর ঘরে থেকে যে নারীটি পরকীয়ায় আসক্ত হলো- সে কি যুবক প্রেমিককে কিছুর বিনিময়ে দেহ দিচ্ছে? নিজেকে বিক্রি করছেন নাকি পুরুষের যৌন সামর্থ্যকে কিনে নিচ্ছেন? এখানে কি তিনি তেঁতুল হুজুরদের চেয়েও আরো বেশি ভয়ানক হয়ে উঠলেন না? নাকি নারী স্বাধীনতাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন? তার মানে কি এই দাঁড়াচ্ছে না যে, তাবৎ নারী যৌন জীবনে অতৃপ্ত থাকলেই পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে যান। এখানে স্বামী-বা স্ত্রীর বিশ্বস্ততা নিরর্থক। অর্থাৎ একজন নারীর কাছে স্বামী বা সংসার নয় দেহ কামনাই প্রধান? এ ভাবনা কি নারীকে আরো মহীয়সী করে তুলল?

যেহেতু আমি নারী নই, তাই ভাবনাটা আমার কাছে বেশ গোলমেলে মনে হচ্ছে। একটু কষ্ট করে যদি বিশ্লেষণ করতেন।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৩

আম্মানসুরা বলেছেন: একটা কথাই মুখ থেকে বের হল- উরে বাপ রে!!!! ভাই আমার চেতিয়া গিয়াছে :P :-P

উত্তর পরের কমেন্টে দিচ্ছি B-))

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

আম্মানসুরা বলেছেন: প্রথমেই বলি জগতের সব পুরুষ লুচ্চা না। এদের মধ্যে দেবতাও আছে আবার অসুর ও আছে। সমস্যা হল দেবতারা নিজেদের প্রকাশ করে না তাই তাদের পরিচিতি কম থাকে। অন্যদিকে অসুরেরা নিজেদের এত বেশি প্রকাশ করে যে মনে হয় জগত অসুরময়।

কোন কিছুর বিরোধিতা করতে গেলে সঠিক ভাবে সব কিছু মাথায় রেখে কমেন্ট করা কষ্ট। তাই ভুল হতেই পারে আমার। আমার কথায় আপনি কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি।

অশালীনতা কে আমি সমর্থন করি না। এখন এই শালীন ও অশালীন এর মাপকাঠি কি??? এখানে একটা সমস্যা রয়েই যায়। এই মাপকাঠি কি আপনি বলতে পারবেন??

তসলিমার বিষয়ে ঐ কথা বলার কারন তার একটা কবিতা- 'আমারও ইচ্ছে করে পাঁচ-দশ টাকায় ছেলে কিনতে' এই কবিতার শানে নুজুল টা কিন্তু খুব বেশি বাস্তব। ২০ টাকার পতিতা গুলো মানুষের কোন দাম পায় না, মারধোর ফ্রি খায়। তাই তার এই কবিতা কে নিয়ে তকে আক্রমণ করার কারন কি? সেইক্ষেত্রে স্বীকার করে নেয়াটাই কি বেস্ট নয়? কারন এই সব পতিতাদের সঙ্খ্যায় বলে দেয় পতিত পুরুষ এর সংখ্যা মন্দ নয়। এখন কোন পুরুষ যদি স্বীকার করে যে আসলেই পতিত পুরুষেরা পতিতাদের সাথে পশুর মতন আচরণ করে তাই এইসব পতিত দের তসলিমা ২০ টাকায় কিনতে চেয়ে, শারীরিক নির্যাতন করতে চেয়ে ভুল কিছু বলে নাই। কিন্তু সমস্যা সবাই নিজেকে বিশ টাকা দামের পুরুষ ভেবে রেগে গিয়েছে! কিন্তু কেন? সবাই তো পতিত নয়? যারা পতিত তাদেরি খারাপ লাগার কথা।

ভার্সিটি তে, অফিসে, বাসে মেয়েরা কিন্তু সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। শিক্ষকদের নামে কি যৌন হয়রানির অভিযোগ আসে না? কিন্তু সব শিক্ষক হয়ত এমন না। কিন্তু একজনি অনেক জন কে কষ্ট দেয়। আর প্রতিবাদের সময় যদি সেই লম্পট পুরুষের পক্ষে কথা আসে তখন জগতকে পুরুষবাদি ভাবলে তা কি খুব বেশি অযৌক্তিক হবে?? আপনি নিজে বলেন তো রেপের পিছনে কি পোশাকের কথা আসে না? অথচ বাচ্চারাও রেপড হয়। আমি মুলত এই পয়েন্টে বলতে চেয়েছি এক্ষেত্রে দোষ স্বীকার করলেই ল্যাঠা চুকে যায়। এখন আপনার মতে- দোষ স্বীকার করলে তা সবাইকেই বুঝায়। কিন্তু কেন সবাইকে বুঝাবে? যাদের বিরুদ্ধে বা যেই অপরাধের বিরুদ্ধে কথা হচ্ছে তা কি সবাই কম বেশি করে নাকি?? যারা অপরাধী তীর তো শুধু তার গায়েই লাগবে। যেমন হানাদার বাহিনির লাম্পট্য নিয়ে বাঙালি নারী পুরুষের ঝগড়া হয়নি কারন এক্ষেত্রে সবাই এই লাম্পট্যকে স্বীকার করেছে আর তার পিছের কোন নারীর দোষমূলক হাস্যকর কারন খুজতে যায় নাই।


উগ্র পোশাকের কথা বলছেন??? বাংলাদেশে যারা উগ্র পোশাক পড়ে (সাধারণত) তাদের টিকি ছোঁয়ার সামর্থ্যও লম্পট বখাটেদের থাকে না। লম্পটেরা গরীব, অসহায় বাসের মহিলা যাত্রী, গারমেন্টস কর্মী, স্কুল ছাত্রি দের কেই টার্গেট করে। ক্ষমতাবানেরা উলঙ্গ হয়ে চললেও আঙ্গুল তোলার সাহস ও রাখেনা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

আম্মানসুরা বলেছেন: স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক অবশ্যই আন্তরিক ও বিশ্বস্থ হওয়া উচিত কিন্তু তা যদি শুধু স্ত্রীর ক্ষেত্রে বেধে দেন আর পুরুষকে বহুগামিতার লাইসেন্স দেন তখন অনুচিত আর উচিতের পার্থক্য ক্ষণিকের জন্য ভুলে যাওয়া কি খুব বেশি অনুচিত???

৩৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩১

গারো হিল বলেছেন: আইছে

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫১

আম্মানসুরা বলেছেন: খাইছে

৩৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

এ্যামালগাম বলেছেন:
আপা আমার স্ত্রী আমাকে প্রায়ই আরেকটা বিয়ে করতে বলেন। কিন্তু আমার ফিলিংসটা এই ব্যাপারে কেমন জানি। :| :| আগেই ব্লগে লিখেছিলাম( Click This Link )। তবে আমারো মনে হয় এমন একটা এক্সপিরিমেন্ট করলে কেমন হয় যেখানে নারী আর পুরুষ উভয়ে বহুবিবাহ করতে পারবে। অন্তত কিছু বছরের জন্য হলেওতো এই বিতর্কের অবসান হত!!

আপা আপনার পোষ্ট ভালো লাগে নাই, সরাসরি বললাম। কিন্তু আলোচনা ভালো লাগছে।

ঐ মহিলা এত মানুষের মনে কষ্ট দিল, এই ব্যাপারটা কিন্তু আপনি ইগনোর করে গেছেন!! আপনি শুধুই তার কষ্ট নিয়ে ভাবছেন। কেমন জানি একচোখা হয়ে গেলো না? :P :P :P :P :P

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

আম্মানসুরা বলেছেন: ঐ মহিলা এই দেশে আসলে সবার আগে আমি তার সাথে বিতর্কে নামব, যদিও আমি খুব অজ্ঞ মানুষ তবুও শুরু করতে চাই বিতর্কের কালচার

৩৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আমার এখনও মনে হচ্ছে আপনি বুঝেও বুঝতে চাচ্ছেন না!

যাইহোক ঐ মহিলার প্রসংগ না হয় বাদ দিলাম। আপনি হয়ত সত্য বলেছেন। ঐ মহিলা বেকুব হইলে আপনার কি দোষ?



১ম আয়াতে লাহাব শব্দের অর্থ লাহাব রাখা হলেও ৩য় লাইনে অগ্নি করা হল কেন?

সূরা লাহাব আয়াত ১ঃ

(تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ)

(تَبَّتْ(ধবংশ হল বা হোক) يَدَا(হাত বা দুহাত বা হস্তদয়) أَبِي(আবু বা বাবা বা পিতা) لَهَبٍ(শিখা বা দাও দাও করে জ্বলা আগুন) ()وَ(ও, এবং) (সেও)تَبَّ)

ধবংশ হোক আবুলাহাবের দুহাত এবং সে নিজেও

ধংশ হোক লেলিহান শিখার পিতার দুহাত এবং সে নিজেও

ধ্বংশ হোক লেলিহান শিখার মালিকের দুহাত এবং সে নিজেও




সূরা লাহাব আয়াত ৩ঃ

(سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ)

(سَيَصْلَى(স্বত্তরি বা শিগ্রই বা প্রার্থনা এই যে জ্বলবে) نَارًا(আগুনে বা গরমে বা অগ্নিশিখায়) ذَاتَ(নিজে বা বস্তুগতভাবে বা সম্পর্কিত ব্যাক্তি) (শিখা বা দাও দাও করে জ্বলা আগুন)لَهَبٍ)


শিগ্রই আগুনে জ্বলবে নিজে দাও দাও করা আগুনে

শিগ্রই আগুনে জ্বলবে ঐ সম্পর্কিত ব্যাক্তি শিখায়

শিগ্রই আগুনে জ্বলবে নিজে বা বস্তুগতভাবে বা সম্পর্কিত ব্যাক্তি লাহাব


আপা আমার পোষ্টে লেখা ছিল যে ঐ ব্যাক্তির আসল নাম "আবদ আল উজ্জা" তার টাইটেল ছিল আবু লাহাব যার অর্থ হয় অগ্নিশিখার পিতা বা আগুনের মালিক বা আগুনের অধিকারী। আপনি যদি উভয় লাইনে নিজের ইচ্ছামত অনুবাদ করেন তবুয় সমস্যা হয় না, আপা। নাকি বলেন??? এখনও যদি না বুঝেন :( :( :(


২নং প্রশ্নটি হয়ত আপনাকে বুঝাতে পারিনি। এখানে বলতে চেয়েছি যে, আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নয়, আমরাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী। কিন্তু আল্লাহ যদি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, প্রতিহিংসা প্রকাশ করেন তাহলে তার অমুখাপেক্ষী দাবি মিথ্যা হয়ে যায়, তাই না?


একটা জিনিশ বানালেন, তা ধ্বংশ করে ফেললেন, ভালো লাগছিলনা তাই, কিভাবে তার মুখাপেক্ষি হলেন আপনি?? আর আল্লাহের অনুভব আপনি কিভাবে বুঝবেন? মানবিক বিশেষণে তাকে বিশেষাইত করলেতো ভুল হবে আপা। আমার এই লেখাটা পড়ুন।( !!!!!!আল্লাহের মানবিক গুনাবলী!!!!!! ) মনে হয় কিছুই বুঝবেন না, তবুয় পড়ার অনুরোধ থাকল।



৩ নং এরও উপযুক্ত উত্তর পাই নাই। কারন অন্য সমস্ত অপরাধীদের থেকে আবু লাহাব কে আপনি আলাদা করতে কোন সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট দেখাতে পারেন নাই।



প্রয়োজনটা হয়ত ছিল আপনি বুঝতে পারছেন না। আপনার মত অনেকেই বুঝতে পারছে না। যেমন আমি এখনও বুঝিনা, যেই আদ জাতি আর হুদ আঃ সম্পর্কে কেউ কিছু জানতনা, তৎকালীন ইতিহাসেও কিছু ছিলনা তা কুরয়ানে উল্লেখ করার কি দরকার ছিল??? আরো অনেক জাতির ধ্বংশের কথাইতো বলা আছে, এটা কি একটা বাহুল্যতা? প্রশ্ন উঠতেই পারে তাই না? কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখন প্রত্ন তাত্ত্বিকরা আদ জাতি ধ্বংসাবশেষ পেয়েছে, ধরে নিতে পারেন এটা একটা সত্য মিথ্যার পরীক্ষার মত। বা কুরয়ানের মহত্ত্ব ও সত্যতা যুগে যুগে প্রমানের মত। যেমন আবু-লাহাব সূরা লাহাব নাজিলের পরেও ১০-১২ বছর বেঁচে ছিলেন, মুসলিম হয়ে কুরয়ানকে মিথ্যা প্রমান করে দিতে পারতেন, কি আপা পারতেন না? কিন্তু না, তাতো হয় নি! যদিও তার সমসাময়িক জাঁদরেল অনেক কাফির পরে মুসলিম হয়ে গেছেন, ঐ ব্যাক্তিদের কথা কিন্তু কুরয়ানে আসে নাই আপা। এই গুলা কুরয়ানের সত্যতা আর আল্লাহের হিকমতের মহত্ত্বের প্রমান ধরতে পারেন। এর পরেও যদি না বুঝেন আপা, তবে আমি অক্ষম বলতে পারেন। আর আবু-লাহাব টার্মটা কিন্তু আজকের আবুলাহাব বা আগুনের মালিকদের জন্যও প্রযজ্য হতে পারে, তাই না?


আপা আমি ইসলামি স্কলার না, আরবীও বুঝি না বললেই চলে। তবুয় চেষ্টা করলাম। চেষ্টায় কোন অসততা নাই, তবুয় যদি ভুল হয়ে থাকে ক্ষমা করবেন, আরো জ্ঞানী কারো কাছে জানতে পাড়লে ভালো হয়।

আল্লাহ আপনাকে ইমানের মধ্যে রাখুন। (আমিন)

আসসালামুয়ালাইকুম

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

আম্মানসুরা বলেছেন: জানিনা, সমস্যা কার? হয়ত আমারি।

তবে আপনি শুধু দুইটা প্রশ্নের উত্তর দিন- কবিতার আক্ষরিক অর্থ দিয়ে কি কবিতা বুঝা যায়? নাকি ভাবার্থ প্রয়োজন???


আমাদের কোরান কি আক্ষরিক অনুবাদ নাকি ভাবানুবাদ??


আমি বিশ্বাস করি- পৃথিবীর সেরা আদালত নিজের বিবেক বোধ। আর এই আদালতে আমি আল্লাহকে ও তার নবিকে প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ মেনে নিতে পারছি না।

খেলনার উদাহরণ যদি আনেন তাহলে বলব, যেই খেলনা আমার পছন্দ হবে না তখন আমি তা ভেঙ্গে নতুন ভাবে তৈরি করব কিন্তু খেলনার উপর রাগ বা অভিশাপ দেয়া কোন বিজ্ঞানির সাজে না, এটা অজ্ঞের কাজ। কারন খেলনাতে অপছন্দের কিছু থাকলে তা তো আমার নিজেরি তৈরি, এখানে খেলনার কোন দোষ নাই।


একটা ভিন্ন ভাষার গল্পও সবাই অনুবাদ করতে পারেনা। হুমায়ূন আহমেদের অনুবাদ আর সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ কি তার উদাহরণ নয়?

আপনি ইংরেজি জানলেই কি গীতাঞ্জলীর ইংরেজি অনুবাদ করতে পারবেন???? এখানেই আমার প্রশ্নের উত্তর পাবেন?

৩৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: এখানে প্রায় সবাই অনেক ভালো ভালো কথা বলেছেন, তাই আমার বিশেষ কিছু বলার নেই, তবে আপনার অভিযোগ গুলো অনেকাংশেই সঠিক আছে,আমাদের পুরুষতান্ত্রীক সমাজ ব্যবস্থা ও মোল্লা তন্ত্রের বিপক্ষে বলতে গেলে তসলিমা নাসরিনের মত অসুস্থ্য মানুষের পক্ষ নেয়া খুব বেশি নির্বুদ্ধিতা।

ধর্ম কে জানতে এবং ধর্ম সম্পর্কে কিছু ভুল ব্যখ্যা নিয়ে আলোচনা করতে এখন আর কারো পক্ষ বিপক্ষে যাবার দরকার নেই এবং কে কিভাবে চললো বললো ভাবলো করলো এসব নিয়েও মাথা ঘামানোর বিশেষ দরকার নেই বলে আমার মনে হয়।যেহেতু ধর্ম গ্রন্থ্য গুলো বাংলা সংস্করণ গুলো সবার হতে হাতে এসে গেছে,সেহেতু একটু সতর্কতার সাথে পড়লে আপনিও ধর্মকে বুঝতে পারবেন ।ধর্ম জানবেন ধর্ম গ্রন্থ্য থেকে,কারো কর্ম দিয়ে আপনি ধর্ম বিচার কেন করবেন?কেন আপনি তাসলিমার আশ্রয় কিংবা তার মস্তিষ্ক দিয়ে বিচার করবেন?কেনইবা আপনি কাঠ মোল্লাদের মত মুর্খতায় মাথা ঘামাবেন?

বিদায় হজ্বের ভাষণ পড়ুন সেখানে অনেক কিছুই পরিষ্কার আছে,কোরাণ পড়ুন বুঝুন ,হাদিস দেখুন সব শেষে নিজের বিবেক ব্যবহার করুন দেখবেন ধর্ম একদম সহজ হয়ে গেছে আপনার কাছে।

ভালো থাকবেন

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

আম্মানসুরা বলেছেন: ভাইরে একটা কথার উত্তর দেন- বিপক্ষ কে মেরে তাড়িয়ে দেয়া কি কোন মানবিক কাজ?? এই কাজের প্রতিবাদ করা কি খুব অমানবিক কাজ???


আমি ভলতেয়ার এর সেই কথার সাথে একমত, কথাটা হুবুহু মনে নেই। তবে,অনেকটা এরকম- তোমার মতের সাথে আমি একমত নই তবে তুমি যেন তোমার মত স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করতে পার সেইজন্য আমি আমৃত্যু লড়াই করে যাব।

তসলিমা ম্যাডামের বিষয়ে একটা প্রশ্নের উত্তর দিন তো- তার 'আমারও ইচ্ছে করে পাঁচ-দশ টাকায় ছেলে কিনতে' কবিতা টা কেন পুরুষদের এত রাগিয়ে দিল?? তার মানে কি সবাই পতিত পুরুষ বলেই নিজেকে ভাবে?

৩৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: গুরু গম্ভির আলোচনা চলিতেছে। অনেক তথ্য পেলাম, জানতেও পারলাম আনেক কিছু। জুলিয়ান সিদ্দিকী ও না পারভীন এর যুক্তি এবং এর প্রতি উত্তরে অনেক তথ্য আছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

আম্মানসুরা বলেছেন: :)

৪০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

ডট কম ০০৯ বলেছেন: সব এন্টেনার উপ্রে দিয়া ঘুরাঘুরি করে!!

এত আলুচনা সমালুচনা করার মত বুদ্ধি আল্লাহ আমারে দেয় নাই আফসুস।

যতটুকু পইড়া বুঝলাম একদল তসলিমা নাসরিনের পক্ষে অপর পক্ষ ওনার বিপক্ষে।

এইবার একটা প্রশ্নের উত্তর দেন @লুলুয়াম্মা

নারীজাগরন এর কথা বেগম সুফিয়া কামাল ও কইছেন বাংলাদেশে তারে কেন সেই সময়কার মানুষ দেশ হইতে বিতারিত করে নাই?সেই সময়েতো মানুষ আরো বেশী কট্টর ধর্মপ্রান ছিল?

আরেকটা কথা, আপনি কি তসলিমা নাসরিনের বলা চাওয়া সকল কথার সাথে একমত!!

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি তসলিমা নাসরিনের সাথে সব কথায় একমত নই আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার সাথে আমার সাংঘাতিক রকম দ্বিমত আছে। তবে তাই বলে তাকে দেশ থেকে বের করতে হবে এটা কেমন কথা?????? আজ আপনার কথা আমার ভালো না লাগ্লেই কি আমি আপ্নেরে দেশ থেকে বের করে দেব??? ভিন্নমত ছিল, আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। আর ভিন্নমত থাকার দরকারও আছে। নিজের মত ও পথ যাচাই করার সেরা পথ ভিন্নমতের মানুষের সমালোচনা।


আমি বিশ্বাস করি রুদ্রের সাথে তার বিয়ে না হলে তিনি হতে পারতেন আরেক বেগম রোকেয়া। তার কথায় উগ্রতা আছে তবে সেই উগ্রতার ছাচ টা আমাদের তৈরি।

৪১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

কাফের বলেছেন: পোষ্ট ভালো লাগলো
আরো ভালো লাগলো মন্তব্যর উত্তর গুলো, ধর্য্যসহকারে চমৎকার ভাবে সামলাচ্ছেন।
যাই হোক

আমাদের বিষাক্ত গাছের ছায়ায় বসবাস, আর ঐ গাছ বেয়ে উঠা লতায় হলো সর্বোনাশ!
আমরা ধর্মীয় মৌলবাদ উগ্রবাদি মোল্লাদের ধর্মান্ধতা সহ লুইচ্চা পুরুষদের উগ্রতাকেও স্বাবাভিক ভাবে নিচ্ছি কিন্তু তাদেরই কারনে তসলিমার উগ্র হয়ে যাওয়াটাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না!! আগে গাছের শিকর সহ উপ্রে ফেলতে হবে তার সাথে লতা পাতা এমনিতেই নাই হয়ে যাবে।





২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

আম্মানসুরা বলেছেন: আমাদের সবার জ্ঞান চর্চায় অনীহা কিন্তু একি সাথে জ্ঞানের অহংকার আছে। তাই এই সমস্যা গুলো সৃষ্টি হয়েছে। একমাত্র জ্ঞান চর্চার অভ্যাস এই গাছকে শিকড় সহ ব্যথাহীন ভাবে উপড়ে ফেলতে পারবে। তসলিমা নাসরিনের ক্ষেত্রে আমার মতামত হল- তিনি জ্ঞানী মানুষ, তাকে জ্ঞান দিয়েই মোকাবেলা করা বেস্ট উপায়। তাতে নিজের জ্ঞান ও আত্নবিশ্বাস দুই বাড়বে।

৪২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আপা অন্যের অনুবাদ অপছন্দ হতেই পারে, এটা আধুনিক যুগ, এখানে সবাই সব কিছু বুঝে বা বুঝতে চায়, উপায়ো আছে। গুগল ট্রান্সলেট আছে, কুরয়ানের অনেক ধরনের ইংরেজী বাংলা অনুবাদ আছে, বাংলায় শব্দার্থে আল কুরয়ান নামে একটা বই আছে(নেটেও পেতে পারেন হয়ত)। নিজেই অনুবাদ করে নিবেন না হয়, নিজের বিবেকতো আছেই। তবে একটা ব্যাপার কি, অনেক পারিপার্শ্বিক জ্ঞান প্রয়োজন হবে যদি কুরয়ান অনুবাদ করতে যান, বিভিন্ন তফসিরকারীদের তফসির পরতে হবে, ঠিক মত বুঝতে হলে, তা নাহলে বিপদ অভিসম্ভবি!!!!!!

শুধু অনুবাদের আগে সব সময় মনে রাখবেন, কুরয়ানেই বলা আছেঃ

( وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا )

" আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। "

আর আপা আপনি বারবার আল্লাহের প্রতিহিংসার যে কথা বলছেন, তা নিতান্তই আপনার বা আপনাদের মনগড়া!! হিংসাতো মানুষের কাজ। অভিশাপো মানুষের কাজ। আল্লাহ যা করেছেন তা হচ্ছে আবু-লাহাবের ভবিষৎ সত্যটা জানিয়ে দিয়েছেন, নিশ্চিত ভবিষৎ সত্য বা গায়েব, উনি ছাড়া আর এ জিনিশ কে জানাবেন?? আপনি আমার ( !!!!!!আল্লাহের মানবিক গুনাবলী!!!!!!! ) এই পোষ্টটা পড়েও হয়ত কিছুই বুঝতে চান নি।

আসলে কি কুরয়ানে বলাই আছে, আল্লাহ কুরয়ানে যত ভয় দেখিয়েছেন এতেও আসলে লাভ হবেনা সবার।

( وَنُخَوِّفُهُمْ فَمَا يَزِيدُهُمْ إِلاَّ طُغْيَانًا كَبِيرًا )

" আমি তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করি। কিন্তু এতে তাদের অবাধ্যতাই আরও বৃদ্ধি পায়। "

তাই এটাই স্বভাবিক, সূরা লাহাবে, লাহাবের পরিনতির কথা জানতে পেরে, অনেকেই আল্লাহের মানবিকতা খুঁজবেন, আর আবু-লাহাবো নবুয়তের সত্যতা জানতেন, নিজের পরিনতি জানতেন, লাভ হয়নি, আজও অনেকের লাভ হবে না। এটাই বাস্তবতা, কুরয়ান এই রকমই বলে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

আম্মানসুরা বলেছেন: আপনি কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর দেন নি

৪৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

শেহজাদ আমান বলেছেন:
Click This Link

Click This Link

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

আম্মানসুরা বলেছেন: :)

৪৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

জামান শেখ বলেছেন: আপা আপনি তো শ্রদ্ধেয় তসলিমার মুরিদ হতে পারেননি। তাকে অনুসরন করুন, একাধিক স্বামী গ্রহন করুন। তসলিমা ম্যাডাম তো আল্লাহকে গালি দিয়েছেন তাকে মেয়ে হিসাবে সৃষ্টি করার জন্য। আপনিও গালি দিন।
মেয়েরা নাকি বাচ্চা বানানোর মেশিন। আপনিও কি নিজেকে মেশিন মনে করেন? জীবনেও বাচ্চা নিয়েন না। তাহলে মুরিদ হতে পারবেন না।

আপা আপনি তসলিমা ম্যাডামের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে কতটা নিচে নামিয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

আম্মানসুরা বলেছেন: অপরাধের থেকে শাস্তির মাত্রা বেশি হয়ে গেলে তখন বিচারকের শাস্তি পাওয়া উচিত।

আমি কি একবারও বলেছি আমি তার সবকথা সমর্থন করি???? বরং তাকে যদি দেশে ফিরিয়ে আনা হয় তাহলে সবার আগে আমি তার সাথে বিতর্কে নামব। হয়ত আমি খুব অজ্ঞ, তবুও বিতর্কের কালচার শুরু হোক।

আজ আপনি যদি আমার সম্বন্ধে একটা পোস্ট দেন এভাবে- 'ঐ মহিলা আমুক জায়গায় এক নিরীহ লোককে ইচ্ছা মতন পিটিয়েছে তাই আম্মানসুরা অনেক খারাপ।'

তখন কি আমি আপনাকে মেরে তাড়িয়ে দিলে আমি ভালো মানুষ এটা প্রমান হবে? নাকি আমার পরিবেশ বিশ্লেষণ করে পাল্টা পোস্ট দিয়ে বলতে হবে- আসলে আপনি যাকে নিরীহ ভাবছেন সে একটা ইভ টিজার তাই আমি তাকে মেরে তক্তা বানিয়েছি B-)

তখন আপনি ও আপনার সমর্থক সবার কাছেই আমার ফেয়ার পজিসন সত্য হবে। আশা করি ভিউ বুঝাতে পেরেছি |-)

৪৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

কোন প্রশ্ন?

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

আম্মানসুরা বলেছেন: *কবিতার আক্ষরিক অর্থ দিয়ে কি কবিতা বুঝা যায়? নাকি ভাবার্থ প্রয়োজন???


*আমাদের কোরান কি আক্ষরিক অনুবাদ নাকি ভাবানুবাদ??


*আপনি ইংরেজি জানলেই কি গীতাঞ্জলীর ইংরেজি অনুবাদ করতে পারবেন????

৪৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

কবিতার আক্ষরি অর্থও বুঝা যায়, ভাব অর্থও বুঝা যায়, আবার কখনো কখনো দুইটাই বুঝা যায়।


বেশীর ভাগই আক্ষরিকই মনে হবে, তবে শানে নজুল আর রাসূলের শিক্ষা থেকে প্রত্যাকটা আয়াতেই এর ভাবের সমন্নয় আছে। আর প্রত্যকেটা অক্ষরকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আপনার সাথে সূরা লাহাবের যতটুকু আলোচনা হয়েছে, তাতে আপনি শুধু সামান্য শিক্ষিত হলেই তা বুঝবার কথা।


গিতাঞ্জলীর অনুবাদ করতে পারবো কিনা তা জানতে হলে আগে গিতাঞ্জলি কি তা জানতে হবে। আমি এই বই জিবনে স্পর্শ করার সময় ও রুচি দুইটাই পাইনি। :( :( :(

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

আম্মানসুরা বলেছেন: এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে


এই কবিতার আক্ষরিক অর্থ গ্রহণ করলে তা কি হাস্যকর হয়ে যাবে না? এখন এটা দিয়ে যদি কোন বিদেশি লোক প্রশ্ন তোলে চোখের জল দিয়ে কবর একদিন ও ভিজিয়ে রাখা যাবে না, আর ৩০ বছর তো অবান্তর কথা। বুড়া দাদু তার নাতিকে মিথ্যা কথা বলেছেন। আর তখন যদি অন্ধ সমর্থক বলে- না, দাদু মিথ্যা বলে নাই। তখনকার সময়ের মানুষের অশ্রুগ্রন্থি অনেক বড় ছিল, এটা তখন সম্ভব ছিল তাতে কি দাদুর সম্মান বাড়বে?? নাকি ভাবানুবাদ টুকু বুঝিয়ে দিলেই বাড়ত?

প্রেমের ভাব ই আক্ষরিক অর্থে ফুটানো কঠিন আর আল্লাহ প্রেম কে আক্ষরিক অর্থ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা কি আরও বেশি কঠিন নয়???

অগ্নি শিখার পিতা বা অগ্নি শিখার মুল কে আমরা যদি ভেবে নেই অহঙ্কারি আচরণ ও তার কারন গুলো কক্ষনোই টিকে থাকে না, তা ধ্বংস হয় সমূলে। নবীর আগমনের মাধ্যমে তখনকার সমাজের অনেক অহঙ্কারি আচরণ ও তার কারন ধ্বংস হয়েছে- আল্লাহ এটাই বুঝিয়েছে। তাহলে কি তা অর্থ বিরুদ্ধ হয়? আর নবীর সম্মান ও অজুহাত দিয়ে রক্ষা করতে হয়???


৪৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: but what's your point ? B:-)

৪৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~


না আপা পারবো না, বাংলা সাহিত্যের আবোলতাবোলের সাথে কুরয়ানের তুলনা করতে। ইনফ্যাক্ট কোন সাহিত্যের সাথেই পারবোনা তুলনা করতে। ইনফ্যাক্ট কোন কবির কোন লেখার সাথেই না। আপা কুরয়ান জানুন, আপনারা কুরয়ান কিছু নাজেনেই সমালোচনা করেন। কুরয়ান জানলে জসিমদ্দিনের কবিতা বা রবীন্দ্র নাথের কাব্যগ্রন্থের সাথে কুরয়ানকে তুলনা করতেন না।



"সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি"

এইটার ভাবানুবাদ কি?

আর দেখুন কুরয়ান সূরা আশ শো'য়ারা তে কবিদের সম্পর্কে কি বলেঃ

২২০ থেকে ২২৭ঃ

২২০) নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।

২২১) আমি আপনাকে বলব কি কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে?

২২২) তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গোনাহগারের উপর।

২২৩) তারা শ্রুত কথা এনে দেয় এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।

২২৪) বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে

২২৫) তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?

২২৬) এবং এমন কথা বলে, যা তারা করে না।

২২৭) তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। নিপীড়নকারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ।


আপা এই কবিদের কবিতার সাথে কুরয়ানের তুলনা কখনই করার সাহস আপনার হতো না, যদি আপনি কুরয়ানের এই আয়াত গুলো জানতেন।

কুরয়ান নিজে নিজে পড়ুন , সত্যকে জানুন। কাঠমোল্লাদের ভয়ে ভিত হয়ে সত্য থেকে দূরে গেলে চলবে না।

মনে হচ্ছে আমাদের কথা শেষ হবে না। আপা "শো'য়ারা" মানে কবি।


২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আম্মানসুরা বলেছেন: উদাহরণ হিসাবে কবিতা দিয়েছি কিন্তু আপনি বুঝলেন কি!!!! আজিব!!

সুরা বাকারার ১৭১ নং আয়াতে আছে- ঐ সকল লোক গুলোই কাফের, যারা শব্দ ও চিৎকার ছাড়া আর কিছুই বুঝেনা। তারা মূক, বধির ও অন্ধ; তারা কখনো বুঝতে চেষ্টা করেনা।

আর আপনার সত্য যদি এটাই হয় যে আল্লাহ লাহাব সাহেব কে ১৪০০ বছর ধরে অভিশাপ দিয়েই চলেছে তাহলে সরাসরি বলি- সরি, আমি এমন আল্লাহকে পছন্দ করছি না।

আমার কাছে লাহাবের অর্থ হল- মুহাম্মদের আগমনের কারনে অহঙ্কারের আগুন ও আগুনের ইন্ধন সমূলে ধ্বংস হয়েছে। সন্তান,স্ত্রী,অর্থ ইত্যাদি বিষয়ে মানুষের অহংকার একবারেই নিরর্থক কারন এগুলো কোন কাজে আসে না। এই অহঙ্কারি আচরণ একজন মানুষের মৃত্যুর বা অধঃপতনের কারন হয়।

এটাই আমার কাছে সঠিক মনে হয়। আরবি বাংলার জগা খিচুরি অর্থ আমি খাই না। :|

৪৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তসলিমা একজন সফল নারী। তাকে নিয়ে এই যে এত আলোচনা সমালোচনা, তার নামে এই যে এত লাখ লাখ শব্দ ব্যয়, এটাই প্রমান করে যে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে (কমবেশি সারা বিশ্বেই) নিজেকে চেনাতে সমর্থ হয়েছেন। তার লেখালেখির যে মান, তা' দিয়ে এটা কোনভাবেই সম্ভব হতো না। কারণ, তার চেয়ে অনেক ভালো লিখেও অনেক লেখককে এই ব্লগের বাইরে কেউ চিনে না। সিনেমায় নিজে ন্যাংটো হয়ে (যেমন সানি লিওন) আর সাহিত্যচর্চায় ধর্মকে, বিশেষতঃ ইসলাম ধর্মকে ন্যাংটো করে (যেমন তসলিমা নাসরিন) অখ্যাত থেকে বিখ্যাত হওয়ার সহজ তরিকা এর চেয়ে অন্য কিছু হয় না। তসলিমা ১০০% সফল।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আম্মানসুরা বলেছেন: আপনি কি আবু হেনা বিপ্লব নামে ফেসবুকে আছেন ??? B:-)

৫০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ডট কম ০০৯ বলেছেন: আপনি কিন্তু আমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর দেন নি?

দেশে থাকার জন্য যে যোগ্যতা দরকার তা তসলিমা নাসরিনের পরিমানে কম ছিল বিধায় উনি দেশান্তরী।সকল কিছুর জন্যই যোগ্যতা লাগে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

আম্মানসুরা বলেছেন: তাই??? এদেশে যারা আছে তারা সবাই যোগ্য??

বলার কিছুই নাই।

তার অপরাধের লিস্ট টা দেখতাম চাই ভাইজান।

তাহলে বলতে হয় সাইদি, গু আজম এরা যোগ্য বলেই এদেশের নেতা হতে পেরেছে :-0

সক্রেটিসের ও তার সময়ে বেচে থাকার যোগ্যতা ছিল না।

তসলিমা নাসরিন এর চরিত্র নিয়ে যে ক্ষোভ দেখানো হয় তা মেনে নেয়া যেত যদি তার স্বামীর বহুগামিতা নিয়েও আপনারা সেই ক্ষোভ দেখাতেন।

আসলে সমাজটা পুরুষতান্ত্রিক। আজ ফেবুতে আপনি ফান করে চার বিয়ে নিয়ে যেই কথাটা বলেছেন তা যদি আমি ও ফান করেই বলতাম তাহলে কি হত??? এখানেই আপনার ১ম প্রশ্নের উত্তর আছে।

৫১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
আপা এখনতো মনে হচ্ছে আপনি আমার মন্তব্য গুলোও ঠিক করে পড়েন নাই, শুধুই তর্ক করে গেছেন, শুধুই না বুঝার চেষ্টাই করে গেছেন। বুঝেও না বুঝলে কেমনে হবে?

উপরে ৪৩ নং মন্তব্যে এই কথাটা (আর আপা আপনি বারবার আল্লাহের প্রতিহিংসার যে কথা বলছেন, তা নিতান্তই আপনার বা আপনাদের মনগড়া!! হিংসাতো মানুষের কাজ। অভিশাপো মানুষের কাজ। আল্লাহ যা করেছেন তা হচ্ছে আবু-লাহাবের ভবিষৎ সত্যটা জানিয়ে দিয়েছেন, নিশ্চিত ভবিষৎ সত্য বা গায়েব, উনি ছাড়া আর এ জিনিশ কে জানাবেন??) লিখে ছিলাম!!! অবাক হলাম, আল্লাহকেই আপনার দরকার নাই?

আপা কষ্ট করে কুরয়ানের লাইন বিকৃত করার কি দরকার ? আই মিন সূরা বাকারা আয়াত ১৭১? কি দরকার ছিল?


সূরা বাকারা আয়াত ১৬৮ঃ "হে মানব মন্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষন কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।"

সূরা বাকারা আয়াত ১৬৯ঃ "সে তো এ নির্দেশই তোমাদিগকে দেবে যে, তোমরা অন্যায় ও অশ্লীল কাজ করতে থাক এবং আল্লাহর প্রতি এমন সব বিষয়ে মিথ্যারোপ কর যা তোমরা জান না।"

সূরা বাকারা আয়াত ১৭০ঃ "আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তা আলা নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও।"

সূরা বাকারা আয়াত ১৭১ঃ "বস্তুতঃ এহেন কাফেরদের উদাহরণ এমন, যেন কেউ এমন কোন জীবকে আহবান করছে যা কোন কিছুই শোনে না, হাঁক-ডাক আর চিৎকার ছাড়া বধির মুক, এবং অন্ধ। সুতরাং তারা কিছুই বোঝে না।"

সূরা বাকারা আয়াত ১৭২ঃ "হে ঈমানদারগণ, তোমরা পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহর, যদি তোমরা তাঁরই বন্দেগী কর।"


আমি কুরয়ানের বিকৃতি খাই না!!


:| :| :| :| :| :| :| :| :| :|


আপনি যে ভাব বুঝাতে চেয়েছেন, তার উপস্থিতি আপনি আমার পোষ্টেও পেয়েছেন তা আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন, এটা আমাকে আর নতুন করে বলার কি মানে ? আমিতো ঐ ব্যাপার ইগনোর করি নাই। আপনি কেন যা ইচ্ছা তাই বলবেন? যা ইচ্ছা তাই গ্রহণ করবেন?

আর ব্লগার এ্যমালগাম আপনাকে সুন্দর একটা প্রশ্ন করেছেন যদি উত্তর দিতেন?

"ঐ মহিলা (তসলিমা)এত মানুষের মনে কষ্ট দিল, এই ব্যাপারটা কিন্তু আপনি ইগনোর করে গেছেন!! আপনি শুধুই তার কষ্ট নিয়ে ভাবছেন। কেমন জানি একচোখা হয়ে গেলো না? "


আপা আপনার সাথে কথা বলে ভালো লাগল। যদিও কোন লাভ হইলনা !!! :( :( :(

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৮

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি কোরানের লাইন বিকৃত করি নাই, এটা আমার মুখস্থ ছিল। কয়েক জনকে বলতে বলতে মুখস্থ হয়ে গেছে। সারমর্মটা একি ছিল, আপনি একটু কিতাবি ভাষায় বলেছেন। এই যা!

তবে তর্ক আর ভালো লাগছে না। আপনাকে আগেই বলেছি- তাকে দেশে এনে তাকে তর্কে হারিয়ে দিবে এমন ব্যক্তিত্বের মানুষকে আমি ১০০ ভাগ শ্রদ্ধা করব। এরপরেও যদি এমন প্রশ্ন করেন তাহলে আর কি বলার আছে!!!

৫২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৪

ডট কম ০০৯ বলেছেন: কোথায় সক্রেটিস আর কোথায় তসলিমা নাসরিন।এই দুইজনকে একসাথে তুলনা করে আপনি ভীষন ভুল করলেন।

একচুয়ালি আপনার সমস্যা ওইখানেই সমাজটা পুরুষত্রান্ত্রিক এই বিষয়টাই আপনি মেনে নিতে পারছেন না। তসলিমাকে টেনে এনেছেন সেই স্বার্থেই।

আপনার যদি চার বিবাহ করার ইচ্ছা থাকে তো করেন সমস্যা কি?

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

আম্মানসুরা বলেছেন: বাহ!! আমি বললাম কি আর আপনি বুঝলেন কি?

নিজের কথা নিজে বললে ঢোল পিটানো হবে কিন্তু না বলে পারছি না- আমার চার বিয়ের ইচ্ছা আছে এমন কোন কর্মগত প্রমান এই পৃথিবীর কোন মানুষ দিতে পারবে না আর আপনি তো ভাই। আমার শত্রুও আমার নামে এমন কথা বলবে না অন্তত যে আমাকে বাস্তবে জানে।

কোন কথার উত্তর দিতে হলে আমি সাধারণত নিজের কথা দিয়েই বুঝাই। আর এখানেও তাই করেছি।

৫৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
সূরা বাকারা আয়াত ১৭১ঃ

( وَمَثَلُ الَّذِينَ كَفَرُواْ كَمَثَلِ الَّذِي يَنْعِقُ بِمَا لاَ يَسْمَعُ إِلاَّ دُعَاء وَنِدَاء صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لاَ يَعْقِلُونَ )


কাছাকাছি বাংলা অর্থঃ

"বস্তুতঃ এহেন কাফেরদের উদাহরণ এমন, যেন কেউ এমন কোন জীবকে আহবান করছে যা কোন কিছুই শোনে না, হাঁক-ডাক আর চিৎকার ছাড়া বধির মুক, এবং অন্ধ। সুতরাং তারা কিছুই বোঝে না।"

আপনি বললেন

সুরা বাকারার ১৭১ নং আয়াতে আছে- ঐ সকল লোক গুলোই কাফের, যারা শব্দ ও চিৎকার ছাড়া আর কিছুই বুঝেনা। তারা মূক, বধির ও অন্ধ; তারা কখনো বুঝতে চেষ্টা করেনা।

এটা বিকৃতি না? ঠিক আছে, বিদায়!! এই মন্তব্যটাও করার ইচ্ছা ছিলনা, কিন্তু এত গুলো মন্তব্য করেছি, তাই বিবেকের তারনায় !!

আসসালামুয়ালাইকুম

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১১

আম্মানসুরা বলেছেন: * এই বোকা লোকগুলার উদাহরণ এমন, যেন এরা কোন কথাই বুঝতে চায় না, এরা শুধু ঝগড়া বুঝে আর ঝগড়ার সুযোগ খুজে।

* তারাই বোকা যারা কোন কিছু বুঝতে চায় না, এরা শুধু ঝগড়া বুঝে আর ঝগড়া খুজে।

উপরের ২টি বাক্যের পার্থক্য বা মিল কি??? আমার কাছে দুটোই একি মনে হয়। দুটোতেই বোকা লোকের আচরণ ব্যাখ্যা করে পরিচয় দেয়া হয়েছে।

আমি অজ্ঞ মানুষ। সারমর্ম নিয়ে মাথা ঘামাই। তাই বিজ্ঞ লোকেদের সাথে দ্বিমত হতেই পারে।

৫৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১১

লাজুক ছেলে...... বলেছেন: তসলিমা নাসরিন কে নিয়ে আসলে অল্প কথায় মন্তব্য করা কঠিন। আমার মনে হয় সে মানসিক ভাবে সুস্থ না। যে বিষয় নিয়েই সে আলাপ বা লেখা শুরু করুক না কেন সেটা এসে বাংলাদেশী নারীর পরাধীনতায় এসে শেষ হবে। এই দেশের সামী-সন্তান নিয়ে সুখে থাকা কোন নারী যদি মাথা কুটে কুটে বলে যে সুখে আছে তাসলিমা ম্যাডাম সেটা বিশ্বাস-ই করবে না।

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

আম্মানসুরা বলেছেন: তার নিজের ভাবির সম্বন্ধে সে কি লিখেছে মনে আছে??? মনে হয় না। আমার মনে হয় আমরা তার লেখা না পড়েই সমালোচনা করি। যেমন- ব্লগার মানেই নাস্তিক, এটাও তো এই দেশের মানুষেরই সমালোচনা ও উপলব্ধি ;)

৫৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৩

লাজুক ছেলে...... বলেছেন: নাহ ভাবির সম্পরকে কি বলেছিল এখন মনে করতে পারছি না। যদি পজেটিভ কিছু বলেও থাকে তবে তার রেশিও অনেক কম। আর নাস্তিক এবং ইসলাম
বিদ্বেষী এই দুটোর মাঝে ফারাক টা সেটা আপনি নিশ্চয় জানেন। ব্লগার মানেই
নাস্তিক এই ধারনায় দিন দিন পরিবর্তন আসছে। এই ইসলামেই স্পস্ট করে বলা আছে অন্য কোন ধর্মকে কটাক্ষ করা যাবে না। কিন্তু যদি কোন কাঠ মউলোভী
এটা না মেনে থাকে তবে সেটা তার অজ্ঞতা।

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৩

আম্মানসুরা বলেছেন: তার ভাই ছিল নির্যাতিত, তার ভাবি ১০০ ভাগ স্বাধীনতা পেত আর তার অপব্যবহার করত। আসলে আমরা পুরুষতান্ত্রিক কি না! তাই এটি নিয়ে কোন মহিলা প্রতিবাদ করে নাই। যদি করত তাহলে হয়ত সবাই জানত।

৫৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

না আপা, আপনি অজ্ঞ না, আর আপনি যদি জানতেনো যে আপনি অজ্ঞ তবুয় আপনি নিজেকে বিজ্ঞ প্রমনাই ব্যাস্ত থাকবেন।


"বস্তুতঃ তসলিমার অনুসারিদের উদাহরন এমন, যেন কেউ এমন কোন পশুকে আহবান করছে যা নিজেকে পরিচ্ছন্ন মনে করে, তারা বর্জ আর ময়লা ছাড়া কিছুই খায় না, নোংরা নষ্ট আর ইতর। সুতরাং তারা কিছুই বর্জ ভুক পশু।"

বাকিটা আপনার কাজ । :) :) :)
আমি অবশ্য একমত না।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

আম্মানসুরা বলেছেন: কাফের শব্দের অর্থ কি?? তবে এটা বিশেষণ। অন্যদিকে বোকা শব্দটাও বিশেষণ। কিন্তু তসলিমার অনুসারি শব্দটা বিশেষ্য।

বিশেষণের পরিচয় আর বিশেষ্যের পরিচয় কি আলাদা ভাবে আপনাকে বুঝাতে হবে বলে মনে হয় না।

তবুও আপনার ভুল উদাহরণ মেনে নিলেও কিন্তু আপনার অবস্থান মজবুত নয়।

যারা এমন কোন পশুকে আহবান করছে যা নিজেকে পরিচ্ছন্ন মনে করে, তারা বর্জ আর ময়লা ছাড়া কিছুই খায় না, নোংরা নষ্ট আর ইতর। সুতরাং তারা কিছুই বর্জ ভুক পশু এবং এরা মুলত তসলিমার অনুসারি।

এখন দেখুন তো উভয় বাক্যে তসলিমার অনুসারিদের কর্ম ও আচরণ নিরধারিত করে পরিচয় দেয়া হয়েছে।

বা বলা যায়- এই বিশেষণের অধিকারি দের চিন্তার পরিচয় চেয়া হয়েছে। এটাই তো মূলকথা তাই না???

তবুও তর্কের খাতিরে তর্ক করলে কি বলা যায়!!!

( আমি নিজেকে অজ্ঞ মনে করি বিধায় সবার থেকেই শেখার চেষ্টা করি, তা কারো সাথে বিতর্ক করলেও আমি সেখান থেকেও কিছু শেখার চেষ্টা করি)

৫৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: শেষ লাইনে "কিছুই" কথাটা হবে না :) :) :)

৫৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০০

এ্যামালগাম বলেছেন:

অনেক দিন পরে জমে উঠা একটা পোষ্ট :) :) :)

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

আম্মানসুরা বলেছেন: :) |-)

৫৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-)

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

আম্মানসুরা বলেছেন: :-/

৬০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন:
খুব ভালো লাগছে না দেখতে , দুধের ভিতরে গোবর টা টের পাচ্ছেন তো ? না পেলে আর কিছু বলার নাই ! আপনি আপনার দর্শনে অটুট থাকুন !
এই ছবি দেখার পরে এখন যদি দেশে কেউ ধর্মীয় অন্ধত্বের সুযোগ নিয়ে অস্থিরতা শুরু করে এর দায়ভার কে নিবে ?
টেবিল ভর্তি জায়গা থাকতে কুরআন শরীফের উপরেই কেন কফির মগ রাখতে হবে ?
গোলাম আযমদের সাথে এনাদের পার্থ্ক্য বলতে কিছু নেই ...
গোলাম আযমরা যা করে , তার উপলক্ষ্য এরাই এনে দেয় !
আপনি চাইলে আপনার সাপোর্ট অব্যাহত রাখতে পারেন কেননা ম্যাডাম নারীবাদী !

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

আম্মানসুরা বলেছেন: সুরা ফুরকান, আয়াত ৫৬- 'হে মুহাম্মাদ। তোমাকে তো আমি শুধুমাত্র একজন সুসংবাদ দানকারী ও সতর্ককারী করে পাঠিয়েছি।'

আপনি যার ছবি দেখালেন তারা স্বঘোষিত নাস্তিক। তারা কোরান কে একটা বই ছাড়া কিছু ভাবে না। কিন্তু ন্যাংটা নায়লা যখন রমজান মাসে সংযমের পোস্ট দেয় তখন ধর্ম অপমানিত হয় বলে জানি ও মানি।

হয়ত আমার কমেন্ট পড়বেন না, না পড়েই কমেন্ট করেন তা এতক্ষণে বুঝে গিয়েছি।

৬১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২২

খেপাটে বলেছেন: বলেন তো পুরুষরা একাধিক মেয়ে বিয়ে করতে পারে মেয়েরা কেন পারে না?????

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

আম্মানসুরা বলেছেন: কে বলছে পারে না??? :P

পারে কিন্তু বলে না :-P

৬২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

এ.এ.এম বিপ্লব বলেছেন: আপনার লেখা্তে নাস্তিকতা আর শুধুমাত্র ইসলাম বিদ্বেষীতাকে সমান পাত্রে রাখায় লেখার সারমর্মের সাথে নারীবাদী মনভাবকে সাংঘর্শীক মনে হচ্ছে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৬

আম্মানসুরা বলেছেন: একটু ডিটেইল বললে ভালো হত। নাস্তিকতা ও ইসলাম বিদ্বেষ বলতে কি বুঝাচ্ছেন? একজন নাস্তিকের কাছে কোরান বই ছাড়া আর কোন কিছু নয়। তাই একটা বই এর মতন আচরণ কে আমি বিদ্বেষ মনে করিনা।

৬৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: পোস্টে তো কঠিন অবস্থা দেখা যায়! একাই যুদ্ধে করে যাচ্ছেন! স্যালুট নেন! সবাই সবার তালগাছ নিয়েই থাকে, তাও ওইটা নিয়ে কথা নাই। একা একজন বাড়াবাড়ি করেছে, তার শাস্তি বা সমাধান সম্মিলিত বাড়াবাড়ি হইলে দুঃখজনক! আল্লাহ নিজে যেখানে তসলিমারে দুনিয়া থেকে উঠায়ে নেন নাই, আমরা তারে দেশ থেকে তাড়াইলেই কি হয়ে যাবে?! এইটাই কি সমাধান?

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

আম্মানসুরা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন ভাইয়া।

নজরুলের মানুষ কবিতা মনে পড়ে গেল।

৬৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

খাটাস বলেছেন: তসলিমার কে দেশান্তরি করা অবশ্যই অন্যায় হয়েছে এবং তসলিমার মত উগ্র নাস্তিক তৈরির জন্য আমাদের মোল্লারা দায়ী- শত ভাগ সহমত।
অন্য একটা কথা জানতে চাচ্ছি। ধরুন, আপনি একান্নবর্তী পরিবারে থাকেন। আপনার পরিবারে ভাল মনের সদস্য ও যেমন আছেন, নোংরা মনের সদস্য রা ও আছেন। আপনার পরিবারের ভাল মনের মানে সৎ সদস্যরা নোংরা মনের সদস্য দের কাজ কারবার জানলেও কিছু বলে না। আমি পরিবারের লোক হিসেবে বলার পর আপনারা সবাই মিলে আমাকে ধরলেন ঘাড় চেপে। আমি সত্য আর মিথ্যা দুটো দিয়েই, কখন ও অজ্ঞতা থেকে, সব মিলিয়ে কষ্ট থেকে সৃষ্ট ঘার টেরামি থেকে আপনার পরিবার নিয়ে বলেই জাচ্ছি, তাও শুধু খারাপ দিক নিয়ে। ভাল দিক গুলো কেন যেন আমার চোখে পড়ে না, তা সামান্য হলেও। আর আপনি আমার ভার্সিটির হউয়ায় আপনার পরিবারে আপনার ভার্সিটি নিয়ে বাজে কথা বলা কিছু সদস্য কে প্রমাণ সহ দেখলাম। আপনি দেখলেন, হ্যাঁ আমি অনেক কথাই ঠিক বলছি। কিন্তু আমি খুব আবেগি। তবু ও আপনি আমাকে সমর্থন দিলেন। আমি এই সামান্য পেয়েই জোশের বশে যা জানি তাও বললাম, যা জানি না- তারেও নেতিবাচক সমালোচনা করলাম।
আপনার পরিবারে মহা গেঞ্জাম লাগল। আমাকে আপনার বাসায় থাকা নিষেধ করা হল। আপনি ও আমার সত্য দর্শী কথার কারণে ক্ষমা চেয়ে বসলেন। আপনার পরিবার ভাবল, আপনি পরিবারের চেয়ে আমাকে বেশি ভাল্বাসেন।

এর মানে বুঝাচ্ছি না যে অন্যায় নিয়ে বসে থাকতে হবে, সত্য সবার আগে। কিন্তু আপনাকে ও দেখলেন, পরিবার কে ও দেখলেন, আমাকে ও দেখলেন।

আমি ঠিক, নাকি আপনার পরিবার ঠিক, নাকি আপনি ঠিক ?
ঝামেলা কি নিয়ে তা তো বুঝলেন ই। সমাধানের অন্য উপায় ছিল না?
আর যদি থাকে, আর আমি না জানি, তবে আমার জন্য এত ভক্তি দেখান কি ঠিক? শান্তি কায়েম রাখতে আমাকে কিভাবে হ্যান্ডেল করা উচিত?????

আবার ও বলছি শান্তি কায়েম রাখতে অন্যায় কে মেনে নেয়ার কথা বলা হয় নি। অন্যায় রোধে ভিন্ন পথ বেছে নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

আর গণতান্ত্রিক দেশে, কেও সত্য হোক আর মিথ্যা হোক, অরাজকতা সৃষ্টি করছে প্রমানিত হলে , শাস্তির জন্য সংখ্যা গরিষ্ঠের চাওয়াই তো আইন। তাহলে শুধু ধর্ম কে দোষ দিচ্ছেন কেন? গণতন্ত্র কেম্নে দোষ মুক্ত হল?
বলতে পারেন, দুর্ভাগ্য মোল্লারা সংখ্যা গরিষ্ঠ হউয়ায় গণতন্ত্র অপব্যবহিত হয়েছে। তাহলে ধর্মের সাথে গনতন্ত্র নিয়েও সমালোচনা করছেন না কেন? সমস্যার জন্য দায়ী পুরো সিস্টেম, আর দোষ শুধু ধর্মের, বৈষম্য হয়ে গেল না?

বৈষম্য মুলক সমালোচনা কে উগ্র আর আবেগি বলা যেতেই পারে।
আবেগে যুক্তি কিছুটা লোপ পায়, আর স্বজন প্রীতি আর নিজ মতাদর্শ প্রীতি বাড়বেই। আমি ও এর উরধে যেতে পারি নি। শুনেছি, মহামানব রা পারেন, আমরা সাধারণ মানুষ। তাই ভুল নিয়েই খুশি থাকি।

এটা নিয়ে কষ্ট করে একটু বুঝিয়ে বললেই আপনার মুল থিম বুঝতে সুবিধা হবে। ভাল থাকবেন।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি একটা বিষয় বুঝতে পারিনা- একজন সন্ত্রাসি ও লেখিকা কে বারবার এক কাতারে নিয়ে আসা হচ্ছে। লেখিকার বিরুদ্ধে শক্তিশালী কলম ব্যবহার যথেষ্ট। যেমন- মনে করেন আমার এই চিঠিটা আপান্দের ভালো লাগেনি তাই যদি আমাকে এই ব্লগ থেকে তাড়িয়ে দেন সেটা কি ভালো হবে নাকি যেভাবে আলোচনা হচ্ছে সেটা ভালো?????

আশা করি থিম বুঝাতে পেরছি।

৬৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

খাটাস বলেছেন: লেখিকা আর সন্ত্রাসি কে এক কাতারে আনলাম কই? :-*
যাই হোক আর কথা বাড়াচ্ছি না। তসলিমা কে দেশ থেকে বের করে দেয়ার পুরোপূরি বিপক্ষে আমি। তবে কলম সন্ত্রাস নিয়ে ও আইন থাকা উচিত। সমস্যা হচ্ছে, এ ধরনের আইন হলে অপপ্রয়োগ হউয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কিন্তু পাগলা গরু কে ঘরে রাখাই ভাল।
আমি আমি থিম বুঝায়ে গেছি, আপনার থিম ও ভাল ভাবেই বুঝেছি।
শুভ কামনা, ও ভাল থাকবেন আপু।

৬৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০০

আম্মানসুরা বলেছেন: ব্যতিক্রম মন্তব্য পেয়ে আমারও ভালো লাগল :)

৬৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৫

মীর রেজা হোসাইন শহীদ বলেছেন: হ্যাঁ সত্যি লেখাটি অপূর্ব আমি ধার্মিক তবে বক ধার্মিক নই। গ্রীস চন্দ্র সেন যদি হিন্দু হয়ে পবিত্র কোরআন অনুবাদ করতে পারে, তাতে তো ইসলাম বা কোরআন কোনটাই যদি অবমাননা না হয়। তবে তসলিমা নাসরিন কোরআন ধরলে অবমানা হবে কেন।
তিনি যা বলেছেন, তা তো ধর্ম নামক আবর্জনাতেই হাদিস নাম দিয়ে লিখা রয়েছে। তসলিমা নাসরিন ঐ আবর্জনাগুলোকেই একটু নাড়া দিয়েছেন মাত্র। এই টুকুন লেখার জন্য যদি তাসলিমা নাসরিন ধর্মদ্রোহী হন তাহলে বোখারী শরীফের লেখক নবীর চরিত্র হনন মূলক অসংখ্য হাদিস লিখেও নবীর অবমানাকারী হয় নাই কি? একটু ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।

৬৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৮

নীল জানালা বলেছেন: তছলিমার কি সামুতে একাইন্ট নাই? খোলা চিঠির উত্তর দেয় না ক্যান?
যান, আমি তছলিমার হয়া আপনেরে মাফ কৈরা দিলাম।

কিন্তুক আম্নে কোন আক্কলে তছলিমারে জ্ঞানী মানুষ কৈলেন? কাঠমোল্লারা সহায়তা না করলে তছলিমারে চিনতো কেউ? তছলিমার উছিত হৈল তার এই পরিচিতি, রাজনৈতিক আশ্রয়, টয় বয়, এই সবকিছুর লাইগা মোল্লাগো পায়ে ধৈরা পোন্নাম করা। সেইদিন মোল্লারা ধাওয়া না দিলে তার কপালে এইসব সুখ জুটতোনা।

৬৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মনে হয়, আপনি তাসলিমার লেখা বা কর্মকান্ডকে আসলে ভালভাবে স্টাডি না করেই এই লেখাটি লিখেছেন। যাহোক, তার ব্যাপারে আমার একটাই মূল্যায়ন, সে হল বুদ্ধি বেশ্যা। সে তার মেধা বা লেখনি শক্তিতে কাজে লাগিয়েছে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে। সে কখনোই সত্যিকার অর্থে ইসলাম ধর্মকে জানতে চায় নি, কিন্তু বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে কতগুলো অল্প শিক্ষিত মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে।

তসলিমা নাসরিন মহান কোন মানুষ নয় যে তার জন্য আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। তসলিমা নাসরিনের এই পরিণতি তার নিজেরই অর্জন। নিজেকে সম্মান করুন আগে। আসিফ মহিউদ্দিনকে দেখুন, ও ওর অভিষ্ট লক্ষে পৌছে গেছে, জার্মানি গিয়ে এখন নষ্টামিতে মত্ত। এরা অনুতাপ করবে তসলিমার মত বয়সে উপনীত হলে। দুনিয়া এবং আখিরাত, দুই জায়গাতেই এরা ঘৃণিত এবং অপমানিত।

৭০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বেশ কিছু প্রসঙ্গ দেখলাম

৭১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬

মুহা. তাহসিন বলেছেন: তসলিমা নাসরিন , হুমায়ুন আহমেদ , জাফর ইকবাল সহ মোটামুটি ভাবে সব লেখকদের বই পড়েছি।
.
তাদের বই গুলো যদি না পড়তাম তবে তাদের প্রতি ভালবাসা অটুট থাকতো!পড়েছি বলেই আমি তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের প্রতি এতটাই ঘৃণার মাত্রা বাড়িয়েছি যে ,যা আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কমবে না ।
.
তসলিমা নাসরিনের বেশির ভাগ বইগুলো মনযোগ দিয়ে পড়লে একজন ১৫/৩০ বছরের যুবক যে সকাল সন্ধ্যা হস্থমৈথুন করতে টয়লেটে যাবে তার গ্যারান্টি আমি দিতে পারি!
.
হুমায়ুন আহমেদঃ নামের সাথে যদিও আহমেদ লাগিয়েছেন ,তবুও তিনি জীবনে ইসলামিক বই তো দূরের কথা তার বইতে একটি ইসলামিক অক্ষর ও লিখেন নি।
ভালোবাসা প্রেমপ্রিতি নিয়েই কবরে গিয়েছেন। জানি না তার প্রেম কবরে এসে তার কাছে ধরা দিয়েছে কি না ??
.
জাফর ইকবালঃ ওনার বই গুলোর বেশির ভাগই মেয়েদের শারিরীক চর্চার , যতই গল্প দিয়ে লেখা লেখি করেন ,সবশেষে ঘুরে ফিরে মেয়েদের শরীরের কথাই তুলে ধরেন ।
.
আজকাল অনেক তসলিমার ভক্ত আছে , অনেক হীমু ,মিসির আলীরা আছে যারা তাদের অন্ধভক্ত!
তাদের বলছিঃ যৌবনের তাড়নায় যে বই পড়ছো তা ক্ষণিকের জন্য আনন্দ দিবে। এমন বই পড়া উচিত যা পড়লে ইহকাল পরকালে শুধু আনন্দ ই নয় বরং শান্তি এবং সম্মান দুটোই অধিক পাবে।

৭২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৭

মীর মোহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন: আমি আপনার মূল বক্তব্যে যাচ্ছিনা, বরং একটা দিক উল্লেখ করতে চাই।

"আমি সেই সব লম্পট কাপুরুষদের মুখের উপর বলতে পারিনি যে, তোমাদের একাধিক বিয়ের কোন যৌক্তিকতা ও দক্ষতা নেই"।

দক্ষতার কথা বাদই দিলাম... কারণ তা-তো আপনার ফিলোসোফির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যৌক্তিকতা নেই কীভাবে বলেন।
আপনি কি সূরা নিসার আয়াতটা(৪:৩) দেখেন নি? আল্লাহ তায়ালা কী তাহলে অযৌক্তিকভাবেই (নাউযুবিল্লাহ) অনুমতি দিয়েছেন??
এটা মানি যে, ইসলামের ধ্বজাধারি অনেকেই সেটাকে এক্সপ্লয়েট করে থাকে; তাই বলে সেটা অযৌক্তিক হল কীভাবে?
নবীজী (স) যা করলেন তা কী তাহলে আপনার দৃষ্টিতে অযৌক্তিক?



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.